এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • রবীন বাবুর নষ্ট চিঠি

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ৭১০ বার পঠিত
  • রবীনবাবু তাঁর তুণীরে আরো একটি প্রথম সারির দৈনিক যোগ করলেন। নিজে যার সাথে প্রায় জীবনের অনেকটা সময় ছায়াযুদ্ধ করে কাটিয়েছেন, এই নতুন দৈনিকও যে সেই যুদ্ধে আরো একটি প্রতিপক্ষ সৈনিক সরাবরাহ করবে সেটা তিনি বুঝতে পারেন নি! যখন বুঝতে পারলেন, তখন বড় দেরী হয়ে গেছে, “সম্পাদক সমীপেষু – পাঠকের চিঠিপত্র” এই নতুন কাগজটায় প্রায় একপাতা জুড়ে থাকে!

    এতো সময় নিয়ে রবীন বাবু কি করে উঠবেন বুঝতে পারছিলেন না। এটা অবশ্য তাঁর কাছে আচমকা নয় – অবসর নেবার আগে থেকেই অফিসে শুনতেন যে বাড়িতে সময় কাটানো খুব দুষ্কর হয়ে পড়ে। হাতে খালি সময় এলে বউ এর সাথে বেশী পিড়িত করাও তাঁর ধাতে নেই বা বউয়ের পিছু ফাউয়ের মত লেগে থাকাও। সেই পারত তাঁদের অফিসের অখিল – গোটা অফিস ব্যাপারটা জানত, কারণ দেরীতে আসার মূল কারন হিসাবে অখিল বউয়ের নানাবিধ উদাহরণ দিত – আজ বউ এই বলল, আজ বউয়ের এটা এনে দিতে গিয়ে, আজ এই নিয়ে ফিরতে হবে, আজ বউকে হেল্প করতে গিয়ে, বউয়ের মুড খারাপ, তাই সকালের ভাত হয় নি ইত্যাদি ইত্যাদি। সামনে কিছু না বলতে পারলেও রবীন বাবু অখিলের এ হেন আচরণ নিতান্তই মেয়ে ন্যাওটা এবং পৌরুষত্বের অভাব জনিত বলেই মনে করতেন। তিনি সেই মানসিক কাঠামোয় মানুষ যেখানে দিনের বেলায় বউয়ের সাথে পরিমিত কথা বলা যায় কনসিডার করলেও গা ঘেঁষা ঘেঁষি করে থাকা অকল্পনীয় ভাবতেন। এই অবস্থায় চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে শুধু তিনি চিন্তিত ছিলেন না, তাঁর বউও ছিলেন ততোধিক শঙ্কিত। এই এতোগুলো বছর ধরে সবার সামনে সকালের দিকে ৩০ মিনিট আর রাতে খাবার সময় আরো মেরেকেটে ৪৫ মিনিট মত – এই ছিল তাঁর স্বামীর সাথে কথা বলার অভ্যাস। তাই রবীন বাবুর বউ মনোযোগ দিয়ে কি কথা স্বামীর সাথে বলা যায় বেশী সময় ধরে সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছিলেন ও নিজের মনে মনে মেন্টাল নোট নিচ্ছিলেন।

    এমন এক টেনশন জনিত যুগ সন্ধিক্ষণে, যতক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী সমাধান বের না করা যায় এমন মুহুর্তে রবীনবাবু আরো বেশী একটি কাগজ পড়বেন বলে ঠিক করলেন অন্তত সকালের দিকটা যাতে কভার করা যায়। আগে কাগজ তিনি মূলত পড়তেন, এখন তিনি কাগজ পড়ে ভাবাও শুরু করলেন। আগে যেহেতু তিনি ভাবা প্র্যকটিশ করেন নি, তাই নিজের ভাবনার প্রতি কন্ট্রোল রাখতে হিমশিম খেলেন শুরুতে। তিনি ভেবে বের করলেন যে, যদি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট নামক জিনিস দুটি ছেলের কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন, তা হলে সময় কাটানোর কিছুটা হয়ত সুরাহা হয়। চাই কি ইন্টারনেট হয়ত ভাবতেও সাহায্য করতে পারে! কিন্তু পরক্ষণেই আরো ভেবে বের করলেন ইন্টারনেট তো ছেলে-ছোকরাদের ঘাঁটি – তাঁর বয়েসী লোকেরা যে সেই নতুন যুগ-ভিউ অ্যাডাপ্ট করতে পারবেন, তার তো কোন গ্যারান্টি নেই! তিলে তিলে গড়া তাঁর সাধের মানসিক তাজমহলের ভিত্তিতে যদি কোন ঝটকা লাগে! আর তা ছাড়া ছেলের কাছে কম্পিউটার শেখার মধ্যে একটা অপৌরুষেয় ব্যাপার তো আছেই। ওল্ড ডগস – নিউ ট্রিকস্‌ জনিত এক প্রবাদ বাক্য মনে পড়ায়, অজান্তেই মুখ কুঁচকে এলো। এই সব ভেবে তিনি হার্ড-পেপার কপিতেই ন্যস্ত থাকার মনস্থির করলেন – এমনকি নিজে এতোটা ভেবে ফেলেছেন দেখেও পুলকিত হলেন। ভাবা প্র্যকটিশ এই ভাবেই শুরু হয় তা হলে!

    কিন্তু ভাবনাকে রাশ দিতে পারলেন না পুরোপুরি – ভাবনা তাঁকে ‘পাঠকের চিঠি’র পাতায় নিয়ে গিয়ে ফেলল। মনের গহীনে ঢুকে থাকা ক্ষোভ, চাপা ঈর্ষা, আকাঙ্খা – সব এক সাথে তাঁকে জড়িয়ে ফেলল। ভাবা শুরু করার ফলে রবীনবাবু ভাবতে চেষ্টা করার সাহস পেলেন যে তাঁর সেই জীবনের বঞ্চিত ও নেগেটিভ স্মৃতির উৎস কোথায়! তাঁর হট্‌ করে দেবু সরকারকে মনে পড়ে গেল – তাহলে কি দেবু সরকারই তাঁর লিবিডো? বেশীদিন তিনি ‘ভাবা শুরু’ জগতে নবাগত বলে লিবিডো জিনিসটা এখনো ধরতে পারেন নি – একটু কনফিউস হয়ে গেলেন – লিবিডো আর ঈর্ষা কি এক? নাকি লিবিডোর সাথে যৌনতা জুড়ে আছে কোথাও! যৌনতাই যদি হবে, তা হলে দেবু সরকারের নাম মনে এল কেন? আর চিঠির সাথে যৌনতারই বা কি সম্পর্ক? রবীনবাবু ভাবার চেষ্টা করলেন যে সমকামী বিষয়ে তাঁর মতামত কি – মনের গভীরে কি লুকিয়ে আছে। আর একটু ভাবতেই তাঁর চোখের সামনে একটি পুং-লিঙ্গের ছবি ভেসে উঠল। এমন নয় যে অপরের পুংলিঙ্গ রবীন বাবু এই প্রথম দেখলেন – পেচ্ছাপ খানায় হরবখৎ চোখ চলে যায় পাশের জনের ওটার দিকে, এমনি দোদুল্যমান ও দেখেছেন। কিন্তু সে সবই তো বাস্তবে চোখের সামনে – মানস চোক্ষে কেন পুং-লিঙ্গ ভেসে উঠবে ভেবে রবীনবাবু ঘবড়ে গেলেন এবং বিরক্ত হয়ে পুং-লিঙ্গকে মনে মনে কষে একটি গালাগাল দিলেন। বেশী ভাবলে এমনই হতে থাকবে নাকি, এই সম্পর্কে নিদারুণ চিন্তিত হয়ে রবীনবাবু যৌনতা নয় বরং ঈর্ষার অ্যাঙ্গেল থেকে দেবু সারকার আর চিঠির সম্পর্ক ভাবা শুরু করলেন।

    রবীনবাবু আগে যেখানে থাকতেন সেই মফঃস্বলে দেবু সরকার খুব নাম করে ফেলেছিল খবরের কাগজে চিঠি লিখে। দেবু সরকার আবার থাকত রবীনবাবুর বাড়ির গায়েতেই প্রায়। কিছু হলেই বা অনেক সময় কিছু না হলেও কাগজের সম্পাদককে দিত ঠুকে লম্বা চিঠি। তবে পাঠানো চিঠি সত্যি করে কত বড় হত রবীন বাবু জানতেন না, কারণ যেটা ছাপা হত সেটা বিজয়া দশমীর প্রণাম জানিয়ে দেওয়া চিঠিগুলির মত সাইজে। আপ প্লাটফর্মে প্রসাবখানা নেই, টিকিট কাউণ্টারের সামনে মূত্রাগার থেকে প্রবল গন্ধ বেরুচ্ছে, ফুটপাথের হকাররা কেন ফুটপাথে বসবে, সকালে সবাই একসাথে বাজার করতে বেরুলে কি প্রবল জানজট সৃষ্টি হয় – সেই সবই ছিল চিঠির বিষয় বস্তু।

    চিঠি লিখে দেবু সরকার ফেমাস – সেই এলাকার বইমেলার উদ্বোধন করছে দেবু, সাহিত্য সভায় প্রধান অতিথি দেবু, ওখান থেকে বেরোনো লিটিল ম্যাগাজিনে গেষ্ট কলামে দেবু! প্রতিবেশীর এহেন বাড়াবাড়ি ও খ্যাতি রবীন বাবুর মনে ঈর্ষার জন্ম দেয়। শিক্ষিত বলে তাও ভদ্রতার ভান করে এসেছেন চিরদিন – কিন্তু সেই যখন মেয়েদের স্কুলে বার্ষিক ক্রীয়া প্রতিযোগিতায় গেষ্ট অব অনার হয়ে দেবু গেল, তার পর থেকে রবীন বাবু আর কন্ট্রোল করতে পারলেন না। এই এতো দিন পরে ভাবতে বসেও শর্টস পরা ঘর্মাক্ত টি-শার্টের মেয়েদের দেবু প্রাইজ দিচ্ছে সিনটা রবীনবাবুর শির-দাঁড়ায় কাঁটা দিয়ে দিল। রবীনবাবু একটা ব্রেক নিলেন – ছেলে অফিস বেরিয়ে গেছে। বউ মনে হয় একান্তে – রবীনবাবু সেই দিকে রওনা দিলেন। বউ অবাক – রবীন বাবুর মনঃচক্ষে অন্য কিছু ভাসছিল। তবে এই ভাসা মুখ দিয়ে খিস্তি নয়, বরং অন্য কিছু বের করে আনল -

    বেশী ভাবার এই রেজাল্টে রবীনবাবু খুশী হলেন এবং ভাবা বিষয়ে আস্থা ফিরে পেলেন।

    যাই হোক যখন দেবু সরকার ক্রমশঃ অসহ্য হয়ে উঠল, তখন রবীন বাবু একই লাইনে খ্যাতি পেতে চাইলেন। চিঠি লেখা যায় কিনা ভাবনা চিন্তা শুরু করলেন। এতোদিন পড়ে রবীন বাবুর প্রমাণ পেলেন যে যদিও তিনি অফিসিয়ালি কাউকে বলে তখনো ভাবতে শুরু করেন নি, কিন্তু এর আগেও তিনি ভাবতেন! তিনি ভেবে বের করেছিলেন যে আগে বাঙালী জাতি চিঠি লিখতে ভালোবাসত, শুধু বাঙালী কেন – তাবত মনুষ্য সমাজই জাঁকিয়ে চিঠি লিখে এসেছে কাগজ-পেন আবিষ্কার হবার পর থেকে।

    রবীনবাবু ভেবে বের করলেন যে সেই সব চিঠির বেশীর ভাগই অকাজের। চিঠি লেখার প্রথম প্রবলেম হল – বাকি কিছু লেখার নেই। সবই লেখা হয়ে গেছে। নতুন চিঠি লিখলে বা পড়লেই ভয় হয় এই বুঝি পরের বছর পূজা সংখ্যায় রবিবাবুর অপ্রকাশিত চিঠি গুলির সাথে মিলে গেল!

    চিঠির বিষয়ক দ্বিতীয় প্রবলেম হল – বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম গন্ধ বা ছোঁয়াচ না থাকলে সেই সব চিঠির কোন মূল্য থাকে না আম জনতার কাছে। এইটা ভেবে রবীন বাবু হোঁচট খেলেন – তাই যদি সত্যি হয় তা হলে দেবু সরকারের চিঠি ছাপা হচ্ছে কি করে, আর পাবলিকই বা গুরুত্ব দিচ্ছে কি করে! তাহলে কি দেবু সরকারের কি কোন গোপন আঁতাত আছে কাগজ ওলাদের সাথে? ওদের সম্পাদকীয় বিভাগে কি ওর কোন চেনাশুনা লোক কাজ করে বা নিজের শালা? আর এই মফঃস্বলের পাবলিক তো গাধা – কাগজে নাম বেরিয়ে, তাই মাথায় নিয়ে নাচানাচি। আরে বাবা, আপ প্ল্যাটফর্মের পেচ্ছাপ খানায় গন্ধ বেরিয়েছে সেটা কি তোদের দেবুর লেখা পড়ে জানতে হবে? কেন তোদের নিজেদের কোন সেন্স নেই? নাকে গন্ধ পাস না?

    রবীনবাবুর লক্ষ্য করলেন যে দেবু সরকারের চিঠি নিয়মিত বের হয়, একটা রেগুলার পিরিওডে। তাঁর সন্দেহ হল যে তাহলে কি দেবু লাইম লাইটে থাকার জন্য কিছু দিন অন্তর অন্তর এমন চিঠি ছাড়ে? তাই যদি না হয়, তাহলে দেবুর ‘বাজারে যানজট’ বিষয়ক চিঠিটা কিভাবে এতো আলোড়ন তোলে? সবাই তো জানে যে সকালে বাজারের ভিতর মাছের আড়ত আছে – সেখানে শুধু মাছ নিয়ে ম্যাটডোর আসে তাই নয়, গ্রাম থেকে সব্জী নিয়েও লোকে ভ্যান, সাইকেল, গরুর গাড়ী এই সব মিলে পুরো ক্যাচাল। বহুদিন ধরে চলে আসছে – তোরা কি শুনে নাচলি আর দেবু কি লিখল? না সকালে মাছ ধরে সেই দিক সকালেই নিয়ে আসার কি আছে? পরের দিন সকালে নিয়ে এলে তো ভীড়টা আর হয় না! যদিও কিছু কিছু লোক খেয়াল করল যে তাহলে তো পরের দিনও সেই যানজট হবে! কিন্তু সে আর শোনে কে? দেবুকে চেপে ধরলে সে বলে তাহলে পরের দিন সকালে না নিয়ে এসে, মাছ ধরার দিন বিকালে আনা হোক মার্কেটে। সারাদিন মাছ কি করে তাজা থাকবে সেই নিয়ে এবার জনতা হামড়ে পড়ল। দুই একজন মাছুড়ে এই সব শুনে সাইকেল থেকে পাগল পাগল বলতে বলতে চলে গেল।

    যাই হোক রবীনবাবু কম্মি কালেও কোন বিখ্যাত বা আধা বিখ্যাত লেখক, সেলিব্রীটি ইত্যাদিদের ধারেপাশে যেতে পারি নি – চেনাশোনা তো দূরের কথা। এই নিয়ে তাঁর প্রচুর আক্ষেপ ছিল। তা রেক্টিফাই করার জন্য এবং সেই মফঃস্বলে নিজেকে দেবু সরকার সদৃশ করার জন্য কাগজে চিঠি লেখা শুরু করলেন। নিজের জীবনে বেশী ইনোভেটিভ না হবার জন্য অন্যকে ফলো করার তাঁর বাঞ্ছনীয় মনে হল – আর তা ছাড়া যা মার্কেটে চলছে সেটার বাইরে বেরিয়ে নাম কেনার কষ্টের দরকার নেই এমন ভেবেছিলেন রবীনবাবু সেই সময়। এই প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে রবীনবাবু তখনো অফিসিয়ালি ভাবা শুরু করেন নি – সেটা শুরু হয় অবসরের পর, এ তাঁর চাকুরী লাইফের কথা।

    রবীনবাবু তখন যেমন ভাবতেন তেমন ভেবে চিঠির টপিক বের করার চেষ্টা করলেন। দেবু সরকার স্টেশন বাজার নিয়েই লিখে হিট হয়েছে – তাই তিনিও স্টেশন বাজার নিয়েই লিখবেন ভাবলেন। সেই দিন সন্ধ্যাবেলা ভাবতে ভাতে চপ কিনে ফিরছিলেন – ভাবা অভ্যাস নেই – তাই পা পড়ল রাস্তার গর্তে। চপ জলে গেল, তিনি জলে পড়লেন ঠিক আছে – কিন্তু মাথায় চমকে উঠলে গর্তের কথা।

    বাড়ি এসে তখনকার ভাবনার মত ভাবা শুরু করলেন – আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বানালেন স্টোরী। রাস্তা বছর বছর খারাপ হচ্ছে – তার মানে রাস্তার মালে নিশ্চয়ই দুই নম্বরি আছে। তাঁর হাতে কোন প্রমাণ নেই – কিন্তু প্রমাণ কেই বা চায়, কারণ সবাই তো জানে আসল সত্য! যা একপ্রকারে সত্বসিদ্ধ। অনেক খসড়ার পর দিলেন একটা চিঠি ছেড়ে রাস্তায় বাজে মাল দিয়ে কাজ হচ্ছে এই মর্মে সেই চিঠিটা? একটু বেশীই উৎসাহ এসে গিয়েছিল মনে হয় – শুরুতেই লিখে দিলেন কনট্রাক্টর নাকি দুই নম্বরী মাল দিয়ে রাস্তা করছে। এটাতে কেউ অবাক হয় নি – এই চিঠি তবে জনতাকে রাজনীতি রং দিয়ে ভাগ করে দিয়েছিল। পেচ্ছাপখানা বা বাজারে যানজট ছিল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য – কিন্তু এই চিঠিতে লেগে গেল রাজনীতির রং। বিরোধী দল বলল – হক কথা, শাসন কারী দল হালকা হাসল। যে কনট্রাক্টর সেই রাস্তা বরাত পেয়েছিল সে বিরোধী দলকে গার্ডেন বারে মদ-মাংস খাওয়ালো – ফাউ হিসাবে দূর্গাপুর হাইওয়ের ধারে রাত যাপন। দুই দিন পর আর কেউ কথা বলে না। রবীনবাবু রাতের ট্রেনে স্টেশনে নেমে বাড়ি ফেরার পথে কাদের হাতে প্রচুর মার খেলেন।

    এর থেকে রবীনবাবু ভেবে বের করলেন যে,

    ১। সমস্যা ন্যারো ডাউন করতে নেই। হালকা ভাসিয়ে ওপর ওপর ছেড়ে দিতে হয়
    ২। সবার জানা বিষয় হলে ভালো হয়। চর্চা হবে, নাম বাড়বে।
    ৩। সমস্যার বেশী গভীরে ঢুকে প্রকৃত সমাধানে তাঁক কোন সিদ্ধি হবে না। বরং ড্যামেজ বেশী হতে পারে। চিঠির বিষয় বস্তু নির্বাচিত হবে রিটার্ণ বেনিফিট বিচার করে।
    ৪। নতুন কাকে বেশী গু খায়।

    প্রথম চিঠির এমন অভিজ্ঞতার পর সেই থেকে টেক-অ্যাওয়ে নিয়ে দ্বিতীয় চিঠিতে কি নিয়ে লিখবেন তা ভাবতে বসলেন রবীনবাবু।

    [ক্রমশঃ]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ৭১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সো | 94.75.173.148 (*) | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৬:০৭65860
  • হিহি
  • সে | 94.75.173.148 (*) | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৬:০৯65861
  • আগের পোস্ট আমার
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন