এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • 'শীতকাল': বীতশোকের একটি কবিতার পাঠ প্রতিক্রিয়া

    Koushik Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ মে ২০১৮ | ১৬৩৩ বার পঠিত
  • বীতশোকের প্রথম দিকের কবিতা বাংলা কবিতা-কে এক অন্য স্বর শুনিয়েছিলো, তাঁর কণ্ঠস্বরে ছিলো নাগরিক সপ্রতিভতা, কিন্তু এইসব কবিতার মধ্যে আলগোছে লুকোনো থাকতো লোকজীবনের টুকরো ইঙ্গিত। ১৯৭৩ বা ৭৪ সালের পুরনো ‘গল্পকবিতা’-র (কৃষ্ণগোপাল মল্লিক সম্পাদিত) কোনো সংখ্যায় আমার মামাবাড়ির পুরনো বইয়ের ঘরে খুঁজে পেয়েছিলাম এই কবিতা-টি, কবিতার নাম ‘শীতকাল’।

    "চেয়ে দ্যাখো, সেরকম-ই রেখেছি স্বভাব;
    সহজ কবচে কত যত্ন করি, বেতার যন্ত্রের কাছে  কান পেতে থাকি
    কারা এত শব্দ করে, মনে প’ড়ে যায়
    কত ডেকে কাকে যেন লিখিয়েছি তোমার চিঠিটি;
    যাকে দিয়ে পাঠিয়েছি, সে ন্যুব্জ ও পথচারী,
    ঘোড়া দেখে খোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে কারশেডতলে;
    তা বলে কি শীতকালে বৃষ্টি হতে নেই,
    শব্দ হতে বাকি আছে তোমার চালা-য়?
    সানশেডে ঝ’রে যায় বৃষ্টি কত, তোমার প্রস্তুত
    বাথরুম থেকে দূরে উড়ে যায় জলাধার, এমন গরম
    জলের ভাপ ও বাষ্পে ক্রমাগত ভ’রে যাবে চোখ!
    এই রোদ এই বৃষ্টি- প্রকৃতি মানুষ হতে চায়!
    রক্ত ও রৌপ্যের মধ্যে  ট্রেন যায় কোলাঘাট ব্রিজের ওপরে;
    উত্তরেই যায় চিঠি, শব্দহীন উত্তরেই যায়।
    রোদ ভালো লাগে বলে স’রে বসি ছায়াতে ছায়াতে শীতকালে।"

    বেতার যন্ত্রের কাছে কান পেতে আছেন, আর ‘সহজ কবচে’ যত্নে এ-কবিতা লিখছেন বছর চব্বিশের তরুণ বীতশোক। এই কবিতা লেখা হচ্ছে সেই সময়ে, যখন টেলিভিশন ঘরে ঘরে যায়-নি, ফলে রেডিও বা ‘বেতার-যন্ত্র’ ছিলো সংবাদ আর বিনোদনের এক অন্যতম উপায়। এই সময়ে মানুষ ‘আকাশবাণী কলকাতা’ য় ‘স্থানীয় সংবাদ’ শুনতেন। ‘বিবিধ ভারতী’ বিভাগে তখন রিনরিনে শ্রাবন্তী মজুমদার আর মেঘমন্দ্র কাজী সব্যসাচী মাতিয়ে রাখতেন গ্রাম থেকে শহর। এই ফেলে আসা সময়ে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিলো চিঠি। বীতশোকের ‘কত ডেকে কাকে যেন লিখিয়েছি তোমার চিঠিটি’-এই লাইন-টি মনে করায় আমাদের নিরক্ষর লোকজীবনের অঙ্গীভূত প্রথা, যেখানে গ্রামে ও শহরে লোক ডেকে চিঠি লেখানো হয়, এবং, পত্রলেখকের মতো  পত্রবাহকের গুরুত্ব-ও কম নয়। ফলে পত্রবাহকের সেই ভূমিকা ফুটে উঠছে এই লাইনে: ‘যাকে দিয়ে পাঠিয়েছি, সে ন্যুব্জ ও পথচারী’। পাঠক, পরের লাইন পড়ুন: ‘ঘোড়া দেখে খোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে কারশেডতলে’। ‘ঘোড়া দেখলেই খোঁড়া’- এই চলতি লোকপ্রবাদ লিখছেন দক্ষ কবি, কিন্তু, ঘোড়া এখানে ট্রেন, তাই সেই ন্যুব্জ পথচারী দাঁড়িয়েছে ‘কারশেডতলে’। কবির নাম বীতশোক, দক্ষতার নাম বীতশোক। 

    কবি তার পরের লাইনে বলছেন শীতকালে-ও বৃষ্টি হতে পারে (‘তা বলে কি শীতকালে বৃষ্টি হতে নেই?’), কিন্তু  তার অব্যবহিত পরের লাইনে লিখে দিলেন : ‘শব্দ হতে বাকি আছে তোমার চালা-য়?’ নিবিষ্ট পাঠক লক্ষ্য করবেন ‘চালা’ এই আটপৌরে শব্দ-টির তুখোড় ব্যবহার। আসলে ‘কারশেড’ এর ‘শেড’ এখন গ্রামীণ চালা-র অবয়ব নিলো। পরের লাইনে আবার ‘সানশেডে ঝরে যায় বৃষ্টি কতো...’, ‘কারশেড’ থেকে হলো গ্রামীণ ‘চালা’, কিন্তু সে আবার নাগরিক ‘সানশেড’ হয়ে দেখা দিচ্ছে তার পরের লাইনে। এই সানশেড আসলে রেইন শেড-ও বটে, তাই ‘সানশেডে ঝরে যায় বৃষ্টি কতো,’। বীতশোকের এই কবিতায় একই সঙ্গে খেলা করছে প্রাকৃতিক রোদ, ছায়া(শেড), বৃষ্টি। ‘তোমার প্রস্তুত/ বাথরুম থেকে দূরে উড়ে যায় জলাধার, এমন গরম/ জলের ভাপ ও বাষ্পে ক্রমাগত ভ’রে যাবে চোখ!’- এই লাইনগুলি একদিকে ধরিয়ে দিচ্ছে উষ্ণতাপ্রিয় মানুষের শীতকালীন স্নানের প্রস্তুতি, আবার ভাপ, গরম আর বাষ্পীভবনে  জলাধারের উড়ে যাওয়া- বৃষ্টি তৈরির গোপন নিয়ম-টিকে চিহ্নিত করলো না কি? ‘এই রোদ এই বৃষ্টি- প্রকৃতি মানুষ হতে চায়’!-এই লাইন ইঙ্গিত দিচ্ছে এই শীতকালীন বিরল কবিতার বৃষ্টি আর রোদের বিরল ও রহস্যময় সহাবস্থান, প্রকৃতি যেন মানুষের মতোই বেখেয়ালী, তাই সেই-প্রকৃতি, ‘মানুষ হতে চায়’। পরের লাইনে সশব্দে কোলাঘাট ব্রীজ পার করছে বীতশোকের ট্রেন, স্মরণে রাখুন কিছু আগে এই ট্রেন দাঁড়িয়েছিলো ‘কারশেডতলে’।  

    শব্দময় এ-কবিতা, বিভিন্ন অনুষঙ্গে শব্দ কিভাবে ফিরে ফিরে আসছে দৃশ্যপট ধরে, লক্ষ্য করুন:

    (১) বেতার যন্ত্রের কাছে কান পেতে থাকি
    (২) কারা এত শব্দ করে, মনে পড়ে যায়
    (৩) শব্দ হতে বাকি আছে তোমার চালা-য়?
    (৪) সানশেডে ঝরে যায় বৃষ্টি কতো
    (৫) রক্ত ও রৌপ্যের মধ্যে ট্রেন যায়, কোলাঘাট ব্রিজের ওপরে

    এ-কবিতার প্রথম লাইনে বীতশোক লিখছেন: ‘চেয়ে দ্যাখো, সেরকম-ই রেখেছি স্বভাব’, কাকে  লিখছেন বোঝানোর দায় কবির নেই, তবে ‘চেয়ে দ্যাখো’-এই উচ্চারণ ভীষণ অভিমানী ও ব্যক্তিগত বলেই মনে হয়। তিনি যত্নবান, তাই লিখলেন: ‘সহজ কবচে কত যত্ন করি’, যত্ন করে চিঠি লেখালেন কাকে যেন ডেকে, আর কাকে দিয়ে যেন পাঠালেন। সেই চিঠির প্রসঙ্গ আবার ফিরিয়ে আনছে কবিতার শেষ লাইনের অব্যবহিত আগের লাইন, যেখানে আমরা দেখবো বীতশোক-হেঁয়ালী: ‘উত্তরেই যায় চিঠি, শব্দহীন উত্তরেই যায়’। কোন উত্তরে যায় চিঠি? আগের লাইনে সূত্র রেখে দিয়েছেন কবি: ‘রক্ত ও রৌপ্যের মধ্যে  ট্রেন যায় কোলাঘাট ব্রিজের ওপরে’। কোলাঘাট ব্রিজ হয়ে ট্রেন ছুটছে সাউথ ইস্টার্ন রেলপথ ধরে, দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটছে সেই ট্রেন, তাই উত্তরে ছুটছে চিঠি ও পত্রবাহক। ‘শব্দহীন উত্তরে যায়’- এর অর্থ যে কোনো চিঠি লেখাই হয়নি হয়তো।  প্রশ্ন করা হয় নি কোনো, তবু তার উত্তর দিচ্ছে এ কবিতায়- লেখা -চিঠি, এমনটাও হতে পারে। ‘চেয়ে দ্যাখো, সেরকম-ই রেখেছি স্বভাব’-এ যেন কোনো ব্যক্তিগত চিঠির অভিমানী প্রথম লাইন।
    লক্ষ্যণীয় এই যে এই কবিতায় কিভাবে যান্ত্রিক সভ্যতা ফুটিয়ে তুলছেন বীতশোক। ‘বেতার যন্ত্র’ এই সময়ের মূল গণমাধ্যম ছিলো, ডাকবিভাগ ছিলো ব্যক্তিগত ও পেশাদারী যোগাযোগের মূল উপায়, ‘চিঠি’ এই কবিতায় ফিরে ফিরে আসছে, ব্রিজ আর ট্রেন পরিবহণে সমান গুরুত্বপূর্ণ আজো।এই কবিতায় এই সব মাধ্যম দিয়ে পাঠকের সঙ্গে কমিউনিকেট করছেন বীতশোক, আর মেলবন্ধন ঘটাচ্ছেন নগরজীবনের সঙ্গে লোকজীবনের।
    বিশেষ থেকে সাধারণ সূত্র লেখায় পারদর্শী ছিলেন বীতশোক, কিভাবে- এই কবিতা তার-ও সাক্ষ্য দেয়। এই কবিতায় কারশেড, সানশেড-এই নাগরিক শব্দদ্বয়, আর চালা –এই লোকশব্দ বিশেষ অনুষঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে, কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই যেন লুকিয়ে রোদ ঢাকছে ছায়া। পাঠক, লক্ষ্য করুন কবিতার শেষ লাইন:

    ‘রোদ ভালো লাগে বলে স’রে বসি ছায়াতে ছায়াতে শীতকালে’।

    সেহেতু, কবিতা-র শেষ পংক্তি প্রবাদ তৈরি করে ফেলে। একবার সমস্ত কবিতার থেকে সমস্ত লাইন ছেঁটে যদি প্রথম ও শেষ লাইন দুটি শুধু রেখে পড়া হয়, তাহলে দেখবো, বেশ মিলেমিশে রয়েছে একটি ব্যক্তিগত, আপাত-অভিমানী পংক্তি, এবং আরেকটি বিস্ময়কর রকমের নিরভিমানী ও নৈর্ব্যক্তিক পংক্তি :

       চেয়ে দ্যাখো, সেরকম-ই রেখেছি স্বভাব
    রোদ ভালোবাসি বলে ছায়াতে সরে সরে বসি, শীতকালে। 

    বস্তুত, শেষ পংক্তিটিতে এসে মূর্ত হচ্ছে যেন মানুষের শীতকালীন আকাঙ্ক্ষা।

    বীতশোক পাঠের অভিজ্ঞতা, আমার কাছে বরাবর-ই নতুন বিস্ময় এনে দিয়েছে। পরতে পরতে তার রহস্য আর হেঁয়ালী; মোক্ষম লোকশব্দ, আর লোকবাক্যে তাঁর কবিতা প্রথম থেকেই নিজস্ব, ভেতরে তার নিহিত দর্শন থাকলেও, তা জ্ঞানভারে নুয়ে পড়েনি। তিনি নিজের মত করে ছেনে আনতেন জুতসই লোকপ্রবাদ, আর তার কবিতা-র ভেতরে থাকতো বিশেষ থেকে সাধারণে যাওয়ার এক অনায়াস কাব্যময়তা।

    এই পাল্টানো সময়ে বীতশোক আজ আর নেই। তিনি বেঁচে থাকুন তাঁর কবিতায়। শীতে, গ্রীষ্মে, বর্ষায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ মে ২০১৮ | ১৬৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌমী | 7845.15.78900.52 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৪62709
  • আমি কবিতা পড়তে ভালোবাসি......সমৃদ্ধ হলাম সত্যিই..... বাকি গুলো ও পড়ে ফেলার চেষ্টা করবো..... খুব ভালো লাগলো এমন সরল ভাষায় ... সুন্দর বিশ্লেষণ.….... ধন্যবাদ।
  • বিপ্লব রহমান | 7834.111.453423.117 (*) | ০৪ জুলাই ২০১৮ ১২:২০62710
  • অপূর্ব কবিতা!

    কবিতার বিশ্লেষণও খুব ভাল লাগলো। ব্রেভো!
  • Koushik Ghosh | 342323.176.8967.67 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৩০62711
  • ধন্যবাদ।
  • কুশান গুপ্ত | 561212.96.560112.224 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০১:০৩62712
  • এই লেখাটি কি করে চোখ এড়িয়ে গেল !! কবিতার এতো নিবিড় পাঠ ইদানীং চোখে পড়েনি।
  • কুশান গুপ্ত | 561212.96.560112.224 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০১:০৫62713
  • আরে ওপরের কমেন্টটি আমি, মানে প্রতিভা সরকার করলাম। কুশান গুপ্তের নামে হয়ে গেল কি !!!
  • কুশান গুপ্ত | 015612.107.231223.35 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৪62714
  • কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ প্রতিভাদি। এটা আমি কুশানই লিখছি। এডমিন একটু অনুগ্রহপূর্বক দেখবেন অন্যের কমেন্টে কেন আমার নাম যাচ্ছে।
  • কুশান গুপ্ত | 23.50.892323.120 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৮62715
  • জাস্ট অসাধারণ। যেমন কবিতা তেমনি তার বিশ্লেষণ ।।
  • কুশান গুপ্ত | 340112.215.3456.165 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৯62716
  • আরে!! উপরের মন্তব্যটিও আমার (কুশান গুপ্তর) করা নয়। কি করে বারবার এমন ঘটছে ? Admin, অনুগ্রহপূর্বক দেখবেন। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াচ্ছে যে, আমি নিজেই কবিতার আলোচনা লিখে বারবার নিজেকে বাহবা দিচ্ছি।
  • :-) | 125612.141.5689.8 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৯62717
  • আহা, অন্যের উপরে নির্ভর না করে স্বনির্ভর হওয়াই তো ভালো!
  • র২হ | 232312.171.452312.134 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৩৬62718
  • লগিন করে লিখলে কোন কোন সময় এটা হয়।
    ঠিক কখন হয় জানিনা, আমি নিজে কখনো লগিন করিনা :)
  • Nahar Trina | 89900.227.90012.5 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৩৮62719
  • চমৎকার! বিশ্লেষণের সাবলীল ভঙ্গি, কবিতার ভেতর বাড়িতে অনায়াস আসা যাওয়া, পাঠক উপভোগ করবেন নিঃসন্দেহে।

    **
    কৌশিকদা, আপনার প্রোফাইল কিন্তু দেখাচ্ছে না উপরে(আমি অন্তত দেখতে পাচ্ছি না), দেখাচ্ছে কুশানদার প্রোফাইলটা..ওই কথাগুলো দিব্য পড়ে নেয়া যাচ্ছে ''নাম পরিবর্তন করি, এফিডেফিট বিনা।আসল নামে হাজার হাজার ডক্টর হাজরা আছেন........." ব্যাপারটা কেমন অদ্ভূতুড়ে বাবা! লগইন না গুরুতে ঢোকা সম্ভব কিভাবে?
  • র২হ | 232312.171.452312.134 (*) | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৪১62720
  • ফেসবুক থেকে না এসে সোজা guruchandali.com এ এলেই লগিন না করে ঢোকা যাবে; মানে অন্য যেকোন ওয়েবসাইটে আমরা যেমন ঢুকি সেরকমভাবে।
  • কুশান | 342323.176.7889.102 (*) | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:৫৮62721
  • ধন্যবাদ।

    তৃণা, আমিই কৌশিক ঘোষ। এখন কুশান নামে লিখছি, যেহেতু আমার নামে একজন আছেন যিনি গুরুতে লেখেন।

    র২হ, ব্যাপারটা মোটামুটি বুঝলাম। এটি একটি বাগ।
  • | 670112.193.015623.66 (*) | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১০:০৫62722
  • লগিন না করলে বগটা কামড়াতেই পারে না সে তো একশোবর। তবে লগিন করেও আমাকে এখনও কোনোদিন কামড়ায় নি। আমি আসোলে মোবাইল থেকে খুললেও উপরে 'ওয়েব ভার্সান' এ চলে যাই চিমটি ফন্ট বড় করার সুবিধে পাবার জন্য। কাজেই মোবাইল থেকে ওয়েব ভার্সানে অ্যাকসেস করলেও বাগটা কামড়ায় না বলেই মনে হয়।
  • | 670112.193.015623.66 (*) | ২৯ নভেম্বর ২০১৮ ১০:০৬62723
  • *চিমটি দিয়ে ফন্ট বড় করার
  • শক্তি | 236712.158.566712.59 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ০৬:১৩62724
  • খুব ভালো লাগলো কবিতার বিশ্লেষণটি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন