এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • রক্তিম বসন্ত , নববর্ষ ঃ-অধিকার অর্জনের অনমনীয় লড়াই

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ৩১৯২৬ বার পঠিত
  • বসন্ত উৎসব , রঙের উৎসব , ফাগুয়া -হোলী , বাঙ্গালীর দোল উৎসব এসে গেল । অদ্ভুত ভাবে ঠিক একই দিনে বছরের একই সময়ে সেই ঐতিহাসিক সময়ে থেকে কুর্দ জনতা রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং গণহত্যা অগ্রাহ্য করে আজকের দিনে (২১সে মার্চ ) রাস্তায় , প্রকাশ্য স্থানে জমা হয় ‘নিউ রোজ ‘ মানাতে । 'নিউ রোজ' হোল কুর্দ নববর্ষ একই সাথে বসন্তের উৎসব । আগের কালে পাহাড়ে পাহাড়ে শীতের ঝরা পাতায় আগুণ লাগানো হত । সারা কুর্দিস্তান , ইরাক , ইরান , তুরস্ক , আর্মেনিয়া , সিরিয়া এমনকি আফগানিস্তানের পাহাড় আগুনে লাল হয়ে যেত আজকের দিনে । কাল থেকে যে বসন্ত । সাত দিন ধরে নাচ ,গান , খানা পিনা, উপহার বিনিময়ের বাঁধন ছাড়া উৎসব । এখনো শহরে গ্রামে প্রত্যেক বাড়ি থেকে কাঠ কুটো জমা করে আগুণ লাগানো হয় । সেই আগুণকে কেন্দ্র করে চলতে থাকে নাচ গান উৎসব । ঠিক কোথায় যেন আমাদের হোলির পূর্বের ন্যাড়াপোড়া অথবা 'হোলিকা দহনের’ সাথে অদ্ভুত একটা মিল আছে । আমাদের দেশেও বেশ কিছুদিন পূর্বে প্রত্যেক বাড়ি থেকে এক টুকরো কাঠ জমা করে ‘ হোলিকা দহনের’ উৎসব পালন হত, উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো হয় । আর ঠিক আমাদের হোলির দিনেই এই অনুষ্ঠান হয় সারা কুর্দিস্তান ,ইরান এমনকি আফগানিস্তান ,আর্মেনিয়াতে ।

    হয়ত’বা আমাদের এই হোলির পরম্পরার ইতিহাস , অদ্ভুত রকমের সাযুজ্য সম্পন্ন প্রথা এমনি হোলী কে ঘিরে যে মিথ তা কুর্দদের প্রাচীন মেসোপটেমিয়া সভ্যতার এই উৎসব থেকেই ইরান আফগানিস্তানের পথ ধরেই এসেছে, কে জানে। কিন্তু চমকে ওঠার মত সাযুজ্য , একেবারে কার্বন কপি , বক রাক্ষসের মিথ এবং ভীমের হাতে তার মৃত্যু পর্যন্ত, প্রায় একই উৎসব একই মিথ ।

    কিন্তু কুর্দদের এই স্বাভাবিক হাজারো বছরের প্রাচীন বসন্ত উৎসব প্রায় ১০০ বছর ধরে আর উৎসব নেই - ক্রমে তা রক্তেরর্ নববর্ষ ,আত্মাভিমান পুনঃউদ্ধার , স্বাধীনতা এবং অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অনমনীয় প্রতিরোধের লড়াই এ পর্যবসিত । তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি ,উগ্র জাতীয়তাবাদের হেজিমনির পাল্টা কাউন্টার হেজিমনি । নিউ রোজ মানেই উৎসবের সাথে সাথে প্রতিরোধের প্রস্তুতি ।

    গত একশো বছরের মতো এই বছরেও তুরস্কের সরকার দেশ জুড়ে কুর্দ নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে । গৃহযুদ্ধ চলছে সেই জুলাই থেকে পিকেকে’র সাথে । এই নিষেধাজ্ঞার প্রথম বলি হয়েছেন ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটি তে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কর্মরত এক ব্রিটিশ নাগরিক । কম্পিউটারের এই প্রফেসর কে 'নিউ রোজ' অনুষ্ঠানের নিমত্রন গ্রহণ করার কারনে পত্রপাঠ দেশত্যাগী করা হয়েছে তিনি নাকি সন্ত্রাস বাদীদের সমর্থক ,এক্ষেত্রে তুরস্কের সরকার আমাদের সরকারের বড় দাদা তুল্য । আমাদের দেশে পাকিস্তানে চলে যাও বলে ধমকি দেওয়া হলেও তুরস্ক ওইসব ফাঁকা আওয়াজে বিশ্বাস না করে কেবলমাত্র নিউ রোজের নিমত্রন গ্রহণ করার অপরাধে প্রফেসর কে সিধা প্লেনে তুলে দিয়েছে ।

    এই লেখা টি যখন আমি লিখছি তখন সারা তুরস্ক জুড়ে সাধারণ নাগরিকেদের নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে কোথাও কাঁদানে গ্যাস ,কোথাও জল কামান ছুঁড়ছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী । নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘নিউ রোজ ‘ এর আগুণ । অশ্বারোহী বাহিনী সাধারণ জনতার দঙ্গল ছত্রভঙ্গ করছে । ভাবা যায় আজকে এই একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশের ২৫% নাগরিক তাঁদের চিরাচরিত 'নববর্ষ’ পালনের এক নির্বিষ অনুষ্ঠান পালন করবেন আর রাষ্ট্র সেই অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করবে , গুলি চালাবে এমনকি গন হত্যা ঘটাবে ? অথচ তুরস্কে ঠিক এমনটাই হয়ে আসছে কেমাল আতাতুর্কের সময় থেকে আর কুর্দরাও সেই সময়ে থেকে প্রতি বৎসর সমস্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে পথে নামছে , অগ্রাহ্য করছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ,তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে সরকারী চোখ রাঙ্গানি , রক্তাক্ত নববর্ষ পালিত হচ্ছে প্রতিটি বৎসর ।

    ঐতিহাসিক সময় থেকে কুর্দরা অটোম্যান সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হলেও আমাদের আকবরের মত অটোম্যান শাসক রাও কুর্দদের ব্যক্তিগত ধর্মীয় আচরণ ,সংস্কৃতির স্বাধীনতা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামান নি । তাই সাংস্কৃতিক আধিপত্য নিয়ে , ভাষার আধিপত্য নিয়ে সংঘাতের ঘটনা ছিল অতীব নগণ্য । ঠিক যেমন দীর্ঘ মুসলমান শাসন কালে ভারতে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গার ঘটনা হাতে গোনা যায় । কিন্তু অটোম্যান সাম্রাজ্যের শেষের দিক থেকে ক্রমে ইউরোপের সংস্কৃতি , আধুনিকতার ধারনা ,খ্রিস্টীয় ধর্ম এবং ইউরোপের সাথে সংস্পর্শ তুরস্কের অভিজাত সমাজের মানসিক গঠন বদলাতে থাকে । গ্রীক অর্থোডক্স চার্চ অনুগামীগন এবং আর্মেনীয় খ্রিস্টান তুরস্কের ব্যবসা ,সম্পদ এবং রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে । কুর্দদের প্রথা , সংস্কৃতি ,ভাষা কেমন যেন ব্যাঙ্গাত্মক দৃষ্টিতে দেখা শুরু হয় । তখন তুরস্কে তুর্কী জাত্যাভিমানের উদয়ের সময় । কুর্দ এবং অন্যান্য জনজাতির সাথে সংঘাতের বীজ বপনের সূত্রপাত ।

    অবস্থা চরমে ওঠে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবশেষে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন তুরস্কে কেমাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী পার্টির উত্থানের সাথে সাথে । কেমাল আতাতুর্কের ধর্মের আধিপত্যহীন , আধুনিক , একতাবদ্ধ ,এক জাতী ,এক প্রাণ , এক ভাষা, এক গান এই তথাকথিত প্রগতিশীল সেক্যুলার রাষ্ট্র গঠনের দর্শন বিশ্বে বিশেষত পশ্চিমের দুনিয়ায় প্রভূত প্রশংসা কুড়ালেও স্থাপন করতে থাকে উগ্র তুর্কি জাতীয়তাবাদ । সমস্ত মাদ্রাসা তুলে দেওয়া হয় । ডিক্রী বলে তুর্কী ভাষা ছাড়া সমস্ত ভাষা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । সমস্ত কুর্দ শহরের নাম তুর্কীয় নামে পরিবর্তিত হতে থাকে । প্রকাশ্য স্থানে কুর্দ ভাষায় কথা বলা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় । কুর্দ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এক লহমায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় । আইন অমান্যে জেল এবং অত্যাচার নেমে আসে কুর্দ জনজাতির ওপর । জাতীয়তাবাদের নামে সংখ্যাগুরুর বুলডোজার চালানো হতে থাকে সংখ্যালঘু জনজাতির ওপর ।

    ঠিক এমনিটিই হয়ে থাকে আধুনিক সেকুলার 'নেসান স্টেটে’ । আমেরিকায় লিবার্টি সীমাবদ্ধ থাকে কেবল মাত্র শ্বেতাঙ্গদের জন্য । ব্রিটেনে আইরিশ’রা হয়ে পড়ে উৎপাত । ইউরোপে ইহুদী এবং জিপসিদের দেখা হতে থাকে কৃমি কীটের থেকেও অধম হিসাবে । তুরস্কে কুর্দদের এক লহমায় অস্তিত্বই মিটিয়ে দেওয়া হয় । জাতীয়তাবাদী সংখ্যাগুরুর সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক হেজিমনি ।

    অসংগঠিত এবং সবল রাজনৈতিক পার্টির অনুপস্থিতিতে কুর্দরা নিজেদের মত প্রতিরোধ করতে থাকেন । রক্তাক্ত হতে থাকে প্রতিটি প্রতিরোধ । অবশেষে ১৯৩৮ -১৯৪০ সালের সময় থেকে কুর্দ প্রতিরোধ রাষ্ট্রের প্রবল শক্তির কাছে ক্রমশ হেরে যেতে থাকে । দীর্ঘ কাল প্রবাসে থাকার ফলে আমাদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম যেমন নিজেদের ভাষা ,সংস্কৃতি বিস্মৃত হতে থাকে, সম্পৃত হতে থাকে বৃহৎ আগ্রাসী সংস্কৃতির সাথে । গান , নাচ , পোশাক , ভঙ্গিমা যেমন আজকের দিনে বলিউড গ্রাস করে নেয় ঠিক তেমনই পরবর্তী কুর্দ প্রজন্ম ভুলে যেতে থাকে নিজেদের ভাষা , সংস্কৃতি , ঐতিহ্য এবং পরম্পরা । কিন্তু তুর্কী জনজাতি কুর্দদের ঠিক নিজের লোক বলে মানতে পারেনা -ঠিক যেমন আমরা নর্থ ইস্ট বাসিন্দাদের চিঙ্কি অথবা অন্যগ্রহের প্রাণী বলে মনে করি । আবার কুর্দরাও প্রাণপণ তুর্কী বনার প্রয়াসে ক্রমে নিজেদের সংস্কৃতি তুর্কীয় সংস্কৃতির সাথে মেলানোর প্রাণপণ প্রচেষ্টায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত বিশাল তুর্কীয় জাতীয়তাবাদের সমুদ্রে ইতস্তত ভেসে থাকে ।

    ইতিমধ্যে আবদুল্লা অচালান ১৯৭০ এর দশকে কুর্দ স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন ( এ বিষয়ে আমি অন্য পোস্টে বিস্তারিত লিখেছি বলে সেই ইতিহাসের পুনারবৃত্তি আর করছিনা ) অচালান কুর্দ আইডেন্টিটি ,শ্রেণী নির্বিশেষে একতা এবং সংখ্যাগুরুর আইডিওলজিকাল হেজিমনির পাল্টা কাউন্টার হেজিমনির আইডিওলজি গড়ে তুলতে কুর্দ ভাষা ব্যবহার এবং এই হারিয়ে যাওয়া পরম্পরা 'নিও রোজ' প্রকাশ্যে পালন করতে কুর্দ জনতাকে উৎসাহিত করতে থাকেন । ভাষা এবং সংস্কৃতি এমন একটা রাজনৈতিক অস্ত্র যা ধর্ম এবং শ্রেণী নির্বিশেষে এক ছিন্ন বিচ্ছিন ক্ষুদ্র জনজাতিকে একতাবদ্ধ করতে পারে । পিকেকে অগ্রগামী হিসাবে নিজেরা প্রকাশ্যে কুর্দ ভাষা ব্যবহার এবং নিও রোজ পালনের উৎসব পালন করতে শুরু করে । রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে এতকাল লুকিয়ে লুকিয়ে নিজেদের নববর্ষ পালনের উৎসবে ধীরে ধীরে কুর্দ জনতা অংশগ্রহণ করতে শুরু করে । সাথে সাথে নেমে আসে রাষ্ট্রীয় দমনের ধারাবাহিকতা ।

    আবদুল্লা অচালান কুর্দ জনতার এই পরম্পরাকে 'কাউন্টার হেজিমনির ‘ আইডিওলজিতে পরিনত করতে থাকেন। 'নিউ রোজ' শ্রেণী এবং ধর্ম বিভেদ ভুলে আপামর কুর্দ জনতার রাষ্ট্র বিরোধী জমায়েতে পরিনত হতে থাকে সেই ১৯৮৪ সাল থেকে । ‘ নিও রোজ ‘ কুর্দ জনতার সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হিসাবে গড়ে উঠতে থাকে । নিউ রোজ এর পুন;উত্থান এবং এই উৎসব কে কেন্দ্র করে কুর্দ মবিলাইজেসান , তুরস্কের আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ বিরোধী আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য সফলতা ।এ এক বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরোধী ক্ষুদ্র জনজাতির পাল্টা সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত ।

    এক দিকে নিউ রোজের উৎসবকে কেন্দ্র করে ,তার সাথে জড়িত মিথ,অল্টারনেটিভ স্টোরি ,সাধারণ জ্ঞান ব্যবহারে কুর্দ সংস্কৃতি ,আইডেন্টিটির এক অভূতপূর্ব একতাবদ্ধতা অন্যদিকে তুরস্কের সরকারের এই একতাবদ্ধতার অনুষ্ঠানে বাধা প্রদানে বলপূর্বক রাষ্ট্রীয় উগ্র জাতীয়তাবাদ এবং সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখার প্রয়াস । এই 'নিউ রোজের’ সাথে মিথ ,ইতিহাস এবং প্রতিবাদের সূত্র জড়িয়ে আছে - এ কোন সাধারণ নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান নয় - অত্যাচারী রাজার হাত থেকে হাজারো বছর পূর্বে কুর্দ জনজাতির মুক্তির সফলতার এবং বসন্ত আগমনের ইতিহাস বা লোককথা ভিত্তিক মিথ ।

    সেই কোন প্রাগৈতিহাসিক কালে এক আসিরিয়ান অত্যাচারী রাজা ছিল 'যুহাক’ । কোন এক সময়ে যুহাক ইরান এবং বর্তমান কুর্দিস্তান দখল করে । অত্যাচারী শাসন চলতে থাকে ১০০০ বছর ধরে । তার অত্যাচারের ফলে কুর্দিস্তানে বসন্তের আগমনই হতোনা । তার শক্তি বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দিন দুই শক্ত সমর্থ যুবককে বলি দিয়ে তাঁদের ঘিলু এই রাজার কে খাদ্য হিসাবে দিতে হোত । কিন্তু যিনি এই কঠিন কাজের দায়িত্বে ছিলেন তিনি দু জন যুবকের বদলে কেবলমাত্র একজনকে হত্যা করে তার ঘিলুর সাথে ভেড়ার ঘিলু মিশিয়ে রাজা 'যুহাক’ কে দিতেন । বেঁচে যেত একজন যুবক প্রত্যহ । কেমন যেন আমাদের বক রাক্ষসের গল্পের সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছেনা ? ধীরে ধীরে জনতার মধ্যে অত্যাচারী রাজা 'যুহাক’ বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করল । অবশেষে 'কাওয়া’ পেশায় কর্মকার , যার ৬ ছেলে ইতিমধ্যে রাজা 'যুহাক’ এর এই অত্যচারে বলিপ্রদত্ত হয়েছে -বলি থেকে বেঁচে ফিরে আসা কুর্দ যুবকদের নিয়ে এক অকুতভয় সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলেন । কোন এক ঐতিহাসিক সময়ে ২০সে মার্চ রাত্তিরের অন্ধকারে সেই সৈন্যবাহিনী রাজা যুহাকের রাজপ্রাসাদ আক্রমণ করে , কাওয়া তার নিজের হাতে তৈরি এক বিশাল হাতুড়ীর ঘায়ে অত্যাচারী রাজা ’ যুহাক’ এর মস্তিষ্ক চূর্ণ করে । কাওয়া ২১সে মার্চ পাহাড়ে আগুণ লাগিয়ে দেন দেশবাসী কে খবর দিতে যে অত্যাচার সমাপ্ত । ঠিক তার পরের দিন থেকে 'বসন্ত' প্রায় হাজার বছরের রাজা 'যুহাক’ এর অত্যাচারী শাসনের অবশেষে ফিরে এলো কুর্দিস্তানে ।

    এই যে শক্তিশালী মিথ । হাতুড়ীর আঘাতে অত্যাচারীর মস্তিষ্ক চূর্ণ করে দেওয়ার প্রতীক । কুর্দ জাতীর স্বাতন্ত্রতা । প্রত্যেক দিন একজন সক্ষম যুবকের বলিদান স্বত্বেও অত্যাচারের বিরুদ্ধে হাজার বছর ধরে লড়াইয়ের ক্ষমতা । লোহা দিয়ে তৈরি জনজাতি । এই শক্তিশালী মিথ এবং তাকে ঘিরে উৎসবের পুন;উত্থান অদ্ভুত বুদ্ধিমত্তার সাথে অচালান প্রোথিত করে দিলেন কুর্দ জনতার হৃদয়ে । এই পরিপ্রেক্ষিতে 'নিও রোজ' তুর্কী জাতীয়তাবাদের চাপে বিচ্ছিন্ন কুর্দ জনতাকে একতাবদ্ধ করে দিল । পুনরায় কুর্দ জনজাতি রাষ্ট্রীয় দমন অগ্রাহ্য করে আতসবাজি পুড়িয়ে ,নেচে , গেয়ে , উপহার বিনিময় করে তাঁদের হাজারো বছরের এক প্রথা নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠান পালন করতে শুরু করে । একই সাথে নেমে আসে রাষ্ট্রীয় অত্যাচার ।

    ১৯৯০ সালের 'নিউ রোজ' অনুষ্ঠানে নুসাইবিন শহরে জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে ৩ জনের মৃত্যু দিয়ে শুরু হয় মৃত্যু মিছিল । ১৯৯১ সালের অনুষ্ঠানে যথারীতি নিষেধাজ্ঞা জারী হয়। ইস্তাম্বুল , আদানা , জিজরে , কুল্প ,হানি এবং দিয়ারবাকির শহরে নববর্ষ পালনের অনুষ্ঠানে তুরস্কের সরকার নির্বিচারে নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালালে ৩১ জন লোক প্রাণ হারান । ১৯৯২ সালে ২০শে মার্চ পুনরায় পুলিশের গুলি চালনায় ২ জন নিরস্ত্র ব্যক্তির মৃত্যু হলে মানুষ ক্ষেপে ওঠে ২১ সে মার্চ ৯৪ জন নিরস্ত্র জনতার মৃত্যু ঘটে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে । ১৯৯৩ সালেও যথারীতি তুরস্ক সরকারের এই কুর্দ অনুষ্ঠান নিসিদ্ধকরনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে । কিন্তু ততদিনে কুর্দ প্রভাবিত গ্রামাঞ্চলে পিকেকে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তাই এই দমন নেমে আসে শহরাঞ্চলে ।

    ১৯৯৩ সালের নিউ রোজ অনুষ্ঠান ভঙ্গ করার প্রাথমিক টার্গেট ছিল আদানা শহর । তুরস্কের পুলিশ অফিসাররা তার সাথে আক্রমণ নামিয়ে আনে বিভিন্ন শহরে । ১৯৯৩ সালে ২১সে মার্চ বসন্ত উৎসব গুঁড়িয়ে দিতে প্রথম ট্যাঙ্ক ব্যবহৃত হয় । বাড়ি ঘরে নির্বিচারে গোলা বর্ষণ চলতে থাকে । এই আক্রমণে এক ১৬ বছরের কিশোর এক ৬২ বছরের বৃদ্ধ সমেত ৬ জন প্রাণ হারান । তুরস্কের সরকার ২০০২ সাল পর্যন্ত এই আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন ,কিন্তু অনমনীয় কুর্দ 'রাও এই নিউ রোজ অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে থাকেন । ১৯৯৯ সালে আবদুল্লা অছালান কারাবন্দী হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক 'নিও রোজ' নববর্ষেরে সাথে সাথে অচালানের মুক্তির দাবীতে ম্যাসিভ কুর্দ জনতার সমাবেতে পরিবর্তিত হতে থাকে । ২০০০ সালে কমপক্ষে ১০ লাখের অধিক কুর্দ জনতা রাস্তায় নামে নিউ রোজ পালন করতে ।

    প্রত্যেক বছর ক্রমাগত বেড়ে চলা জনতার ঢল এবং বিপুল ঐক্যবদ্ধতার কাছে অবশেষে রাষ্ট্র পিছু হটে । প্রায় একশো বছরের অবশেষে কমপক্ষে ৩০০-৪০০ জনতার বলিদানে 'নিও রোজ' আজ এক সত্যিই দেখবার মত অনুষ্ঠান । পুনরায় এই বছর তুরস্কের সরকার 'নিউ রোজ’ অনুষ্ঠান নিসিদ্ধ করেছে কিন্তু সমুদ্রের উচ্ছ্বাস বালির বাঁধ দিয়ে ঠেকানোর মত উড়ে গেছে সরকারী নিষেধাজ্ঞা । নিউ রোজ ‘ কাওয়ার ‘ বিজয়ের উৎসব , অত্যাচারের অবসানে বসন্ত আগমনের উৎসব ।

    প্রতীক ,মিথ অনেক দেশেই অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সংগঠিত করতে ব্যবহৃত হয়েছে । আমাদের আনন্দমঠ , ভারতমাতার কল্পনা ,পোঙ্গলে বলি রাজার ফিরে আসার মিথ ইত্যাদি কিন্তু এক শক্তিশালী মিথ ব্যবহার করে এক মৃতপ্রায় প্রথাকে জাতী ধর্ম শ্রেণী নির্বিশেষে বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র জনজাতিকে উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ করার এত সফল দৃষ্টান্ত আধুনিক বিশ্বে অনুপস্থিত । অচালান সেই কারনেই কুর্দ জনতার হৃদয়ের নেতা । নিউ রোজ এক সত্যিই মনে রাখার মত বুদ্ধিদীপ্ত কাউন্টার হেজিমনি আইডিওলজি -রক্তাক্ত কিন্তু ঐক্যবদ্ধ অসাধারণ বসন্ত উৎসব ।

    সমস্ত কুর্দিস্তান জুড়ে , ইউরোপ জুড়ে এই বসন্তের উৎসব অশুভের পরাজয় এবং শুভর জয় ,পালিত হচ্ছে একই দিনে আমাদের হোলির সাথে সাথে — আপনাদের জন্য থাকলো এই উৎসবের কিছু চিত্র এবং ভিডিও । Here are the YPG & YPG fighters celebrating #Nowruz pic.twitter.com/iOXymhQ8HB
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০১৬ | ৩১৯২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:১৪56790
  • এখন হতেই পারে যে রাশিয়ান মিডিয়া ঠিক বলছে, আর, ওয়েস্টার্ন মিডিয়া বলছে না। বা, উল্টোটা।

    কিন্তু, বোথ সাইড শুনতে হবে তো।

    আর নিউজ, ডেটা সুবিধামতন ইন্টারপ্রেট তো করেই মানুষ। অবলীলায় বলে দেওয়া হয় ইউএসএ-তে ১৩% হোমলেস বলে দেওয়া হয়, এক্টু চাপ দিলেই জানা যায় ওটা প্রভার্টি রেট, বা পুওরদের মধ্যে কতজনের বাড়ি নেই, ইত্যাদি।

    অবশ্য, তক্কের সময় আমরা এমন করে থাকি।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.169 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:১৪56773
  • সাংহাইয়ের এক একটা পাড়ার জনসংখ্যা ভুটানের থেকে বেশী ।

    রোজাভা " খুব ছোট্ট পকেট কিন্তু নয় বর্তমানে ১৮৭০০ স্কয়ার কিলোমিটার এলাকা এবং প্রত্যহ বেড়ে যাচ্ছে ( ইসরায়েল 20,770 km²) রাফ এস্টিমেট প্রায় ৫০ লক্ষ লোক বর্তমানে রোজাভায় বাস করেন ( ইস্রায়েল ৮০ লক্ষ লোকের বাস ) সুতরাং প্রায় ইসরায়েলের সমান একটি অতি উর্বর ভূখণ্ড , কমিটেড জনতা ।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:১৯56775
  • মুশকিল হল, ইস্রায়েলের সমুদ্রে অ্যাকসেস আছে।
    কুর্দিস্তানের আপাতত যা বাউন্ডারি তাতে জলপথের সঙ্গে যগাযোগ নাই। ট্রেড করা মুশকিল হবে, মুশকিল বলতে অন্য নেশনের ওপর ডিপেন্ড করতে হবে। মানে একদম ইন্ডিপেন্ডেন্টলি আইসোলেটেড হয়ে থাকা তো মুশকিল।
  • dc | 132.164.126.17 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:১৯56774
  • আর এই বিনা ওয়েজে কাজ, বা টাকা ছাড়া ইকোনমি, এগুলো স্রেফ ইউটোপিয়ান চিন্তা। অনেকটা পার্পিচুয়াল মোশান মেশিনের মতো, বহু শতাব্দী ধরে অনেকে যা বানানোর চেষ্টা করেছিল। পেরেলম্যানের বইতে চমৎকার বর্ণনাও আছে।

    তাছাড়া আপনি যেসব আপেল গম তেল ইত্যাদির কথা লিখছেন সেসবই অতি পুরাতন। মডার্ন ইকনমি সার্ভিস সেক্টর নির্ভর, যদিও রোজাভা জায়গাটাতে এখনও কোন সার্ভিস সেক্টর গড়ে ওঠেনি। তবে মডেলটা এগোতে গেলে সার্ভিস সেক্টর আসবেই, তখন দেখা যাবে। অনলাইন সার্ভিসেস, অনলাইন ব্যাংকিং, অনলাইন রিটেলিং, স্টক এক্সচেঞ্জ, বর্ডারলেস মানি ফ্লো, হ্যান ত্যান এসব যখন শুরু হবে, যদি শুরু হয়, তখন মডেলটা কিভাবে এক্সপ্যান্ড করে সেটা দেখার। সেন্ট্রাল ব্যাংক তৈরি হতে হবে, কারেন্সি ফ্লোট করতে হবে, কর্পোরেট ট্যাক্স ল আসবে। আপেল, গম, তেল নিয়ে কমোডিটি ট্রেডিং শুরু হবে, অপশনস ট্রেডিং হবে। বহু পথ চলা বাকি।

    যাইহোক, দশ বছর পর যদি খবরে দেখি যে রোজাভা মডেল আরো অন্য কোন দেশে অ্যাডপ্ট করা হয়েছে তো বুঝব মডেলটা কিছুটা সফল হয়েছে।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:২২56776
  • বিনা ওয়েজ নয়, ওটা টেম্পোরারি। এখন একটা ক্রাইসিসের সময় লোকজন মিলেমিশে যেটা বেস্ট অ্যাপ্রোচ হয় তাই করছে। কিন্তু লং টার্মে নিজেদের কারেন্সি হবে, ওয়েজ হবে - ট্রেড করবে অন্য দেশের সঙ্গে।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:২৬56777
  • কম জনসংখ্যার দেশ থাকবে না কেন, অনেক আছে। কিন্তু তাদের সিস্টেম মোটামুটি এক। কথা হল এমন সিস্টেম দিয়ে একটু বড় জনসংখ্যার এলাকা কদ্দিন চালানো যায় - মডেলটি লার্জ স্কেলে সাস্টেইনেব্‌ল্‌ কি না - সেই টা।
    সেটা তো এখন বলা যাবে না, যদি মডেলটি টেঁকে তখন বোঝা যাবে।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.47 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:৩৩56791
  • হ্যা খুব গুরুতর অভিযোগ - কিন্তু কার ভাষ্য ? " Frank Urbancic, deputy counterterrorism coordinator at the State Department,"

    মান্ধাতা আমলের ( ৯০ দশকের ) সরকারী অভিযোগ গুলি বর্তমানে অপ্রাসঙ্গিক । যেমন ছত্রধর ধরা পড়ার পড়ে খবর প্রকাশিত হয় তার নাকি তিন কোটি টাকার ইন্সিউরান্স ছিল যার সত্যতা পরবর্তীতে অপ্রমাণিত হয় ।

    যাই হউক তার পরে অনেক জল গড়িয়েছে , অচালান পিকেকের কাজকর্মের বিষয়ে আত্ম সমালোচনা করে বই লিখেছেন ( পূর্বের কোন পোস্টে আছে ) তার মধ্যে অস্ত্রের সূত্র গ্রীস তাও বলা আছে । ২০০০ সালের সময় থেকে পিকেকে ১৮০ ডিগ্রী অবস্থান বদলেছে । পিকেকে'র বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তুরস্কের ৯০ এর দশকের গণহত্যার লিস্ট আমার এই পোস্টের আলোচ্য নয় । এই বিষয়ে আমি ইতিমধ্যে এই গুরুর ব্লগে লিখেছি আপনি প্রথম পাতায় পাবেন পড়ে দেখতে পারেন সেখানে আর্মেনিয়া ,আরাফত সকলের সাহায্যের উল্লেখ আছে । ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে গেলে পাইপগান দিয়ে যে হয়না আসা করি বাচ্চারাও সেইটি বোঝে ।

    কিন্তু " ওহো! পিকেকে, মানে যারা ইস্তানবুলে বাসে বোম মেরে নিরীহ মানুষ মারে।" এর সমর্থনে আপাতত কিছু পেলাম না । উলটে পেলাম তুরস্ক নিজেরই সাধারণ দেশবাসী হত্যা করছে । রাষ্ট্র দ্বারা কুর্দ জনতা গণহত্যা স্বতঃসিদ্ধ ?
  • hu | 140.160.143.221 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:৩৪56792
  • তারপর পশ্চিমে নারী স্বাধীনতা রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ লিখলে চেপে ধরার পর জানা যায় সেই কমেন্টটিকে মধ্যপ্রাচ্যের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের প্রেক্ষিতে রোজাভার মেয়ের স্বাধীনতার আলোতে পড়তে হবে। যেকোন বায়াসড লেখাই পড়তে ক্লান্তি লাগে। এই টইটাও স্কিপ করে যাচ্ছি তাই।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.47 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৩:৪৫56793
  • " অবলীলায় বলে দেওয়া হয় ইউএসএ-তে ১৩% হোমলেস বলে দেওয়া হয়, এক্টু চাপ দিলেই জানা যায় ওটা প্রভার্টি রেট, বা পুওরদের মধ্যে কতজনের বাড়ি নেই, ইত্যাদি।" সত্যই টাইম পাসই বটে - একটি বাক্য অর্ধ সমাপ্ত পড়ে করা মন্তব্য কে চেপে ধরা বলেনা হাস্যকর বলে । যিনি মন্তব্যটি করেছিলেন তার উত্তর আসার পরের পোস্ট টি বোধ হয় পড়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি ।

    ঠিকই পূর্বনির্ধারিত মতামত মাথায় নিয়ে তর্ক করার জন্য তর্ক করা আলোচনা নয় , বোরিং । তাই আমিও আপনাদের অনুমতি প্রার্থী
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.169 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৪:০৫56778
  • প্রথমত রোজাভা দেশ নয় , দেশ বিহীন কনসেপ্ট , রাষ্ট্র হীনতার কনসেপ্ট , অথবা একটি দেশের সীমানার মধ্যেই গণতান্ত্রিক কনফেডারেশন । রোজাভা সুযোগ থাকা স্বত্বেও সিরিয়ার থেকে আলাদা হয়ে কোন নূতন দেশ গঠন করেনি , কারেন্সি ও না এবং তত্ব অনুযায়ী এই মুহূর্তে করবেওনা । - অচালানের তত্ব " নতুন দেশ সেই আরেকটা রাষ্ট্র আর আবার রাষ্ট্রের চরিত্র " । রোজাভা একটা মডেল -যে দেশের সীমানার মধ্যেই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব অস্বীকার না করেই জনতার গণতান্ত্রিক কনফেডারেশন । এই রকম কনফেডারেশন একটা রাষ্ট্রের মধ্যে দু দশটাও থাকতে পারে - কাশ্মীর , নর্থ ইস্ট , বস্তার ,বালুচিস্তান ইত্যাদি । রাষ্ট্র থাকলো কিন্তু জনতার সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকার জনতার কাছেই থাকলো ।

    আর ইউটপিয়া ? সে তো বটেই অচালান যখন এই তত্ব ২০০৫ সালে প্রকাশ করেন তখন ওনার বিশ্বস্ত অনুগামীগণও গালে হাত দিয়ে তিন দিন বসে ছিলেন - কিন্তু সেই ইউটপিয়া এখন বাস্তব - এই শতাব্দীর সব থেকে সলিড বাস্তবায়িত করার মত তত্ব বিশেষত জাতী/ ধর্ম /ধর্মান্ধতা এবং গনতন্ত্র হীন মধ্যপ্রাচ্যে ।
  • lcm | 60.242.74.27 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৪:০৬56794
  • না, না, লিখুন না।
    কিন্তু, লোকজন একটু ভুলটুল ধরিয়ে দিলে উত্তেজিত হবেন না।
    আপনি ভুল বাদবাকী সবাই ঠিক, বা, আপনি ঠিক বাকী সবাই হাস্যকর - এমন তো নাও হতে পারে।

    কিন্তু লিং তক্কো হল এমনই - আপনি এক পিস আরটি-ডট-কম এর লিংক দেবেন, তো আর একজন বিপরীত বক্তব্যওয়ালা অন্য একটি লিংক দেবেন।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.91.47 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৪:০৯56795
  • Icm :- যার লেখা লিঙ্ক " পিকেক ক্রিমিনাল " কোট করছেন তিনি কে ?
    Abdulkadir Onay
    Lt. Col. Abdulkadir Onay is a visiting Turkish military fellow at The Washington Institute. Turkish military'র Lt. Col. Abdulkadir Onay হচ্ছে তাদের ঘোরতর শত্রু পিকেকে বিষয়ে রিলায়েবেল এবং কোটেবল সোর্স । সত্যই টাইম পাস !
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৪:১৮56779
  • দেশ নয়? সীমানা নেই? আছে, আছে, সব আছে।

    বিপদের দিনে সবাই সংঘবদ্ধ - সেটা তো ন্যাচারাল। কিন্তু যখ্ন যুদ্ধ নেই, কনফ্লিক্ট নেই - তখন এই কনসেপ্ট - নো কান্ট্রি, নো কারেন্সি, নো ওয়েজ, নো গভর্নিং বডি ... এ জিনিস কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটা দেখার।
  • Tim | 108.228.61.183 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৫:৩৪56780
  • একদম। পাড়ায় মস্তানরা উৎপাত করলে, ডাকাত পড়লে, সমাজবিরোধী কাজ বেড়ে গেলে জনতা এরকম নিজ দায়িত্বে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কয়েক বছর আগে দক্ষিণ কলকাতায় তোলাবাজির উৎপাত বেড়ে গেলে নাগরিক কমিটি বানিয়ে রোজ রাতে পাহারা দিয়ে জনতা সমাধান করে ফেলেছিলো। কিন্তু সেটা আপৎকালীন ইউটোপিয়া, যখন সবাই নিজস্ব স্বার্থ ভুলে মাঠে নেমে পড়তে বাধ্য হয়। অবস্থা স্বাভাবিক হলে আবার সেসব বন্ধ হয়ে যায়। এটা একটা উদাহরণ দিলাম রাষ্ট্রের ভূমিকা খর্ব করে জনগণের নিজেদের কাজ নিজেরা করে নেওয়ার, এরকম বহু উদাহরণ দেওয়া যায় কিন্তু সেগুলোর কোনটাই দীর্ঘস্থায়ী না, এমার্জেন্সির দাবি।
  • দ্রি | 101.219.236.222 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৬:২২56796
  • ইন্টারন্যাশানাল নার্কোটিক্‌স কন্ট্রোল স্ট্র্যাটেজির ২০১৩ র রিপোর্টে আছে (পেজ ৩০১),

    In recent
    years, many ethnic Kurdish traffickers have expanded operations to larger cities in Turkey and
    other countries in Europe. In February 2012, the U.S. Treasury Department sanctioned
    supporters of the Kurdistan Workers’ Party (PKK) who ran significant drug trafficking networks
    based in Moldova and Romania, and in July, an estimated 1700 Turkish police and soldiers
    participated in a major crackdown on drug trafficking by the PKK in southeast Turkey.
  • দ্রি | 173.44.113.129 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৬:৩০56797
  • ইন্টারন্যাশানাল নার্কোটিক্‌স কন্ট্রোল স্ট্র্যাটেজির পুরোনো রিপোর্টে (১৯৯৬) আছে (পেজ ৭৪),

    According to Turkish sources, smuggling narcotics through Turkey to Western Europe has become a major revenue source for the Kurdish Workers' Party (PKK), a terrorist organization. European law enforcement officials in six countries conducted raids on PKK linked Kurdish drug distribution networks.
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.46 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৬:৪১56781
  • আজ্ঞে না ঠিক পাড়ার শান্তি কমিটি গোছের নয় - ১৯৮৪ সাল থেকে মিলিশিয়া আছে । রোজাভায় ফুল স্কেল মিলিটারি ফর্মে গত ৫ বছর , তার সাথে পুলিশ মিলিশিয়া ফর্মে । আর তুরস্কে পিকেকে গেরিলা বাহিনী ১৯৮৪ সাল থেকে সাথে নগর ভিত্তিক মিলিশিয়া । এই নগর ভিত্তিক মিলিশিয়া জুলাই ২০১৫ সাল থেকে তুরস্কের ১৭ টি জেলায় এই ফরম্যাট কে রাষ্ট্রের আক্রমণ থেকে বাঁচাচ্ছে , পিকেকে গেরিলা প্রকাশ্যে এখনো পিকচারে নেই । তুরস্ক সরকার দাঁত ফোটাতে পারেনি এখনো । আর এই ফরম্যাট ভাঙতেও পারেনি । আচানক বিপদের দিনে ৫০০০০ যোদ্ধা জোগাড় হয়ে গেল , বিনা মজুরী লোকে কাজে লেগে পড়ল , নারী স্বাধীনতা , কমিউন ইত্যাদি আকাশ থেকে পড়ল ? মামলা তা অত সরল নয় তার পেছনে সুচিন্তিত রাজনীতি , তত্ব এবং দীর্ঘ কালীন প্রস্তুতি থাকতে হয় । এমনি হয়না । ইয়েমেন থেকে লিবিয়া , ইরাক থেকে সিরিয়ার বাকি অঞ্চল দেখলেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হয় ।

    না স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের অ্যাজেন্ডা নেই । লিখিত ভাবে এবং প্রকৃত অর্থেই নেই । কারন বিগত ৩০ বছর ধরে পিকেকে দেখে নিয়েছে আলাদা রাষ্ট্র জনতার বিন্দুমাত্র সমস্যার সমাধান করতে পারেনা । রাষ্ট্র রাষ্ট্রের মত থাকুন বিদেশনীতি ইত্যাদি নিয়ে কিন্তু জনতা জনতার মত থাকবে , ভাষা ,শিক্ষা , কমিউন , বিচার ,আত্মনির্ভরতা , সংস্কৃতির স্বাধীনতা নিয়ে আর এই ফরম্যাট কে প্রটেক্ট করার জন্যই মিলিশিয়া কিন্তু আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে নয় । আর হ্যা আমার মাটির নিচে তেল অথবা অরণ্য রাষ্ট্রের বাপের সম্পত্তি নয় জনতার সম্পত্তি যদি কিছু করতে হয় জনতার অনুমতিতেই করতে হবে , গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নির্দেশ হচ্ছেনা - বিরোধিতা করতে হলে হবে , গণতান্ত্রিক উপায়ে , ভোটের রাস্তায় সাথে মিলিশিয়া , দরকারে ফুলস্কেল আর্মি - যুদ্ধ হলে যুদ্ধ , শান্তি হলে শান্তি সহযোগিতা হলে সহযোগিতা -প্লেন & সিম্পল ।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৬:৪৮56782
  • ওহো! পিকেকে, মানে যারা ইস্তানবুলে বাসে বোম মেরে নিরীহ মানুষ মারে। তাই তো? নাকি অন্য কোনো গ্রুপ।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.46 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৭:০৩56783
  • Icm :- আপনি কি টাইম পাস করছেন ? আপনার কমেন্ট দেখে তাই মনে হচ্ছে । " ইস্তানবুলে বাসে বোম মেরে নিরীহ মানুষ মারে " এই বিষয়ে এই এই লেখাটির কমেন্ট সেকশনে তিনদিন পূর্বে মতামত এবং কমেন্ট হয়ে গেছে - সেইগুলি পরে এসে কমেন্ট করলে সুখী হই না হলে টাইম পাস করার জন্য অন্য অনেক উপায়ের মধ্যে দেখুন ক্রোনি কমিউনিজম নামক একটি টই দু চার দিন অক্সিজেনের অভাবে ধুকছে সেটার কিছু করা যায় কিনা !
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৭:০৮56784
  • হ্যাঁ, ধরেছেন ঠিক, টাইম পাস।
    কিন্তু আবার আগের পাতায় কোথায় খুঁজব, তার চেয়ে বলুন না সেই পিকেকে কি না।
  • lcm | 83.162.22.190 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৭:৫২56785
  • 2015 :
    - On 22 July, in Ceylanpinar (Turkey), two policemen were murdered after being shot in the head by PKK fighters in their sleep.

    - On 25 July, two Turkish soldiers were killed and four were wounded in a car bomb attack in the province of Diyarbakir in Turkey by PKK fighters.

    - On 30 July, a policeman and a civilian were killed in the town of Cinar by PKK guerilla according to the authoritie,[41] while three soldiers were killed in the attack of their convoy by PKK fighters in the province of Sirnak.

    - On 31 July, two policemen and two PKK fighters were killed by the PKK, in a PKK raid on a police station in Pozanti, Adana. In a separate incident, PKK rebels bombed a railway line in the province of Kars in the country's east, killing a worker,[44][45] while three PKK fighters were killed in Agri province.

    - On 1 August, two PKK fighters were killed and one civilian wounded in an attack in Çatak[47] while PKK fighters took 70 hostages for two hours in the Kars-Erzurum-Iğdır highway.

    - On 2 August, a suicide bomber attacked a military station in Doğubayazit, Ağrı Province. The attack resulted in the deaths of two Turkish soldiers and 31 injuries

    - On 5 August, a PKK bombing left one civilian dead in Cizre, Şırnak Province. Another bombing, this time in Bitlis, caused no casualties or damage.

    - On 7 August, PKK attacks left eight dead during numerous attacks.

    - On 10 August, 9 people were killed in a series of PKK attacks in Turkey. In İstanbul, a car bomb targeted a police station, injuring ten police officers, one police officer and two attackers were killed in subsequent clashes.

    - On 13 August, three people were killed in PKK attacks, a gendarmerie sergeant was killed by a PKK landmine in Bingöl Province.

    - On 19 August, 4 Turkish police officers were killed by a roadside bomb

    - On 3 September, PKK killed 4 Turkish police officers in Mardin province

    - On 8 September, PKK forces ambushed a Police minibus killing 14 officers.

    - On 13 December, PKK militants launched 18 different explosive attacks on a police station in Dargeçit consisting of anti-armor RPG rockets and grenades injuring 4 police officers and 5 civilians just hours after counter-insurgency operation in the same town killed 11 militants.

    - On 18 December, the Turkish minister of the interior Efkan Ala declared over 3,000 PKK militant had been neutralized, 10 tons of explosives had been seized, and 2,240 weapons had been captured since the collapse of the ceasefire earlier that year in late July
    =====

    2016:

    - On 14 January, a car bomb targeting a police station and police housing unit adjacent to the station killed 6 people and injured 40 in Çınar, Diyarbakır, southeastern Turkey. Amongst the dead where relatives of police including a family consisting of a wife, a 5 year old and an infant.

    ...
    ...
    ...
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.1 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৮:০৩56786
  • আপনি পাতা নম্বর ২ পড়ে আসুন আর আপনার লিস্টে ৪০ জন সাধারণ নাগরিক পেলুম না যা পেলুম পুলিশ এবং আর্মি - যুদ্ধ এক তরফা হয়না । সেই কারনে পাতা নম্বর ২ পড়ে আসুন ।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.1 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৮:০৯56787
  • এইটা BBC " The Kurdish militant group TAK says it carried out Sunday's deadly attack in the Turkish capital, Ankara.
    In an online statement it said the attack, which killed 37 people, was in revenge for military operations in the mainly Kurdish south-east."

    পিকেকে এবং TAK যে এক নয় এই বিষয়ে অবগত হলে আর টাইম পাস করতে হয়না । পিকেকে সিভিলিয়ান অ্যাটাক করেনা বিগত ১০ বছর । যেনে রাখা ভালো
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.116.1 (*) | ৩০ মার্চ ২০১৬ ০৮:৩১56788
  • এইটা RT " Over 160 civilians, incl. unborn child, killed in Turkish crackdown on Kurds – report https://www.rt.com/news/328484-turkey-civilians-kurds-killed/#.VvuOYBK7f8E.twitter " টাইম পাস করতে হলে বলবেন দু চারটে আরও দিয়ে দেবনে ।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.103.127 (*) | ৩১ মার্চ ২০১৬ ০১:২৪56803
  • ঠিকই তো "I Have a Dream" সকলের থাকবে এই স্বপ্নহীন জগতে আশা করাই বৃথা !
  • SS | 160.148.14.3 (*) | ৩১ মার্চ ২০১৬ ০২:০০56804
  • নাহ, অনেকের অনেক কিছু নিয়েই স্বপ্ন আছে, থাকবে। কিন্তু সিরিয়াস অলোচনার মধ্যে কাউকে মুর্খ, কাউকে অজ্ঞ, কাউকে মিথ্যাবাদী ইত্যাদি বললে সেটা টাইম পাস বলেই মনে হয়। মার্টিন লুথার কিং এর ঐ একটা লাইনই বোধ হয় আপনার জানা আছে। ওনার স্পি্চ্গুলো শুনে দেখাতে পারেন একবার। কিভাবে সিরিয়াস কথাবার্তা বলতে হয় তার একটা আইডিয়া পাবেন।
  • lcm | 60.242.74.27 (*) | ৩১ মার্চ ২০১৬ ০২:৪৮56805
  • কেন, ঐ যে ইউনিভার্সিটি অফ্‌ মেরিল্যান্ডের রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট ও তো বলেছে - TAK is special urban terrorism wing of the PKK
    শহরাঞ্চলের দায়িত্ব টাক-কে দিয়েছে।
  • lcm | 60.242.74.27 (*) | ৩১ মার্চ ২০১৬ ০২:৫৪56806
  • মার্চ মাসের আংকারা বম্বিং নিয়ে - -

    Turkish jets attack Kurds as Ankara bomb blamed on PKK

    Turkey has scrambled fighter jets to attack Kurdish rebel targets, as security officials blamed the outlawed Kurdistan Workers party (PKK) for a car bombing that killed 37 people in Ankara on Sunday.
    ....
    Officials told Reuters that evidence had been obtained suggesting that one of the bombers was a woman who joined the PKK in 2013.
    ....
    ....
    http://www.theguardian.com/world/2016/mar/14/turkey-ankara-attack-one-bombers-was-pkk-member-officials-say
  • lcm | 60.242.74.27 (*) | ৩১ মার্চ ২০১৬ ০৩:০১56807
  • পিকেকে বাস বম্বিং --- এসব নিয়ে মনগড়া কিছু বলি নি, এমন হেডলাইন চোখে পড়েছে - তাই ...
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.76.177 (*) | ৩১ মার্চ ২০১৬ ০৩:০৯56798
  • BinGO পিকেকের ৪০ বছর ধরে যুদ্ধ চালানোর অর্থস্রোতের উৎস পাওয়া গেছে

    এইরকম পাওয়া গিয়েছিল ঃ-
    "There is no doubt that Saddam Hussein now has weapons of mass destruction. There is no doubt he is amassing them to use against our friends…and against us." —Cheney 26.08 .2002

    14 বছর অতিক্রান্ত, weapons of mass destruction পাওয়া গেছে ? অথচ ইরাক সমেত পুরো মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে গেছে এই মিথ্যা তথ্যর ওপর ভর করে। তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রহণ করার জন্য ভগবান আমাদের মস্তিষ্ক দিয়েছেন যাতে অখাদ্য কুখাদ্য তথ্যে মস্তিষ্ক ভারাক্রান্ত না হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন