এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হৃদয়হীন

    স্বাতী লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৯৪৪ বার পঠিত
  • টনটনে একটা ব্যথায় ঘুম ভেঙে গেলো নাটার। গত পরশু রেললাইনের পাশে ঝুপড়িতে পেটো বাঁধতে গিয়ে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল আর তর্জনী উড়ে গ্যাছে। বছর দশেক বয়স থেকে পেটের ধান্ধায় হাত সাফাই, পকেটমারি, পেটো বাঁধা চালাচ্ছে। এই তেরো বছর বয়েসে প্রথম বিপদ। শালা বেশি টাইট করে বাঁধতে গিয়ে এই লাফড়া, তাও ভালো, কমের উপর দিয়ে গেছে। সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার গুলো শালা হেব্বি হারামী। কত প্রশ্ন, নাকি পুলিশ ডাকবে। আরে বাল পেটো না বাঁধলে খেতে দিবি তোরা? কোনো মতে পরিস্কার করে ওষুধ পাতি দিয়ে ব্যান্ডেজ মেরেই খালাস। বলেছে দিন তিনেক বাদে আবার পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেবে। যে কটা পয়সা ছিলো ঘরে প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। ল্যাঙড়া মদন আর পেটো বাঁধতে ডাকবেনা। খাবে কী এই চিন্তায় দু দিন ধরে অবশ হয়ে আছে। কোনো মতে আজ রাতে ঘুম এসেছিলো তার মধ্যে এই যন্ত্রণা। পাইপের ভিতরের আস্তানা থেকে বেরিয়ে স্ট্রিট লাইটের তলায় আলতো করে ব্যান্ডেজটা খুলতে শুরু করলো। ব্যথায় হাতের তালু থিরথির করে কাঁপছে। ব্যান্ডেজ খোলা হতে বিষম চমকে উঠলো। কাটা আঙুলের জায়গা দিয়ে সরু সরু টিকটিকির ল্যাজের মত কি বেরিয়ে আছে। ক্ষত নেই। ওই টিকটিকি ল্যাজের মত জায়গাতেই টনটনে ব্যথা।

    ছোট থেকে বাড় নেই বলে লোকমুখে বিশ্বনাথ মল্লিক এখন নাটা। জন্মের পরেই মা টা মরে গেলো। বাপ টা মোদো মাতাল, রোজ চোলাই খেয়ে বাওয়াল করতো। তার বছর ছয়েক বয়েসেই রিকশা শুদ্ধু লরীর তলায় পড়ে ফৌত। ঝুপড়ি থেকে দিলো তাড়িয়ে। তারপর থেকেই এই হোটেলে বাসন মেজে, কাগজ কুড়িয়ে দিন কাটতো। রাতে কর্পোরেশনের পড়ে থাকা পাইপ। শীতে আর বর্ষায় বড় কষ্ট। তখন কোনো ভবঘুরের গায়ের কাঁথা বা পলিথিনের চাদর চুরি করে আনা। দশ বছর থেকে পাড়ার মস্তান মদনের চোখে পড়ে একটু হিল্লে হয়েছে। ল্যাঙড়া মদন তাদের মত ছেলে পুলেদের খোঁচড়ের কাজ করায়, টুকটাক ওয়াগনের মাল হাপিস করায় আর রাতে পেটো বাঁধায়। চোখের সামনে গত বছর তারই বয়েসি হেবোকে ওয়াগনের তলায় থেঁতলে যেতে দেখেছিলো। সবে ঝাড়া মালের থলিটা নীচে দাঁড়ানো নাটার দিকে ছুড়ে ফেলেছে এমন সময় মালগাড়ি টা চলতে শুরু করলো। আধ খোলা দরজা ধরে ঝুলে নামতে গিয়ে টাল সামলাতে না পেরে হেবো ঢুকে গেলো চাকার তলায়। দাঁড়িয়ে খানিক দেখে থ্যাঁতলানো লাশটার দিকে পিচিক করে একদলা থুতু ফেলে শিষ দিয়ে গান গাইতে গাইতে মদনের সামনে থলি টা ফেলে দিয়ে হাত বাড়িয়ে দুজনের পাওনা বুঝে নিলো। হেবোর কী হয়েছে জানতে চাওয়ায় নির্বিকার মুখে বলে দিলো কাটা পড়েছে। মদন সেদিন তাকে বলেছিলো তোর তো দিল বলে কিছু নেইরে নাটা। শাব্বাশ। অনেক দূর যাবি। আমাদের এই ধান্ধায় দিল দরকার নেই, দরকার জিগর।

    তা জিগর আছে বটে নাটার। সেই তেরোতে আঙুল খুইয়ে একটু কাঁদেনি। ব্যথায় নীল হয়েও দাঁতে দাঁত চেপে বসে ছিলো। তেরোতেই বুঝলো তার অঙ্গ খোয়া গেলে গজায়। টিকটিকির ল্যাজ সাত দিনে গোটা আঙুল হয়ে গেছিলো। আসলে তেরোতে ঠিক পাক্কা বোঝেনি বুঝলো সতেরোতে। এক অ্যাকসিডেন্ট এ ডান পা হাঁটুর নীচ থেকে খোয়া গ্যালো, সাত দিনে আবার গোটা পা। বস্তী পালটে ফেলতে হয়েছিলো, এসব আজব কাণ্ড দেখলে বস্তির লোক রাক্ষস বা ডাইন বলে পিটিয়ে মেরে দেবে।

    আঁধারের লোক আঁধার খুঁজেই নেয়। মাইলটাক দূরের আরেক বস্তীতে এসেও সেই পকেটমারি, চুরিচামারি করেই কাটছিলো। এমন সময় দলের এক ছেলেকে নিয়ে সরকারী হাসপাতালে গিয়ে বসেছিলো, মাথায় স্টিচ দেওয়াতে। পিচকু তখন ফাটা মাথা একটা কাপড় দিয়ে চেপে ধরে বসে গুঙিয়ে গুঙিয়ে কাঁদছে। বিরক্ত মুখে একটা বিড়ি ধরাতে বাইরে এসে দুই দালালের কথা কানে এলো। 'বুঝলি একটা কিডনি। একটা ফ্রেশ কিডনি জোগার করতে পারলে পাঁচ লাখ দেবে বলছে। পার্টির থেকে আর পেশেণ্টের থেকে ১০-১০ ২০% লগগা।' কিন্তু ফ্রেশ কিডনি পাবো কোথায়? কী মনে হতে নাটা এগিয়ে গেলো। এত্ত টাকা? দেখাই যাক না। শুনেছে মানুষ একটা কিডনিতেও বহাল তবিয়তে বাঁচে। আর তার তো...

    সেই শুরু, এই নিয়ে সব মিলিয়ে বার ২০ কিডনি দিয়েছে, বার সাতেক চোখও। বড় হাসপাতালের এক সার্জেনের সাথে চুক্তি আছে। কেস আসলেই তাকে রেফার করে দ্যায়। এখন সে পার্টি বুঝে দর হাঁকে। দশ, পনেরো, বিশ যেমন ইচ্ছা। শুধু ২০% ডাক্তারের কমিশন। কিডনি, চোখ বেচে কোটিপতি। এক বার বিয়ে করেছিলো। শালি বহুত নখরাবাজ। নাকি প্রেম চাই, এমনি তো কুকুরেও লাগায়। কেলিয়ে সুখ মেলেনি, দিয়েছে দুবাইতে বেচে। ভালো পয়সা ছিলো। ওই পয়সায় দশটা বউ মেলে। গরীবের সুন্দরী মেয়ে ছিলো। দাদাদের বোঝা। কেউ খোঁজ ও নিতে আসেনি। চুলের মুঠি ধরে দুবাইয়ের দালালের গাড়িতে তুলে দেওয়ার সময় চিৎকার করে বলেছিলো বউটা, ' নিজের বউকে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছিস, কেমন মরদ তুই? তোর দিল না পাত্থর?' খ্যাক খ্যাক করে হেসেছিলো নাটা - দিল! উও ক্যা চিজ হ্যায় রে? তারপর বিয়ের নাম করে বহু মেয়ে ফুসলেছে, তার আগে অবশ্য নিজের ক্ষিদে মিটিয়ে নিয়েছে। ফালতু বিয়েশাদির ঝামেলায় কে যায়।

    আজ হাসপাতালে ডাক্তার ডেকে পাঠিয়েছে, কি নাকি খুব ভারিভরকম কথা আছে। ডাক্তার জানে তার এই অঙ্গ গজানোর ব্যাপার টা। খুব অবাক কাণ্ড হলেও ফায়দা দেখে কিছু আর বলেনি। দেখা যাক কী কথা। এবার শালা মালদার পার্টি হলে ৫০ লাখ হাঁকবে ঠিক করেছে। কে জানে ডাক্তার পার্টির থেকে কত খেঁচে। সেই বা খিঁচবেনা কেন?
    'এই যে বিশ্বনাথ, এসো এসো।' আহ্লাদ দেখে অবাক হলো নাটা। এত পিরিত কিসের রে বাবা? ডাক্তারের গল্প শুনে তো নাটা হাঁ। পাঁচ কোটি টাকা দেবে নাকি! দিল চাই। আরে দিল কি মোয়া নাকি। একপিস, সেও খুলে দিয়ে দিলে সে বাঁচবে কী করে। পাগলাচোদা হয়ে গেলো নাকি ডাক্তার? খুব যত্ন করে ডাক্তার এবার বুঝিয়ে দিলো নাটাকে, মেডিক্যাল সাইন্সে নাকি দিলের কাজ যন্ত্রপাতি দিয়ে চালু রাখা যায়। কিসব ওপেন হার্ট সার্জারি, কার্ডিওপালমোনারি বাইপাস বাল ছাল বলছিলো। একজনকে দেখালো, যে ব্যাটা নাকি মরে গেছে কিন্তু মাল খেঁচার জন্য অমন যন্ত্রপাতি দিয়ে বেঁচে আছে দেখাচ্ছে। একটা টিভির মত জায়গায় কত গুলো দাগ ওঠাপড়া করছে।

    এই ডাক্তারটার হাতে যাদু আছে, যে কটা কিডনির পেশেন্ট দেখেছে নাটা, একটাও টসকায়নি। চলো রিস্ক নেওয়াই যাক। এ তো সত্যি তার অঙ্গ গজায়। দিল ই বা গজাবে না কেন? একবার তো নয় বহুবার নিজেই।দেখেছে। এখন এই দাঁও টা মারতে পারলে বছরে একবার করে দিল বেচে দেবে খুব দরকার লাগলে। বাড়ি গাড়ি সব হয়েছে। এবার বিদেশ যাবে। সেখানে নাকি হুরিপরী মেলে মাল খরচা করলেই।

    অপারেশন সাকসেসফুল। নাটার তরতাজা হার্ট রিপ্লেস করে হাত ধুয়ে চেম্বারে এসে বসলেন ডাক্তার ব্যানার্জ্জী। এত দিন কিডনি তে কামাই কম ছিলো। এর মোটে দিন সাতেকেই কিডনি গজিয়ে ফুল ফাংশনাল হয়ে যায়। এরকম বিরল কেস কোনো জার্নাল বা তামাম মেডিক্যাল হিস্ট্রিতে নেই। নাটা হলোগে তার সোনার ডিম পাড়া মুরগী। প্রতি কেসে পাঁচ দশ লাখ পকেটে আসে। এবার তো কোটিতে। হার্টে সাকসেস ফুল হলে আর দেখে কে। আর্টিফিশিয়াল সিস্টেমে এখন নাটার হার্ট ফাংশন চলছে। পুরো ঘটনা জানে একমাত্র দক্ষিণ ভারতীয় নার্স স্বাথী, তার খুব বিশ্বস্ত। দিন সাতেক থাকবে আইসিইউ তে। তার স্পেশাল কেস হিসেবে, খুব কনফিডেনসিয়াল।

    সাত দিন হয়ে গেছে, নাটার হার্ট গজানোর কোনো লক্ষণ নেই। বেডসোর দেখা দিয়েছে। একি কেস! এরকম তো হওয়ার নয়। প্রতিবার দিন তিনেকের ভিতরেই লিম্ব তৈরি হতে থাকে। এবারে কী হলো? আরো দিন দুয়েক দেখার পর ভাবতে ভাবতে চেম্বারে এলেন - পেশেন্ট পার্টির থেকে নেওয়া টাকা
    টা নাটা কে দিতে হবে না, তারই রইলো। পিচিক করে একদলা থুতু ফেলে এসে চেয়ারে বসে ড্রয়ার থেকে টাকার বাণ্ডিল টা ব্যাগে ভরতে ভরতে নার্স কে নাটার বডি থেকে আর্টিফিসিয়াল সিস্টেমটা খুলে নিতে নির্দেশ দিলেন ডাক্তার ব্যানার্জ্জী। পর্দার আড়াল থেকে নার্স স্বাথী সরে গেলো, অস্ফুটে বলতে বলতে - হার্টলেস ক্রিয়েচার!

    ওদিকে তখন নাটার হৃদয়ের জায়গায় গজিয়ে উঠেছে কঠিন পাথরের একটা আস্তরণ..
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৯৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 4512.139.9001212.174 (*) | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:৫৬49780
  • বাপরে - দারুণ লেখেন -
  • Biplob Rahman | 340112.231.236712.110 (*) | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৭49781
  • সেরাম
  • শঙ্খ | 2345.110.9005612.13 (*) | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:০৬49782
  • বাহ বাহ বাহ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন