এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • প্রথম আলোর চরণধ্বনি - ২

    সৈকত ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ মার্চ ২০১৯ | ৯১৭ বার পঠিত
  • বছরের এই সময় বরফের চাদর একটু একটু করে সরে গিয়ে তলা থেকে এতদিন সূর্যালোক-বঞ্চিত পীতাভ ঘাস গুল্মের দল মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। এই এত মাসের আলোকতৃষ্ণা নিবৃত করে আবার একটু একটু করে চিরন্তন সবুজ রঙ ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় রত হয়ে ওঠে ওরা। অবশ্য সেই সঙ্গে গবাদি পশুদের খাদ্যে পরিণত হওয়ার মত আশঙ্কাও যে তাদের বুক জুড়ে বসে, তাও সত্যি। কিন্তু আলোর মুখ দেখতে হলে এসব ভয়কে তুচ্ছ মনে করে এগিয়ে চলার নামই বোধহয় জীবন।
    ঠিক যেমন এই অঞ্চলের অধিবাসীরা। শীতের চাদরের তলাতেও তাদের জীবন রুদ্ধ করে রাখার উপায় নেই। পালিত পশুদের নিয়ে তাদের জীবন ছিল যাযাবর। তবে এক অঞ্চলের ঘাস পাতা শেষ হয়ে গেলে অন্য অঞ্চলে গিয়ে জীবন ধারণ শুরু করা - এই ভবঘুরে জীবনের ইতি ঘটেছে আজ প্রায় শখানেক বছর আগে। লক্ষ লক্ষ বছর আগে সুনীল জলধি থেকে যেমন ওই দক্ষিণের সুবিশাল হিমালয় পর্বতসহ এই সুবিশাল মালভূমি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল, সেরকমই তিব্বতের এই ইয়ারলুং অঞ্চলের এই অধিবাসীরা বাকি জনজাতিদের উপর কর্তৃত্ব দেখিয়ে এই সমগ্র 'পো' মালভূমির নেতা হয়ে উঠতে পেরেছে। অবশ্য অনেকেই এই সাফল্যের জন্য ঈশ্বরপ্রেরিত 'চানপো' রাজবংশের দৈবশক্তিকেই কারণ হিসাবে দেখেন।
    বরফশীতল জল নিয়ে পূবদিকে ঝর ঝর বয়ে চলা সাংপো নদীর তীরে একটি চ্যাটালো পাথরে গা এলিয়ে বসেছিল রাজকুমার 'ঠিদে স্রোংচান'। তার বয়স বারো তের। মেষের লোম থেকে তৈরী শীতবস্ত্র তার গায়ে। হাতে পায়ে কিছু প্রস্তর অলঙ্কার। এই অল্প বয়সেই তার চেহারাতে যুবাপুরুষের মত পেশীবহুলতা দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু তার হৃদয়ের কোমলতার ছাপ মুখশ্রীতে প্রকট।
    কুলকুল করে বয়ে চলা সাংপো নদীর স্রোতের দিকে এক দৃষ্টে চেয়ে বসেছিল ঠিদে স্রোংচান। যদি তার দৃষ্টি ছিল জলের দিকে কিন্তু মন ছিল অন্য কোথাও, অন্য কোনখানে - হয়ত দক্ষিণের ওই গগনস্পর্শী হিমালয় পর্বত পার হয়ে ছোট্ট রাজ্য কাঠমান্ডুর রূপবতী বিদুষী রাজকুমারী ভৃকুতির কাছে। রাজকুমারীর চিত্র সে দেখেছিল কিছুদিন আগে। আরও দক্ষিণে যে দেশ, ভারতবর্ষ, সেই দেশ থেকে পদব্রজে আসা এক চিত্রশিল্পীর ঝুলিতে ছিল তাঁর নিজের আঁকা বিবিধ ছবি। সেই ছবির মধ্যেই একখানি ছবি ছিল রাজকুমারী ভৃকুতির। এখানে আসার আগে কিছু দিন কাঠমান্ডুতে ছিলেন শিল্পী। তখনই রাজকুমারী ধরা দিয়েছিলেন তাঁর চিত্রপটে। ইয়ারলুং-এ এসে সেই শিল্পী কিছুদিন ছিলেন রাজা 'নাম্রি স্রোঙচান'এর আতিথ্যে। তারপর আবার পায়ে হেঁটে বের হয়ে পড়েছেন আবার কোন নতুন দেশের উদ্দেশ্যে কে জানে! রাজকুমারীর ছবি ছাড়াও কিশোর ঠিদে স্রোংচানকে সেই শিল্পীর ঝুলির মধ্যের আর একটা জিনিস আকৃষ্ট করেছিল। দুটি কাঠের চওড়া টুকরোর মধ্যে সুতো দিয়ে গাঁথা শুকনো পাতার গায়ে কালি দিয়ে বিভিন্ন আঁকিবুঁকি। শিল্পী বলেছিলেন, একে বলে গ্রন্থ। আর ওই সমস্ত আঁকিবুঁকি নাকি রোজকার বলা কথাবার্তার লিখিত রূপ। ওর এক একটি অংশকে বর্ণ বলে। সেই বর্ণ মিলে গঠন করে শব্দ। আর এমন অনেক শব্দ মিলে নাকি গড়ে ওঠে সাহিত্য। ওই শিল্পীর ঝুলির মধ্যে এমন নাকি বেশ কয়েকখানি সাহিত্য ছিল। ঠিদে স্রোংচানের এসব কথা শুনে স্বপ্নের মত লেগেছিল। ওদের ভাষা শুধু কথ্য। কোন লিপি নেই। তাই সেই সব 'সাহিত্য'র রসাস্বাদন করা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু সে মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে যে রাজা হলে আগে সে তাদের এই ভাষার জন্যও ওইরকম লিপি তৈরী করবে। তাহলেই তাদের এই রোজকার জীবনযাত্রার কথাকে ধরে রাখা যাবে অমন কাঠের টুকরো দিয়ে বাঁধান গ্রন্থের আকারে।

    ঠিদা স্রোংচান যখন এসব ভাবছে, তখন বর্তমান হিসাবে সময়কাল সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগ। অনুমান করা যায় ৬১৮ খ্রিষ্টাব্দের আশেপাশে। যদিও নির্ভুল ভাবে কালনির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। লিপি না থাকার জন্য তিব্বতের প্রাচীনতর ইতিহাস অনিশ্চয়তার কুয়াশার আড়ালে অনেকটাই ঢাকা। পরবর্তীকালে যা লিখিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে যা কিছু জানা যায়। সেই ইতিহাসে এসে মিশেছে ধর্মীয় প্রভাব, গল্পকথা, কিংবদন্তী। ফলে আসল ইতিহাস ঢাকা পড়ে আছে সেই কুহেলিকাময় রহস্যজালে। এই রচনাতে তাই যেখানে ইতিহাস অন্ধকারে রয়ে গেছে, সেখানে গল্পকারের স্বাধীনতাটুকু নিতেই হয়েছে।
    অনেক অনেক বছর আগে কোশলরাজ প্রসেনজিতের এক বংশধর হিমালয় পার হয়ে এসে পৌঁছন তিব্বতের মালভূমিতে। পথচলার ক্লান্তিতে সারারাত এক পাহাড়ের গুহায় নিদ্রাযাপনের পর সূর্যোদয়ের সাথে তিনি গুহা ছেড়ে বের হয়ে এসে তিব্বতের রুক্ষ শ্যামলতাহীন পাহাড়ের নীচে কিছু মানুষকে দেখতে পান। তারা ছিল তিব্বতের প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা বোন ধর্মের পুরোহিতদের একটি দল। তাঁকে পাহাড় থেকে নেমে আসতে দেখে তারা আশ্চর্য হয়। বোধহয় তাঁর রাজকীয় চেহারা দেখে একটু সসম্মানেই প্রশ্ন করে, আপনি কোথা থেকে আসছেন? সে ভাষার অর্থ বোধগম্য নাহলেও এই ব্যক্তি অনুমান করেন যে এরা তাঁর পরিচয় জানতে চাইছে। তিনি হাত উপরের দিকে তুলে সুদূর দক্ষিণের ভারতবর্ষের দিকে নির্দেশ করেন। সংস্কারাচ্ছন্ন ধার্মিক ব্যক্তিরা বোঝেন যে তিনি আকাশ থেকে নেমে এসেছেন। আর যেহেতু তাঁর অতিব্বতিয় মুখ, তারা সহজেই তাকে স্বর্গ থেকে নেমে আসা কোনও দেবদূত ভেবে নেয়। সমস্ত অধিবাসীকে ডেকে ঘোষণা করে দেয় যে ঈশ্বর প্রেরিত এই মানুষই এখন থেকে তাদের দলপতি। তিব্বতের সেই প্রথম রাজার নাম ঞাঠি চানপো।
    এই চানপো বংশ ছাড়াও তিব্বতে প্রায় বারো তেরোটি আরও ছোট ছোট গোষ্ঠী ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে চানপো বংশী প্রাধান্য লাভ করে। এর পিছনে অবশ্য ধর্মীয় কারণ ছিল বেশ কিছুটা। কিন্তু সেসব ধীরে ধীরে জানব আমরা।

    ঘোড়ার ছটফটানির আওয়াজ রাজকুমার ঠিদে স্রোংচানের ভাবনার জাল ছিন্ন করে বাস্তবে ফিরিয়ে আনে। সে যেখানে বসেছিল, তার কিছুটা পিছনে একটি পাথরের গায়ে বেঁধে রাখা ছিল ঘোড়াটি। এটি ওর ঘোড়া। এতদিনে সে তার নিজের ঘোড়া পেয়েছে। তাই তার পিঠে চড়ে বের হয়ে পড়েছে নিজের খুশীতে। নিজের ভাবনায় তন্ময় হয়ে থাকলেও ঘোড়ার ছটফটানির শব্দের মাঝে প্রায় নিঃসাড়ে চলা মানুষের পদক্ষেপের শব্দ তার কর্ণকুহরকে ফাঁকি দিতে পারেনি। রাজবংশে জন্ম হওয়ার মূল সমস্যাই হল এই সদা সন্ত্রস্ত হয়ে থাকা। ক্ষমতা দখলের জন্য কে যে কোথায় ওঁত পেতে আছে, তা কেউ বলতে পারেনা। যদিও রাজা নাম্রি স্রোংচানের মত উদার প্রজাদরদী জ্ঞানপিপাসু রাজা প্রজাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু নিজের পরিবারের মধ্যেই যে বিশ্বাসঘাতকতার বিষ লুকিয়ে থাকে তা তো এই পৃথিবীর ইতিহাস প্রমাণ করেছে বারে বারে।

    ঠিদে স্রোংচান কোমরের তরোয়ালটা মুঠিতে চেপে সতর্ক হয়ে বসল। এই অল্প বয়সেই তার অস্ত্রচালনার পারদর্শিতার কথা সর্বজনবিদিত। শুধু তাই নয়, বাবার মতই প্রজাদের কাছে ভালবাসার পাত্র হয়ে উঠেছে সে। তাই সে রাজবাড়ির বাইরে বিনা রক্ষী সহযোগেই বের হয়ে পড়ে। যেমন আজ। ভোরের আলো ফুটতেই তার সদ্যপ্রাপ্ত ঘোড়ার পিঠে চেপে চলে এসেছে এই সাংপোর ধারে। তার নিজের, একান্ত নিজের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর জন্য।

    পিছনে পায়ের শব্দটা ক্ষিপ্র হয়ে তার দিকে এগিয়ে আসতেই ঠিদে স্রোংচেন অসি কোষমুক্ত করে পলকের মধ্যে লাফিয়ে পড়ল পিছনে ধেয়ে আসা ব্যক্তির উপর।
    লোকটি আশা করেনি রাজকুমার তার পায়ের আওয়াজ টের পেয়ে তৈরী হয়ে ছিল। অতর্কিত আক্রমণে হাত থেকে তরোয়াল ছিটকে গিয়ে পড়েছে। ঠিদে স্রোংচেনের ধাক্কায় সে ভূপতিত। আর তার উপর চেপে বসে আছে ঠিদে স্রোংচেন। তার হাতের তরোয়ালটি চেপে বসেছে লোকটির গলায়। রাজকুমারের মুখের একটু আগের প্রশান্তভাব চলে গিয়ে সেই জায়গায় ফুটে উঠেছে হিংস্রতা। এই হিংস্রতাই বোধহয় একজন রাজপুরুষকে টিকিয়ে রাখে শত প্রতিকূলতার মধ্যে।
    প্রাথমিক রাগে সে লোকটিকে হত্যা করতেই উদ্যত হয়েছিল। কিন্তু দ্রুত নিজেকে সংযত করে তরোয়ালের হাতল দিয়ে সজোরে আঘাত করল লোকটির মাথায়। রাজকুমার লোকটির উপর যেভাবে চেপে বসে ছিল যে তার আর নড়াচড়া করার ক্ষমতা ছিল না। ফলে মাথায় আঘাত খেয়ে বিনা প্রতিরোধে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ল। এতক্ষণে লোকটিকে ভাল করে দেখল ঠিদে স্রোংচেন। দাঁড়ি গোঁফহীন মুখমণ্ডল। আগে কোথাও দেখেছে কি না মনে করতে পারল না। কিন্তু কে বা কারা ওকে এখানে পাঠাল? ঠিদে স্রোংচেন যে এই সময় এইখানে সেটাই বা জানল কোথা থেকে? রাজকুমারকে হত্যা করে কী লাভ? যেখানে স্বয়ং নাম্রি স্রোংচেন সিংহাসনাসীন। তবে কি...?
    দ্রুত কিছু ভাবনা মাথার মধ্যে খেলে যেতেই দৌড়ে গিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসল। তারপর দ্রুত ঘোড়া ছোটাল রাজপ্রাসাদের দিকে।
    (ক্রমশ:)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ মার্চ ২০১৯ | ৯১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 785612.51.56.156 (*) | ৩১ মার্চ ২০১৯ ০২:০৪49768
  • ভাল লাগছিল পড়তে, পরের পর্ব কই?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন