এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমারে চেনো কি?.

    Salil Biswas লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১১৮১ বার পঠিত
  • আপনাকে এই জানা আমার ফুরোবে না
    সেই জানারই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চেনা।

    উপরের লাইন দুটো আমাদের সকলেরই চেনা। আমরা একটু পালটে নিয়ে বলতে পারি, তোমাকে চেনা আমার ফুরোবে না, আর সেই চেনার নিরন্তর পথ দিয়ে হাঁটার সময়ে আমি নিজেকেও চিনতে থাকবো। আমি শিক্ষক, তুমি ছাত্র।

    কোন দার্শনিক আত্মজ্ঞানের কথা এখানে বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে নিছক নিজের মনের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করা আমি আমার ছাত্রকে নিয়ে যা ভাবছি তা করছি কিনা, যেটা ভাবছি সেটার সম্পর্কে আমি নিশ্চিত কিনা, আমার ভাবার মধ্যে সততা আছে কিনা, সকলে কিছু একটা বলছে বলেই আমি সেটা মেনে নিচ্ছি কিনা। নাকি, এত দীর্ঘ পেশা-জীবনে যা অভ্যেস করে এসেছি তার হাত থেকে নিস্তার পাওয়া হয়ে ওঠেনি। কে ওই ছেলেটি বা মেয়েটি? জানি কি আমি কী ওর দরকার, কী চায় ও? আরও অনেক প্রশ্ন মাথার মধ্যে কামড়ায়।

    আবার অন্যদিক থেকে বলি। ছাত্রকে আমি কি ঠিকমত দেখছি, তাকাচ্ছি তার দিকে, তার দিকে আমার তাকানোটা শিক্ষা-অতিরিক্ত অন্য কোন ভাবনার মিশেলে অস্বচ্ছ হয়ে যাচ্ছে না তো, বোধ-চিন্তা-দৃষ্টিকোণ সম্বলিত মানুষ বলে তাকে মনে করছি তো? নাকি কিছু “পড়া লেখা” বা কিছু বিষয় তার মাথায় ভরে দিতে চাইছি, এতদিন যা করে এসেছি বিদ্যায়তন ব্যবস্থার অলিখিত কিন্তু কঠোর ভাবে বাস্তবায়িত নির্দেশ অনুসারে। আরও অনেক প্রশ্ন মাথার মধ্যে কামড়ায়।

    ছাত্ররা আমাকে কী ভাবে দেখছে? কী মনে করছে আমাকে?

    ৪২ বছর হল মাস্টারি করছি। ‘শিক্ষকতা’ কথাটা বললাম না ইচ্ছে করে। শিক্ষক তো জ্ঞানার্জনে সহায়তা করেন, তা আমি কতটা করেছি সন্দেহ আছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো পাইনি। পাওয়া সহজ নয় মোটেই।

    এই প্রশ্নগুলো তো মিশে আছে আমাদের জীবনচর্যার সঙ্গে।

    আমরা যারা শিক্ষাজীবী তারা চিরদিনই একটা পাটাতনের উপর থেকে ছাত্রদের দেখতে অভ্যস্ত। আমরা অভ্যস্ত তাদের “শৃঙ্খলাবদ্ধ” রাখতে, “শেখাতে” (না কি মুখস্ত করতে?), শান্ত রাখতে, কথা না বলে কেবল আমাদের কথা শুনতে বাধ্য করতে, পরীক্ষায় পাশ করাতে বা ফেল করাতে।

    আমি কিন্তু একবারও বলছি না যে মাস্টারমশাইরা/দিদিমনিরা জেনেবুঝে ইচ্ছে করে এমন করেন। ব্যাপারটা একেবারেই উলটো। তাঁরাও ওই একই যন্ত্রে বন্দী, যে যন্ত্র চলে আড়ালে বসে কলকাঠি নাড়া কিছু “প্রতিষ্ঠান” দ্বারা, যাদের মাথা আবার কিন্তু নিছক সরকার নন, সরকারেরও যাঁরা মালিক সেই তাঁরা। কেউ বলে উঠতে পারেন – যত আষাঢ়ে গপ্পো, এমন আবার কেউ আছে নাকি! দুঃখের কথা হল, আছে, নিদারুন ভাবেই আছে।

    এঁরা কখনই চান না মাস্টারমশাইরা/দিদিমনিরা হয়ে উঠুন শিক্ষক/শিক্ষিকা, এঁরা কখনই চান না মাস্টারমশাই/দিদিমনিদের বা শিক্ষক/শিক্ষিকাদের এবং ছাত্রদের মধ্যেকার অদৃশ্য দেওয়ালটা ভেঙে পড়ুক। ভেঙ্গে পড়লেই তো মুশকিল। ওই “ওঁরা” জানে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সব এমনিতেই হল যত সামাজিক নাশকতার আখড়া, ছাত্রগুলো হুট বলতেই আন্দোলন করতে মুখিয়ে থাকে, সে ফ্রান্সই বল, আমেরিকা বল, ইওরোপ বল, বাংলাদেশ বল। আর মাস্টারগুলোর মাথায় সব সময় ঘোরে সুকুমারমতি “ছোটো” ছেলেমেয়েদের মনে বদবুদ্ধি ঢোকানোর মতলব। কাজেই, মাঝখানে দেওয়ালটা না থাকলে খুব বিপদ। তাই তো “ওঁরা” গোলমাল হলেই আগে গিয়ে চড়াও হন মাস্টারদের উপরে। সব দেশে সব কালে। হিটলারও হয়েছিল, দক্ষিন আমেরিকাতেও হয়েছে, এদেশেও হয়েছে, বাংলাদেশেও হয়েছিল এবং হচ্ছে।

    কথাগুলো একটু সরলীকৃত হয়ে গেল বটে। এই কথাগুলো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। করা যাবে তা কোন সময়।

    কিন্তু আমরা যারা শিক্ষাব্রতী হয়ে উঠতে চাইছি, ছাত্রদের সচেতন মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করতে চাইছি, তারা তো কোনমতেই ওই দেওয়ালকে স্থায়ী হতে দিতে পারি না। আমাদের ভাঙতেই হবে ওই বাধা। নইলে কিন্তু আমরা আমাদের উদ্দেশ্যে সফল হতে পারব না। আমরা চাই আমাদের ছাত্ররা জীবনের বহুমুখী সমস্যাগুলিকে চিনবে জানবে, সেগুলোকে সমাধান করতে সক্ষম হয়ে উঠবে; পারিপার্শ্বিককে চিনবে এবং তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সচেষ্ট হবে; নিজেকে জানবে, সমাজে নিজের স্থান, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে, এবং সে অধিকার অর্জনে এগোতে সাহসী হবে। জীবনের দ্বন্দ্বগুলোকে সমাধান করতে করতে নূতনতর দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে সাহসী হবে। নীরবতার সংস্কৃতিকে হারিয়ে দিয়ে মুখর হয়ে উঠতে পারবে। একথাগুলো আমরা প্রথম বলছি না। যুগে যুগে মনীষীরা এই কথাগুলোই বলে এসেছেন নানা ভাবে। একেই তো বলে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠা। এই তো জ্ঞানার্জন।

    বড় বড় কথা। অবশ্যই। কঠিন কাজ! সন্দেহ নেই। কিন্তু কঠিন কাজ করব বলেই তো এগোনো, নইলে এসব ঝামেলায় যাবার তো কোন দরকার ছিল না। দিব্যি তো মুখস্ত বিদ্যা শিখিয়ে দিন কাটিয়ে দেওয়া যেত। শেষ অবধি পারব কিনা জানা নেই। চেষ্টা তো করা যাক।

    কিন্তু আমাদের সামনের ওই ছেলেমেয়েদের যদি না চিনি এসব কিচ্ছু পারব না। আমাকে যদি ওরা না চিনতে পারে তাহলেও হবে না। এই যে “আমরা” আর “ওরা” বিচ্ছিন্নতা, এটা কাটিয়ে উঠতে হবে। যে অপরিচয়কে ভিত্তি করে জারি আছে আমাদের উপর খবরদারী তাকে শেষ করতেই হবে।

    কী করে এই অপরিচিতি কাটিয়ে ওঠা যায়?

    এনিয়েও অনেক ভাবনাচিন্তা প্রয়োজন। দরকার অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ছাত্র-শিক্ষকের অনেক পারস্পরিক আদানপ্রদান। আমি এখানে আমার মনে আসা কয়েকটা কথা বলছি। কোন কথাটাই তর্কাতীত নয়।

    আমাদের একে অপরের নাম জানতে হবে। ছাত্ররা আমাদের স্যার বা দিদিমনি বলে একটা বর্গে ফেলে দিচ্ছে। সেখান থেকে আমাদের প্রত্যেককে ব্যক্তি-মানুষ হয়ে উঠতে হবে। আমাদের তারা নাম ধরে ডাকবে বলছি না। বলছি, আমাকে সে ‘সলিল বিশ্বাস’ বলে চিনুক, অনেক ‘স্যার’এর একজন বলে নয়। আপাতদৃষ্টিতে এটা একটা সাধারণ কথা মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে অন্য ফল পাওয়া যাবে বলে মনে হয়।

    শৃঙ্খলা ব্যপারটা অন্যভাবে ভাবতে হবে। চুপ করে বসে আমাদের বক্তৃতা শোনা এবং কোন প্রশ্ন না করে শ্রুতিলিখনকে শৃঙ্খলা ভাবব না আমরা। আমরা চাইব কথোপকথন, সচেতন প্রশ্ন উত্তর বিনিময়। একপক্ষ চুপ করে থেকে সেটা হবে কী করে? এখানে সমস্যা আছে। সনাতন শৃঙ্খলায় অভ্যস্ত ছাত্ররা প্রথমে গোলমাল করবে। কিন্তু সঠিক কথোপকথন চলতে থাকলে এর সমাধানসূত্র পাওয়া যাবে। অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে।

    ছাত্রদের জ্ঞান বা বিষয় ভরে দেবার থলি অথবা শিক্ষা খাইয়ে দেবার কতগুলি মুখগহ্বর ভাবলে চলবে না। মানি বা না মানি শিক্ষার হজমী তত্ত্বে আমরা বিশ্বাস করি বলি না, এত পড়েও হজম করতে পারেনি? আমাদের দোষ নেই। এই আমরা শিখে এসেছি জন্ম ইস্তক। সে সব ভুলে হৃদয়ঙ্গম করতে হবে যে প্রত্যেক ছাত্র এক একজন চিন্তাশীল বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, এক একটি সত্তা, কোন বস্তু নয়। বয়স তাদের যত কমই হোক না কেন। তাদের সঙ্গে আমাদের সমানে সমানে বিনিময় চালাতে হবে।

    প্রত্যেক ছাত্রের ব্যক্তিগত জায়গাগুলোকে অনুধাবন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকের ক্ষমতা, ভঙ্গী, পারিপার্শ্বিককে দেখা ও বোঝার ধরণ স্বতন্ত্র। প্রত্যেকের সঙ্গেই বিনিময়ের পথ সুগম করে নিতে হবে।

    এই বিনিময়ে কৌশল নয়, সততাকেই প্রাধাণ্য দিতে হবে।

    কয়েকটা মত বললাম। আরও অনেক কথা আছে নিশ্চয়। সে সব কথাও উন্মোচিত হবে ক্রমশ, আলাপচারীতা আর কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে। তর্ক হওয়া খুব জরুরি।

    এই লেখাতে প্রশ্ন আছে বেশি, উত্তর আছে কম। উত্তর খোঁজাটা আমাদের দায়িত্ব। সেই খোঁজার প্রক্রিয়াতে ছাত্রদেরও সামিল করতে হবে, যদি আমরা শিক্ষাব্রতী হয়ে উঠতে চাই।

    কেউ কেউ বলেছেন, শিক্ষাদান একটা নাশকতামূলক কাজ। একদম ঠিক। প্রকৃত শিক্ষক অসচেতনতার অন্ধকারকে বিনাশে অনুঘটকের কাজ করেন। আসুন আমরা চেষ্টা করে অপরিচয়ের পাঁচিলটাকে ভাঙি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১১৮১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    কমলাদি - Salil Biswas
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সংহারক | 138.141.147.12 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:০৪47293
  • অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো। শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্বাধীন ভাবনা চিন্তার ক্ষমতা থাকলেও সেগুলোর অনুশীলনের ইচ্ছে নেই। তায় সরকার, তার উপরে যারা আছে তারা দায়ী এসব বলে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা। আমি স্কুলএ এমন একজন ভূগোল শিক্ষক পেয়েছিলাম, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে যাবার আগে আমাকে ভূগোল পড়তে হয় নি। এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিতে পারব। কারণ তার পড়ানোর স্টাইল। বয় রিডিং পড়াতেন না, বোর্ড এ নিজে মাপ আকতেন এবং আকার ট্রিকস শেখাতেন। ম্যাপের কোথায় বুন্দেল খন্ড কোথায় বাঘেল খন্ড সেগুলো পন্ত করতেন পরে মুছে দিয়ে আমাদের দিয়ে করতেন। ছাত্রদের ফিডব্যাক নিতেন। দুর্বল ছাত্র দের ছুটির পর স্পেশাল ক্লাস নিতেন। অনেক খাটতেন, কিভাবে পড়াবেন সে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতেন। এসব বড় বড় আঁতেল মার্কা কথা না বলে নিজের কাজটা মন দিয়ে করলে জাতির উপকার হয়।
  • ঈশান | 214.54.36.245 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:৫৪47294
  • আদ্যোপান্ত পড়েও গোটা লেখায় কারো ঘাড়ে কোনো দোষ চাপানো হয়েছে বলে তো দেখলাম না।

    সংহারক একজনই ভালো শিক্ষক পেয়েছেন দেখা গেল। বাকিরা নিশ্চয়ই তেমন না। নইলে বলততেন। তা, বাকিদের ঘাড়ে খামোখা দোষ চাপালেন কেন?
  • anirban | 146.152.12.241 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ১০:১১47295
  • লেখক নিজের কাজ করেন কি করেন না সংহারক জানলেন কি করে? লেখার কোনো অংশ খারাপ লাগলে বা দ্বিমত থাকলে বলুন। না হলে এই ধরনের মন্তব্য না করলেই ভালো হয়।
  • π | 172.129.44.87 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ১০:১২47296
  • 'সমানে সমানে বিনিময় চালানো', খুব দরকারি একটা কথা। আর শুনতে যতটা সহজ, করাটা ততোটাই কঠিন।
    বিশেহ্হ করে স্কুল লেভেলে এই পরীক্ষা নিরীক্ষা হওয়া ভীষণ দরকার। এরকম কিছু হচ্ছে কি ? বিস্তারিত জানার ইচ্ছা রইলো।

    আর সংহারকের পোস্টে আপত্তির কারণ কিছুই বুঝলাম না। আপনার সেই ভূগোল শিক্ষকের মত সবাইকে স্বাধীন চিন্তা ভাবনা অনুশীলনের কথাই তো বলা হয়েছে দেখলাম। আর তার সাথে আরো কিছু করতে। হায়ারর্কির দেওয়ালটা ভাঙ্গতে।
  • অবন্তিকা | 126.203.190.123 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ১০:১৬47297
  • কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শুভেন্দু দাশগুপ্ত একবার এক ইশকুলের কথা ভেবেছিলেন, বা ভাবিয়েছিলেন বলা যায়। সে ইশকুলের চারপাশে কোনো দেয়াল নেই। শিক্ষক-শিক্ষিকা পড়ান, শিক্ষার্থীরা শোনেন, বলেন। যারা শুনতে চান না, তারা চলে যেতে পারেন স্বচ্ছন্দে। এই মুক্ত চেতনাই তো শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত, আবার একইসাথে শিক্ষার উদ্দ্যেশ্যও।
    অথবা যেমনটা পড়েছিলাম ছোটবেলায়, তোত্ত চান গল্পে, সেই যে এক ইশকুল, ভাঙা রেলগাড়ির কামরার ভেতর, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যেমন খুশি খেলে, পড়ে, ভাঙে, আবার গড়েও নেয়, মাঠে নেমে ভুট্টার বীজ বোনে, আর নিছক খেলতে খেলতেই মারকুটে বিচ্ছু ছেলেটাকে আদর করে মাস্টারমশাই শিখিয়ে দেন- শোনো, মেয়েদের কখনো আঘাত করতে নেই।
    সংহারকবাবু, সলিল বিশ্বাস শিক্ষা নিয়ে কথা বলছেন, 'ট্রিকস' নিয়ে নয়!
  • π | 172.129.44.87 (*) | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ ১০:২১47298
  • সেই , তোত্তোচান মনে পড়ে গেল। শুভেন্দু দাশগুপ্তের একটা লেখার কথাও।
  • সংহারক | 138.141.147.86 (*) | ০৪ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৩৬47299
  • " তাঁরাও ওই একই যন্ত্রে বন্দী, যে যন্ত্র চলে আড়ালে বসে কলকাঠি নাড়া কিছু “প্রতিষ্ঠান” দ্বারা, যাদের মাথা আবার কিন্তু নিছক সরকার নন, সরকারেরও যাঁরা মালিক সেই তাঁরা। " -- এই কথাগুলোই আমার আপত্তি। দেখে মনে হচ্ছে শিক্ষকের ব্যর্থতার দায়ভার অন্য দিকে চালান করা। আসলে এই কথা গুলো বলার কোনো প্রয়োজন ছিল না। যারা ভালো শিক্ষক তারা যথেষ্ট খাটেন ছাত্রদের জন্য। আর অনেকে সরকার MNC এই সব বলে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা র দায় শিক্ষক দের ঘর থেকে ঝেড়েফেলতে চান।
  • সংহারক | 138.141.147.86 (*) | ০৪ অক্টোবর ২০১৩ ১১:৪৮47300
  • আমাদের ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় যে দেয়াল এর কথা বলা হয়েছে তার জন্য আসলে শিক্ষকরাই দায়ী। এখানে সরকার বা তাদের উপরে যারা আছে তাদের কথা বলার কোনো মানে হয় না। যে শিক্ষা ব্যবস্থা আছে তাতে যেকোনো শিক্ষক অনেক কিছুই কাজ করতে পারে , যদি করার ইচ্ছে থাকে তবে।
  • JAYEEK NAG | 192.59.86.43 (*) | ০৫ মার্চ ২০১৪ ০৭:০০47302
  • SALIL DA,

    aro likhun, anek likhun. amra , apnar purono chhatra ra aro jante chai apnake.

    jayeek nag
  • JAYEEK NAG | 192.59.86.43 (*) | ০৫ মার্চ ২০১৪ ০৭:০০47301
  • SALIL DA,

    aro likhun, anek likhun. amra , apnar purono chhatra ra aro jante chai apnake.

    jayeek nag
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন