এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুরুষ হইবার বিধি এবং ইত্যাদি

    Tan
    অন্যান্য | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ | ৮১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০১694001
  • প্রথমে বেশ মাচোম্যান ইমেজের কেউ এসে ওপেন করুন।
    পুরুষোচিত হতে গেলে কি করতে হয়,যেমন রাজনৈতিক আলোচনায় চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলতে হয়,বেশ পুরুষোচিত খেলা খেলতে হয় যেমন ফুটবল বক্সিং ইত্যাদি,গলা তেজী গম্ভীর করতে হয়,ভুলেও ন্যাকা ন্যাকা নাকিসুরে কিছু বলতে নেই,লোকে মেয়েলী বলে প্যাঁক দেবে,সাজগোজ কেয়ারলেস বিউটি স্টাইলে করতে হয়, বৌকে দিয়ে ডাব্বা বাঁধাতে হয়... ইত্যাদি ইত্যাদি।
    বলুন,বলুন,এখানেও নিশ্চয় কিছু বিধিটিধি আছে।

  • tan | 131.95.121.127 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০৯694012
  • দুয়ো দুয়ো কেউ লেখে না।
    বীরপুরুষেরা কই গ্যালো?
    :-)))
  • Du | 67.111.229.98 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১৭694023
  • হা: হা: আমি এই থ্রেড টাই খুলতে এসেছিলাম । নামটা অবশ্য ঐ লক্ষ্মণ্রেখাই দেব ভেবেছিলাম।
  • vikram | 134.226.1.194 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২১:২১694024
  • পুরুষ হতে গেলে ভদ্রসমাজে সোশালাইজ করার সময় কখোনই রান্নাঘরে গিয়ে হেল্প করা যাবে না। ছেলেরা গাড়ি নারী ও তাড়ি নিয়ে গল্প করবে। মেয়েরা শাড়ি , গয়না, গসিপ নিয়ে। মাঝে মাঝে দুই গ্রুপে খুনসুটি হবে।

    বিক্রম
  • J | 160.62.4.10 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২১:৩১694025
  • আর ফুটবল!
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২১:৫১694026
  • ক্যানে - মেয়েরা ফুটবল দ্যাখে না বলতে চাও? সেন্ট জেমস পার্কে ঘুরে এসো একবার...অবিশ্যি এগুলো সাধারণ মেয়েদের কথা, সেলিব্রিটিরা আলাদা - ইংল্যাণ্ডে WAG আছে - Wives and Girlfriends - বেকহ্যামের বউ এর লীডার...তেনাদের কাজকর্ম আলাদা লেভেলের।
  • Arjit | 128.240.229.67 | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ ২২:০২694027
  • ভিকি গালি দিচ্ছে।

    লিস্টিতে বিড়ি খাওয়া নেই কেন? পশ্চিমী দেশে অবিশ্যি মেয়েরা বেশি সিগারেট খায়, তবে আমি সিগারেট বলিনি, বিড়ি বলেছি। এবং অন্তত: আমাদের সময় অবধি কলেজে ছেলেরাই বেশি খেত (বিড়ি এবং সিগারেট)। তথাকথিত প্রগতিশীল মেয়েরা নুকিয়ে নুকিয়ে খেত:-)
  • Du | 67.111.229.98 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ০১:১১694028
  • কেউ লিখছে না.. কাজেই লক্ষ্মনরেখা নেই বলে ধরে নিতে অসুবিধে ছিলো না.. তাও কটা লিখলাম :-
    নাচা (as a শিল্প) ব্রাত্য।বড়জোর গান গাইতে পারো, তাও ব্যারিটোন হলেই পুরুষালী।
    ছোট বাচ্চা বাড়ি ফেরার কারন হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়।দেখা হয় না আত্মজের বেড়ে ওঠা ।
    কলা নিয়ে পড়তে চাওয়ার চেয়ে বিজ্ঞান বা বানিজ্য চাইলেই অভিভাবকেরা খুশী (অনেক বাড়িতেই)।
    অনেক ক্ষেত্রেই বোন বা দিদিদের এসকর্ট করে করে বহু না চাওয়া জায়গায় যেতে হয়।
    romantic সিনেমা ভালো লাগা চলবে না, ভালো লাগতেই হবে ছিরিয়াছ বা মারপিটের সিনেমা ।
    প্রিয়জনেদের মধ্যে conflict থাকে যেটা হয়তো মেয়েদের face করতে হয় না।

    আর সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার এই যে মেয়েরা তাও তথাকথিত 'পুরুষালী' কাজকর্ম করার অধিকারের জন্যে গলা ফাটাতে পারে , কিন্তু পুরুষদের stereotype টা এতই তাদের পুরুষত্বের সাথে জড়িয়ে যে তারা প্রকাশ্যে এই নিয়ে কথাই বলে না।
  • vikram | 134.226.1.194 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ০১:১৭694029
  • প্যাটার্নাল লীভ কি ভারতে কোথাও দেয়?
    আয়ার্ল্যান্ডে দিতে দেখেছি, বাকি জানি না।

    বিক্রম

  • saa | 62.254.64.15 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ০১:৪৮694002
  • বিক্রম,
    এট্টা নিরীহ প্রশ্ন, ছেলেরা এই ধরনের গ্যাদারিংএ নারী নিয়েও আড্ডা দেয় বুঝি?
    স্যালারি নিয়ে হতে পারে অবিশ্যি। গাড়ী তাড়ি তো আছে ই ।
  • vikram | 128.42.22.163 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ০২:২৭694003
  • হাইলি দেয়। বয়েসের তফারেন্স খুব বেশি না হলেই দেয়।

    বিক্রম
  • Samik | 61.95.167.91 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ১৩:০৮694004
  • প্যাটার্নিটি লিভ আইবিএমে দেয়। বাকিদের খবর জানি না। টিসিএসে বোধ হয় এখন দেয়। শিওর নই।
  • aapan_man | 219.64.95.26 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ১৪:১৯694005
  • আমি জানি পুরুষেরা বসে বা দাঁড়িয়ে হিসু করতে পারে। আর জঙ্গিয়ায় ফুটো থাকতেও পারে আবার নাও পারে। এরকম কত option আছে যা নারীদের নেই। :-)

  • Arjit | 128.240.229.6 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:০৫694006
  • বাইরের দেশগুলো কিন্তু ছেলে আর মেয়েদের ছোটবেলা থেকে আরো বেশি আলাদা করে দেয়। ট্যান যতই বাঙালী নিয়ে গলা ফাটাক, এই ব্যাপারটা আমি এইসব উন্নত দেশে বেশি দেখেছি। একবার সময় করে বেবিজ-আর-আস আর টয়েজ-আর-আস - এই দোকানগুলোতে ঘুরে এসো, বা টিভিতে বাচ্চাদের চ্যানেল দেখো - যেখানে পোশাক বা খেলনার বিজ্ঞাপন দেয়। গাড়ি বা ট্রেনের বিজ্ঞাপনে কখনো মেয়েদের দেখবে না, আর বার্বি বা অন্য পুতুলের বিজ্ঞাপনে কখনো ছেলেদের দেখবে না। মানে - মেয়েরা পুতুল নিয়েই খেলবে, আর ছেলেরা গাড়ি আর ট্রেন নিয়ে - এটা ছোটবেলা থেকেই ফিক্সড। মেয়েরা গোলাপি জামা পরবে, ছেলেরা নীল বা সবুজ - এটাও। এবং বাস্তবে তাই ঘটে।
  • J | 160.62.4.10 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:৪৪694007
  • বাস্তবে বোধয় পুরোটা তা-ই নয়।
    প্রচুর মেয়ে ধুমশো বাস চালাচ্ছে। টয় বাস নয়। ১৫ মিটার বা তার চেয়েও বেশী লম্বা বাস।
    ট্রেন চালায়।
    টিকিট চেকার হয়।
    ট্যাক্সিতো আকছার।
    অথচ এসব দেশে কিন্তু আইন করে নারী পুরুষের সমানাধিকার নেই। নেই।
    আমার যেটা মনে হয়, একে অপরকে গাল না পেড়ে সামগ্রিক ভাবে চেষ্টা করাটা বেশী উপযোগী পদক্ষেপ।
    রেষারেষির পরিমান বেশী হয়ে গেলে, তখন শুধু একা থাকা, নিউক্লীয়ার ফ্যামিলি। মেয়েরা বাচ্চা নিতে চায় না। কী? না বাচ্চা নাকি কেরিয়ার জীবন আনন্দ লাইফ এনজয় করা সব ভেস্তে দেবে।
    কারণ ছেলেরা এসব ব্যাপারে হাত বাটাতে চায় না।
    এর ফলে একটা বয়েসের পর জীবন শূণ্য। শুধু এনজয় শপিং গল্পের বই আর টিভি দেখে তখন জীবন আর চলে না। পুরুষে তখন বেশী করে মাল খায়। বৃদ্ধ বয়েসে তখন আবার নতুন করে বান্ধবী খোঁজে।
    খিটখিটে স্বভাব হয়ে যায়। কাওকে বিশ্বাস করে না। নিজের টাকা আর সম্পত্তি আঁকড়ে ধরে রেখে বাড়ী বা অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে মরে পচে থাকে।
    গবরমেন্ট এসে সম্পত্তির টাকা নিয়ে যায়। কোনো উত্তরাধিকার পাওয়া যায় না।
    কাড়াকাড়ি মারামারি রেষারেষি আর স্বার্থপরতার ফল তো এই।
    কোনো মেয়ে যদি ঘরের কাজ করে সুখী থাকে, তার যদি ওরম কত্তেই ভালো লাগে, তাতে নীচু হয়ে যাবার বা লজ্জার তো কিছু নেই।
    সবায় কি কল্পনা চাওলা হবে? না হওয়া সম্ভব?
    কিছু মেয়ে তো এসব দেশে গোড়াথেকেই অফিস সেক্রেটারী হবার স্বপ্ন দ্যাখে। নটা-পাঁচটার কাজ, বাঁধামাইনে, কজের মাঝে নেলপালিশ করো, আড্ডা মারো, বিকেল হলেই টুক করে বাড়ী।
    তবে ব্যাপারটা হচ্ছে যে টেলিফোন অপারেটার হবার জন্যে তারা এম.. পাশ করতে ছোটে না। তাই ফ্রাস্ট্রেশান নেই।

  • Arjit | 128.240.229.65 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:৫৩694008
  • ওই যে লিখলে "একে অপরকে গাল না পেড়ে..." - ওইটে হল গে আসল কথা। ওটা থাকলে অনেক তর্কই গায়েব হয়ে যায়।

    তবে, খেলনা আর পোশাকের ব্যাপারে এই ডিসক্রিমিনেশনটা আমার অদ্ভুত লাগে। বাস্তব বলতে এইখানে - মানে বাস্তবে দেখবে ছেলেরা গাড়ি আর ট্রেন নিয়েই খেলছে, আর মেয়েরা পুতুল নিয়ে। টয়েজ-আর-আসে গেলে দেখবে গাড়ি, ট্রেন, মেকানো সেকশনে ছেলেদের ভিড়, আর বার্বি সেকশনে শুধু মেয়েরা...ভাবা হল যে ছোটবেলা থেকে যা দেবে, সেটা নিয়েই খেলবে - ঋককে অনেক পুতুল দেওয়া হল, প্রথম প্রথম সফট টয়গুলো নিয়ে খেলতোও, কিন্তু নিজে থেকেই গাড়ি আর ট্রেনের দিকে নজর চলে গেলো (সম্ভবত: টিভিতে ওই বিজ্ঞাপন দেখে বা নার্সারীতে)।

    আমি তো ছোটবেলাতে লাল কেন গোলাপি জামাও পরেছি - ঋককে একটা জামা এনে দিয়েছিলুম, তার বুকে একটা লাল গোলাপ - সে ছেলে ওটা পরবেই না, জোর করে পরানো হল, তো একটা জ্যাকেট পরে বসে রইলো...
  • J | 160.62.4.10 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:১১694009
  • জামার রঙের ব্যাপারে অন্যসময়ে বলব।
    তবে খেলনা নিয়ে কথা আছে।
    একটা বিবিসি র ডকুমেন্টারীতে দেখেছি, ছোট্টো দুটো বাচ্চাকে একটা খেলনা দেয়া হলো।
    ছেলেটা সেটা পেয়েই খুলে ভেঙ্গে কলকব্জা আলাদা করছে।
    আর মেয়েটা সেই খেলনার সঙ্গে কথা বলছে।

    একটা মেয়ে , একটা অবজেক্টের সঙ্গে অনেক বেশী মানসিক স্তরে গিয়ে কমুনিকেট করে। সে ধরে নেয় পুতুলটার প্রাণ আছে মন আছে।

    ছেলেটার কাছে আসল হচ্ছে ওর নাট বল্টু।
    বানিয়ে বলছি না।

    আমাদের মস্তিষ্কের বেশ কিছু অংশই আলাদা।
    আমরা তো সমান নই।

    কিন্তু সমান না হলেও, বঞ্চিত হবো কেন? সেটাই প্রশ্ন।
    ধরে নিচ্ছি মেয়েরা শরীরিকভাকে মানসিক গড়নে অনেক আলাদা ছেলেদের থেকে।
    কিন্তু ছেলে ও মেয়ে এই অপোজিট সেক্স না থাকলে তো সৃষ্টিই থেমে যাবে।
    বা আনব্যালেন্স হয়ে যাবে, যেটা হয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড়ি নি:শব্দ জেনোসাইডে, ভারতে গত দশ বছরে কতকোটি যেন নারী ভ্রূণ মেরে?
    লক্ষ্মণরেখাটাতো জন্মের আগেই প্রিডিফাইনড।
    একথাতো বহু বহু বহু বার হয়েছে।
    ফেমিনিজম কাকে বলে অমি জানি না। সেটা ভালো না খারাপ সেসব নিয়ে আলোচনরার জ্ঞানই নেই, কীকরে বলব?
    কিন্তু একই প্রজাতির দুটি লিঙ্গের জীব যদি দুনিয়ায় সহাব্‌স্‌থান করতে না পারে, তবে এ কীরম কালিদাসি সিস্টেম যে তাদের লক্ষ্মণরেখার বৃত্তের পরিধি ছোট্টো করতে করতে নি:শেষ হয়ে যাক। তখন কোন গাছের ডালে বসে দুনিয়া লক্ষ্মণরেখা বাড়াবে?
    জীবজগতের আর কোনো পশুপাখী এমন করে থাকে কি?
  • Santanu | 80.122.170.93 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৫৮694010
  • ঠিক এই সময় আমার হাতে এসেছে বহু পুরনো একটা ১৯২ পাতার বই Men are from Mars, Women are from Venus, পড়া হয়ে যাক, আমিও ফান্ডা দেবো।

    তবে এই থ্রেড টা নারীদের থ্রেড্‌টার মতো ঠিক জমছে না।
  • Arjit | 128.240.229.65 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:০২694011
  • কিন্তু ওই ছেলেটা আর মেয়েটা হয়তো অলরেডি কণ্ডিশনড। একদম বিনা কণ্ডিশনিং-এ এক্সপেরিমেন্ট করলে কি হবে কে জানে - মানে ধরো একই সময়ে জন্মেছে এমন একটা ছেলে আরেকটা মেয়েকে একই পরিবেশে রাখা হল, বাইরের কণ্ডিশনিং ছাড়া - মানে নার্সারী নয়, টিভি নয় ইত্যাদি। তারপর যদি তাদের গাড়ি আর পুতুল একই সাথে দেওয়া হয়, কে কোনটা নিয়ে খেলবে? জানি না এই রকম কোন এক্সপেরিমেন্ট হয়েছি কিনা, তবে আমার ধারণা যে খেলনার বিজ্ঞাপনগুলোর কথা বলছিলুম, সেগুলোর যথেষ্ট ইনফ্লুয়েন্স আছে।
  • J | 160.62.4.10 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৩৯694013
  • দ্যাখো, আমার মেয়েকে ছোটোবেলা থেকে শার্টপ্যান্ট পরানো হয়েছে, কোএডুকেশান বাচ্চাদের নার্সারীতে যখন ভর্তি হয়েছিলো, ও ছেলেদের পোষাক বেছেছিলো,কিছুতেই ফ্রক পরানো যায় নি, এবং সেই কারণেই হয়তবা ছেলেদের সঙ্গে মিশতো বলেই হয়ত, মারপিট বেশি করত এবং আন্টির হাতে পিট্টি খেতো রেগুলার, যাঁরা জানতেন না যে ও মেয়ে।
    ছোটোবেলা থেকে লালবল আর হকিস্টিক আর ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে বেড়ে উঠতে লাগল। মাঝে খুব অল্প দুয়েক বছর মেয়েদের ইস্কুলে পরেছিলো। বাকীটা কোএডুকেশনেই। এখনো এই ১৬ বছরেও ছেলে এবং মেয়ে বন্ধু দুরকমই আছে।
    কিন্তু...
    কিন্তু দ্যাখা যাচ্ছে মেয়েলী ব্যাপার স্যাপার যেমন পুতুলকে ব্যক্তি হিসেবে দ্যাখা, এগুলো ছিলো এবং আছে। সে ন্যাকামেয়েদের সঙ্গে মিশতে পারে না, যেমন "টুসি" (শব্দটা যদি কেউ না জেনে থাকে পরে বুঝিয়ে দেবো)।
    এখনো নিয়মিত ফুটবল খেলতে হয়, ছেলেমেয়েদের সঙ্গেই।
    কিন্তু তফাৎটা হলো এইরকম :-
    একটা বিরাট হলঘরের দরজা খোলা হলো।
    হলের ভেতরে বেশ দূরেই একটা ফুটবল পড়ে রয়েছে।
    একগাদা ছেলে মেয়ে সেঘরে ঢুকল।

    এবার,
    দেখবে মেয়েরা সেরম উত্তেজিত নয়।
    কিন্তু ম্যক্সিমাম ছেলে ঐ স্থির বল্টা দেখেই দুড়দাড় লাফিয়ে দৌড়ে যেকরে হোক বলটাকে লাথাতে ছুটবে।
    এটা ঘটনা।
    কন্ডিশানিং নয়। এটা হবেই।
    একসেপ্‌শানকি নেই? আছে, সেরকম আতুপুতু ছেলেও আছে, যারা ফুটবল দেখেও "না বাবা দৌলোবো না" ভাববে।

    এটা তো একটা কেস স্টাডি।

    আরেকটা ব্যাপার হলো আজকালকার যুগে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত সমাজে ছেলে আর মেয়েকে বাপ মা ডিসক্রিমিনেট করেন না।

    আজকাল মেয়েরা ভালোই রোজগার করে, নিজেরাই বিয়ে টিয়ে করে নিচ্ছে।
    আজকাল মেয়েরাতো অভিবাবকদের অতো চাপে রাখে না।

  • Rana | 212.158.75.196 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ২০:০৯694014
  • যো-দির লাস্ট লাইন ট-ই হলো গিয়ে আসল কথা...!!

    "" মেয়েরা রোজকার করছে""

    আমাদের মতন দেশে ডিসক্রিমিনেট টা অনেক টাই হয় যার কারন নিহিত আছে socio-economic অবস্থা-র ওপর..!
    যেমন, মেয়ে হল, তার বিয়ে দিতে হবে , মানে এতো টাকা পন লাগবে। অতএব মেয়ে একটা ""দায়"... কন্যাদায় !!!! এটা একটা উদা:
  • Rana | 212.158.75.196 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ২০:১৫694015
  • আর যখন-ই মেয়েরা রোজগার করতে সুরু করেছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি অবস্থাটা কিছুটা হলেও আস্তে আস্তে চেন্‌জ হচ্ছে।

    মধ্যবিত্ত দের অনেকে-ই ছেলে-মেয়ের মধ্যে তফাৎ করে না অজকাল।
    অনেকে-ই প্রথমে মেয়ে হলে ছেলের জন্য ১ ডজন মেয়ের জন্ম দিয়ে নদের হাট বসায় ন!!
    অনেকে-ই মেয়েকে সমান সমান education দেয়, মেয়েকে নিয়-ও স্বপ্ন দেখে !!
  • Samik | 125.23.122.125 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ২২:২৫694016
  • এই অনেকেই টা প্রধানত শহর অঞ্চলে, যেখানে শিক্ষার হার বেশি, তাও শহরের সকলেই নয়, 'অনেকেই'। অনেক শহুরেও কিন্তু ছেলের জন্ম দেবার জন্যে এক ডজন মেয়ের জন্মও দেয়।

    আর ভারতে শহর কত শতাংশ?

    চেন্‌জ হচ্ছে অবশ্যই, কিন্তু যতটা হওয়া উচিৎ ছিল, তার কানাকড়িও হয় নি। কেবল পৌরসভার দেওয়ালে হোর্ডিং টাঙালেই কি কন্যাভ্রূণ হত্যা আর মেয়েদের দাবিয়ে রাখা বন্ধ করা যায়?
  • Du | 67.111.229.98 | ১৫ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:৩৭694017
  • পুরুষরা তাহলে নিজেদের stereotyping নিয়ে একেবারেই অসুবিধেয় নেই !! নাকি তারা সেটা প্রকাশ করাটা যথেষ্ট পুরুষোচিত বলে মনে করে না?
  • Gaza | 170.213.132.253 | ১৬ নভেম্বর ২০০৬ ০৪:১৩694018
  • বীর্যবতী নারীর এই থ্রেড এর উদ্দেস্যটা কি?
    গাঁজা
  • tan | 131.95.121.127 | ২০ নভেম্বর ২০০৬ ০১:৫৮694019
  • ছুপুয়া রুস্তুম রঙ্গন,তার কদিন এপাড়ায় দ্যাখা নেই, কিন্তু এই থ্রেডের আইডিয়া আর কিছু মাল স্মাগল করে ওর দাদাকে দিয়ে দিয়েচে।:-)))
    সে দাদা এক আখাম্বা মাল ছেনিকাটা করে নামিয়েছে, অত্যন্ত ভালো লেখা। সেলাম করে গেলাম দাদা।সত্যি সত্যি,হ্যাঁ।
    ডিডিদাকে অনুরোধ, শেষ শ্লোকটার বাংলা করে দিতে।
    আর গাজা, ফালতু, স্টার পি, আপন ম্যান, হাবারাম, উল্লুক, ল্যাল্যাপার্টি জাতীয় যেসব মাথায় মামলতহীন বরাহনন্দন এখানে আসেন পর্ণোগ্রফীর আশায়, তাদের কপালে কাঁচকলার আগা রেখে দেওয়া গেলো।
  • Du | 67.111.229.98 | ২০ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৫২694020
  • দাদা নাকি, আমি তো ভাবছি ও-ই । খুব ভালো হয়েছে লেখাটা ।
  • tan | 131.95.121.127 | ২০ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৫৮694021
  • ওরা সায়ামীজ টুইনস। ডাক্তার ম্যাকগরগর সাহেব ওদের আলাদা করেন সার্জারি করে।
    তবু বিনয়ে একজন আরেকজনকে দাদা বলে,অন্যজন "অ্যাই ছোঁড়া,দ্যাখ তো আমার ছাতা আর কোট আর টুপি আর ছড়ি কোথা?" এইসব বলে।:-)))
  • MM | 213.42.2.24 | ৩০ নভেম্বর ২০০৬ ২০:২৪694022
  • আমার তো মনে হয় India তে এখন reverse discrimination চলছে। একমাত্র সন্তান যদি মেয়ে হয় CBSE course এ পড়লে তার জন্য tuition fee লাগবে না আরো অনেক সুযোগ সুবিধা। এ ছাড়াও আজকাল সবজায়গাতেই মেয়েদের priority দেওয়া হচ্ছে। আগে ছেলেদের importance বেশী দেওয়া হতো সেটা যেমন ঠিক ছিলো না, আমার মনে হয় এটাও ঠিক নয়। মুখেই সমানতার কথা বলা হচ্ছে,আসলে কিন্তু মোটেই তা হচ্ছে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন