এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাঙালীরা কি কোন কালে হিন্দু ছিল?

    bip
    অন্যান্য | ১৪ নভেম্বর ২০১৪ | ১৩৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bip | 78.33.140.55 | ১৪ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:১২652165
  • (১)
    হিন্দু শব্দটা গোলমেলে, বিতর্কিত এবং বিটকেলে। তাই বিতর্ক, ধন্দ এবং ধান্দা এড়াতে প্রথমেই একটা সহজ সংজ্ঞা দিই। আমি হিন্দু ধর্ম বলতে কোন তাত্ত্বিক কথকথা, শাস্ত্র, ইতিহাস-কিছুই টানছি না এখানে। বাংলায় হিন্দুধর্ম বলতে আমি তাদের কথা বলছি-যারা মূর্তিপূজো যেমন দূর্গাপূজো, কালীপূজো করে, ঘরে দু একটি দেব দেবীর ছবি রাখে। বাপ মায়ের মৃত্যু হলে শ্রাদ্ধশ্রান্তি। বিয়েতে বামুন ডেকে মন্ত্র মার্জনা। কীর্ত্তনে, গাজন, জন্মাষ্ঠমীর বারো মাসে তেরো পার্বন। আমি সেই হিন্দু ধর্মের কথা বলছি এখানে, যা সবাই বোঝে। জানে। এর একটা দিক বৈদিক হিন্দুধর্ম -অন্যটা লোকায়েত প্যাগানিজম। ধরুন দুই এর মিশেল। ককটেল ধর্ম।

    প্রশ্ন হচ্ছে এই যে বাঙালীগুলো ইদানিং নিজেদের হিন্দু হিন্দু বলে হর হর মহাদেব গাইছে সকাল বিকেল আর বিদেশী বলে মুসলিমদের তাড়াতে চাইছে-তা জানতে ইচ্ছে হয়, তাদের এই হিন্দু ধর্মটা কতটা স্বদেশী?

    নিজেদের মধ্যে এদেরএই প্রকট হিন্দুত্বের ভাবটা যদি ইসলামের হাত থেকে বাঁচতে, একটা সারভাইভাল স্ট্রাট্রেজি হয়-তাহলে আমার কিছু বলার নেই । কারন সেক্ষেত্রে সেটা এক্সজিস্টেন্টিয়াল-অস্তিত্ববাদি অবস্থান- যুক্তির থেকে বাঁচার দায় বেশী। গ্রান্টেড।

    কিন্ত এই সব বাঙালীরা যদি সত্য সত্যই ভেবে থাকে এই হিন্দু ধর্মটা তাদের আদি পুরুষের ধর্ম-ইসলামের মতন ইম্পোটেড মাদক না-সেটা হবে সত্যের ছয়লাপ। কারন এই "হিন্দু ধর্মের" প্রায় সবটাই বাঙালীর জীবনে বিদেশী আমদানী। একদম মুসলমানদের মতন ।

    (২)
    বাংলায় এই হিন্দু ধর্ম বুঝতে আমাদের একটু মহাভারত ঘাঁটতে হবে।

    আচ্ছা মহাভারত যারা পরেছেন-তারা কি দেখেছেন মহাভারতের কোন কেন্দ্রীয় চরিত্র মন্দিরে গিয়ে পূজো দিচ্ছে? মূর্তিপূজো করছে? কালীপূজো বা দূর্গাপূজো বা কোন পূজো করছে?

    গোটা মহাভারতটাই ধর্ম বনাম অধর্মের যুদ্ধ। সেই যুগে ধর্ম বলতে কি বোঝাত, মহাভারতের ছত্রে ছত্রে পরিস্কার। তার জিস্ট হচ্ছে যক্ষপ্রশ্নের সংকলন । যক্ষ যখন যুধিষ্ঠিরকে প্রশ্ন করেন ধর্ম কি? যুদ্ধিষ্ঠির কোথাও কি বলেছিলেন ধর্মপালন মানে মন্দিরে গিয়ে যজ্ঞ করা? পূজো করা?

    যুধিষ্ঠির উত্তর দেন বুদ্ধিমান লোকের কর্মই ধর্ম। এবং গোটা মহাভারত জুরে কোথাও মূর্তিপূজো পাওয়া যাবে না । অশ্বমেধ যজ্ঞের উল্লেখ আছে অনেকবার। কিন্ত যাগ যজ্ঞ পূজা অর্চনাকে কেও ধর্মের সাথে গোলান নি। যুষ্ঠিষ্ঠির যক্ষরাজকে যে উত্তর দিয়েছিলেন -অর্থাৎ বুদ্ধিমান লোকের মতন কর্মপালনই ধর্ম-তাই আমরা দেখবো মহাভারত জুরে। ভীষ্ম তার প্রতিজ্ঞাপালনে সুবদ্ধ-কর্ন তার দানকর্মের মগ্ন। কেও বর্ণভেদ মানছেন-কেও বর্ণভেদের বিরোধিতা করছেন কারন তা অমানবিক। সেগুলোই ছিল তাদের ধর্ম। লক্ষ্যনীয় যে মহাভারতের কথাকার "ধর্ম পালনের" প্রসঙ্গে বর্নভেদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহেও উস্কানি দিয়েছেন-আবার প্রধান চরিত্রদের বর্নভেদ মানিয়েওছেন।

    কোথায় মূর্তিপূজো বা পূজো অর্চনা আছে মহাভারতে? কোথাও নেই ।

    আসল সত্য হল এই মূর্তিতুলে পূজো অর্চনাটাও ভারতে ইম্পোর্টেড। বহিরাগত হুনদের কাছ থেকে শেখা (০০৭০-০০৮০) । সেটা মহাভারতের যুগের অনেক পরে এসেছে। মহেঞ্জোদারোতে যে যোগী মূর্তি পাওয়া গেছে, সেটা সম্ভবত জৈন যোগগুরুর। এবং আরেকটা ভুল ধারনা মন থেকে ভাঙা দরকার। জৈন ধর্ম ভারত কেন পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্ম। ঋকবেদের ও আগে এর অস্তিত্ব ছিল। এটি মোটেও হিন্দু ধর্মসংস্কার বা বৈদিক ব্রাহ্মন্য ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না। উৎসাহী পাঠকরা জৈন ধর্ম নিয়ে আমার আগের লেখাটা দেখতে পারেন ( http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=28847 )। সুতরাং বৈদিক হিন্দু ধর্ম, ঋকবেদের ধর্ম আদি সনাতন ধর্ম -এসব ভুল ধারনা ভাঙা দরকার।

    বৈদিক হিন্দু ধর্মের মূল চারযোগে। অথচ এই যোগ এবং সাধনার কোন ধারনাই ঋকবেদে নেই। ঋকবেদে শুধুই আচার অনুষ্ঠান, স্তোত্র, মন্ত্র। যোগ সাধনা নিঃসন্দেহে জৈন ধর্ম থেকে বৈদিক ধর্মে ঢুকেছে। ঠিক যেমন বৌদ্ধ পন্ডিতদের চাপে বৈদিক ধর্মের সব থেকে সুন্দর সাহিত্য উপনিষদের জন্ম হয়।

    প্রায় দেখি বাংলাদেশের অনেক হিন্দু নিজেদের সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী বলে গর্ব করেন। তা এই সনাতন ধর্ম বলতে তারা যা পালন করেন, তা কতটা দেশী আর কতটা বিদেশী মাল? যদি ধরে নিই সনাতম ধর্মের একটা রূপরেখা আমরা মহাভারতে পাই-তাহলে তারা যেসব মূর্তি তুলে পূজো অর্চনা করছেন, পালা পার্বনে অংশ নিচ্ছেন-তা কি আদৌ কোনদিন সনাতন ধর্মে ছিল?

    একটু পড়াশোনা করলেই জানা যেত যে বাংলায় যেসব দেবদেবী পূজিত হয়-শিব, দূর্গা কালী ইত্যাদি-এদের অধিকাংশই শংকর প্রজাতির দেবতা। কিছুটা দেশী, কিছুটা বৈদিক পুরান-সব ঘেঁটে ঘ হয়ে এই সব দেবদেবীরা বিবর্তিত। এর সাথে মহাভারতের সনাতন ধর্মের সম্পর্ক নেই ।

    (৩)
    বল্লাল সেনের (1160–1179) আগে বাংলায় বৈদিক ধর্মের অস্তিত্ব ছিল না। কোন ব্রাহ্মন ক্ষত্রিয় ছিল না বাংলায়। অনেকে বলবেন প্রথম গৌড়ীয় রাজা শশাঙ্ক ছিলেন শৈব। এই ব্যপারটা গোলমেলে। এটা ঠিক শশাঙ্কের আমলের এবং তার আগের অনেক শৈব মূর্তি বাংলার মাটি খুঁড়লে এখনো ওঠে। আমি যেখানে থাকতাম সেখান থেকেও দেখতাম মাটির তলা থেকে প্রাচীন শৈব মূর্তি উদ্ধার হত। কিন্ত ইনি বৈদিক শিব নন। ঠিক যেমন মহেঞ্জোদারোর যোগী বৈদিক শিব নন। শিব আসলে উর্বরাশক্তির লিঙ্গ দেবতা এবং যোগী দেবতার শংকঢ়। জায়গায় এর নানা ভ্যারিয়েশন। পরে ইনি বৈদিক দেবতাদের মধ্যে ঢুকে যান। লিঙ্গ দেবতার ধারনা পৃথিবীর সব দেশের প্যাগানদের মধ্যে ছিল । মেসোপটেমিয়া থেকে রোম সর্বত্র লিঙ্গ দেবতার ধারনা ছিল। সুতরাং কোন লিঙ্গ দেবতা কেও পূজো করতো মানেই সে বৈদিক ধর্মের অনুসারী তা কিন্ত নয়। লিঙ্গদেবতার ধারনা সর্বব্যাপী।

    বল্লাল সেনের আগে পাল রাজাদের আমলে বাংলাতে বৌদ্ধ এবং লোকায়েত অনেক ধর্মই ছিল-যার মধ্যে তান্ত্রিক, কালীভক্ত এবং নানান স্থানীয় প্যাগান সংস্কৃতিই পাওয়া যাবে। বৌদ্ধ ছিল রাজধর্ম। কিন্ত কোন জাতিভেদ পাওয়া যাবে না ।

    সেন রাজারা এসে প্রথমে বাংলার সব প্রজাদের শুদ্র বানাইলেন! কনৌজ থেকে ব্রাহ্মন ধরে এনে তাদের গ্রাম দিয়ে বাংলায় ব্রাহ্মন্য ধর্ম, বৈদিক মতে পূজা অর্চনা চালু করলেন। ব্রাহ্মনদের বংশ বৃদ্ধি করতে এদেরকে অনেকগুলি গ্রাম দিলেন। কুলীন ব্রাহ্মনদের অসংখ্য বিবাহে উৎসাহ দেওয়া হল যাতে ব্রাহ্মনদের বংশ বৃদ্ধি হয়। এরাই আজকের চট্টোপাধ্যায় ( যারা চিটাগঞ্জের কাছে গ্রাম পেয়েছিলেন ) বন্দ্যোপাধ্যায় ইত্যাদি উপাধ্যায়।

    এক অদ্ভুত হিন্দু যুগের সুচনা হল বাংলায়। কিছু ব্রাহ্মন। বাকী সবাই শুদ্র। বাংলাতে আজো ক্ষত্রিয় বৈশ্য নেই । বাংলার ব্যবসায়ী শ্রেনী সাহারাও শুদ্র আবার বোসের মতন রাজকরনিক শ্রেনীও শুদ্র!!

    পাল রাজাদের আমলে যারা ধর্মীয় সাম্য উপভোগ করছিলেন, তারা হঠাৎ করে বর্নহিন্দুর এই শুদ্র স্টাটাসটা মানবেন কেন ? না । বাংলা কখনোই সেন রাজাদের মেনে নেয় নি। বল্লাল সেনের আমলে তার এই জোর করে ব্রাহ্মন্য হিন্দুধর্ম চাপানোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয় চারিদিকে। এর মধ্যে বিখ্যাত ছিল বর্ধমানের কৃষক-জেলে বিদ্রোহ। সুন্দরবন এলাকাতে বিদ্রোহ করেন কোম্মপাল (১১৯৬) । তিনি সুন্দরবন এলাকাতে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

    অবস্থা বেগতিক দেখে লক্ষণ সেন, বাংলার শুদ্রদের মধ্যে ২৭ টি কাস্টকে উত্তমর্ন শুদ্র স্টাটাস দিলেন ! কিন্ত তাতে কি আর শেষ রক্ষা হয়? বাংলার জনগন তখন এই বহিরাগত ব্রাহ্মন আর সেনদের প্রতি বেজায় বিক্ষুব্ধ।

    ফলে মাত্র দুহাজার সৈন্য নিয়ে বখতিয়াল খিলজি যখন নবদ্বীপ আক্রমন করলেন (১২০২), লক্ষন সেনের পালানো ছাড়া আর কোন পথ ছিল না ।

    এর পরবর্তীকালে বাংলায় লোকজন দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে থাকে ব্রাহ্মন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণায়। হজরত শাহ জালালের (১৩০৬-) মতন সুফীদের প্রচারে আকৃষ্ট হয়ে বাঙালী দলে দলে ইসলাম গ্রহন করতে থাকে চোদ্দশ শতক পর্যন্ত ( শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মের আগে পর্যন্ত)।

    তবে বাঙালীর ইসলাম ও এক অদ্ভুত ধর্ম। বাঙালী মুসলমান আরবিক জানত না কোনদিন ই -বাংলাতে লেখা কোরান ছিল না এই উনবিংশ শতকেও। তারা মুসলমান হয়েছিল, নামে মাত্রই । অধিকাংশ বাংলা মুসলমান গৃহেই তাদের আদি ধর্ম এবং পার্বনের চল ছিল ষোল আনা। অনেক বাঙালী মুসলমান গৃহেই কালীপুজো হত এই সেদিন ও। আমি নিজেই দেখেছি এরূপ অদ্ভুত জিনিস গ্রামে।

    না -বাঙালী মুসলমানদের কোরান হাদিসে উৎসাহ ছিল না কোনদিন ই। এর সব থেকে বড় উদাহরন আরাকানের রাজসভায় প্রথম বাঙালী মুসলমান কবি (১৫৯৭-১৬৭৩) আলাউল। আলাউল বিখ্যাত পদ্মাবতী কাব্যগ্রন্থের জন্য। তার বাকী কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে বদিউজ্জামাল কাব্যগ্রন্থটি বাদ দিলে বাকীগুলি ( সতী ময়না, সপ্ত পয়কর ) সবগুলিই হিন্দু কাব্য কাহিনী থেকে নেওয়া।

    আর সেই জন্যেই উনবিংশ শতাব্দি পর্যন্ত একজন ও বাঙালী মুসলমান পাওয়া গেল না যিনি কোরান বাংলায় অনুবাদ করতে উৎসাহী হবেন। বাংলায় কোরান অনুদিত হল। কিন্ত করলেন একজন ব্রাহ্ম। গিরীশ ভাই। কেশব চন্দ্র সেনের অনুরোধে। তাও তাকে যেতে হল লক্ষ্ণৌতে। কারন বাংলাতে তিনি একজন ও কোরান বিশারদ পন্ডিত পেলেন না !

    অর্থাৎ বাঙালী মুসলমানরা নামেই মুসলমান ছিল-কোরানে কি আছে না আছে-এদের কেওই কোনদিন জানার চেষ্টাও করে নি। ফলে ইসলামটা অধিকাংশ বাঙালী মুসলমানদের কাছে একটা ধর্মীয় আইডেন্টির বেশী কিছু ছিল না দীর্ঘদিন।

    যাইহোক চৈতন্যের জন্মের আগেই অধিকাংশ বাঙালী নমঃ নমঃ করে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে-যদিও তারা আদৌ জানত না কোরান হাদিস কি বা মহম্মদ কে ছিলেন! সবটাই যেটুকু সুফী ইসলামের ভাল ভাল গল্প উপদেশ তারা শুনতো-সেই টুকু ইসলামি লোকগাথাই ছিল তাদের ইসলাম।

    (৪)
    চৈতন্যদেবের (১৪৮৬-১৫৩৪) গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মই প্রথম বাঙালী হিন্দুত্বের একটা প্রথম আইডেন্টিটি। তিনি জাতিভেদ তুলে দিলেন। শুদ্রদের ডেকে নিলেন। সব হিন্দু আচার বর্জনের ডাক দিলেন। ফলে ইসলামের রথ ও আটকে গেল। যদি কেও মাটির ধর্মে সাম্য পায়, যে নিশ্চয় আরবের ধর্মে সাম্য খুঁজতে যাবে না ! সেই সময় আসলেই অনেকেই ইসলাম নিয়েছিলেন নামে মাত্রে। সেই অর্থে আরবের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না । ফলে এক বিপুল সংখ্যক মুসলিম আবার চৈতন্যের হরি-সংকীর্তনে হিন্দু ধর্মে ফিরে এল। চৈতন্য ভাগবতে এর উল্লেখ আছে।

    গ্রামে গঞ্জে বাঙালীর হিন্দু ধর্মের ভিত্তি সেই বৈষ্ণব ধর্ম। এই সব পূজো অর্চনা চিরকালই জমিদারি শ্রেনীর অনুষ্ঠান। জমিদারদের এই পূজাপার্বনে নিম্ন বর্নের হিন্দুরা অংশ নিত ঠিকই-কিন্ত তাদের প্রানের ধর্ম ছিল হরি সংকীর্তন । এই ট্রাডিশন আজো চলছে। গ্রাম বাংলাতে অধিকাংশ লোক এখনো শ্রীচৈতন্যের বৈষ্ণব ধর্মেই আপ্লুত। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ বা রবীন্দ্রনাথ এরা ভীষন আরবান। এতটাই শহুরে, যে শহরের বাইরে এদের খুঁজতে আজও কষ্ট হবে।

    (৫)

    আমি শুধু এটুকুই লিখতে চেয়েছিলাম, বাঙালীর মধ্যে হিন্দুত্ব বা ইসলামিয়তের আইডেন্টিটি খুব গভীরে না । বরং বাঙালীর প্রাণের অনেক গভীরে তার বাউল গান, তার ভাটিয়ালি গান। কিন্ত গত ত্রিশ বছরে পেট্রোডলারে অসংখ্য মাদ্রাসা গজানোয় এবং মসজিদ তৈরী করে বাঙালী মুসলমানের মনে এবং রক্তে আরবের বর্বর ইসলামের বিশাক্ত বীজ বপন করা হয়েছে। ফলে পাশাপাশি থাকা হিন্দুদের জীবন হয়েছে বিপন্ন। পরিত্রানের আশায় তারাও এখন হিন্দু ধর্মে তাদের আইডেন্টি, পরিচয় খুঁজছে। বিজেপি, হিন্দু সংহতি ইত্যাদি সংগঠনের তলায় নিজেদের সংঘবদ্ধ করছে।

    সমস্যা হচ্ছে, হিন্দু ধর্মে তারা যে আইডেন্টি খুঁজছে, তা কিন্ত তাদের নয়!

    শ্রী চৈতন্য কি মুসলমানদের ঘৃণা করতে শিখিয়েছিলেন ? হরিদাস ঠাকুর (যবন হরিদাস) প্রথম জীবনে মুসলিম ছিলেন যিনি পরে বৈষ্ণব আন্দোলনের একজন শীর্ষ নেতা হবেন। চৈতন্য ভাগবতে দেখা যাচ্ছে হরিদাস ঠাকুরকে যখন ইসলাম ছাড়ার জন্য মৃত্যদন্ড দিল কাজী-উনি মোটেও ইসলামকে অসন্মান করেন নি। সেই কাজীকে একটা মুল্যবান কথা বলেছিন হরিদাস ঠাকুর। প্রকৃত ভক্তের শুধু একটাই ভগবান থাকে-আর সেই ভগবানকে ধর্মের নামে আলাদা করা যায় না ।

    সুতরাং বৈষ্ণব ধর্মকে যদি বাংলার মূল হিন্দুধর্ম ধরি-তা মোটেও মুসলিমদের ঘৃণা করতে শেখায় না ! বরং চৈতন্য চরিত্রামৃত এবং চৈতন্য ভাগবতে অনেক উদাহরন পাওয়া যাবে যেখানে শ্রী চৈতন্য মুসলিমদেরও ভাই হিসাবে ডেকে নিয়ে একসাথে নামসংকীর্তন করেছেন-তারাও ক্রমে বৈষ্ণব ধর্মের কোলে ফিরে এসেছে!

    আজকে যারা হিন্দু হিন্দু বলে আকাশ বাতাস মুখরিত করছেন, তারা পারবেন শ্রীচৈতন্যের মতন মুসলিমদের বুকে টেনে নিতে? তারাত শুধু ম্লেচ্ছ বলে বিষ ছড়াতেই ব্যস্ত। পারলে তাদেরকে ভারত থেকে বিদেয় করতে পারলে বাঁচে।

    মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ ঘৃণাকে তারা হিন্দু ধর্ম বলে চালাতে চান। সেই ঘৃণা দেখলেও আঁতকে উঠতে হয়। এটা কোন ভবিষ্যতের পথ না । ওয়াহাবী ইসলামের কবল থেকে বাঙালী মুসলমানদের বাঁচাতে হলে, তাদেরকে চৈতন্যের প্রেমের পথই দেখাতে হবে। নইলে তারা তাদের ইসলামিক পরিচিতিটা আঁকরে ধরে আরো বেশী ওয়াহাবী মুসলমান হওয়ার চেষ্টা করবে-যার পরিনাম আরো বেশী জঙ্গী, জেহাদি ও বোমা।
  • dd | 132.172.133.101 | ১৪ নভেম্বর ২০১৪ ২০:০১652170
  • একচুয়ালি, ক্ষি হয়েছে,বিপ কিছু লিখলেই সবাই মিলে পেছুনে লাগে।

    কিন্তু উনার অনেকানেক লেখাই বেশ ইন্টেরেস্টিং। এই ল্যাখাটাও। একটা বিশাল প্রবন্ধো ৩০০ শব্দের মধ্যে লিখেছেন। সেটা কিন্তু খুব কঠিন।

    দ্যাট অ্যাপার্ট, পুরাসাহিত্যে প্রথম মুর্ত্তি পুজো হচ্ছে অর্জুন যখন কিরাতরুপী শিবকে যুদ্ধে হারাতে না পেরে শিবের মুর্ত্তি গড়ে পুজো করলেন। তখন শিব স্বমুর্ত্তি ধরে আবির্ভুতো হয়ে কইলেন "মাইরী,ঠাট্টাও বুঝিস না। ঐ কিরেত ফিরেত, ও তো আমি ই"।

    ইটি মহাভারতের গপ্পো। পুরাভারতের সাহিত্যে বোধয় প্রথম মুর্ত্তিপুজোর কহানী। এ ছাড়া মুর্ত্তি, মন্দির ইঃ ছিলো না। তবে কোটিল্যের সময়ে কিন্তু সে সব চালু হয়ে গেছিলো। আরো দু একটা ইদিক উদিক তথ্য আছে। থিওরী।সে যাগ্গে।
  • বিপ | 78.33.140.55 | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২৩652171
  • মহাভারতে অনেক গপ্পোই পরের এডিশন !
  • dd | 132.171.87.239 | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৩652172
  • মহাভারতের লাস্ট এডিশন (থার্ড্টাইমের) তো ফার্স্ট থেকে ফোর্থ এ ডি- এই সময়ে ভৃগু বংশীয় বাউনদের হাতে। এক্ষনে যে মহাভারত চালু আছে (প্রায় ৮৫ হাজার শোলোক) ,তার টু থার্ডই এই "ব্রাহ্মণ্য সংযোজন"। কিরাতের গপ্পো সে সময়ের ও হতে পারে। জানি না।

    "ফলে এক বিপুল সংখ্যক মুসলিম আবার চৈতন্যের হরি-সংকীর্তনে হিন্দু ধর্মে ফিরে এল। চৈতন্য ভাগবতে এর উল্লেখ আছে।" - এটা পড়ে এট্টু ঘেঁটে গ্যালাম। চৈ ভা আমার হাতের কাছেই, মানে ঠিক জানি কোন খাটের নীচে আছে। রেফারেন্স দিলে চেক কত্তেম।
  • nirontor | 127.194.61.81 | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ২১:২৪652173
  • বিপ পাল ইতিহাসের খামচা খামচা করে উল্লেখ করেন কেন ? " প্রকৃত ভক্তের শুধু একটাই ভগবান থাকে-আর সেই ভগবানকে ধর্মের নামে আলাদা করা যায় না ।" শুধু বৈষ্ণব শ্রী চৈতন্য নন এটাই তো লিখেছেন শাক্ত রামপ্রসাদ
    "জেনেছি জেনেছি তারা - তুমি জানো ভোজের বাজি - যে তোমায় যে নাম ডাকুক - তাতে তুমি হও মা রাজি
    মগে বলে ভরা তারা - গড বলে ফিরিঙ্গি যারা - খোদা বলে ডাকে তোমায় - মোগল পাঠান সৈয়দ কাজী "
    আরো পরে রামকৃষ্ণ হিন্দু,ইসলাম ,খ্রীস্চান সব মতে সাধনা করেই বলেছেন "যত মত তত পথ " , আর তার চ্যালা বিলে বলেন "ব্রহ্ম হতে কীট পরমানু সর্বভূতে সেই প্রেমময় "
    আর বিবেকানন্দ তার লেখায় শ্রীচৈতন্য সম্পর্কে কি লিখেছেন সেটাও তুলে দি - "Although many other love-addicted great acharyas have descended but Sri Chaitanya Dev has been the supermost amongst all of them. Being God himself he has followed the path of the acharyas. - "Bharate Vivekananda ", collected by Swami Birjananda "
    বস্তুত শ্রীচৈতন্য-র চিন্তাধারা কেই এগিয়ে নিয়ে গেছেন রামপ্রসাদ , রামকৃষ্ণ ,বিবেকানন্দ - হিন্দু ধর্ম কে সংস্কার করেছেন প্রাকটিক্যাল চর্চায় । আর তত্ত্ব গত সংস্কার শ্রী চৈতন্য শুরু করেছিলেন অনেক আগে,বহু তর্কে হারিয়েছিলেন সেকালের গোঁড়া সমাজের পান্ডাদের , রাম মোহন এগিয়ে নিয়ে গেছিলেন সেই তত্বগত চর্চা ।তাত্ত্বিক সংস্কার পূর্ণতা পায় বিদ্যাসাগর এর হাতে - সংস্কৃত ধর্ম গ্রন্থ গুলে খেয়ে অনুবাদ করে ব্যাখ্যা করেন , কুপ্রথা আঁকড়ে থাকা পণ্ডিতম্মন্য সমাজপতি দের কুযুক্তি গুলো কে পরাস্ত করেন ।
  • PM | 233.223.153.7 | ১৫ নভেম্বর ২০১৪ ২২:০৮652174
  • কিন্তু রামের দুর্গাপুজো? আর নিকুম্বিলা যগ্ঞ তে কি কোনো মুর্ত্তির ব্যাপার ছিলো। ঠিক মনে পড়ছে না।

    যাই হোক বিপের এই লেখাটা প্রশংসার দাবী রাখে। বাংলার এক বড় অংশ বৌদ্ধ ছিলো। এমনকি প্রথম বাংলা লেখাও বৌদ্ধদের দান
  • b | 24.139.196.6 | ১৬ নভেম্বর ২০১৪ ০৮:২৭652175
  • চৈতন্যদেবের পাল্লায় পড়ে সম্ভবতঃ দলে দলে বৌদ্ধ ), যারা হিন্দু ধর্মাশ্রমের বাইরে, পাষন্ডী নামেই পরিচিত ছিলো, তারা বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করে 'জাতে' ওঠে।
  • dd | 132.172.63.153 | ১৬ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:২৫652176
  • পাষন্ডী? আমার ধারোনা ওরা তান্ত্রিক ছিলো, নট বৌদ্ধ।

    পাষন্ডীদের অনেকানেক রেফারেন্স আছে চৈ চ তে। কাল টুকে দিমু 'খনে।
  • lcm | 118.91.116.131 | ১৬ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৪৯652177
  • বৈষ্ণব ধর্ম বাঙালির বিদ্রোহের ধর্ম। সফল বিদ্রোহ। বোধহয় সেই শেষ সফল বাঙালির সামাজিক বিদ্রোহ।

    একদিকে শাসক মুসলমান ( ফতে শাহ/ মুজঃফর শাহ/ হুসেন শাহ ১৪৮২-১৫২০ ), অন্যদিকে, হিন্দু পরাক্রমশালী হিন্দু ব্রাহ্মণ এবং হিন্দু বর্ণবৈষম্য।
    এর মধ্যে নিষ্পেষিত প্রান্তিক মানুষদের এক জায়গায় আনলেন নিমাই।

    প্রিচিং-এর কায়্দা হিসেবে নিমাই একটা ফান্ডামেন্টাল চেঞ্জ করেছিলেন, বলেছিলেন - জ্ঞান দিলে হবে না, লোকে পালাবে, ভক্তির ডাক দাও।
    এক দিক দিয়ে দেখলে, এটা বুদ্ধের সেই বিখ্যাত - ক্ষুধার্তকে ধর্ম "জ্ঞান" দিও না।
    এবং, ইউনিক্‌নেস-এর দিক দিয়ে দেখলে - সম্পূর্ণ অহিংস এক মেথড, খানিকটা গান্ধীর অহিংস অসহযোগ আন্দোলন যেমন হয়েছিল।

    যবন হরিদাস মারা গেছেন, ভক্তরা চিতা সাজিয়েছেন। চৈতন্য এসে থামালেন। বললেন, না হরিদাস মুসলমান, ওর মৃত্যুর পরবর্তী কাজ মুসলমান ধর্মানুসারেই হবে। নিজেই দেহ বয়ে যথাস্থানে নিয়ে গেলেন, মাটি খুঁড়ে কবর দিলেন। হিন্দু-মুসলমানের সম্মানের সঙ্গে সহাব্স্থান।

    বিপ যে অন্য একটি টই খুলেছে - সেরা বাঙালি বুদ্ধিজীবির প্রভাব নিয়ে - জাস্ট ইম্প্যাক্টের দিক থেকে দেখলে চৈতন্য-হরিদাস দের এই সোশ্যাল মুভমেন্টের প্যারালাল পাওয়া মুশকিল।

    যাইহোক, বিপের এই লেখাটা ভালো - খামোকা গাল পাড়া নাই, বামপন্থার শ্রাদ্ধ নাই, বাঙালিকে তুলোধোনা নাই - ফোকাস্‌ড লেখা।
  • b | 24.139.196.6 | ১৬ নভেম্বর ২০১৪ ১১:৩৬652166
  • কিন্তু চৈতন্যের আন্দোলন-ও তো হাইজ্যাকড হয়ে গেলো, বামুনদের দিয়ে, তার টপে বসলেন নদে শান্তিপুরের অদ্বৈত গোস্বামীরা।এমনকি বৈষ্ণব বামুনদের (অধিকারী উপাধিযুক্ত) কিছুটা নিচু চোখেই দেখে।
    নইলে, এল সি এম এর সাথে সহমত।

    তুল্যমূল্য (কিম্বা হয়ত আরো বেশি) ইম্প্যাক্ট আসামে শঙ্করদেবের। উনি ট্রাইবদের ধরে ধরে মন্ত্র দিয়েছিলেন। তার দাপটে, এখনো, অসমিয়ারা মোটের উপরে বৈষ্ণব। এবং সেখান থেকে আসামের নিজস্ব কালচারাল আইডেন্টিটি তৈরী হয়ে গেলো।
  • লম্বকর্ণ | 57.15.204.107 | ০৫ মার্চ ২০১৮ ১৯:৩৯652167
  • খুবই সুন্দর, তথ্যসমৃদ্ধ বিশ্লেষণ । কিন্তু লেখক সামাজিক বৈষম্যের জন্য কেবল হিন্দুদের দায়ী করেছেন, এটাই বিস্ময়কর লাগল। যেন হিন্দু-মুসলিম ভেদ প্রকট হওয়ার পর থেকে কেবল হিন্দুরাই ঘৃণা আর অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরী করেছে। মুসলিমদের হাতে পূর্ব পাকিস্তানে(এমনকি পশ্চিমবঙ্গের কোনো কোনো জায়গায় ) হিন্দুরা কীভাবে লাঞ্ছিত,নির্যাতিত হয়েছে তা মনে হয় লেখক বাদে বাকি কারুরই অজানা নয়। বাঙালী কি নোয়াখালি ভুলে গেছে? বা পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুমেধ ও হিন্দু বিতাড়ন যজ্ঞ (নাকি ভূমি সংস্কার?)?
    বাংলায় মুসলমান কিন্তু ভাষায়, মননে (পড়ুন হিংস্রতায়) আরবী সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে। তাহলে বাঙালী হিন্দু ভারতীয় সংস্কৃতিকে আপন করে নিলে আপত্তি উঠছে কেন?
  • ref | 233.176.45.220 | ০৫ মার্চ ২০১৮ ১৯:৪৫652168
  • চৈতন্য ভাগবতের রেফারেন্স চাবার পর বিপ আর এ দিগড়ে আসে নি।
    :-))
  • avi | 57.11.130.157 | ০৫ মার্চ ২০১৮ ২১:৩৮652169
  • সারাদেশে একটা ট্রেন্ড তৈরি হয়, সেটাই মোটামুটি চলে। কে আগেপরে এলেন বা ভাবলেন বলা মুশকিল। আর যাকে কাউন্টার করতে হয়, তাকেই মোটের ওপর কপি করা হয়, কয়েকশ বছর পরে সেটাকেই হয়ত বলে আত্মীকরণ। সুফী কাউন্টার করতে ভক্তি আন্দোলন, মিশনারি কাউন্টারে ব্রাহ্ম, খিলাফত ওয়াহাবি কাউন্টারে আরএসএস ইত্যাদি।
  • Sankar | 202.88.220.252 | ০৩ আগস্ট ২০২১ ২৩:৫৩734821
  • খুব এক ঘেয়েমি লেখা। যাকে বলে আবল তাবল ।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন