এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমাদের চুরি জালিয়াতি

    damayantee
    অন্যান্য | ১৭ আগস্ট ২০০৬ | ৮১৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 71.132.140.146 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:৩২631273
  • শ্যামল,
    ম্যানেজার-কে "সবসময়' সারপ্লাস বলে দিলে! মাঝে মাঝে বলো, সবসময় নয় :-) সেভাবে দেখলে, অনেক টিম মেম্বারও কিন্তু মাঝে মাঝে সারপ্লাস রিসোর্স।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ১১:৩৫631274
  • আগে এখানে সম্পর্কটা একদম ফিউডাল ছিলো। টিসিএসে জিএলদের "স্যার' বলার রেওয়াজ ছিলো। এখনো দেখছি নতুন বাচ্চাগুলো এসে "স্যার' বলে। আমাকে বল্লে আমার বহুত রাগ হয়, সিধে বারণ করি। অনেকবার বলার পর এখন অরিজিতদা-তে দাঁড়িয়েছে, তাও মুখ ফস্কে মাঝে মাঝেই...

    আমি যখন ইউকে যাই তখন আমারও অভ্যেসটা পুরো কাটেনি। পল ওয়াটসন বার দুই শোনার পরেই আমাকে বারণ করেছিলো। তারপর থেকে হেড অব স্কুল অবধি সকলকে প্রথম নামে ডাকতুম। সেটাই দস্তুর।

    এই রকম চললে এখানে কি করে একটা ভালো সম্পর্ক হবে?
  • lcm | 71.132.140.146 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ১২:০৮631276
  • bb-প্রশ্নটা শুধু কর্পোরেট নয়, ব্রডার সেন্সেও প্রযোজ্য। তবে হ্যাঁ, প্রশ্নটা দুদিক থেকেই প্রযোজ্য, কোম্পানীও এম্পলয়িদের কাছে সৎ নয়, এন্ড, ভাইস ভার্সা।
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ১২:০৮631275
  • স্যার বলে ডাকা টা ভয়ানক খারাপ
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ১২:১৭631277
  • bb-র প্রশ্নের উত্তরগুলো ভয়ানক সোজা -

    (১) যথেষ্ট সৎ, কাজ করি, মাইনে পাই - এর চেয়ে বেশি কোন রিলেশনের কি দরকার?
    (২) আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়, আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনো কাউকে চিনিনা যার এটা করে, তবে করে এরকম কথা তো অনেকেই বলে। কাউকে করতে দেখলে বা শুনলে খিস্তি মারবো।
    (৩) যতক্ষণ কাজটা শেষ করছি ততক্ষণ আমি সার্ফ করি কি মেল করি সেই নিয়ে কোশ্চেন ওঠার মানে নেই।
    (৪) এগুলো অবশ্যই করা ঠিক নয়।

    কিন্তু আবার সেই এক কথা - কড়াকড়ি করে এগুলো বন্ধ করা যায় না। বেশি কড়াকড়ি করলে উল্টে আরো একটা কোন শর্টকাট অনৈতিক পন্থা নিতে বাধ্য করা হয় - হাউজ রেন্টে টিডিএস করা একটা বড় উদাহরণ (এই টইয়েই আছে প্রথমদিকে)।
  • lcm | 71.132.140.146 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৪৩631278
  • কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। ধরা যাক তুমি একটা কোম্পানী খুলেছ সেক্টর ফাইভে। ৫০ জন আইটি এমপ্লয়ি। ব্রড ব্যন্ড নিয়েছ vsnl থেকে - একটা ফ্ল্যাট মান্থলি লিমিটের পর এক্সট্রা ডেটা ট্রান্সফার হলে আলাদা চার্জ হবে। এবং মালিক হিসেবে তোমার চিন্তা ভাবনা ওপেন , কোনো রকম রেস্ট্রিকশনে বিশ্বাস করো না।
    এবারে তুমি দেখলে সবাই ভালো কাজ করছে, কিন্তু তেড়ে মিডিয়া কন্টেন্ট নামিয়ে তোমার এক্সট্রা দু লাখ টাকা vsnl বিল বাড়িয়ে দিয়েছে।
    তুমি কি করবে, ওপেন থাকবে? কোম্পানী পলিসি অ্যামেন্ড করবে? টাকা খরচ করে মনিটরিং সফটওয়্যার বসিয়ে প্রত্যেকের ইউসেজ দেখে তাদের হাতে বিল ধরিয়ে দেবে?

    সুতরাং, সমস্যাটাকে একদিক থেকে না দেখে, একটু টেবিলের ওপাশ থেকে দ্যাখো।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:০৩631279
  • আমি ওরম পে পার ইউজ টাইপের বা লিমিটওয়ালা ব্রডব্যাণ্ড নেবোই না।
  • lcm | 71.132.140.146 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:১৪631280
  • [কিন্তু এটা সত্যি ঘটনা। অবশ্য ৯৭-৯৮ নাগাদ]
    টেকনিক্যালি, আনলিমিটেড ব্যান্ডউইড্‌থ বলে কিছু হয় না। এরও লিমিট থাকে, ডেটা পাইপ সাইজের ওপর নির্ভর করে।
    এসব বাদ দাও, ফোন বিল ধরো প্রচুর এলো। কি করবে? বা, ধরো জনগণ প্রচুর পাতার পর পাতা প্রিন্ট করল, কাগজ/প্রিন্ট বিল এলো।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:২০631281
  • লোকজনের মানসিকতার ওপর নির্ভর করে পুরোটাই।

    নিউক্যাসল ইউনিতে লোকাল ফোনের কোনো রেস্ট্রিকশন ছিলো না। কিন্তু একটা নিয়ম ছিলো - কাজের ফোন এম্নি করতে পারো, পার্সোনাল ফোনের আগে ৮ ডায়াল করে করতে হবে - তাহলে মাইনে থেকে ওই ফোনের খরচ অ্যাডজাস্ট হবে। লোকজন নিয়ম মানতো। কিন্তু লাইনটা ওপেনই ছিলো - আটকানো হয়নি।

    কাগজ নিয়ে কোনো রেস্ট্রিকশন ছিলো না - পেপার, থীসিস লেখার সময় ড্রাফ্‌ট প্রিন্ট, শেষ হবার পর তিন কপি ভাইভার আগে, তিন কপি ফাইনাল - সবই তো ইউনির প্রিন্টারে, ইউনির কাগজে...

    সেই মানসিকতার প্রশ্ন - লোকজন ছিঁচকেমো করে না, কোম্পানিও রেস্ট্রিকশন আনে না। আমার পছন্দ এরকম এনভায়রনমেন্ট।
  • sayan | 160.83.72.212 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ২০:৪৬631168
  • কিছু অবজারভেশন -

    ১) দেশে ইদানিং দেখলাম "Auth Code" দিয়ে বাইরের নাম্বার ডায়াল করা। লোকাল, এসটিডি ও আইডিডি'র জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোড এবং তার অ্যাকসেস ক®¾ট্রাল প্রোম্যা ও অ্যাবাভ'দের জন্য। বাকি সবার জন্য মেইল/আইএম/এক্সটেনশন ডায়াল।

    ২) যারা স্বগৃহ থেকে আপিস আওয়ারের বাইরে কোনও ইন্টারন্যাশানাল কনফারেন্স ব্রীজে প্যাচ করে তাদের লোকাল অ্যাকসেস নং নিজ ফোন হতে ডায়াল করতে হবে (যা অনেক ক্ষেত্রেই টোল-ফ্রী নয়)। কোম্পানীর বোর্ড থেকে আর লোকাল নং-কনফারেন্স নং কানেক্ট করা যাবে না। এই কল বাবদ খরচ রিইম্বার্সিবল নহে।

    ৩) দেশে VoIP থেকে ব্যাক্তিগত ইন্টরন্যাশানাল কল প্রচুর করা হচ্ছে। ইহার এসিএল নাই।

    ৪) ক্লায়েন্টের অনশোর (অনসাইট?) আপিসের VoIP থেকে বিজিনেস কল ব্যাতিরেকে দেশে ফোন করা একটি বেস্ট প্র্যাকটিশ। এক্ষেত্রে প্রোডাক্টিভ সময় নষ্ট করে পার্সোনাল ইন্টরন্যাশানাল কল করতে কাহারও কোনও দুবিধা নাই। যেহেতু প্রতিটি ফোন ইউজার লগিন স্পেসিফিক, আগামিকাল ক্লায়েন্ট এই সব কল কস্ট যদি ভেন্ডারকে বিল করে তার জন্য কি কোং দায়ী হবে?
  • bb | 117.195.174.16 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ২১:৩৬631169
  • Arijit আমাদের পছন্দটা কিন্তু কোম্পানীর জন্য ভালো নাও হতে পারে। ১০০ জনের একটা ছোট টিম চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে জানাই-

    ১) আমি বহু লোককে চিনি যারা surfingটা শুধু অফিসের সময় অফিসের মেশিনেই করে।
    ২) অনেকে সমস্ত ব্যক্তিগত ফোটকপি থেকে প্রিন্ট আউট গুচ্ছ গুচ্চ পাতা নস্ট করে। অনেক print out printer ই পড়ে থাকে, Collect ও করেনা অনেক সময়।
    ৩) VOIP থেকে ব্যক্তিগত international কল করা বা অফিসের মোবাইল থেকে নিজের ফোন করা তো accepted practice

    এত সব অব্যবহারের ফলেই কোম্পানীরা বাধ্য হয়েছে restrictive policy আনতে।
    আমাদের দেশেই কিন্তু IT ছাড়া বাকি জায়গায় এই নিয়মগুলি অনেকদিন থেকেই চালু আছে আর সেখানে যারা কাজ করেন, তারা কিন্তু IT "গাইস" দের থেকে কোনো নিকৃষ্টলোক নন।

    শ্যামল, অফিসে ম্যানেজারের নিশ্চয় অধিকার আছে কাজের পরিদর্শন করার। Self Regulation যদি এতই কার্যকরী হতো, তাহলে কিন্ত এত scam হোত না। সারা পৃথিবীতে statutory regulation এর দরকার ছিল না। আসলে আমরা কেউই খবর্দারী পছন্দ করিনা বলে এই সব self regulation এর কথা বলে থাকি।
    lcm কোম্পানীর অসাধুতাকে কোনরকম সমর্থন না করে আপনার পয়েন্ট কে সমর্থন করছি। টিম চালাতে গেলে বোঝা যায়, সমালোচনা করা সোজা কিন্তু কোম্পানীর দিকটা দেখাও জরুরী।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ২২:৩৮631170
  • মানে কি? আপিস থেকে ভাটানো আনএথিকাল?
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:২৯631171
  • এর কোনো রুল হয় না। যে কোম্পানী রুল করে তাদের ইনএফিশিয়েন্ট, ওল্ড ফ্যাশনড ম্যানেজমেন্ট।

    ১। আপিস টাইম - বেশির ভাগ লোক কাজ করে। যদিও কাজের ক্ষেত্রেও ৮০-২০ ল খাটে। মানে ৮০ শতাংশ কাজ ২০ শতাংশ লোক করে। বাকীরা নেট সার্ভ করে। এজানা কথা। ম্যানেজারের ভূমিকা হওয়া উচিত ২০ শতাংশকে সব সময় খুশি রেখে চলা। বাকী ৮০ শতাংশকে বেশি কাজ চাপিয়ে, স্টিভ ডেডলাইন রেখে, কাজ করানোর চেষ্টা করা। যদি তাতেও চিঁড়ে না ভেজে তাহলে বাজে ফিডব্যাক দিয়ে টিম থেকে বের করে দেওয়া। প্রতি টিমে এরকম দুই থেকে একজন থাকে যাদের দিয়ে কিস্যু হয় না। বেশি না। তাদের অন ট্র্যাক আনতে পারলেই আপনি খুব ভালো ম্যানেজার।

    ২। আপিসের রিসোর্স - ঐ ২০ শতাংশ লোকের জন্য এক রুল আর বাকী ৮০ শতাংশের জন্য আর এক রুল। অল্প স্বল্প এদিক ওদিক প্রিন্ট আউট লোকে নেবেই, ইগনোর করুন। দিনের পর দিন একই লোক পাতার পর পাতা প্রিন্ট আউট নিলে ডেকে জিগ্যেস করুন সমস্যাটা কি? যদি ধরা না যায় কে প্রিন্ট আউট নিচ্ছে তাহলে কি করে ধরবেন সেটা আপনার দায়িত্ব। কোম্পানির জন্য খুব বেশি চিন্তা করে লাভ নেই। এর পরেও কোম্পানি বেশ লাভ করে।

    ৩। আপিসের রিসোর্স - যদি না খুব বেশিরকম পয়সা খরচ হয় তাহলে করতে দেওয়াই উচিত। যেমন ছোট খাটো লোকাল কল। (আমাকে আমার বস বার চারেক আমেরিকায় ফোন করতে দিয়েছিল পার্সোনাল কারণে। হেবি মোটিভেটেড হয়ে অসাধ্য সাধন করেছিলাম। ছোট ট্রিক কাজে লাগে খুব)।

    এগুলো হচ্চে ম্যানেজমেন্ট ট্রিক - অন্যদের দেখে মনে ধরেছে তাই শেয়ার করলাম। ম্যানেজার দের কাজে লাগতে পারে। মোদ্দা কথা এথিকাল বা আনএথিকাল বলে কিছু হয় না। কেউ যদি পারফর্ম করার পরে এসব করে তো সহ্য করতেই হবে। কারণ পারফর্মারা অ্যাসেট। ননপারফর্মারা এসব করার ধক রাখে না। যদি কেউ রাখে সে গেল আর কি ঐ সায়নের দেওয়া লিঙ্কের ত্রিশ জনের একজন হবে।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৭ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:৩৯631172
  • হ্যাঁ ঐ বিল জালি করাটা ছিঁচকেমো। কোনো মানেই হয় না। মানে আমি ওটা মন থেকে ঠিক সাপোর্ট করতে পারছি না। তবে একবার এরকম একটা জালি আমার বস এবং তার বসকে করতে দেখেছি। প্রচূর চাপ চলেছে, সামনে বিরাট ইমপ্লিমেন্টশান। লোকজন বায়না ধরেছে ডিনারে যাবে, মাল খাবে। তো, অ্যাকাউণ্টের পয়সা ছিল না। বসকে বলাতে, বস তার বসকে বল্লে। দুই বসে মিলে শলা করে ডিনার, মালের বিল কোন একটা অ্যাকাউন্টে জানি ফেললে। যাক সবাই খুব খুশি হয়ে মাল খেয়ে প্রোজেক্ট উতরে দিলে। বসও খুশি, আমরাও খুশি।
  • bb | 125.16.17.152 | ০৮ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:২৫631173
  • arjo আপনার কথাগুলি খুব সত্যি।
    এই ২০% লোকই বাদ পড়ছে আর মিডিয়া তাকে নিয়ে লিখচে।
    Performerদের নিয়ে কোনো প্রবলেম নেই। আর নিজের পকেট থেকে টিম ডিনার বা লাঞ্চ সব ম্যানেজাররা করে থাকে।
  • d | 117.195.34.49 | ০৯ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:৫৫631174
  • সত্যমের এই কর্মচারীদের অবশ্যই মামলা করা উচিৎ। বিল জালিয়াতি অবশ্যই অন্যায়, কিন্তু সেটা তো এরা যখন জমা দিয়েছে, তখনই ধরা উচিৎ ছিল। দেড় বছর হয়ে গেছে মানে রি-ইম্বার্সও করেছে কোম্পানি। তো, কোম্পানি তখন যদি ধরতে না পেরে থাকে, সেটা তাদের সিস্টেমের দোষ। এখন কোম্পানিরই দায়িত্ব প্রমাণ করা যে বিল জালিয়াতি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে কোম্পানির দায়িত্ব এসে যায়, যারা সেগুলো অ্যাপ্রুভ ও রি-ইম্বার্স করেছে, তাদেরও শাস্তি দেওয়া। তা নাহলে এর পেছনে অন্য গল্প আছে বলেই মনে হয়।
  • sayan | 24.0.145.33 | ০৯ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৫৪631175
  • আচ্ছা এই সব হাউস রেন্ট রিসিপ্ট, মেম্বারশীপ/ সার্টিফিকেশন ফী ক্লেম, মেডিক্যাল বিল ইত্যাদি ডকুমেন্ট কোম্পানী কখন ভেরিফাই করে? যেহেতু এমপ্লয়ী মান্থলি/কোয়ার্টারলি/হাফইয়ার্লি ... যখনই এই সব সাবমিট করে এগুলো কি তৎক্ষণাত ভেরিফাই করা হয় না কি অ্যানুয়াল অডিটের সময়? ট্যাক্সের জন্য ডকুমেন্ট দাখিল করা হয়েছে - এই মর্মে ইনকাম ট্যাক্সে ছাড়/ রি-ইম্বার্সমেন্ট ইমিডিয়েট পে-রোল থেকে অ্যাপ্লিকেবল হয়। যদি তাই হয় তো কোম্পানী গত ফাইনান্সিয়াল ইয়ারের অডিটের আউটকাম দেখে এমপ্লয়ীদের শো-কজ করতেই পারে। এটা আমার ধারণা। ঠিক বা ভুল হতে পারে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:১২631176
  • আমি তো রাখাল নই, হবোও না কোনদিন। আর গরু হিসেবে জোয়াল লাগানো কক্ষণো সমর্থন করবো না:-)
  • d | 14.96.157.214 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১২:৪৫631177
  • এই ঘটনাটা লেখার পক্ষে মনে হয় এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত টই।

    সেক্টর পাঁচের এক আইটি কোঙে চাকুরীরত এক বালিকা কদিন আগে HDFC ব্যাঙ্কের পাঠানো Standard Life ইনশ্যুয়োরেন্সের একটি কিট পায়। বালিকা সেটি খুলেও দেখে নি তখন, যেহেতু ওদের স্যালারি অ্যাকাউন্ট হওয়ার সুবাদে HDFC প্রায়ই এটা সেটা কিট পাঠায়। এরপরে রবিবার ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট দেখতে গিয়ে বালিকার চক্ষু চড়কগাছ। সেখানে ৫০০০০/- টাকার ডিম্যান্ড ড্রাফট কেনার জন্য ব্যয় হয়েছে বল্কে লেখা। কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে ও জানতে পারে যে ও নাকি ইনশ্যুয়োরেন্সের জন্য ডি: ড্রা: বানাতে ঐ টাকাটা খরচ করেছে। এবারে মেয়েটি ধন্ধে পড়ে, তাহলে কি ও খেয়াল না করে ও কেন ফর্মে সই করে দিয়েছিল!। কিন্তু ডিম্যান্ড ড্র্যাফট?! সে তো আর অমনি অমনি হয় না।

    এইবারে সেই কিটটার কথা ওর মনে পড়ে। খুলে দেখে ও নাকি ৫ বছর ধরে বছরে ৫০০০০ টাকা করে দিয়ে যাবে ইত্যাদি। ওরা ওকে আবেদনপত্রের একটা কপিও পাঠিয়েছে। সেখানে মেয়েটি দেখে যে ওর সই প্রায় অবিকল নকল করা। খালি চোখে দেখে বোঝা কঠিন, খুব কঠিন। এই সময়ই খেয়াল করে যে ওর সম্পর্কে প্রায় সমস্ত তথ্যও ঠিকঠাক শুধু ওর শিক্ষাগত যোগ্যতা বি. কম. আর অফিসের ডেজিগনেশানও ভুল।

    এই দুটো নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ করছে যে ও ভুল করেও এটা করে নি এবং এটা পরিস্কার জালিয়াতি।
  • d | 14.96.157.214 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৩:০৪631179
  • মেয়েটি এইসময় আমাকে ফোন করে কী করা যায় জানতে চেয়ে। আমি বলি প্রথম কাজ হবে HDFC ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ইমপার্সোনিফিকেশান ও ফর্জারির অভিযোগে একটা FIR দায়ের করা। তারপর সেই FIR এর কপিসহ ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা করা। গেছোদাদা-কৌশিক বলে কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটে Write to Police Comissionar বলে একটি লিঙ্ক নাকি আছে। সেখানে খুব সংক্ষেপে ঘটনাটা জানিয়ে দিতে।

    বালিকা এক স্টেট ব্যাঙ্কের হোমরা চোমরা কারো সাথে এই বিষয়ে কথা বললে তিনি FIR ইত্যাদির সাথে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গ্রিভান্স সেলেও অভিযোগ করে দিতে বলেন।

    এর মধ্যে বালিকার বাবার একটি ছোটো দুর্ঘটনা ঘতে, ফলে কাল ও FIR করতে যেতে পারে নি। কিন্তু ব্যাঙ্কটা অফিসের কাছে হওয়ায় ব্যাঙ্কে গিয়ে বলে যে এই জালিয়াতির জন্য ও FIR করবে, পুলিশ কমিশনারকে লিখবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গ্রিভান্স সেলে জানাবে এবং কোম্পানি ম্যানেজমেন্টকেও জানাবে স্যালারি অ্যাকাউন্ট HDFCতে রাখা একেবারেই নিরাপদ নয়। ব্যাঙ্ক ওকে জানিয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওর টাকা অ্যাকাউন্টে ফেরত চলে আসবে, ও যেন FIR ইত্যাদি না করে।

    ব্যাঙ্কে যে ছেলেটি 'নাকি' ওর ফর্ম সংগ্রহ করেছিল, তার সাথে দেখা হয়। সে ছেলেটি নাকি কাঁচুমাচুমুখে কেবলই বলে 'হ্যাঁ আপনি এটা করেছিলেন তো।' আমি বলেছি টাকা ফেরত আসুক, কিন্তু তাও FIRটা যেন ও অবশ্যই করে। কারণ সই জাল করাটা তো ক্রিমিন্যাল অফেন্স। আর ওর সই জাল করেছে, পরে ঐ জাল করে অন্য কিছুও করতে পারে। টাকা ফেরত আসলেই এটা অমনি অমনি ছেড়ে দেওয়া একেবারেই উচিৎ হবে না।
    \
    সবার জ্ঞাতার্থে এখানে ঘটনাটা লিখে রাখলাম।
  • Shibanshu | 59.93.79.173 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৩:৩৫631180
  • বেসরকারি ব্যাংকগুলিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারিদের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ বিরল নয়। পেশাগতভাবে আমার কাছে এ জাতীয় খবর কয়েকবার এসেছে।
  • Samik | 122.162.75.128 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৭:৫২631181
  • এদিকে আমার নতুন কোংয়ে আমাকে এইচডিএফসিতেই স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কালই। কী গেরো।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৮:৪৯631182
  • কেন? তোমার পুরনো অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট করতে পারবে না?
  • Manish | 59.90.135.107 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৯:৪২631183
  • d একদম ঠীক কথা। সই যখন জাল হয়েছে, HDFC Bank কে salary Account রাখা হেভী রিস্কের হয়ে যাবে।
  • pi | 72.83.87.179 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ১৭:৪৯631184
  • কাল চ্যাপলিন নিয়ে শুনলাম ( প্রতিদিনের লিংটা কেউ দেবে ? ) , আজ শুনি ব্লগ চুরির গপ্পো।

    এই ব্লগের সবই নাকি চুরি করা লেখা :

    http://firstsarothi143.blogspot.com/2011/05/blog-post_5068.html?zx=1c695f0fc1faeb6d

    সামরানদি, অদিতি, অনেকেই জানিয়েছেন।
  • Nina | 12.149.39.84 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:৩২631185
  • সে কি ই ই ই :-০
  • | ২৮ মার্চ ২০২২ ২১:২২736102
  • এই টইটাই খুঁজছিলাম। আরো নানা ব্যক্তিগত আক্রমণের সাথে এইটাও ছিল। সিটি দেওয়াবেবং সিটি দেবার কথা মহিলাদের বলা হয় কারণ সিটি দেওয়া কররমটা লুইচ্চা লোফাররা মহিলাদের অপমান করতেই করে।  
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন