কবিগুরুর পুরাতন ভৃত্য কবিতাটি প্রায় সকলেই পড়েছেন। তার অনুকরণেই এই বিনম্র প্রয়াস । বর্তমান কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে মিল খুঁজে পেলে তা অনভিপ্রেত .................................................................................পুরাতন কেষ্টরমিত চট্টোপাধ্যায় পাহাড়প্রমান চেহারা যেমন তেমনি গলার জোরদেখলেই ওকে বিরোধীরা সব আঁটেন ঘরের দোরগেরুয়া-লালেরা যতই চেঁচাক, শুনেও শোনে না কানেকালীঘাট থেকে বকুনি দিলেও, তবু না বারণ মানেদরকার হলে, ফোন করে শুধু একবার বলি ,'কেষ্টা!'বান্দা হাজির, দলবল নিয়ে, নিমেষেই সলভ কেসটা কোন বিরোধীকে কোথায় সরায়, কেউ তাহা নাহি জানেগেরুয়া কাপড়ে চোখের পলকে নীল সাদা ছেপে আনেসব গুণ তার , একটাই খালি ভীষন রকম দোষঅক্সিজেনটা ঠিকঠাক তার পায়না মাথার কোষগুড় জল দিয়ে বশ করে রাখে গোটা বীরভূম জেলাভোটের আগেই বাজে জয়ঢাক, ... ...
বাংলায় "শিয়াল মামা"র কদর তার দিমাগের জন্যে। বুদ্ধির দৌলতেই সে বাংলাভাষায় "ধুর্ত শেয়াল" নামক শব্দের সংযোজন ঘটিয়েছে। "বিড়াল" বা "বেড়ালে"র মতোই "শিয়াল" আর "শেয়াল" নিয়ে ঘটি-বাঙালের ঝগড়া বুঝি বা সৃষ্টির আদিযুগ থেকে। কিশোরগঞ্জের উপেন্দ্রকিশোরের দৌলতে শেয়ালের দিমাগের সঙ্গে পরিচয় বাঙালির শৈশবেই হয়। এই সুপার কম্পিউটারের যুগেও শৈশবে উপেন্দ্রকিশোরের শেয়াল আর কুমিরের গল্প পড়ে নি বা শোনে নি এমন বাঙালির সংখ্যা খুব কম আছে। ... ...
বলছিলাম কি সমস্যাটা আসলে হল ‘খাপ’-খোলা নিয়ে। সে বিষয়টা মেরুণা মূর্মূ, স্বপ্নময় চক্রবর্তী বা পারমিতা ঘোষ (হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, পারমিতা ঘোষের কথাই বলছি) যিনিই হোন না কেন, কলের মুখে ছিপি লাগানোটা সবচেয়ে আগে দরকার। ‘যাহা খুশি বলিবার অধিকার’ ছাড়াও এ গণতন্ত্র লইয়া বহু কিছু করিবার আছে, কঙ্গনা রানাউত ছাড়াও বহু রোল মডেল আছে। তাই ফেসবুক নামক একটি ‘অসংরক্ষিত’ দেওয়াল পেয়েছেন বলেই যা মনে আছে ঝেড়ে দিলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না ভাই !না না আমি মোটেই সংরক্ষণ নিয়ে বলছি না। সেটা নিয়ে বলতে গেলে তো থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে যেত। ডাক্তারীর যে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ‘নীট’ (NEET) এই বছর তার ... ...
অনেক অনেক দিনের টালবাহনার পর তিথির মা একদিন আমায় সত্যিই ডেকে পাঠালেন। সে একটা সময় ছিল, যখন আমি প্রায় রোজই ভাবতাম — আজ না হলে কাল বা বড়জোর পরশু কাকিমা আমায় ডাকবেনই ডাকবেন। তারপর ঘটনার গতিপ্রকৃতি এমন দিকে মোড় নিতে থাকল যে একসময় একরকম বাধ্য হয়েই সে আশা ত্যাগ করলাম। তারপর একসময় প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিলাম। না, তিথিকে নয়। তিথির মা’কে। মানে তিথির মায়ের ডাকের কথা। ... ...
রেতে আকাশে / তেঁনারা কি আসে?
নো ভোট ফর বিজেপি একটি জরুরী ক্যাম্পেইন। কেন্দ্রে দুটি টার্ম ক্ষমতায় থেকে বিজেপি কী করতে পারে তা দেশের মানুষ দেখেছেন - তাদের ভোট দিতে না বলাটা কোন নেগেটিভ প্রচার নয়। কিন্তু অসম্পূর্ণ প্রচার অবশ্যই। বিজেপিকে ভোট দেব না, আমিও দেব না, আপনিও দেবেন না, বেশ কথা - কিন্তু কাকে দেব, সেটা স্পষ্ট করে বলাটাও এই মুহুর্তে খুব জরুরী। "বিজেপির বিরুদ্ধে যে আছে, তাকেই দিন" বা "আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিন শুধু বিজেপিকে নয়" - এই ধরণের প্রচারে কখনোই কোন বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়না। আমাকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, কাকে ভোট দিতে বলছি, তবেই আমার বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য হবে।আপনি যদি মনে করেন ... ...
সুন্দরবনে মধু খোঁজা আর বাঘ খোঁজা সমান কথা! কারণ দুটোই গহীন জঙ্গলে থাকে। জঙ্গলের গহীনে মৌচাকে মধু জমায় মৌমাছি। আর মৌমাছির কষ্টের ধন ‘মধু’ বনজঙ্গলে ঘুরে খুঁজে বের করেন একদল মানুষ। তাদের আমরা ‘মৌয়াল’ নামে চিনি। জীবিকার তাগিদে সুন্দরবনের ‘মউলি’ বা মধুসংগ্রহকারীদের ঘন দুর্গম জঙ্গলের ভয়াবহ বিপদসঙ্কুল পরিবেশে নিরাপত্তা ছাড়াই কাজ করতে হয় – একদিকে বাঘ কুমিরের ভয়, অন্যদিকে বনদপ্তরের ফতোয়ার সন্ত্রাস। ... ...
সবচেয়ে প্রাচীন ছড়া বলে যেটি লিপিবদ্ধ আছে সেটা পাওয়া যাচ্ছে প্রখ্যাত ভাষাচার্য সুকুমার সেনের "বাংলার ছড়া" গ্রন্থে। এটি আগে ঠাকুমা দিদিমাদের মুখে মুখে শোনা যেতো কিন্তু এখন তেমন আর শোনা যায় না। এটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। গ্রাম বাংলার মানুষের মুখ থেকে এটি সংগ্রহ করেছিলেন উইলিয়াম কেরী। মাছ আনিলা ছয় গন্ডা, চিলে নিলো দুই গন্ডা, বাকি র'লো ষোলো, তাহা ধুতে আটটা জলে পলাইলো তবে থাকিলো আট, দুইটায় কিনিলাম দুইকাটি কাঠ, তবে থাকিলো ছয়, প্রতিবেশীকে চারিটা দিতে হয়, তবে থাকিলো দুই, তার মধ্যে একটা চাখিয়া দেখলাম মুই। ... ...
খাওয়াদাওয়া নয়, বাড়ি গাড়ি নয়, টাকা পয়সা নয় , শাড়ি গয়না নয়, সাজগোজ নয়, আমার একমাত্র শখ হলো বেড়ানো। কপালগুণে কর্তামশাইয়েরও শখ প্রবল বেড়ানোর! সুতরাং, আমাদের দুই বেড়ানোবাজের একমাত্র মেয়ে হলো ডাবল বেড়ানোবাজ। তবে এক্ষেত্রে মেয়ে আর আমি সমমনস্ক সমগোত্রীয় অর্থাৎ আমার আর মেয়ের আবার বেড়ানোয় বাছাবাছি নেই, পাহাড় জঙ্গল মরুভূমি সমুদ্র সবেতেই সমান রুচি। জাস্ট তল্পিতল্পা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হলো। কিন্তু কর্তামশাই আবার ভয়ঙ্কর রকমের পাহাড়প্রেমী কিন্তু উনি আবার খাদেও বড্ড ভয় পান! বৈচিত্র্যময় সমাপতন! মেয়ের সেকেণ্ড ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা সেবার বেশ অনেকদিন পিছিয়ে যাওয়ায় শীতের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া হয়ে উঠলো না। তাতে কুছপরোয়া নেহি, দোলের তিন দিন আগে মেয়ের পরীক্ষা ... ...
এবার নাকি রুনু গুহনিয়োগির 'সাদা আমি কালো আমি' অবলম্বনে হিন্দিতে রাজনৈতিক ওয়েবসিরিজ। চারু মজুমদার চরিত্রে নওয়াজ সিদ্দিকি। জ্যোতি বসু চরিত্রে, পরেশ রাওয়াল কিংবা বোমান ইরানি। একটা বাংলা ভারসানও নাকি হবে। নির্ঘাত ডাব-টাব। সত্যি-মিথ্যে জানিনা, ডিজিটাল আনন্দবাজারে পড়লাম। প্রথম রিঅ্যাকশনে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছিল। কিন্তু হিন্দি সিনেমার উপর রাগ করে আত্মহত্যা করতে হলে অনেক আগেই করা উচিত ছিল। তা যখন করিনি, এবারও ক্ষান্ত দিলাম। পরের চিন্তাই মাথায় এল, এবার একখানা ফিলিম বানিয়ে ফেলি। কত আর খারাপ হবে। খারাপ হলেই বা কী। যত খিস্তি, তত ভিউ। একদম ইংরিজিতে বানাব। ভারতের ইংলিস মিডিয়াম বিপ্লবী থেকে আমেরিকান আঁতেল, সব্বাই দেখবে। ... ...
গতবছর ধান কাটার মৌসুমের ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধকালে শিক্ষার্থীরা যখন আরাম-আয়েসে দিনাতিপাত করছে, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ধান তোলার কাজে সাহায্য করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন৷ সেই ডাকে সাড়া দেন আমাদের এলাকার স্থানীয় ছাত্রলীগের এক শীর্ষনেতা। মাথায় গামছা, নিম্নাঙ্গে লুঙ্গি পেঁচিয়ে হাতে একটা কাস্তে নিয়ে নেমে পড়েন ধান গাছ কাটতে৷ ঘন্টাখানেক বাদে ধান কেটে শ দেড়েক ছবি তুলে সাঙ্গপাঙ্গ সমেত ধান ক্ষেত থেকে উঠে আসেন। কিছুক্ষণ পর ফেসবুকেছবিগুলো সংযুক্ত করে শিরোনামে লিখেন হেলাল হাফিজেরভূমিহীন কৃষকের গান কবিতার প্রথম পঙক্তি। "দুই ইঞ্চি জায়গা হবে? / বহুদিন চাষাবাদ করি না সুখের।" ছবির সাথে এই শিরোনাম দেখে আমি রীতিমতো আঁৎকে উঠেছিলাম। আমার জায়গায় কবি হেলাল হাফিজ থাকলেও নির্ঘাত আঁৎকে উঠতেন। ... ...
লেড জ্যাপলিনের এই অবিস্মরণীয় গানখানা রকপ্রেমীদের মধ্যে কে না শুনেছেন, তারই পুরো লিরিক্সটা হুবহু তুলে দিলাম নীচে ...
সারা রামায়ণ কিংবা মহাভারত জুড়ে ভিলেন খোঁজা মানে হলো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়। রামায়ণ মহাভারত কোনো রোমান্টিক প্রেমের কাহিনী তো নয়, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৎকালীন সমাজ দর্পন।নায়ক ভিলেন এসব সেন্টিমেন্ট নিয়ে মাথা ঘামায় নেকু পাব্লিক। (রামায়ণ) রাজনীতিতে অত উতলা হলে গদি ছিঁড়ে ভেতরের ছোবড়া পেছনে খোঁচা দেয়। ওখানে ফেলো কড়ি মাখো তেল, সীতা তুমি কি আমার পর? কে যেতে বলেছিল আমার সাথে বনবাসে, তিন তিনজন শাউড়ি সামলে ঘর করবে না তাই স্বামীর রিমোট পোষ্টিং এ বাক্স গুছিয়ে তড়িঘড়ি রেড়ি। ... ...
ভয় / কু না ল আসলে ভয়ে ভয়ে,সাবধানে সাবধানে, জীবন কাটানো যায় না,একটু এলোমেলো না হলে মানুষের ভাল লাগে না।স্বাভাবিক কাকে বলে? এখন এটাই স্বাভাবিক।তবু এসব ছাড়িয়ে চলে যেতে হবে,সেখানে কি নতুন কোনো সংকট থাকবে না? এও কি হয়! সূর্যের রক্তে ধুয়ে নিও মুক্তির সুরভি অথবা ভীত হয়ে পালাও....পালাও...পালাও....
লেসার এভিল হয়ে ওঠার পদ্ধতি নং #২২১!! মুশকিল হল এটা শুধুই ব্যক্তিগত আদর্শহীনতা, শক্তিশালীদের সেটিং, পয়সার বা আপেক্ষিক গুরুত্বের খেলা কিম্বা ব্যক্তির দার্শনিক যাত্রার খামখেয়ালিপনা বা প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তরুন অভিষেক, ইত্যাদি কাহিনী দিয়ে ব্যাখ্যা করা হবে না, তারপরেও ভীষণ ভেতরের খবরের মতন করে যেটা চালানো হবে সেটাই সবচেয়ে মারাত্মক, সেই আখ্যানে বলা হবে, 'ভালো' আরএসএস বাংলার ভালো চেয়ে বাঙালি সর্বজন গ্রাহ্য নেতা তুলে আনছে, তৃণমূল বাহন মাত্র, বিজেপি একটু দুইটা টাক একটি দাড়ির প্রভাবে কেমন একটু ইয়েমত হয়ে গ্যাছে ... ...
দুগ্গা ঠাকুরের কাছে নতুন দাবী
ফিরে এসেছি, না না গুরুচন্ডা৯তে নয়, দেশে। এসে দেখি শহরটাই শুধুমাত্র নয়, বন্ধুবান্ধব এর চিন্তাভাবনা বদলে গেছে। প্রিয় বন্ধুরা আমাকে বয়কট করেছে, প্রচার চালাচ্ছে, আমি নাকি একটা রাজনৈতিক দলে নাম লিখিয়েছি। মানে জার্সি বদলেছি। কারণ আমি এখন দেবদেবী নিয়ে বেশি লেখালেখি করি তাই, আচ্ছা কোন দেবদেবী কিভাবে কোন রাজনৈতিক দলের বাপের সম্পত্তি হয়ে গেল? দেবদেবীর কথা লিখি কারণ লোকাল দেবদেবীর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের অনেক ইতিহাস। ... ...
"না", এ প্রশ্নের সোজা উত্তর হচ্ছে "না"৷ কেউ কাউকে চিনে নেয় না৷ চেনা সম্ভব নয় বলেই।