জনতা কেবিন. তবে লোকজন খুব একটা নেই। ভিতরে আলো। খুব কম পাওয়ারের , ঝুল লাগা মায়াবী এক রোশনদান। এই আমাদের সুড়ঙ্গ। এই আমাদের প্রতিরক্ষা। ... ...
এটি নিজের বোধ থেকে জাত কোনো এক চিঠির আকারে তুলে ধরা অস্তিত্বের টান।আমি চাইছি এই নামে একটি বিভাগ হোক যেখানে চিঠির আকারে একটি সাইকোলজিক্যাল স্তর উঠে আসুক প্রতিটি মানুষের। ... ...
আমাদের একটা আস্ত সমুদ্র ছিল – ছিল সমুদ্র সৈকত। ঘরে থেকে বেরোলেই ঢেউ আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেতাম ঝাউগাছের তলায় আর কখনও কখনও প্রবল তাপদগ্ধ অলস দুপুর কাটাতে কাটাতে বারান্দায় বসে অপেক্ষা করতাম বিকেলের ভেজা বালির। আমরা তখনও কেবল দুজন মাত্র। হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই ঢেউ পেরিয়ে পেরিয়ে – কখনও দেখা হয়ে যায় পাশের বাড়ির কুকুর নিয়ে ঘুরতে বেরোনো মালকিনের সাথে, কখনও দেখা হয় কাঁকড়া খুঁজতে আসা সেই স্থানীয় লোকেদের সাথে। কখনও দেখি এক পুরো পরিবার চিঙড়ি মাছ ধরছে জাল দিয়ে ছেঁকে – বাচ্চাদের উৎসাহ অবশ্যই মাছ ধরার থেকে জলে হুটোপুটিতেই বেশী। এক সময় গোধূলি নেমে আসে – এত রঙ আমরা আর কোথাও দেখি নি। জলের সাথে ভেসে আসা কাঠের গুঁড়ির উপর বসে সূর্যের ডুবে যাওয়া দেখি। ঢেউ দেখি – শব্দের সাথে মিশে যায় দিগন্তে আকাশের শত রঙ। ধর আজকে মেঘ করেছে – এমন মেঘের ফাঁক দিয়েও আলো চুঁইয়ে পড়বে জানি অনভ্যাসের আলতা পায়ে। লাল মুছে নিয়ে যাবে ক্রমাগত আর ফিরে না আসা ঢেউ। আমি তখন দূরে ছোটার ক্লান্তি নিয়ে তাকিয়ে আছি একে একে জ্বলে ওঠা জলের ওধারে জাহাজের আলোর দিকে। আলো স্পষ্ট হয়ে আসে, ঢেউ এগিয়ে এসেছে অনেক – আমরা হাতের আঙুল নিয়ে খেলতে খেলতে ফিরে আসি কাঠের বাড়িতে। ... ...
আজকাল আর মন খারাপের খবর দেখতে-শুনতে-পড়তে ভালো লাগে না। বয়স বাড়ছে, বড্ড মানসিক অস্থিরতা জন্মায়। হয়তো বা পলায়ন প্রবৃত্তি, ঠিক জানিনা। বড় ভালো লাগে আশার, ভালোবাসার কথা পড়তে, শুনতে, দেখতেও। আসলে আমি স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ভালোবাসি। আশা করি সব্বাই মিলে মিশে হাতে হাত ধরে খুব ভালো থাকবে। তাই আজকাল হতাশার কথা শুনলেই এড়িয়ে চলি। কিছু সুদিনের গল্প শোনাতেও ভালো লাগে তাই। ... ...