এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তারাময়ী রাত্রিকথা

    Angana
    অন্যান্য | ১৮ আগস্ট ২০০৭ | ৩১৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tay ei katha | 192.168.1.102 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২০:১৫392898
  • ওভার টু অঙ্গনাদি।
  • angana | 131.95.121.132 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২০:৫১392899
  • সেই জন্মান্ধ জ্যোতির্বিদের কথা আরো বলবো পরে। এখন একটু বিরতি।

  • tay ei katha | 192.168.1.102 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৩:৩১392900
  • এ কি,অঙ্গনাদি,অসময়ে এই বিরতি কেন?
    তাহলে আমি কাছেপিঠে থাকা গ্যালাক্সিগুলো নিয়ে একটু টেনে দিই।
    ১৯৯৪ সালের আগে পর্যন্ত জানা ছিল।আমাদের সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সি হল-ঐ ম্যাগেলানীয় মেঘপুঞ্জদুটো।কিন্তু সে বছর ধনুরাশির আলো আর ধুলোর পিছনে আবিষ্কৃত হল চোট একটি বামনাকার গ্যালক্সি-Sagittarius Dwarf Elliptical galaxy,আদর করে বিজ্ঞানীরা ডাকনাম দিলেন-স্যাগডেগ (SagDEG)।সৌরমন্ডল থেকে তার দূরত্ব প্রায় ৮৮০০০ আলোকবর্ষ।যেখানে এর আগে পর্যন্ত নিকটতম গ্যালাক্সির মর্যাদা পাওয়া বৃহৎ ম্যাগেলানীয় মেঘপুঞ্জের দূরত্ব ছিল-১৮০০০০ অলোকবর্ষ।
  • angana | 131.95.121.132 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০০:৫২392901
  • সময়ে অসময়ে স্মরণ করে দুকলম লিখে যেও তয়/তকাই,টিম, কেডি ও অন্যেরা ।
    আমি বিরতি নিয়েছি বলে টইটা যেন বিরত না হয়।
    বাই বাই এখনকার মতন।
  • angana | 131.95.121.132 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০০:২৪392902
  • হ্যাঁ সেই কেন্ট কুলার্স।যাঁর কথা বলবো বলেছিলাম। জন্মেছিলেন প্রিম্যাচিওর শিশু হিসাবে, প্রাণ বাঁচানোর জন্য রাখা হলো অতিরিক্ত অক্সিজেনে,প্রাণ বাঁচলো কিন্তু চোখের কচি রেটিনা নষ্ট হয়ে গেলো অতিরিক্ত অক্সিজেনে।
    একটু বড়ো হলেই বোঝা গেলো এ ছেলে খুব বুদ্ধিমান আর অনুভূতিপ্রবণ। ওর বাবা ছিলেন একজন পদার্থবিদ, তিনি ওকে ছোটোবেলা ছোটোদের জন্য লেখা অ্যাস্ট্রোনমির বই পড়ে পড়ে শোনাতেন।হয়তো বলতেন তারাদের কেমন দেখতে লাগে সেই গল্প। অবাক উৎসুক হয়ে শুনতো ছেলে, সে কোনোদিন ঐ সূদূরের তারাদের তো দেখতে পাবে না, কিন্তু ঐ তারাদের মধ্যে যে বাজনা বাজে, রেডিও তরঙ্গ হয়ে যা ছড়িয়ে পড়ে শূন্যে মহাশূন্যে,তা একদিন সে শুনতে পাবে, ঐ তরঙ্গমালায় কি বলে যায় তারারা, সেই ছন্দ ধরতে পারবে।
    স্কুলে খুব ভালো ছাত্র ছিলো সে,স্কুল পার হয়ে গেলো কলেজে, সেখানে প্রথমে পড়ছিলো সাইকোলজি, কিছুদিন যাবার পরেই মেজর বদলে পড়তে শুরু করলো ফিজিক্স। সবার আপত্তি ছিলো,চোখে না দেখতে পেলে ফিজিক্সের মতন বিষয় যার কিনা এক্সপেরিমেটাল কাজ আবশ্যকীয়,তা করবে কি করে? কিন্তু কেন্ট এগিয়ে পড়লো সেইসব অসুবিধা সত্বেও,আন্ডার্গ্র্যাড গ্র্যাড স্টেজ পেরিয়ে একদিন করে ফেললো ডক্টরেট-অমেরিকার প্রথম সম্পূর্ন দৃষ্টিহীন পদার্থবিদ।
    পরে যোগ দিলেন নাসার সেটি(SETI) প্রকল্পে, সার্চ ফর একস্ট্রা টেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ। পঁচাশি থেকে নব্বুই কাজ করেছেন রেডিও তরঙ্গ মাধ্যমে ঐ অনুসান্ধানে। প্রথম কম্পুটার অ্যালগোরিথম ডেভেলপ করেছেন বহু দূরবর্তী কোনো নক্ষত্রের চারিপাশে গ্রহ থাকলে তাকে কিকরে ডিটেক্ট করা যাবে কন্টিনুয়াস আর পাল্‌সড সিগনাল থেকে, সেই নিয়ে। নব্বুই য়ের পরে কাজ করেছেন হাই রেজোলুশন মাইক্রো ওয়েভ সার্ভে(HRMS)তে।
    এখন কাজ করছেন ফিনিক্স প্রজেক্টে।

  • tay ei katha | 192.168.1.102 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৩:১৫392903
  • বা: ,খুব ভাল হচ্ছে।চালিয়ে যান।গ্রহান্তরে প্রাণ খোঁজার ব্যাপারটা এত আকর্ষণীয় না যে নন্দলাল ঘোষের লাল দই অবধি ভুলিয়ে দেয়।
  • tay ei katha | 192.168.1.102 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৪:০১392904
  • রাতের আকাশ দেখার গাইড হিসেবে একটা খুব ভাল সাইট হল-
    http://www.windows.ucar.edu/citizen_science/starcount/

    আগামী ১-১৫ অক্টোবর যে কেউ এই সাইটে গিয়ে তার রাতের আকাশ দেখার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারবেন সারা পৃথিবীর সাথে।কলোরাডোর University Corporation for Atmospheric Research-এর উদ্যোগে এই অভিনব সুযোগ।
  • . | 140.181.66.4 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৫:২১392905
  • অঙ্গনা,

    এই ফিনিক্স প্রোজেক্ট টা কি? এইজন্যে জিজ্ঞেস করলাম যে আমাদের ইলাকায় একটা অন্যতম বড়ো এক্সপেরিমেন্ট হ'ল ফিনিক্স, আর আমরাও একটু অন্যরকম ভাবে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য খুঁজি। একটু বিশদে বলবেন ভাই?
  • angana | 131.95.121.132 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৯:৪৭392906
  • ডট, দারুণ তো! আপনারাও খোঁজেন? একটু বলুন না সেসব নিয়ে।
    ফিনিক্স প্রজেক্ট তো রেডিও সিগ্ন্যালের মাধ্যমে পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধানের প্রজেক্ট।
    আর ভালো কথা, আমাদের ভারতে পুণে শহরের খুব কাছে জায়ান্ট মিটার-ওয়েভ রেডিও টেলিস্কোপ ফেসিলিটি আছে, GMRT বলে উল্লেখ করে সংক্ষেপে। এখানেও খুব আকর্ষণীয় কাজ হচ্ছে।
    এই নিয়ে দুপয়সা দেবেন নাকি তয়/তকাই?

  • angana | 131.95.121.132 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৯:৫৪392908
  • কেন্ট কুলার্স সম্পর্কে একটা লিংক নীচে দিলাম,এইসব মানুষদের জীবন আলোকবর্তিকার মতন, আমাদের মতন সাধারণ মানুষের কাছে এনারা লাইটহাউস-অসীম জলধির মধ্যে দিক চিনিয়ে দেওয়া ভালোবাসা ও আত্মবিশ্বাসের বাতিঘর।
    http://www.seti.org/about-us/people/staff/cullers-kent.php
  • angana | 131.95.121.132 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৬:০২392909
  • গ্রহান্তরে প্রাণ খোঁজা-ঐ অসীম নীলের পরপারে কোথাও আছে নাকি অন্য কেউ,অন্য কোনো বুদ্ধিমান জীব আমাদের মতন, অথবা একদম অন্যরকম জীব--এই জিজ্ঞাসা বুঝি আমাদের বহুকালের।ঐ তারায় তারায় ছাওয়া আকাশের নীচে বসে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে মহাবিশ্বে আমরা একা নই। এত বিশাল বিরাট ঘর শুধু আমাদের ছোট্টো গ্রহটার এই সামান্য কটি প্রাণের জন্য কখনো হতে পারে?
    গ্রহান্তরে ব্যাপারটা নিয়ে সবচেয়ে বেশী লড়েছেন ডক্টর কার্ল সাগান। ওনার কেরিয়ারের একদম প্রথম থেকেই এই নিয়ে লড়ছেন উনি। প্রধানত ওনার চেষ্টাতেই নাসা এই ব্যাপারটাকে সিরিয়াস গবেষণার মর্যাদা দেয়।
  • angana | 131.95.121.132 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ২২:১৪392910
  • কিন্তু GMRT নিয়ে কেউ তো কইলেন না? তয়/তকাই, শুনতে ইচ্ছা করে যে!
    আর ডট যে সেই বিশ্বরহস্য নিয়ে কি বলবেন বললেন, বলবেন কখন?
  • angana | 131.95.121.132 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ০৬:৫৮392911
  • একদিন ড্রেক ইকোয়েশান নিয়েও বলতে ইচ্ছে আছে। তারপরে সেই যে সেই সত্তরের দশকে তুমুল কান্ড যখন- মহাকাশ নিয়ে আবেগে উত্তাল দুনিয়া, চেনা যুগে প্রথম মহাবিশ্ব-আস্বাদনের অনুভূতি বলে কথা, সেই ভয়েজার, পাইয়োনিয়ার ১০ আর ১১,ওরা চলে গেলো সৌরমন্ডল ছাড়িয়ে,দূরে দূরে বহুদূরে,ওদের গায়েই তো সেঁটে দেওয়া হলো পৃথিবীর মানুষের সাংকেতিক পরিচয়লিপিচিত্র---বহু বহু হাজার বছর পরে ওরা যদি গিয়ে পৌঁছায় কোনো দূরবর্তী সভ্যতার কাছে, ওরা সেসব দেখে যদি চিনতে পারে যে এখানে এই মাঝারি গড়পড়তা তারাটির চারিপাশের গ্রহজগতে আছে প্রাণী, তারা বুদ্ধিমান, চিন্তা করতে পারে, স্বপ্ন দেখে,কথা কয়...
    ওরা কি খবর পেয়ে ছুটে আসবে,তার আগেই দ্রুতগতি সংকেত পাঠিয়ে দিয়ে বলবে,"বন্ধু-উ-উ-উ-উ, আমরা আসছি-ই-ই-ই-ই"
    নাকি ওরা কিছু বুঝতেই পারবে না? নাকি সব বুঝে দেশকাল ফুঁড়ে মুহূর্তে ছুটে এসে দেখবে কিছুই আর নেই,খবর পৌঁছতে পৌঁছতে সভ্যতা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে? কালসমুদ্রে ভাসমান বোতল যখন তাদের হাতে ঠেকলো ততদিণে দূরদ্বীপের নাবিক বৃদ্ধ হয়ে কালগ্রাসে পতিত হয়ে গেছেন!
    কী ক্ষুদ্র দুর্বল ভঙ্গুর মানবজীবন,কী বিরাট বিশাল তীব্রশক্তি অসীম এই জগৎ!
    তবু,কী সাহসী স্বপ্ন দেখতে পারে এই ক্ষুদ্র প্রাণীরা!

  • angana | 131.95.121.132 | ০৯ অক্টোবর ২০০৭ ২১:১০392912
  • দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেলো স্পুটনিকের পঞ্চশাবছর।সেই যে ১৯৫৭ সালে প্রথম কৃত্রিম এই উপগ্রহ মহাশূন্যে পাক খেতে লাগলো-সমস্ত দুনিয়া উত্তেজনায়,আনন্দে,কোথাও কোথাও ত্রাসে উত্তাল।সেই প্রথম মানুষ ছুঁয়ে ফেললো অসীমতা-তারপরে তো বিপুল কর্মকান্ড পুবে পশ্চিমে-লাইকা যায়,গ্যাগারিন যায়,ভ্যালেন্তিনা যায়- ওদিকে পশ্চিমে ওরা চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে হাঁটাবার চেষ্টায় উত্তাল।
    সেইসব মহাকাশীয় অ্যাডোলেসেন্স ছটফটানি কমে এসেছে, মানুষ অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছে এখন এসবে। এই বিপুল নেটওয়ার্ক,লোকেশান ডিটারমিনেশান,আবহাওয়ার ফোর্কাস্ট--এসব এখন প্রায় সবই স্যাটেলাইট প্রকৌশলে চলছে,মানুষ এসব ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
    কদিন আগে খবর এসেছে শনিগ্রহের সবচেয়ে সম্ভবনাময় উপগ্রহ টাইটান থেকে,কাসিনি আর হাইগেন্স ক্রাফটের দৌলতে খুব ডিটেল সব ছবি পাওয়া গেছে টাইটানের শীতল জগতের।দেখা গেছে সেখানে ক্রায়োভলকানো উগরায় মিথেন আর জল,মিথেনের সমুদ্রে ঢেউ ওঠে,মিথেনের ঘন মেঘ থেকে নামে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি।
    আগেই অনুমান ছিলো, এখন দেখাই গেলো।এত এত হাইড্রোকার্বন? তাইলে কি প্রাণের সম্ভবনাও একটু একটু থাকতে পারে?

  • Tim | 204.111.134.55 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৮392913
  • এইখানে লিখবো ""তারায় তারায়"" থেকে।
  • Angana | 131.95.121.132 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:৪৫392914
  • "ন হন্যতে" গপ্পো বইটা বিষয়ে অন্য মত থাকলেও ওর একটি কবিতার লাইনগুলো ভারী সুন্দর লাগে আমার,

    ""যে কাল পিছনে ছিলো সে কাল সমুখে ফিরে আসে
    অনবগুন্ঠিতমুখে তারকাখচিত পট্টবাসে
    কে তারে ভূষণ দিলো,দিলো অলংকার?
    ক্ষণস্থায়ী ঐশ্বর্য্যের বসন্তবাহার?
    স্পর্শহীন স্রোতে তার রূপহীন আবেগে অতুল,
    কে ফোটালো ফুল?
    শূন্যের সমুদ্র হতে নিমেষে নিমেষে ধরে কায়া
    বেলাহীন বেলাতটে তরঙ্গের মৃত্যুময়ী মায়া।....""

    ঐ তারাখচিত শীতরাত্রির আকাশের নীচ দিয়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে তারাগুলোর দিকে চোখ গেলেই মনে হয় অতীত হয়ে যাওয়া কাল ঐ তারার আলোয় ফের জেগে ওঠে, এ নিছক সত্য।
    বেলাহীন ঐ নক্ষত্রবেলাতটে একইসঙ্গে মিশেকুশে থাকে লক্ষকোটি বছরের অতীত ও ভবিষ্যৎ, ""তরঙ্গ মিলায়ে যায় তরঙ্গ উঠে..."" এই নশ্বর জীবনের উপরে পরম আশ্বাসের অবিনশ্বরতা নিয়ে জেগে থাকে অতন্দ্র আকাশ।
    শীতরাত্রির উজল প্রহরী ঐ কালপুরুষ,তারায় তারায় রচিত ঐ বীরমূর্তি-তার পায়ের কাছে উজল লুব্ধক,কাঁধের উপর দিয়ে উঁকি দেয় লাল তারা আর্দ্রা,একে বেটেলগিউজ বলে সাহেবেরা, এই ফুলে ওঠা লাল তারাটির কাছে গ্রহকল্পনা করে প্ল্যানেট অব দ্য এপস কাহিনিটি লিখেছিলেন এক লেখক, বাংলায় সেটির অনুবাদই আমার প্রথম পড়া বিদেশী কল্পবিজ্ঞান।

  • Angana | 131.95.121.132 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২৩:৪০392915
  • একবার বইমেলার এক অলস দুপুরে ঘোরাঘুরি করছি ছোটো ছোটো স্টলে,তখনো শুরুর দিকে,ভীড় তখনো জাঁকায় নি,ধুলোও কম, কিন্তু গরম হাওয়া এসে শীত সরিয়ে নিয়ে গেছে।সোয়েটার কাঁধে নিয়ে ঘুরছি।
    ছোট একটা স্টলে ডিসপ্লেতে একটা বই, "তারায় তারায়", হাতে হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখে কেমন একটা প্রথম শরৎ রোদের ছোঁয়ার মতন অনুভূতি, যখন বাতাসে ভাসে বর্ষণক্ষান্ত তুলোমেঘেরা আর থাকে নীলাম্বরীর মতন নরম নীল আকাশে হাওয়াহাল্কা রোদ,একটা পুজোপুজো গন্ধ জড়ানো সেই রোদ্দুরের গায়ে, সেই রোদের গন্ধরঙ আর শিরিশিরি হাওয়া সব এসে লাগলো বইখানি ওল্টাতে ওল্টাতে সেইসব দেশবিদেশের উপকথায় তারাদের নিয়ে বোনা সুখদু:খকাহিনি দেখতে দেখতে।
    তাই বসে আছি কবে টিম ওখেন থেকে তুলে দেবে গহীন কিছু মণিমুক্তা,সেই চীনজাপানগ্রীসরোমপলিনেশিয়ার উপকথায় তারারা জ্বলজ্বলিয়ে উঠবে।

  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:০৫392916
  • তারায় তারায় আমিও বইমেলার দুপুরেই পেয়েছিলাম হঠাৎ। বইয়ের মলাটে লেখা ছিলো :

    "" কত যুগ ধরে তারায় তারায় ভরা আকাশের দিকে চেয়ে চেয়ে মানুষের বিস্ময়ের শেষ নেই। কত গল্প, কত কবিতা মানুষ রচনা করেছে এইসব তারাদের নিয়ে। দেশ বিদেশের নানা জাতির মানুষের তৈরী সেইসব কাহিনীকে নতুন করে কিশোর-কিশোরীদের জন্য বলেছেন শিশিরকুমার দাস।""

    এরপর আর না কিনে থাকা যায়? :-)
    এবার গল্প শোনা যাক সেই বই থেকে।

  • Tim | 204.111.134.55 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:৩৬392917
  • ----------কালপুরুষ--------

    কালপুরুষ নিয়ে মিশরে একটি অদ্ভুৎ গল্প প্রচলিত ছিলো। প্রাচীন মিশরবাসীরা মনে করতেন, মানুষের যাবতীয় দোষগুণ তার রক্ত-মাংসে সঞ্চারিত হয়। একইভাবে সঞ্চারিত হয় সমস্ত অলৌকিক ক্ষমতাও। তাই তাঁরা ক্ষিপ্রতার জন্য হরিণের মাংস খেতেন, বীরত্বের জন্য বড় বড় যোদ্ধার রক্তপান করতেন।
    এইরকম বিশ্বাস থেকেই কালপুরুষের গল্পটা সম্ভবত সৃষ্টি হয়েছিলো। সেই গল্প অনুযায়ী খ্রীষ্ট জন্মাবার প্রায় ৪৩০০ বছর আগে এক শক্তিশালী রাজা রাজত্ব করতেন মিশরে। তিনিই মারা যাওয়ার পর কালপুরুষ হয়েছেন। তাঁর মন্ত্রী-সেনাপতি ও অন্যান্য আমলারাও ঐ নক্ষত্রগোষ্ঠীরই অংশ। মানুষ যেমন পশুমাংসের জন্য বন্য জন্তু শিকার করে, সেইরকম নানারকম অলৌকিক ক্ষমতা ও দেবত্বের জন্য কালপুরুষ ও তাঁর সঙ্গীরা দেবতাদের শিকার করে বেড়ান। লোকসমাজে প্রচলিত সংস্কার কিভাবে প্রাকৃতিক বিষয়বস্তুকে নিয়ন্ত্রণ করে, এই গল্পটা তার ভালো উদাহরণ।

    কালপুরুষ নিয়ে রোমে প্রচলিত কাহিনীটি রীতিমত মহাকাব্যের আদল পাওয়া যায়। সেখানে বলা হচ্ছে, কালপুরুষ এক অমিতবলশালী বীর যোদ্ধা ছিলেন। রোমের তৎকালীন রাজকন্যা মেরোপের সাথে তার বিয়ে হয় হয়, এমন সময় রাজা আপত্তি জানালেন। প্রচুর অনুরোধ-উপরোধেও তাঁকে টলানো গেল না। তখন রাজকন্যাও বেঁকে বসলো। বিয়ে যদি করতে হয়, তো কালপুরুষকেই । শেষমেষ মেয়ের ভাবগতিক সুবিধের নয় বুঝে রাজা একটা শর্ত দিলেন। কালপুরুষ যদি রাজ্যের সমস্ত হিংস্র পশু শিকার করে এনে দিতে পারে, রাজা সানন্দে দুজনের বিয়ে দেবেন। শুনেই তো কালপুরুষ বেরিয়ে পড়লো অভিযানে। দুর্গম সব বনে ঘুরে, প্রাণ হাতে করে দিনের পর দিন শিকার করে সে একসময় সেই অসাধ্য সাধন করলো। স্তুপাকৃতি পশুচর্ম জমা হলো রাজদরবারে। কিন্তু বিয়ের কথায় রাজা স্মিত হেসে বললেন, "" ভেবে দেখতে হবে""।
    এ তো রীতিমত জোচ্চুরি! কালপুরুষ আর মেরোপ গোপনে পরামর্শ করলো, পালিয়ে যেতে হবে এই রাজ্য ছেড়ে। কিন্তু কি করে যেন কথাটা রাজা জেনে ফেললেন। ব্যস, আর যায় কোথা। তক্ষুনি কালপুরুষকে অন্ধ করে সমুদ্রতীরে ছেড়ে আসা হল।
    মনের দু:খে কালপুরুষ সমুদ্রতীরে হেঁটে বেড়ায়, মাঝে মাঝে ভাবে তার অতীত জীবনের কথা। এরকমই একদিন ঘুরতে ঘুরতে সে পৌঁছে গেল বিশ্বকর্মা ভলকানের কারখানায়। তিনি একজন পথপ্রদর্শক সমেত কালপুরুষকে পাঠালেন সূর্যের কাছে। তখন ভোর হচ্ছে সবে। কালপুরুষ এসে দাঁড়ালো সূর্যের সামনে। সূর্য তাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন, তারপর এক অসামান্য তারামন্ডল করে রেখে দিলেন রাতের আকাশে ।
  • Diptayan | 210.212.29.146 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১৬:০৫392919
  • বহুদিন আগে, অফিস থেকে ফিরছি, অনেক রাত, গাড়ি বিগড়ে গেল বাইপাসে । সারাদিন খাটুনি গেছে খুব। এপ্রিলের শেষ । রাতের দিকে একটা ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে। চন্দ্রহীন আকাশে নক্ষত্রের জ্যোতির্বাসর । নেমে দাঁড়ালুম,মাথার ওপর মেঘমুক্ত চওড়া আকাশ,চ্যাপ্টা বাটির মত গোলাকার,আপন আশ্লেষে আত্মমগ্ন । আর আকাশ জুড়ে রজতবিন্দু,বিচিত্র প্যাটার্ণ। আমি কালপুরুষ জানিনা,স্বাতী,অরুন্ধুতী ও দেখিনি।কিন্তু সেদিন ঐ মসীকৃষ্ণ আকাশের নীচে মুক্তখচিত মহাঙ্গনে এই চেনা বাইপাস, খুব চেনা শহর, সব পাওয়া, না পাওয়া, ফিরে পাওয়া সব চক্রাকারে ঘুরতে লাগল, আমি যেন অনু-পরমানু তে বিশ্লিষ্ট হয়ে গেলাম, আমাকে ঘিরে তা নর্তিত হতে লাগল। আমার সকল অনুভবের মাঝে হারিয়ে যাওয়া, ফেলে আসা স্মৃতিরা ঐ আশ্চর্য নীহারিকা সরণি বেয়ে আমার সামনে এসে স্থির হল,বর্তমান কেন্দ্রীভূত হল ঐ আলোকবৃত্তের মাঝে, আমার মধ্যে সমাসীন,নির্বাক।

    আরেকদিনের কথা। কেদারনাথে বেড়াতে গেছে এই নিরীশ্বর লোকটা। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেল ঠান্ডায়। জানলাটা ফাঁক। খুলতেই চোখের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ল চন্দ্রালোকিত আকাশের পটভূমিতে হিমালয়ের সিল্যুয়েট। রঙ্গতগিরিনিভ তুষারমৌলি হিমালয় স্নাত অকূলপ্লাবী চন্দ্রকিরণে।তার মাঝে দেখা যাচ্ছে অনেক তারা, পিন-কুশনে বসানো পিনের মত, সংখ্যায় অনেক, অনুভবে পরিপূর্ণ, চেতনালোকে বিশ্বজয়ী। সেই মুহূর্তে আমি ঈশ্বর মানি কি না, তার রূপ আর প্রকার নিয়ে সব প্রশ্ন অবান্তর হয়ে গেল,একমাত্র সত্যের মত জ্বল্‌জ্বল্‌ করতে লাগলো ঐ চন্দ্র-নক্ষত্র শোভিত গগনতল আর ঐ বিলোল করা পাহাড়,ঝর্ণা,জলস্রোত।
  • Angana | 131.95.121.132 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:৪২392920
  • চৈত্রসন্ধ্যায় ছাদের উপরে মাদুরে বসতাম আমরা।যখন আকাশ তারায় তারায় ঠাসাঠাসি,দক্ষিণের শিমূলগাছের সর্বাঙ্গে জ্বলছে নিভছে জীবন্ত আলোর কুচিরা-জোনাকির দল। দক্ষিণের খোলা রিক্ত শুকনা ধানক্ষেতের উপর দিয়ে বয়ে আসছে ঝিরঝির দক্ষিণা।বন্ধু গাইতো,""আকাশ জুড়ে শুনিনু ঐ বাজে/তোমারই নাম নাম সকল তারার মাঝে/ সে নামখানি নেমে এলো ভুঁয়ে/কখন আমার ললাট গেলো ছুঁয়ে/শান্তিধারায় বেদন গেলো ধুয়ে/আপন আমার আপনি মরে লাজে।""
    তখন কালপুরুষ ডুবু ডুবু,বসন্তের নীলকান্ত আকাশে তখন সপ্তর্ষির অনন্ত জিজ্ঞাসা জ্বলছে।
  • b | 78.137.144.235 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ২২:৩৪392921
  • আরেকটা লোকের কথা মনে পড়ছে, সে আকাশের "ওমিক্রন সেটি' তারা আর ইছামতীর তীরে লাল টকটকে মাকাল ফল দেখতে ভাবার চেষ্টা করত যে, দুটো বোধ্‌হয় এক-ই সূত্রে গাঁথা।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:২৭392922
  • দীপ্তায়নদা,
    আরো লিখুন। ভালো হচ্ছে খুব।
    অঙ্গনা, জ্জিও!

  • Tim | 204.111.134.55 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ১০:১৫392923
  • আগে আগে, যখন লোডশেডিং এর দাপট খুব, গ্রীষ্মের সন্ধ্যে বা রাত্রিগুলোয় ঘরে থাকা দায় হতো, ওদিকে বাইরে তখন ঝোড়ো হাওয়া। কোনো কোনোদিন আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাগানে বা উঠোনে জড়ো হয়ে গল্প শুনতে শুনতে তারাভরা আকাশ দেখতাম আমরা। এখনও আছে সেই রেওয়াজ, ছাদে গোল হয়ে বসে তারা দেখতে দেখতে গল্প করা সবাই মিলে হয় এখনও, শুধু লোডশেডিং হয়না বলে এখন সেই হঠাৎ পাওয়ার আনন্দটা নেই। এখন হয় কালেভদ্রে, সময় মেপে, সবার সুবিধেমত। এই রাতগুলো খোদাই হয়ে গেছে মনে, অবিকল দেখতে পাই সেই ছবি আজও। এখন মনে হয়, ভাগ্যিস লোডশেডিং হতো আমাদের ছোটোবেলায়! ( মার খাওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা সঙ্কেÄও শেষ লাইনটা না লিখে পারলাম না)।
  • Angana | 131.95.121.132 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:২০392924
  • "ওমিক্রন সেটি"-এই পোশাকী নাম (সেটাস কনস্টেলেশনের ওমিক্রন তারা) ছাড়াও এই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তারাটির আরেকটি সুন্দর নাম আছে। মীরা(Mira)। অনেক সময় উচ্চারণ হয় মাইরাহ্‌। তবে বাঙালি জিভে মীরা মিঠা শোনায় আমার।
    এটি একটি পরিবর্তনশীল উজ্জলতার তারা,ভেরিয়েবল স্টার যাকে বলে।এখন আরো জানা গেছে, আসলে এটি বাইনারি তারা, দুটি তারা মিরা এ আর মিরা বি খুব কাচ্ছাকাছি, এরা পরস্পরকে প্রদক্ষিণ করছে বা বলা ভালো সাধারণ ভরকেন্দ্রের চারপাশ ঘিরে দুজনে ঘুরছে।মিরা এ হলো রেড জায়ান্ট,এটিই ভেরিয়েবল স্টার। একবার উজ্জলতা বেড়ে ওঠে আবার কমে যায়,খুব নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে। এর জ্যোতিপদার্থবৈজ্ঞানিক কারণও জানা গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন