এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • উপদেষ্টার নাম সঞ্জীব সান্যাল 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ৩০ মার্চ ২০২৪ | ২৩০৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • উনিজির কোনো এক অর্থনৈতিক উপদেষ্টার নাম সঞ্জীব সান্যাল। তিনি বাঙালি সম্পর্কে চাড্ডিরা যা বলে এবং ভবে থাকে, আরেকবার বলেছেন। মোদ্দা কথা হল, বাঙালি  ধূমপান করে, মদের গ্লাসে চুমুক দিয়ে সারা বিশ্বের ব্যাপারে জ্ঞান দেয়, আর মৃণাল সেনের সেনের ছবি দেখে, এই হল তার অধঃপতনের কারণ। 

    এইসব অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে কোথা থেকে বেছে আনা হয় কে জানে, উনিজি বলেই সম্ভব। কিন্তু সেটা কথা না, কথা হল এই নিয়ে বাঙালিরও তেমন আলোড়ন নেই। এমনকি মমতাশঙ্কর নিয়েও যতটা আলোড়ন, তার ধারেকাছেও নেই। কারণ, এই গল্পটা দিয়ে দিয়ে শিক্ষিত বাঙালিকে একরকম করে খাইয়ে দেওয়া গেছে। "বাঙালি অপদার্থ" বললে তারা জাতিবিদ্বেষ খুঁজে পায়না, পবন সিং এর মতো লোকে বাঙালি মেয়েদের নিয়মিত ব্যবধানে "মাল" বললে তাদের কিছু এসে যায়না।

    তা, সে যাই হোক, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা নামক এই জীবটি মৃণাল সেন এবং সিনেমা-টিনেমা এনেছে যখন, তখন সিনেমা এবং শিল্প নিয়ে একটু কথা বলা যাক। শিল্প অর্থাৎ সংস্কৃতি এবং শিল্প অর্থাৎ বাণিজ্য সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকা ঠিক না। ৪৭ এর আগে বাঙলায় অন্তত তিনটে বিরাট বড় সিনেমাশিল্পের প্রতিষ্ঠান ছিল। একটার নাম নিউ থিয়েটার্স, প্রতিষ্ঠাতা বীরেন সরকার, যার কথা সবাই জানে। দুই, ভারতলক্ষ্মী, এবং তিন, ইস্ট ইন্ডিয়া ফিল্ম কোম্পানি। সিনেমায় আজকে যেমন বোম্বে, এদের কল্যাণে কলকাতা সেরকমই ছিল সেইসময়। অর্থাৎ গোটা অবিভক্ত বাংলার বাজার ছাড়াও,  এদের সিনেমা গোটা ভারতে, দক্ষিণ ভারত থেকে হিন্দি বলয় ছাড়িয়ে চলত অন্তত লাহোর অবধি। বাংলার নায়ক-নায়িকা, কানন দেবী, প্রমথেশ বড়ুয়া ব সায়গল, এঁরাও ছিলেন সর্বভারতীয়। এই সময়, সঙ্গের ছবি থেকে দেখতে পাবেন, বাংলায় ১৮ টা ব্যাংকের হেডকোয়ার্টার ছিল। দুই বাংলা মিলিয়ে। এই ব্যাংকগুলো ছিল  সিনেমার ফিনান্সের মূল জোগানদার।
     


    এই ব্যবস্থা দিব্যি চলছিল। কিন্তু তারপর ৪৭ এ এল দেশভাগ। বাজার অর্ধেক হয়ে গেল। সঙ্গের ছবি থেকে দেখতে পাবেন, বাংলার তিন-চতুর্থাংশ  ব্যাংক লাটে উঠল ১৯৫৫ সালের মধ্যে। একমাত্র এলাহাবাদ ব্যাংক ছাড়া আর কেউ অবিক্রিতভাবে টিকেও রইলনা। এই ব্যাংক লাটে ওঠার ছবি আপনারা নানা সিনেমায় দেখতে পান, কিন্তু কেউ বলেনা, যে, ব্যাপারটা অত্যন্ত বেশিমাত্রায় ঘটেছিল কেবলমাত্র পাঞ্জাব আর বাংলায়। এবং তার কারণ দেশভাগ। তা, এর ফল কী হল? সিনেমার বাজার হল অর্ধেকেরও কম, ফিনান্স জোগানোর জন্য কোনো ব্যাংক রইলনা, এবং কেন্দ্রীয় সরকারও দেশভাগ করে হাত ধুয়ে ফেলল। অতএব, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সিনেমার স্টুডিওগুলো ধুঁকতে শুরু করল। তিনটে বৃহৎ প্রতিষ্ঠানই ওই ৫৫ সালের মধ্যেই কার্যত বন্ধ হয়ে গেল।

    ফলে ওই খানেই বাঙালির সিনেমা ব্যবসার ইতি। যার পিছনে বাঙালির কোনো হাত ছিলনা। ৪৭ এর পরে বাঙালির ফিনান্সের আর জায়গা রইলনা। পড়ে রইল মারোয়াড়ি পুঁজি, যাদের বংশগত সম্পদ এবং যোগাযোগ আছে। তাদের হাত ধরেই কোনোক্রমে টিকে থাকা। উত্তম-সুচিত্রার স্বর্ণযুগ বলে যেটা চালানো হয়, সেটা সম্পূর্ণ ঢপের গল্প। ওই সময় সাদা-কালো ছবি বানাতে হত, কম পয়সার জন্য। এবং উত্তম-সুচিত্রা থেকে হেমন্ত-সলিল বোম্বে যাবার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকতেন, কারণ, কলকাতা ধ্বংস হয়ে গেছে, সক্কলেই জানতেন। যেটা ঢপের নয়, সেটা হল, পুঁজি এবং বাজার কেড়ে নিলেও বাঙালির সৃজনশীলতা কেড়ে নেওয়া যায়নি। অল্প বাজেটে সাদা-কালোতে অসম্ভব কিছু সিনেমা বানিয়েছেন বাঙালি পরিচালকরা, যা অসম যুদ্ধে আরও কিছুদিনে টিকিয়ে রেখেছিল বাংলা সিনেমাকে। রাজনীতি পুঁজি কাড়তে পারে, কিন্তু সৃজনশীলতা  কাড়া মুশকিল। সত্যজিৎ রায়ের ছবির প্রযোজক হতেন জনৈক বনশাল, বাঙালির শিল্পব্যবসা তখন লাটে উঠে গেছে, কিন্তু বনশাল তো সিনেম বানাতে পারবেননা। তাই সত্যজিৎ, তাই মৃণাল, তাই তরুণ মজুমদার, তাই অগ্রদূত।  

    এইটা শুধু সিনেমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয়। ব্যাংক উঠে গেলে, কাঁচামাল জোগাড় না হলে, বাজার অর্ধেক হয়ে গেলে, তার প্রভাব তো শুধু একটা জায়গায় পড়েনা। ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাট সর্বত্রই পড়ে। সবই ধীরেসুস্থে উঠে যেতে শুরু করে ওই ৪৭ থেকেই। কেন্দ্রীয় সরকার এইসব ঠেকাতে, শুরু থেকে এখনও, সহযোগিতা তো নয়ই, চুষে খাওয়া ছাড়া আর কিছু করেনি।

    শিক্ষিত লোকেরা আজকাল কিছু লব্জ ছাড়া বোঝেননা। সেরকম একটা লব্জ হল লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। তা, ৪৭ এর পরে বাঙালির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু ছিলনা। অনেক অনেক পিছনে থেকে দৌড় শুরু করতে বলে, হ্যা-হ্যা-ব্যাটা-প্রতিবন্ধী-ব্যাটা-পারেনা বলে হাসা একটা কুৎসিত জিনিস। যেটা কেন্দ্র করেই চলেছে। এবং তার চেয়েও কুৎসিত জিনিস হল, শিক্ষিত বাঙালিরা থেকে থেকেই এর সঙ্গে গৌর-নিতাই এর মতো হ্যা-হ্যা-বাঙালি-পারেনা বলে আনন্দ পেয়ে নেচে চলেছেন। এমনিতে তাঁরা বিদ্বান ও বুদ্ধিমান, কিন্তু মস্তিষ্ক প্রক্ষালনযন্ত্র এতই গভীরে ঢুকে কাজ করেছে, যে একট জাতিকে 'পারেনা' বলে দাগিয়ে দেওয়া যে জাতিবিদ্বেষ, সেটা তাঁরা বুঝতে পারেননা, এমনকি এটা যে স্রেফ ব্যক্তিগত পারা-না-পারার ব্যাপার না, সেটাও বোঝেন না। সঞ্জীব সান্যালের মতো উপদেষ্টারা এই অবোধপনারই সুযোগ নেন।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ৩০ মার্চ ২০২৪ | ২৩০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিন | 119.224.61.73 | ৩০ মার্চ ২০২৪ ০৭:১৪529965
  • "এবং তার চেয়েও কুৎসিত জিনিস হল, শিক্ষিত বাঙালিরা থেকে থেকেই এর সঙ্গে গৌর-নিতাই এর মতো হ্যা-হ্যা-বাঙালি-পারেনা বলে আনন্দ পেয়ে নেচে চলেছেন। ...  একট জাতিকে 'পারেনা' বলে দাগিয়ে দেওয়া যে জাতিবিদ্বেষ, সেটা তাঁরা বুঝতে পারেননা, এমনকি এটা যে স্রেফ ব্যক্তিগত পারা-না-পারার ব্যাপার না, সেটাও বোঝেন না। সঞ্জীব সান্যালের মতো উপদেষ্টারা এই অবোধপনারই সুযোগ নেন।"
     
    সঞ্জীব স্যান্যাল নামের লোকটির বাপ ঠাকুরদাও তো বাঙালী বলেই মনে হয়। লোকটির যে কোন আত্মসম্মানবোধ নেই তাই নয়, সমসাময়িক বাঙালীদেরও নেই।  বাঙালিরা নিজেরাই নিজেদের বঙ বলে। 
    বুঝতে পারে না নয়,  বুঝতে পারে ঠিকই, কিন্তু দাসত্ব মজ্জায় মজ্জায় এমন প্রোথিত যে হ্যা হ্যা করাই এদের সংস্কৃতি, স্যান্যাল মশাই আর তার ওপরে উঠবেন কিভাবে?
    অতএব মৃণাল সেনরা এদের জাতশত্রু, নাম করে গালাগালি করতে আটকায় না। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd10:8ae7:65d5:1d2a | ৩০ মার্চ ২০২৪ ০৯:১৩529967
  • পবর বাঙালিরা যে কিস্যু পারেনা, সে তো সবাই জানে। এ নিয়ে আর আলাদা করে লেখার কি আছে? 
  • অরিন | 119.224.61.73 | ৩০ মার্চ ২০২৪ ১০:০৭529969
  • "পবর বাঙালিরা যে কিস্যু পারেনা, সে তো সবাই জানে। "
    তাই? আমি অন্যরকম জানি। 
  • guru | 2409:4060:ec5:4f21:d1fd:5eae:7f39:567f | ৩০ মার্চ ২০২৪ ১১:২৩529971
  • @সৈকত বাবু                                                                             একেবারেই সঠিক জায়গাতেই হিট করেছেন l                                                               @ডি সি থাম্বি ,                                                                           থাম্বি আপনাদের তামিলদের তো সেই রাজরাজ চোলের মৃত্যুর পর থেকেই আপনারা দিল্লির গোলাম l আপনাদের তো এখন সারা দুনিয়াতে অবদান বলতে নিম্মি দিদি আর জয়শঙ্কর l আপনাদের বলবার কি আছে ? 
  • Jayanta Chatterjee | ৩০ মার্চ ২০২৪ ২১:২৮529999
  • তিনটি বিষয়কে একেবারেই বাদ দিয়ে গেছেন - 

    প্রথমত:  ব্রিটিশ শাসনের অবসানের ফলে পশ্চিমবাংলার অবস্থানগত,  প্রশাসনগত,  এবং অর্থনৈতিক যাবতীয় সুবিধার অবসান হওয়া, পশ্চিমবাংলার পতনের অন্যতম প্রধান কারণ I 

    দ্বিতীয়তঃ পূর্ববঙ্গ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের বিপুল স্রোত এবং পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক জীবনে তার প্রভাব সম্পর্কে কোন দীর্ঘ মেয়াদী সমীক্ষা বাদ রেখেই , এই উদ্বাস্তুস্রোত কে অবাধে আশ্রয় দেয়া পশ্চিমবাংলার অর্থনৈতিক পতনের এক অন্যতম প্রধান কারণ I 

    তৃতীয়ত: স্বাধীনতার আগে থেকেই চরমপন্থী এবং বামপন্থী চিন্তাভাবনার ব্যাপক বিকাশ পশ্চিমবাংলার জনজীবনে ব্যবসায়িক এবং উদ্যোগপতি বিরোধী সংস্কৃতির বীজ বুনে দিয়েছিল তার ফলে স্বাধীনতার পরবর্তীকালে নতুন উদ্যমে ব্যবসায়িক উদ্যোগ নেয়ার যে উদ্যম - সেই সময়কার বাঙালি সাধারণ জীবনের মধ্যে অত্যন্ত কম ছিল ।

    এই তিনটি বিষয়কে উল্লেখ না করলে আলোচনাটি একেবারেই অসমাপ্ত এবং আংশিক থেকে যাবে।
  • দীপ | 2402:3a80:a39:d1a:0:46:b20f:c101 | ৩০ মার্চ ২০২৪ ২১:২৯530001
  • পবর বাঙালিরা যে কিস্যু পারেনা, সে তো সবাই জানে। এ নিয়ে আর আলাদা করে লেখার কি আছে? 
     
    অকপট সত্যভাষণ!
  • দীপ | 2402:3a80:a39:d1a:0:46:b20f:c101 | ৩০ মার্চ ২০২৪ ২১:৩৩530002
  • পবর বাঙালিরা যে কিস্যু পারেনা, সে তো সবাই জানে। এ নিয়ে আর আলাদা করে লেখার কি আছে? 
     
     
     
    " নিন্দা পাপ, মিথ্যা নিন্দা আরো পাপ ও স্বজাতির মিথ্যা নিন্দার মতো পাপ অতি অল্প‌ই আছে।"
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:416a:c83c:3e76:9b07 | ৩০ মার্চ ২০২৪ ২২:০২530004
  • "স্বাধীনতার আগে থেকেই চরমপন্থী এবং বামপন্থী চিন্তাভাবনার ব্যাপক বিকাশ পশ্চিমবাংলার জনজীবনে ব্যবসায়িক এবং উদ্যোগপতি বিরোধী সংস্কৃতির বীজ বুনে দিয়েছিল"
     
    স্বাধীনতার আগের আর পরের কথা জানিনা। তবে সত্তর আর আশির দশকে, এমনকি নব্বুইতেও সিপিএম আর সিটু মিলে পবর ইন্ডাস্ট্রির প্রচুর ক্ষতি করেছে, এ ব্যাপারে একমত। সিটুর জঙ্গি ট্রেড ইউনিয়নিজমের ফলে অনেক কোম্পানি সরে গেছে, আর অনেক ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট আসতে চায়নি। সেই সময়ের স্ট্যান্ডার্ড স্লোগান ছিল চলছে না চলবে না, আর করছি না করবো না। 
     
    দুহাজারের দশকে বুদ্ধবাবু ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভাইভালের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু দিদি সেই সম্ভাবনাও নষ্ট করে দিয়েছিলেন (আর বুদ্ধবাবুও অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে ব্যর্থ হয়েছিলেন)। ফলে পবতে লার্জ স্কেল ইন্ডাস্ট্রি খুব কম, ওয়েল্থ জেনারেশানও কম হয়। পবর বাঙালি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এমন লড়েছে যে নিজের রাজ্যের ইকোনমি পিছিয়ে গেছে। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:416a:c83c:3e76:9b07 | ৩০ মার্চ ২০২৪ ২২:১০530005
  • পবর সবথেকে ক্ষতি হয়েছে বামফ্রন্ট সরকারকে পরপর কয়েকবার ভোট দিয়ে জেতানোর ফলে। যদি একবার বা দুবারের পর অন্য কোন পার্টি ক্ষমতায় আসতো, যারা ইন্ডাস্ট্রি ফ্রেন্ডলি হতো আর ইনভেস্টমেন্ট আনতে আগ্রহী হতো, তাহলে পব এতোটা পিছিয়ে পড়তো না। তবে পবর বাঙালিরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কালো হাত গুঁড়িয়ে আর ভেঙে দিতে বেশী সময় ব্যয় করেছে, অতএব....
  • | ৩০ মার্চ ২০২৪ ২২:৫৪530009
  • এদিকে ওই মনোমোহনীয় উদারিকরণের পরেই কমলা লাইনটা নীল লাইনকে টপকাতে শুরু করেছে।  আমরা লো'রিয়েল মেবিলিন, ম্যাক দেশের শপিং মল থেকে কিনতে পারার আনন্দে যখন ডগমগ তখনই ক্রমশ আরো বেশী বেশী লোকের হাত ফসকে যাচ্ছে উন্নয়নের বাস থেকে।
     
  • এলেবেলে | ৩০ মার্চ ২০২৪ ২৩:০৩530010
  • ডিসিজনাব যে একনিষ্ঠ বুর্জোয়া, এ নির্জলা সত্য আর অবিদিত নেই! তবে মুশকিলটা কী জানেন, পশ্চিমবঙ্গের লোকসংখ্যা কাগজে-কলমে ১১ কোটির বেশি বই কম নয়। কাজেই এখানে লার্জ স্কেল ইন্ডাস্ট্রি খুব একটা কাজের কথা নয়, সুবিধাজনকও নয়। বরং বাংলার যে শিল্পগুলো একদা কৃষির সঙ্গে জড়িত ছিল, মানে যেখানে অসংখ্য কৃষক ও শ্রমিক উভয়েই উপকৃত হতে পারতেন তার অন্যতম পাটশিল্পটা টুঁটি টিপে হত্যা করা হয়েছে। মাশুল সমীকরণের নয়া উপনিবেশিক নীতির ফলে বাংলার কয়লা শিল্পের অকালমৃত্যু হয়েছে। আর উত্তরবঙ্গ তো চির অবহেলিত। তাই সেখানকার চা শিল্পের উন্নতি কিংবা পুনরুজ্জীবন নিয়ে কে-ই বা মাথা ঘামায়?
     
    আপনারা ন্যানো নিয়েই হেদিয়ে মরে গেলেন মাইরি!
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:416a:c83c:3e76:9b07 | ৩০ মার্চ ২০২৪ ২৩:২২530013
  • আচ্ছা ঠিকাছে এসব নিয়ে আর লিখবো না laugh
     
    তার চেয়ে চায়ের গল্প শুনুন। আমি যেখানে থাকি, তার কাছে আন্নানগরে একটা চা-কফির দোকান আছে, সেখান থেকে আমি অনেকদিন হলো চা টা কিনি, তাই দোকানের মালিক আমার খুব পরিচিত। বেশ কিছুদিন তিনি আমাকে বলে চলেছেন, একটা নতুন ফ্লেভার এসেছে, ট্রাই  করে দেখবেন নাকি? দার্জিলিং ফার্স্ট ফ্লাশ, তার সাথে বার্গামট অয়েল ব্লেন্ড করা। আমি বেশ কয়েকবার বলেছি না বাবা অতো কঠিন জিনিষ আমার পোষাবে না। তাও কয়েকবার ওনার দোকানে গেছি আর উনি সারা পৃথিবীর চা সংক্রান্ত জ্ঞান আমাকে দিয়েই গেছেন, দার্জিলিং চায়ের পাতা, কিভাবে বানায় ইত্যাদি ইত্যাদি। 
     
    শেষে আর সহ্য না করতে পেরে একটা ছোট কৌটো কিনে এনেছি। বিকালবেলা আমি, মা, আর বৌ টেবিলে জড়ো হয়েছি, আর উনি যেমন বলেছিলেন সেই মতো বানিয়েছি। প্রথমে কেটলিতে জল গরম করে, তারপর এক চামচ চা পাতা দিয়ে চার মিনিট স্টিপ করে কাপে ঢেলেছি, একেবারে গোল্ডেন ব্রাউন লিকুইড। তারপর তিনজনেই খাচ্ছি, দার্জিলিং ফার্স্ট ফ্লাশ চা। 
     
    খানিক পর বৌ আর মাকে জিগ্যেস করেছি, কেমন লাগছে? মা আমাকে প্রথমে জিগ্যেস করলো, এটা কোত্থেকে এনেছিস? সব বললাম। মা আরেক চুমুক দিয়ে বললো, "তোর ব্যপারটা কি হইসে বলতো, বাঙ্গাল দ্যাখসে বিলাতের কল। দোকান থেকে চা কিনে আনবি, তা না, কার পাল্লায় পড়ে বারগামট না কি কিনে আনছস"। 
     
    আমি আর কি বলবো, চুপচাপ বাকি চাটা গিলে নিলাম। 
  • র২হ | 2607:fb90:e3b8:471b:9566:7d17:8af4:c463 | ৩০ মার্চ ২০২৪ ২৩:৪৬530015
  • জঙ্গী ট্রেড ইউনিয়নের চাপে শিল্প চলে গেছে এটা খুব শুনি।
    আবার অনেকে বলেন ট্রেড ইউনিয়নের জঙ্গীপনা পিএফ গ্র্যাচুইটি বীমা ন্যূনতম মজুরী ডিএ এসবের ন্যায্য দাবীতে তারপর দেশভাগ মাশুল সমীকরন ইত্যাদি পাঁচটা কারনে লকআউট ও রিয়েল এস্টেটে বেশি মুনাফা ইত্যাদি হয়ে ট্রেড ইউনিয়ন নন্দ ঘোষ ও ক্রমে সারা দেশে গুজরাত টুজরাতের মত শিল্পবান্ধব ও বর্ধমান অসাম্যই নর্মালাইজড ইত্যাদি ইত্যাদি।
     
    আমি অবশ্য বেশি পড়াশুনো করিনি, এদিক ওদিক যেটুকু।
    ~~~
    তবে ডিকটেটরশিপ কখনোই কামনা করবো না; প্রোলেতারিয়েতেরও না।
    ~~~
    এই বিষয়ে অমর মিত্রের নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান ও অন্যান্য কাহিনি বইটি স্মরণ করি।
  • Arindam Basu | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০০:৪৮530021
  • @dc, " মা আরেক চুমুক দিয়ে বললো, "তোর ব্যপারটা কি হইসে বলতো, বাঙ্গাল দ্যাখসে বিলাতের কল। দোকান থেকে চা কিনে আনবি, তা না, কার পাল্লায় পড়ে বারগামট না কি কিনে আনছস"।"
     
    আপনার মা একদম ঠিকই ধরেছেন। দার্জিলিং ফার্স্ট ফ্লাশ  চা তে bergamot essential oil দিলে দার্জিলিং চা কে জোর জবরদস্তি করে আর্ল গ্রে টাইপের চাপে রূপান্তরিত করা হয়, টোটাল বকচ্ছপ! 
     
  • &/ | 151.141.85.8 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০০:৫২530022
  • ফার্স্ট কন্ট্যাক্ট এ ওই চা আর বিস্কুট দিয়েছিল ক্যাপ্টেন,মদ ফুরিয়ে গিয়েছিল কিনা :-)
  • :|: | 174.251.161.222 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৩:৩০530023
  • দেখুন উনি "পবর বাঙালিরা যে কিস্যু পারেনা, সে তো সবাই জানে। এ নিয়ে আর আলাদা করে লেখার কি আছে?" -- এইটে বলাতে কেউ কেউ রেগে গেলেন কিন্তু বাংলাদেশের বাঙ্গালীরা সব পারে এটা প্রচ্ছন্ন ভাবে যে বললেন -- সেজন্য কেউই প্রশংসা করলেন্না। হিসেবের খাতায় সবই লেখা থাকে। 
    তবে প্রবাসী বাঙ্গালীরা যে সামান্য চা-টুকুও ঠিকঠাক কিনতে পারেননা সেইটি স্বীকার করে যাবার জন্য বহুৎ অভিনন্দন ও ভগীরথ।  
  • &/ | 151.141.85.8 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৩:৩৪530024
  • ভগীরথ ? মানে সেই গঙ্গা আনার ভগীরথ? সগর রাজা সারগনের কীরকম যেন নাতি?
  • অরিন | 122.56.234.33 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৪:৩৩530025
  • ঐ দেখ, আপনি অভিনন্দন ভগীরথ মামা ভাগ্নের(?) সিরিয়াল দেখেননি মনে হচ্ছে। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৪:৫০530027
  • সিরিয়াল???? ওরে বাবা!!!! ঃ-)
  • অরিন | 122.56.234.33 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৬:২৫530030
  • খায় না, দেখে। 
  • kk | 172.58.187.104 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৬:৫১530031
  • মামা-ভাগ্নে না তো, ভগীরথ অভিনন্দনের বাড়িতে কাজ করতেন কিন্তু হাবেভাবে তাঁর গার্জেনতুল্য। বিপদে পড়লেও সেই ভগীরথেরই শরণ নেওয়া। দীপংকর দে অভিনন্দন, রবি ঘোষ ভগীরথ।
  • অরিন | 122.56.234.33 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৭:০৪530033
  • ঠিক ঠিক,  :-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৭:১৮530035
  • কিট্টুদাদা আর বাঘাকাকাও ওরকম ছিলেন। বাঘাকাকা কিট্টুদাদার বাড়িতে রান্না করতেন, দুর্দান্ত রাঁধতেন। কিট্টুদাদা ছিলেন শখের গোয়েন্দা, কিন্তু বাঘাকাকাই সব কেসগুলো সলভ করতেন।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:94d4:8114:20a9:aa94 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৭:৪৬530036
  • "দার্জিলিং চা কে জোর জবরদস্তি করে আর্ল গ্রে টাইপের চাপে রূপান্তরিত করা হয়, টোটাল বকচ্ছপ"
     
    অরিন্দমবাবু, তাই দেখলাম। দোকানের মালিক আমাকে এক্কেবারে টুপি পরিয়ে দিয়েছে, পরের বার গিয়ে কড়া করে ধমক দেবো। তবে ওনার কাছে নানান গ্রেডের ফিল্টার কফি, বিনস, কোকো ইত্যাদিও পাওয়া যায়, নানান ভ্যারাইটির চাও পাওয়া যায়, সেসব উনি এতোকাল ভালোই সাজেস্ট করেছেন। এটাই যা গুলিয়ে ফেলেছেন। 
     
    &\ ফার্স্ট কনট্যাক্ট মানে কোন গল্পটা? ক্র‌্যাব উইথ দ্য গোল্ডেন ক্লজ, নাকি ফ্লাইট ৭১৪? 
     
    :|: ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৩:৩০ - আপনি দেখছি সত্যিই মন দিয়ে পড়েন laugh
     
     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:94d4:8114:20a9:aa94 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৭:৫০530037
  • "আপনারা ন্যানো নিয়েই হেদিয়ে মরে গেলেন মাইরি"
     
    এলেবেলে, ন্যানো তো হাওড়া ব্রিজের নীচ দিয়ে জল, ও দিয়ে আর কি হবে। আমি বলতে চেয়েছিলাম জ্যোতি বসুর সরকারকে দুবারের বেশী ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিয়ে পবর বাঙালিরা নিজেদের সর্বনাশ করে ফেলেছে। ওই তৃতীয় টার্মের পর থেকে যা হয়েছে তার সবই স্লিপারি স্লোপ :-)
  • আমরা বাঙ্গালী জাতি | 2a0f:df00:0:255::198 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৯530038
  • আহা! সেই জ্যোতিবাবু এলেন আর জ্যোতিবাবু গেলেনের সোনালি দিনগুলি! দাও ফিরে সে বামফ্রন্ট লও তিনোমূল!
  • Arindam Basu | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৯530040
  • @dc, "দোকানের মালিক আমাকে এক্কেবারে টুপি পরিয়ে দিয়েছে, পরের বার গিয়ে কড়া করে ধমক দেবো।"
     
    সেটা নাও হতে পারে, না হওয়াই সঙ্গত, আপরুচি খানা। 
     
    যেমন কলকাতায় গিয়ে wow! momo বলে একটা স্টলে চকলেট মোমো দেখে সাংঘাতিক বিস্মিত হয়েছিলাম, যেমন এখানে বহু চীন দোকানে চকলেট ডীপ ফ্রাই করে বিক্রি করে। মোমো'র একটা স্বাদ মানুষ আশা করে মুখে দেয়।
     
    সেই রকমই, যাঁরা চা খেতে ভালবাসেন, তাঁরা দার্জিলিং এর চায়ের ফ্লেভারের সঙ্গে অন্যকিছু মিশলে বিরক্ত হবেন (যেমন আপনার মা), কিন্তু এমন অনেকে হয়ত আছেন, যাঁরা দার্জিলিং এর সঙ্গে কমলালেবুর' পাতার নির্যাস মিশিয়ে খেতে চান, বা ধরুন উলং চায়ের সঙ্গে নির্যাস মিশিয়ে খেতে ভালবাসেন (বা আসাম বা সিংহলের চায়ের সঙ্গে বা কেনিয়ার পাতার সঙ্গে), এই ভদ্রলোকের কাছে হয়ত তার স্টক এসেছে, তিনিও আপনাকে দিয়েছেন। 
     
    Oil of Bergamot essence নানান রকম কমলালেবু বা ঐজাতীয় ফলের পাতার নির্যাস, তার নিজস্ব একটি ফ্লেভার আছে, যার জন্য সাধারণত খুব ফ্লেভারসাম চায়ের সঙ্গে মেশানোর প্রয়োজন হয় না, বরং ধরুন একটু নিম্নমানের চাপাতার সঙ্গে মিশিয়ে ফ্লেভার আনার চেষ্টা করা হয়। হতে পারে যে বাগানে হয়ত ভাল কোয়ালিটির চা হয়নি, অতএব পাতায় আর্ল গ্রে টাইপের ফ্লেভার দেবার চেষ্টা করা হয়েছে (নেহাতই আন্দাজ করছি) |
     
    ইতিহাস বলে,
     
    "However, in the early decades of its use, it appears to have been somewhat disreputable, used primarily to enhance the taste of low-quality tea—quite the opposite of the later associations of Earl Grey. Indeed, in 1837, Brocksop & Co. faced charges for surreptitiously adding bergamot to undistinguished tea in order to misrepresent it as a superior product (at a higher price). This suggests that while it is possible that the second Earl Grey encountered tea flavored with bergamot, it seems rather unlikely that he would have championed it, or recommended it to the youthful Queen Victoria."
    তা সে হয়ত আজও চলছে, কে জানে। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:94d4:8114:20a9:aa94 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৯:১২530042
  • অরিন্দমবাবু, তা ঠিক। অনেক সময়ে হয় যে একবার কোনকিছু খেয়ে ভালো লেগে গেলে সেটা অন্যরকম আর খেতে ইচ্ছে করে না। তবে আপনার লাস্ট ​​​​​​​পোস্ট ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​আর্ল ​​​​​​​গ্রে ​​​​​​​সম্বন্ধে ​​​​​​​অনেক ​​​​​​​কিছু ​​​​​​​জানলাম, ​​​​​​​ধন্যবাদ। ​​​​​​​
     
    আমি এমনিতে নানান কিছু খেয়ে দেখি, প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করি, তাও, ঐ বারগামটের তেল দেওয়া চা টা আমারও অখাদ্য লেগেছিল। সেরকমই, চকোলেট মোমো নাম শুনেই মনে হয়েছে ওটা না খেলেই ভালো হবে। ওয়াও মোমোর অনেকগুলো স্টল চেন্নাইতেও খুলেছে, ওদের মেনুতে চকোলেট মোমো দেখেছি, কিন্তু খাওয়ার সাহস হয় নি।  
  • অরিন | 119.224.61.73 | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৯:৩২530044
  • "ঐ বারগামটের তেল দেওয়া চা টা আমারও অখাদ্য লেগেছিল।"
    আমারও যেমন, আর্ল গ্রে বা লেডি গ্রে চা  একদম মুখে রোচে না, তার চেয়ে ইংলিশ ব্রেকফাস্ট বা আমাদের এখানকার নিউজিল্যাণ্ড ব্রেকফাস্ট বেশ ভাল। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন