এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • মহম্মদ সেলিম এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৬ জুন ২০২৪ | ১০৫১ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মহম্মদ সেলিম বহু ক্ষেত্রেই  সঠিক কথা বলে থাকেন। এবারও বলেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, "কেউ কেউ স্বঘোষিত বিপ্লবী আছে, তাদের  আমরা বলি ফেসবুকে বেশি বিপ্লবীয়ানা করবেননা। কিন্তু করে। এখানে এমন একটাও সিপিএমের কাছ থেকে এক্সপেক্ট  করতে পারোনা, যে, মহিলাদের সম্পর্কে বা এ ধরণের ভাতা সম্পর্কে অফিশিয়ালি ডিনাউন্স করছে। কেন করবে? আমরা আমাদের বামপন্থী আন্দোলন মানে হচ্ছে, গোট বিশ্বে আমরা চাই, সরকার ক্ষতিপূরণ হিসেবে, মানুষের যে অধিকার দিতে পারছেনা, তাকে কিছুটা অন্তত সাবসিডাইজ করবে। আর বাকি যারা এগুলো নিয়ে কটাক্ষ করছেন, তাঁরা বামপন্থী নন, তাঁরা হতে পারেন সমর্থক, আমাদের দায় আমাদের কথা তাঁদের কাছে নিয়ে যাওয়া, আমাদের মাধ্যমগুলো দিয়ে, সরাসরি তাঁদের কাছে গিয়ে। কেউ কেউ উগ্র সমর্থক আছেন, তাঁদের আমরা সমর্থক থাকতে বলব, উগ্রতা কমাতে বলব।" (শুনে শুনে লেখা, মোটামুটি হুবহু উদ্ধৃতি)। 

    এর আগেও সেলিমের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছি। গুরু জয় গোস্বামীর বই ছাপার পর, এইরকমই উন্মত্ত ট্রোল করছিল সমর্থকরা, এক মহাপ্রভু তো জয়দাকে কীকরে কবিত লিখতে হবে সেটাও শেখাতে বসেছিলেন, তখনও সেলিম ঠিকঠাক অবস্থান নিয়েছিলেন। এবারও বক্তব্যের যে মূল সুর, তার সঙ্গে দ্বিমত হবার কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু তার পরেও একটা ব্যাপারে কিছুতেই একমত হওয়া যাচ্ছেনা, যে ব্যাপারটা কিছু উগ্র সমর্থক ঘটিয়েছেন মাত্র ( অন্য কেউ করেছেন কিনা, সে প্রশ্নটা  অবশ্য সেলিমকে করা হয়নি)। আদতে এই ন্যারেটিভটার উৎস কী জানিনা, কিন্তু একাধিক নেতাকে অবিকল এই "ভিক্ষা" টোনে কথা বলতে শুনেছি ইতিপূর্বে। সনতারিখ মনে নেই বলে নামধাম লিখলাম না। কিন্তু একদম সাম্প্রতিক কালেও, এই চব্বিশে লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পরেও তারকা প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে খুব কাছাকাছি একটা কথা বলতে শুনলাম। তিনি খুবই শান্ত, সুভদ্র, বিনীত ভঙ্গীতে বললেন, "সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের হয়তো মনে হয়েছে ছেলেমেয়ের স্বচ্ছ চাকরি  পাওয়ার চাইতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়াটা ভালো, অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাজ হবে আবার তাদের কাছেই যাওয়া, তাঁদেরকে এটা বোঝানো, কেন তাঁদের ছেলেমেয়ের চাকরি পাওয়াটা তাঁর ইলেকশনের অ্যাজেন্ডা হওয়া দরকার। যতদিন তাঁরা বুঝছেন না, ততদিন আমরা কথা বলব।"  এটাও প্রায় হুবহু উদ্ধৃতি। কানে শুনে লেখা। এতে কথার সুর অসম্ভব ভালো, বক্তব্যে ভিক্ষা শব্দটা নেই, ভাতায় তেমন কোনো আপত্তিও নেই, কিন্তু তারপরেও, ভাতা ব্যাপারটা ভালো না, আসল কথা হল স্বচ্ছ চাকরি। সমস্যা হল, ভাতা ভালো না, আসল ব্যাপার হল স্বচ্ছ চাকরি, ব্যাপারটা হরেদরে কিন্তু একই হল। এবং সেটা যথারীতি সেই শাইনিং দাবীদাওয়া। শুনে মনে হচ্ছে বিশ্বের সবার লক্ষ্য যেন এসএসসি অথবা আইটির চাকরি করা বা চাওয়া। এ কথা একশবার সত্য, যে, সরকারি বা হোয়াইট-কলার চাকরি পেলে কেউ ভাতার ধার ধারেনা। কিন্তু তার চেয়েও বড় সত্য হল, বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই সাদা-কলার কাজ করেনা। বিশ্ব শব্দটা ইচ্ছে করেই বললাম, কারণ অনুন্নত, উন্নত সব দেশেই বেশিরভাগ লোক শ্রমিক, চাষা, কারিগর, গাড়িচালক, দোকানদার, পাহারাদার ইত্যাদি প্রভৃতি। তারা কেউ স্বচ্ছ চাকরির ধার-ধারেনা। নিজের কাজে একটু বেশি উপার্জন চায়, উপার্জনের স্থিরতা চায়। এবং একই সঙ্গে ভাতাও চায়। দুটোই চায়। আমেরিকার মতো দেশেও ভোটের ইসু তাই সিলিকন-ভ্যালি নয়, রাস্ট বেল্ট, এবং  সোশাল-সিলিউরিটি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ইত্যাদি। এতে লোকের বোঝার আদৌ কোনো ভুল নেই। পাকড়ে ধরে বোঝানোরও কিচ্ছু নেই। বোঝাতে গেলে কেউ কানও দেবেনা। বরং বুঝতে হলে বুঝতে হবে তাঁদের, যাঁরা বোঝাবেন বলে দাবী করছেন। কারণ তাঁরা একটা কল্পলোকে বসবাস করছেন। 

    এবং এটা একা দীপ্সিতারও সমস্য নয়। আমার চারদিকে যাঁরা বামপন্থী পরিচয়ে আছেন, তাঁদের  বেশিরভাগেরই এইরকমই ধ্যানধারণা। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত। সমর্থক থেকে নেতা পর্যন্ত। তাঁরা একটা বুদবুদে বসবাস করেন। অথবা মতাদর্শগতভাবেই চাড্ডি। বুদ্ধবাবুর আমলে "চাষার ছেলে কি চাষা থেকে যাবে", থেকে এটার শুরু। গত দেড়-দুই দশকে তাঁদের একটা বিশ্লেষণও মেলেনি, ডাহা ফেল করেছেন। এর পরে নিজেদের বিশ্লেষণ নিয়েই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। কিন্তু নিজেদের শিক্ষাগরিমা হোক, বা অন্য কোনো ইলিউশনের কারণেই হোক, দেড়-দুই দশকের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার পরেও, তাঁদের ধারণা, তাঁরাই ঠিক, এবং সেটা পাবলিককে বোঝানোর মতো অবস্থানে আছেন। পাবলিক যেহেতু কান্ডজ্ঞান রাখে, তাই তারা এই অদ্ভুতুড়ে বিষয়টা বোঝেনা, সেখান থেকেই আসে হতাশা। এবং সেখান থেকে আসে রাগ। গাল পাড়া শুরু হয়ে যায়।  

    মহম্মদ সেলিম এই পুরো প্রক্রিয়াটা  বোঝেননা হতেই পারেনা। কিন্তু তিনি হয় কোনো অজ্ঞাত কারণে গুড-কপ-ব্যাড-কপ খেলেন, অথবা পিতামহ ভীষ্মের মতো, বুঝেও কিছু করার নেই। যে কারণেই হোক, সব মিলিয়ে ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে এই, যে, পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম মূলত শাইনিং মধ্যবিত্তের অ্যাসপিরেশন বয়ে চলেছে। কর্মসূচিতে যাই লেখা থাক, স্লোগানে, বয়ানে, সেলফিতে, টিভিতে। বস্তুত টিভির পর্দায় দেখে আদৌ বাম কোনো দৃষ্টিভঙ্গী আদৌ আছে বলেও মনে হয়না। এর ফাঁকে তৃণমূল দখল করে নিয়েছে মধ্যপন্থার জায়গাটা। বাঁ দিক থেকে বিরোধিতার জায়গা ছিল। কিন্তু বিরোধিতার  জায়গাটা  নিয়ে নিয়েছে দক্ষিণপন্থীরা। বিকাশবাবুরা কোর্টে এবং টিভিতে যা যা করেছেন, পুরোটার ফসলই নিয়েছে দক্ষিণপন্থা। এখনও বাঁদিকে জায়গা ফাঁকা আছে, কিন্তু খুবই ছোটো। সেটুকু দখল করাও সোজা না, কিন্তু তার জন্য পতাকা নিয়ে লম্ফঝম্প করলেই হবেনা, একটা লাইন থাকা দরকার, যে লাইনে কথা অন্য কেউ বলছেনা। কিন্তু সেদিকে এগোনোর কোনো লক্ষণ দেখা যায়না। সেই একই, কর্মসংস্থান নয় চাকরি, টাটা কত ভালো ছিল, আমাদের ভালো-ভালো ছেলেগুলো সব বেঙ্গালুরু চলে যাচ্ছে, এবং চোর-চোর। এর একটাতেও দক্ষিণপন্থার সঙ্গে বিশেষ তফাত নেই। অথচ বলার পরিসর ছিল। "বিকল্প" টা কী, ভাবা যেত। সত্যিই তো লোকে অবস্থার উন্নতি চায়, কিন্তু তার একটা বাস্তবসম্মত উপায়, পথ তো বাতলাতে হবে। বেড়ে চলা অসাম্য নিয়ে বলা যেত। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে বলা যেত। সবই অতীত কালে বলছি, কারণ, এখন বললে আমার মতো কয়েকটা উৎপটাং লোকের সমর্থন পাওয়া যাবে, কিন্তু যে মধ্যবিত্ত শাইনিং ভিত্তিটুকু সিপিএমের টিকে আছে, তারাও আর থাকবে কিনা বলা মুশকিল।  

    এই অবস্থায় পিতামহ ভীষ্ম ছাড়া আর কিছু হওয়া যায় বলে মনে হয়না। মহম্মদ সেলিমও তাই হয়েছেন। বাম হতে গেলে সমর্থকূল যাবে, আর সমর্থক রাখতে গেলে বামত্ব যাবে। বামদের থাকা দরকার জানি, কিন্তু এই ধাঁধার সমাধান কীকরে হবে জানিনা। অবশ্য অতটা ভেবেও দেখিনি। বিনামূল্যে কেনই বা ভাবব। তিনোরা যা চাল দেয় তার চেয়ে দুবস্তা যদি বেশি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন, তো ভেবে দেখতে পারি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৬ জুন ২০২৪ | ১০৫১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    গূঢ়  - Nahid Ul Islam
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তাতিন | 203.110.242.11 | ০৬ জুন ২০২৪ ১৭:২৫532790
  • উত্তর বিশ্বায়ন যুগে ওই বাম অবস্থানটা নেওয়া খুব চাপের। সিপিএম সহ বহু বাম পার্টিই তাই পুঁজিবাদের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে।
    খেয়াল করে দেখ,২০০৬-এর পর থেকে প্রায় দু দশক কেটে যেতে থাকল কিন্তু সিংগুর লাইনকে ভুল বলার কথা ছেড়েই দাও জাস্ট তাকে ইগনোর করে সিপিএম এগোতে পারল না।
    যখন সিপিএম এও জানে যে সিংগুর শ্রেণি-লাইন নয় এবং জনপ্রিয় লাইনও নয়।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:3810:77f4:97bc:ead4 | ০৬ জুন ২০২৪ ১৯:৩০532795
  • এটা নিয়ে গতকাল ভাটে লিখেছিলাম, এখানেও কপি করে দি। 
     
    বেশীর ভাগ রাজ্যে কৃষিজমি দখল করেই ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হচ্ছে, বা হাইওয়ে, পোর্ট, বিমানবন্ধর হচ্ছে। তামিল নাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্র, মহারাষ্ট্র, ইউপি, এনসিআর প্রভৃতি সর্বত্র। একেক রাজ্যে একেক পার্টি ক্ষমতায়, কিন্তু তারা কেউই এরকম বলে না, যে আমরা কৃষিজমি দখল করে কারখানা করার বিরুদ্ধে। বরং গ্রাউন্ড রিয়েলিটি হলো যে সব দলই ঐ পলিসি সাপোর্ট করছে। আর সে নিয়ে সাধারন লোকেরও যে খুব রাগ আছে তা মনে হয়না, কারন তারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঐ সব দলগুলোকেই ভোট দিচ্ছে। এই যেমন সৈকতবাবু লিখলেন, "ইনফোসিস চলে যাওয়ায় বাঙালির শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে, আর টাটা চলে যাওয়ায় মুন্ডুটাই উপড়ে গেছে" -  এরকম মনোভাব কিন্তু প্রায় সব রাজ্যেই। সর্বত্রই লোকে চায় আমার রাজ্যে ইনফোসিস আসুক বা টাটা আসুক, আমার রাজ্যে বড়ো ইন্ডস্ট্রি হোক, ইকোনমিক গ্রোথ হোক। এই যে চন্দ্রবাবু নাইডু লোকসভা ভোটে জিতলেন, উনি কিন্তু অমরাবতী নগর স্থাপন করেছিলেন, হাজার হাজার একর কৃষিজমি দখল করে নিয়েছিলেন। তার জন্য ওনাকে কোথাও ক্ষমাও চাইতে হয়নি আর সেখানকার লোকেরাও ওনাকে ফেলে দেয়নি। 
     
    এখানেই আমার মনে প্রশ্ন আসে, যে এই বার্ডেন কেন শুধুমাত্র পবর লেফট কেই নিয়ে হয় (এমনকি কেরলের লেফটকেও না), যে আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্টের বিরোধিতা করবো, ইনফোসিস টাটার বিরোধিতা করবো, লোককে বোঝাবো যে ওসব দক্ষিনপন্থী ব্যাপার, আমরা সাপোর্ট করিনা। সব রাজ্যেই তো কৃষিজমি দখল করেই দিব্যি উন্নয়ন হচ্ছে, আর সেসব দল ভোটও পাচ্ছে, তাহলে পবতে কেন অন্যরকম? 
     
    আর এরকম বিশুদ্ধ বাম হয়ে লাভই বা কি হচ্ছে, যেখানে লোকে ভোটই দিচ্ছে না? 
  • ---- | 103.244.241.57 | ০৬ জুন ২০২৪ ২০:০৪532798
  • https://cpim.org/wp-content/uploads/old/20240331-pdfls_election_manifesto.final_.pdf
    এটা সিপিএম-এর এবারের ভোটের অ্যাজেন্ডা ছিল।  কেউ পড়ে দেখেছে, বা এর পয়েন্ট ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে কোথাও? এসব দাবি দাওয়া কাউকে কখনও বোঝানো গেছে? 
     
    দুর্নীতি, কাটমানি, তোলাবাজি, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ, প্রাইভেটাইজেশন, কর্পোরেটকে প্রদেয় পলিসিগত সুবিধে - মোটের উপর এর বাইরে কিছু নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে?
     
    এটা কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা :
     
    এটা বিজেপির
     
    ভোট যারা করায়, সিপিএমের আমলেও যারা করাতো আর এখনও যারা করায় তাদের নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য? 
     
    শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সারা ভারতেই ভোট যেখানে যার সংগঠন বেশি সেখানে তার গায়ের জোরে হয়। এই সিস্টেমে দাঁড়িয়ে বিকল্প ভোটিং সিস্টেমের কথা ভাবা বেশি জরুরি, সভ্য শিক্ষিত দেশগুলোর অনুকরণের বদলে। অ্যানালিসিস করার আগে ট্রান্সপেরেন্ট ভোট হওয়াটা বেশি জরুরি নয়?
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৬ জুন ২০২৪ ২০:১৫532799
    • dc | ০৬ জুন ২০২৪ ১৯:৩০
    • ...এরকম বিশুদ্ধ বাম হয়ে লাভই বা কি হচ্ছে, যেখানে লোকে ভোটই দিচ্ছে না? 
     
    ডিসি, সত্যি কথা।

    কিন্তু যারা বাম রাজনীতি করবেন, তারা তাদের কাছে যারা বাম রাজনীতি সমর্থন করেন, তারা তো বিশুদ্ধ বামই আশা করবেন। না হলে অন্য কোন দলকে ভোট দেবেন।

    ধরুন আজ যদি বিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ, সহিষ্ণু হয়ে যায়, তাহলে কি আর খাঁটি চাড্ডিরা ভোট দেবে?
  • সিএস | 2401:4900:3a65:bc71:dd5d:5001:cf74:221f | ০৬ জুন ২০২৪ ২০:১৬532800
  • মহঃ সেলিমের সমস্যা হয়েছে যে সদর দপ্তরই আর নেই, ফলে কামান দাগার কথাও বলা যাচ্ছে না। কিছুই আর নেই, বামত্ব নেই, সমর্থক বলে যাদের ভাবা হচ্ছে তারাও আসলে সমর্থক নয়, ফলে সমর্থকও নেই। আর বাম থাকা উচিত বলে যা বল হচ্ছে, প্রশ্ন হল কোন বাম ? যাদের সাইনবোর্ডে বাম লেখা আছে তারাই ? থাকবে না, নেই, অন্য কিছু তৈরী হবে ভবিষ্যতে, যদি সিচুয়েশন তৈরী হয়। আমেরিকার উদাহরণ টানলে মনে হয় বলা যায় ডেমোক্রাটদের মধ্যেই বাম অংশ আছে, তো সেরকমই কিছু হতে পারে, কোনদিন কং - এর মধ্যে থেকে কিছু একটা। ইতিহাসে যা ভূমিকা সে জিনিস এখনকার বামেরা মিটিয়ে দিয়েছে, যতখানি ক্ষমতা ছিল, একাধিক জেনারেশনের উন্নতি করিয়ে শাইনিং ও উন্নতিকামী শ্রেণীতে কিছু লোককে পরিণতি করেছে, যে কোন দলের তো সেটাই লক্ষ্য লোকের উন্নতি করা, তো সেটা হয়েছে। গাছেরও খাব, তলারও নেব, শাইনিংও হব, বামও হল, অত হয় না। ভবিষ্যতে অন্য কোন কিছু হবে, অন্য একদল লোকে করবে।
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৬ জুন ২০২৪ ২০:২৭532801
  • স্যরি, আমার বাক্যগঠনটা ঘেঁটে গেছে। বলতে চাইলাম বাম রাজনীতির সমর্থকরা বাম নেতা কর্মীদের কাছে বিশুদ্ধ বাম রাজনীতি আশা করবেন - ইত্যাদি।

    ইন ফ্যাক্ট এইটা বাম রাজনীতির একটা ভালো মন্দ দুই দিকই - তাত্ত্বিক অবস্থান নিয়ে নিরন্তর ডিসকোর্স বা ফ্যাচাখেউ, কে সহি বাম এই নিয়ে তক্কো, ব্যাপারটা স্বাভাবিকও, যেহেতু তত্ত্ব আছে আর প্রয়োগে ভিন্নমত থাকতে পারে, প্রয়োগক্ষেত্রের আধার, ভিত্তি ইত্যাদি কি, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিচারের দায় আছে, স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার দায় আছে - ইত্যাদি।

    সমস্যা কঠিন, দিশা জটিল, সময় গোলমেলে - এইটা আমার মনে হয়।

    কিন্তু শাইনিং মধ্যবিত্ত সমর্থকদের এজেন্ডা দিয়ে বাম রাজনীতি চলে না- এইটা আমি বিশ্বাস করি, নিজে শাইনিং মধ্যবিত্ত ও বাম ভোটার হয়েও।

    শাইনিং মধ্যবিত্ত ও 'মেহনতি মানুষ', 'শ্রমিক শ্রেণী'-র স্বার্থ ও বাস্তবতা আলাদা।
    এবার বাম রাজনীতি থেকে শ্রেণী ব্যাপারটা কাটিয়ে দিলে হাতে কী থাকে, তা আমি তো অন্তত বুঝি না, বোঝার কথাও না, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আমার নেই।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:3810:77f4:97bc:ead4 | ০৬ জুন ২০২৪ ২০:৩২532802
  • র২্হ এর কথা বুঝতে পারছি, তবে আমি গ্রাউন্ড রিয়েলিটির কথা বলছি। ইন ফ্যাক্ট সি এস এর ওপরের পোস্টটার সাথে আমার ভাবনা অনেকটাই মিলে যায়। সিএসও মনে হয় যেটা বলতে চেয়েছেন, বামত্বও রিলেটিভ। সেই পুরনো বামকেই যদি আমরা আঁকড়ে ধরে বসে থাকি, যারা টাটা-বিড়লার একনিষ্ঠ বিরোধিতা করতো, পুঁজির বিরুদ্ধে যারা দীর্ঘ প্রবন্ধ নামাতো, সেই বামপন্থা তো অনেক দিন হলো অচল হয়ে গেছে! এখনকার দিনে যে বামপন্থার প্রচার করলে লোকে ভোট দিচ্ছে, অর্থাত মনরেগা, ফার্মারদের জন্য যথাযথ পলিসি, সাবসিডি ইত্যাদি, সে সব নিয়ে কথা বললে ভালো হয়না? বিশুদ্ধ শিল্পবিরোধী বামেদের কি লোকে আদৌ ভোট দেবে?    
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:3810:77f4:97bc:ead4 | ০৬ জুন ২০২৪ ২০:৩৮532803
  • "কিন্তু শাইনিং মধ্যবিত্ত সমর্থকদের এজেন্ডা দিয়ে বাম রাজনীতি চলে না" - এতে আমিও একমত, যদিও আমি ক্যাপিটালিস্ট। আমি যেটা বলতে চাইছি, নানা রাজ্যে নানান পার্টির পলিসি দেখে আর ভোটিং প্যাটার্ন দেখে বামেরা একটা পলিসি ঠিক করতে পারে, যে পলিসি নিয়ে লাগাতার প্রচার করলে পলিটিকাল ক্রেডিবিলিটি ফিরে পাবে, লোকে ভোট দেবে। অন্যান্য নানা রাজ্যের ভোটের ফলাফল দেখে আমার মনে হয় লার্জ স্কেল ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশান আর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সব রাজ্যের লোকই চায়। তাই বামেরা খামোখা পবতে তার বিরোধিতা কেন করবে, এটাই বলতে চেয়েছি। বলা বাহুল্য এটা আমার পার্সেপশান, পবতে গ্রাউন্ড লেভেলে কি হচ্ছে একেবারেই জানিনা। 
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৬ জুন ২০২৪ ২০:৩৮532804
  • কিন্তু বিশুদ্ধ বাম শিল্পবিরোধী- সেরকম তো কিছু না।
    যেখানে শিল্পপতি ও মধ্যস্বত্বভোগী গোষ্ঠীর স্বার্থের সঙ্গে শ্রমিক বা কৃষকের স্বার্থের সংঘাত হয় - সেখানে বামসুলভ অবস্থান নেওয়া, এইটা গোলমাল।

    বামেদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ জঙ্গী শ্রমিক আন্দোলন। কিন্তু ঐ সময়ের পরিস্থিতি বিচারে, অনিয়মিত বেতন, ভাতা না দেওয়া, পিএফ গ্র‌্যাচুইটি বীমা ইত্যাদি নিয়ে আন্দোলন তো ঠিকই ছিল।
    এবার সেসবের মধ্যে ম্যানেজমেন্টের দালাল ছিল, বিকিয়ে যাওয়া নেতা ছিল, মালিকের জন্যে কারখানা বন্ধ করে জমি ফেলে রেখে তাতে রিয়েল এস্টেট বেশি লাভজনক ছিল, দেশভাগ, মাশুল সমীকরন -নানান জিনিস ছিল।
    কিন্তু শ্রমিকের স্বার্থ দেখা তো শিল্প বিরোধীতা না। যেমন ভূমি সংস্কার মানে কৃষি বিরোধীতা না।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:3810:77f4:97bc:ead4 | ০৬ জুন ২০২৪ ২০:৪৪532805
  • জঙ্গী শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। বহুকালের পুরনো কথা, এখন সেসব ইরেলিভ্যান্ট হয়ে গেছে। আজকের দিনে বামেরা কিভাবে ফিরে আসতে পারে সেটা আমার কাছে একটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। তার মানে ভাববেন না আমি বামপন্থী। আমার মনে হয় এমনিতেও গনতন্ত্রে সব রকম আইডিওলজি থাকা দরকার, তাছাড়া পবতে বামেরা ফিরলে বিজেপিও নির্মূল হয়, আর চূড়ান্ত করাপ্ট তিনোরাও ক্ষমতা হারায়। এই আর কি :-)
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৬ জুন ২০২৪ ২১:০১532806
  • হ্যাঁ, সে তো বটেই।

    আনরিয়ালিস্টিক মনে হয় যদিও এই সময়ে, শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও তদূর্দ্ধ অনেকটাই এখন বিজেপির সঙ্গে অ্যালাইনড, ওদিকে বিজেপির আসল শত্রু বাম, তৃণমূল নয়, যেহেতু সংঘাতটা আদর্শগত, কিন্তু বাম তৃণমূল বিরোধিতায় ব্যস্ত।

    আর ব্যক্তিগত অবস্থান নিয়ে আমার কোন শক্ত দাবি নেই! ক্যাপিটালিজমের দয়ায় করে কম্মে খাচ্ছি; আবার মরবো দেখে বিশ্ব জুড়ে যৌথ খামার - এইসব জিনিসকে রোমান্টিসাইজ করি। তো মূলত দেওয়ালে বসা পাবলিক!
  • aranya | 2601:84:4600:5410:256d:f19d:6fa5:34ea | ০৬ জুন ২০২৪ ২১:২০532807
  • যৌথ খামার না হয়ে যৌথ বাওজাম বাগান হলেও চলবে :-)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:256d:f19d:6fa5:34ea | ০৬ জুন ২০২৪ ২১:৪১532809
  • জোকস এসাইড, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 
     
    ' "সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের হয়তো মনে হয়েছে ছেলেমেয়ের স্বচ্ছ চাকরি  পাওয়ার চাইতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়াটা ভালো, অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাজ হবে আবার তাদের কাছেই যাওয়া, তাঁদেরকে এটা বোঝানো, কেন তাঁদের ছেলেমেয়ের চাকরি পাওয়াটা তাঁর ইলেকশনের অ্যাজেন্ডা হওয়া দরকার। যতদিন তাঁরা বুঝছেন না, ততদিন আমরা কথা বলব।"
    - লক্ষ্মীর ভাণ্ডার -এর প্রয়োজন নেই, এটা কিন্তু দীপ্সিতা বলেন নি। তবে শুধু চাকরি-র কথা না বলে, চাকরি বা অন্য কোন কাজের সুযোগ - এমনটা বলতে পারতেন। 
     
    ভাতা এবং কাজ -  দুটো ই জরুরী 
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৬ জুন ২০২৪ ২১:৫৪532810
  • অরণ্যদা, সে তো বটেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বচ্ছ চাকরির প্রসঙ্গ উঠলে পবর চাকরি দুর্নীতির অভিযোগগুলি বোঝায়, যেটা সমাজের একটা অংশের স্বার্থ, অন্য একটা বিপুল অংশের স্বার্থ আলাদা।
    প্রার্থী কোন অংশকে অ্যাড্রেস করছেন (যেহেতু একটি ইস্যু নিয়েই বলা হয়েছে), সেটা এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়।

    লক্ষ্মীর ভান্ডার ভাতা পাওয়ার শর্তে দেখতে পাচ্ছিঃ "The applicant should not be a government employee in permanent employment/ retired government employee of Central/ State Government, Statutory Bodies, Government Undertakings, Panchayats, Municipal Corporations/ Municipalities, Local Bodies, teaching and non-teaching employees of Government aided Educational Institutions, etc. receiving regular salary/ pension."

    এই অংশের অনেক মানুষের কাছে 'স্বচ্ছ চাকরি'র বাইরেও অন্য ইস্যু আছে।
    বড় স্কেলে দেখতে গেলে ধর্মীয় মেরুকরণ, এন আরসি, সিএএ আছে। বাড়তে থাকা বিদ্বেষ,অনিশ্চয়তা আছে।

    আবার এর বাইরে যারা, তাঁদেরও অনেকের কাছে সরকারি চাকরি লক্ষ্য নয়।
    আবার যেসব যোগ্য প্রার্থী সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদেরও অনেকেই বিকাশবাবুর ওপর ক্রুদ্ধ।
    তো ভোট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় লক্ষ্মীর ভান্ডার একমাত্র লক্ষ্য হলে মুশকিল।
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৬ জুন ২০২৪ ২১:৫৬532811
  • বাওজামটা ভালো হয়েছেঃ)
    গ্রাম্ভারী বাওবাবের ছায়ায় আমার দেশজ রসালো শ্যামল জাম চাপা পড়ে যাওয়াতে আমি প্রায়ই হতাশ বোধ করিঃ)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:9149:7137:3edf:1bd5 | ০৬ জুন ২০২৪ ২২:০৫532812
  • 'গ্রাম্ভারী বাওবাবের ছায়ায় আমার দেশজ রসালো শ্যামল জাম চাপা পড়ে যাওয়াতে আমি প্রায়ই হতাশ বোধ করি' - smiley
  • aranya | 2601:84:4600:5410:9149:7137:3edf:1bd5 | ০৬ জুন ২০২৪ ২২:০৭532813
  • 'ভোট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় লক্ষ্মীর ভান্ডার একমাত্র লক্ষ্য হলে মুশকিল' - খুবই ঠিক কথা। আমি চেষ্টা করব, দীপ্সিতা - র স্পিচ টা শুনতে
  • সিএস | 49.47.145.23 | ০৬ জুন ২০২৪ ২৩:১৮532817
  • শেষ পোস্টে যখন লিখেছিলাম দরকারে কং এর মধ্যে থেকে বামেরা তৈরী হবে, যেটা পরিষ্কার বলা হয়নি যে আমি বামেদের কথা সর্বভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতেই দেখেছি। প্রায় বিশ বছর আগের সময় ছিল যখন বামেদের সবথেকে শক্তিবৃদ্ধি হয়েছিল, তারপর তো এখানে সেখানে কিছু পকেটে, বিহার, তামিলনাড়ু, তো বামপন্থীদের সর্বভারতীয় কনটেক্স্টটা হারিয়ে গেছে অথচ এই সেই সময়ের যখন ভাজপার শক্তিবৃদ্ধি হল। এই ভোটের পরে সিপিএম নিয়ে লেখাপত্তর পড়ে মনে হচ্ছে যে তাদের সম্পূর্ণ একটি রাজ্যভিত্তিক দল বানিয়ে ফেলা হচ্ছে যেন এই রাজ্যের সিপিএম তাদের নিজস্ব লাইন নিয়ে চলবে। আমার জানা নেই সারা ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম কী ভাবে বা কী করে কিন্তু একটি রাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে তারা লাইন ঠিক করলে, সেই লাইন সব সময়েই যে ক্ষমতা হারিয়েছি সেই ক্ষমতা ফিরে পেতে চাইবে, স্ট্রাটেজী - আন্দোলন ইত্যাদি সবই ক্ষমতার কথা ভেবেই হবে। ভিখিরি বলা বা কোর্ট মারফত টিএমসিকে প্যাঁচে ফেলা,এসবের মধ্যে মনে হয় ঐ ক্ষমতার দিকে দৃষ্টিটাই আছে। সন্দেহ আছে একটা বামপন্থী বা আইডিওলজিকাল দল এইভাবে সংকীর্ণ হয়ে ভাল কিছু করতে পারে কিনা, অথবা এই সংকীর্ণ হয়ে গেলে আরোই ক্রাইসিস তৈরী হতে পারে, আরোই গালাগালি ইত্যাদি।
  • :|: | 174.251.161.123 | ০৭ জুন ২০২৪ ০৬:২৫532822
  • লেখার শেষ লাইনটি পড়ে বুঝলুম আপনি খুব ভালো মানুষ। চাল দিতেই হবেনা শুধু প্রতিশ্রুতিতেই খুশী হয়ে খেটে দেবেন। 
  • সিএস | 2401:4900:3a8c:baf:5172:c8c3:950d:366d | ০৭ জুন ২০২৪ ১৩:১৪532838
  • পিকে তো এখন বেকার, সিপিএম ডেকে দেখতে পারে, এটা গতকাল লিখব ভেবেছিলাম।

    আজ আবাপ অনলাইনে দেখ্ছি সেরকম একটা হেডলাইন !
  • hehe | 86.106.74.158 | ০৭ জুন ২০২৪ ১৩:৫১532839
  • সিপুয়েম আপনাকে ডাকলেও পারে! সাইত্যর দিকটা পিকে কি আর বুজবে?
  • সিএস | 2401:4900:3a6b:c19a:7c80:7d9b:ef88:f8f6 | ০৭ জুন ২০২৪ ১৩:৫৬532840
  • তাই তো, পোকামাকড়গুলো কাল ডিম পাড়তে ব্যাস্ত ছিল।
  • প্রাক্তন | 42.105.141.192 | ০৭ জুন ২০২৪ ১৪:৪৯532843
  • সাইত্যের কথাই যখন উঠল, তরুণ বামপন্থী ব্রিগেড তথা রেড ভলান্টিয়ার্সদের মাধ্যমে প্রাচীন ও বয়স্ক অবসরসম্ভব নেতৃবৃন্দ, কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের পরবর্তী বাংলা ইংরিজি বামপন্থী সাহিত্য - গল্প উপন্যাস কবিতা প্রবন্ধ গ্রন্থ ও পত্রিকা - বামপন্থার ক্লাসনোট - যে ক্লাস তিরিশ বছর আগেও পার্টিতে নাম লেখাতে বাধ্যতামূলকভাবে করতে হত - ডিজিটাল লাইব্রেরি হিসেবে সংরক্ষণ করার কথা ভাবতে পারেন। অন্তত বিরোধী ও প্রতিপক্ষ আক্রমণে, নিদেনপক্ষে কালের করাল হস্তে, সমস্ত বিনষ্ট ও বিস্মৃত হওয়ার আগে যেটুকু বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। প্রবীন নেতৃবৃন্দ বামপন্থার এইসব থিয়োরি ক্লাস ভয়েস বা ভিডিও হিসেবে রেকর্ড করেও রাখতে পারেন, ইউটিউবে বা স্বতন্ত্র সাইটে/আর্কাইভে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ নিজের আগ্রহে এসবের পাঠ ব্যক্তিগত পরিসরেও নিতে পারে, পার্টিসদস্যপদের মনোনয়ন গোছের লালফিতেফর্মালিটির তোয়াক্কা না করে, কিংবা পার্টিসদস্যপদগ্রহণের পূর্বশর্ত হিসেবে এই ক্লাসগুলি করে প্রস্তুতি নিয়ে তবে যোগদান করতে পারে। বর্তমান শীর্ষনেতৃত্বদের তিরোধানের পর এসব নলেজ ট্রান্সফার অসম্ভব হয়ে পড়বে। বামপন্থাকে দু- দশ বছর না হোক বিশ তিরিশ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় ফিরতে তো হবেই। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার মতো একমুখী এনট্রপিঅ্যারো সদৃশ সমাজতন্ত্রের অবলুপ্তি নিশ্চয় বামপন্থীরা মেনে নেবেন না। তখন যেন ভিতহীন শিকড়হীন জাস্ট আরেকটা রাজনীতিকরিয়ে দল হিসেবে না হয় সে ফিরে আসা।
     
    আজ অবধি বামপন্থী রাজনীতিতে একটাই শাসকবিরোধী অবস্থান - নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্তিগত সততা। নিশ্চয় সামগ্রিক রাজ্য ও দেশবাসীর মানসিক সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গী ও চিন্তাক্ষেত্রকেও বামমনস্ক করে তোলার দায়িত্ব নিয়ে সেই লক্ষে এগোনোর মতো কিছু চেষ্টাচরিত্র তারা করবেন। করলে এরকম ডিজিটাল লাইব্রেরি অত্যাবশ্যক বলেই মনে হয়।
  • অরিন | 2404:4404:1732:e000:c53a:843f:7f92:917e | ০৭ জুন ২০২৪ ১৫:২২532845
  • "বিশ্ব শব্দটা ইচ্ছে করেই বললাম, কারণ অনুন্নত, উন্নত সব দেশেই বেশিরভাগ লোক শ্রমিক, চাষা, কারিগর, গাড়িচালক, দোকানদার, পাহারাদার ইত্যাদি প্রভৃতি। তারা কেউ স্বচ্ছ চাকরির ধার-ধারেনা। নিজের কাজে একটু বেশি উপার্জন চায়, উপার্জনের স্থিরতা চায়। এবং একই সঙ্গে ভাতাও চায়। দুটোই চায়। আমেরিকার মতো দেশেও ভোটের ইসু তাই সিলিকন-ভ্যালি নয়, রাস্ট বেল্ট, এবং  সোশাল-সিলিউরিটি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ইত্যাদি। এতে লোকের বোঝার আদৌ কোনো ভুল নেই। পাকড়ে ধরে বোঝানোরও কিচ্ছু নেই। বোঝাতে গেলে কেউ কানও দেবেনা। বরং বুঝতে হলে বুঝতে হবে তাঁদের, যাঁরা বোঝাবেন বলে দাবী করছেন। কারণ তাঁরা একটা কল্পলোকে বসবাস করছেন। "
     

    এটা একটা দারুন ইম্পরট্যান্ট পয়েন্ট ।
     
    সৈকতের লেখার প্রেক্ষিতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর world bank  এর  এই ডকুমেন্টগুলো রাখা থাক,  দেখুন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে

    " The target is for India to grow at 8% annually and be a $7.5 trillion economy by
    FY2032, with poverty rates falling below 5%.c The country partnership strategy, 2018–2022 of the Asian
    Development Bank (ADB) for Indiad aims to support the Government of India’s goal of faster, inclusive, and
    sustainable economic growth with its emphasis on three strategic pillars: (i) boosting competitiveness to create more
    and better jobs; (ii) providing inclusive access to infrastructure networks and services, including public sector
    management; and (iii) addressing climate change and increasing climate resilience. The partnership strategy states
    that ADB will extend its assistance to improve the efficiency of public sector resource management at the state, local,
    sector, and project levels.
    ADB’s support to state governments in India for better public financial management can help them enhance
    operational efficiencies and deploy scarce public resources for improved service delivery and growth-inducing public
    investment. ADB’s policy-based loans in India since 2012 go to the heart of development, especially inclusive
    development, with state budgets as the main policy instrument to pursue state governments’ development goals"

    ( https://www.adb.org/sites/default/files/linked-documents/54001-001-sprss.pdf )

    এবং এটাতে পশ্চিমবঙ্গের ওপর বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছে ।
    দ্বিতীয়টা বিশ্ব ব্যাঙ্কের ডকুমেন্টেশন ২০২১, যখন বিশ্বজুড়ে সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক কাজকর্ম শুরু হয়েছিল বিশেষ করে covid ১৯ কে কেন্দ্র করে । তো সেখানে ব্যাংক লিখেছে,
    "
    The proposed PforR – Building State Capability for Inclusive Social Protection - will:
    (i) Support GoWB’s objective in protecting the poor and vulnerable groups through expanding coverage of
    the existing social assistance interventions at the State level and enabling improved delivery of cash
    transfers through an integrated registry
    (ii) Use technology tools combined with front-line cadres to provide new modes of mobile social care
    support to the elderly and disabled; and
    (iii) Create an institutional platform to improve coordination and effectiveness of government interventions
    to address women’s weak labor force participation in the state.
    The Bank’s proposed PforR aims to support the state government of West Bengal’s innovative and continuous efforts
    to scale-up the state’s social protection system for vulnerable persons, and the human capital outcomes that
    accompany these interventions."

    এখানে পি ফর আর এর পুরোটা প্রোগ্রাম ফোর রেজাল্টস
    ( https://documents1.worldbank.org/curated/en/432611634163461183/pdf/Draft-Environmental-and-Social-Systems-Assessment-ESSA-English-version-West-Bengal-Building-State-Capability-for-Inclusive-Social-Protection-PforR-P174564.pdf )

    এখানে "ভিক্ষা" জাতীয় কথাগুলো তোলার প্রশ্নই ওঠে না ।
  • JAYANTA GUHABISWAS | ০৭ জুন ২০২৪ ১৭:৪৪532849
  • যত টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডারের নামে দেওয়া হচ্ছে সেই টাকা যদি শিক্ষা এবং সাস্থ্যর পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে খরচ হতো তা'হলে দীর্ঘমেয়াদীতে এই রাজ্যের যা সম্পদ তৈরী হতো তা ঈর্ষণীয়। শুনেছিলাম বছরে প্রায় একুশ হাজার কোটি। কিন্তু কে বলবে এই কথা। সুতরাং আশ্রয় নেওয়া এই পপুলিজমের পায়ে। একদিকে পপুলিজম অন্য দিকে ধর্মের নামে ঘৃণার রাজনীতি। এর মুখোমুখি হতে গেলে অনেক ভালো না লাগার সাথে ঘর করা শিখতে হবে। 
  • প্রাক্তন | 42.108.80.5 | ০৭ জুন ২০২৪ ১৮:৪৮532851
  • সিপিএম ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেবে বলেছে কি? এটা তাদের অফিশিয়াল এজেন্ডায় রয়েছে? 
  • Suvasri Roy | ০৯ জুন ২০২৪ ০৯:৪৫532936
  •   শিল্প আনতে ব্যর্থতা ছিল যদিও সবটাই বামেদের দোষ নয়। বাম জমানায় শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ কাদের নির্দেশে হ'ত, তাও আমরা জানি। তার পরেও বলব, ঔদ্ধত্য এবং জনগণের থেকে বিচ্ছিন্নতা তাদের পতনের সবচেয়ে বড় কারণ। তবে কোনো পরিস্থিতিই অটল নয়। ভবিষ্যতে অনেক পরে অন্য কিছুও হতে পারে। ভোটে আশাব্যঞ্জক ফল চাইলে জনগণের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যেতে হবে। কাজটা কঠিন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন