এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • শংকর ভাষ‍্যে - বশী বন্দনা

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ৩৬৩১ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  •    শঙ্করীপ্রসাদ বসু ছিলেন পেশায় অধ‍্যাপক। নেশায় বিবেকানন্দ গবেষক। সাত খণ্ডে "বিবেকানন্দ ও সমকালীন ভারতবর্ষ" গ্ৰন্থ রচনার জন‍্য তিনি সাহিত্য আকাদেমী পুরস্কারে সম্মানিত হন। একদা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শঙ্করীপ্রসাদ দীর্ঘদিন ওখানে বাংলা বিভাগে অধ‍্যাপনা করে অবশেষে নয় বছর বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করে অবসর নেন। গোলপার্কের রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারে ১৯৯৫তে স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কিত আর্কাইভের জন্মলগ্ন হতে আমৃত্যু সংযুক্ত ছিলেন। হয়েছিলেন সেই আর্কাইভের ডিরেক্টর। ডঃ নিমাইসাধন বসু‌ও একজন ঐতিহাসিক, শিক্ষাবিদ। মাধ‍্যমিকে ওনার ইতিহাস ‌ব‌ই পড়ে‌ছি। সাবলীল ভাষা, সুন্দর বিষয় বিন‍্যাস, আকর্ষণীয় উপস্থাপনা, ঝকঝকে ছাপার ব‌ই‌টি ছিল আমার খুব প্রিয়। ডঃ ভোলানাথ চক্রবর্তী ছিলেন এক প্রখ‍্যাত হোমিওপ্যাথ। রাষ্ট্রপতি, রাজ‍্যপালের চিকিৎসার জন‍্য‌ও ওনার ডাক পড়তো।
     

       উপরোক্ত তিন বিখ‍্যাত ব‍্যক্তিত্ব‌ই ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হা‌ওড়া বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন নামক স্বনামধন‍্য বিদ‍্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। ১৯৫৬ সালে সেই  বিদ‍্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক শাখার ভবনটি‌র উদ্বোধন করেন আর এক মহান ব‍্যক্তিত্ব - তদানীন্তন রাজ‍্যপাল ডঃ হরেন্দ্রনাথ মুখার্জী।  মণিশংকর মুখোপাধ্যায় বা জনপ্রিয়, সাহিত‍্য আকাদেমী পুরস্কার‌প্রাপ্ত লেখক - শংকর‌ও ছিলেন বিবেকানন্দ ইন্সটিটিউশনের ছাত্র। বয়সে ৫ বছরের অগ্ৰজ বিবেকানন্দ স্কুলের শঙ্করীপ্রসাদ শংকরকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহভরে তুই তোকারি করতেন। লেখা‌র ব‍্যাপারে উৎসাহ, তথ‍্য, পরামর্শ, দিশা জুগিয়েছে‌ন। অবশ‍্য শংকর তাঁর স্বভাবজ বিনয়ে অনেক অগ্ৰজ লেখকের স্নেহ‌ভাজন ছিলেন - যেমন বিমল মিত্র। শংকরের প্রথম ব‌ই "কত অজানারে" ও দ্বিতীয় ব‌ই "চৌরঙ্গী" প্রকাশের পর শঙ্করীপ্রসাদ অনুজ শংকরকে পরামর্শ দিয়েছিলেন - হাইকোর্টের অভিজ্ঞতা, হোটেলের আখ‍্যান তো হোলো - এবার নতুন কোনো বিষয়ে লেখ্। দীর্ঘ এক বছরের প্রচেষ্টায় শংকর লিখলেন - "নিবেদিতা রিসার্চ ল‍্যাবরেটরি"। 
     

     ২০২২ এর সেপ্টেম্বরে - "শারদীয়া বর্তমান" ১৪২৮এ প্রকাশিত শংকরের একটি বিশেষ রচনা - "কেমনে তোমারে ভুলি?" পড়ে বেশ লাগলো। নানা অজানা বিষয় জানলাম। যেমন ঐ নিবন্ধের কেন্দ্রীয় বাস্তব চরিত্র - বশী সেনের আদলেই নির্মিত হয়েছিল নিবেদিতা রিসার্চ ল‍্যাবরেটরি উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র - বিজ্ঞানী জীমূতবাহন সেন।



    শংকরের এই বিশেষ রচনার চরিত্র - বিশ্ববিখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী বশীশ্বর সেন - আদিতে  বিষ্ণু‌পুর নিবাসী বশী সেন। হায়! এনার প্রেক্ষাপট, কর্মকাণ্ড তো দুরের কথা - ২০২২এ শংকরের লেখাটি পড়ার আগে অবধি আমি ওনার নাম পর্যন্ত শুনিনি‌। কী লজ্জা! শংকরের লেখা‌য় ওনার সম্পর্কে অনেক কথা জানলাম - যেমন কীভাবে লেওনার্ড এলমহার্স্ট বারংবার ওনাকে নানাভাবে আর্থিক সাহায্য করেছে‌ন। কেমব্রিজ ও কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত এই বিশ্ববিখ্যাত ব্রিটিশ কৃষি‌বিজ্ঞানী‌র কথা অবশ‍্য কিছুটা জানা ছিল। জানতাম তিনি শান্তি‌নিকেতনে বেশ কিছুদিন থেকে রবীন্দ্রনাথের আশ্রমে কাজ করেছেন, সেখানে স্থাপনা করেছেন Institute of Rural Reconstruction. 
     

    শংকরের ঐ লেখায় মহান বিজ্ঞানী আচার্য্য জগদীশ চন্দ্রের কিছু চারিত্রিক ক্ষুদ্রতা জেনে দুঃখ পেলাম। বশী সেন তাঁর সাহায্য‌কারী হিসেবে বারো বছর কাজ করে একদিন‌ও ছুটি নেননি - কিন্তু ছোট ভাই সতীশ্বরের প্রবল অসুস্থতার জন‍্য একটি রবিবার না আসায়, আচার্য্য বিরক্তি প্রকাশ করলেন। বশী সেন তিন বছরের মেহনতে তৈরী করে তাঁর মৌলিক গবেষণার খসড়া দেখতে দিয়েছিলেন জগদীশ‌ চন্দ্রকে। মহান আচার্য্য বশী সেনের নামোল্লেখ অবধি না করে তা বিদেশে‌র জার্নালে নিজের নামে ছাপিয়ে দিলেন! 
     
     অন‍্য লেখা‌তে পড়েছি সমসাময়িক ঋষি‌প্রতি‌ম বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের প্রকাশিত গবেষণা‌পত্রে সেই গবেষণায় তাঁর সহকারী‌দের নাম‌ও থাকতো। জগদীশ‌ চন্দ্রর তেমন সৌজন্য‌বোধ, মানবিক উদারতা ছিল না। তাই জগদীশ চন্দ্রের র প্রকাশিত গবেষণা পত্রে তাঁর বিশেষ সহকারী‌দের নাম‌ও থাকতো না।

       একবার আমেরিকা‌ন গবেষক গ্ৰেন ওভারটন বশীকে এক বছরের জন‍্য সহকারী হিসেবে নিয়ে যেতে চাইলে‌ন। বশী আচার্য্য‌র কাছে এক বছরের ছুটি চাইলেন। বিরক্ত হয়ে আচার্য্য বসু বললেন -"যদি তোমার এখানে কাজ করতে ভালো না লাগে তাহলে যেখানে খুশী যেতে পারো"। একযুগ ধরে নিরলস কর্মসেবার যোগ‍্য পুরস্কার! 
     
      চলে গেলেন বশী আমেরিকা‌য়। তবু বশী যে দুজন মানুষের শতায়ু কামনা করতেন - তাঁদের একজন রবীন্দ্রনাথ। অন‍্যজন জগদীশ‌ চন্দ্র‌। এতেই 'সদানন্দ‌র কুত্তা' বশীশ্বর সেনের মহানুভবতা উপলব্ধি করা যায়।
     
     
      বিবেকানন্দ যখন স্বামী‌জী হয়ে বিশ্ববিখ্যাত হননি, সেই তখন যে মানুষটি নির্দ্বিধায় এক অচেনা রমতা যোগীর শিষ‍্যত্ব গ্ৰহণ করে হেলায় উত্তরপ্রদেশে হাতরাশ স্টেশনের রেল কর্মচারী‌র চাকরি ছেড়ে বিবেকানন্দ‌র সাথে অনির্দিষ্ট সন্ন‍্যাসযাত্রায় পথে নামেন - স্বামী‌জীর সেই  প্রথম শিষ‍্য‌ই সদানন্দ। পরে বশী সেন শিষ‍্যত্ব গ্ৰহণ করেন সদানন্দ‌র। বশীদের বিষ্ণুপুরের নিবাসে‌ স্বামী সদানন্দ এসেছেন, থেকেছে‌ন। বশী পেয়েছেন গুরুসেবার সুযোগ। মৃত্যুর আগে বশীশ্বর, ভাই মতীশ্বর ও বশীর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সহপাঠী বিভূতি ঘোষকে সদানন্দ সস্নেহে বলেছিলেন - "যা শালারা ডালকুত্তা রেখে গেলাম - তোদের কিছু করতে পেরেছি কী পারিনি জানি না - তোদের কর্তার (স্বামীজীর) সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি"। আজীবন বশী তাই তাঁর গুরু সদানন্দ‌র কুকুর হতে পেরে নিজেকে ধন‍্য মনে করেছেন। 

      আমেরিকা থেকে ফিরে বশী পুনরায় আচার্য্য জগদীশ চন্দ্রের কাছে বসু বিজ্ঞান মন্দিরে যোগ দিতে চাইলেন। ইচ্ছা প্রকাশ করলেন আচার্য্য একটি ঘর দিলে বশী নিজের মতো কিছু গবেষণা করতে পারেন। আচার্য্য বশী‌র ইচ্ছা‌য় সাড়া দিলেন না। 
     
       তখন বশী কলকাতা‌য় তাঁদের আট নম্বর বোসপাড়া লেনের ছোট্ট বাড়ির রান্না‌ঘরে স্থাপনা করলেন - "বিবেকানন্দ ল‍্যাবরেটরি"। ঐ বাড়িতে‌ই ১৯১১তে দেহাবসানের আগে অবধি বশী ও ভাই মতী দু বছর তাঁদের মৃত্যুপথযাত্রী গুরু সদানন্দ‌র সেবা করেছেন। মৃত্যুর পর দোতলায় সদানন্দ‌র স্মৃতি রক্ষিত। একতলায় একটিমাত্র কক্ষ। তাই রান্নাঘরে দুটি চাকা লাগানো বাক্সের ওপর শুরু হোলো ল‍্যাবরেটরি‌র কাজ। রাতে যন্ত্রপাতি সরিয়ে ওটাই শোয়ার জায়গা।
     

      আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র পিছিয়ে গেলে‌ও এহেন অভিনব বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা‌য় এগিয়ে এলেন অন‍্য অনেকে। যেমন বিবেকানন্দের আমেরিকা‌ন বন্ধু (হ‍্যাঁ, তিনি নিজেকে স্বামীজীর শিষ‍্যার বদলে বন্ধু‌ই ভাবতেন) যোশেফিন ম‍্যাকলাউড। বিবেকানন্দে নিবেদিত‌প্রাণা এই মহিলা বহুভাবে অর্থসাহায্য করে গেছেন। বেলুড় মঠের স্থাপনা‌তে‌ও তাঁর আর্থিক সাহায্য ছিল। এগিয়ে এলেন শিল্পী নিকোলা বোয়েরিস, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয়। এবং আবার সেই লেওনার্ড এলমহার্স্ট! তিনি বিনামূল্যে কিছু যন্ত্রপাতি পাঠানো ছাড়াও নিয়মিত বশীকে ডলার পাঠাতেন। লন্ডনের রয়‍্যাল সোসাইটি পাঠাতো বছরে সত্তর পাউন্ড অনুদান।  
     

      পরে সেই ল‍্যাবরেটরি স্থানান্তরিত হয় আলমোড়ার কুন্দন হাউসে। ১৯৪৩এর দুর্ভিক্ষ দেখে বিচলিত বশী উচ্চফলনশীল বীজের গবেষণায় মনোনিবেশ করেন। আজ‌ও উইকিপিডিয়া খুললে দেখা যাবে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সময়ে পাঞ্জাবে যে সবুজ বিপ্লবের শুরুয়াৎ হয়েছিল - তার রূপকার ছিলেন কৃষি বিজ্ঞানী এম এস স্বামী‌নাথন - সেই এন্ট্রি‌তে বশী সেনের কোনো উল্লেখ অবধি নেই। কিন্তু স্বামী‌নাথন জানতেন বশী সেনের বৈজ্ঞানিক অবদান। মান‍্য করতেন তাঁকে। বশী সেন সম্পর্কে লিখিত গিরিশ মেহরার গ্ৰন্থের ভূমিকা‌য় স্বামী‌নথন কৃষি‌বিপ্লবে বশী‌ সেনের অবদান কৃতজ্ঞ‌চিত্তে স্মরণ করে লিখে‌ছেন - one of the greatest classics of our time.

    বশী সেনের সাথে নেহরুর সুসম্পর্ক ছিল। ১৯৫৭ সালে বশী পদ্মভূষণ উপাধি পান। ১৯৫৯ সালে উত্তরপ্রদেশ সরকার হাবালবাগে কৃষি গবেষণা‌র জন‍্য বিবেকানন্দ ল‍্যাবরেটরি‌কে ২১৫ একর জমি দান করে। বশীর মৃত্যুর পর ইন্দিরা গান্ধীর উদ‍্যোগে সেই ল‍্যাবরেটরি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে সংযুক্ত হয় ভারতীয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র - ICAR বা Indian Council of Agricultural Research এর সাথে। তখন ICAR এর ডিরেক্টর ছিলেন স্বামী‌নাথন। বশী‌র অনুরোধ ছিল ল‍্যাবরেটরি‌র জন্মলগ্ন থেকে জড়িত "বিবেকানন্দ" নামটি যেন বাদ না যায়। কথা রেখেছি‌লেন স্বামী‌নাথন। বশী সেন স্থাপিত সেই গবেষণা‌গারের নাম হয় - "বিবেকানন্দ পার্বত‍্য কৃষি অনুসন্ধান সংস্থা‌ন"। 

    শংকরের সেই লেখা‌তেই পড়েছিলাম এমন একটি বৈজ্ঞানিক তথ‍্য যা সেযাবৎ ছিল আমার অজানা। ইলেকট্রিসিটি, কম্প্রেসর ছাড়াই শূণ‍্য ডিগ্ৰি অবধি তাপমান নামিয়ে দিতে সক্ষম ১৯২০ দশকের এক  গুপীযন্ত্র - কেরোসিন রেফ্রিজারেটর! মৃত্যুর চার বছর আগে রবীন্দ্রনাথ বশী সেনের আমন্ত্রণে আলমোড়ায় এসে কিছু‌দিন ছিলেন। তাঁর জন‍্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল সেন্ট মার্কস ভবন। বিবেকানন্দের মতো রবীন্দ্রনাথ‌ও ছিলেন আইসক্রিমের ভক্ত। আলমোড়ায় কবি‌র সেই বাসভবন থেকে মাঝে মাঝে ডাণ্ডিতে করে নিয়ে আসা হোতো বশী সেনের গবেষণা‌গার কাম বাসস্থান কুন্দন হাউসে। কেরোসিন ফ্রী‌জে জমানো আইসক্রিম তৃপ্তি সহকারে খেতেন কবি।

    জানলাম বশী সেন ছিলেন এক বিশেষ ধরণের বডি ম‍্যাসাজে দক্ষ। বশী সেন দিল্লিতে গেলে নিদ্রা‌হীনতায় আক্রান্ত জহরলালের কপালে ম‍্যাসাজ করে দেওয়ার জন‍্য কখনো তিনমুর্তি ভবনে সাদর ডাক পড়তো বশীর। তাঁর আঙুলের জাদুচলনে অচিরেই ঘুমিয়ে পড়তেন নেহরু। 

    এমনই সব নানা বিষ্ময়কর, অজানা তথ‍্যের খাজানা শংকরের ঐ লেখাটি। এমন লেখা পড়ে সেই পাঠানন্দ নিজের মধ‍্যে রেখে দেওয়া মুশকিল। তাই তার কিছু নির্যাস এখানে শেয়ার করলাম।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ৩৬৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arindam Basu | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:৫৪527751
  • লেখাটা ভাল লাগল, তবে একটা ব্যাপার একটু দৃষ্টিকটু লাগল (আপনার লেখায় নয়, শংকরের লেখাটিতে যেখান থেকে আপনি লেখাটি উদ্ধৃত করেছেন), যে বশী সেনের বন্দনায় জগদীশচন্দ্র বসু কে পাঠকের চোখে "ছোট" করার প্রয়াসটুকু না করলেও কিছু আসত যেত না | জগদীশনচন্দ্রকে ছোট করলে বশী সেনের মাহাত্ম্য বাড়ে বলে মনে হয় না। 
     
    আমি অবশ্য শংকরের প্রবন্ধটি পড়ি নি, আপনার লেখাটি পড়ার পরে আর পড়ার ইচ্ছেও নেই। জগদীশচন্দ্র যে বশী সেনের সঙ্গে ঐ ধরণের আচরণ করেছিলেন, শংকর কি করে জেনেছিলেন? বশী সেন নিজে কোথাও লিখে গিয়েছিলেন বা ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় ব্যক্ত করেছিলেন? গবেষক এবং একাডেমিকদের মধ্যে রেষারেষি হয়, কাজেই জগদীশচন্দ্রের এহেন বদ আচরণ খুব অবিশ্বাস্য কিছু নয়, তাহলেও সাক্ষ্যপ্রমাণের একটি ব্যাপার থেকেই যায়। বা না লিখলেও চলত। 
  • dc | 2401:4900:1cd1:9fe:f846:737:cdcf:9206 | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪০527753
  • লেখাটা পড়তে ভালো লাগলো। আমার মনে হয়, আমরা ইন্ডিয়ানরা ভিষনভাবে ঠাকুরপুজো করতে ভালোবাসি, যর জন্য আমাদের পাবলিক ফিগারদেরও আমরা পেডেস্টালে চড়িয়ে পুজো করতে থাকি। তার চেয়ে বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, জগদীশচন্দ্র ইত্যাদি ইত্যাদি বিখ্যাত ব্যাক্তিদের ঠিকমতো ইভ্যালুয়েশান করা উচিত, নানান সোর্স থেকে এঁদের নানান দিক জেনে আলোচনা করা উচিত। দোষ, গুন সবকিছু নিয়েই ​​​​​​​আলোচনা ​​​​​​​হওয়া উচিত। 
     
    বিটিডাব্লু, ​​​​​​​গুরুতে ​​​​​​​"এলেবেলে" নিক ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​যিনি ​​​​​​​লেখেন উনি এটা ​​​​​​​করছেন। ​​​​​​​এরকম ​​​​​​​উদ্যোগ ​​​​​​​আরও ​​​​​​​নেওয়া ​​​​​​​উচিত। ​​​​​​​
     
     
  • Arindam Basu | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৩৬527755
  • আলোচনা নিশ্চয়ই হওয়া উচিৎ, কিন্তু সত্যি সত্যি জগদীশচন্দ্র বশী সেনের সঙ্গে যে আচরণের কথা বলা হয়েছে করেছিলেন কি না, তার কোন প্রমাণ আছে কি? সেটা না থাকলে বাজে অপবাদ বলে ধরে নিতে হবে। এর সঙ্গে এলেবেলের বিদ্যাসাগরকে নিয়ে গবেষণার কোন সম্বন্ধ নেই | 
  • dc | 122.164.84.92 | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫১527756
  • অবশ্যই, প্রমাণ সাপেক্ষেই আলোচনা করা উচিত। আসলে আমি স্পেসিফিকালি জগদীশ বোসের ব্যপারে বলিনি, বলেছি যে ইন জেনারাল আমরা ভারতীয়রা অনেক সময়েই ক্রিটিসিজম আর ক্রিটিক এর তফাত করতে পারি না। গান্ধী, বিদ্যাসাগর বা অন্যান্য পাবলিক ফিগারদের আমরা মহাপুরুষ বানিয়ে রেখে দিয়েছি, ওনাদের নিয়ে অবজেক্টিভ আলোচনা খুব একটা হয়না।  
  • সমরেশ মুখার্জী | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:২০527758
  • অরিন্দমবাবু,
    আপনার অভিমতের প্রেক্ষিতে:

    ১. অমেয় মনের মাধূরী মিশিয়ে রঞ্জন বন্দোপাধ্যায় বিরচিত “কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট” গোত্রের কাল্পনিক রচনা শঙ্কর লেখেননি। বশী সেনের কর্মক্ষেত্র রাণীক্ষেতে গিয়ে, নানা বিশ্বস্ত সূত্রে খবরাখবর নিয়ে, দীর্ঘ এক বছরের পরিশ্রমে শঙ্কর লিখেছেন ১৯৬৪ সালে লিখেছেন “নিবেদিতা রিসার্চ ল‍্যাবরেটরি”।
     

    ২. বিবেকানন্দ গবেষক শঙ্করীপ্রসাদের স্নেহধন্য ছিলেন শঙ্কর। দুধে জলে মিশিয়ে “নি রা ল‍্যা” উপন্যাস লিখলে‌ তিনি শঙ্কর‌কে বশী সেন সম্পর্কে আরো খোঁজখবর নিতে বলেন। শঙ্কর ছিলেন অনুগত অনুজ। অগ্ৰজের উপদেশ মতো শুরু করেন খোঁজখবর। শঙ্করীপ্রসাদ প্রখর অনুসন্ধানী  নিতা‌ই নাগকে‌ও উৎসাহিত করেন বশী সেনের জীবনী লিখতে। পরবর্তী‌কালের নানা খোঁজখবরের ভিত্তিতে‌ই শঙ্কর লার্জ ফরম‍্যাট বর্তমান পত্রিকার শারদ সংখ্যা‌য় বশী সেনকে নিয়ে ২৯ পাতার একটি “বিশেষ রচনা” লিখেছেন। তাতে প্রসঙ্গক্রমে এসেছে নিবেদিত শিষ‍্যের (বশী) নিজস্ব গবেষণা‌র কাজ আচার্য্য‌কে রিভিউ করতে দিতে জগদীশ চন্দ্র সেটা নিজের নামে বিদেশে‌র জার্নালে ছেপে দিয়েছেন। 

    শঙ্কর “জগদীশ চন্দ্রের সংকীর্ণতা” গোছের কোনো নিবন্ধ লেখেননি। নিবন্ধ‌টি কোনো খুনের মামলা নয় যে শঙ্কর‌কে ফরেনসিক এভিডেন্স দিতে হবে। শঙ্কর গুরুতে নিক নেমের আড়াল থেকে বিষোদ্গার করেননি - লিখেছেন স্বনামে - একটি বিখ্যাত পত্রিকা‌য় - এক স্বনামধন্য বিজ্ঞানী সম্পর্কে যাঁর উত্তরসূরি‌রা বর্তমান। সুতরাং জগদীশ চন্দ্র‌কে “ছোট” করতে দায়িত্ব‌জ্ঞানহীন মনগড়া গালগল্প লেখা‌র কী পরিণাম হতে পারে, আশা করা যায় শঙ্কর তা বিলক্ষণ জানতেন। 

    ৩. শঙ্করের জবানীতে‌ই বলি - তাতে জগদীশ চন্দ্রের চরিত্রে‌র ক্ষুদ্রতা আর একটু প্রকাশ পেলে কিছু করার নেই -  “আরও দুঃখের কারণ রয়েছে। এই সময় বিস্কুট প্রস্তুতকারী এক আত্মীয়কে আচার্য্য বসু তাঁর গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক পদে নিয়োগ করলেন, তাঁর মাইনে পাঁচশো টাকা, বশী তখন পান মাসে দেড়শো টাকা।”
     

    ৪. এটা হয়তো অনেকেই জানেন যে পরাধীন ভারতের প্রতিভাবান বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্রের কাজকে তখন ব্রিটেনের বিজ্ঞানসমাজ যথাযোগ্য স্বীকৃতি দেন নি। তাই জগদীশ ভেঙে পড়েছি‌লেন। তখন সিস্টার নিবেদিতা জগদীশের জীবনে মোটিভেটর হিসেবে আবিভূর্তা হন। তাঁর বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ‌গুলি নিবেদিতা এডিট করে বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশ করতে দীর্ঘদিন ধরে উদ‍্যোগ নিয়েছে‌ন। জগদীশের গবেষণার জন‍্য অর্থ যোগাড় করেছেন। এতদসত্ত্বেও জগদীশ চন্দ্র কিন্তু প্রকাশ‍্যে নিবেদিতার এইসব উপকার স্বীকার করেননি। 
     

    ৫. সরাসরি আবার শঙ্কর‌ভাষ‍্য উল্লেখ করি :- “গিরিশ মেহেরার 'দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ বশী সেন'-এর প্রকাশ কাল ২০০৭ এবং শঙ্করীপ্রসাদের ভূমিকা সহ নিতাই নাগের 'প্রশিষ্য বশীশ্বর সেনে'র প্রকাশকাল সেপ্টেম্বর ২০০৯। বশী জগদীশের সম্পর্কের উপর নানা খবর রয়েছে যা নিবেদিতা রিসার্চ ল্যাবরেটরি লেখার সময় আমার আয়ত্তে ছিল না। গিরিশ মেহেরা বশী ও গার্টুড সেনের জীবনের গভীরে প্রবেশ করে আমাদের এমন সব খবর দিয়েছেন যা আজও অনেকের অজ্ঞাত।” অর্থাৎ ধরে নে‌ওয়া যায় শঙ্কর ঐ বিশেষ নিবন্ধে মনগড়া গালগল্প ফাঁদেন‌নি।

    ৬. ঐ লেখা থেকে আর একটু শঙ্কর‌ভাষ‍্য উল্লেখ করি :- “নিবেদিতাই বশীকে নিয়ে যান জগদীশচন্দ্রের কাছে। জগদীশ বলেন, 'বি এস সির পরে এম এস সি করা যেত না?’ শোনা যায়, বশী এরপর এম এস সি পড়বার জন্য নাম রেজিস্ট্রি করেন। তখন বাগবাজারের বোসপাড়ার বাড়ির ভাড়া দেওয়ার অসুবিধা, তাই নিবেদিতাই প্রতি মাসে ভাড়া মিটিয়ে দিতেন। ১৩.১০.১৯১১  দার্জিলিং-এ নিবেদিতার দেহাবসান হলে বশী তাঁর ভস্মাবশেষ ৮ নম্বর বোসপাড়া লেনে নিয়ে আসেন। গুরু সদানন্দের দেহভস্মের পাশে তিনি নিবেদিতার দেহ-ভস্ম রেখেছিলেন। বিজ্ঞান সাধনায় নিবেদিতার দান পরবর্তী সময়ে বশী সেন নতমস্তকে স্বীকার করে বলেছেন, আমার বিজ্ঞানপ্রবেশ নিবেদিতার দয়ায়, তিনিই জগদীশ বসুর সঙ্গে যোগসূত্র।

    জানা যাচ্ছে, ভগ্নী নিবেদিতার আকস্মিক দেহাবসানের পর বশী সেন গিয়েছিলেন জগদীশচন্দ্রের কাছে, তিনি ভেবেচিন্তে বলেন, হয় কোথাও মাস্টারের চাকরি জোগাড় করে নিন অথবা পুরোপুরি বিজ্ঞান সাধনায় ঝাঁপিয়ে পড়ুন। বশী দ্বিতীয় প্রস্তাবে সম্মত হয়ে জানালেন জগদীশ চন্দ্রের ল্যাবে সহকারীর কাজ তাঁর পক্ষে সৌভাগ্যের ব্যাপার। ১৯১২ সালে শুরু হল কাজ, মাইনে বিশ টাকা, কাজের সময় সকাল থেকে রাত দশটা। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের তখনও জন্ম হয়নি, বসুর গবেষণা কেন্দ্র প্রেসিডেন্সি কলেজের ছোট্ট একটি ঘরে। এই খানে পাঁচ বছর কাজের পরে নিজের জন্মদিনে (৩০ নভেম্বর) ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠা পেল জগদ্বিখ্যাত বোস ইনস্টিটিউট। অনেকে ভেবেছিল, এই প্রতিষ্ঠান নিবেদিতার নামাঙ্কিত হবে, তা হয়নি, তবে মন্দিরে নিবেদিতার দেহভস্ম নিঃশব্দে প্রোথিত হয়েছিল, যে ভস্ম বশী সেন দার্জিলিং থেকে এনে বাগবাজারে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছিলেন।
     
     
    এই অস্থি কলস সম্বন্ধে বশী সেন পরবর্তী সময়ে নিবেদিতার জীবনীকার লিজেল রেমঁকে বলেন, জগদীশচন্দ্র বসুই বোস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সময় বলেন, কিছুটা চিতাভস্ম মন্দিরের ভিত্তিতে প্রোথিত করতে। জানা যাচ্ছে, কিছুটা চিতাভস্ম তিনি নিশব্দে বেলুড় মঠকেও দিয়েছিলেন এবং বাকিটা কয়েক বছর ধরে রাখা ছিল ৮ নম্বর বোসপাড়া লেনের পুজোর ঘরে। বসুবিজ্ঞান মন্দিরে নিবেদিতা ভস্মের ব্যাপারটা কিন্তু প্রকাশ্যে হয়নি, একমাত্র লেডি অবলা বসু ছাড়া কেউ তা জানতেন না।”
     

    উপরোক্ত নানা কারণে আমার মনে হয়েছে, বিজ্ঞানী হিসেবে যতোই প্রতিভাবান হোন না কেন,  জগদীশ চন্দ্র বসু মানুষ হিসেবে, প্রফুল্ল চন্দ্রের মতো ঋষিপ্রতিম না হলেও, বিশেষ উদার হৃদয়ের, উঁচু মনের হয়তো ছিলেন না।  
     

    জগদীশ চন্দ্র সম্পর্কে ঐ একটি প্রসঙ্গ পড়েই আপনার শঙ্করের পুরো লেখাটি পড়ার উৎসাহ হারিয়ে গেল। কিন্তু ঐ ২৯ পাতার যথেষ্ট খেটে লেখা নিবন্ধে আরো নানা কিছু ছিল, তাই আমি পুরো লেখাটি স্ক‍্যান করে pdf করে রেখে দিয়েছি। যদি পড়ার ইচ্ছা থাকে, মেল আইডি শেয়ার করলে পাঠিয়ে দিতে পারি।

    ভালো থাকবেন।
     
  • সমরেশ মুখার্জী | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৪১527760
  • একটু ভুল হয়ে গেছে - পরবর্তীতে বশী সেনের বাহস্থান তথা গবেষণা‌গার ছিল আলমোড়ায় - রাণীক্ষেত নয়। রাণীক্ষেতে ছিল ব‍্যারিষ্ট‍্যার নোয়েল বার‌ওয়েলের পত্নীর পৈত্রিক বাড়ি, যেখানে শেষ বয়সে বার‌ওয়েল সাহেব ছিলেন। শঙ্কর‌ও সেখানে কিছুদিন গিয়ে ওনাদের সাথে ছিলেন। শঙ্করের জীবনে ঐ নির্লোভ, সদাচারী, মহান চরিত্রে‌র ইংরেজ ব‍্যারিষ্ট‍্যার সাহেবের সবিশেষ প্রভাব পড়েছি‌ল। সেসব প্রসঙ্গ আছে, শঙ্করের দ্বিতীয় প্রকাশিত লেখা এবং প্রথম উপন্যাস “কত অজানারে” গ্ৰন্থে - যা প্রকাশের সাথে সাথে পেয়েছি‌ল পাঠকের সমাদর এবং ঋত্বিক ঘটক‌ও তা নিয়ে ছবি করতে চেয়েছিলেন। 

    শঙ্করের সহজ ভঙ্গিতে লেখা‌র ধরণে আমার মনে দাগ কেটেছে  - লেখকের সততা, সরলতা, অন‍্যকে যথাযোগ্য স্বীকৃতি দেওয়ার প্রবণতা,  অহেতুক জটিলতা বর্জন করে কায়দাবাজীহীন লেখ‍্য প্রকাশভঙ্গি‌। শঙ্করের রচনা বিদগ্ধ পাঠকদের কাছে হয়তো ধ্রুপদী সাহিত্য পদবাচ‍্য নয় তবে আমার কাছে তা সৎ জীবনালেখ‍্য।
     
  • Arindam Basu | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫২527762
  • এত বিস্তারিতভাবে লেখার জন্য ধন্যবাদ। 
    আপনি যদি ইচ্ছা করেন, আমি নিশ্চয়ই পড়ব। 
    আপনি লেখাটি [email protected] ঠিকানায় পাঠালে বাধিত হব। 
  • :|: | 174.251.161.251 | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:১৮527767
  • শিরোনামটি বেশ গোলমেলে ("ভুল" বললে রুড শোনাতে পারে, তাই)।
    কোনও ইউনিক বা গবেষণাজাত লেখাকে "ভাষ্য" বলেনা। তার একটা নির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। https://en.m.wikipedia.org/wiki/Bhashya
    আর তাছাড়াও শঙ্কর নাম অর্থাৎ বিশেষ্য। তাঁর সৃষ্টিটি বা তাঁর ব্যাখ্যার বিশেষণটিকে বলা হবে শাঙ্কর। যথা https://www.exoticindiaart.com/book/details/complete-prasthanatraya-with-shankar-bhashya-set-of-5-books-nzu657/
    আমি হলে নির্ভুল হবার সম্ভবনা বাড়াবার জন্যে হয়তো সোজা সাপ্টা "শংকরের লেখা বশী সেনের জীবনীর উপর একটি আলোচনা" লিখতুম।
  • এলেবেলে | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪৮527768
  • ১. //জগদীশ চন্দ্রের প্রকাশিত গবেষণা পত্রে তাঁর বিশেষ সহকারী‌দের নাম‌ও থাকতো না।//
     
    এ কথা কে বলছেন? শংকর নাকি সমরেশবাবু নিজেই? যাই হোক, এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি ১৯০৪ সালের ২৯ মার্চ আমেরিকায় এক বিশেষ ধরণের সেমিকন্ডাক্টর ‘ডায়ড ডিটেক্টর’ আবিষ্কারের জন্য জগদীশচন্দ্র ইউ এস পেটেন্ট নং ৭৫৫৮৪০ সংগ্রহ করেছিলেন। আর এই আবিষ্কারের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট বা IPR-এর মালিকানা দেওয়া ছিল সারা চ্যাপমান বুলকে।
     
    এখানেই শেষ নয়। মার্কিন পেটেন্ট লাভের অনেক আগেই ১৯০২-এর ৩০ জুলাই এবং ৭ অগস্ট জগদীশচন্দ্র দুটি ব্রিটিশ পেটেন্ট (যথাক্রমে ১৫৪৬৭ ও ১৮৪৩০) লাভ করেন। প্রথমটির শিরোনাম ‘Improvements in and connected with Wireless Telegraphy and other Signalling’ আর দ্বিতীয়টির ‘Improved Means or Apparatus for Detecting or Indicating Light Waves, Hertizan Waves and other Radiations’। কেবল IPR-এর স্বত্বাধিকারী হিসেবে নয়, এই দুটি ব্রিটিশ পেটেন্টে সারা বুলের নাম রয়েছে সহ-আবিষ্কর্তা (Co-inventor) হিসাবেও। বুল জগদীশচন্দ্রের সহকারী ছিলেন, এমন কথা অন্তত আমি জানি না। তাহলে গোটা ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াচ্ছে?
     
    ২. //এটা হয়তো অনেকেই জানেন যে পরাধীন ভারতের প্রতিভাবান বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্রের কাজকে তখন ব্রিটেনের বিজ্ঞানসমাজ যথাযোগ্য স্বীকৃতি দেন নি। তাই জগদীশ ভেঙে পড়েছি‌লেন। তখন সিস্টার নিবেদিতা জগদীশের জীবনে মোটিভেটর হিসেবে আবিভূর্তা হন। তাঁর বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ‌গুলি নিবেদিতা এডিট করে বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশ করতে দীর্ঘদিন ধরে উদ‍্যোগ নিয়েছে‌ন।// এটা নিশ্চিতভাবেই সমরেশবাবুর মন্তব্যের অংশ। এক এক করে আসি। 
     
    প্রথম বক্তব্য হল, "পরাধীন ভারতের প্রতিভাবান বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্রের কাজকে তখন ব্রিটেনের বিজ্ঞানসমাজ যথাযোগ্য স্বীকৃতি দেন নি'। খুবই ছেঁদো অভিযোগ। আগেই আমরা দেখেছি, ১৯০২ সালের মধ্যেই জগদীশচন্দ্র দু-দুটি ব্রিটিশ পেটেন্ট পান। এবং তারও অনেক আগে ১৮৯৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, বিশেষ আমন্ত্রিত বক্তা হিসাবে জগদীশচন্দ্র লিভারপুলে ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞানী সম্মেলনে, ১৮৯৭-এর ২৯ জানুয়ারি রয়্যাল ইন্সটিটিউশনের ‘ফ্রাইডে ইভনিং ডিসকোর্স’-এ এবং ওই বছরেরই ১৮ ফেব্রুয়ারি ইম্পিরিয়াল ইনস্টিটিউটে নিজের সাম্প্রতিক গবেষণার বিষয়ে বক্তৃতা করেছিলেন। ‘রয়্যাল সোসাইটি জার্নাল’-এর মতো পত্রিকায় তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। এসব যদি স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তবে কোন কম্মে সেটা বোঝা সম্ভব, তার মাপকাঠি জানা নেই।
     
    ৩. এরই অনুষঙ্গ হিসাবে এসেছে "তাঁর বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ‌গুলি নিবেদিতা এডিট করে বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশ করতে দীর্ঘদিন ধরে উদ‍্যোগ নিয়েছে‌ন।" তাই? তার মানে নিবেদিতা বিজ্ঞানে এতটাই পারদর্শী ছিলেন যে জগদীশচন্দ্রের বৈজ্ঞানিক নিবন্ধগুলি সম্পাদনা করতে সক্ষম ছিলেন? অথচ স্বয়ং নিবেদিতা এ বিষয়ে জগদীশচন্দ্রকে বলেছিলেন, “আমি তো আছি। আমার কলম অনুগত ভৃত্যের মতো তোমার কাজ করবে।" [‘নিবেদিতা’, লিজেল রেমঁ (অনুবাদ : নারায়ণী দেবী)] 'অনুগত ভৃত্য' সম্ভবত 'সম্পাদনা' করেন না। সেই বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা ও জ্ঞান নিবেদিতার ছিল, এমনটাও বোধ হয় নয়।
     
    ৪. সমরেশবাবু আরও লিখেছেন, "বিজ্ঞানী হিসেবে যতোই প্রতিভাবান হোন না কেন,  জগদীশ চন্দ্র বসু মানুষ হিসেবে, প্রফুল্ল চন্দ্রের মতো ঋষিপ্রতিম না হলেও, বিশেষ উদার হৃদয়ের, উঁচু মনের হয়তো ছিলেন না।"
     
    শুধু নিবেদিতাকে স্বীকৃতি দানের বিষয়টিতেই আপাতত সীমাবদ্ধ থাকা ভালো। প্রথমত, বসু বিজ্ঞান মন্দিরে নিবেদিতার জাতীয় প্রতীক হিসাবে কল্পিত বজ্রকে ‘লোগো’ হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে; প্রবেশপথের ফোয়ারাটির নীচে এক ছোট বাক্সে রাখা আছে নিবেদিতার চিতাভস্ম এবং নিবেদিতার তৈরি চারা থেকে বসানো একটি শেফালি গাছ।
     
    দ্বিতীয়ত, বসু বিজ্ঞান মন্দিরের প্রবেশপথেই রয়েছে ফোয়ারার ধারে জপমালা হাতে এক নারীর রিলিফ মূর্তি, যাঁর পরিচয় কিছু লেখা নেই। কিন্তু ওটি যে প্রকৃতই নিবেদিতার মূর্তি তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ শিল্পী নন্দলাল বসুর কথায়, “সিস্টারের রিলিফের এক মূর্তি আছে বসু বিজ্ঞান মন্দিরে। সে ডিজাইন আমার করা।” [‘শিল্পরসিক জগদীশচন্দ্র’, বিশ্বভারতী পত্রিকা, কার্তিক-পৌষ, ১৮৮০ শক] পাশাপাশি ১৯৩৭-এর ৭ অক্টোবর, জিন হারবার্টকে লেখা চিঠিতে জগদীশচন্দ্র নিবেদিতার সকৃতজ্ঞ মূল্যায়ন করে বলেন--- Sister Nivedita was also greatly interested in the revival of all intellectual advances made by India, and it was her strong belief in the advance of Modern Science accomplished by Indian men of Science that led me to found my Research Institute। [নিবেদিতা লোকমাতা, ১ম খণ্ড ২য় পর্ব]
     
    তৃতীয়ত, জগদীশচন্দ্র নিজের উইলে নিবেদিতার স্মৃতিরক্ষার্থে এক লাখ টাকা রেখে যান। ১৯৩৭ সালে জগদীশচন্দ্রের প্রয়াণের পরে, বয়স্কা নারীদের শিক্ষার জন্য লেডি অবলা বসু এই অর্থব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেন।  সেই উদ্দেশ্যে ১৯৩৮ সালে তিনি স্থাপন করেন ‘সিস্টার নিবেদিতা উইমেন্স এডুকেশন ফান্ড’ যা দিয়ে তৈরি হয় ‘অ্যাডাল্টস প্রাইমারি এডুকেশন সেন্টার’। ১৯৩৭-এই দুঃস্থ মহিলাদের উপার্জনের কথা চিন্তা করে অবলা ‘বিদ্যাসাগর বাণীভবন’-এ স্থাপন করেন ‘ভগিনী নিবেদিতা বয়ন মন্দির’।
     
    শেষে যে কথা না বললেই নয়, সেটা হল বর্তমানে শংকর ও সঞ্জীব চট্টো রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ভাঙিয়ে খান। সেখানে বিবেকানন্দ-শিষ্যা নিবেদিতার সঙ্গে জগদীশচন্দ্রের মোটা দাগের বাইনারি প্রতিষ্ঠা করতে পারলে পাঠকবৃন্দ খায় ভালো।
  • সমরেশ মুখার্জী | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৪527771
  • মাননীয় এলেবেলে বাবু, 

    আপনি রামমোহন, বিদ‍্যাসাগর প্রভৃতি মহামানবের নবমূল‍্যায়ন করে গ্ৰন্থ রচনা করে চলেছেন। অত‌এব আপনার পড়াশোনা‌র ব‍্যপ্তি বিশাল, বিশ্লেষণ ক্ষুরধার। আমি নিতান্তই অর্বাচীন। তাই আপনার বক্তব্যে‌র ওপর রেফারেন্স  দিয়ে প্রতিমন্তব‍্য করার যোগ্যতা আমার নেই। শুধু কয়েকটি অভিমত ব‍্যক্ত ক‍রছি। তা ভুল হতেই পারে।
     
    কোথায় পড়েছি‌ এখন মনে নেই, জগদীশ চন্দ্রের গবেষণা পত্রে তাঁর একান্ত সহকারী‌র‌ নাম না থাকা নিয়ে প্রফুল্ল চন্দ্র মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, (ভার্বাটিম নয়) - এটা ঠিক নয়। গবেষণা‌র সব কাজ তো একা করা সম্ভব নয়, তাই প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানীর উচিত গবেষণা পত্রে দক্ষ, যোগ‍্য, সম্ভাবনা‌ময় গবেষণা সহকারী‌দের (Research Associate) নাম উল্লেখ করে তাদের‌ও সামনে আনা, উৎসাহ দেওয়া। সেখানেই পড়েছি, প্রফুল্ল চন্দ্র এটি করতেন। তাই তাঁকে আমার ঋষি, আচার্য্য সূলভ চরিত্র মনে হয়েছে। হ‍্যাঁ, এটা আমার অভিমত - শঙ্করের নয়। যদি কখনো সেই সূত্র খুঁজে পাই, এখানে উল্লেখ করবো। সেই ধারণার প্রতিধ্বনি পেলাম শঙ্করের লেখায় বশী সেনের নিজস্ব গবেষণা বিদেশি জার্ণালে জগদীশ চন্দ্রের নিজের নামে প্রকাশিত করার ঘটনা পড়ে।  

    আপনার অভিমত সঞ্জীব চট্টো ও শঙ্কর বিবেকানন্দ ভাঙিয়ে খাচ্ছেন। আশা করি আপনার গবেষণা‌ধর্মী পুস্তক পড়ে কেউ বলবে না - আপনি‌ও রামমোহন, বিদ‍্যাসাগর ভাঙিয়ে খাচ্ছেন। ওগুলো‌ও পাবলিক ভালো খায়। 

    দূর অতীতের মহাপুরুষ‌দের জীবন নিয়ে জমি‌তে নেমে খোঁজাখুঁজি করে মৌলিক গবেষণা হয়তো খুব কম লেখক‍‌ই  করেন - বেশিরভাগ‌ই মনে হয় নানা ব‌ই ঘেঁটে নতুন ব‍্যাখ‍্যা প্রদাণের প্রয়াস। 

    শঙ্করলাল ভট্টাচার্য্য উস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ ও পণ্ডিত রবিশঙ্করের দীর্ঘ টেপ রেকর্ডেড সাক্ষাৎ‌কার নিয়ে (মানে first hand account based)  ওনাদের সম্পর্কে কিছু লিখেছেন। দমিনিক ল‍্যাপিয়ের ও ল‍্যারি কলিন্স যৌথভাবে লেখা‌র সময় কয়েক বছর সময় নিয়ে, তিন লক্ষ ডলার ব‍্যয় করে, পৃথিবীর নানা জায়গায় ঘুরে ১২০০ গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সাথে কথা বলে, নানা আর্কাইভ ঘেঁটে এবং সর্বোপরি লর্ড মাউন্টব‍্যাটেনের ৩০ ঘন্টা রেকর্ডেড সাক্ষাৎকার নিয়ে লিখেছিলেন Freedom at Midnight. ভারতে অনেকের ব‌ইটি ভালো লাগেনি। অনেকে ভালো‌ বলেছেন। আমার‌ও ভালো লেগেছে। ঐতিহাসিক পটভূমিতে এতো খেটে খুব কম লেখ‌ক‌ই লেখেন।

    জগদীশ চন্দ্র আমেরিকায় নে‌ওয়া পেটেন্টের IPR দিয়েছিলেন সারা বুলকে। ভালো কথা। তবে ঐ পেটেন্ট ফাইল ক‍রতে স্বামী জগদীশ চন্দ্রের কোনো উৎসাহ‌ই ছিল না। পেটেন্ট নিতে বিবেকানন্দ insist করেছি‌লেন এবং নিবেদিতা ও সারা বুল ঐ পেটেন্ট এ্যাপ্লিকেশন ফাইল করেন। এটা আমি নেটে Gen পি.কে মালিকের একটি ব‌ইয়ের অংশে পেলাম। 



    সারা বুল জগদীশের বৈজ্ঞানিক গবেষণা‌র সহকারী ছিলেন না সেটা আপনি‌ও স্বীকার করলেন অথচ ইংল্যান্ডের দুটি পেটেন্টে জগদীশ সারাকে কো- ইনভেন্টর হিসেবে দেখালেন। কেন? আপনার তাতে কোনো খটকা না লাগলেও আমার লেগেছে।

    প্রসঙ্গ‌ত জানা গেল সারা বুল বসু বিজ্ঞান মন্দির স্থাপনা‌র জন‍্য সেই সময় জগদীশ চন্দ্রকে 40K$ দান ক‍রতে সম্মত হয়েছিলেন। যে বিজ্ঞানী তাঁর সহকারী‌র গবেষণা নিজের নামে ছেপে দেন - তিনি উদার হৃদয়ের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে তাঁর পেটেন্টের IPR সারা বুলকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দিয়ে দেবেন - সহকারী না হ‌ওয়া সত্ত্বেও পেটেন্টে সারার নাম কো- ইনভেন্টর হিসেবে দেখাবে‌ন - এটা ঠিক হজম হচ্ছে না। জগদীশের এহেন উদারতা সারা বুলের 40K ডলারের দানের প্রতিশ্রুতির জন‍্য কৃতজ্ঞতা বশতঃ নয়তো? ভেবে দেখবেন।

    আমার‌ও মনে হয় নিবেদিতার পক্ষে জগদীশ চন্দ্রের বৈজ্ঞানিক গবেষণা পত্র সম্পাদনা করা সম্ভব নয়। তবে (সম্ভবত) তিনি পদার্থ বিদ‍্যায় স্নাতক ছিলেন। হয়তো জগদীশের হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি থেকে সাজিয়ে গুছিয়ে পেপার প্রস্তুত করেছেন। নানা জার্নালে রিভিউ লিখেছেন। নেট ঘেঁটে পাওয়া গেল - Nivedita beautifully wrote the review of his (J.C.Bose) paper “The Response of Matter”. It is interesting to note that how sister was introduced to the readers by the editor, W.Testead: “The following discovery of Professor Bose written by a competent hand,” (https://organiser.org/2023/11/30/122195/bharat/jagdish-chandra-basu-165th-birth-anniversary-know-about-the-scientist-who-was-inspired-by-sister-nivedita/ )

    #বসু বিজ্ঞান মন্দিরের প্রবেশপথেই রয়েছে ফোয়ারার ধারে জপমালা হাতে এক নারীর রিলিফ মূর্তি, যাঁর পরিচয় কিছু লেখা নেই। কিন্তু ওটি যে প্রকৃতই নিবেদিতার মূর্তি তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ শিল্পী নন্দলাল বসুর কথায়, “সিস্টারের রিলিফের এক মূর্তি আছে বসু বিজ্ঞান মন্দিরে। সে ডিজাইন আমার করা।”# 

    নেট ঘেঁটে জানলাম ঐ মূর্তিটির ভাস্কর বিনায়ক পাণ্ডুরং কর্মকার। সেটি তিনি করেছেন নন্দলাল বসু অঙ্কিত নিবেদিতা‌র “The Lady with lamp” চিত্রের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু জগদীশ চন্দ্র সরাসরি নিবেদিতা‌র নামোল্লেখ করে উৎসর্গ করলেন না কেন?

    নিবেদিতা এক যুগের ওপর জগদীশ চন্দ্রের গবেষণা কাজের জন‍্য নানাভাবে অর্থ সংগ্ৰহ করে গেছেন। তাই জগদীশের ইচ্ছা‌পত্রে তাঁর মৃত্যুর পর নিবেদিতা‌র স্মৃতি রক্ষার্থে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা স্বাভাবিক। জগদীশ চন্দ্র যে সর্বার্থে সংকীর্ণ ছিলেন - সেটা প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্য শঙ্করের ছিল বলে মনে হয়নি। তেমন উদ্দেশ্য আমার‌ও নেই।

    এই বলে আমি এই প্রসঙ্গে আত্মসমর্পণ করলুম।
     
     
  • সমরেশ মুখার্জী | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৮527772
  • আর একটা বলতে ভুলে গেছি। শঙ্করের অন‍্যান‍্য ব‌ইয়ের যা কাটতি তাতে ওনাকে রামকৃষ্ণ, বিবেকান্দকে “ভাঙিয়ে খেতে হবে” - এমন কথা আমার মনে আসেনি। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের বহুদিন আগে লেখা “ভারতের শেষ ভূখণ্ড” সম্প্রতি দ্বিতীয়‌বার পড়েও ফিদা হয়ে গেছি‌লাম - কী পর্যবেক্ষণ! 
     
    সুতরাং এই দুই প্রতিষ্ঠিত লেখককে পাঠককুলকে খাওয়া‌নোর জন‍্য রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ‌কে প্রপ হিসবে ব‍্যবহার করতে হবে বা “বিবেকানন্দ-শিষ্যা নিবেদিতার সঙ্গে জগদীশচন্দ্রের মোটা দাগের বাইনারি প্রতিষ্ঠা করতে হবে” - মাননীয় এলেবেলে‌বাবুর  এহেন ধারণা আমার মনে কোনো রেখাপাত করলো না। 
     
  • সমরেশ মুখার্জী | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৫527774
  • মাননীয় চতুর্ভূজ (:।:) মহাশয়,

    বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখেছি, আপনার লিখিত শব্দের সঠিকতা‌র পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা দক্ষ প্রুফরীডারকেও হার মানায়। তবে আপনার  যতটা দক্ষতা বর্ণাশুদ্ধি (Spelling mistake) বা বাক‍্যে শব্দবিন‍্যাসের (কখনো বোধগম্য) অসংলগ্ন‌তা উল্লেখ ক‍রতে বা তা নিয়ে রসময় মন্তব্য করতে ব‍্যবহৃত হয় (এক্ষেত্রে নয়) - লেখাটি‌র বিষয়, উপস্থাপনা নিয়ে আলোচনা‌য় তার কিয়দংশ‌‌ও ব‍্যয়িত হতে‌ কদাচিৎ দেখেছি।

    এক্ষেত্রে আমার উল্লেখিত শিরোনাম‌টি ইচ্ছা‌কৃত (deliberate) - তা আপনার ভুল মনে হলে আমার সত্যি‌ই কিছু মনে করার নেই। শাঙ্করভাষ‍্য বললে আদি শঙ্করাচার্যের ভাষ‍্য বলে ভ্রম হতে পারে। তাই ঐ ভুল আমি জ্ঞানত করিনি।

    শঙ্করের বশী সেনকে নিয়ে নিবন্ধ‌টি - সাইটেশন, বিবলিওগ্ৰাফি ইত‍্যাদি সহযোগে মৌলিক গবেষণা‌ধর্মী লেখা নয়। তেমন  লেখা শারদীয় সংখ্যা‌য় লেখা‌ও উচিত নয়। অমন লেখা চার পাঁচশো টাকা দামের ব‌ই হিসেবে প্রকাশ‌যোগ‍্য।

    তবে এক‌ই শব্দের তো নানা এবং কিছু প্রলম্বিত অর্থ‌ও হতে পারে, তাই ভাষ‍্য বলতে ব‍্যাখ‍্যা‌ও হতে পারে বলে ভেবেছি‌। আলগাভাবে নানা সূত্র উল্লেখ করে বশী সেন‌কে নিয়ে শঙ্কর যে স্মৃতি‌চারণমূলক, শ্রদ্ধার্ঘ‍্যসূচক ২৯ পাতার রচনাটি লিখেছেন - আমার লেখা‌টি তার সংক্ষিপ্ত পাঠানুভব মাত্র। ঐ শিরোনামের উদ্দেশ্য পাঠকদের জানানো - বশী সেন সম্পর্কে এটা আমার প্রতিবেদন নয় -  পাঠানুভব মাত্র। 

    আপনার সাজেস্টিত - "শংকরের লেখা বশী সেনের জীবনীর উপর একটি আলোচনা" - শিরোনাম‌টিও যথাযথ - দেওয়া যেতে‌ই পারতো - যেমন সন্দীপন দিয়েছেন - “কুকুর সম্পর্কে (বা অংশু সম্পর্কে) দুটো একটা কথা যা আমি জানি”। তবে আমার মাথায় আসেনি। 

    শঙ্করের লেখা‌টি শারদীয় বর্তমান ২০২১/১৪২৮ সংখ্যা‌য় আছে - আগ্ৰহী‌রা চাইলে পড়তে পারে‌ন।
     
    পরিশেষে পুনরায় বলি, আপনার মন্তব্যে আমি কিছু মনে করিনি।
    ধন‍্যবাদ।
     
  • এলেবেলে | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৫০527779
  • সমরেশবাবু, আপনাকে প্রথমেই অতি বিনীতভাবে জানাই আমি বিশুদ্ধ এলেবেলে। আক্ষরিক ও আলঙ্কারিক - উভয় অর্থেই। দ্বিতীয় কথা এই, এখনও পর্যন্ত এলেবেলে নামে বিদ্যাসাগর, রামমোহন বা সেই সময়কাল নিয়ে বাংলা ভাষায় কেউ বইপত্তর লিখেছেন বলে আমার জানা নেই। যেমন জানা নেই, এখানে মন্তব্য করলে অহেতুক সেই ব্যাগেজ কেন আমার পিঠে চাপানো হবে। এখানে অনামা নিকের আড়ালে খোঁচা খেতে অভ্যস্ত, কিন্তু একে আপনি আমার বয়োজ্যেষ্ঠ তায় সুলেখক - কাজেই অকারণ খোঁচার (সে যত সূক্ষ্মভাবেই প্রয়োগ করা হোক না কেন) কার্যকারণ ঠিক বোধগম্য হল না।
     
    শংকর এবং সঞ্জীব চট্টোর মৌলিক কিছু গল্প-উপন্যাস আমিও একদা পড়েছি। কিন্তু বিগত দশ বছরে তাঁদের যাবতীয় চর্চা 'ঠাকুর', 'মা' ও 'স্বামীজি'-কে ঘিরে আবর্তিত। এখন প্রথমেই রক্তমাংসের একজন পূর্ণ মানুষকে এভাবে বিশেষায়িত করে লেখালেখি করলে সেটাকে ভাঙিয়ে খাওয়াই বলে। এতে আপনি ভিন্ন মত পোষণ করতেই পারেন। আমি আমার মতে অটল থাকছি।
     
    কথা হয়েছিল নিবেদিতা প্রসঙ্গে। প্রফুল্লচন্দ্র একমাত্র অ্যাপিল টু অথরিটি হতে পারেন না মনে করায় আমি সারা বুলের রেফারেন্স দিয়েছি। তাঁকে জগদীশচন্দ্র এমনকি 'সহ-আবিষ্কর্তা'-র সম্মান ও স্বীকৃতি দিয়েছেন, তারও উল্লেখ করেছি। আপনি তা ভুল বলেননি, বরং সারা বুলের ৪০ হাজার ডলার দানের প্রতিশ্রুতির জন্য জগদীশচন্দ্র অমনটা করেছিলেন বলেছেন।
     
    কিন্তু জগদীশচন্দ্র যখন সারা বুলকে লিখিতভাবে 'কো-ইনভেন্টর' বলছেন (১৯০২ সাল), বুল কি তার আগেই ওই ৪০ হাজার ডলার দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন? সেটা শেষতক পালিত হয়েছিল, নাকি স্রেফ 'শ্রুতি'-তে পরিণত হয়েছিল? মানে যে প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সারা বুল ৪০ হাজার ডলার দেবেন বলছেন, তার মাত্র ১৫ বছর আগে তিনি যে সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেনই সে কথা আগাম আন্দাজ করে জগদীশচন্দ্র বুলকে 'কো-ইনভেন্টর'-এর সম্মান দিলেন। কী কিউট না? স্বীকৃতি দিতে কী মারাত্মক কুণ্ঠা না? নেহাত ডলারের প্রশ্নটা জড়িয়ে ছিল, নইলে কি আর বিজ্ঞানীপ্রবরটি তা দিতেন, তাই না? জগদীশচন্দ্র কেন সারা বুলকে এই অহেতুক সম্মানটা দেখান, তার একটা সম্ভাব্য কারণ আমার জানা। কিন্তু আপাতত বলছি না।
     
    জগদীশচন্দ্রের পেটেন্ট এবং বিবেকানন্দ! সত্যিই তো, "পেটেন্ট ফাইল ক‍রতে স্বামী জগদীশ চন্দ্রের কোনো উৎসাহ‌ই ছিল না। পেটেন্ট নিতে বিবেকানন্দ insist করেছি‌লেন।" এক্কেবারে ঠাকুর তোমায় কে চিনত/ না চেনালে অচিন্ত্য কেস। তো আমারিকার পেটেন্ট তো ১৯০৪ সালে। কিন্তু তার পাক্কা দু বছর আগে দু-দুটো ব্রিটিশ পেটেন্টের আবেদনের জন্য জগদীশচন্দ্রকে কে ইনসিস্ট করেছিলেন? আপনার উল্লিখিত লেখক মহাশয় এ ব্যাপারে কিছু বলেননি?
     
    " [নিবেদিতা] হয়তো জগদীশের হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি থেকে সাজিয়ে গুছিয়ে পেপার প্রস্তুত করেছেন।" নিছকই একটা 'হয়তো'-র সাহায্যে এত বড় সিদ্ধান্তে আসা কি ঠিক? বিশেষত যে জগদীশচন্দ্র নিবেদিতার সঙ্গে আলাপের বহু আগেই বিলেতে বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতা দিচ্ছেন কিংবা তাঁর গবেষণাপত্র ছাপা হচ্ছে? নিবেদিতার জীবনীকার লিজেল রেমঁ স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন যে, জগদীশচন্দ্র তাঁর মনের ভাবগুলোর খসড়া একটা কাগজে লিখে রেখে যেতেন, পর দিন দেখতেন নিবেদিতা সেগুলো যথাযথ লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এর অর্থ কি 'পাণ্ডুলিপি থেকে সাজিয়ে গুছিয়ে পেপার প্রস্তুত' করা? নিবেদিতার কি সত্যিই উদ্ভিদবিজ্ঞান সংক্রান্ত ততটা জ্ঞান ছিল?
     
    নন্দলাল বসু নিবেদিতার মূর্তিটির ডিজাইন করেছেন বলে লিখেছিলেন, মূর্তিটি তৈরি করেছেন বলে জানাননি। কাজেই ওই প্রসঙ্গটা অবান্তর।
     
    আর যে মার্গারেট বিবেকানন্দের টানে সব কিছু ছেড়ে হিন্দু ধর্মে দীক্ষা নিয়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে সবার ‘ভগিনী নিবেদিতা’ হয়ে উঠেছিলেন অচিরেই, সেই নিবেদিতাই স্বামীজির মৃত্যুর দিন পনেরোর মধ্যেই স্বামীজিরই গুরুভাইদের দ্বারা মঠ থেকে যখন চিরতরে বিতাড়িত হন - সেটা নিয়ে শংকর বা সঞ্জীব চট্টো কিছু লেখেননি? নিবেদিতার স্মৃতি রক্ষার্থে জগদীশচন্দ্রের সেই আমলে এক লাখ টাকা বরাদ্দ রেখে যাওয়াটা অতি স্বাভাবিক? আর নিবেদিতা সম্পর্কে মিশনের উদাসীনতাটাও? নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার!
     
    সব শেষে বলি, এই মায়াপাতায় সবাই আমাকে এলেবেলে নামেই সম্বোধন করেন। আপনিও তা করলে ভালো লাগবে, এই আর কি।
     
  • Arindam Basu | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩১527788
  • সমরেশবাবু, আপনার আমাকে মূল লেখাটির পিডিএফ পাঠানোর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। লেখাটা পড়বার পর আমার মনে হয়েছে শংকর হয় ইচ্ছাকৃতভাবে না হলে অনবধানবশত, জখদীশচন্দ্রকে পাঠকের চোখে ছোট করে ফেললেন মূলত তাঁর নিজের ইনটারপ্রিটেশনে। 
    এলেবেলে অনেকটা লিখেছেন।
    আরো দু একটা কথা এখানে লিখে রাখা যেতে পারে। জগদীশচন্দ্র বশী সেন মশাইয়ের যে গবেষণাটি নিজের নামে ছাপলেন বলে অভিযোগ, সেটি কোন পেপার? নিতাই নাগ বা মেহরা বা শঙ্করীপ্রসাদ কেমন করে জানলেন? এতবড় অভিযোগ কি স্বয়ং বশী সেন করেছিলেন? শংকর এই কথাগুলো বিবেচনা করেছেন কিনা লেখেন নি।
     
    দুই, বশী সেন জগদীশচন্দ্রের বিশ্বস্ত সহকারী, সেই মানুষ যখন আমেরিকা চলে যাবার অনুমতি চান, জগদীশচন্দ্রের কথাটি অভিমানের বহিপ্রকাশ হওয়াই স্বাভাবিক, ঔদ্ধত্যের নয়, অথচ শংকরের লেখা পড়লে মনে হবে অন্যরকম।
    একই রকম ভাবে, বিদেশ থেকে কেউ ফিরে নিজের পুরনো জায়গায় অফিস চাইলেই পান না, বশী সেনকে জগদীশচন্দ্রের জায়গা না দেওয়া স্বাভাবিক। 
     
    বশী সেনের হেজিওগ্রাফি লিখতে গিয়ে অকারণে জগদীশচন্দ্রকে নিয়ে কুকথা না লিখলেও শংকরের এই লেখাটির মান ক্ষুন্ন হত না। সে কাজ যদি নিতাই নাগ বা শঙ্করীপ্রসাদ বসুও করে থাকেন, তাহলেও কাজটি উচিৎ হয়নি। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:১৫527789
  • মাননীয় এলেবেলে‌বাবু,

    ১. ভেবেছিলাম এ প্রসঙ্গে আর কিছু লিখবো না তবু বলি - জগদীশ‌চন্দ্র সম্পর্কে আপনার ধারণা নির্ভূল, শংকর ভাষ‍্য পড়ে আমার যা মনে হয়েছে তা সর্বৈব ভুল। পিরিয়ড।

    ২. #সমরেশবাবু, আপনাকে প্রথমেই অতি বিনীতভাবে জানাই আমি বিশুদ্ধ এলেবেলে। আক্ষরিক ও আলঙ্কারিক - উভয় অর্থেই। দ্বিতীয় কথা এই, এখনও পর্যন্ত এলেবেলে নামে বিদ্যাসাগর, রামমোহন বা সেই সময়কাল নিয়ে বাংলা ভাষায় কেউ বইপত্তর লিখেছেন বলে আমার জানা নেই। যেমন জানা নেই, এখানে মন্তব্য করলে অহেতুক সেই ব্যাগেজ কেন আমার পিঠে চাপানো হবে। এখানে অনামা নিকের আড়ালে খোঁচা খেতে অভ্যস্ত, কিন্তু একে আপনি আমার বয়োজ্যেষ্ঠ তায় সুলেখক - কাজেই অকারণ খোঁচার (সে যত সূক্ষ্মভাবেই প্রয়োগ করা হোক না কেন) কার্যকারণ ঠিক বোধগম্য হল না।#

    এ‌ই প্রসঙ্গে বলি - এলেবেলে নামের কারুর বিদ‍্যাসাগর, রামমোহন নিয়ে ব‌ই বেরিয়ে‌‌ছে বলে আমার‌ও জানা নেই। তবে ২৬.১২.২৩/১০:৫০ ভাটে “জনৈক এলেবেলে” জনৈক দেবোত্তম চক্রবর্তী লিখিত বিদ‍্যাসাগরের ওপর একটি  ব‌ইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণের ছবি পোষ্ট করে লিখলেন - “রঞ্জনবাবু, অবশেষে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারলাম বলে ভালো লাগছে।”

    অতঃপর dc ২৬ ১২/১৮:৪৬ সেই “জনৈক এলেবেলে” কে অভিনন্দন জানালেন। “জনৈক এলেবেলে” জবাবে ২৬.১২/২৩:১৬ ভাটে লিখলেন “ডিসিজনাব, আমি আপাতত বাংলা ভাগের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছি। উনিশ থেকে কুড়িতে আসার চেষ্টা করছি আর কি! খুব সময়সাপেক্ষ ও শ্রমসাধ্য কাজ। ১৯০৫ থেকে ১৯৪৭ এই কাজটার স্প্যান। ইচ্ছে আছে এরপর বঙ্কিম ও বিবেকানন্দকে নিয়ে বড় করে কাজ করার। নবজাগরণীদের ইসলামোফোবিয়া নিয়ে মেনস্ট্রিম লেখালিখিতে তেমনভাবে আলোচনা হয় না। সেটাকে ধরার ইচ্ছে আছে।”

    রঞ্জনবাবু, ২৮.১২/২৩:০৪ লিখলেন - “এলেবেলে ভালো খবরটি আজ চোখে পড়লো, অভিনন্দন”। 

    এইসব দেখে আমি ভেবেছি “জনৈক এলেবেলে” = দেবোত্তম চক্রবর্তী = বর্তমান এলেবেল যার সাথে আমার এখানে চ‍্যাট হচ্ছে। 

    আমার ধারনা‌য় উপরোক্ত (২৬.১২/২৩:১৬) কাজ সম্পাদন - আক্ষরিক ও আলঙ্কারিক, উভয় অর্থেই বিশুদ্ধ এলেবেলের কম্মো নয়। জানি‌না গুরুতে কতজন এলেবেলে আছেন। যদি বর্তমান এলেবেলে ও “জনৈক এলেবেলে” এক‌ই এনটিটি না হন তাহলে আমার ভুল হয়েছে এই এলেবেলে‌র সাথে ঐ এলেবেলে‌কে গুলি‌য়ে ফেলে।  তাহলে মার্জনা‌প্রার্থী।

    গুরুতে নিক নিয়ে এই এক ঘোর কনফিউশন। যদি নিকেরা চিরকাল আরগ‍্যাণ্ডির মতো কল্পলোকে থাকতেন, অসুবিধা ছিল না। কিন্তু “কভি খুশি কভি গম”-এর মতো নিকেরা কখনো নিক নামে কখনো রিয়েল নামে গুরুর পাতায় আবির্ভূত হন অথবা এমন কিছু কার্যকারণ সূত্র চোখে পড়ে (উপরোক্ত) যার ফলে নিক/রিয়েল কনেকশন করা যায়। 
     
    তেমন কিছু কার্যকারণ দেখে মনে হয়েছে - যদুবাবু = জ‍্যোতিষ্ক দত্ত। শারদ সংখ‍্যা‌র লেখার ওপরে ছবিগুলো দেখে ভেবেছি পাই = ঈপ্সিতা পালভৌমিক, সৈকত বন্দোপাধ্যায়ের নামে প্রকাশিত লেখায় “জনৈক ঈশান” সৈকতের হয়ে/মতো জবাব দিচ্ছে‌ন দেখে ভেবেছি সৈকত বন্দোপাধ্যায় = ঈশান। আগামী‌তে যদি বাস্তব অস্তিত্ব‌গুলি বলেন আমরা ঐসব নিকধারী ন‌ই তাহলে এক গাল মাছি। কী করা যাবে।






     

     
  • :|: | 174.251.160.43 | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৪:৪৪527794
  • ধন্যবাদ। 
    "শাঙ্করভাষ‍্য বললে আদি শঙ্করাচার্যের ভাষ‍্য বলে ভ্রম হতে পারে। তাই ঐ ভুল আমি জ্ঞানত করিনি।"
    আমার ধারণা এখানে অন্তত জনতার শঙ্করাচার্যের যুগ আর বশীশ্বর সেনের সময়ের মধ্যে পার্থক্যটুকু বোঝার বুদ্ধিটুকু আছে। :)
    সে যদি নাও থাকে তবু ব্যাকরণ তো আমার আপনার ভাবনায় চলবে না। তার নিজস্ব নিয়ম আছে। যেমন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের গুণগ্রাহীরা নিজেরদের শাক্ত বলে কখনও পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। শক্তির উপাসক শাক্ত। ব্যাকরণগত ভাবে ঠিকই আছে। এখন কেউ যদি ওঁদের মাকালীর উপাসক ভাবে -- যেহেতু ট্র্যাডিশনালি শক্তি পূজা মানে আমবাঙ্গালী দুর্গা কালী ইত্যাদি পূজা বোঝে -- তাই সেই "ভ্রম"টি রোধের জন্য নিজেদের "শক্তি" বলেই পরিচয় দিতে পারেননা। শক্তির উপাসক যেমন শাক্ত, শঙ্করের ভাষ্য তেমন শাঙ্করভাষ্য। সে যে কোনও যুগের যে কোনও শঙ্করই হোন -- কিছু যায় আসেনা। 
     
    "তবে এক‌ই শব্দের তো নানা এবং কিছু প্রলম্বিত অর্থ‌ও হতে পারে, তাই ভাষ‍্য বলতে ব‍্যাখ‍্যা‌ও হতে পারে বলে ভেবেছি‌।" এইটা বেশ শিশিবোতল লাগলো। মানে আপনার শিরোনামানুসারে শংকর "ব্যাখ্যা" করছেন। কী ব্যাখ্যা করছেন? বশী সেনের বন্দনা? তবে বন্দনাটা কে লিখেছেন, যেটা শংকর ব্যাখ্যা করেছেন? বেসিকালি শংকর কী লিখেছেন -- বন্দনা নাকি তার ব্যাখ্যা? যদি দুটোই করে থাকেন তবে "শংকরের সভাষ্য বশী বন্দনা" হওয়াই সমীচীন। 
    আপনি কিছু মনে করেননি জেনে এই গুলিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা বললুম। এখনও তো লেখার নামকরণেই আটকে আছি -- লেখা অবধি না এগিয়ে মন্তব্য করি কেমন করে! 
  • র২হ | 96.230.215.15 | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:০৩527795
  • শংকর ভাষ্য আর শংকরভাষ্য (শুদ্ধ করে শাংকরভাষ্য) - দুটোর আলাদা মানে হবে না? টাইটেলে দুটো আলাদা শব্দ আছে দেখছি।
     
    আর বাংলায় ভাষ্য শব্দের অর্থ বোধহয় সংস্কৃত ভাষ্য শব্দের অর্থ থেকে বদলেছেও কিছুটা। বিস্তার হয়েছে বলা যায় কিনা জানি না।
     
    মূল লেখা নিয়ে অবশ্য কোন বক্তব্য নেই। শংকরের লেখাটা যা বুঝলাম টিপিক্যাল ছিদ্রান্বেষণ টাইপ।
    বশী সেনকে নিয়ে কিছু জানতাম না, তাঁর সম্পর্কে লেখার জন্য সমরেশবাবুকে ধন্যবাদ।
  • | 42.110.140.145 | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৪527800
  • এইটার কচি করে জগদীশচন্দ্র নির্মোহ ব এর দিকে যাওয়ার পোটেনশিয়াল ছিল। সম্ভাবনা
     অঙ্কুরে নষ্ট না করে কেউ একটু সারজল দিন। এই যেমন জগদীশ নিবেদিতার প্রেমে পড়ে লেডি অবলাকে যে পরিমাণ মানসিক কষ্ট দিলেন...  ইত্যাদি প্রভৃতি আরও নানান বিষয়। 
     
     
    বশীবাবু তো রইলেনই।
  • | 42.110.140.145 | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৯527801
  • শংকর এর ভাষ্য = শংকর-ভাষ্য
    সমাসবদ্ধ করা যেত, একটা হাইফেন দিলেই, শাঙ্করভাষ্য না লিখেও। 
    তা, এখন একটি হাইফেনের অভাবজনিত বিষয়কে টাইপো বলা যেতেই পারে। 
  • :|: | 174.251.160.43 | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:১৭527802
  • আটটা চুয়ান্নকে ক্ক। 
    ধর্ম আনলে ​​​​​​​সার্জল ​​​​​​​চট ​​​​​​​করে ​​​​​​​পায়। ​​​​​​​লেম্মি ​​​​​​​ট্রাই। 
    সেই যে সেই বোধগয়ায় মন্দিরটা বৌদ্ধদের না হিন্দুদের তাই নিয়ে কি একটা ক্যাচাল হলো। তখন রবীন্দ্রনাথ বৌদ্ধদের হয়ে কমিটিতে বললেন কিন্তু জগদীশ কোন পক্ষে ছিলেন যেন! নিবেদিতা হিন্দুদের পক্ষে ছিলেন মনে আছে। 
  • Arindam Basu | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:১৯527804
  • জগদীশচন্দ্রের নির্মোহ ব এর কথায় মনে হল নীচের লিঙ্কড লেখাটাও থাক।
     
    https://www.thestatesman.com/opinion/belligerence-to-harmony-1502670140.html
     
    স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে /সিস্টার নিবেদিতার সঙ্গে হয়ত জগদীশচন্দ্রের সম্পর্ক ব্যক্তিগত স্তরে ভাল ছিল, কিন্তু জগদীশচন্দ্র বৈজ্ঞানিক, বিশ্বাস ভক্তির বিশেষ ধার ধারতেন না। 
     
    "ভক্ত" নন, এমনকি সাধুভক্ত, দেব দ্বিজে ভক্তি করা বৈজ্ঞানিকও ছিলেন না, তায় ব্রাহ্ম, ফলে রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যারা রয়েছেন, বা যারা রামকৃষ্ণ মিশন ও তাঁদের সাধু সন্ন্যাসীদের 'বন্দনামূলক' লেখা লেখেন,  তাঁরা যে জগদীশচন্দ্রকে সুনজরে দেখবেন না, এইটাই স্বাভাবিক।
     
    মনে হয়, যে কারণে শংকরের বা নিতাই নাগ (হয়ত শঙ্করীপ্রসাদ বসুরও)  প্রণীত জগদীশচন্দ্রকে নিয়ে অদ্ভুত বিরূপ মন্তব্যের এটা একটা ব্যাকগ্রাউণ্ড হলেও হতে পারে।  
  • পাঠক | 154.16.116.61 | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:২৩527805
  • লেখাটি ভাল লাগল। জগদীশচন্দ্রের ভক্তরা হয়ত আহত হবেন, তবে আমাদের মত সাধারণ মানুষের কাছে তথ্যগুলি কৌতূহলোদ্দীপক। শংকরের বইটি পড়ব।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪১527811
  • @ অরিনবাবু:

    জ্ঞানে, অজ্ঞানে বায়াস, প্রেজুডিস জাতীয় মানবিক প্রবৃত্তি‌গুলি আমাদের মানসিকতা‌য় এমন নিবিড়‌ভাবে জড়িয়ে থাকে যে এ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে আচরণে, প্রকাশভঙ্গি‌তে সম্পূর্ণ নৈর্ব্যক্তিক (dispassionately objective) হতে পারা এক ধরণের মানবিক উত্তরণ - যেখানে পৌঁছানো হয়তো অনেকে‌র পক্ষেই সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে মানবিক = মানব মনোবৃত্তি সম্পর্কিত ভেবেছি।

    কর্পোরেট লাইফে (৫০ থেকে ৫২) দু বছর বেশ কিছু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছি ফাইনাল ইয়ারে GET Campus selection পর্বে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে Corporate Online Test উত্তীর্ন ছাত্রছাত্রীদের 121 মুখোমুখি বসে পার্সোনাল ইন্টারভিউ নিতে হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা আমায় সমৃদ্ধ করেছে। তখন আমি খুব চেষ্টা করেছি Objective Assessment এ ফোকাসড্ থাকতে তবু কিছু ক্ষেত্রে কিছু ক‍্যান্ডিডেটদের আচরণ, কথাবার্তা, শারীরভাষ‍্য দেখে আমার Assessment Subjective হয়ে গেছে। ফলে কিছু ক্ষেত্রে Earnestly Select করেছি অথবা Willfully Reject করেছি। পরে আত্মসমীক্ষা করে ভেবেছি - হয়তো আমার ভুল হয়নি। কারণ আমি কোনো কম্পিউটার সিলেক্ট করতে যাইনি (যা যে কোনো ডেস্কে বসালেই তার বাঞ্ছিত কাজ করবে) গেছি মানুষ বাছাই করতে। সেক্ষেত্রে কেবলমাত্র সাবজেক্ট নলেজ‌‌ই যথেষ্ট নয় - তাদের adaptable attitude, amicability with existing team এগুলো‌ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। Further knowledge can be acquired but changing undesirable attitudes is difficult.

    প্রায় দেড়বছর আগে শংকরের ঐ লেখাটি পড়ে আমার মনে দাগ কেটেছিল বশী সেন চরিত্র‌টি। অবাক লেগেছিল এমন একটি মানুষ সম্পর্কে সেযাবৎ কিছুই জানতাম না ভেবে। অবশ‍্য‌ই শংকর যেভাবে চিত্রিত করেছেন সে ভাবেই জানলাম। সেই চিত্রনের মধ‍্যে (আমার মনে হয়েছে) শংকরের বশী‌র প্রতি যথেষ্ট গুণমুগ্ধ‌তা প্রকাশ পেয়েছে। সচরাচর আন্ডার‌ডগদের প্রতি যেমন হয়ে থাকে। জগদীশ চন্দ্রের মতো বড় মাপের বিজ্ঞানীর বশীর প্রতি কিছু ট্রিটমেন্ট জেনে মনে হয়েছে শংকরের খারাপ লেগেছে। সেটা প্রকাশ পেয়েছে শংকরের লেখায়। এর সাথে রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, হিন্দু, ব্রাহ্ম‌র কী বা কতটা যোগসূত্র থাকতে পারে বুঝতে পারি নি।

    শংকরের ঐ লেখায় সমৃদ্ধ হ‌ওয়া‌র মতো অনেক উপাদান ছিল। অন্ততঃ আমি হয়েছি। সেখানে বশী ও নিবেদিতা‌ সংক্রান্ত জগদীশের কিছু alleged (সম্ভাব‍্য) অনৈতিক আচরণ (শংকরের দৃষ্টিভঙ্গি‌তে) হয়তো লেখার প্রতিপাদ‍্য বিষয়ের ৫%ও নয়। অরিনবাবু, আপনাকে আমি মেলে শংকরের ২৯ পাতার গোটা লেখাটি পাঠিয়েছি। সেটা পড়ার আগে এবং পরে‌ও - এযাবৎ ঐ লেখা প্রসঙ্গে গুরুর পাতায় আপনার মন্তব্যে কিন্তু বারংবার “শংকরের জগদীশ বিদ্বেষ” - এটাই আপনার কাছে একমাত্র উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়  বলে মনে হয়েছে। আর কোনো মন্তব্য পাইনি। 

    অর্থাৎ আপনার ফোকাল পয়েন্ট ওখানেই আটকে রয়েছে। তার সাথে যোগ হয়েছে কিছু দাবি (শংকরের ঐসব লেখা‌র প্রেক্ষাপটে‌র প্রমাণ) এবং অনুমান (অকারণে জগদীশ বিদ্বেষ)। আমার মনে হয়েছে শংকর যা লিখেছেন - ঐ লেখার সাথে তার তথ‍্য, প্রমাণ দাখিল না করলেও  - তিনি  দায়িত্ব‌জ্ঞান‌হীন নন। তিনি গুরুতে নিকের আড়াল থেকে‌ও লেখেননি। লিখেছেন নামী পত্রিকায় স্বনামে। মনগড়া কুৎসা রচনা করলে অনেকেই ওনাকে তুলোধোনা করতে পারতো। এই সব Circumstantial factors গুলো হয়তো আপনার ভাবনা‌য় আসেনি। আমার এসেছে। তাই শংকর যা লিখেছেন তা আমি ফেসভ‍্যালুতে সত‍্য বলে ধরে নিয়ে‌ছি। যদি কেউ পাল্টা তথ‍্য দিয়ে প্রমাণ করেন শংকর ঐ বিষয়ে যা লিখেছেন তা ভুল এবং উদ্দেশ্য‌প্রণোদিত তখন তা ভুল বলে জানবো এবং জগদীশের সংকীর্ণতার বদলে শংকরের নীচতার কথা জেনে তখন শংকরের জন‍্য খারাপ লাগবে।

    বশী জগদীশের সাথে বারো বছর বৈজ্ঞানিক সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। বশীর ১৫০ টাকা মাইনে প্রশাসনিক পদে জগদীশের আত্মীয়‌র ৫০০ টাকা মাইনে‌র অনেক কম ছিল। আমেরিকা‌ন গবেষক গ্ৰেন ওভারটন বশীকে এক বছরের জন‍্য সহকারী হিসেবে নিয়ে যেতে চাইলে‌ন। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের জন‍্য বশী sabbatical চেয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে জগদীশ যা বললেন, তাতে (আমার দৃষ্টিতে) বশী‌র প্রতি তাঁর নির্ভরতা জনিত অভিমানের থেকেও স্বার্থপর‌তা বেশী প্রকাশ পেয়েছে। হয়তো কিছুটা অসূয়া। 

    বশী আমেরিকা থেকে ফিরে জগদীশের কাছে একটি ঘর চেয়েছিলেন নিজস্ব কিছু গবেষণা করতে। তখন জগদীশের গবেষণা‌গার প্রেসিডেন্সি কলেজের এক কামরায় সীমাবদ্ধ নয় - তা বোস ইন্সটিটিউট বা বসু বিজ্ঞান মন্দির। বারো বছরে‌র সহকারী‌কে‌ নিজস্ব বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উৎসাহ দিতে জগদীশের পক্ষে এটা করা খুব অসম্ভব ছিল কী? জানি না। তা যে করেন নি তাতে মনে হয়েছে জগদীশ হয়তো চেয়েছিলেন বশী তাঁর সহকারী‌ই থেকে যাক। 
     
    অরিনবাবু, আপনি সুযোগ‌সন্ধানী কোনো চাকুরি‌জীবির চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়া এবং ফিরে এসে সেই চাকরি‌তে বহাল হতে চাওয়ার সাথে এই ঘটনার তুলনা করলেন। এটা আমার ঠিক লাগলো না। এক্ষেত্রে‌ অজ্ঞানে আপনার জগদীশ বায়াস এবং শঙ্কর প্রেজুডিস কাজ করছে কিনা - ভেবে দেখবেন।

    তবে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই আলোচনা‌গুলি ইন্টারেস্টিং লাগছে। ওপেন ফোরামে, ইন্সট‍্যান্ট রিয়‍্যাকশন পাবলিশ হ‌ওয়া‌র মতো এই প্ল‍্যাটফর্মে এমন আলোচনা ঋদ্ধ করে। আমি এনজয় করছি। তবে যতক্ষণ তা শালীনতা‌র সীমা ছাড়িয়ে ব‍্যক্তি আক্রমণের পর্যায়ে না চলে যায়। Sharp humour, even satire, is acceptable.

     
  • dc | 171.79.54.20 | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৮527812
  • সমরেশবাবুর বায়াস সংক্রান্ত কথাগুলো ভালো লাগলো। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে নানারকম বায়াস থাকে, কিছু কনশাস বা আমরা জানি, কিন্তু বেশীরভাগই বোধায় সাবকনশাস, মানে আমরা জানিও না যে বায়াস আছে। ইন্টারভিউএর উদাহরনটাও যথাযথ। অ্যাডাপ্টেবিলিটি আর টিম পার্ফর্ম্যান্স খুবই দরকারি। সেইজন্যই বোধায় ইন্টারভিউ দেওয়ার আর নেওয়ার এতোরকম টেকনিক বেরিয়েছে, যদিও সেগুলো এফেক্টিভ কিনা কেউ জানেনা। 
  • Arindam Basu | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৫527815
  • সমরেশবাবু 
     
    ১) "প্রায় দেড়বছর আগে শংকরের ঐ লেখাটি পড়ে আমার মনে দাগ কেটেছিল বশী সেন চরিত্র‌টি। অবাক লেগেছিল এমন একটি মানুষ সম্পর্কে সেযাবৎ কিছুই জানতাম না ভেবে। অবশ‍্য‌ই শংকর যেভাবে চিত্রিত করেছেন সে ভাবেই জানলাম।"
     
    সমরেশবাবু, ভারতীয় কৃষিবিজ্ঞানের ইতিহাসে, বিশেষ করে কৃষিবিপ্লবে বশীশ্বর সেন, স্বামীনাথন, নরমান বোরলগ (নোবেল প্রাইজও পেয়েছেন) প্রমুখের অবদান সুবিদিত, এখন সবাই অবহিত না হতে পারেন, বিশেষ করে বশীশ্বর সেনের রামকৃষ্ণ মিশন সংক্রান্ত সম্পর্ক আমিও এর আগে কোথাও পড়ি, আপনার পোস্ট আর শংকরের লেখাটি পড়ে জানলাম (এজন্য আবার ধন্যবাদ) ।  বশীশ্বর সেন অবশ্যই নমস্য  |
     
    "সেটা পড়ার আগে এবং পরে‌ও - এযাবৎ ঐ লেখা প্রসঙ্গে গুরুর পাতায় আপনার মন্তব্যে কিন্তু বারংবার “শংকরের জগদীশ বিদ্বেষ” - এটাই আপনার কাছে একমাত্র উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়  বলে মনে হয়েছে। আর কোনো মন্তব্য পাইনি।"
     
    আমার কাছে শংকরের বশীশ্বর এবং জগদীশ বসুর সম্পর্কের স্ক্যাণ্ডালগুলোর উল্লেখ এই লেখায় অবাক লেগেছে, কারণ শংকর যে সমস্ত কথাগুলো লিখেছেন, কথাগুলো অযৌক্তিক এবং অকারণে লেখা মনে হয়েছে, তাই লিখলাম। প্রথমত দেখুন, জগদীশ বসু বশীশ্বর সেনের লেখা চুরি করে নিজের নামে ছাপিয়েছেন, এইরকম একটি দাবী মেনে নিয়েছেন, তা এটা তো লেখা উচিৎ কোন পেপার, কোথায় ছাপা হয়েছে, এবং কিভাবে জানা গেল যে জগদীশ বসু বশীশ্বর সেনের তিন বছরের গবেষণা চুরি করে নিজের নামে ছাপিয়েছেন, এ ব্যাপারটি কিন্তু প্রমাণিত হলে সাংঘাতিক সাইন্টিফিক মিসকণ্ডাক্ট বলে বিবেচিত হয়।  যদি বশীশ্বর সেন নিজে সেই কথা কাউকে বলে থাকেন, তাহলে অবশ্যই ১৯৭১ সালের আগে ব্যক্ত করবেন, এবং সেক্ষেত্রে ব্যাপারটি এতদিন নিশ্চয় চাপা থাকত না। সেটা যদি না হয়, তাহলে শংকর কোন সূত্রে জেনেছেন, পাঠকের তরফে সেই প্রশ্ন তোলা কি খুব অসমীচিন? 
     
    ২) "মনগড়া কুৎসা রচনা করলে অনেকেই ওনাকে (শংকরকে) তুলোধোনা করতে পারত"
     
    আমি কিন্তু কোথাও লিখিনি শংকর মনগড়া কুৎসা রচনা করেছেন |
    শংকরকে "তুলোধোনা" করা হয়নি মানে শংকর অনুচিত কাজ করেননি -- এটাই কেমন লজিক হল? :-), তাছাড়া শংকর বয়োজ্যেষ্ঠ লেখক, সম্মানীয় ব্যক্তি, এবং সত্যি বলতে কি, তুলোধোনা করতে হলে শংকর নন, তিনি যে সূত্র থেকে পড়ে লিখেছেন তার লেখককে করতে হয়, শংকর কেবল "দূত", তিনি বশীশ্বর এবং জগদীশ বসুর সম্পর্কের স্ক্যাণ্ডালগুলো বিনাপ্রশ্নে মেনে নিয়েছেন, যার জন্য আমার মনে হয়েছে জগদীশচন্দ্রের অকারণ ছিদ্রান্বেষণ করেছেন, এই লেখাটিতে ঐ কাজটুকু না করলেও কোন ক্ষতি হত না। 
     
    "অর্থাৎ মাত্র এক বছরের জন‍্য বশী sabbatical চেয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে জগদীশ যা বললেন, তাতে (আমার দৃষ্টিতে) বশী‌র প্রতি তাঁর নির্ভরতা জনিত অভিমানের থেকেও স্বার্থপর‌তা বেশী প্রকাশ পেয়েছে। হয়তো কিছুটা অসূয়া। "
     
    বশীশ্বর সেন জগদীশ বসুর চেয়ে প্রায় ৩০ বছরের ছোট, তাঁর কাছে ১২ বছর কাজ করেছেন, জগদীশচন্দ্রের সে সময়ে যা আন্তর্জাতিক পরিচিতি, তাতে তিনি, বশীশ্বর সেন কারো কাছে কাজ পেয়ে বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছেন জেনে হিংসে করবেন বা স্বার্থপরতা দেখাবেন, এটা আমার কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়, :-)
     
    "এক্ষেত্রে‌ অজ্ঞানে আপনার জগদীশ বায়াস এবং শঙ্কর প্রেজুডিস কাজ করছে কিনা - ভেবে দেখবেন"
     
    আমার জগদীশ বায়াস রয়েছে তো, সজ্ঞানেই রয়েছে, কারণ জগদীশ বসুকে অশ্রদ্ধা না করার কোন কারণ দেখি না। 
     
    শংকর সম্বন্ধে আমার কোন প্রেজুডিসের প্রশ্নই ওঠে না, অন্তত এই একটা লেখা পড়ে। 
     
    আমার বক্তব্য এইটুকুই যে এই লেখাটিতে জ্গদীশচন্দ্র সম্বন্ধে যে মন্তব্য গুলো করা হয়েছে, প্রমাণ দেওয়া হয়নি বা পাওয়া হয়ত সম্ভব নয়, বিশেষক করে  আজ না বশী সেন বেঁচে আছেন, না জগদীশ বোস, এইগুলো না লিখলেই বা কি হত? 
     
     
     
     
  • Arindam Basu | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫০527817
  • "আমার জগদীশ বায়াস রয়েছে তো, সজ্ঞানেই রয়েছে, কারণ জগদীশ বসুকে অশ্রদ্ধা না করার কোন কারণ দেখি না", 
    এটা নয়, পড়তে হবে,
    "আমার জগদীশ বায়াস রয়েছে তো, সজ্ঞানেই রয়েছে, কারণ জগদীশ বসুকে অশ্রদ্ধা করার কোন কারণ দেখি না"
  • সমরেশ মুখার্জী | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫২527818
  • @ :।:

    #"শাঙ্করভাষ‍্য বললে আদি শঙ্করাচার্যের ভাষ‍্য বলে ভ্রম হতে পারে। তাই ঐ ভুল আমি জ্ঞানত করিনি।" আমার ধারণা এখানে অন্তত জনতার শঙ্করাচার্যের যুগ আর বশীশ্বর সেনের সময়ের মধ্যে পার্থক্যটুকু বোঝার বুদ্ধিটুকু আছে। :) #

    গুরুতে গুরুজন জনতার বুদ্ধি নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র লঘু মূল‍্যায়ন নেই। বলতে চেয়েছি - “শাঙ্করভাষ‍্য” লিখলে গুরুজনদের চক্ষে আমার ভ্রম পত্রপাঠ ধরা পড়ে যেতো। 
     
    প্রসঙ্গত জানাই, দ্বাদশ শ্রেণী অবধি - বাংলা এবং ইংরেজি - দুটি ভাষা শেখার ক্ষেত্রে‌ই চূড়ান্ত অবহেলা করেছি। তার ফল‌ও পেয়েছি যথাযথ। মাধ‍্যমিকে বাংলা ও ইংরেজি‌তে নম্বর পেয়েছি যথাক্রমে ৪৬% & ৩৭%. উচ্চ‌মাধ‍্যমিকে‌ও ব‍্যর্থ‌তার সেই ধারাবাহিকতা বজায় থেকেছে - বাংলা ও ইংরেজি‌তে পেয়েছি যথাক্রমে ৩৮% & ৩৯%.  এই ঘোষণা কোনো ভাবেই ভাটে কেকের একটি মন্তব্যের প্রসঙ্গে  অরিনবাবু‌র লেখা bragging (অর্থাৎ humblebragging) নয়। Hard facts. 
     
     তাই আমি বাংলা এবং ইংরেজি‌তে যা লিখি (ইংরেজি লেখা‌র নমুনা এখানে দেওয়া যায় না, কেউ চাইলে দিতে পারি) তা সময়ে, প্রথামাফিক পড়াশোনা করে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে নেই। আমার লেখ‍্য প্রকাশ‌ভঙ্গি মূলতঃ INTUITIVE. তাই কখনো শাণিত দৃষ্টিভঙ্গি‌তে তা অসংলগ্ন লাগতেই পারে। একটু ক্ষমাশীল চক্ষে দেখে বুঝে নিলে ভালো লাগবে। 
     
    এক্ষেত্রে শিরোনামে আমি “ভাষ‍্য” লিখিনি - “ভাষ‍্যে” লিখেছি - অর্থাৎ বলতে চেয়েছি - শঙ্করের লেখনী‌তে (ভাষ‍্যে) বশী সেনের বন্দনা। ভাবিনি শরীর (লেখা‌র বিষয়বস্তু) ছেড়ে শিরোনাম নিয়ে কেউ এমন চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে পারে। তবে আমার কাছে শিরোনাম নিয়ে এহেন ফরেনসিক বিশ্লেষণের প্রয়াস - গুরুত্বপূর্ণ নয়। 

    তুলনায় এলেবেলে‌র আমার লেখাটির ওপর রেফা‌রেন্স দিয়ে, বিশদে, সুলিখিত মন্তব্য সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য। এমন মন্তব্য যদি আমার বক্তব্যের বিপক্ষে‌ও হয় তাহলেও নতুন বা ভিন্ন পার্সপেক্টিভ পাওয়া যায়। কখনো আমার fact based ভুল হয়েছে বুঝলে তা স্বীকার করার মতো ঔদার্য আমার আছে। তখন এঁড়ে তর্ক করে যাওয়া অবাঞ্ছনীয়। যদি তা perception based অভিমত হয় তাহলে‌ gracefully we can agree to disagree and stick to our own grounds. বস্তুত এগুলো‌ই আমার কাছে পরিণত বয়সে পরিশীলিত আঙ্গিকে আদানপ্রদানের পরিচায়ক। 

    তবে হয়তো :।: এর কাছে শিরোনামে সামান্য বিচ‍্যূতি‌ও সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ - প্রয়াত মলয় রায়চৌধুরী ১০.১১.২২ গুরুতে পোষ্টেছিলেন - “দস্তয়েভস্কির ধর্মদ্বন্দ”। ১২.১১.২২ :।: মন্তব্য করলেন - “প্লিজ টাইটেলের দ্বন্দ্ব টাইপোটা ঠিক করে দিন। চোখে লাগছে।” লেখার বডি‌র ওপরে ঐ এক‌ই শিরোনাম দেওয়া হয়েছে যেখানে ঐ বানানটি সঠিক ভাবেই রয়েছে।



     
    মরাচৌ এই মন্তব‍্যের কোনো উত্তর দেননি। ২৬.১০.২৩ ভবলীলা সাঙ্গ করা ইস্তক টাইপোটা সংশোধন‌ও করেননি। আজ‌ও তাই আছে। গুরুতে উনি বহুবার ট্রোলড্ হয়েছে‌ন - কখনো কদর্য ভাষায়। তাই হয়তো এমন সব মন্তব্যের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। অথবা হয়তো দেখেন‌ও নি। ধর্ম, রাজনীতি, আধ্যাত্মিকতা বিষয়গুলি বুঝি‌না বলে আমার আগ্ৰহের পরিমণ্ডলে নয়। তবু সুলিখিত লেখাটি আমি পড়েছি তবে আমার বোধবুদ্ধির পক্ষে ভারী লেগেছে।  :।:  কিন্তু ঐ টাইপো সংশোধন করতে বলা ছাড়া লেখাটির ওপর এযাবৎ কোনো সুচিন্তিত মতামত দেননি।

    রঞ্জন রায় ২০২৩ শারদ সংকলনে ০২.১১.২৩ লিখলেন “কন‍্যাকুমারী”। তার ওপর :।: ঐ ০২.১১/২৩:৫২ তে‌ই মন্তব্য করলে‌ন - “উপোসের দিন সন্ধ্যায় ম্যাকডাওয়েল খেলেন এমন কি "ঘরে ফিরে আলুসেদ্ধ ভাত আর একটা ডিমের বড়া"-ও খেলেন? এমন উপোসের কতা জম্মে শুনিনি বাপু!” এছাড়া লেখাটির ওপর :।: এর আর কোনো মন্তব্য দেখলাম না।

    একবার কোনো প্রসঙ্গে BIO MARKER শব্দটি দেখে‌ছিলাম। আজ এই আলোচনা প্রসঙ্গে নেটে তার সংজ্ঞা‌টি দেখলাম -  A defined characteristic that is measured as an indicator of normal biological processes, pathogenic processes or responses to an exposure or intervention. 

    তেমনি ভার্চুয়াল মাধ‍্যমে কোনো মানুষের নানা প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া থেকে তাকে চোখে না দেখেও তার কিছু চরিত্র‌গত বৈশিষ্ট্য‌র প‍্যাটার্ন চোখে পড়তে পারে। 

    পরিশেষে বলি, আপনার মন্তব্যে -  “এইটা বেশ শিশিবোতল লাগলো” -  Interesting expression indeed - তবে এই “শিশিবোতল” শব্দটি আগে শুনিনি। এর মর্মার্থ জানালে খুশি হবো।
     
  • =)) | 223.29.193.85 | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:২০527820
  • শিশিবোতল হযবরল-য় আছে। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১০527825
  • @=))

    আমি হযবরল পড়িনি। আপনি যখন জানেন এটি হযবরল’তে আছে তাহলে অনুগ্ৰহ করে কোথায় আছে জানালে - এই প্রসঙ্গে :।: কর্তৃক ঐ শব্দটির ব‍্যবহারে‌র প্রেক্ষিতটা বোঝার চেষ্টা করতে পারি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন