এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • কাক যখন কাকের মাংস…

    প্রতিভা সরকার
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৯ জুলাই ২০২৩ | ১৮০৩ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (৬ জন)

  • মণিপুরে দীর্ঘদিন যাবৎ যে আগুন জ্বলছে, তার পেছনে কারণ কী, এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত উঠে এসেছে। হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি থেকে পুরো ভাইরাল করে দেওয়া একটি পোস্টে বলা হয়েছে, কুকি এবং রোহিঙ্গারা নাকি ভাই ভাই, (ধর্মে যারা মুসলমান, তাদের কোনো না কোনো ভাবে জড়িয়ে দিতেই হয়) তারা অন্যায়ভাবে মেইতেইদের (আইটি সেলের হাতে ‘মেইতেই’ মাইতি হয়েছে) তাড়িয়ে দিয়ে আফিম চাষ করে পাহাড় ভরিয়ে দিয়েছে। যে গির্জাগুলো পোড়ানো হয়েছে তাতে নাকি আফিম মজুত করা ছিল। আর এইবার এই আফিম চাষের পেছনে মদতদাতা স্বয়ং চীন। ফলে যা হচ্ছে তা ভারত রাষ্ট্রের পক্ষে খুব ভালো হচ্ছে।

    ড্রাগের সমস্যা উত্তরপূর্বের সমস্ত রাজ্যে অল্পবিস্তর আছে। এছাড়া পাঞ্জাবে আছে, কাশ্মিরেও। কিছুদিন আগে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পোস্ত চাষের পক্ষে অনুকূল মত ব্যক্ত করেছিলেন। হঠাৎ করে মণিপুর কী দোষ করল যে সেখানে জাতিদাঙ্গা বাঁধিয়ে, অজস্র নিরপরাধ লোককে খুন করে পপি চাষের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করতে হবে! সরকার যদি চায়, ড্রাগপাচার বন্ধ করতে পারবে না, এটা অসম্ভব। আর চীনের জুজুতে ভয় দেখান এখন বেশ চালু ব্যাপার।

    বোঝাই যায় বর্তমান শাসকের অনুগত জনেরা কাল্পনিক বয়ানটিকে কেন ভাইরাল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু আর একটি ব্যাপারও এটা থেকে স্পষ্ট, মণিপুরে রাষ্ট্র চুপ থেকে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে হিংসাকে বাড়তে দিয়েছে। এর পেছনে প্রচ্ছন্ন রাষ্ট্রীয় মদত আছে। নাহলে এই হিংসাকে পবিত্র এবং যথাযথ হিংসা বলে দেখাবার এতো চেষ্টা কেন!

    সরকার ভেবেছিল দেশের অন্যান্য অংশ থেকে মণিপুরকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে রেখে সব খবর চেপে দেওয়া যাবে। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ রেখেও যখন একের পর এক ন্যক্কারজনক ঘটনার ভিডিও সামনে আসা বন্ধ করা যায়নি, তখন সর্বোচ্চ মহল অল্পস্বল্প নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে। তবে তা অতি অল্প, আজকের কাগজেও মহিলা কনেস্টবলের মৃত্যুর খবর আছে। এখনও প্রতি ৮ ঘণ্টায় ১ জন করে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে এবং দেশের প্রশাসনিক প্রধান এখনও কোনো রা কাড়েননি, মণিপুর নিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি।

    যাই হোক হিংসার খবর মণিপুরের বাইরে আসা বন্ধ করা যায়নি। সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে। অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।

    মোটামুটি যা বোঝা যাচ্ছে, একাধিক কারণ এই হিংসার আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। প্রথমটি ধর্মীয় বিভাজনের ওপর পা রেখে নির্বাচনে জিতে আসার পুরনো ছক। মেইতেইরা বেশিরভাগ হিন্দু এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ, ফলে তাদের হাতে ক্রিশ্চান কুকি এবং মুসলমান সংখ্যালঘুর জানমান তুলে দিয়ে মুখ ফিরিয়ে থেকেছে গণতান্ত্রিক দেশের সরকার, যার কর্তব্য ছিল সংখ্যালঘুকে চোখের মণির মতো রক্ষা করা। মেইতেইদের মধ্যে যারা বিবেকবান, তারা এই হিংসার নিন্দায় মুখর হলেও, সব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবেকহীন মানুষজন থাকে, আর তাদের হাতে যখন ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়,তখন যা ঘটে, মণিপুরেও তাই ঘটেছে। দেশভাগের সময় যে বর্বরতার সাক্ষী হয়েছিলাম আমরা, সংখ্যার নিরিখে তারই একটি ছোট সংস্করণ অভিনীত হয়ে চলেছে মণিপুরে। হাজার হাজার মানুষ শরণার্থী শিবিরে, তারা নিজ ভূমে পরবাসী। নিরপরাধ মানুষের লাশ পড়ে রয়েছে যত্রতত্র, মেয়েদের চরম অসম্মান করা হচ্ছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে শ’য়ে শ’য়ে উপাসনালয়। আর গ্রামে তো বটেই, ইম্ফলের রাস্তাতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শাসকের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। তারা আধুনিক মারণাস্ত্রে সুসজ্জিত। বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলেই এক মেইতেই মা ও কুকি পিতার আট বছরের সন্তানকে মা ও আরো একজন মেইতেই প্রতিবেশীসহ এম্বুলেন্সে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিতে তাদের হাত কাঁপে না। কেউ প্রশ্ন করে না দগ্ধ শিশুটি কোন জাতের ছিল, মেইতেই না কুকি!

    অনেকের সন্দেহ মণিপুরের পর্বতাঞ্চলে যে মূল্যবান খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে তা কর্পোরেটের হাতে তুলে দেবার কারণেই দাঙ্গা লাগিয়ে ঘরছাড়া করা হচ্ছে ঐ অঞ্চলের অধিবাসীদের। এই সন্দেহ একেবারেই অমূলক নয়, গত ৫ই জানুয়ারি,২০২২ এ মণিপুর সরকারি গেজেটে প্রকাশ হয় মণিপুর মিনেরাল পলিসি, যাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাকে এখন থেকে উৎসাহ দেওয়া হবে মাইনিং সংক্রান্ত ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার জন্য (সূত্র ইকনমিক টাইমস, ২৩ জুলাই, ২০২৩)।সোজাসুজি বললে, কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া হবে খনিজ পদার্থ লুণ্ঠনের একচেটিয়া অধিকার।

    ব্যাপার এখানেই শেষ নয়, কুকিদের একাংশ দাবি করছে যে কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরের ৬টি জেলার ৬৭ হাজার হেক্টর জমি পাম তেল উৎপাদনের জন্য চিহ্নিত করেছে। বিজেপি সরকারের পেটোয়া শিল্পপতিদের হাতে ঐ জমি যাতে বিনা বাধায় তুলে দেওয়া যায়, সেজন্য দাঙ্গা লাগিয়ে আগে থাকতেই জনজাতিদের হটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগও যে অমূলক নয় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের পরস্পরবিরোধী বয়ান। মণিপুরের তথ্য কমিশনার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও গুয়াহাটিতে খুব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উত্তরপূর্বাঞ্চলের পাম চাষ সম্পর্কিত আলোচনায় হাজির মণিপুরের কৃষি অধিকর্তা ও রাজ্য পাম অয়েল মিশনের উপদেষ্টাকে সামনে রেখে গোদরেজ কম্পানি জানিয়েছে, গত বছরই মোট ৭টি জেলায় পাম চাষের জন্য সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে। সংখ্যালঘু কুকি অধ্যুষিত চুড়াচাঁদপুর তাদের মধ্যে একটি (সূত্র, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৩শে জুলাই। ২০২৩)। অন্তর্জালে ঘুরে বেড়ানো একটি ভিডিওর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ায় পাম বীজের চাষে পরিবেশ প্রতিবেশ উজাড় হয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও অতিকায় জেসিপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এগিয়ে এসেছিল সর্বস্ব হারানো এক নিঃসঙ্গ ওরাংওটাং। ঐরকম ট্রাজিক দৃশ্য কমই চোখে পড়ে। মণিপুরের সবুজ পাহাড় ও বনাঞ্চলের রুক্ষ উর্বরতাহীন মরুভূমিতে পর্যবসিত হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। লড়াই দেবে কে? যারা দিতে পারত, তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার নানা কৌশলের মধ্যে এই ভয়াবহ জাতিদাঙ্গাও একটি।

    মণিপুর-হিংসার পেছনে কারণ যাই-ই হোক না কেন, তার ব্যাপ্তি এবং প্রভাব আমাদের বিস্ময়ে অভিভূত করে ফেলে, মরমে মরে যাই আমরা। সব হিসেবনিকেশকে ভুল প্রমাণিত করা এই হিংসা যেন তছনছ করে দিয়েছে লিঙ্গ, শ্রেণি, নৃতত্ত্ব এবং রাজনীতির সমস্ত চেনা ছককে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিচিত্রটি নিয়ে কিছু আলোচনা থাক এইখানে।

    মণিপুরী সমাজে মেয়েদের ভূমিকা খুব শক্তপোক্ত, এই প্রমাণ আমরা বার বার পেয়েছি। প্রতিবাদী ভূমিকায় তাদের প্রবল সাহস আমাদের উৎসাহী করেছে। শর্মিলা চানুর আমরণ অনশনের প্রতিজ্ঞা, ইন্ডিয়ান আর্মিকে নগ্ন মায়েদের ধর্ষণ করবার আহবান, আমাদের আমূল কাঁপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার যা ঘটেছে বলে দেশ বিদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ, তাতে দেখা যাচ্ছে এই জাতিদাঙ্গায় অংশগ্রহণকারী কিছুসংখ্যক মহিলা, অত্যাচারিত নয়, অত্যাচারীর ভূমিকাতেও অবতীর্ণ। মেইতেই মেয়েরা কুকি মেয়েদের ধর্ষণে উৎসাহ দিচ্ছে, ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে সংখ্যালঘুর, এইরকম বয়ান থেকে থেকেই উঠে আসছে অত্যাচারিতদের মধ্য থেকে। এমনকি মাইরা পাইবিস বা মণিপুরী অগ্নিকন্যারা, যারা সুশীল সমাজের অভিভাবক রূপে স্বীকৃত এবং নারীদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সদা সতর্ক, তারাও নাকি এই অভিযোগে অভিযুক্ত। হিংসার একেবারে প্রথমদিকে ঘটা দুই কুকি নারীর লাঞ্ছনার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তাতে কিছু গর্জমান উৎসাহদাতা নারীকণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। সেগুলি ঐ অঞ্চলে বসবাসকারী মেইতেই রমণীদের, এই অভিযোগ এসেছে। ৫ই মে মেয়েদুটিকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়। যারা পালিয়ে বেঁচেছে তারা নানা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে মাইরা পাইবিসের সভ্যারা উপজাতীয় পরিবারগুলির রাস্তা আটকে দেয়, যাতে হামলাকারীরা তাদের ধরে ফেলতে পারে। তারপর চলে নারকীয় গণহত্যা। ২০ শে জুন মাইরা পাইবিস রাস্তা আটকে ইউনিটেড লিবারেশনের ধরা পড়া চার অস্ত্রসজ্জিত যুবককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ২৪ শে জুনও ইম্ফলে প্রায় ১২০০ মাইরা পাইবিস সভ্যা রাস্তা আটকে অভিযুক্ত ছিনতাইয়ের একই ঘটনা ঘটায়।

    তবে একথা ঠিক যে মাইরা পাইবিসের মেয়েরা নারী লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে পরে মানব বন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায়। তাতে এনআরসির সপক্ষে স্লোগান দেওয়া হয়, কারণ সংখ্যাগুরু মেইতেই রমণীরা তাদের মাতৃভূমিতে অন্য কাউকে থাকতে দিতে রাজি নয়। তবে নগ্ন করে কুকি রমণীদের হাঁটানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর, অভিযুক্তদের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার কাজটি করেছে মাইরা পাইবিসরা। কাজটি আইনানুগ কিনা সে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কিন্তু মেয়েদের লাঞ্ছনায় তারা যে ফেটে পড়েছে, এইটাতে তাদের হৃতগৌরবের কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার হয়।

    হিংসা কোনো আদর্শের ধার ধারে না। আদর্শে বিশ্বস্ত থাকতেও দেয় না। লিঙ্গসত্ত্বা আর জাতিসত্ত্বার এই দ্বন্দ্বে মণিপুরের সাহসী মেয়েরাও ভুগছে, ব্যালান্স করবার চেষ্টা করছে, তাদের বিদ্রোহী ভাবমূর্তিতে নানা সন্দেহ আর অভিযোগের কালির ছিটে পড়ছে। রাজ্যে শান্তি স্থাপনের প্রয়াসে তাদেরকে সবচেয়ে বড় অন্তরায় বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে।
    আশা করি আগের বহু সংগ্রামের মতো এই মহাসংগ্রামেও মণিপুরী মেয়েরা জয়যুক্ত হবেন।





    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৯ জুলাই ২০২৩ | ১৮০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শম্পা শুচিস্মিতা | 2409:40e0:1059:d410:8000:: | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১২:১৩521851
  • অসম্ভব শক্তিশালী এবং সুচিন্তিত লেখা। কুর্নিশ। 
  • hehe | 84.38.134.139 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১২:৩৮521852
  • চানুকে তো মনিপুরের লোকে খিস্তি মারে। সেই যে নাকের নল খুলে ফেলে বিলেতের বাবুকে বিয়ে করল মনিপুরের লোক চটে কাঁই। বলে ষোলো বছর ধরে পুরস্কার-টুরস্কার জেতার জন্যি নটঙ্কিবাজি করছিল। ইদিকে বিজেপি সরকার আংশিকভাবে আফস্পা সরিয়ে নিচ্ছে বলে মোদিজি হিরো বন গয়া। চানু এখন বোধয় লুরুতে থাকে। বিপ্লবের বাল ছেঁড়া গ্যাছে।
  • নন্দিতা ভট্টাচার্য | 110.225.10.42 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৬521854
  • শক্তিশালী বিশ্লেষণ 
  • স্বাতী রায় | 117.194.36.212 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:০৩521858
  • শুধু লিঙ্গ পরিচয় দিয়ে কি আর আদৌ কোন মতামত তৈরি হয় ? আমার তো খুবই সংশয় আছে। 
  • এনার | 203.163.245.205 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:০৯521859
  • লিঙ্গ পরিচয় দিয়ে মতামত তৈরি হবার কথা আমার চোখে পড়ল না কেন!  আমি যেন বুঝলাম লিঙ্গ পরিচয়ের সঙ্গে জাতিপরিচয়ের দ্বন্দ্বে মণিপুরের নারী স্বাধীনতা এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে। এই লেখার মূল তাই তো। 
  • এনার | 203.163.245.205 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:১৩521860
  • মন্তব্যগুলো ইন্টারেস্টিং।  হেহের মন্তব্যের সঙ্গে এই লেখার যোগসূত্র কোথায়! 
  • শিবাংশু | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:২২521861
  • সংক্ষিপ্ত, সারগর্ভ প্রতিবেদন। মূল সমস্যাটিকে বোঝানোর জন্য পর্যাপ্ত ও নিপুণ বিশ্লেষণ রয়েছে এখানে।

    জানি না আরও কতো নরবলি চায় এই রাজা? 
  • স্বাতী রায় | ২৯ জুলাই ২০২৩ ২১:৪০521875
  • স্যরি আমার বক্তব্য পরিষ্কার হয়নি। আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম যে শুধু লিঙ্গ পরিচয় দিয়ে তো আর মানুষের চেতনা গড়ে ওঠে না। যে কারণে উচ্চ বর্ণ আর দলিত দের সংঘাতে ও উচ্চ বর্ণের মেয়েরা দলিত দের বিরুদ্ধে থাকেন।  এটা উদাহরণ মাত্র। মণিপুরের ঘটনাকেও ও সেই সঙ্গে মণিপুরের উপত্যকার মেয়েদের ভূমিকা কেও কি আমরা সেই দৃষ্টি কোন থেকে দেখতে পারি? কারণ মেইতেই মেয়েদের প্রিভিলেজ আর কুকি মেয়েদের প্রিভিলেজ হয়ত ঠিক এক নয়। আমার বক্তব্য প্রতিভা দির বক্তব্যের এক্সটেনশন মাত্র। এই লেখাটা পরেই মনে হল। 
  • স্বাতী রায় | 117.194.36.212 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ২২:৪৭521882
  • *পড়েই। 
  • Aranya | 2600:1001:b043:b31:24df:5efe:c554:b61 | ৩০ জুলাই ২০২৩ ০৮:৩৪521901
  • খুব ভাল লেখা। পেটোয়া ব্যবসায়ীদের হাতে জমি তুলে দিতে হবে, এই পয়েন্টটা ঠিক হওয়াই সম্ভব। এটা অন্য কোথাও পড়ি নি। 
  • অনুরাধা কুন্ডা | 2409:4088:9b82:dd42:5d14:1b75:e65a:d6f | ৩০ জুলাই ২০২৩ ১২:১৬521907
  • জরুরি লেখা। এবং প্রতিভাদি যেমন শক্তিশালী লেখেন, তেমনই। বিশ্লেষণাত্মক।
  • শক্তি দত্ত রায় | ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪৪521959
  • মণিপুরের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এবং এই হিংসার শিকার ও হিংসাত্মক ঘটনায় উৎসাহদাতা মেয়েদের ভূমিকা পরিষ্কার হওয়া দরকার।প্রতিভার বিশ্লেষনী ক্ষমতার কাছে আরো বিস্তারিত লেখা কাম‍্য।এইটি হয়তো সূচনামাত্র
  • অমিত্র | 45.250.245.180 | ৩১ জুলাই ২০২৩ ১৮:৩৬521961
  • জরুরি লেখা। গোটা দেশের জল অঙ্গল মাটি কর্পোরেটের হাতে তুলে দিতে এই জাতিদাঙ্গা। দেশ কোথায় যাবে আমরা জানি না। এই দেশ দেখতে হচ্ছে এই জীবনে।
  • Upalm Mukhopadhyay | 116.193.136.121 | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১০:০০521982
  • মনিপুর সমস্যার অনেক দিক এক জায়গায় এনে বলা হল। আপাতত লিঙ্গ হিংসা জাতীয় বিতর্ক। আর হিল ট্রাইব ও প্লেন ল্যান্ডার এদের মধ্যে টেনশন কমানো। অনেক মডেল নিয়ে কথা হয়। ঝগড়া চলে। তবে মনিপুর মডেলের মতো নিন্দনীয় কিছু নেই। এটা গোটা দেশের কাছে কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্টের দুঃস্বপ্ন । এই কনফ্লিক্ট  জিইয়ে রেখে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে এক ডবল ইঞ্জিন সরকার । সে সরকারও দুঃস্বপ্নের কিনা সবার ভাবা উচিত। 
  • বিপ্লব রহমান | ১৭ আগস্ট ২০২৩ ০৮:০৯522554
  • মণিপুরের আগুন মোদি রাজ্য ছাড়খার করবেই। 
     
    লেখাটি খুব দরকারী! 
  • q | 2405:8100:8000:5ca1::2ae:d9cf | ১৭ আগস্ট ২০২৩ ১০:৫৪522559
  • মণিপুরে মেয়েদের জায়গা অত শক্তপোক্তও কিছু না। গৃহনির্যাতনে বেশ ওপরের দিকেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন