এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • লাটে ওঠার আগের পর্যায়

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ মে ২০২৩ | ৭১৬ বার পঠিত
  • কালকের চাকরি-যাওয়া সংক্রান্ত রায়ের খবরটা পড়ে যার-পর-নাই শঙ্কিত হয়ে পড়লাম। পুরো রায় তো দেখিনি, খবরের কাগজের প্রতিবেদন পড়ে যা বুঝলাম, তা মোটামুটি এইঃ

    পর্ষদবাবু প্রচুর লোককে নিয়োগ করেছিলেন সরকারি কাজে। সেই নিয়োগ ঘিরে বেনিয়ম/দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সিবিআই সে নিয়ে প্রচুর তদন্ত করেও, ঠিক কোন-কোন নিয়োগে বেনিয়ম আছে, তা বার করতে পারেনি। তাই সবাইকে অযোগ্য ঠাউরে প্রথমেই সব লোকের চাকরি কেড়ে নেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর দেখা হবে কে যোগ্য, কে অযোগ্য। হয়তো সব লোকই অযোগ্য। বা সব লোকই যোগ্য। কিংবা কেউ যোগ্য কেউ অযোগ্য। যা খুশি হতে পারে। যারা যোগ্য তারা আবার চাকরি পাবেন। যারা অযোগ্য তারা পাবেননা। কিন্তু সেটা খুঁজে বার করার আগে পর্যন্ত কারো চাকরি থাকবেনা। এবং এই খুঁজে বার করার কাজটা করবেন কে? যাঁর বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ,সেই পর্ষদবাবু নিজেই। সিবিআই তাহলে কী করেছে, বা করবে? সেটা খবরের কাগজ পড়ে বুঝতে পারিনি।

    তা, এইখানে খান দুই কথা মাথায় আসে।

    এক। বেনিয়মের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সেই পর্ষদবাবুই কীকরে বেনিয়ম খোঁজার দায় পান? পর্ষদবাবু তো আগের তালিকায় কোনো ভুল পাননি। তিনিই যদি আবার ঠিক-ভুলের বিচার করেন, তো আবার পুরোনো তালিকা একটু নেড়েচেড়ে এনেই আবার একই লোকেদের চাকরি দেবেন। তখন কী হবে? আবার চাকরি বাতিল এবং কেঁচে গণ্ডূষ? সর্ষের ভিতরেই যদি ভূত থাকে, অর্থাৎ পর্ষদের ভিতরেই বেনিয়ম, সেটা খুঁজে বার করার দায়িত্ব তো ভূতকেই দেবার মানে নেই, ওঝাকে দেবার কথা। ওঝা অর্থাৎ তদন্তকারী সংস্থা। তারা কী করল, বা তারাই বেনিয়ম চিহ্নিত করবে না কেন? তা যদি না করে, তো করবে টা কী?

    দুই। কে যোগ্য, কে অযোগ্য সেটা যদি জানা নাই হয়ে থাকে, যদি এক জনও যোগ্য হন, তাঁর কোন অপরাধে চাকরি গেল? তদন্ত অবশ্যই জরুরি, কিন্তু অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত শাস্তি না পাওয়াটা তো  ন্যায়বিচারের প্রাথমিক শর্ত। বস্তুত এই যোগ্য-অযোগ্য-চিহ্নিতকরণের পুরো প্রক্রিয়াটা, যেটা করা খুবই জরুরি, সেটা তো চাকরি না খেয়েই করা যেত। তাতে একটা চমক, শিরোনাম-সৃষ্টিকারী ব্যাপার হতনা অবশ্য। কিন্তু শিরোনাম তৈরি করা বা শিরোনামে থাকা তো ন্যায়বিচারের আবশ্যিক শর্ত না। 

    এইগুলো আরও বেশি করে মাথায় আসছে, কারণ, বিষয়টা স্রেফ চাকরির না। আস্ত প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার। ৩৬০০০ শিক্ষক মানে, অনুমান করছি রাজ্যের প্রায় অর্ধেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ই এই রায়ের আওতায়। রাজ্যের প্রায় অর্ধেক বিদ্যালয়ে, এই রায়ের পর  সোমবার থেকে আর পড়াশুনো হবে? শিক্ষকরা পড়াবেন, আর ছাত্রছাত্রীরা পড়বে? এই বিরাট অস্থিরতাটা তৈরির আগে ন্যূনতম সতর্কতা বাঞ্ছনীয় না? যদি বিপুল বেনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই প্রতিকার হওয়া দরকার। কিন্তু অস্থিরতা তৈরির আগে যোগ্য-অযোগ্যের ঠিকঠাক পরিমাপটা করে নেওয়া জরুরি না? 

    এমনিই শিক্ষাব্যবস্থা বেহাল। রাজ্যসরকারের হাবভাব দেখলে মনে হয়, সরকারি শিক্ষাব্যবস্থাটা উঠে গেলেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। কেন্দ্রীয় সরকার তো শিক্ষার অভিমুখ কেন্দ্রীয় বোর্ড এবং বেসরকারিকরণের দিকে নির্ধারিত করেই ফেলেছে। এমতাবস্থায়, এই রায়, দেখেশুনে মনে হয়, এই পুরো প্রক্রিয়াটা ত্বরান্বিতই করবে। এই বিষয়টার উপর কারও তেমন নজর নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলছে, অতএব বুদ্ধিজীবীরা চুপচাপ আছেন, এই ফাঁকতালে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাটাই পুরোটা না লাটে উঠে যায়। শঙ্কা বলতে এই।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.110.137.64 | ১৩ মে ২০২৩ ১১:৫৭519745
  • হুম, সবকিছুর জন্য দায়ী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! কুণাল ঘোষ‌ও ঠিক এইরকম কথা বলে!
  • দীপ | 42.110.137.64 | ১৩ মে ২০২৩ ১২:০০519746
  • যদি কোনো নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে, তবে সেই নিয়োগপ্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল করা উচিৎ। এরপর আবার নতুন করে পুরো প্রক্রিয়া চালু করা প্রয়োজন। সেটাই করা হয়েছে। বিচারপতি যোগ্যদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ দিয়েছেন।
  • দীপ | 42.110.137.64 | ১৩ মে ২০২৩ ১২:১১519747
  • আর যে ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় বসে ধর্না দিচ্ছে, তাদের যোগ্যতা নেই? তাদের কি হবে? তাদের নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই? 
    প্রায় গোটা শিক্ষাদপ্তর এখন জেলে। পার্থ, মানিক, সুবীরেশ; সবাই জেলে। কচিনেতার বাড়ি থেকে ওম‌আর শিট উদ্ধার হয়। পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়াই তো দুর্নীতিতে লিপ্ত! স্বাভাবিকভাবেই একে বাতিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
  • দীপ | 2402:3a80:1968:5f1:19c1:9151:689e:19e7 | ১৩ মে ২০২৩ ১৫:১১519756
  • প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল সরকারি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। একমাত্র আপ কে বাদ দিলে কোনো রাজনৈতিক দল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য বিশেষ কিছু করেনি, বরং যথেষ্ট ক্ষতি করেছে, প্রকারান্তরে ধ্বংস করেছে। সুতরাং আজ বিচারব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ অর্থহীন, অবান্তর!
  • অ্যাই দ্যাকো | 2405:8100:8000:5ca1::16e:3be6 | ১৩ মে ২০২৩ ১৫:৪২519757
  • শুকরচোদানির পো আবার পোঁদের কাপড় মাতায় তুলে নাচতে লেগেছে। সব বন্দ হয়ে যাক শুদ্দু এই পোপেচোরগুলোর মাইনে ঠিক থাকুক। আর টোল তো আছেই। সরকারি প্রাইমারি স্কুল বন্দ হলে আর বাবুদের কি! নিজেদের ছেলেপুলের জন্য আইসিএসই সিবিএসই আছেই ত।
  • দীপ | 42.110.164.16 | ১৩ মে ২০২৩ ১৫:৪৪519758
  • কুত্তা হাজির!
  • দীপ | 2402:3a80:1968:5f1:8652:1acd:6056:2963 | ১৩ মে ২০২৩ ১৫:৫০519760
  • স্কুল বন্ধ করতে বলেনি রে শুয়োরের বাচ্চা, যথাযথভাবে নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।
    আর গত দশ বছরে ৭০০০ প্রাইমারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য কে দায়ী রে শুয়োরের বাচ্চা?
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::1f8:4fb0 | ১৩ মে ২০২৩ ১৮:২৩519765
  • মামু তো পরিস্কার প্রশ্নগুলো লিখে দিয়েছে, পাড়ে মানে বুঝছিস না শুয়োরচোদার ব্যটা?  কপি মেরে দিলাম ১,২ করে উত্তর দে চাডডি
     
    ১) বেনিয়মের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সেই পর্ষদবাবুই কীকরে বেনিয়ম খোঁজার দায় পান?
    ২)পর্ষদবাবু তো আগের তালিকায় কোনো ভুল পাননি। তিনিই যদি আবার ঠিক-ভুলের বিচার করেন, তো আবার পুরোনো তালিকা একটু নেড়েচেড়ে এনেই আবার একই লোকেদের চাকরি দেবেন। তখন কী হবে?
    ৩)  আবার চাকরি বাতিল এবং কেঁচে গণ্ডূষ?
    ৪) সর্ষের ভিতরেই যদি ভূত থাকে, অর্থাৎ পর্ষদের ভিতরেই বেনিয়ম, সেটা খুঁজে বার করার দায়িত্ব তো ভূতকেই দেবার মানে নেই, ওঝাকে দেবার কথা। ওঝা অর্থাৎ তদন্তকারী সংস্থা। তারা কী করল, বা তারাই বেনিয়ম চিহ্নিত করবে না কেন? তা যদি না করে, তো করবে টা কী?
  • দীপ | 42.110.137.16 | ১৪ মে ২০২৩ ০০:৪৭519780
  •  
    TV9 বাংলা শিলিগুড়ি: ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এক রায়ে চাকরিহারা। মূলত যে দু'টি কারণে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ এই ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, তার একটি অপ্রশিক্ষণ। দ্বিতীয়, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না হওয়া। যদিও এ নিয়ে ইতিমধ্যেই চাকরিহারাদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন।
     
    তবে সেই ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকা এক স্বেচ্ছাবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিত্যানন্দ পাল টিভি নাইন বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্‍কারে জানালেন, আদালতের রায় একেবারেই ঠিক পথে এগিয়েছে। তাঁর দাবি, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, প্রার্থীদের ছিল না ডিএলএডও। একলপ্তে ৩৬ হাজার চাকরি বিসর্জন। নানা বেনিয়মে ঘেরা টেট মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। প্রশিক্ষিত না হওয়া, আপ্টিটিউড টেস্ট না নেওয়া-সহ নানাবিধ অভিযোগে এই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত।
     
    অভিযোগ, সেই টেটেই শিলিগুড়িতে প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতে শিক্ষকদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বর্তমানে ওষুধ ব্যবসায়ীকে বোর্ডে নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। নিত্যানন্দ পালের দাবি, “অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের বালাই ছিল না। আমাদের কাছে সে পরিকাঠামো দেওয়াই হয়নি। এই টেস্টের জন্য তো চক, ডাস্টার, ব্ল্যাক বোর্ড লাগে। সেসবও ছিল না।” একইসঙ্গে নিত্যানন্দ বলেন, “আমরা জানতাম প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ থাকা আবশ্যক। কিন্তু যাঁরা ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন তাঁদের কারও প্রশিক্ষণ ছিল না।”
     
    নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে দিয়ে নিত্যানন্দ পাল বলেন, “আমি ‘৮৬ সালের অগস্ট মাসে হাইস্কুলের শিক্ষক হিসাবে যোগ দিই। হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলাম। ২০১২ সালে স্বেচ্ছাবসর নিই। ২৬ বছর চাকরি করি আমি। আমি যেহেতু একজন পুরনো হাইস্কুল শিক্ষক তাই আমাকে ইন্টারভিউ বোর্ডে রাখা হয়। তবে সে সময় আমি পুরোদমে ওষুধের ব্যবসা করতাম না। একজনের সঙ্গে পার্টনারশিপে সবে যুক্ত হতে যাচ্ছি। স্বেচ্ছাবসর নিয়েছি, বসে থেকে কী করব? আমি তৃণমূল করতাম সে সময়। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। দার্জিলিং জেলায় তৃণমূলের সংগঠনটা দেখতাম। ইন্টারভিউ গতানুগতিকভাবেই হয়। আমার টেবিলে ৬০-৬২ জন প্রার্থী ছিলেন। একেকজনের পিছনে ৫-৬ মিনিট সময় লাগত। কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। পরিকাঠামোও ছিল না। আমাদের বলা হয় ইন্টারভিউ নিতে হবে।”
     
    নিত্যানন্দবাবুর কথায়, ইন্টারভিউ নেওয়ার পর তাঁদের নম্বরশিট মানিক ভট্টাচার্য নিয়ে যান। যেদিন ইন্টারভিউ হয়, মানিক জেলাতেই ছিলেন বলে দাবি নিত্যানন্দ পালের। বলেন, “মানিক ভট্টাচার্য আসেন ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পর। উনি শিটগুলি নিয়ে যান। কেন উনি নিলেন তা জানি না।” কারণ এই শিট প্রাইমারি কাউন্সিলে জমা দেওয়ার কথা। পরবর্তীকালে দেখেন, যা নম্বর তাঁরা দিয়েছিলেন, আর ফল প্রকাশের পর যে নম্বর দেওয়া হয়েছে তা আলাদা।
     
    নিত্যানন্দ পাল বলেন, “হয়ত বা দরাদরি করতে বা ভাল ছেলেদের পিছিয়ে দিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দিতেই এসব হয়েছিল।” তিনি জানান, ইডি কিংবা সিবিআই বা আদালত ডাকলে সেখানেও গিয়ে সবটা জানাবেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা ঠিক পথেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে ইন্টারভিউয়ে অংশ নেওয়া তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের দাবি, “সব হয়েছিল নিয়ম মেনেই। হয়েছিল অ্যাপ্টিটিউড টেস্টও। তবে প্রার্থীদের অনেকের প্রশিক্ষণ ছিল না।” এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে আদালতের রায়ে ভরসা আছে জানিয়েছেন তিনিও।
  • দীপ | 42.110.137.16 | ১৪ মে ২০২৩ ০০:৫১519781
  • পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া দুনম্বরীতে ঠাসা! কিন্তু এই প্যানেলকে বাতিল করাতে নাকি শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে! অযোগ্যরা চাকরি পেলে কোনো সমস্যা নেই, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই দোষ!
  • দীপ | 42.110.137.16 | ১৪ মে ২০২৩ ০০:৫২519782
  • একটু পরেই পোষ্য শূকরেরা ছুটে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেবেন!
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::1bb:d9de | ১৪ মে ২০২৩ ১৪:৩৪519797
  • যথারীতি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে এদিক সেদিক থেকে কপি মেরেছে ছাগলের পোঁদ। নিজের ভাষায় উত্তর লিখতে পারে না গালাগাল ছাড়া কিস্যুই লিখতে পারে না নিজের ভাষায় এরা আবার ছাত্তর পড়াতে যায়! তাহলে শিক্ষার এই হাল হবে না ত কি৷ উদাহরণ ত চোখের সামনে।
     
    নেঃ একটা করে নিজের ভাষায় উত্তর লেখ দেখি শুকরশাবক
     
     ১) বেনিয়মের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সেই পর্ষদবাবুই কীকরে বেনিয়ম খোঁজার দায় পান?
    ২)পর্ষদবাবু তো আগের তালিকায় কোনো ভুল পাননি। তিনিই যদি আবার ঠিক-ভুলের বিচার করেন, তো আবার পুরোনো তালিকা একটু নেড়েচেড়ে এনেই আবার একই লোকেদের চাকরি দেবেন। তখন কী হবে?
  • | 2401:4900:1fe1:1da3:9481:b565:1204:c76d | ১৭ মে ২০২৩ ২০:১৬519854
  • এই দ্যাখো সৈকত  মহায়ায়ান বিচারপতি অঙ্কিতার চাকরি ববিতাকে দেবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার আবার ববিতার চাকরি অনামিকাকে দেবার নির্দেশ দিয়েছেন।  এরপরে আবার অমুকবালিকা এসে অভিযোগ করলে হোলিয়ার দ্যান দাউ তখন অমুকবালিকাকে চাকরি দিয়ে দিতে বলবেন।  নাট্যশালাও হার মানবে। 
    জুডিশিয়ারির অন্ধভক্তরা অবশ্য জয়ধ্বনি করবেই নির্ঘাৎ।
    (লগ আউট করে  লিখলাম জঞ্জালমার্কা নোটির বন্যা এড়াতে) 
  • দীপ | 2402:3a80:a09:7576:516e:59a3:34ee:4741 | ২৩ মে ২০২৩ ১৮:৫৩520005
  • এগুলোর জন্য‌ও কি বিচারপতি ও বিচারব্যবস্থা দায়ী? 
    ভারতীয় বিচারব্যবস্থা কোনো ত্রুটিহীন তন্ত্র নয়, তার মধ্যেও যথেষ্ট পরিমাণে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ আছে। কিন্তু এই ঘটনাগুলোর জন্য বিচারব্যবস্থা কোনোভাবেই দায়ী নয়, দায়ী রাজ্যসরকারের আপাদমস্তক দুর্নীতি!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন