এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  শিক্ষা

  • স্কুল তুলে দিয়ে কি সরকার নিজেই পাশ করতে পারবে?

    সৌমেন চট্টোপাধ্যায়
    আলোচনা | শিক্ষা | ২৭ মার্চ ২০২৩ | ১০৭১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)


  • ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল কন্ট্রোল অফ এক্সপেনডিচার অ্যাক্ট-২০০৫ এর ১২ নং পয়েন্টে কী লেখা আছে:
    If the State Government has reason to believe that the number of students studying in a particular school has fallen below the prescribed number, or the school authority has failed to take action as directed by the State Government under section 11, it may, after giving the concerned school authority an opportunity of being heard and for the reasons to be recorded in writing,

    (a) direct the Board, West Bengal Board of Primary Education, Council, Board of Madrasah, or such other authority to derecognise the school; or
    (b) abolish any teaching or non-teaching post of such school; or
    (c) order shifting of teaching and non-teaching staff from such school to any other school within the region; or
    (d) take such action as may appear to the State Government to be necessary and proper.


    অর্থাৎ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কমে গেলে রাজ্য সরকার চাইলে স্কুলটি ডিরেকগনাইজ করতে পারে। কিন্তু তার আগে এই আইনেই একটি পথ রাখা আছে। বলা হচ্ছে 'after giving the concerned school authority an opportunity of being heard and for the reasons to be recorded in writing', অর্থাৎ কেন ছাত্র-ছাত্রী কমছে তার যথাযথ কারণ জানানোর সুযোগ পেতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এদিকে হঠাৎই আট হাজারের বেশি স্কুলের একটি তালিকা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ স্কুলই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার এবং এর মধ্যে একটা বিরাট সংখ্যক নিউ সেট আপ জুনিয়ার হাইস্কুল এবং এই স্কুলগুলি নাকি সরকার তুলে দেবে। এই স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কেন কমল তার কারণ কি জানতে চাওয়া হয়েছে? জুনিয়র স্কুলগুলির গড় বয়স তেরো কি চোদ্দ। এই স্কুলগুলি তৈরিই হয়েছিল সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পে। উদ্দেশ্য ছিল পার্শ্ববর্তী হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যার চাপ কমানো। ত্রিশ জন ছাত্র-ছাত্রী পিছু একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা থাকবে এবং ছোটো ছোটো ইউনিটে ক্লাস হবে। এইবার রাজ্যের স্কুলে যেহেতু নিয়োগ হচ্ছে তাই স্কুল শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে জুনিয়ার হাইস্কুলগুলিতে মোট পাঁচটি পোস্ট থাকার কথা বলা হয়েছে এবং যার প্রথমে তিনটি পোস্ট তৈরি করে সেখানে তিনজন করে শিক্ষক নিয়োগ হয় ২০০৮ থেকে ২০১১ এর মধ্যে। ২০১২ এর ৩০ মার্চের আদেশক্রমে আরো দুটি শিক্ষক-শিক্ষিকা পদ তৈরি হল। যে স্কুলগুলি ২০০৮-২০০৯ ও ২০১০ এর মধ্যে তৈরি হয়েছে সেই স্কুলগুলিই এই অতিরিক্ত দুটি করে পোস্ট পায়। তারপরে তৈরি স্কুলগুলিতে এই দশ বছরেও আর অতিরিক্ত দুটি পদ তৈরি হল না। কিন্তু যাদের যাদের দুটি করে পদ তৈরি হল তারাও কি শিক্ষক পেল? কিছু স্কুল একটি পোস্টে শিক্ষক পেল ২০১৩-র স্কুল সার্ভিস কমিশন যে নিয়োগ দিল তাতে। কিন্তু রোস্টারের নিয়ম মেনে চার নম্বর পোস্টটি এস-টি পদে সংরক্ষিত হওয়ার কারণে বেশিরভাগ স্কুলেই ঐ পোস্ট যোগ্য প্রার্থীর অভাবে শূন্যই থেকে গেল। তাহলে মূল ব্যাপারটা কী দাঁড়াল? এই সব স্কুলগুলি তিনজন বা চারজন শিক্ষক নিয়ে চলতে লাগল। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু এর মধ্যে দুটো সমস্যা দেখা দিল। জুনিয়ার স্কুলগুলিতে পাস ক্যাটেগরিতে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে কেউ কেউ ২০১৩ ও ২০১৬ তে অনার্স/ পিজি ক্যাটেগরিতে পরীক্ষা দিয়ে চলে গেলেন। ঐ পদটি শূন্যই থেকে গেল। আর ২০১৭ থেকে স্পেশাল গ্রাউন্ড জেনারেল ট্রান্সফারেও বহু সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা ট্রান্সফার পান। পরে উৎসশ্রীর মাধ্যমেও অনেকে ট্রান্সফার নিয়ে অন্যত্র চলে গেলে শিক্ষক সংকট দেখা যায়। কিন্তু যে শিক্ষক-শিক্ষিকা বাড়ি থেকে দূরে দশ বছরের কাছাকাছি সময় চাকরি করছেন তিনি কেন ট্রান্সফারের সুযোগ পাবেন না? আর তিনি তো ট্রান্সফার নিয়ে অন্য একটি শূন্যপদেই যাচ্ছেন। এবং তার ছেড়ে যাওয়া স্কুলে নতুন শূন্যপদ তৈরি হল। এখন তাই স্কুলগুলিতে শিক্ষক সংকট দেখা দেওয়ার জন্য ট্রান্সফারকে দায়ী করলে চলে না। এদিকে NCTE-র রুল অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ার আমূল পরিবর্তন হল এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া তিনটি স্তরে বিন্যস্ত হল। একাদশ-দ্বাদশ, নবম-দশম ও উচ্চ-প্রাথমিক স্তরে তিন রকম পরীক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে নিয়োগের কাজ শুরু করতে হল। কিন্তু নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে যদিও কিছু নিয়োগ হল উচ্চ-প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সেই যে থমকে গেল তা এখনও সচল হল না। এদিকে জুনিয়ার হাইস্কুলগুলি থেকে ট্রান্সফার নেওয়ার পর কোথাও তিনজন বা দু’জন এমনকী একজন শিক্ষক নিয়ে স্কুলগুলি কোনোক্রমে চলতে লাগল। আর সমস্যা এখানেই আরো বেশি করে প্রকট হল। একটা বিরাট সংখ্যক অভিভাবক এই স্কুলগুলি থেকে ক্রমশ মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তাঁদের বক্তব্য শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই যেখানে সেখানে কেন পড়তে পাঠাব সন্তানদের। ক্রমশ ছাত্র-ছাত্রী কমতে কমতে কোথাও দশ বারো এমনকী কোথাও একেবারে একজনে ঠেকেছে। পুরুলিয়ার একটি জুনিয়ার হাইস্কুলে দুজন শিক্ষক নিয়োগপত্র পান। তাদের মধ্যে একজন পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা দিয়ে পিজি ক্যাটেগরিতে চলে যান। প্রথম থেকেই স্কুলটিতে দশ-বারো জন ছাত্র ছিল। এক শিক্ষক হয়ে যাওয়ায় ছাত্র কমতে কমতে একেবারে একে নেমে আসে। ঐ স্কুলে কর্মরত একজন শিক্ষক ট্রান্সফার নিয়ে চলে যাওয়াতে ছাত্রটিকে পাশের স্কুলে ভর্তি করানো হয়। এটা যে করানো যায় তা প্রথমেই বলা হয়েছে। ২০০৫ এর আইনে সেই ক্ষমতা সরকারের আছে। যদিও স্কুলটিকে এখনই ডিরেকগনাইজ করা হয়নি। কিন্তু এক সময় তাও করা হতে পারে।কিন্তু তার আগে কি স্কুলটিকে আর একবার সুযোগ দেওয়া হবে না? পুনরায় স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির উদ্যোগ কি নেওয়া হবে না?

    এখানেই স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং তার সঙ্গে এলাকাবাসীর সচেতনতা ও স্কুলটিকে টিকিয়ে রাখার সদিচ্ছা। বাঁকুড়া জেলার একটি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা সাত ও শিক্ষক-শিক্ষিকা সংখ্যা দুই। তবুও এই স্কুলটি কখনও উঠে যাবে না। কারণ ঐ স্কুলটি দুটি আদিবাসী পাড়ার ছেলেমেয়েদের জন্য তৈরি হয়েছে। বিদ্যালয়ের শুরুর দিন থেকেই এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা এইরকমই ছিল কারণ লোকসংখ্যাই তো মেরেকেটে পঞ্চাশ জন। কিন্তু তবুও সরকারী নিয়মে PTR মেনে একজন শিক্ষককেও যদি তুলে নেওয়ার কথা ভাবে গ্রামের লোকের চাপে বাস্তবে তা কখনও সম্ভব হবে না। সুতরাং এলাকাবাসী ভূমিকা এক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

    আবার জুনিয়ার হাইস্কুলগুলি নতুন হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি সব অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ভৌগোলিক অবস্থান দেখলেই বোঝা যাবে কেন সেখানে ছাত্র-ছাত্রী কম। ঝাড়গ্রামের প্রত্যন্ত জঙ্গলে ঘেরা গ্রামের একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কি ছাত্রসংখ্যা দুশো হবে? নাকি ছাত্র সংখ্যা ত্রিশের কম বলে তাকে তুলে দেওয়া চলে? যদি ধরেও নিই এলাকাবাসী ততটা সচেতন নন বা কী থেকে কী হল স্কুল বন্ধ হয়ে গেল এতটা ভাবার সময় যদি তাদের নাও থাকে তবুও কি সরকারের নৈতিক দায়িত্ব নেই স্কুলগুলিকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার? অবশ্যই আছে। যেখানে প্রথম থেকেই ছাত্রসংখ্যা কম হওয়ার কথা সেখানে এই অজুহাতে স্কুল তুলে দিতে হলে এই ভাবনা যাদের মস্তিষ্কপ্রসূত তাদেরকেই আবার স্কুলে ভর্তি করতে হয়। কারণ তাদের ন্যূনতম জ্ঞানবোধপ্রজ্ঞাই তৈরি হয়নি। তাই এখানে কীভাবে স্কুলটিকে টিকিয়ে রেখে শিক্ষাদানের পরিবেশ বজায় থাকে তারই চেষ্টা করার জন্য সরকারি পরিদর্শক আছেন। তাঁর কাজ কেবল অফিসে বসে বসে মিডডে মিলের রিপোর্ট নেওয়া আর সরকারি প্রকল্পগুলি চলছে কিনা দেখা নয়। কেন স্কুলছুট হচ্ছে কোনও শিশু, কেন সে বাবা-মায়ের সঙ্গে কাজ করতে চলে যাচ্ছে তার খোঁজ নেওয়াটাও তাঁর দায়িত্বে মধ্যেই পড়ে। চক্র সম্পদ কেন্দ্রে থাকা শিক্ষকবন্ধুদের মাধ্যমেই তিনি এই কাজ করতে পারেন এবং আইসিডিএস থেকে কতগুলি বাচ্চা স্কুলে আসার কথা তা মিলিয়ে দেখে তাদের ভর্তি নিশ্চিত করার কাজে সহযোগিতা করতে পারেন। স্কুল তুলে দেওয়ার সুপারিশ তখনই করবেন যদি দেখেন একটিও বাচ্চা সরকারি স্কুলে যাওয়ার মতো নেই অন্তত পরপর দশ বছর তখনই তিনি এলাকার বাসিন্দাদের মতামত নিয়ে তবেই প্রস্তাব পাঠাবেন যে এই স্কুলটির প্রয়োজন ফুরিয়েছে। যা বাস্তবে কার্যত অসম্ভব। এটা একমাত্র সম্ভব শহরাঞ্চলে যেখানে পাড়ায় পাড়ায় বিকল্প স্কুল আছে। কিন্তু তাও কি সম্ভব? সরকারি শিক্ষার ব্যবস্থাটুকু থাকবে না? তাহলে কিছুদিন পর সরকার বলবে আর কেউ চিঠি লেখে না সুতরাং পোস্ট অফিস দরকার নেই। সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সরকার বাধ্য। কিন্তু সংবিধানকে পাশে সরিয়ে রেখেও এটা তো বলাই যায় যাদের মাধ্যমে তৈরি সরকার এবং সর্বোপরি যাদের জন্য সরকার তাদেরই শিক্ষার ব্যবস্থাটুকুর পায়ে একেবার কুড়ুল মেরে তাকে উপড়ে ফেলতে হচ্ছে কেন? তাহলে কি আমরা আবার সেই প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থাতেই ফিরে যাচ্ছি? যার টাকা আছে, সামর্থ্য আছে এবং বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা করে উঠতে পারবে তারাই শিখবে আর যাদের এই সামর্থ্য নেই তারা নিরক্ষরতার অন্ধকারে ডুবে হারিয়ে যাবে? এখানে কেউ বলতেই পারেন তা কেন? সব স্কুল তো আর উঠে যাচ্ছে না? যেখানে আছে সেখানে ভর্তি হবে। একটি ছয়-সাত বছরের শিশু যে নিজের গ্রামের স্কুলটিতে পড়ত তাকে যদি বলা হয় দু-কিলোমিটার দূরের স্কুলে ভর্তি হও সে কি আর পড়তে যাবে? বা পড়তে যাওয়ার উৎসাহ পাবে? সুতরাং ঠান্ডা ঘরে বসে এই সব পরিকল্পনা করার আগে একবার ওইসব প্রত্যন্ত এলাকায় এক মাস কাটিয়ে এসে তবেই স্কুল তুলে দেওয়ার কথা ভাবতে বসা উচিত।

    আর রইল ল্যাবরেটরিতে থাকা জুনিয়ার হাইস্কুলগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার পরিকল্পনার কথা। প্রথমেই মাথা থেকে সরিয়ে দেওয়া দরকার যে এখানে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সারপ্লাস আছেন । বরং তার আগে এটা ভাবা উচিত যে পার্শ্ববর্তী হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রয়োজন অপেক্ষা বেশি রয়েছে। আর এখানেই স্কুল পরিদর্শকের তরফে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সরকারের উচিত এইসব স্কুলগুলিতে ছাত্র ভর্তি নিয়ন্ত্রণ করা। যত আসবে তত ভর্তি নেব আর পাশের জুনিয়ার স্কুলটি ছাত্রের অভাবে ধুঁকবে এটা হতে পারে না। কেউ বা খেল প্রচুর আর কেউ পেল না মোটে - এ চলতে পারে না। সর্বশিক্ষা মিশনের আওতাধীন এই জুনিয়ার হাইস্কুলগুলি তৈরিই হয়েছে হাইস্কুলের ছাত্রসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে সুষ্ঠু পরিকাঠামোর মাধ্যমে জুনিয়ার হাইস্কুল তৈরি করে হাইস্কুলের অতিরিক্ত ছাত্র সংখ্যার চাপকে বন্টন করে দিয়ে সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা। কিন্তু মিশনের এই পরিকল্পনার সঠিক রূপায়ন হল কিনা তা দেখার কেউ নেই। বিদ্যলয়ে ছাত্র নেই বলে শিক্ষক তুলে নিয়ে স্কুল বন্ধ করার ভাবনা চলছে আর অভিভাবকরা বলছেন সব বিষয়ের ঠিকঠাক শিক্ষক নেই ছেলেমেয়েদের কোন ভরসায় পড়তে পাঠাব। ডিম আগে না মুরগি আগে এই চলছে। সরকার বলছে ছাত্র-ছাত্রী থাকলে শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠাতাম বা যাঁরা আছে তাঁদের তুলতাম না আর সাধারণ মানুষ যা বলছেন তা তো অস্বীকার করার জায়গায় নেই। সত্যিই তো শিক্ষক নেই, কম্পিউটার নেই হাজারো নেই-এর মাঝেও তাঁরা এই দশ বছর ধরে পাঠিয়েছেন কিন্তু দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ, যা ছিল তাও ট্রান্সফারে চলে গেছে এই অবস্থায় তাঁরা আর কেন রাখবেন এই জুনিয়ার হাইস্কুলগুলিতে? তাই একান্ত বাধ্য হয়েই তাঁরা তাঁদের সন্তানদের তিন-চার কিমি দূরের হাইস্কুলেই পাঠাচ্ছেন। আর তাই এখনই সরকারের উচিত দ্রুত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের কাজ শেষ করা। আপারে নিয়োগ সেই যে আটকে গেছে তার জট আর কিছুতেই কাটছে না। এই জট দ্রুত কাটিয়ে নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করে পার্শ্ববর্তী হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সংখ্যা বেঁধে দিলেই এই আট হাজার স্কুলে আবারও ছাত্রছাত্রী ফিরবে। আর যদি সরকারের এটাই ইচ্ছা হয় যে স্কুল তুলে দিয়ে দায় মেটাবে তাহলে সরকারেরই তৈরি করা ২০০৫ এর ঐ আদেশনামা অনু্যায়ী স্কুলগুলি কি আর একবার সু্যোগ পাবে না? এবং সেই সু্যোগ দেওয়ার আগে সরকার তারই তৈরি জুনিয়ার হাইস্কুলগুলির জন্য যে স্টাফ প্যাটার্ন আছে তা পূরণ করেছিল কিনা সেটাও তো দেখা দরকার। সেখানে তো পাঁচ জন শিক্ষক একজন প্রধানশিক্ষক নিয়োগ করতেই পারল না এখনও। তাহলে কিসের ভিত্তিতে এখুনি এই স্কুলগুলি তুলে দিতে চলেছে?

    সরকারের কাছে এইসব প্রশ্নের উত্তর কি আছে? সরকার নিজেরই তৈরি প্রশ্নপত্রে উত্তর দিতে বসে ডাহা ফেল করে যাবে না তো?


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৭ মার্চ ২০২৩ | ১০৭১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন