এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • স্বাধীনতার একাঙ্ক নাটক

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ৩২২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • যৌবনে একটি একাঙ্ক নাটক দেখেছিলাম, "ক্ষেতু বাগদি ও গোপাল কাহার"। নাটকের বিষয়বস্তু বা বিভিন্ন চরিত্রগুলো মানসপটে আবছা হয়ে গেলেও আজও ক্ষেতু বাগদির একটি সংলাপ "স্বাধীনতা মানে ওই পেতাকা ফরফর করে উর্তিছে, না ওই লাঠিটা, না ওই দড়িটা, কোনটা?" মনের মধ্যে গেঁথে আছে। স্বাধীনতার মানে আমরা কি আজও বুঝি? আমরা গোমূর্খ, অশিক্ষিত দেশবাসীরা স্বাধীনতা মানে বুঝি, ১৫ই আগস্টে একটি তেরঙা পতাকা তুলতে হয়, রবি ঠাকুরের "জনগণ মন অধিনায়ক" গাইতে হয় আর স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের বিস্কুট-লজেন্স দেয়। আগে ইংরেজরা আমাদের শাসন করতো, এখন আমরাই দেশের নেতা, মন্ত্রী তৈরী করি ভোট দিয়ে। এর চেয়ে একবর্ণ বেশী কি কিছু বুঝি? স্বাধীনতা মানে যদি অন্যের গোলামী থেকে মুক্তি পাওয়া হয় তাহলে তো আজও আমরা পরাধীন। ইংরেজদের অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে আজকে আমরা আমাদেরই অধীন। কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের অধীন বা গোলাম। আমাদের না আছে রাজনৈতিক স্বাধীনতা, না আছে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, না আছে সামাজিক স্বাধীনতা। স্বাধীনতা বলতে মুলতঃ এই তিনটি ক্ষেত্রের স্বাধীনতাকেই বোঝায়। এই তিনটি ক্ষেত্রে যদি দেশবাসী স্বাধীন না হয় তাহলে সেই দেশ বা সেই দেশের নাগরিকদের স্বাধীন বলা যায় না।

    রাজনৈতিক স্বাধীনতা - একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হতে গেলে নিশ্চয়ই তার নিজস্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাথায় আইনসভা থাকবে যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ করে সেই দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং তাদের নেতারা। সুতরাং আদপে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা, প্রশাসনিক স্তরের আমলা বা বিভিন্ন কর্মচারীরা রাজনৈতিক স্তরের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়নের দ্বায়িত্ব পালন করে। স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার বা দ্বায়িত্ব থাকে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের আইনসভার প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার। নিয়ম বা প্রথা অনুযায়ী সেই প্রতিনিধিদেরও দ্বায়িত্ব বা কর্তব্য থাকে তার নির্বাচনী এলাকার মানুষদের নাগরিক সুযোগ সুবিধার প্রতি এবং দেশের বা নাগরিকদের উন্নতির জন্য দেশের আইনসভার গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়নের প্রতি। স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের নিজস্ব রাজনৈতিক মতামত থাকবে এবং খোলাখুলিভাবে সে তার মতামত জাহির করতে পারবে এবং সেই মতাদর্শ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পরে সে কিন্তু সেই নির্বাচনী এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবেই বিবেচিত হয়, যে নাগরিক তাকে ভোট দেয়নি তার দ্বায়িত্বও সেই প্রতিনিধিকেই পালন করতে হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের সংখ্যা যদি ১০ হয় আর বিভিন্ন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা যদি ৪, ৩, ২, ১ হয়, তবে যেমন ৪টি ভোট পাওয়া প্রার্থী জয়ী বলে ঘোষিত হবে (সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার তাকে ভোট না দিলেও) তেমনি জয়ী হওয়ার পরে সেই প্রার্থী কিন্তু ১০ জনেরই নির্বাচিত প্রতিনিধি (৪ জনের নয়)। আমাদের দেশের সংবিধানে নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন মৌলিক অধিকারের দিগনির্দেশ করা আছে, কিন্তু সংবিধানের বিভিন্ন ধারাগুলোর বাস্তবায়ন ও নাগরিক সুযোগসুবিধাগুলো দেখার দ্বায়িত্ব দেশের আইনসভা এবং প্রতিনিধিদের, অর্থাৎ ঘুরিয়ে বলতে গেলে রাজনৈতিক দলগুলোর। বাস্তবে আমরা কি দেখতে পাই, এটাই আমাদের কাছে লাখ টাকার প্রশ্ন। নির্বাচিত প্রতিনিধি সবসময়েই মনে করেন, যে ৪ জন তাকে ভোট দিয়েছে, তার দ্বায়িত্ব শুধু সেই ৪ জনের ভালোমন্দ দেখা, বাকী ৬ জন তার কাছে নিতান্তই অবাঞ্ছিত। সরকারী বিরোধীতা করলেই আপনি দেশবিরোধী বা মাওবাদী বা অন্যকিছু। যে রাজনৈতিক দল সরকারে আছে তার জয়গান না গাইলে আপনার বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে, আর জয়গান যদি গাইতে না চান, নিদেনপক্ষে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে হবে, মুখ খুললেই বিপদ। আমি, আপনি তো নিতান্ত ছা পোষা মানুষ, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও আমার, আপনার মতোই অবস্থা। এই ভূমিকাটাই আগে ইংরেজরা পালন করতো, এখন আমাদের সরকারী রাজনৈতিক দলের নেতারা পালন করেন। এরপরে রয়েছে জনপ্রতিনিধি বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া। সংবিধান আমাদের সেই দ্বায়িত্ব এবং অধিকার দিয়েছে, কিন্তু সেই অধিকার প্রয়োগ করার চেষ্টা করতে গেলেই বিপদ। ভোটদানের বুথে গেলেই শুনতে পাবেন, আপনার ভোট হয়ে গেছে। মানে মানে বাড়ী চলে আসতে হবে আপনাকে, রুখে দাঁড়ালেই বিপদ। মোটের ওপর এইরকম রাজনৈতিক স্বাধীনতাই ভোগ করি আমরা, ঠিক যেমন পেতাকাটা উর্তিছে। হাওয়ার দিকেই উড়বে, নিজের মন চাইলেও বিপরীত দিকে ওড়ার ক্ষমতা নেই, নিজস্বতা বলে কিছুই নেই, মৌলিক অধিকার নেই।

    অর্থনৈতিক স্বাধীনতা - দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাষ্ট্রের কাছে কারণ রাষ্ট্রের উন্নতি বা অবনতি নির্ভর করে সেই রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপরে। আর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলতে বোঝায়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল মানুষের জীবন ধারণের জন্য অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করার অধিকার। অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মূলকথা হলো যোগ্যতা অনুযায়ী সম্পদ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনগণের সমান অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা। যাতে সমাজে ও রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয় । আর এটা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের একান্তই নিজস্ব মৌলিক কাজ। নাগরিকেরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী অর্থ রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারবে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যোগ্যতা অনুযায়ী অংশগ্রহণ করতে পারবে, এটাই অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মূলকথা। বাস্তবে আমরা কি দেখতে পাই, সেটাই ভয়ঙ্কর। আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কোনো রোজগারের পথ খুঁজে পাবেন না, কারণ সরকার সেইরকম কোনো ব্যবস্থা কোনোকালেই করে না। যোগ্যতা অনুযায়ী তো দুরস্থান, ন্যূনতম কর্মসংস্থানের সৃষ্টি আজ অব্দি দেখা যায়নি। বাজেটে যে মোহময় দৃশ্যের অবতারণা করা হয় তা কোনদিনই বাস্তবে ঘটে না। অদ্ভুতভাবে কোনদিনই আমরা দেখতে পাইনা যে সরকার নিজে বিগত বছরের কর্মসংস্থানের পর্যালোচনা করছে এবং ভুলগুলো শুধরে নিচ্ছে। পর্যালোচনার নামে কিছু সংখ্যাতত্ত্বের ভেলকি দেখিয়েই নাগরিকদের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ন্যূনতম কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়না এবং ন্যূনতম মজুরীর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ বলেই দেশে অর্থনৈতিক অপরাধের সংখ্যা এত বেশী এবং ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। অর্থনৈতিক শ্রেণী বিভাজন এত বেশী এবং কিছু অল্প সংখ্যক মানুষের হাতে এত বিপুল সম্পদ যা কল্পনাও করা যায়না। অন্যদিকে দেশের বেশীরভাগ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এতটাই স্বাধীন (?) যে একবেলা আহারের সংস্থান করতে পারে না। যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যূনতম মজুরীর ব্যবস্থা করাও রাষ্ট্রের কর্তব্য, এক্ষেত্রে রাষ্ট্র কিছু ব্যবস্থা নেয় বটে কিন্তু প্রথমতঃ সেটা বাজারদরের সাথে খাপ খায় না আর দ্বিতীয়তঃ রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্নরকমের ভূমিকার কারণে নাগরিকদের হাতে কতটা অর্থ পৌঁছায় আর কতটা বাষ্পের মতো উবে যায় তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারী অফিসগুলোতে গেলেই বোঝা যায়, সরকারী চাকুরী থেকে নাগরিকদের কেমনভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যেটুকু সরকারী চাকুরী হচ্ছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকুরীর অবস্থা কোনোকালেই খুব বেশী কিছু ছিল না। বর্তমানকালে আবার শিক্ষাক্ষেত্র থেকে সেনাবাহিনী, সবজায়গাতেই চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, নাগরিকদের যোগ্যতার মাপকাঠিকে অনেক নিম্ন শ্রেণীতে নামিয়ে আনা হচ্ছে। যোগ্যতা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান দুটো বিষয়কেই বিস্তৃত করার পরিবর্তে আদপে সঙ্কুচিত করা হচ্ছে। ফলস্বরূপ, রাষ্ট্রের সম্পদ নাগরিকদের মধ্যে বন্টন হওয়ার পরিবর্তে ধনী-দরিদ্রের বিভাজন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সাম্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সুতরাং, ওই লাঠিটার মতোই আমাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। যে লাঠি শিক্ষকের হাতে থাকলে ছাত্ররা সুনাগরিক হতে পারে, পুলিশের হাতে থাকলে নাগরিকেরা নিয়ম মেনে আচরণ করে। সেই লাঠিটা শুধুমাত্র দাঁড়িয়েই আছে, রাষ্ট্র বা নাগরিকদের কোনো দিশা দেখাতে ভুলে গেছে। উল্টে নাগরিকদের বিপদের কারণ হয়েছে, সে শুধুই ধনীর (শক্তের) ভক্ত, দরিদ্রের (নরমের) যম।

    সামাজিক স্বাধীনতা - প্রকৃত অর্থে সাম্য বলতে এমন এক সামাজিক পরিবেশকে বোঝায়, যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করে এবং সে সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে সবাই নিজ নিজ দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে পারে, যেখানে কারো জন্য কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা নেই। একই সমাজে বাস করে নিজ নিজ ধর্ম ও ধর্মীয় আচরণ পালনের স্বাধীনতা, নিজস্ব মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নিজস্ব রুচি-নিজস্ব ধারণা-নিজস্ব চিন্তা-নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারার স্বাধীনতাকেই সামাজিক স্বাধীনতা বলে এবং রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের এই স্বাধীনতা ভোগ করতে দেওয়ার। পাশাপাশি নাগরিকদের কর্তব্য, নিজের সামাজিক স্বাধীনতার নাম করে অন্যের স্বাধীনতাকে খর্ব না করা। আমরা সমাজবদ্ধ জীব, তাই সামাজিক স্বাধীনতার একটা সীমা থাকা উচিত নইলে শেষ অব্দি সমাজ মানে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব এই সীমা নির্ধারণ। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখতে পাই? রাষ্ট্রীয় মদতে নাগরিকদের সামাজিক স্বাধীনতা প্রতি মুহূর্তে খর্ব করা হচ্ছে। আমি, আপনি নিজস্ব মত প্রকাশ করতে পারবো না, নিজস্ব ধর্মীয় আচরণ পালন করতে পারবো না (আবার নিজস্ব ধর্মীয় আচরণ পালনের নামে অন্যের ধর্মীয় আচরণের স্বাধীনতা খর্ব করবো), নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখা বর্তমান সমাজে খুব মুশকিল। আবার প্রচুর নাগরিক আছে যারা সামাজিক স্বাধীনতার যে সীমা থাকা দরকার তা প্রতি মুহূর্তে লঙ্ঘন করে, অন্যের সামাজিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে, কিন্তু আমি, আপনি কিছু বলতে পারবো না। রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের সরকার এই ব্যাপারে নাক গলিয়েছে বলে কেউ দোষ দিতে পারবে না। বর্তমান সমাজে মাৎসন্যায় চলছে বললেও খুব কম বলা হয়। অরাজকতা আর বিশৃঙ্খলার এক চূড়ান্ত অবস্থা। ঠিক ওই দড়িটার মতোই, পতাকা যখন নীচে থাকে তখন তাকে পেঁচিয়ে ধরে রাখে, আবার যখন ওপরে গিয়ে নিজের আলিঙ্গন থেকে পতাকাকে মুক্ত করে তখন পতাকা পতপত করে ওড়ে। বর্তমানে সে সমাজকে চারিদিক থেকে পেঁচিয়ে ধরে গিলে খেতে আসছে কিন্তু সমাজকে অরাজকতা আর বিশৃঙ্খলার নাগপাশ থেকে মুক্ত করে দিলে সমাজ এবং সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে আমরা পতপত করে উন্নতির শিখরে উঠবো।

    স্বাধীনতা মানে পতাকা, লাঠি আর দড়ি তিনটে মিলিয়েই, যে কোনো একটা নয়। ইংরেজদের বদলে রাষ্ট্র চালানোর নাম করে রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের তিনটে জিনিসকে আলাদা আলাদা করে হাতে ধরিয়ে দিয়েছে, ফলে আমরা স্বাধীনতার নাম করে কার্যতঃ পরাধীন নাগরিক হিসেবেই বেঁচে আছি। ক্ষেতু বাগদির সংলাপটি আজও প্রাসঙ্গিক এবং আগামীদিনেও অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার নয়।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন