এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ত্বমসি মম জীবনম্

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ আগস্ট ২০২২ | ৬৩৫ বার পঠিত
  • তুমিই আমার জীবন, তুমিই আমার জীবনের আরাধ্য, তোমাতেই আমার সব, আমার কোনো অস্তিত্ব নেই তুমি ছাড়া, আমার অস্তিত্বের প্রতিটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ তোমারই, আবার আমিই তোমার অংশ। আমিই তুমি আবার তুমিই আমি। আরাধ্য বা ঈশ্বরের সাথে আরাধ্যকারী বা মনুষ্যরূপী তুচ্ছ জীবের এ এক আত্মিক সম্পর্ক, ভাবজগতের লীলা। আমি কেউ নই, তুমি ছাড়া আমার অস্তিত্ব নেই এই জগতে, আবার আমাতেই তোমার অধিষ্ঠান। ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, সংসাররূপী যে জগতের মধ্যে দিয়ে আমাদের মতো লোভী, পাপী, কামনা-বাসনার পাঁকে ডুবে থাকা মানুষদের মনুষ্যজীবন কাটাতে হয়, তা থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ দেখাতে গিয়ে ভক্তজনদের বলেছিলেন, "ত্বমসি মম জীবনম্"। আমাতেই মহাশূন্য আবার মহাশূন্যতেই আমি বিলীন। ঈশ্বরকে আমরা মূলতঃ দুইভাবে ভাবি, সাকার আর নিরাকার। তিনিই সাকাররূপে আমার আরাধ্য আবার তিনিই মহাশূন্য, নিরাকার। আরাধ্য ছাড়া আমার একক অস্তিত্ব কোথায়? তিনিই আমার মধ্যে বিরাজমান, তাই আমার অস্তিত্ব আছে এই জগৎ সংসারে। আবার আমি ছাড়া আরাধ্যেরও অস্তিত্ব নেই, আমার মতো শতকোটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবের সমন্বয়েই তিনি। আরাধ্যে বিলীন হওয়াই আমাদের এই জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য। অর্থাৎ, জীবন থেকে আমিত্ব ত্যাগ করতে হবে, শ্রীশ্রী ঠাকুরের বানীর মূল কথা এটাই। এই জগৎসংসারের কোনোকিছুই আমার নয় বা কোনোকিছুতেই আমি নেই। সবকিছুই আরাধ্যের বা ঈশ্বরের, এমনকি আমিও তাঁরই, তিনি বিনে আমার অস্তিত্ব নেই। 

    ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব আর একবার বলেছিলেন, সংসারে পাঁকাল মাছ হয়ে থাকতে হয়। পাঁকের মধ্যে থাকলেও গায়ে পাঁক লাগবে না আর মনটি থাকবে ঈশ্বরের চিন্তায় মগ্ন। লোভ, কামনা-বাসনা, পঞ্চ-ইন্দ্রিয়ের যাতনা সবই থাকবে এই মোহময় সংসারে, কিন্তু মনকে রাখতে হবে এইসবের উর্দ্ধে, কিছুই গায়ে লাগানো চলবে না। পাঁকে নিমজ্জিত হয়ে আছি, কিন্তু পাঁকের মধ্যে নেই। মন যে আরাধ্যের চিন্তায় বিভোর। ঠিক যেমন পদ্মফুল, যে কারণে তার অন্যনাম পঙ্কজ। পাঁকের মধ্যে জন্মে কেমন সে মাথা উঁচু করে মহাশূন্যের দিকে চেয়ে আছে, ঈশ্বর চিন্তায় বিভোর হয়ে আছে। সেই কারণেই তার রূপ এত সুন্দর। ঈশ্বরের আরাধনায় তাই, সে ছাড়া গতি নেই। তার রূপে, গন্ধে জগৎ সংসার বিভোর হয়ে আছে। কত কীট পতঙ্গ তার কাছে আশ্রয় পায়, মধু সংগ্রহ করে।

    আমার আমিত্ব যত মনের গভীরে প্রোথিত হবে ততই ঈশ্বর চিন্তা মন থেকে দূরে সরে যাবে, মন পঙ্কিল হয়ে উঠবে। ক্রমশই পাঁকে নিমজ্জিত হতে থাকবে মন। লোভ, পাপ, কামনা-বাসনা, পঞ্চ-ইন্দ্রিয়ের যাতনা আমার আমিত্বকে গ্রাস করবে। মনের সেই পঙ্কিল স্তরে কখনই পঙ্কজের বিকশিত হওয়া সম্ভব নয়। এই জগৎ সংসারে সপ্তবর্ণের মতোই কামিনী-কাঞ্চনের বহুরূপ বিদ্যমান। আমরা সেই রূপের মোহেই মোহগ্রস্ত হয়ে থাকি জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি। ঈশ্বর চিন্তা বা আরাধনার চেয়ে কামিনী-কাঞ্চনের আরাধনা শ্রেয় বলেই মনে হয় আমাদের। ব্রহ্মাণ্ডের রহস্যের চেয়ে কামিনী-কাঞ্চনের রহস্যময়তা অনেক বেশী আকর্ষণ করে। সেই আকর্ষনেই সারা জীবন আবর্তিত হতে থাকে। কামিনী-কাঞ্চনই তখন একমাত্র আরাধ্য এবং সেই আরাধ্যে বিলীন হওয়াই জীবনের মোক্ষ বা উদ্দেশ্য হয়ে পড়ে। ব্রহ্মাণ্ডের মহাশূন্য বা সাকার বা নিরাকাররূপী ঈশ্বর সবই তখন সাদা রঙের মতো দেখায়, কামিনী-কাঞ্চনের সপ্তবর্ণের ছটায় যা নিতান্তই ফ্যাকাশে। কালি-পোকাগুলো যেমন দিকবিদিকশূন্য চিত্তে আলো বা আগুনের দিকে ছুটে চলে সামনে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তেমনি আমরাও ছুটে চলি কামিনী-কাঞ্চনের মোহময়ী রূপের, সপ্তবর্ণের ছটায় নিজেদের মৃত্যুকে নিশ্চিত করতে।

    আধ্যাত্মবাদীরা সমাজকে মূলতঃ আস্তিক এবং নাস্তিক এই দুইভাগে ভাগ করেন। তেমনি আবার ভোগবাদী এবং ত্যাগবাদী, এই দুইভাগেও ভাগ করা হয় সমাজকে। ত্যাগবাদীদের আস্তিক হিসেবে দেখা হয়, যা বেশীরভাগটাই সঠিক কিন্তু ভোগবাদীদের নাস্তিক হিসেবে দেখা হলেও এঁদের মধ্যে এক অংশের ধারণা, ভোগের পরেই ত্যাগের আগমন হয়। ভোগ-বিলাসের অন্তিম পর্যায়ে মানুষের মনে ত্যাগের চিন্তা আসে এবং সেই সময় থেকেই মন সমর্পিত হয় ঈশ্বরের চিন্তায়। আমাদের দেশে বিশেষ করে ইসকন মন্দিরগুলোতে সাহেবদের দেখে এই তত্ত্বের উদ্ভব। একটি সাধারণ ধারণা হলো সাহেবরা চূড়ান্ত ভোগবিলাসী। তাদের এইরকম ত্যাগের পৃথিবীতে বিচরণ দেখেই ধারণা করা হয় যে ভোগবিলাসের চূড়ান্ত পর্যায় পেরলে মানুষ ত্যাগী হয়ে যায়। প্রাচীনকালের জমিদারদের কিন্তু ত্যাগী হতে দেখা যায়নি, যদিও তারা চূড়ান্ত ভোগী ছিলেন। তাই ভোগবাদী এবং ত্যাগবাদীদের আস্তিক ও নাস্তিকরূপে বিভাজন করা অতি সরলীকরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। আস্তিক ও নাস্তিক হিসেবে সমাজের বিভাজনটাই সঠিক, এরপরের উপবিভাগগুলো অনেক ক্ষেত্রেই মেলেনা। যাইহোক, যারা নাস্তিক তারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী না হলেও জীবনের অনেক জটিল বা সংকটময় মুহূর্তে তাদেরকেও ঈশ্বর ভজনা করতে দেখা যায়। খুব কম লোকেরই মানসিক বিন্যাস বা গঠন সংকটময় মুহূর্তেও ঈশ্বর ভজনা থেকে বিরত হতে সাহায্য করে। মনের এ এক জটিল বিন্যাস - হয়তো এও ঈশ্বরের এক লীলাখেলা। 

    বিজ্ঞানের সাথে আধাত্মবাদের বিরাগ বলে চিরদিনের। বিজ্ঞান যেহেতু ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুকেই তার নিজস্ব সূত্রে আবিষ্কার করার বা একত্রিত করার চেষ্টা করে, সেইহেতু এইধরণের তত্ব তুলে ধরা হয়। আমরা যারা দুপাতা বিজ্ঞান পড়েছি তারা এইধরণের তত্বের গোড়ায় জল দিয়ে তাকে বিকশিত হতে সাহায্য করি। কিন্তু বিজ্ঞানের কোনো সূত্রকেই তো আমরা আজ অব্দি দেখলাম না সরাসরি আবিষ্কৃত হতে। যে কোনো সূত্রই তো প্রথমে অনুমান (hypothesis) হিসেবে কোনো না কোনো বিজ্ঞানী জগৎ সংসারকে জানান, পরে যা বিজ্ঞানাগারে প্রমাণিত হয়ে সূত্র (law or formula) হিসেবে সংযোজিত হয়। অর্থাৎ বিজ্ঞানীদের চিন্তাশক্তি বা চিন্তাশক্তির স্তর, যা সাধারণ মানুষের থেকে অনেক উন্নততর, এক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘটনাক্রম বা নিরুদ্দিষ্ট ঘটনাক্রমের আগাম সন্ধান পায়, যা বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যায় আরও অনেকদূর। এমনও উদাহরণ বহু আছে যেখানে দেখা গেছে বিজ্ঞানীদের অনুমান হওয়ার পরে গবেষণাগারে প্রমাণিত হতে একশো বছর কেটে গেছে। সুতরাং বিজ্ঞান এগিয়ে না মানুষ বা মানুষের চিন্তাশক্তি বা মন এগিয়ে, তা বোঝা কষ্টকর নয়। আসলে মানুষের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের মধ্যেই বিজ্ঞান সীমাবদ্ধ, কারণ বিজ্ঞান মানুষের সৃষ্টি। এর বাইরে জগৎ নেই এমনটা কোনদিনই নয়। আমরা শুধু সেই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অস্তিত্বটুকুই জানি যা আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য। আমাদের সবকটি ইন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধতা প্রমাণিত। আবার ব্রহ্মাণ্ডের বিশালতাও সবকিছু আবিষ্কার করার পক্ষে এক বিশাল বাধা। যে বাধা অতিক্রম করা মানুষের পক্ষে কোনোদিন সম্ভব নয়। ফলে বিজ্ঞান-আধাত্মবাদ, আস্তিক-নাস্তিক এইরকম বিভাজন এবং বিভাজনজনিত পার্থক্য খুব সূক্ষ্ম সুতোর ওপর ঝুলছে। এদিককার লোক যে কোনো সময়ে ওদিকে চলে যেতে পারে আবার ওদিককার লোক এদিকে।

    সমাজ বিবর্তনের ইতিহাসের দিকে তাকালেও দেখা যায়, মানুষ সমাজবদ্ধ জীবে পরিণত হওয়ার পরে পরেই ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন পৃথিবীতে বিভিন্ন সভ্যতা বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছিল। সেইযুগে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত ছিল বলে এক সভ্যতা থেকে অন্য সভ্যতার জায়গায় যাতায়াত দুস্কর ছিল। পরবর্তীতে যদিও সিন্ধু সভ্যতা বা মিশরীয় সভ্যতার মধ্যে বা এইরকম আরও সভ্যতার মধ্যে যাতায়াত গড়ে উঠেছিল। ধর্মের উৎপত্তি কিন্তু তার আগেই হয়ে গেছে এবং অদ্ভুতভাবে দেখা যায় সবগুলো সভ্যতাতেই প্রায় একই ধরণের ধর্ম গড়ে উঠেছিল। এটা খুবই বিস্ময়ের যে হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত বিভিন্ন সভ্যতায় প্রায় একই ধরণের ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে, নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ না থাকা সত্বেও। পরবর্তীতে সভ্যতার আরও অনেকটা স্তর পেরিয়ে আসার পরে অবশ্য মানুষেরা আরও অনেক ধর্মের সৃষ্টি করেছে। ধর্মের বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে কিন্তু মূল বিষয়গুলো একই থেকে গিয়েছে। খুব সুক্ষভাবে যদি বিভিন্ন ধর্মের মূল বিষয়গুলো দেখা যায় তাহলে দেখা যায় স্থূলরূপে পার্থক্য থাকলেও সব ধর্মের মধ্যে মিলের পরিমানটাই বেশী। এই গ্রহের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা স্বভাবে, গঠনে, চামড়ার রঙে বিভিন্ন হলেও সুক্ষরূপে একই ধর্মের লালন ও পালন করে। সময়ের সাথে সাথে মূল বিষয়ের ওপর অবাঞ্ছিত বা বাঞ্ছিত অনেক স্তর পড়েছে তাই বহিরাঙ্গের অনেক অমিল পরিলক্ষিত হয় মাত্র।

    প্রত্যেক ধর্মেই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, সংহারকর্তা একজনই। বিভিন্ন ধর্মে তাঁর বিভিন্ন নাম। একমেব অদ্বিতীয়ম্ ব্রহ্ম, ধারণা একটাই কিন্তু ধর্মের সাথে সাথে নাম ও ঘটনাক্রম পাল্টে পাল্টে যায়। একমাত্র ব্রহ্মই সত্য। সৎ, চিৎ ও আনন্দময়। বাকি জগতের সকল কিছু মায়া, ভিত্তিহীন। এই সৃষ্টির সকল কিছু এক ও অদ্বিতীয় ব্রহ্মের মায়াশক্তিতে নির্মিত, যা নশ্বর। একসময় যা কালের অন্তরালে হারিয়ে যাবে। তাই জগৎকে মিথ্যা মায়া বলা হয়েছে। কিন্তু ব্রহ্ম একমাত্র সৎ ও নির্বিকার (বিকারহীন) বস্তু, শাশ্বত, চিরবিরাজমান। ব্রহ্মের উপর কালের কোনো প্রভাব নেই। জীবনের উদ্দেশ্যই এই সদ ব্রহ্মে মিশে যাওয়া। অদ্বৈতবাদীরা তাই বলেন ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। আবার এই মতবাদের সরলীকরণ করেই ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরোমহংসদেব বলেছিলেন, "যত মত, তত পথ"। পথ যেমন অনেক তেমনি মতও অনেক কিন্তু সব পথের শেষ একটাই, সেই একমেব অদ্বিতীয়ম্ ব্রহ্ম। ঐহিকে (ইহলোকে) লোক ভিন্ন ভিন্ন, অন্তিমে সব একাঙ্গি। সরল সত্য একটাই, অন্তিম লক্ষ্য আরাধ্যে বিলীন হওয়া। একটি ক্ষুদ্র অংশের সম্পূর্ণতা প্রাপ্ত হওয়া, সম্পূর্ণে মিলে যাওয়া। তখন আমিই মহাশূন্য, আবার আমাতেই মহাশূন্য। পূজারী এবং পূজিত মিলেমিশে একাকার। সুতরাং আমিত্বের স্থান কোথায়? কবি জয়দেব তাঁর গীতগোবিন্দ কাব্যে লিখেছেন, ত্বমসি মম ভূষনং, ত্বমসি মম জীবনং, ত্বমসি মম ভবজলধিরত্ন ম্। অর্থাৎ তুমিই আমার ভূষণ, তুমিই আমার জীবন, এই  জীবনসমুদ্রে তুমিই আমার রত্ন। প্রেমিকার কাছে প্রেমিকের এক চূড়ান্ত আত্মসমর্পণের উদাহরণ এটি। তুমিই আমার সবকিছু, আমার আলাদা কোনো অস্তিত্ব নেই। আমার চোখে জগৎসংসার শুধুই তুমিময়, সেখানে অন্যকিছুর স্থান নেই। আমার আমিত্বকে তোমার চরণে নিবেদন করে দিয়েছি। পূজারীর দেহে তখন কোনো আমিত্ব বলে কিছুই নেই, পূজারীর দেহ-মন তখন পুজিতময়, আলাদা কোনো অস্তিত্বই নেই। তাইতো প্রেমের ঠাকুর আরাধ্যের কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণের কথা ভক্তদের বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছিলেন, ত্বমসি মম জীবনম্।p
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন