এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শতাব্দীব্যাপী প্রহসন

    প্যালারাম লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ আগস্ট ২০২২ | ১৪৪৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)

  • দিন ফুরোয়, আঁধার বাড়ে। খবর, অঙ্ক, চুটকি, মিম পেরিয়ে মন চলে যায় প্রহসনের দিকে। শতাব্দীব্যাপী প্রহসন।

    ১)
    ১৯২৭-এর মার্চ মাস। কিছুকাল আগে সরকার ঘোষণা করেছে, হিন্দুদের মধ্যে জাতের নামে যতই বজ্জাতি থাকুক না কেন, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান, ইমারত বা পরিষেবায়, বাকি সকলের মত, অচ্ছুৎদেরও অধিকার আছে। মহারাষ্ট্রের (তৎকালীন বম্বে প্রভিন্স) মাহাড়-এর পৌরসভা সে নীতি বলবৎ করার জন্যে স্থানীয় পানীয় জলের ট্যাঙ্কটি ব্যবহার করতে অচ্ছুৎজাতির মানুষদের উৎসাহ দেয়, কিন্তু বর্ণহিন্দুদের বিরোধিতায় তা আর বাস্তবায়িত হয় না।

    এমতাবস্থায়, পানীয় জলের ওপর দলিতদের অধিকার কতটা স্বাভাবিক — তা স্থানীয় মানুষকে বোঝাতে বম্বে হাইকোর্টের আইনজীবী আম্বেদকর সত্যাগ্রহ করেন। ২০ তারিখ, রীতিমত সবাইকে জানান দিয়ে তিনি সেই ট্যাঙ্ক থেকে জল পান করেন, অসংখ্য অচ্ছুৎও তা-ই করে।
    সঙ্গের বক্তৃতায় আম্বেদকর তীব্রভাবে মনুস্মৃতির বিরোধিতা করেন; বলেন, দীর্ঘদিনব্যাপী দলিত নারীদের আলাদারকমভাবে শাড়ি পরিয়ে ‘আলাদা’ করে রাখার যে প্রথা এতদিন ধরে চলে আসছে, তা বন্ধ করতে মেয়েদের ঠিক ‘উচ্চবংশের’ মেয়েদের মত করেই শাড়ি পরতে হবে। দলিত মেয়েরা এইসময় থেকেই খাটো করে শাড়ি পরা বন্ধ করেন।

    ঢি-ঢি পড়ে যায় — “অচ্ছুৎরা জল খেয়ে জল নোংরা করেছে”। ব্রাহ্মণদের বিধান অনুসারে সেই ‘নোংরা’ জলকে পরিষ্কার করতে কী করা হয়? ১০৮ ঘড়া গোবর ও গোমূত্রের মিশ্রণ সেই জলে ঢালা হয়। স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ে — “জল এবার পবিত্র”।[1]

    আম্বেদকর আবার সত্যাগ্রহ করার পরিকল্পনা করেন, এবার ২৬-২৭ ডিসেম্বর। কিন্তু বর্ণহিন্দুরা কোর্টে কেস ঠোকে – ‘ট্যাঙ্ক ব্যক্তিগত সম্পত্তি, সেখানে সত্যাগ্রহ চলতে পারে না’। কেসের নিষ্পত্তির আগে কিছু করা সম্ভব না, অতএব, সত্যাগ্রহের বদলে, ২৫ তারিখ তাঁর নেতৃত্বে ‘মনুস্মৃতি’ পোড়ানো হয়। আজও দিনটি ‘মনুস্মৃতি দহন দিন’ নামে পালিত হয় এ দেশের দলিত সম্প্রদায়ের মধ্যে।[2]

    লাভ হয়েছিল কি? হ্যাঁ, হয়েছিল। দশ বছর সময় লেগেছিল, কিন্তু ১৯৩৭-এ বম্বে হাইকোর্ট অচ্ছুৎদের ট্যাঙ্ক থেকে জল খাওয়ার অধিকার মেনে নেয়।

    ২)
    ১৯৪৯ সাল। সদ্যস্বাধীন ভারতবর্ষের আইনমন্ত্রী আম্বেদকর সবে শিশু ভারতের প্রথম সংবিধানের অন্তিম খসড়াটি গণপরিষদে জমা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মুখপত্র, ‘The Organiser’-এর ৩০ নভেম্বর সংখ্যার সম্পাদকীয়তে লেখা হল, “ভারতের নতুন সংবিধানের সবচেয়ে খারাপ দিকটি হল, এতে ‘ভারতীয়’ বলে কিছুই নেই। প্রাচীন ভারতের সাংবিধানিক আইন, প্রতিষ্ঠান, নামধাম, রীতিনীতি — এসবের চিহ্নমাত্র এতে নেই।” লেখা হল, “মনুস্মৃতি — যা কিনা স্পার্টার লাইকারগাস বা পারস্যের সোলনের থেকেও পুরোনো — আজও সারা পৃথিবীর প্রশংসা আর ভারতীয় হিন্দুদের স্বতঃস্ফূর্ত বাধ্যতা ও মান্যতার উৎসারের কারণ, অথচ, আমাদের (তথাকথিত) সাংবিধানিক পণ্ডিতদের কাছে তা তুচ্ছ!”

    সঙ্ঘের তৎকালীন চালক গোলওয়ালকর তাঁর বক্তৃতায় বলেন, হতেই পারে নিচুজাতের মধ্যে ডিভোর্স-টিভোর্স হয়, কিন্তু তা বলে গোটা ভারতের লোককে তা মানানো সম্ভব নয়। বিয়েশাদির মত ব্যাপারে ভারতে কখনোই বিলেতি মডেল চলতে পারে না - ইত্যাদি। ওই অর্গানাইজারেরই একটি প্রবন্ধে হিন্দু কোড বিল-কে বলা হয়, ‘হিন্দুদের বিশ্বাস, ধর্ম ও সংস্কৃতির ওপর সরাসরি আক্রমণ’। বলা হয়, “... কিছু বিধবা, বিপত্নীক পুরুষ, সন্তানহীনা নারী আর বুড়ো-বর মিলে, আমাদের প্রাচীন নিয়মগুলিকে আলগা করে, কিছু মানুষের ফুর্তির ব্যবস্থা করতে উঠেপড়ে লেগেছে...”

    নতুন বিল-এ মেয়েরা নিজেদের স্বামী পছন্দ করতে পারবে, ডিভোর্স করতে পারবে, এমনকি পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকারও পাবে — এমন অনাচার আরএসএস সহ্য করতে পারেনি। শুরু হয় শয়ে শয়ে ধর্না, হরতাল, মিছিল — (মনুস্মৃতি সম্মত) পিতৃতন্ত্র রক্ষার্থে আর বিলের বিরোধিতায় — গুচ্ছের সাধু আর সন্তের বদান্যতায়। মাসের পর মাস চলে এই আক্রমণ।[3]

    ৩)
    সেই পুরোনো লোক, আম্বেদকর। সেই পুরোনো দল, আরএসএস।
    নতুন সাল, ২০১৬। নতুন মতামত — ‘মেলাবেন, তিনি মেলাবেন’।
    ২০১৬-র এপ্রিলে সে-ই অর্গানাইজার-এরই সংখ্যায় প্রচ্ছদ হল — “Ultimate Unifier”। সঙ্গে ছবি — না, মৈত্রেয় বুদ্ধের নয় — আম্বেদকরের। স্তুতির বন্যা বয়ে গেল। ‘গোটা দেশকে জুড়ে রাখার ফেভিকল তিনি সাপ্লাই করেছেন’ থেকে শুরু করে, ‘ব্রাহ্ম-প্রার্থনা-আর্য – সমস্ত সমাজের ভাল ব্যাপারগুলোই তাঁর চিন্তাধারায় বর্তমান’ হয়ে, ‘মোটেই তিনি ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে ছিলেন না, ব্রাহ্মণ্যবাদের শ্রেণীবিভাগের বিরোধী ছিলেন’ পর্যন্ত।

    হবেই। এর বছরখানেক আগেই, গোলওয়ালকরের উত্তরসূরী, বর্তমান স্বয়ংসেবক-প্রধান, মোহন ভাগবত বলেছেন, যে আম্বেদকর সঙ্ঘের আদর্শেই বিশ্বাসী ছিলেন। শুধু তা-ই নয়, সঙ্ঘের গেরুয়া (ভগোয়া) রঙের পতাকাটিকেই তাঁর দেশের জাতীয় পতাকা করার ইচ্ছে ছিল, আর সংস্কৃতকে জাতীয় ভাষা। এ সমস্তই তিনি নাকি সঙ্ঘী দত্তোপন্ত বাপুরাও থেঙ্গাডি-কে বলেছিলেন।[4]

    তা, হয়তো বলেছিলেন, হয়তো বলেননি। কে জানে? আমরা শুধু জানি, মনুস্মৃতি পোড়ানো আম্বেদকর, মুসলিম বাঙালি-প্রেমী (১৯৫০-এর সঙ্ঘের বক্তব্য অনুযায়ী)  আম্বেদকর, এই নতুন শতাব্দীতে নতুন রূপে দেখা দিয়েছেন।

    এই শতকে আম্বেদকর যে কেবল ভাগবত-মোহন হয়ে উঠেছেন তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল বিজেপি-চোখের মণি হয়ে উঠেছেন। এতই, যে গোটাগুটি বই বেরিয়ে গেছে এঁদের নিয়ে।[5] ভূমিকায় দক্ষিণী সঙ্গীত পরিচালক ইলিয়ারাজা সরাসরি তুলনাই করে বসেছেন মোদির সঙ্গে আম্বেদকরের।[6]

    ৪)
    এইখানে আমরা একটু পিছিয়ে গিয়ে দেখতে পারতাম ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় কী হয়েছিল, ২১ বছরের বিলকিস বানো কে ছিলেন, কীভাবে তাঁর দলধর্ষণ[7] হয়েছিল, কীভাবে এবং কোন হিন্দু ইতরেরা তাঁর পরিবারের ১৪ জনকে খুন করে তাঁর চোখের সামনে, কতদিন লাগে তাঁর বিচার পেতে, কতজন শাস্তি পায় এই নারকীয় অপরাধের, আর কতজন প্রমাণাভাবে খালাস পায়।
    এসব আমরা বিস্তারিত দেখতেই পারতাম,  কিন্তু সে গল্প আজকের নয়, তার জন্যে অন্য জায়গা আছে।[8]

    আমরা বরং এগিয়ে আসি কয়েকবছর, এই চলতি সময়ে।
    সাল ২০২২। বিলকিস বানোর ১১ জন ধর্ষককে গুজরাত সরকার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে মুক্তি দেয়। অনেক ছিঁচকে চোরও মুক্তি-টুক্তি পায়নি কিন্তু। মুক্তির সপক্ষে গুজরাত সরকার কিছু যুক্তি-জাতীয় দেখানোর চেষ্টা করেছে - যুক্তির বদলে সেগুলির সঙ্গে বেদো-বাচ্চার ফালতু অজুহাতের মিল বেশি। তারও খতিয়ানে আমরা যাবো না।

    কোন মধ্যযুগে পড়ে থাকা দেশে এই ধর্ষকদের জেল থেকে বেরোনোর পর এক রাজনৈতিক দলের তত্ত্বাবধানে ফুল-মিষ্টি দিয়ে হৈ হৈ করে বরণ করা হয় - সে উত্তেজক আলোচনাতেও আমরা যাবো না।

    আসল ক্ষীর-খবর হল – এই মুক্তির সিদ্ধান্ত যে প্যানেলটি নিয়েছে, তার একজন - গোধরার বিজেপি এমএলএ সি কে রাউলজি, ক্যামেরার সামনে, নিজের ও প্যানেলের সিদ্ধান্তের সপক্ষে বলেছেন, “ওরা ব্রাহ্মণ, ভাল সংস্কার আছে ওদের। জেলে ওদের ব্যবহার খুব ভাল।”[9]

    পরদিন তিনি আবার সে কথা ঘুরিয়ে বলেছেন, ধর্ষকের কোনো জাত নেই।[10]
    ১১ জন মুক্তিপ্রাপ্তর মধ্যে মাত্র ৩ জন ব্রাহ্মণ ছিলেন।[11] সে কথা ওঁকে কেউ বলে দেয়নি। উনি শুধুই, ‘আধুনিক আম্বেদকর’-এর পার্টির সদস্য হিসেবে, সেই প্যানেলে বসে, লোকগুলির ‘ব্রাহ্মণত্ব’ নিয়ে নিশ্চিত হয়ে তাদের মুক্তির সুপারিশ করেছিলেন। কে জানে, নারীধর্ষণ করলে, মুসলিম মারলেই তাঁর চোখে ‘জাতে ওঠা’ যায় কিনা?

    আম্বেদকরের রসবোধ কেমন ছিল জানি না, তবে যারপরনাই সিরিয়াস মানুষ হলেও, এ প্রহসনে তিনিও না হেসে পারতেন না মনে হয়।




    [1] উইকি লিঙ্ক
    [2] উইকি লিঙ্ক
    [3] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের লিঙ্ক
    [4] ইন্ডিয়া টুডে-র লিঙ্ক
    [5] গুগল বুকস
    [6] দ্য প্রিন্টের লিঙ্ক
    [7] গুরু-র লিঙ্ক (কেন ‘গণধর্ষণ’ নয়)
    [8] দ্য হিন্দু-র লিঙ্ক
    [9] স্ক্রোল-ডট-ইন-এর লিঙ্ক। সেখানে ভিডিও-টিও আছে।
    [10] দ্য প্রিন্ট-এর লিঙ্ক
    [11] দ্য প্রিন্ট-এর লিঙ্ক


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ আগস্ট ২০২২ | ১৪৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৪ আগস্ট ২০২২ ২০:২৫511321
  • একগাদা হাবিজাবি লেখার ভীড়ে এই লেখাটা চোখ এড়িয়ে গেসল। খুবই ভাল লাগল, বিশেষ করে রেফারেন্সিংটা চমৎকার। 
     
     
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ আগস্ট ২০২২ ০৫:৪৫511328
  • ""৪)
    এইখানে আমরা একটু পিছিয়ে গিয়ে দেখতে পারতাম ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় কী হয়েছিল, ২১ বছরের বিলকিস বানো কে ছিলেন, কীভাবে তাঁর দলধর্ষণ[7] হয়েছিল, কীভাবে এবং কোন হিন্দু ইতরেরা তাঁর পরিবারের ১৪ জনকে খুন করে তাঁর চোখের সামনে, কতদিন লাগে তাঁর বিচার পেতে, কতজন শাস্তি পায় এই নারকীয় অপরাধের, আর কতজন প্রমাণাভাবে খালাস পায়।""
     
    - একদম সত্যি কথা। যারা বিলকিস বানোর কেসে ছাড়া পেলো তারা জানোয়ার এরও অধম। যারা ওদেরকে সংবর্ধনা দিচ্ছে তারাও একই রকমের দাঙ্গাবাজ। 
     
    কিন্তু একটা প্রশ্ন হলো উল্টোদিকে যখন কাশ্মীরে ইমিগ্র্যান্ট লেবার দের খুন করা হয় বা পাশেই বাংলাদেশে মাইনরিটি দের ওপর মেজরিটি দাঙ্গাবাজদের হামলা হয় -তখন ব্যালান্স রেখে তাদের কেও একই  ভাষায় " মুসলিম ইতর " বলা হয়  কি ? নাকি তখন আবার দাবি ওঠে "সন্ত্রাসবাদীদের কোনো ধর্ম হয়না"-? 
  • প্যালারাম | ২৫ আগস্ট ২০২২ ০৭:১৭511330
  • @Amit, ইয়াইক্স! কী 'বলা হয়', তা তো আমার জানা নেই!
     আমি যা জানি, তা এরকম-
    ইতর ইতর হয় প্রবৃত্তির দোষে। অতএব, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ — সর্বপ্রকার ধর্মাবলম্বীই (বিশেষ করে, সেই ধর্মপরিচয় যদি জন্মসূত্রে অর্জিত হয়) ইতর হতে পারে।
     
    এবার, প্রশ্ন হল, তাকে শুধু ইতর বলবো, নাকি কোনো আইডেনটিটি লাগাবো তার সামনে — এই তো? যদি ইতরামোর অজুহাতে সে তার আইডেনটিটি ব্যবহার করে, তবে তাকে বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করবো — এমনটাই আমার ব্যক্তিগত মত।
    যেমন, ক্লাসের লম্বা ছেলে বেঁটের ওপর বুলিয়িং চালালে, তাকে 'লম্বা ইতর', নূপুর শর্মার পোস্ট শেয়ার করায় উদয়পুরের ব্যবসায়ীকে যারা মেরেছিল, তারা মুসলিম ইতর, অভিজিৎ রায়কে যারা কোপায় তারা ধার্মিক ইতর — এইরকম আর কি...
     
    কিন্তু সেসব তো আপনি জানেন। এই গোটা লেখায়, বিষয়বস্তুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না থাকা সত্ত্বেও, ওই একটি শব্দ তুলে এনে যখন প্রশ্ন করছেন ''What about this?", তখন এ আপনার খুবই পরিচিত টপিক মনে হয়। 
    যাক, আরও একটু জল ঘোলা করি, wink
    সন্ত্রাসবাদীদের ধর্ম হয় না ঠিকই,
    কিন্তু তারা কি সে কথা জানে?
  • আহা গো | 2405:8100:8000:5ca1::a1:439d | ২৫ আগস্ট ২০২২ ০৭:২২511331
  • অমিতচাড্ডির খুব গায়ে লেগেছে! এইবার লাইন দিয়ে আসবে সৌদিতে কাতারে কুয়েতে অমিতচাড্ডি কতকত &হর্মান্ধ দেখেছে তাই অমিতচাড্ডি ঘোরচাড্ডি হয়ে গেছে।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ আগস্ট ২০২২ ০৭:৪১511332
  • এটা তো বড্ডো ক্লিশে উত্তর হয়ে গেলো। সোজা প্রশ্নের সোজা উত্তর দিতে না পারলে তখনই ক্ষোভ ওঠে কেন বিষয়বস্তুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না থাকা সত্ত্বেও, ওই একটি শব্দ তুলে এনে কোশ্নো করা হচ্ছে ? 
     
    মুশকিল হলো আমারও যে সেটাই  মনে হলো। বিষয়বস্তুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না থাকা সত্ত্বেও, ওই একটি শব্দ ব্যবহার করার দরকার টা কোথায় ছিল ইন দা ফার্স্ট প্লেস ? 
     
    উত্তর টা ​​​​​​​প্যালা ​​​​​​​বাবুকেই ​​​​​​​ছিল। ​​​​​​​এসব উটকো নিনছি​​​​​​​ছা গুলোকে ​​​​​​​পোকামাকড়ের ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​বেশি ​​​​​​​ইম্পর্টেন্স ​​​​​​​কোনোকালেই ​​​​​​​দিইনা। ​​​​​​​
     
    :) :) 
  • dc | 2401:4900:1cd1:f7cf:ed29:10fe:f816:423 | ২৫ আগস্ট ২০২২ ০৮:০১511333
  • লেখাটার জন্য প্যালারামবাবু কে ধন্যবাদ। এখন মনে হচ্ছে এরকম অল্প অল্প একটু ইতিহাস আমারও জেনে রাখা উচিত, কারুর সাথে তর্ক করার সময় অন্তত বলতে তো পারবো! 
  • Abhyu | 97.81.101.181 | ২৫ আগস্ট ২০২২ ১১:১০511334
  • ভালো লেখা। মিস করেই যেতাম, যদি না ট্যান ০৭ঃ২২এর পোস্টটা নিয়ে ভাটে অনুযোগ করত! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন