এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  মনে রবে

  • যে আগুন নির্বাপিত হবে না কখনো: প্রবুদ্ধসুন্দর

    সত্যজিৎ দত্ত
    পড়াবই | মনে রবে | ০৮ আগস্ট ২০২২ | ১৪০৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)

  • “সিংহ রাশি বৃষ লগ্ন, শুক্রের জাতক
    নক্ষত্র মঘার বশ, মূষিক পাতক।

    চরিত্র কূহকময়, স্বভাবে শামুক
    মূলত রহস্যপ্রিয়, গেরিলা কামুক।

    কবি নই, বাকধূর্ত; স্বেচ্ছাশবাসীন
    চলন তানপ্রধান, পর্বসাম্যহীন।”


    প্রবুদ্ধসুন্দর কর। বাংলা কবিতার ক্ষণজন্মা এই কবিতাপুরুষকে নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি লিখতে হবে, ভাবনায় আসেনি। অথচ এই কাজটাই করতে হচ্ছে কঠিন সত্যকে মেনে নিয়ে। প্রবুদ্ধসুন্দর ও তাঁর কবিতা নিয়ে চর্চার অবকাশটুকু প্রবুদ্ধসুন্দর নিজেই কিছুটা সহজ সমীকরণে নির্ণয় করে গেছেন। উপরে উদ্ধৃত ‘বায়ডাটা’ শিরোনামে কবিতা থেকে তাঁকে চিহ্নিত করতে পারবেন একজন কবিতা পাঠক। ‘সংকর’ জাত প্রবুদ্ধসুন্দর তাই অবলীলায় লিখতে পারে, ‘বাবা বেগবান অশ্ব/ মা, উদ্ভট সংসারের ভারবাহী গাধা/ আমি খচ্চর, বাংলা কবিতা লিখি।’

    প্রবুদ্ধসুন্দরের অকাল প্রয়াণের পর এই যে আমি লিখতে বসেছি, এও বুঝি এক ‘পরচর্চা’। পরিজন, অসংখ্য স্বজন, সুজনকে শোকে নিমজ্জিত রেখে কবি চলে গেলেন অনন্তের পথে। তাঁর কলম এসব টের পেয়ে গিয়েছিল আগেই। তাই দেখতে পাচ্ছি তাঁর অমোঘ উচ্চারণ, ‘যার ঘর পোড়ে, আমাদের পরচর্চা/ তাঁকে গোরু বলে ডাকে।/বারবার পুড়ে লেলিহ সিঁদুরে/ তার এই গোরুজন্ম সার্থকতা পায়। ‘কবিতার ছলে তাঁকে আমরা ‘তালিকা’ লিখতে দেখেছি চাতুরীতে ভরা মানুষের মুখ ও মুখোশের। ‘ফটোগ্রাফার আমাদের হাসি চেয়েছিল/ বিমা-কোম্পানির দালাল, আমাদেরই তেলে/ আমাদের ভেজে ফেলতে চেয়েছিল/ মুখ্যমন্ত্রীরা চেয়েছিল ম্যান্ড্রেক হয়ে উঠতে।/ ফটোগ্রাফার, দালাল আর মুখ্যমন্ত্রীর ভীড়ে/ তুমি ভাড়াবাড়ির জানালায়/ নতুন পর্দা টাঙাতে চেয়েছিলে।/ আর, আমি, কারা কারা কী কী চেয়েছিল/ এ নিয়ে একটি দীর্ঘ তালিকা তৈরি করতে চেয়েছিলাম।’

    শুধু কবি নয়, প্রবুদ্ধসুন্দর অগণিতের মানুষ বন্ধু হতে পেরেছিল। হতে পেরেছিল নবীনের কলমে বসন্তের হাওয়া বাতাস হতে। আর সেইসব টের পেতো তাঁর সাদা পৃষ্ঠা। সেখানে লেখা হতো, ‘অনাব্য নদীর চিঠি আসে দূর মহকুমা থেকে/ সেই চিঠি জুড়ে থাকে স্রোতকাতরতা।’ বড় বেশি দূর অবধি দেখতে পারত তাঁর মন। দেখত বলেই, ‘কবিজন্ম’ শিরোনামে প্রবুদ্ধসুন্দর লিখে গেছে অসাধারণ পঙক্তিমালা। ‘ধরা যাক, বেশ কটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হল/ ক্রমে ক্রমে নির্বাচিত, শ্রেষ্ঠ কবিতা/ শেষে, কবিতাসমগ্র।/ এক দুটো পুরস্কার, সম্বর্ধনাসহ। / বলুন মিলনকান্তি, আমাদের কবিজন্ম তবে/ এ নালেই যাবে?’

    প্রবুদ্ধসুন্দর কর সম্পর্কে সম্প্রতি কবি মিলনকান্তি দত্ত লিখেছেন, “… বন্ধুতা প্রিয় ছিল, শত্রুতাকাঙ্ক্ষীও ছিল। ইংরেজি সাহিত্যের অন্তেবাসী। কিন্তু, বিশ্বসাহিত্য, ছন্দবেদ, চিত্রকলা, সঙ্গীত, ধর্ম ভাবনা, রাজনীতি, সংস্কৃত ধ্রুপদী সাহিত্য, বানান চর্চা বিচিত্রবিধ বিষয়ে পড়াশোনা ছিল। বোদ্ধা ছিল। উচ্চ মেধা। প্রখর স্মৃতিশক্তি। তবু সে ছিল ভ্রষ্ট আদম। স্বর্গ চ্যুত। অথচ মর্ত্য বিষয়ে চরম প্যাশনেট। ইন্দ্রজাল কমিক্স, মায়া-তাঁত, নৈশ শিস, যক্ষের প্রতি-ভূমিকা, এসিড-বাল্ব তাঁর ইত্যাকার কাব্য নামেই সপ্রমাণ রহস্যসত্তার আত্মঘাত। জীবনানন্দ বাংলা কবিতার ভবিষ্যৎ বিষয়ে মনে করতেন, একসময় ‘শ্লেষে লিখিত মহাকবিতা আসতে পারে’__ প্রবুদ্ধর কবিতা ছিল শ্লেষের এপিক। শ্লেষ এমনকি নিজের সম্পর্কেও। নাগরিক কবি সমর সেনের সঙ্গে একটা জায়গায় মিল আছে, কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসে নয়। তিনিই অগ্রজ, যিনি অনুজের মুখে হেডলাইন এবং তিনিই বিভাবসু, যিনি অগ্রজের ঈর্ষায় স্মিত। প্রবুদ্ধকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। নিন্দায় হোক, নন্দনায় হোক। অন্তত সেইসব তরুণের ক্ষেত্রে, যাদের কাছে সে ছিল কবিতার এক্রোপলিস! …”

    ব্যক্তিগতভাবে প্রবুদ্ধসুন্দরের সাথে আমার নৈকট্যের বয়স ত্রিশ পেরিয়েছে আগেই। প্রবুদ্ধসুন্দর আমার কাছে তাই ভালোবাসার অক্ষরে মোড়া পনেরো পয়সার পোস্টকার্ডমাত্র নয়। তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু।

    ‘ছোটেলাল কবিতা পাঠা।’
    ‘কী সব রাবিশ লিখছিস!’
    ‘মনিকা তোতা ভোঁতাকে নিয়ে ভালো থাকিস।’

    এইসব নৈকট্যের মাঝে বন্ধু আমার, একদিন দূরে চলে গিয়েছিল জীবদ্দশায়। আজ আরও অনেক দূরে। ধরাছোঁয়ার বাইরে। ‘বন্ধুকে’ তাই বুঝি লিখে গিয়েছে, ‘পোস্টারিটি ম্যানিফেস্টোমাত্র/ মূলত তুমিও সখা কোলাহল প্রিয়…’।

    অস্ত্র বলতে কেবল বৃক্কের কথাই ভেবেছিল বন্ধু আমার । বলেছিল, ‘বৃক্ক সচল রাখুন/ ভুলে যাবেন না, অনেক কিছুর উপরই পেচ্ছাব করে যেতে হবে আমাদের।' অথচ অগ্ন্যাশয়ের আগুনে পুড়ে গেল ফিনিক্স পাখি!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ০৮ আগস্ট ২০২২ | ১৪০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শক্তি | 2405:201:8005:900c:d586:854c:33ee:cea | ০৮ আগস্ট ২০২২ ১৫:২৮510874
  • ব‍্যক্তি এবং কবি প্রবুদ্ধসুন্দরকে আমি খুব  বেশি জানিনা। অল্প কয়েকটি কবিতা মাত্র পড়েছি।সত‍্যজিত দত্ত তাঁর সমসাময়িক  কবিকে খুব কাছে থেকে জানার সুযোগ পেয়েছেন।অহংকারী এই একলা এই ক্ষমতাধর কবি পাঠক এবং এই সমাজকে আঘাতে আঘাতে আহত করেও কবিতাকে অনাহত সম্মান দিয়েছেন বলে ত্রিপুরার কবিতা নিয়ে আলোচনায় তিনি প্রাসঙ্গিক থাকবেনই।দীর্ঘজীবন হয়তো তাঁর প্রতিভার বিশদ পরিচয় দিতো,দুর্ভাগ‍্যবশত তা হতে পারলোনা
  • santosh banerjee | ০৮ আগস্ট ২০২২ ১৮:০৮510875
  • এই লোকগুলো ক্রমশঃ চলে যাচ্ছে।শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে কবিতার বাগানটা। খরা গ্রস্ত এই সময়ে এনাদের তো বেশি দরকার ছিল , তাই না ? আমাদের অমিতাভ বচ্চন, শারুখ খান, মোদী বা মমতা ..... এদের তো দরকার নেই।তবু হৃদয় শূণ্য করে দিয়ে চলে যায় এই অসাধারণ কবিতা। বেঁচে থাকি আমরা , কিছু ডাস্টবিনের ময়লা!! 
  • r2h | 165.1.172.196 | ০৮ আগস্ট ২০২২ ২১:৩৬510882
  • যাব্বাবা, শারুক্খান অমিতাভ বচ্চন কী দোষ করলেন আবার?

    কবি সত্যজিত দত্ত'র লেখা এখানে দেখে ভালো লাগলো। অপ্রার্থিত পরিস্থিতিতে যদিও, কারন "বাংলা কবিতার ক্ষণজন্মা এই কবিতাপুরুষকে নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি লিখতে হবে, ভাবনায় আসেনি।"

    চিরশ্রীর লেখাটিও ভালো লেগেছে, গুরুচণ্ডা৯কে ধন্যবাদ এই লেখাগুলির জন্যে। মলয়বাবু চিরশ্রীর লেখায় মন্তব্য করেছেন পবঙ্গের স্থানিক বৃত্তের বাইরের কবি (লেখক শিল্পী সবই) -দের নিয়ে অমনোযোগ বিষয়ে। কবির মূল্যায়ন হলো না বা কবি স্বীকৃতি পেলেন না, এইসব কথা কতদূর যৌক্তিক সেটা মাঝে মাঝে ভাবি, নিকটজনেরা, সমসময়ের সমমানসিকতার, নিকট কবি পাঠকেরা ভাবনা বিনিময় করছেন, কবির কাছে এই হয়তো যথেষ্ট, কবি হয়তো আর কিছু চাননি। মগ্ন কবি বা কবিতার এর থেকে আলাদা কিছু দরকার কিনা সেটাও কূট প্রশ্ন। তবে এই করে যা হয়, অনেক আগ্রহী পাঠক পাঠ্যবস্তুর সন্ধান পান না। কলকাতা ছেড়েই দিলাম, আগরতলায় বসেও প্রবুদ্ধসুন্দর করের সব বইপত্রের লিস্টি ধরনের কিছু সুলভ হবে না। দগ্ধ প্রকাশের সময় জয় গোস্বামীর সঙ্গে ত্রিপুরার লেখালিখি নিয়ে অত সামান্য কথায় তিনি বার বার প্রবুদ্ধসুন্দরের কথা বলছিলেন, জিজ্ঞেস করছিলেন তিনি কেমন আছেন, আজকাল কী লিখছেন ইত্যাদি। অনুরাগীর কাছে পরিচিত কিন্তু বইপত্রের আকাল।

    অনিকেত মৃণালকান্তির গবেষণার বিষয় উত্তর পূর্বের বাংলা সাহিত্য। ওর কাছে কিছু সন্ধান পাওয়া যাবে আমি নিশ্চিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন