এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি-কুড়ি বছরের পার

    Diponkar Chanda লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ জুন ২০২২ | ৮১৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • কিছু একটা লিখবো ভেবেছিলাম। কিন্তু কী লিখবো সেটা ঠিক করিনি আগে থেকে। 

    কলমটা ছিলো আহত, ক্ষত বিক্ষত, রক্তাক্ত, বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় ছিলো না, কলমের অভ্যন্তরে উড়ছিলো একটা "চোখ গেলো'' পাখি, তীব্র বিষাদ ছিলো তার বিহ্বল ঠোঁটে, পালকের ভাঁজে ছিলো নিরব বেদনা। 

    তবু ভেবেছিলাম কিছু একটা লিখবো। কী লিখবো! পৃথিবীর যাবতীয় লেখা অক্ষরাবদ্ধ হয়ে গেছে আগেই, হয়ে গেছে সমস্ত অনুভূতি-সূক্ষ্মানুভূতির তর্জমা, অনুদিত হয়ে গেছে সকল প্রকার মানবিক-অতিমানবিক বোধের আদ্যোপ্রান্ত, অপ্রকাশ্য বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই কোথাও।

    তবু ভেবেছিলাম কিছু একটা লিখবো, লিখবো প্রেম, যে প্রেম মানুষের বিশুদ্ধতম অনুভূতিসমূহের অন্যতম, যে প্রেম পুনরাবর্তনে বিশ্বাসী, যে প্রেম সর্বোত্কৃষ্ট হিসেবে বিবেচিত সংসারে, যে প্রেমের কথা বহুচর্চিত হলেও বারবার শুনতে আগ্রহী হয় মানুষ, সেই প্রেম নিয়ে লিখবো ভেবেছিলাম, শরবিদ্ধ ছিলো যদিও অক্ষর, দ্বিধাগ্রস্ত ছিলো যদিও বাক্য, অবিন্যস্ত ছিলো যদিও চিন্তা, তবু ভেবেছিলাম লিখবো, 'প্রেম', ভেবেছিলাম পরিস্ফুটিত করবো তাকে দুজন পরিণত মানব মানবীর কাগুজে কথোপকথনে।

    মানবী : মনে আছে একটা সময় আমরা অনেক কথা বলতাম, প্রকাশ্য দিবালোকে অনাবিস্কৃত মহাদেশের উর্বর অথচ অকর্ষিত মাটি ইঞ্চি ইঞ্চি করে আবিষ্কারের মতো, ফুটতো কথার ফুল রাতের আকাশ ভর্তি তারা হয়ে...

    মানব : মনে আছে। কথা বলতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা, কীভাবে যে দিন কাটতো, কীভাবে যে কেটে যেতো রাত, অদ্ভুত এক মায়াবী সময় ঘিরে ছিলো আমাদের আলোগুলো এবং অন্ধকার যতো...

    মানবী : কী নিয়ে এতো কথা বলতাম, বলো তো?

    মানব : অতো তো মনে নেই, তবে এটা মনে আছে যে, মনে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিলো না সেসব, কথা বলার জন্য কথা, কথার পিঠে কথা, অকারণে, অপ্রয়োজনে, কথা বলতে বলতে বাঁধভাঙা রোদ্দুরের মতো হেসে গড়িয়ে পড়া, কথা বলতে বলতে বরষার মেঘের মতো মুখ কালো করা, কথা বলতে বলতে অভিমান, কথা বলতে বলতে কণ্ঠে বাষ্পরুদ্ধতা, অথবা এক ঝাঁক পায়রার মতো বুনো কান্নাকে উড়তে দেয়া পতনধর্মী জৈব অস্তিত্বের মতো...

    মানবী : গুরুত্বহীন কথা বলার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে হয় তখন আর ছিলো না পৃথিবীতে, অপ্রয়োজনীয় কথাগুলোই ছিলো হয়তো প্রয়োজনের অধিক...

    মানব : তখন পৃথিবীটা ছিলো অন্যরকম...

    মানবী : এখন কী অনেক পাল্টে গেছে?

    মানব : পাল্টেছে। পাল্টায়। এটাই পৃথিবীর নিয়ম...

    মানবী : তুমি পাল্টেছো?

    মানব : তুমিই কি আগের তুমি আছো?

    মানবী : তুমি এখনও রাত জাগো?

    মানব : মাঝে মাঝে...তুমি নিশ্চয়ই এখন কবিতা পড়ো না?

    মানবী : সময় হয়ে ওঠে না আসলে...

    মানব : সময় কী ভীষণ দ্রত পেরোয়, তাই না!

    মানবী : আমিও তাই ভাবি, জানো তো...তুমি এখনও কবিতা লিখো?

    মানব : আমি একলব্যের মতো, বৃদ্ধাঙ্গুল বিসর্জন দিয়েছি সেই কবেই...

    মানবী : মানে?

    মানব : কবিতা বিসর্জন দিয়ে বাণিজ্যে মন দিলাম যে...

    মানবী : তোমার লেখার হাত কিন্তু ভালো ছিলো...

    মানব : আর তোমার কণ্ঠ...এখনও গানের চর্চাটা আছে?

    মানবী : দূর! ছেলেমানুষি! সময়ে ভেসে গেছে সব...

    মানব : তাই হয় জানো! মানুষ সময়ের দাস হয়েই পার করে একটা জীবন...

    মানবী : জীবন ভারি অদ্ভুত...রহস্যময়...

    মানব : আমি কিন্তু ভাবিনি তোমার সাথে আবার কথা হবে এই জীবনে...

    মানবী : তুমি তো পেসিমিস্টিক চিরকাল...

    মানব : এখনও তাই আছি...তোমার প্রোফাইল পিকচার দেখেও বুঝে উঠতে পারিনি এটা তুমি...

    মানবী : অনেকটা বদলেছি যে। তুমি কিন্তু কম বদলেছো...

    মানব : মনে হয় না...যখন বুঝতে পারলাম এটা তুমি, তখন কেমন এলোমেলো লাগলো সব, মনে হলো আমি সেই আগের আমি...

    মানবী : আমার কিন্তু তেমন মনে হলো না তোমার আচরণে, কী ভীষণ ফর্মালিটিজ, 'আপনি' 'আপনারা' আরও কতো কী...আশ্চর্য...

    মানব : আমি আসলে বিহ্বল ছিলাম, আকস্মিকতার অভিঘাত...ভাবছিলাম তুমি আর আগের তুমি নেই...

    মানবী : নেই, তবে কোনো কিছুতেই তোমার মতো অতো আকাশ পাতাল ভাবতে বসি না এখনও...

    মানব : আগের কথা মনে নেই, কিন্তু এখন কী আর না ভাবলে চলে...তখন আর এখন...কতোটা সময় চলে গেছে মাঝখানে...

    মানবী : সময় একবার চলে গেলে ফেরে না আর, তাই না...

    মানব : তুমি আগের চাকুরিতেই আছো?

    মানবী : হু...তোমার শখ ছিলো অ্যাকুরিয়ামে রঙ-বেরঙের মাছ পোষার...শখটা আছে? 

    মানব : মিটে গেছে শখ...কিছুই আসলে পোষা যায় না, মনে হয় যদিও পুষছি...তোমার দুটো বিড়াল ছিলো...

    মানবী : নেই ওসব বহুদিন...বাদ দাও...ভাবো, কী আশ্চর্য এই অন্তর্জাল...

    মানব : সেটাই ভাবছি, আমাদের সুযোগ হলো আবার কথা বলার...

    মানবী : আগে কখনও ভেবেছিলে এমন হতে পারে?

    মানব : আগে তো তোমার সাথে কথা বলতে হলেও কতো দীর্ঘ প্রস্তুতি...কতো আয়োজন...কতো সামাজিক সতর্কতা...

    মানবী : এখন যোগাযোগ অনেক সহজ...

    মানব : যোগাযোগ সহজ হলেও দূরত্বের দীর্ঘশ্বাস তো থেকেই যায়...

    মানবী : তোমার বাসার সবাই ঘুমোচ্ছে...

    মানব : হু, আমি পড়ছিলাম, জীবনানন্দ...একটু পরেই হয়তো ঘুমোতে যেতাম...

    মানবী : রাত প্রায় শেষ কিন্তু...

    মানব : তোমার বাসার সবাই?

    মানবী : ঘুম...

    মানব : তুমি ঘুমোবে না?

    মানবী : ঘুমোনো দরকার তো অবশ্যই, কাল আবার ব্যস্ততা যাবে অফিসে...

    মানব : আজকেও দেখো অপ্রয়োজনীয় কথায় রাত ফুরিয়ে এলো...

    মানবী : তাই তো দেখছি...

    মানব : কাল কথা হবে?

    মানবী : না হলেই বা কী?

    মানব : তা ঠিক..."...জীবন গিয়েছে চ’লে আমাদের কুড়ি-কুড়ি বছরের পার—"

    মানবী : "...সোনালি-সোনালি চিল— শিশির শিকার ক’রে নিয়ে গেছে তারে—"

    মানব : "...কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে!"

    মানবী : অসম্ভব...

    মানব : অসম্ভব সুন্দর সব কথা লিখে গেছেন জীবনানন্দ...

    মানবী : হু...

    মানব : যা কিছু অসম্ভব তাকেই সম্ভব করতে পারে কিছু মানুষ...

    মানবী : আর কিছু মানুষ পারে না। তারা অসম্ভবকে মান্য করে, আর আটপৌরে জীবনের প্রতি অনুগত থাকে...

    পাঠক, ক্ষমা করবেন, আর এগোচ্ছে না ভাবনা, কথোপকথন রাখতে হচ্ছে অসমাপ্ত, কোনো সুনির্দিষ্ট পরিণতি অভিমুখে যাচ্ছে না কথা, অথবা কথার পিঠে কথা। অথচ ভেবেছিলাম লিখবো 'প্রেম', কিন্তু অবান্তর মনে হচ্ছে প্রতিটি অক্ষর, সৃষ্টি হচ্ছে দ্বান্দ্বিকতা, এবং অপ্রেম সম্ভবত একটু একটু করে প্রতিস্থাপন করছে কাঙ্ক্ষিত প্রেমকে, অন্যদিকে শেষ হচ্ছে রাত, শুকতারা মিটমিট করছে আকাশে, সেই আকাশ, যে আকাশের পরেও আকাশ আছে, আছে আরও আরও আকাশ...

    সুতরাং থামতে হচ্ছে, যেহেতু থামতে হয় পৃথিবীর সবকিছুকেই একটা সময়, সুতরাং সরিয়ে রাখলাম কাগজ, তুলে রাখলাম কলম।

    শুভরাত, পাঠক।
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Diponkar Chanda | ৩০ জুন ২০২২ ১৮:২৯509521
  • অমিতাভ দা, 
     
    ভীষণ ঠিক মনে হলো আপনার পর্যবেক্ষণ। দ্রুতহাতে গুছিয়ে নিলাম। তিনটে 'হু' থাকলো।
     
    এখন দেখুন।
     
    শুভকামনা।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ৩০ জুন ২০২২ ১৮:৪৮509522
  • অনেক ভালো লাগছে এখন।  ধন্যবাদ, কবি! 
     
    ( আমি হয়ত আরও একটু পাল্টাতাম। প্রথম 'হু' যথাযথ। বাকি দুটি  গেলেই ভালো। দ্বিতীয়টি আমি 'হ‍্যাঁ' বসাতাম। তৃতীয়টিতে '...' । কিন্তু, সে ত আমি কি করতাম।  laugh)
  • Diponkar Chanda | ৩০ জুন ২০২২ ২০:১৫509523
  • হা হা হা হা 
     
    আপাতত এভাবেই থাক। আপনার পরামর্শ মাথায় থাকছে। আপনি অনেকটাই অফেন্সিভ আর কি! যেমন, 'হ্যাঁ', দোদুল্যমানতা নেই কোনো।
     
    'হু' অথবা 'হুম' আভিধানিক অর্থে শব্দই নয় কোনো! অস্ফুট ধ্বনি অথবা রহস্যময় শব্দ, এগুলো 'হ্যাঁ'-ও হতে পারে, 'না'-ও হতে পারে, অথবা দ্বিধাজর্জর 'কিছুই না' হতে পারে! 
     
    পুরোনো সম্পর্ক একটু দ্বিধায় থাকা ভালো! সম্ভবত!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন