এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সৌপ্তিক কান্ড - ৬ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ মে ২০২২ | ৫৬১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • রাত আটটা বাজতে চলল । কুলচা বলল, ' আর এক কাপ কফি খাবে নাকি ? ' 
    কলতান সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বুজে বসে ছিল । বলল, ' হ্যা, তা চলতে পারে ..... ওতে আমার কোন অরুচি নেই , শীতেই হোক আর গ্রীষ্মেই হোক ..... '
    কুলচা আজ আর বাড়ি ফিরবে না । বাড়িতে জানিয়ে দিয়েছে । সে দু মগ কফি নিয়ে ফিরে এল একটু পরে । 
    ------ ' আজকের ভেঞ্চারটা কেমন হল তা'লে শেষ পর্যন্ত ..... ' কুলচা কফির মগে একটা চুমুক মারে ।
    ----- ' সেটা ডেফিনিটলি ওয়ার্ক আউট করতে হবে ..... মনে হচ্ছে উই হ্যাভ স্টিল মাইলস টু গো ...... '  
    -----' প্রেসক্রিপশানে কিছু পাওয়া গেল কি ?'
    ----- ' দেখিনি এখনও ভাল করে । একজন ডক্টর কনসাল্ট করতে হবে .... আমার বন্ধু অমিতাভ দাসকে দেখাতে হবে .... '
    ----- ' কাল ওই সাইকোলজিস্ট-এর রোলটা খারাপ প্লে করিনি বল.....'
    ----- ' হুমম্ ..... ঢিলটা ঠিক জায়গায় লাগল কিনা বোঝা গেল না । সলিল হালদার লোকটা 
    কেমন বলে মনে হল তোর ? ' 
    ------ ' আমি যা বুঝলাম .....হয় ভদ্রলোক এক্সট্রিমলি সিম্পল হার্টেড আর নয় তো এক্সট্রিমলি ডজি .... '
    ----- ' একেবারে ঠিক ধরেছিস ...... এখন ব্যাপার যা দাঁড়াচ্ছে ..... ডজি হলে কেসটা কনভেনশানাল রাস্তাতেই এগোতে পারে কারণ আমরা ওই রাস্তা ধরেই এগোচ্ছিলাম ।  কিন্তু ভদ্রলোক  যদি সত্যিই সিম্পল হার্টেড হন এবং আউট অ্যন্ড আউট ইনোসেন্ট হন তাহলে কেসটা আবার ঘোরালো হয়ে গেল । অনুসন্ধান চালানোর জন্য অন্য রাস্তায় গাড়ি ঘোরাতে হবে .... '
    ------ ' হুঁ  ..... বুঝলাম । আমি তোমার কাছে যেটুকু শুনেছি ..... কেসটা কোন হোমিসাইডাল অফেন্স হিসেবে রেজিস্টার্ড হয়নি । পি এম  রিপোর্টে কোন সাসপিশিয়াস এলিমেন্ট পাওয়া যায়নি । অবশ্য রিপোর্ট ট্যামপারিং হলে  আলাদা কথা ..... '
    ----- ' হালদারবাবু কি তাহলে শুধুমাত্র পুত্রশোকজনিত আবেগ এবং বিহ্বলতা থেকে আমাকে অ্যপ্রোচ করেছিলেন । কেসটার  মেরিট কিচ্ছু নেই ..... নাকি সলিল হালদার এক গভীর জলের মাছ ? সাধারণ বুদ্ধি বলে নিতান্তই ন্যালাক্ষ্যাপা এবং আবেগতাড়িত লোক কখনও এত সফল ব্যবসায়ী হতে পারে না ..... ' 
    ----- ' তাহলে আমাদের নেক্সট স্টেপ কি ?'
    ----- ' এই মুহূর্তে স্টেপ বা মিশন হওয়া উচিত তিনটে ----- ডেথ সার্টিফিকেট লেখা ডাক্তার , অভিষেক পাল এবং ফাইনালি দীপ্সিতা রায় .....
    ----- ' কে ? দীপ্সিতা ? ' 
    ------ ' হ্যা ..... ও..ই ছিল সৌপ্তিকের লেটেস্ট কমপ্যানিয়ন .... সৌপ্তিকের ব্যাপারে লেটেস্ট ইনপুট মনে হয় ও..ই দিতে পারবে । অবশ্য বাকি ক্যারেকটারদেরও আমি সাসপেক্ট  লিস্টের বাইরে রাখছি না এই মোমেন্টে ।'
    ------ ' এখন কি করতে চাইছ তা'লে ? '
    ------ ' দাঁড়া , মৃদুলকে একটা ফোন করি ..... মৃদুল ব্যানার্জী ..... সৌপ্তিকের বন্ধু .... '

        ----- ' হ্যা মৃদুল .... বল .... কি খবর তোমার ?'
    ---- ' ঠিক আছি স্যার ..... আপনার ওদিককার কি খবর ? '  
    ----- ' ওই ব্যাপারেই বলছিলাম ..... এখন তো অটো স্ট্যান্ডের কাছে রোল কাউন্টারে আছ ..... শুনতে পাচ্ছ তো ? কি কিনলে .... এগ রোল, না এগ চিকেন ? '   
    ----- ' তাজ্জব ! কি করে বুঝলেন  ! '
    ------ ' খুব সোজা ..... একনাগাড়ে অটোরিকশা স্টার্ট করার এবং পার্কিং-এর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ..... সেই আওয়াজে জড়িয়ে ভেসে এল দোকানদারের গলা ..... এগ রোল তিরিশ .... এগ-চিকেন পঞ্চাশ .....টঙ টঙ টঙ ..... হাঃ হাঃ হাঃ .....'  
    ----- ' ওহ্ ....  ব্রিলিয়ান্ট স্যার ! এই না হলে ..... যাকগে .... হ্যা ... শুনতে কোন অসুবিধে হচ্ছে না ..... বলুন .... '
    ------ ' যেটা বলেছিলাম তোমায় ....ওই ফোন নাম্বারটা ..... '
    ------ ' কোনটা বলুন তো ..... ও, বুঝতে পেরেছি ..... দীপ..... '
    কলতান তাড়াতাড়ি নামটা চাপা দেয় .....
    ----- ' হ্যা হ্যা ...... পেলে  ? '
    ----- ' না স্যার ..... তবে বাড়ির অ্যড্রেসটা যোগাড় করেছি ..... বাড়ির বাইরের ঘরে কোচিং ক্লাস চালায় .... ' 
    ----- ' ঠিক আছে, সেটাই টেক্সট কর ..... ছাড়ছি এখন ..... সাবধানে থেক .... ' 
    *********   ********  *******  *******  ****
    কলতান অনেকটা দূরে রাস্তার মোড়ে বাইকের ওপর বসে আছে । 
    কুলচা ছত্রিশ নম্বর বাড়ির সামনে এসে দেখল, বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে যে সামনের ঘরে কোচিং ক্লাস চলছে । ঘরের মেঝেতে দশ বারো জন ছেলেমেয়ে বসে আছে । বারো থেকে ষোলোর মধ্যে বয়েস । শিক্ষিকাও তাদের মুখোমুখি মেঝেতে বসে আছে । বছর বাইশ বয়স হবে দেখে মনে হচ্ছে । বেশ লাবণ্য এবং সুষমা আছে চেহারায় এবং চোখেমুখে । সন্ধে সাড়ে ছটা পৌনে সাতটা হবে এখন । 
         কুলচা কলিং বেল বাজাল না । দরজাটা একটু ফাঁক করে বলল , ' একটু কথা ছিল ম্যাডাম  .... '
    দীপ্সিতা উঠে এল । 
    ---- ' হ্যা বলুন ..... ' দরজায় দাঁড়িয়েই বলে দীপ্সিতা । 
    ----- ' বলছি যে ..... কোন ক্লাসের স্টুডেন্ট নেন আপনি ? '
    ----- ' সিক্স থেকে টেন .... অল সাবজেক্টস .... চারশো টাকা পার সাবজেক্ট । '
    ----- ' ম্যাথসও করান ? '
    ----- ' হ্যা ... ভিতরে আসুন না ..... '
    ----- ' না গো .... আজকে আর ভিতরে যাব না । পরের দিন হবে । তুমি পড়াচ্ছ .... ' কুলচা 'আপনি' থেকে 'তুমি' -তে সম্বোধন পরিবর্তন করে নেয় । বাইরে দাঁড়িয়েই কথা বলতে থাকে ।
     ----- 'আমার এক বোন আছে  .....ক্লাস নাইনে পড়ে । ম্যাথ আর জিয়োগ্রাফি এই দুটো  সাবজেক্ট করাতে চাইছি  ..... আমি থাকি  স্টেশনের ওপারে ......ওদিকে তেমন ভাল  কোচিং নেই ....যা আছে প্রচন্ড প্রফেশানাল ।  আমি চাইছি এমন একজনকে যে বেশ ধরে পড়াবে ।'
    স্মিত হেসে  দীপ্সিতা বলল , ' চেষ্টা করি আর কি  ....' 
    বাংলায় অনার্সের মেয়ে ম্যাথসও করাচ্ছে শুনে সমীহ সৃষ্টি হল কুলচার মনে । এরকম আরো অনেক আছে অবশ্য । কেই বা চেনে তাদের ....
    ----- ' আমি তা'লে পরশুদিন আমার বোনকে নিয়ে আসব । '
    ----- ' ঠিক আছে ..... বেশি দেরি করবেন না কিন্তু ..... সেশান স্টার্ট হয়ে গেছে অলরেডি .....'
    ----- ' না না ..... দেরি হবে না ..... ফোন করে আসব .... ফোন নাম্বারটা যদি .....'
    ------ ' হ্যা নিশ্চয়ই ..... তোমার নাম্বারটা বল ..... আমি একটা মিসকল দিচ্ছি ....'
      কুলচার নম্বরে দীপ্সিতা একটা মিসকল দিল ।
     ----- ' আচ্ছা এখন আসি তাহলে ..... ফোন করব ....'
    ----- ' হ্যা .... দেরি করো না কিন্তু । আসবার  দিন সকালে একটা ফোন করে এস .... '
    -----' না না .... দেরি হবে না .... ' 
    কুলচা রাস্তার মোড়ে দাঁড়ানো কলতানের বাইকের দিকে হাঁটতে হাঁটতে ভাবল , ' দেরি হবার প্রশ্নই ওঠে না ..... ' 

        পরদিন সকাল দশটা নাগাদ দীপ্সিতার মোবাইলে একটা কল এল । অজানা নম্বর । 
    ------ ' হ্যা..লো .... ' 
    ----- ' নমস্কার ..... সুপ্রভাত । আপনি খুব সম্ভবত  আমাকে চিনবেন না ..... আমার নাম কলতান গুপ্ত .... কাল ইভনিং-এ যে মেয়েটি তার বোনকে পড়াবার কথা বলতে গিয়েছিল সে আমার রিলেটিভ । আমি আপনার কথা সব শুনেছি ।আপনি যে একজন গুণী মানুষ সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই .....'
    ----- ' ও কখন আসছে ? আজকে আসবে কি ?'
    ----- ' না.... ঠিক তা না..... ও না ...... আমি যাব ..... কিংবা আপনিও আসতে পারেন। ব্যাপারটা খুলে বললে ...... ' 
    ----- ' দাঁড়ান দাঁড়ান ...... আপনি অ্যকচুয়ালি কি বলতে চান বলুন তো .....বাজে কথা ছেড়ে '
    দীপ্সিতার কথায় ঝাঁঝের আভাস ।
    ----- ' আপনি উত্তেজিত হবেন না । আমি আপনার ওয়েল উইশার ..... '
    ----- ' আবার ফালতু বকছেন ..... কি চান তাই 
    বলুন না ..... ' দীপ্সিতার কথায় পরিশীলতা উধাও ।
    ------ ' আপনি আমার নাম শোনেননি বুঝতে পারছি ..... আমি পেশায় একজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ । ব্যোমকেশ বা ফেলুদার গল্প পড়েছেন তো ....অনেকটা সেরকম আর কি .... তবে গল্পের গোয়েন্দাদের মতো আমি সবজান্তা নই। কোন অতিমানবিক মস্তিষ্কও আমার নেই । তাই কোন রহস্যের সমাধান করতে হলে বা   বলতে পারেন কাউকে সাহায্য করতে হলে আমার অনেকের সাহায্য লাগে । ' 
    ------ ' হেঁয়ালি ছাড়ুন ....বুঝলাম না কিছুই  ..... আপনি আমাকে ফোন করছেন কোন সমস্যা সমাধানের জন্য জানতে পারি ? ওই বোনকে পড়াবার কথা বলতে আসা মেয়েটা তাহলে ফেক ছিল ?'  
    ----- না না ..... ফেক কেন হবে ..... ছি ছি ! ও আমার অ্যসিস্ট্যান্ট ...... ভেরি এফিসিয়েন্ট অ্যসিস্ট্যান্ট .....' 
    দীপ্সিতার দিক থেকে কোন শব্দ আসে না । সে বোধহয় একটু দম নিচ্ছে পরের কথাগুলো সাজাবার জন্য । ঘোরালো কিছুর আঁচ পাচ্ছে বোধহয় ।  
    কলতানই আবার কথা বলল । 
    ------ ' আপনি আমাকে শত্রু ভাবেন না । আমি আপনার বন্ধু । সবরকম সাহায্য পাবেন আমার থেকে ..... '
    কলতান একটু চুপ করে থাকে দীপ্সিতার প্রতিক্রিয়ার প্রতীক্ষায় ।
    দীপ্সিতার স্বর বোধহয় কিছুটা কোমল হয়ে এল। একটু কাঁপা গলায় বলল----
    ------ ' হ্যা ..... ব..লুন ...'
    ------ ' আপনি তো সৌপ্তিকের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। ওর হঠাৎ চলে যাওয়ার ব্যাপারটা আপনাকে যে ভীষণ নাড়া দিয়ে গেছে সেটা অনুমান করতে পারি । ওর এইভাবে মৃত্যুটা যেন 
    ঠিক মেনে নেওয়া যায় না । আমি যেভাবেই হোক এই ঘটনাটার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছি । আপনি নিশ্চয়ই চান এই মিস্ট্রিটা আনভেইলড হোক ...... '
    ওদিক থেকে কোন আওয়াজ আসে না । মাঝে মাঝে শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে ।
    ----- ' হ্যালো ..... হ্যালো ..... '
    ----- ' হ্যা .... বলুন ...' দীপ্সিতার কন্ঠে বাষ্পের ছোঁয়া ।  
    ------ ' কিন্তু এই নিয়ে কোন পুলিশ হ্যারাসমেন্ট 
    আমি নিতে পারব না ..... আমার বাবা মা দুজনেই অসুস্থ ..... '
    ------ ' আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি । আমার ওপর রিলাই করে দেখুন ...... '
    ************       ************    *******
    এখন  দীপ্সিতার কোচিং ক্লাস নেই । বেলা তিনটে বাজে ।  বাইরের ঘরে দুটো চেয়ারে কলতান আর দীপ্সিতা বসে আছে । 
    ----- ' আপনার সঙ্গে সৌপ্তিকের আলাপ হল কোথায় ? '
    ----- ' ঘাটশিলায় । ডিসেম্বর মাসে একটা দুদিনের ট্যুর অ্যরেঞ্জ করেছিল ' আপনজন' ক্লাব । ওদেরই পাড়ার ক্লাব ।'
    ----- ' ওখানে কি ওর অন্য ক্লোজ বন্ধুরা গিয়েছিল ? '
    ------ ' না ‌। যাদের সঙ্গে হলায় গলায় বন্ধুত্ব তারা কেউ যায়নি । '
    ----- ' ও আচ্ছা । '
    ----- ' যদি কিছু মনে না কর 'তুমি' বলছি তোমাকে । তুমি বয়সে অনেক ছোট ।'
    ------ ' হ্যা নিশ্চয়ই ..... নিশ্চয়ই ..... ' 
    ------ ' আচ্ছা দীপ্সিতা .... সৌপ্তিক কি কোন ঘুমের ওষুধ খেত রাত্রে ? '
    ------ ' হ্যা ... খেত । ওর ইনসমনিয়া ছিল । তাছাড়া মাইগ্রেনের প্রবলেম ছিল ওর ।'
    ----- ' ও আচ্ছা ..... কি ঘুমের ওষুধ খেত জান কি ? '
    ------ ' জেনারেলি অ্যটিভ্যান । ' 
    ----- ' অ্যটিভ্যান কত এম জি.... জান কি ? '
    দীপ্সিতা জানা প্রশ্নের মতো সহজে উত্তর দিল ---- ' টু '
    ----- ও মাই গুডনেস .....একেবারে অ্যটিভ্যান টু ! সিভিয়ার ইনসমনিয়া ছিল তালে ‌.... '
    ------ ' হ্যা ....তা ছিল ‌।'
    ----- ' ওষুধ কি প্রেসক্রিপশান দিয়ে কিনত ?
    ----- ' প্রেসক্রিপশান ...মানে , আগের একটা প্রেসক্রিপশান ছিল ..... সুর ফার্মেসি ওদের চেনা দোকান ..... আমি বারণ করতাম এত কড়া ডোজের ওষুধ রোজ খেতে । ও চেষ্টা করত ।  কিন্তু  রাত্রে ঘুম না হলে খুব আনইজি ফিল করত। তাই .......' 
    ------ ' ওর সব কিছু এত ডিটেলে জান যখন ..... তোমাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সত্যিকারের আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এ কদিনের মধ্যেই .....'
    ----- ' হ্যা, বলতে পারেন । খুব ভাল মনের মানুষ ছিল । আপনাকে বিশ্বাস করে বলছি .....' 
    ------ ' বিশ্বাসের অমর্যাদা করব না । বল ....'
    ---- ' আমার আগে একটা রিলেশান ছিল । সে ছেলেটা ভীষণভাবে ঠকাল আমাকে । আমি প্রচন্ড ভেঙে পড়েছিলাম । কিচ্ছু ভাল লাগত না । সুইসাইড করতে ইচ্ছে হত । কিন্তু সব কষ্ট  চেপে রেখেছিলাম । মাকেও কিছু বলিনি ‌। এই সময়ে সৌপ্তিকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় । মানসিকভাবে একটা আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলাম । ও খুব ভাল মনের মানুষ ছিল ...... আমি আগের সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই যে বলে না...... অভাগা যেথায় যায়....এত সুখ আমার কপালে সইল না .... ' 
    দীপ্সিতার চোখ জলে ভরে উঠল । কলতান চুপ করে রইল নীচের দিকে তাকিয়ে । ওকে সামলাবার সময় দিল ।
    সে মনে মনে চিন্তা করতে লাগল, সৌপ্তিক শুধু পেটের ট্রাবলের ওষুধ খেত এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা । হয়, তার বন্ধুরা জানে না  কিংবা ডাহা মিথ্যে কথা বলেছে ।  
    দীপ্সিতা কিছুক্ষণের মধ্যে নিজেকে সামলে নিল ।  বাইরে ক্রমশঃ রোদ্দুর পড়ে আসছে । একদল ছেলে গেল হৈ হৈ করতে করতে ।
    দীপ্সিতা বলল, ' চা খাবেন স্যার ? '
    কলতান কথায় লজ্জামিশ্রিত ভদ্রতা জড়িয়ে বলল, ' আবার কেন ...... '
    তার কথা যে এখনও অনেক বাকি ।
         (ক্রমশঃ ) 
    ***********************************************************************************

         
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • chaitali chattaraj | ১৫ মে ২০২২ ১১:১৬507654
  • আগের পর্বগুলো কোথায় পাবো??
  • Mousumi Banerjee | ১৫ মে ২০২২ ১৫:৪৬507668
  • ভালো লাগছে। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি পেতে ইচ্ছা করছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন