সুন্দর বন শুনছি নতুন জেলা হবে। কিন্তু দুষণ না কমলে সুন্দর বনটা থাকবে পৃথিবীর মানচিত্রে?আমার জানি সুন্দর বনে মানে একটা ঝড় জল আর তারপর সোস্যাল মিডিয়াতে ত্রাণে ছবির ভিড়। আচ্ছা শুধু মাত্র কিছু ত্রান পাঠিয়ে কি আমাদের দায়িত্ব শেষ?
Environmental Refugee/ Migrant কথা টা আমাদের কাছে নিশ্চিত নতুন নয়। যারা পরিবেশ নিয়ে খোঁজ খবর রাখেন তাঁরা এ বিষয়ে পূর্ব পরিচিত। আমরা মতো মোটা মাথার লোকজন বোধহয় একটু কনফিউজড , কেউ বলছেন কংক্রিটের বাঁধ চাই, কেউ বলছে মেনগ্রভ গাছ পুঁততে হবে, মাটির বাঁধ চাই নয়তো পরিবেশের ক্ষতি হবে। না না মুনির নানা মত কিন্তু সুন্দরবনের ভবিষৎ থেকে যায় অন্ধকারে।
তাই Environmental Refugee/ Migrant হিসাবে ঘোষণা করে পুনঃ বাসন করাই বোধহয় আজ আমাদের স্থায়ীভাবে একটাই সমাধান আছে আমাদের কাছে।
এটাতো কোন নতুন কথা নয়। দুষণ বলুন বিশ্বষ্ণায়ন বলুন, জলবায়ু পরিবর্তন ফলে, সমুদ্রের জলের স্তরটি ১৯৯০ থেকে 2100 এর মধ্যে মোট 0.18 থেকে 0.6 মিটার (7 ইঞ্চি থেকে 2 ফুট) বৃদ্ধি পাবেই। সমুদ্রের উচ্চতার মাত্রা বড়ে মাওয়ায় ইতিমধ্যে বিশ্বের নিম্ন- সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
যেমন বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটার (16.৫ ফুট) এরও কম উঁচুতে বসবাস করে। বেশিদিন না ১৯৯৫ সালে, বাংলাদেশের ভোলা দ্বীপটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে অর্ধ নিমজ্জিত ছিল এবং ৫০০,০০০ মানুষ গৃহহীন ছিল। বিজ্ঞানীরা পূর্বাভাস দিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যার কারণে ২০০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তার জমিটির ১ percent শতাংশ হারাবে। জমি হ্রাস হতে পারে বাংলাদেশ থেকে প্রায় 2 মিলিয়ন জলবায়ু উদ্বাস্তু হতে পারে।
কিন্তু এর হাত থেকে রক্ষা পেতে দুষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । তা সম্ভব নয় হয়তো।
ফলে সুন্দরবনের এই বিপদের মুখোমুখি হবার কথা সাভাবিক।আজকের দিনে আসুন সঙ্গে সবাই মিলে Environmental Refugee/ Migrant দের পাশে দাঁড়িয়ে সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত মানষজনদের E.Rএর তকমা দিয়ে তাদেরকে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে অবলম্বে। দেশের সরকার কে বাধ্য করি এদের পাশে দাঁড়াতে। নোনা জল কৃষি কাজ নয় মৎস চাষ ক্ষেত্রেও ক্ষতি করেছে। তাই এই দাবিটা করা যেতেই পারে।
Environmental Refugee/ Migrant সম্যসাটি এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা। জলবায়ু শরণার্থী বলে তাদের ধরে নেওয়া যেতে পারে। যে সব মানুষ স্থানীয় পরিবেশের আকস্মিক বা দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের কারণে নিজের অঞ্চল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। জলবায়ুর এমন পরিবর্তন যা তাদের সুষ্ঠু জীবিকা নির্বাহে ব্যাঘাত ঘটায়। এই ধরনের পরিবর্তনগুলি হয় দূষণ এর ফলে। দীর্ঘ খরা, মরুকরণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ভারী বর্ষণের মতো মৌসুমী আবহাওয়ার ক্ষতিকারক পরিবর্তন আসলে খলনায়ক দূষণ। জলবায়ু শরণার্থীরা অন্য দেশে চলে যেতে পারে বা তারা নিজের দেশে পুনঃ বাসন পেতে পারেন। পরিবেশ ও সামাজিক বিজ্ঞানীরা এই জলবায়ু পরিবর্তন এবং সাধারণ পরিবেশগত অবক্ষয়ের প্রভাবকে ২০০০ এর দশকের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হিসেবে চিহ্নিত করেন বহু আগে থেকেই।
কয়েকদিন আগে আমার শহর কোলকাতায় গরমে সবার নাভিশ্বাস উঠেছিল । এটা কিন্তু দূষণ এর জন্য হয়েছে। তবে সারাবিশ্বেকে এখন বিপদের সংকেত দিচ্ছে এই দূষণ।ধরা যাক মালদ্বীপ এর কথা।পর্যটন শিল্প ছাড়া , মাছ ধরা ক্ষেতে এই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প ।
সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধি এবং কম লবণাক্ত হয়ে যাওয়ায় মালদ্বীপের পরিবেশ ও অর্থনীতি আজ বিপদের মুখোমুখি। খেয়াল করুন বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পোলার আইস ক্যাপ গলার ফলে মিষ্টি জলের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে ফলে সমুদ্রের ভারসাম্য নষ্ট হয় । সমুদ্রের জলের সর্বত্র ও বাড়িয়ে তোলে এই উষ্ণায়ন। শুধু জল বৃদ্ধি পাওয়ায় সামুদ্রিক পরিবেশ একটা ভারসাম্যতা হারায়, এবং নতুন বিপদের সম্মুখীন হয় সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র। এর ফলে প্রবাল প্রাচীর গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পারিপার্শ্বিক দ্বীপ আবাসস্থল এবং মালদ্বীপের আশেপাশে ফিশারিগুলির সাথে অনেক মাছ এই পরিবর্তন কে মানিয়ে নিতে পারে না। অনেক মাছ আবার কম-নোনা পানির সাথে খাপ খাইয়ে বা মানিয়ে নিতে সক্ষম হতে পারে না। আয় জেনারেট পর্যটন বা মাছধরা ব্যবসায় আঘাত , অনেক মালদ্বীপের বাসিন্দাকে হতে পারে বাধ্য করবে মাইগ্রেট হয়ে নতুন চাকরি চাইতে।
এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে মালদ্বীপের সমস্ত 1,200 দ্বীপ ডুবে যেতে পারে। এটি সমস্ত মালদ্বীপবাসীদের বাস করার জন্য নতুন জায়গা খুঁজতে বাধ্য করবে। মালদ্বীপের জনবসতি অযোগ্য হয়ে উঠলে মালদ্বীপের নেতারা অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং শ্রীলঙ্কার নেতাদের সাথে একটি উচ্ছেদ কর্মসচির পরিকল্পনা করতে কাজ শুরু করেছেন।
একই চিত্র হয়তো আমরা দেখতে পাবো সুন্দর বনে ভবিষৎএ। তাই এখন থেকে এই দাবি তুলে সুন্দর বন কে মানুষ বসতি শুন্য করে সুন্দর বন পুনঃ গঠন করা ই বোধহয় আমার দের উচিত দাবি বলে মনে করি।আর আমাদের দায়িত্ব দূষণ কমানোর চেষ্টা করা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,