এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গল্পঃ সুজিত রয় মরে গেছে 

    latifur rahman লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৩৩১ বার পঠিত
  • সুজিত রয় মরে গেছে

    এত তাড়া-তাড়ী ঘুম ভাঙ্গে না কখনো। এই নিয়ে প্রায় মা বকুনি দেয়।
    তাতে কি?
    রোজ রোজ এমন গালাগাল শুনতে শুনতে প্রত্যেক মানুষের আর জবাব দেয়ার কিছু থাকেনা। এটা অনেকটা, যে বলার সে তা বলবেই বরঞ্চ না বললেই তার অমঙ্গল হবে। আর যে শোনার সে তা হজম করবেই এটা নিয়মের মতো। বাবা মার এমন সস্তা বকুনি হজম করার ক্ষমতা নীলার  আছে।
    আর বেকার হলে কথাই নেই। বেকার ছেলেমেয়েরা কখনো মাছের মুড়ো পায়না।
    সারারাত ঘুম হয়নি। স্বপ্নের চাকুরির প্রথম অফিস কাল। অপেক্ষার রাত্রি বুজি বড় হয়। না হলে সকাল হতে এত দেরি হল কেন।
    কি রে তুই পুজোর ঘরে!
    হা মা আজ প্রথম অফিসে জয়েন করব।
    কিন্তু তুই ত বললি সোমবার।
    বড়বাবু আজই জয়েন করতে বলেছে।
    একা যাবি?
    যেতে পারবো এক-ঘন্টার পথ। আলীপুর পোস্ট অফিসের সামনে বাস। বেলডেভিয়ার  রোড হয়ে ভবানী ভবনের পাশেই অফিস।
    কখন বেরুবি?
    এখনি। কিন্তু অফিস নাকি দশটায়?
    একটু আগে বেরুব।
    নীলা ফ্রেশ হয়ে প্রিয় সেই নীল শাড়ী টা পড়ল।
    শাড়ি তে খুব সুন্দর লাগে রে মা তোকে।
    অসুন্দর ছিলাম বুজি?
    শুধু একটা রুটি খেয়ে হবে?
    দুপুরে অফিস কেন্টিন এ খেয়ে নিব মা।
    বাড়ির কাছাকাছি আলীপুর পোস্ট অফিসের সামনে বাস থামে।
    দেয়ালে সাঁটান বাসের সময়সূচি সকাল আটটায়, এগার টা আর একটায়। নীলা তার নোট বুকে তুলে নিল। এটা তার নতুন পথের শুরু।
    কোলকাতা আর আগের মত নেই। মানুষ বেড়েছে, রাস্তাঘাট বেড়েছে, সাথে যানবাহন বেড়েছে। পাবলিক বাসে যাতায়াত এখনো নারীর জন্য নিরাপদ হয়ে উঠেনি। বাংলার নারী বাদী সংগঠনগুলো রোজ রোজ মিছিল মিটিং আর মানববন্ধন করে। তাতে কার কি আসে যায়?
    বাসের লোকেরা হাত ধরে বাসে তোলে আর নামার সময় ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।  এইতো গতকাল হাওড়ায় এক বৃদ্ধাকে এভাবেই ধাক্কায় মেরে ফেলেছে।
    বাস আসার ত সময় হলো। তাই বলে একজন যাত্রী নেই। যেখানে বাসে চড়ার জন্য হুমড়ি খেতে হয়, সেখানে আজ ত একজন যাত্রী ও নেই। এটা ত অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মত। মানুষ বেশি লোকের জমায়েতে যেমন অসস্তি বোধ করে আবার একা থাকতে ত ভয় করে।
    আশেপাশে তেমন লোকজন নেই। রাস্তা পুরো ফাঁকা। কখনো কখনো দু একটা রিকশা চলছে।
    নীলার রক্তপ্রবাহ এখন আগের মত নেই। সময় ও ফুরিয়ে আসছে। তবে কি আজ বাস বন্ধ? তা হবে কেন? তাহলে কি?
    নীলা ঘামতে শুরু করে। মানুষ শুধু গরমে ঘামে না, দুশ্চিন্তায় ও ঘামে।
    দিদি মনি এখান থেকে চলে যান।
    মাথা ঘুরিয়ে দেখে পিছনে একটা আধা বুড়ো লোক তাকে এখান থেকে চলে যেতে বলছে।
    কেন?নীলা প্রতিবাদ করে।
    যাবেন কই?
    ভবানী ভবন।
    কিন্তু শ্রমিক ফেডারেশনের লোকজন ত আজ অবরোধের ডাক দিয়েছে। বাস বন্ধ। দেখছেন না রাস্তায় লোকজন নেই। আপনি কালকে যান।
    কাল মানে?
    আর কোন উপায় নেই। দেখেন আপনার যা আপনার ইচ্ছে। লোকটা চলে যায়।
    কি করবে এখন সে?
    চাকরির বাজার যে কেমন সেটা নীলার চেয়ে আর কে বেশী জানে।
    বিয়ানীবাজার থেকে পঞ্চাশ টাকার কেনা চটি জুতা তিন মাসের বেশি চলেনা। প্রতি সপ্তাহে দু তিন পরিক্ষায় যেতে যেতে জুতার আর দম থাকে না। কাকা পিসা না থাকলে চাকরি যে আর মেলেনা সেটা ত দেখাই গেল। অমলকুমার। মায়ের স্কুল বন্ধু খুব দয়া না  করলে এই চাকুরী কি মিলত?
    এক অন্তহীন সময়ের মুখোমুখি নীলা। সময়মত অফিসে জয়েন না করলে চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে না।
    নীলার ভাবনার অন্ত নাই।

    আপনি নীলা?
    জি।
    এই শহরে কে চেনে তাকে?
    শ্যামলা কিন্ত সুন্দর। বত্রিশ বছরের হবে ছেলেটা। আমতা আমতা করতে থাকে নীলা।
    আমি জানি আমার সাথে যেতে আপনার আপত্তির কারণ থাকবেই।
    কে আমি?
    কিভাবে আপনারে জানি এমন প্রশ্ন করবেনা।
    তবে আমি আপনার অফিসে নিরাপদেই পৌছে দিব, এই বিষয় নিয়ে ভাবতে হবেনা। ছেলেটা এমনই হড়হড়ে বলছিল যে নীলার বলার সুযোগ ছিলো না।
    কখনো অপরিচিত বাইকের সওয়ার হতে হয়নি কখনো। এটা অস্মভব কল্পনায় ছিল এত দিন। মানুষের কি ধারনায় থাকে কখনো, আগামীকাল কি হবে? 

    নীলা জানেনা সে কি করবে? অচেনা অজানা পর মানুষের শরীর ঠেসিয়ে,,,,,,,,,,,
    না। থাক। আমি পরে যাব।
    অচেনা, অজানা মানুষ ঘর করছে না?  পথ চলছে না? একদিন অন্তত চড়ুন। আর হয়তো দেখা নাও হতে পারে।
    নীলা কথা বাড়ায় না। সে জানে কখনো কখনো পরিস্থিতি মানুষের ভাববার সময় দেয়না।
    নীলা উঠে পড়ে।
    ভাল ভাবে বসুন। ভাববেন না আমি ভাল চালাতে পারি না। জীবনে কখনো এক্সিডেন্টে পড়িনি।
    থাক।
    বলতে হবে না।
    ভাল চালক তা বুজব কিভাবে?
    ফাঁকা রাস্তায় কি পরিক্ষা নেয়া যায়?
    নীলা সহজ হতে চাইছে।
    আসলেই ত গ্যাঞ্জাম ছাড়া পরিক্ষা দেয়া যায় না।
    তবুও নয়। নীলার পাল্টা জবাব।
    মানে?
    তখন ত আমি বাসে যেতাম।
    হুম বুদ্ধিমান ত।
    বুদ্ধিমতি।
    হেরে গেলাম আপনার কাছে।
    কখনও নয়।
    সহজে জিততে আমার ভাল লাগেনা।
    বেলডেভিয়ার রোড এভাবে কখনো বাইকে পার হয়নি নীলা। রাস্তার দু'ধারে এখন সারি সারি দালান দাঁড়িয়ে। কলকাতা তার রুপ বদলাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গেল বছরে যখন নীলা মাসীর বিয়েতে গিয়েছিল ঐ লাল দালানটা সেখানে গজায়নি তখনও।
    বিশাল পুকুর ছিল সেখানে। শান বাধানো ঘাট, সেই ঘাটেই কপোত কপোতী রা সারি বেধে বসত বিকেলবেলা ।
    কে জানে কত বিচ্ছেদ ঘটেছে সেই ঘাটে?
    কত কথার ফুলঝুরি, কত সপ্নের জাল বুনেছে দুজনেই। কল্পনায় নামিয়েছিল জোসনার চাঁদটা। পুকুরের রঙিন পদ্ম, শাপলা প্রেয়সীর খোপায় খোপায়।
    সেই দিন আজ দেখি বিলিন হয়ে গেছে, নগরায়ন আমাদের প্রানের জায়গা দখলে নিয়েছে। দালানকোঠা আমাদের টাকাকড়ি দেয় সত্যি কিন্ত মনের স্পন্দন হত্যা করে।

    কি চুপ কেন?
    আমরা ত প্রায় এসে পড়েছি। খুব তাড়াতাড়ি এসে পড়লাম তাই না?
    নীলা বলে, কি যে বলেন অনেক্ক্ষণ ত বসে আছি।
    ভ্রমণে ভাল সংগী জুটলে পথকে খুব ছোট বলে মনে হয়। আমি তাড়াতাড়ি কখনো এর আগে আসিনি।রাস্তাটা আজ যেন ছোট হয়ে গেছে। ছেলেটা বলে।

    এই আপনার অফিস। সাবধানে নামুন। নীলা নেমে পড়ে।
    আপনি আমার জন্য অনেক বড় উপকার করলেন।
    মানুষের তাই করা উচিত।

    নীলা নেমেই সোজা চলে রিসিপশনে।
    জি এখানে বসুন, এরপর কুড়ি মিনিট পর ১২৩ নম্বর রুমে স্যারের সাথে দেখা করবেন তিনি আপনাকে সব বুজিয়ে বলবেন।
    নীলা মাথা নাড়ে। আচ্চা।
    প্রকান্ড অফিস নীলার। সবকিছুই পরিপাটিভাবে সাজানো। দামী আসবাবপত্র আর দেয়ালের রঙের সাথে নীলার শাড়ি মিশে গেছে।
    ১২৩ নাম্বারে এখন নীলা। সুজিত রয়। সিনিয়র ডিরেক্টর।
    স্যার আসব।
    আসুন।
    আরে আপনি!
    হুম আমিই ত সুজিত রয়।  আপনার বস।
    জি স্যার।
    আমাকে অবাক করেছেন আপনি।
    তা বটে। বড়বাবু আপনার ফাইল দিয়েছে। সেখানে আপনার বায়োডাটা পেলাম। আর রাস্তায় যে আপনার দেখা হবে এটা আমাকে ও অবাক করেছে।
    যাইহোক এই ফাইলগুলো পড়ে নিবেন। কাজ বুজে নিতে সুবিধা হবে।
    আমি আসানসোল যাচ্চি।
    কখন আসবেন?
    আসবো না বোধহয় আর। আমার বদলী হয়েছে।
    হয়তো কখনো দেখা হবে নয়তো কখনো নয়।
    আর শুনুন, আপনার কিন্তু বাস খুলেছে, সাবধানে যাবেন।
    নীলার মুখে আর কোন কথা সরেনা।
    টলমল চোখে লম্বা নিঃসাস ছেড়ে বসে পড়ে।

    আর কোনদিন সুজিত এর সাথে নীলার দেখা হয়নি, কথা হয়নি।
    সুজিত এর সাথে তার কোন প্রেম হয়নি বা বিচ্ছেদ হয়নি কিন্তু মনে একটা রেখাপাত করেছিল সেটা শুকাতে লেগেছিল বহুকাল।

    পরদিন অফিসে গিয়ে নীলা বাসন্তী দেবীর কাছে প্রথম খবর জানতে পারে সুজিত গতকাল এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন