এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • স্প্রিন্টার - ১  

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ জানুয়ারি ২০২২ | ৯০৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • হোটেল সুখসাগর। বেলা এগারোটা বাজে। ডাইনিং হলে এক কাপ কফি নিয়ে বসে আছে স্পন্দন। জলন্ধরে এসেছে ন্যাশানাল অ্যাথলেটিক মিটে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। স্পন্দন রায় একজন প্রাক্তন চারশো এবং আটশো মিটার স্প্রিন্টার। জাতীয় স্তরের অ্যাথলিট নি:সন্দেহে। অ্যাথলেটিক্স থেকে অবসর নিয়েছে প্রায় দশ বছর আগে। সুরিন্দরকুমার বিস্ত তার সমসাময়িক অ্যাথলিট। ডিসকাস আর হ্যামার থ্রোয়ে। যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিবান ছিল। কেরিয়ার দরকচা মেরে গেল বদ মেয়েছেলের পাল্লায় পড়ে। নইলে যেরকম এগোচ্ছিল তাতে এশিয়ান গেমস স্কোয়াডে ঢোকা একেবারে নিশ্চিৎ ছিল। যাক, সে অন্য কাহিনী। সুরিন্দর এখন অবশ্য একদম বদলে গেছে। সে এখন বেশ বিচক্ষণ এবং পরিণামদর্শী। তুখোড় জনসংযোগ দক্ষতার জোরে সে এখন জাতীয় নির্বাচক কমিটির একজন।

    তবে স্পন্দনকে সে ভোলে নি। একসময়ে দিল্লীতে সাইয়ের ক্যাম্পে দুজনে পুরো দুবছর একসঙ্গে ছিল। সেই সময় থেকেই স্পন্দনের সঙ্গে সুরিন্দরের দোস্তি গাঢ় হয়ে ওঠে। তার আমন্ত্রণেই স্পন্দন এখানে এসেছে।

    স্পন্দন অফিসে তিনদিন ছুটি নিয়ে জলন্ধরে এসেছে। এখানে এক স্টেডিয়ামে প্রিঅলিম্পিক কোয়ালিফিকেশান ট্রায়াল মিট আছে। স্পন্দন অবশ্য একেবারেই আশাবাদী নয় যে একজনও ন্যুনতম যোগ্যতার মাপকাঠি ছুঁতে পারবে। আর এটাও তো সত্যি এটা মার্কেট ইকনমির যুগ। যাতে আর্থিক লাভ অতি সামান্য সেদিকে তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকবেই বা কেন। যেভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের এখন অন্তিম দশা। ভারতের অবস্থাটা অবশ্য এর ঠিক উল্টো। এখানে বাকি সব খেলার ম্লান এবং করুণ পরিস্থিতি। প্রবল জনপ্রিয়তার জন্য ক্রিকেটই একমাত্র বিনিয়োগের জায়গা। সারা দুনিয়া এখন স্পনসর নির্ভর। এককালের হ্যাপি গো লাকি ধ্যান ধারণা এখন অবলুপ্ত।

    সুরিন্দর কাল রাত্রে এসে স্পন্দনের সঙ্গে দেখা করে গেছে। অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা হল দুজনে। ভারতের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুজনের অনেক কথা হল। সুরিন্দরকে বিশেষ আশাবাদী মনে হল না, বিশেষ করে ট্র্যাক পারফরমেন্সের ব্যাপারে। সুরিন্দর সতের বছর বয়স পর্যন্ত কলকাতায় ছিল। পরে ওদের পরিবার দিল্লী চলে যায়। তারপর জলন্ধর। সে ভাল বাংলা বলতে পারে। সুরিন্দর বলল, ‘ট্র্যাকে আমি অ্যাবসোলিউটলি কাউকে দেখছি না। পার্টিকুলারলি ওয়ান হানড্রেড অ্যান্ড টু হানড্রেড মিটার স্প্রিনটিং-এ। পাঞ্জাবে এনাফ অ্যাথলেটিক লেগ্যাসি আছে, বাট স্টীল দা সিনারিও ইজ সো মিজারেবল। জানিনা এখন বেঙ্গলে কি কন্ডিশান। অনেকদিন ডিট্যাচাড.... তবে পারফরমেন্স ডেটা রেগুলারলি পাই। একেবারেই অপটিমিস্টিক হতে পারছি না। তেমন ইনফ্রাস্ট্রাকচারও নেই, আর স্পনসরশিপও অলমোস্ট নিল। স্টীল আই অ্যাম নট টু গিভ আপ। আমাদের এগোবার চেষ্টা করতে হবে। দেখ তো তোমার জোনে কোন ছেলে চোখে পড়ে কিনা..... পার্টিকুলারলি হানড্রেড মিটারস-এ। এই মোটামুটি.... আমরা তো কোন উইসেন বোল্ট চাইছি না ..... হা: হা: হা:.... টেন প্লাস সেকেন্ড হলেই চলবে ...। ’

    স্পন্দন আর কি বলবে। সে তো জানে তার নিজের জায়গার পরিকাঠামো। ওখানে সবাই ক্রিকেটার হতে চায়। তবু ভদ্রতার খাতিরে বলল, ‘দেখি.... কাউকে চোখে পড়ে কিনা। ইন ফ্যাক্ট, ওদিকে তো এ লাইনে তেমন ন্যাক নেই .... দেখি কি করা যায় ....’

    তৃতীয় দিন একশো থেকে আটশো মিটার স্প্রিন্টিং-এর সবকটা ইভেন্টই হয়ে গেল। স্পন্দন খুব মন দিয়ে দেখল ইভেন্টগুলো। কিন্তু টাইমিং দেখে মোটেই আশাবাদী হতে পারল না। সর্বোত্তম টাইমিং হল একশো মিটারে পনের সেকেন্ড। আর বাকিগুলোর কথা না বলাই ভাল।

    এরা নাকি অলিম্পিকের জন্য ন্যাশনাল ট্রায়ালে নামবে !

    রাত নটা নাগাদ নীচে ডাইনিং থেকে খাওয়া সেরে তিন তলায় নিজের ঘরে উঠছিল। হেঁটেই উঠছিল। কাল কলকাতায় ফিরে যাবে স্পন্দন। তিনতলায় উঠে বাঁদিকের প্রথম ঘরটাই স্পন্দনের। আজ রবিবারের রাত হোটেল ফাঁকা ফাঁকা। সিঁড়ির শেষ বাঁকে পৌঁছে ওপরে তাকিয়ে দেখল ধবধবে ফর্সা শরীরের পঁচিশ ছাব্বিশ বছরের একটা মেয়ে কালো রঙের কুর্তি পরে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে অনেক পুরনো ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল ভারতের বিভিন্ন হোটেলে। প্লেয়ার হবার অনেক জ্বালা। সুরিন্দরের কেরিয়ার তো এদের পাল্লায় পড়েই ভেসে গেল।

    স্পন্দন ওপরে উঠতে লাগল। বাঁদিকে ঘুরে নির্বিকারভাবে পকেট থেকে ঘরের চাবি বের করল। মেয়েটা ম্যাসকারা টানা চোখে স্পন্দনের দিকে সটান তাকিয়ে রইল রূপোলি হাসিমাখা মুখে। সারা শরীরে স্নায়ুবিবশকারি সুগন্ধ। শরীর দুলিয়ে সপ্রতিভ ভঙ্গীতে বলল, ‘হাই ... গুড ইভনিং স্যার।’
    স্পন্দন ওর দিকে না তাকিয়ে লক খুলতে খুলতে বলল, ‘গুড নাইট ...’
    —‘ও সরি .... গুড নাইট ...’
    মেয়েটা কপালের চুল সরাতে সরাতে বলল, ‘মে আই হেল্প ইউ.... দিস নাইট?’
    — ‘নো ... থ্যাঙ্কস’
    স্পন্দন লক খুলে দরজা ফাঁক করল। মেয়েটা আবার বলল, ‘ইউ আর সো হ্যান্ডসাম স্যার .... রেট ইজ নো ইস্যু .....দেখিয়ে অগর ......’
    ‘নো ... সরি .... থ্যাঙ্কস, গুড নাইট’, বলে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল স্পন্দন।
    মেয়েটা বিরক্তিতে মুখ বেঁকিয়ে ‘ক্যালাস .... ডিসগাস্টিং ... বেকার কি আদমি’, বলে ওখান থেকে সরে গেল।

    সে পরের দিন কলকাতায় ফেরবার ট্রেন ধরল। সুরিন্দর স্টেশনে এসেছিল তাকে ছাড়তে। ট্রেনে ওঠার আগে গভীর আন্তরিকতায় সে স্পন্দনের হাত চেপে ধরে রইল অনেকক্ষণ। আবার বলল, ‘একটু দেখিস ভাই। কোয়ালিটি স্টাফ যদি কেউ থাকে’।
    — ‘আমি নিশ্চয়ই চেষ্টা করব। কিন্তু জানি না কিছু করতে পারব কিনা। এনিওয়ে আই উইল বি অন দা লুক আউট টু ফাইন্ড সামওয়ান।’
    সুরিন্দর এতেই খুশি। ফের একবার হাত ঝাঁকিয়ে বলল, ‘ওকে ... ওকে .... থ্যাঙ্কস এ লট ... ন্যাশনাল প্রেস্টিজ বলে কথা। বুঝতেই তো পারছিস।’
    — ‘ও শিওর শিওর .....’

    মধ্যমগ্রাম স্টেশনের কাছে খাবারের দোকানটার নাম ‘তৃপ্তি’। স্পন্দন, ওখান থেকে ছটা রুটি আর তরকারি খেল। অফিসের কাজে এসেছে। সরকারের লাইসেন্স ডিপার্টমেন্টের কর্মী সে। একটা শপিং মলের চারটে নতুন শোরুমের ইন্সপেকশানে এসেছে সে। বেরিয়েছে সকাল নটায়। সঙ্গে আছে সহকর্মী তপন ধর। বেলা দুটো বাজে প্রায়। তপন ধর দোকানের ভিতরে বসে জুত করে ভাত মাছ খাচ্ছে। তার খেতে প্রচুর সময় লাগে। একদিনও ভাত না খেলে তার চলে না। ভেতো বাঙালী যাকে বলে।

    দোকানদার কাউন্টারে বসে খদ্দের সামলাচ্ছে। দোকানের একপাশে একটা স্যান্ট্রো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িতে এক দম্পতি এবং তাদের সতের আঠারো বছরের ছেলে টোস্ট ওমলেট আর চা খেয়ে, বিল মিটিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসল। ভদ্রলোক নিজেই ড্রাইভারের সিটে। গাড়ি ছেড়ে দিল। গাড়ি ছাড়বার পর দোকানের মালিকের হঠাৎ চোখ পড়ল তার কাউন্টারের একপাশে রাখা একটা ক্যারিব্যাগের দিকে। ক্যারিব্যাগের ভিতরে কিছু জিনিস আছে। কি আছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। জমকাল ক্যারিব্যাগে লেখা রয়েছে ‘বেনারসী প্যালেস, কলেজ স্ট্রীট’। দোকান মালিক ব্রজেনবাবুর মনে পড়ল, ভদ্রলোক খেতে বসার আগে প্যাকেটটা তাকে রাখতে দিয়েছিলেন।
    ব্রজেনবাবু বলে উঠলেন, ‘এই যা: .... এটা ফেলে গেল যে .... ও বাবা শুভ .... দেখত বাবা ধরতে পারিস কিনা..... এসব ঝক্কি আমি মোটে নিতে পারি না ....’
    স্পন্দন খাওয়া শেষ করে দোকানের বাইরে একটা চেয়ারে বসে ছিল। সে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল স্যান্ট্রো গাড়িটা প্রায় একশ মিটার বেরিয়ে গেছে এবং রাস্তা ভাল নয় বলে চলছে মাঝারি গতিতে।
    স্পন্দন দেখল পায়ে ছেঁড়াখোঁড়া কেডস জুতো পরা একটা চোদ্দ পনের বছরের ছেলে, যে কাপডিশ ধোয়ায় ব্যস্ত ছিল সে জলের কল একটা মোচড় মেরে বন্ধ করে যেভাবে নুলিয়ারা জলের পোকার মতো সাগরের ঢেউয়ে ঝাঁপ মারে ডুবন্ত কাউকে উদ্ধার করার জন্য, ঠিক সেভাবে পলক ফেলতে না ফেলতে রাস্তায় নেমে একটা চিতাবাঘের মতো ছিটকে গেল গাড়িটাকে ধরার জন্য।ঠিক যেন কোন সার্কিটে চারশো চল্লিশ ভোল্টের স্পার্ক লাগল। স্পন্দন চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে রইল ওই ছুটন্ত চিতার দিকে। ব্রজেনবাবু স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বললেন— ‘ও পারে ...ধরে নেবে ঠিক ....’।

    স্পন্দন কোন চিতাকে কখনও চোখের সামনে দৌড়তে দেখে নি। তার মনে হল সেটাই দেখছে সে। রাস্তা অবশ্য ফাঁকা ছিল। প্রায় আড়াইশো মিটার দূরে আবছা দেখা গেল গাড়িটা থেমে গেছে। একটু পরে দেখা গেল গাড়িটা ঘুরে আবার ‘তৃপ্তি’-র দিকে আসছে।

    স্পন্দনের বুকের ভেতর কে বিউগল বাজাতে লাগল। তার মনে হল সে স্বপ্ন দেখছে না তো। একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়ে সে হিসেব করতে লাগল সেকেন্ডে কত মিটার গতিতে দৌড়লে একটা চলন্ত মোটরকে ধরে ফেলা যায়। যদিও শেষ পনের বিশ মিটার আগেই তার চিৎকার এবং রিয়ার ভিউ গ্লাসে তাকে দেখতে পাওয়ার দরুণ গাড়িটা থেমে গিয়েছিল, তবুও ..... গোটা ব্যাপারটা স্পন্দনের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হল। তার মনে সুরিন্দরের নিরাশাপীড়িত মুখটা ভেসে উঠল। ‘তৃপ্তি’ হোটেল এবং তার আশপাশে কারো কোন হেলদোল হল না অবশ্য। তারা শুভ্রর এরকম দৌড় দেখতে অভ্যস্ত। শুধু ব্রজেনবাবু বললেন, ‘কি .... বলেছিলাম না ! .... ও খুব দৌড়তে পারে ....’। কথাটা বোধহয় সম্মোহিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা স্পন্দনের উদ্দেশ্যে বলা।

    ও যে ‘দৌড়তে পারে’ তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এর পর তার কর্ত্তব্য কি সেটাই স্পন্দন ভাবতে লাগল। এতক্ষণে তপন ধরের ‘মাছ ভাত’ খাওয়া হয়ে গেছে। সে বেসিনে আঁচিয়ে এসে রুমাল দিয়ে হাত মুখ মুছতে মুছতে বললেন, ‘আ ... আ: বেশ খেলাম .... খুব তৃপ্তি পেলাম .... কত হয়েছে?’

    গাড়ির ভদ্রলোক তার ক্যারিব্যাগ নিয়ে নির্বিকারভাবে বিদায় হবার পর স্পন্দন ব্রজেনবাবুর কাছে গিয়ে বলল, ‘একটু কথা ছিল....’।

    (পরের অংশ পরের পর্বে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:b0b1:9445:165:70e4 | ১৪ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:২৭502668
  • ভাল লেখা। 
    'সর্বোত্তম টাইমিং হল একশো মিটারে পনের সেকেন্ড' - এটা কিন্তু ​​​​​​​সম্ভব ​​​​​​​নয়, ন্যাশানাল অ্যাথলেটিক মিটে । ​​​​​​​অনেক ​​​​​​​কম ​​​​​​​হওয়ার ​​​​​​​কথা। 
    বহু বছর আগে কলেজে দৌড়তাম। তখন আমাদের ১০০ মিটারে ১২ সেকেন্ড বা আরও কম টাইমিং ছিল, যদ্দুর মনে পড়ে। স্মৃতি প্রতারণা করতে পারে, কিন্তু গুগল করে এটা দেখলাম, ২০১৭-এর ডেটা -
     
    Pawan Dhahiya of IIT Bombay, covered 200 mts in 22.0 seconds. (Men) and 100 mts in 10.8 seconds. (Men)​​​​​​​
  • Anjan Banerjee | ১৫ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:১২502675
  • হ্যা ঠিকই বলেছেন।  অসাবধানতাবশত টাইমিং-এর এরকম দু একটা গন্ডগোল হয়ে আছে লেখাটায়। এডিট করতে হবে । অনেক ধন্যবাদ।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:7955:1fa6:38b9:ccb8 | ১৬ জানুয়ারি ২০২২ ১২:২৫502707
  • ৫ পর্ব পড়লাম, জমাটি লেখা হচ্ছে, সেটাই জরুরী। 
    টাইমিং গুলো পরে ঠিক করে নেবেন, ভারতে এখন বেস্ট টীইম কত, ১০০ মিটার, ৪০০ মিটার ইঃ-তে সেই অনুযায়ী। বিগ ডিল, কিছু না 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন