এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • স্টপার - ৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ | ৩৬৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • সবুজের সঙ্গে বাড়ি ফিরে শংকর দেখল কৌশিক দত্ত এবং আর এক ভদ্রলোক বসে আছে। দ্বিতীয় ভদ্রলোককে শংকর চেনে না।

    কৌশিকবাবু বললেন, ‘আরে ....এই তো এসে গেছে। এই দেখ কেমন ঘাঁটি গেড়ে বসে আছি। মাঠ থেকে সোজা এখানে আসছি। গরজ বড় বালাই ....’

    শংকর বলল, ‘ হ্যাঁ ... ভাল করেছেন। মাঠে দেখেছি আপনাদের।’

    — ‘হ্যাঁ ওখানে আর ডিস্টার্ব করিনি তোমায়।’

    কৌশিক দত্ত আপনি থেকে তুমিতে চলে গেলেন।

    তার সঙ্গের ভদ্রলোকের দিকে শংকর তাকিয়ে আছে দেখে কৌশিকবাবু বললেন, ‘ইনি হলেন ডক্টর দেবাশিস মিত্র। অর্থোপেডিক সার্জেন। আমার মাসতুতো ভাই। ফেরবার সময় একেবারে জোর জবরদস্তি চেম্বার থেকে তুলে নিয়ে এলাম। গরজ বড় বালাই ..... নবারুণকে এবার সেকেন্ড ডিভিশনে তুলতেই হবে। না হলে আমি ভেঙে চুরমার হয়ে যাব।’

    শংকর কি বলবে ভেবে না পেয়ে চুপ করে রইল। সে খাটের একপাশে গিয়ে বসল।

    ডাক্তারবাবু শংকরের ক্রেপ ব্যান্ডেজ বাঁধা হাঁটুটা নানাভাবে দেখে বললেন, ‘আপনার ইনজিওরি কি অনেক দিনের?’
    — ‘হ্যাঁ, তা অনেক দিনের। প্রায় পনের বছরের।’
    — ‘আগে কোন ট্রি টমেন্ট বা ক্নিনিক্যাল টেস্ট হয়েছিল?’
    — ‘না তেমনভাবে কিছু হয় নি। মানে, সম্ভব হয় নি। ওই.... কিছু ওষুধ খেয়েছিলাম কিছুদিন। সেটাও বেশিদিন চালাতে পারিনি।’

    কাবেরি সবাইকে চা আর সিঙ্গাড়া দিল। অক্ষর আর বৈশালি বাড়ি নেই। ওদের জন্য দুটো সিঙ্গাড়া ঠোঙায় মুড়ে রেখে দিল রান্নাঘরে।

    ঘরের বাইরে রাস্তায় মাঝেমাঝে রিক্শার হর্ণ বাজছে। জোরে জোরে তর্ক করতে করতে কারা যেন গেল।

    — ‘যা হয়েছে হয়েছে । আপনি যদি এখনও খেলা কন্টিনিউ করতে চান আপনাকে প্রপার মেডিক্যাল কেয়ার এবং সুপারভিশানে থাকতে হবে। না হলে কিন্তু মুশ্কিল হয়ে যাবে। এতদিনের পুরোন চোট .....’

    ডক্টর মিত্র চায়ের কাপে চুমুক দেন। তারপর বলেন, ‘কন্ডিশানটা দেখে নেবার জন্য আমি একটা এমআরআই ইমিডিয়েটলি করিয়ে নিতে চাই।’

    শঙ্কর হতভম্বের মতো তাকিয়ে থাকে। বলে, ‘কিন্তু .... আমার পক্ষে তো ওসব .... মানে, ওসব অনেক টাকা .....’।

    কৌশিকবাবু শংকরের কথাটা থামিয়ে দিলেন, ‘ওগুলো আমার ওপর ছেড়ে দাও। তোমার হাঁটুর ওপর আমার মরণ বাঁচন নির্ভর করছে। ট্রিটমেন্ট সিস্টেমেটিক অ্যান্ড থরো হওয়ার দরকার’।

    তারপর দেবাশিস মিত্রের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যা যা দরকার তুই লিখে দে। আমি ইমিডিয়েটলি চিকিৎসা শুরু করতে চাই। অপারেশানটা আপাতত অ্যাভয়েড করতে পারলে ভাল হয়। সিজনের পরে না হয় ....’।

    — ‘ওভাবে কিছু বলা যাবে না। এমআরআই রিপোর্ট দেখে যা বলার বলব’। দেবাশিস মিত্র তার ডাক্তারি গাম্ভীর্য বজায় রাখেন।

    কৌশিকবাবু বাধ্য পেশেন্ট পার্টির মতো বললেন, ‘হ্যাঁ ... সে তো বটেই, সে তো বটেই ....’।

    শংকর এবং কাবেরী দুজন এইসব বড়লোকি চিকিৎসা ব্যবস্থার নিদান শুনে হতভম্ব হয়ে বসে রইল। ফুটবল সংসারের দায়িত্বের জোয়াল বইতে বইতে শ্রান্ত হয়ে যাওয়া খেপ খেলে বেড়ান এক স্টপারের বুড়ো একটা হাঁটু যে রাতারাতি এত দামী হয়ে উঠতে পারে তা এদের স্বপ্নেরও অগোচর ছিল।

    কৌশিকবাবুরা বিদায় নেবার সময়ে সাদামাটা অল্পশিক্ষিত কাবেরি অকপট কন্ঠে বলল, ‘আবার আসবেন ...’।

    কৌশিকবাবু কাবেরির দিকে তাকিয়ে হাসলেন এবং একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘না এসে যাব কোথায়? গরজটা তো আমারই .....’। তারপর আকুতিমাখা কন্ঠে বললেন, ‘শংকরকে একটু সাবধানে রাখবেন। বুঝতেই তো পারছেন সামনেই সিজন। ওর ওপরই ডিপেন্ড করে আছি .... চিকিৎসার সব দায়িত্ব আমার .... কাল নিয়ে যাব এমআরআই করাতে।’

    বাককৌশলহীন কাবেরি সরল মুখে নীরব হাসি হেসে দাঁড়িয়ে রইল। এরকম কত ফুটবল ‘সিজন’ বয়ে গেছে এ পৃথিবীর বুকের ওপর দিয়ে কিন্তু ‘সিজন’-এর এমন মনোরম রূপ তো সে আগে দেখে নি কখনও। কাবেরি এবং শংকর দেখল রাস্তার একপাশে দাঁড় করানো একটা অল্টো গাড়িতে গিয়ে দুজনে উঠল। শংকর এগিয়ে দিল ওদের। গাড়িতে ঢোকার আগে কৌশিক দত্ত মুখ ঘুরিয়ে বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা সবুজের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ল।

    বৈশালি বাড়ি ফিরল রাত দশটা নাগাদ। বাইকে করে একটা ছেলের পিছনে বসে বাড়ি ফিরল। ছেলেটা বৈশালিকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল।

    বৈশালি ঘরে ঢুকতেই কাবেরি রুক্ষ গলায় বলল, ‘কোথায় গিয়েছিলি?’
    — ‘বা রে .... আমি তো বলেই গেলাম পৌলমির বাড়ি যাচ্ছি.... আজ ওর জন্মদিন। আমার কাছে দেড় শো টাকা ছিল, তাই দিয়ে গিফট কিনেছি।’
    — ‘কোথায় পৌলমির বাড়ি?’
    — ‘ডানলপে’
    — ‘ছেলেটা কে?’
    — ‘কোন ছেলেটা?’
    — ‘এই যার বাইকে চেপে এলি’
    — ‘পৌলমির কাজিন’
    কাবেরি যতই সরলমনা হোক, সে তো মেয়ের মা। সে এবার আসল প্রস্তাবে আসে,
    — ‘আগে থেকে চিনতিস?’
    — ‘না .... মানে একদিন দেখা হয়েছিল পৌলমিদের বাড়িতে।’
    — ‘ব্যস .... তাতেই এদ্দুর .... একদিনের আলাপ, তাতেই তার সঙ্গে একেবারে বাইকে উঠে পড়লে ....’
    — ‘তাতে কি হয়েছে? পৌলমিই তো বলল সার্থক শ্যামবাজারে যাবে, তুই ওর সঙ্গে চলে যা .....’
    — ‘পৌলমি বলল আর তুমিও সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলে.... একেবারে একপায়ে খাড়া .... পড়াশোনায় অষ্টরম্ভা .... বছর বছর ফেল করছে আর ছেলেদের সঙ্গে আদিখ্যেতা করে বেড়াচ্ছে।বড়লোকের ছেলে দেখলেই অমনি.... কপাল কপাল.... ’
    বৈশালি এবার ঝাঁঝিয়ে ওঠে, ‘একদম বাজে কথা বলবে না বলে দিচ্ছি.... সব কিছুর একটা লিমিট আছে .... যা মুখে আসছে বলে যাচ্ছ তখন থেকে .... লজ্জা করে না ! ....’
    — ‘চুপ কর.... চুপ কর বলছি .... জানোয়ার মেয়ে কোথাকার ...’
    — ‘কি ... কি বললে .... মুখ সামলে কথা বল ....’
    শংকর বাথরুমে ঢুকেছিল। চেঁচামেচি শুনে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এল।
    — ‘ এবার চুপ কর তোমরা .... অনেক হয়েছে। রোজ এই একই জিনিস ভাল লাগে না। বিশা যা ওদিকে যা .... ভাল লাগছে না একদম।’
    — ‘তোমার আস্কারা পেয়ে পেয়েই মেয়ে এই রকম হয়েছে।’ কাবেরি শংকরের ওপর ঝাল উগরে দেয়।
    ‘ .... বুঝবে বুঝবে .... সব বুঝতে পারবে.... তখন আর করার কিছু থাকবে না .... ’

    এই সময়ে ক্লান্ত দেহে অক্ষর বাড়ি ঢুকল। ভীষণ খাটায় মনে হয় ওর দোকানে। কোন কথা না বলে পাশের ঘরে চলে গেল। শংকর লক্ষ্য করেছে অক্ষর ইদানীং কেমন গোমড়া মেরে থাকে । কি যেন চিন্তা করে সবসময়। বোধহয় নিজের ভবিষ্যতের কথা ভাবে। পড়াশোনাটাও ঠিকমতো করল না.... কি যে হবে! সবুজেরও বয়স বাড়ছে আস্তে আস্তে। তারও বা কি যে ভবিষ্যৎ কে জানে!

    দুদিকের উয়িং থেকে একের পর এক ক্রস উড়ে আসছে লাগাতার।

    স্টপারকে ঘাবড়ে গেলে চলে না। দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তার কাজ। ফাইনাল ট্যাকলে যাবার আগে তাকে সেকেন্ডের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ট্যাকল মিস হলেই সর্বনাশ। অপোনেন্ট বল নিয়ে বেরিয়ে যাবে .....

    কৌশিকবাবু তার জন্য এত কিছু করার কথা চিন্তা করছেন। কিন্তু তার কি সত্যিই তেমন কিছু দেওয়ার ক্ষমতা আছে এখনও।

    কাল তাকে এমআরআই করাতে নিয়ে যাবেন কৌশিক দত্ত। তিনি বললেন গরজ নাকি তারই।

    রাত বেড়ে গেল দেখতে দেখতে। রাস্তা নিঝুম হয়ে এসেছে। খাওয়া দাওয়া সেরে ভীষণ ক্লান্তদেহে বিছানায় শরীর ফেলল শংকর । ঘুমের ঘোরে বাবা প্রশান্ত দত্তকে স্বপ্নে দেখল সে। তার বাবাকে অনেকে একসময়ে সুধীর কর্মকারের সঙ্গে তুলনা করত।

    স্বপ্নে ভেসে উঠল খুব ছোটবেলায় দেখা ইস্টবেঙ্গল মাঠে বাবার করা একটা স্লাইডিং ট্যাকল, পেনাল্টি বক্সে ছ গজের মধ্যে। নিশ্চিত গোল। গোলকিপার মাটিতে পড়ে আছে। স্ট্রাইকার ডান পা তুলেছে ফাইনাল টাচটা দেবার জন্য। হঠাৎ পিছন থেকে বিন্দুমাত্র বডি টাচ ছাড়া একটা স্বপ্নের মতো ট্যাকল হল। বল ছিটকে বেরিয়ে গেল গোললাইনের বাইরে।

    তারপর ভেসে উঠল পাজামা পাঞ্জাবী পরা আলুথালু চেহারার বরানগর ইউনাইটেডের প্রদীপ ঘোষের মুখ। ‘...... শংকর তুই এই একটা সিজন বরানগরে খেলে দে..... এটা তোর কাছে আমার অনুরোধ.... আমি আর কদিনই বা বাঁচব .....’

    শ্রাবণের রাত ক্রমে গভীর হচ্ছে।

    (এরপর পরের পর্বে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:1071:25c4:6f93:aaac | ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:০৪502391
  • বাঃ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন