এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নবদিগন্ত - ২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ ডিসেম্বর ২০২১ | ৪১০ বার পঠিত
  • প্রদ্যুৎ ঘোষেরা ঘরে ঢুকে একবার, আবার বেরোবার সময় একবার গৌরীদেবীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করল। গৌরীদেবী ছেলের গৌরবে প্রগাঢ়ভাবে আপ্লুত হলেন। তার জীবনে সুখের মুহূর্ত খুব বেশি আসেনি। যে কবার এসেছে তার মধ্যে এটা একটা। গৌরীদেবী বললেন, ‘বেঁচে থাক বাবা। বড় ভাল লাগল .... আবার এসো’।

    প্রদ্যুৎবাবু অকৃত্রিম আন্তরিকতার সঙ্গে বললেন, ‘হ্যাঁ মাসীমা নিশ্চয়ই আসব। দেবুর জন্যে আমাদের যা করনীয় সবই করব। ভাল থাকবেন।’

    রাস্তায় নেমে প্রদ্যুৎ বলল, ‘দেবু তালে ওই কথাই রইল। ডেটটা সেভেন্থ জানুয়ারী। স্পনসর বা ডোনারের ব্যপারটা দেখছি কি করা যায় .....’

    দেবু বলল, ‘আমি আর কি বলব.... এসব তো ভাবিনি কখনও ....’।

    — ‘না না .... আমাদের তো অনেক আগেই ভাবা উচিৎ ছিল। নবদিগন্তে তুই এত বছর সার্ভিস দিয়েছিস। তাছাড়া আমি অন্তত পার্সোনালি মনে করি তোর অনেক বেশি রেকগনিশান পাওয়া উচিৎ ছিল। তাই চ্যারিটিটা কোন বড় কথা নয়। আমরা একটা বড় প্ল্যাটফর্মে সুযোগ দিতে চাই তুই আসলে কোন লেভেলের ব্যাটসম্যান ছিলি সেটা তোকে যারা পেছনে টেনে ধরার চেষ্টা করেছে পুরো কেরিয়ার, তাদের মুখ তোবড়ানো একটা জবাব দেবার। আর পাবলিকের আদালতেও খোলামেলা বিচার হোক। আমরা অনেক প্রাক্তন প্লেয়ারকে ইনভাইট করব খেলার দিন।’

    — ‘ও বাবা..... আমার পক্ষে এই বুড়ো বয়সে কি ওরকম পারফর্ম করা সম্ভব নাকি! কি যে বলিস ..... !’

    — ‘ওটা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। আমি বিশ্বাস করি রিয়েল ক্লাস কখনও মরে না। ট্যালেন্টকে ধ্বংস করা যায় না। তুই কিচ্ছু চিন্তা করিসনি। ঠিক পারবি তুই .... আমরা তোকে চার নম্বরেই খেলাব। তোর পার্মানেন্ট ব্যাটিং অর্ডার। তুই এক কাজ কর। আমাদের প্র্যাকটিসেই আয়। কিছুদিন নেট কর ওখানে।’

    দেবু বলল, ‘আচ্ছা ঠিক আছে।’

    — ‘ঠিক আছে আসি এখন।’

    প্রদ্যুৎ ঘোষ একটা সিগারেট ধরায়। তারপর ওরা তিনজন রাস্তার মোড়ের দিকে হাঁটতে থাকে।

    পরদিন সকালে থলে নিয়ে বাজারে যাবার জন্য বের হল দেবু ব্যানার্জী। মীনা বাসন মেজে ঘর মুছে দিয়ে চলে গেছে। মীনা এ বাড়িতে কাজ করছে প্রায় পাঁচবছর। অসুখ বিসুখ না করলে কামাই করে না। সে কৌস্তভদের বাড়িতেও কাজ করে। সে হঠাৎ বলল, ‘দাদা আপনি নাকি আবার খেলবেন.... খুব বড় খেলা হবে নাকি ..... ও বাড়ির দাদা বলছিল। আমাকে দেখতে নিয়ে যাবেন?’

    — ‘হ্যাঁ, ওই হবে একটা .... দেখা যাক ....’, দেবু দায়সারা গোছের উত্তর দিল।

    রাস্তায় বেরোতেই দেখল বাড়ির উল্টোদিকে নিকাশিপাড়ার মাঠে নেটে ব্যাট করা সেই ছেলেটা, কান্তম না কি নাম দাঁড়িয়ে রয়েছে। সঙ্গে এক ভদ্রমহিলা। দেখে মনে হচ্ছে ছেলেটার মা। দেবুকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখে ওরা দুজন এগিয়ে এল।

    কান্তম বলল, ‘বাজারে যাচ্ছেন কাকু। আপনার কাছে এলাম।’

    সঙ্গের ভদ্রমহিলাকে দেখিয়ে বলল, ‘আমার মা’।

    দেখে দেবুর মনে হল ভদ্রমহিলা খুব নীরিহ এবং নরম বিনয়ী ধরণের। তিনি হাত জোড় করে বললেন, ‘নমষ্কার দাদা। কান্তম আমাকে সেদিনের কথা সব বলছিল।’
    — ‘কি কথা?’
    — ‘এই.... আপনি কিভাবে সেদিন ওকে ট্রেনিং দিয়ে দিয়েছিলেন’
    — ‘না না আমি ট্রেনিং দিই নি। আমি কোন ট্রেনার নই। খেলতাম এক সময়ে তাই একটু আধটু জানি এই আর কি ....’
    — ‘হ্যাঁ সেটাই । আপনি কিরকম খেলতেন সেটা আমার ছেলে সেদিন বুঝতে পেরেছে। আমার ছেলে যদি কোনদিন ওরকম খেলতে পারে তালে ওর ওপরে ওঠা কেউ আটকাতে পারবে না। জানেন..... ওর বাবা মারা গেছে দুবছর আগে। এখন এই ছেলেই আমার একমাত্র ভরসা।’

    দেবু একটু অধৈর্য হল — ‘আপনি আমাকে কি করতে বলেন?’

    — ‘আপনি যদি কান্তমকে একটু গাইড করেন কিভাবে নবদিগন্তে ঢোকার চান্স পাওয়া যায় এবং আপনি একটু কোচিং করেন।’

    তিনি আবার বললেন, ‘এই ছেলেই আমার একমাত্র ভরসা। খেলে যদি একটা চাকরি বাকরি পায় সেই আশায় দিন গুনছি। দয়া করে যদি একটু সাহায্য করেন। আমাদের তো জানাশোনা তেমন কেউ নেই ..... তাই আপনি যদি একটু ....’

    — ‘দিদিভাই আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। আমার কোন ক্ষমতাই নেই। বলছেন যখন ব্যাটিং-এর ব্যাপারে আমি নিশ্চয়ই কিছু সাজেশান দেব। কিন্তু এর বেশি কিছু তো আমার .... হ্যাঁ নবদিগন্ত ক্লাবকে আমি অবশ্যই একবার বলব ওকে রিক্রুট করার জন্য। কিন্তু ডিসিশান তো তাদের হাতে। তারা আমার কথা শুনবেই তেমন কোন কথা নেই। তবে হতাশ হবেন না। জানুয়ারীর সাত তারিখে আমার একটা ওয়ান ডে ম্যাচ খেলার কথা আছে। তাতে ভাল কিছু করতে পারলে দু চারজন হয়ত আমার কথা শুনলেও শুনতে পারে ..... দেখা যাক .... সেদিন আপনারা মাঠেও থাকতে পারেন। কোন টিকিট লাগবে না। ওপেন টু অল।’

    কান্তমের মা আবার হাতজোড় করে বললেন, ‘অনেক ধন্যবাদ দাদা। আমরা সাতই জানুয়ারির দিকে তাকিয়ে থাকব। মাঠে যাবার প্রচন্ড ইচ্ছা রইল। ভগবান যদি মুখ তুলে চান ..... আজ তালে আসি দাদা। একটু মনে রাখবেন প্লিজ ....’

    কান্তম বলল, ‘আসছি কাকু’।

    দেবু বাঁ হাত ওপরে তুলল।

    ইডেন গার্ডেন পাওয়া গেল না শেষ পর্যন্ত। বালীগঞ্জের একটা মাঠে খেলার আয়োজন হল। ছোট হলেও সুন্দর মাঠ। মাঠের দুদিকে গ্যালারি আছে। মাঠটা সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে।মাঠে কার্পেটের মতো ছাঁটা ঘাস আছে। চারদিকে গাছপালা আছে অনেক। মনোরম পরিবেশ। পিচ ভালো করে রোল করা হয়েছে। মনে হচ্ছে আগাগোড়াই স্পোর্টিং উইকেট থাকবে। বোলার এবং ব্যাটসম্যান সমান সাহায্য পাবে। বাংলার প্রাক্তন ডাকসাইটে ক্রিকেটার অনেকেই আমন্ত্রণ রক্ষা করে উপস্থিত হয়েছেন। তারা সকলেই দেবু ব্যানার্জীকে চেনেন এবং দু একজন সিনিক প্রকৃতির লোক ছাড়া বেশির ভাগই দেবপ্রসাদের গুণগ্রাহী। দক্ষিণদিকে উইকেটের পিছনে তাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে তারা বলের নড়াচড়া দেখতে পান। প্রাক্তনীরা খুব খুশি। নিজেদের ক্রিকেটার গোষ্ঠীর মধ্যে অনেকদিন পর প্রাণ খুলে আড্ডা দিচ্ছেন। প্যাভেলিয়ন উইকেটের আড়াআড়ি। একদিকের স্টাম্পের মিড উইকেটের দিকে।

    বেঙ্গল ইলেভেন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ছ উইকেটে দুশো বিরানব্বই রান তুলে দিল পঞ্চাশ ওভারে। দুটো সেঞ্চুরি। নবদিগন্তের সব বোলারই বেদম মার খেল। মাঠ সব দর্শকের জন্য অবারিত দ্বার। শুধু দিনের খেলা। এ মাঠে ফ্লাড লাইট নেই। তারা ধুন্দুমার চার ছক্কা খুব উপভোগ করতে লাগল। দেবু চার ওভার অফস্পিন বোলিং করে আটত্রিশ রান দিল।

    বেলা দেড়টার সময় ব্যাট করতে নামল নবদিগন্ত। কান্তম তার মাকে নিয়ে খেলা দেখতে এসেছে। একদিকে একটা ফাঁকা জায়গা দেখে বসেছে।

    ষোল রানের মধ্যে দুটো উইকেট পড়ে গেল নবদিগন্তের পাঁচ ওভারের মধ্যে। ওপেনার দুজন আশিস ঘোষ আর সিমন রায়, দুজনই এলবিডব্লু হল মনোজ বরাটের ইনসুয়িং মিস করে।

    দেবু প্যাড পরেই বসে ছিল। গ্লাভস পরতে পরতে ব্যাটটা হাতে নিয়ে মাঠে নেমে উইকেটের দিকে হাঁটতে লাগল। পুরোনো অভ্যেস মতো চোখে আলো সইয়ে নেওয়ার জন্য একবার আকাশের দিকে তাকাল। কান্তম আর তার মা উদ্বেলিত হয়ে প্রচুর হাততালি দিতে লাগল। হাততালি, মাঠে উপস্থিত আরও অনেকে দিল, সজল দাসের মতো দুচারজন নিন্দুক ছাড়া।

    মাঠের উত্তর দিকের স্টাম্পে অফ স্টাম্প গার্ড নিল দেবু। উল্টোদিক থেকে জোরালো হাওয়া বইছে। প্রথম বল ..... । মনোজ বরাটের এ ওভারের পঞ্চম বল। ডানহাতি বোলার। অফস্টাম্পের ওপর পুরো লেংথের ডেলিভারি। বলের পালিশ এবং সিম এখনও অটুট। হাওয়ার টানে মাপা নিখুঁত আউটসুয়িং হল। মনোজের ইনসুয়িং। দেবু অফস্টাম্প কভার করে খেলতে বাধ্য হল। বলটা একটুর জন্য কানায় লাগল না। উইকেট কিপার এবং তিনটে স্লিপ আকাশ ফাটানো আবেদন করল। আম্পায়ার বিভ্রান্ত হয়নি। ওভারের শেষ বল। সিমের ওপর সোজাসুজি মনোজের তর্জনির টানে এবার ইনসুয়িং হল। দেবু একদম বুঝতে পারেনি। শেষ মুহুর্তে কোনরকমে ব্যাট নামাতে না পারলে পরিষ্কার বোল্ড হত। ওভার শেষ। বাংলার এক নম্বর পেসার মনোজ বরাট সান্ত্বনা দেওয়ার ভঙ্গীতে ডান হাতটা তুলল দাঁত বার করে হেসে। কান্তম আর তার মা শিউরে উঠল। সজল দাস টেন্টের বাইরে দাঁড়িয়ে পার্থর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল।

    দেবুর মনে তার মায়ের মুখ ভেসে উঠল। মা বোধহয় ঘরের সব কাজ সেরে এবার খেতে বসবে। বেলা প্রায় দুটো বাজে। সূর্য হেলে পড়েছে এই শীতের বেলায়।

    ওদিকের ব্যাটসম্যানের নাম সম্রাট। সম্রাট রায়চৌধুরি। পরের ওভারে আর এক মিডিয়াম পেসার প্রতাপ দিন্দাকে খেলার জন্য তৈরি হয়েছে। প্রথম দুটো বল ফ্রন্টফুটে ব্লক করল। তৃতীয় বলটা অফস্টাম্পের প্রায় একফুট বাইরে। আউটসুয়িং করে আরও বাইরে যাচ্ছিল। লোভ সামলাতে না পেরে এবং খুব সম্ভবত: চাপমুক্ত হবার জন্য ক্রিজে দাঁড়িয়ে স্কোয়্যার কাট মারল। পা মাথা অনেক দূরে। ব্যাটের বাইরের দিকের কানায় লেগে উইকেটকিপারের হাতে সহজ ক্যাচ। সাড়ে পাঁচ ওভারে ষোল রানে তিন উইকেট। এখন দেখার বিষয় একটাই। নবদিগন্ত অন্তত কুড়ি ওভার খেলতে পারে কিনা। প্রতিশ্রুতিমান তরুন কৌস্তভ মিত্র ব্যাট করতে নামল। তার বোলিং যথেষ্ট মার খেয়েছে। ব্যাটিং-এ বাড়তি কিছু করে দেখাবার তাগিদ আছে তার । ক্রিজে দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

    প্রথম বল। কপাল ভাল। অফস্টাম্পের সামান্য বাইরে রসালো হাফভলি। কৌস্তভ ডান পা বাড়িয়ে কপিবুক স্টাইলে ড্রাইভ মারল। কভার আর এক্সট্রা কভারের মধ্যে দিয়ে বল ছিটকে গেল বাউন্ডারিতে। পরের বল লেগ অ্যান্ড মিডলে । মিড উইকেটে ফ্লিক করে একটা সিঙ্গল নিল।

    দেবু অফস্টাম্প গার্ড নিল। পরের বলটা এল মিডল স্টাম্পে বাউন্সার। দেবু অনায়াসে ডাক করল। পরের দুটো বল অফস্টাম্পের অনেক বাইরে।ছেড়ে দিল। পরের বলটা ফাইন লেগে ফ্লিক করে এক রান নিল। শেষ বলটা কৌস্তভ ব্যাকফুটে রক্ষণাত্মক খেলল।

    এবারে মনোজ বরাটের ওভার শুরু হবে। ব্যাটসম্যান পঁয়তাল্লিশ বছর বয়স্ক দেবপ্রসাদ ব্যানার্জী। বোলারের পিঠের দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া আসছে এক নাগাড়ে । রোদে ঝলমল করছে সারা মাঠ।

    ( শেষটুকু পরের পর্বে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন