এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • ইঁদুরের ডায়েরি

    ঝর্না বিশ্বাস লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৫৮৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)




  • বালিশটা তুলতেই ছোটটা মানে আমার ভাই, কুঁই কুঁই করতে করতে সোজা রান্নাঘরে ঢুকে গেল। ওখানে অনেক আগে থেকেই আমার মা উপস্থিত। পপাইদের বাড়িতে আজ জম্পেশ রান্নাবাটি হবে। তাই কাকিমা আয়োজন করছেন আর মা ফ্রীজের তলায় গুমটি মেরে বসে আছে। পপাই-এর পড়ার টেবিল থেকে আমি এসব স্পষ্ট দেখছি। সু্যোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়তে ভাই ওস্তাদ, আজ মা ওর সাথ দিয়েছে। তবে আমি ওসবে নেই, পপাই যা কাগজকুচি করে, সারাদিনে ওতেই আমার নাস্তা হয়ে যায়।

    তাও ইদানিং আমার একটু দুঃখপর্ব চলছে। দিদি নেই, আমি বড় একলা হয়ে পড়েছি। সমস্ত কিছু আগে ওর সাথেই ভাগাভাগি হত, এমনকি পপাইয়ের প্লেট থেকে রুটি নিয়ে এলে দিদি যদিও প্রথমে একটু বকাবকি করত, তবে পরে আবার আদরও করত আমার সাহসীপনা দেখে।

    এদিকে হরিপদবাবু মানে পপাইয়ের বাবার একটা বড় রকমের বদভ্যেস ওই ঘরদোর ঝাড়পোচের। সেদিনও ওই মোটা বাক্সটা নিয়ে টানাটানি। আর দিদি ঠিক তখনই পালিয়ে গেল। কিন্তু কোথায় যে গেল!

    ওকে এ ঘর, ও ঘর কোত্থাও না পেয়ে যখন হতাশ হচ্ছিলাম, ঠিক তখনই মা হেসে হেসে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এল। তাঁর সাদা দাঁতের গর্তে তখনও পাউরুটি লেগে আছে। তা দেখে ভাই সমানে কাঁদতে শুরু করল। মা ওকে অনেক বোঝালো, শেষে না পেরে - বেটা, সোনা করে বলল, ওতে ঝাল সস্‌ লাগা ছিল। না খেয়ে ভালোই করেছ।

    বাবার আজ ছুটি, তাই মায়েরও। পপাইরাও বাড়িতে নেই। ওরা সবাই কদিনের জন্য বেরিয়েছে। তাই অগত্যা আমাকেই খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। এদিকে কাকিমা সব ঢাকাঢাকি করে গেছেন, রান্নাঘরও পরিষ্কার, পপাইও ওর টেবিলের ড্রয়ারে তালা সিস্টেম করেছে। তাই বাইরে থেকেই কিছু আনাতে হবে ভেবে যেই না দরজায় মাথা গলিয়েছি, দেখি দিদি একমুখ হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে। ওর পাশ থেকে কতকগুলো ইচকি পিচকি তখনই ঢুকে গেল বাড়িতে। না করতে পারলাম না, কারণ দিদি বলল ওরা নাকি কদিন পরেই আমাকে মামা বলে ডাকবে।



    যাবার সময় ওদের দু’খানাকে দিদি আমার কাছে রেখে গেল।

    তাই একটা থাকার ব্যবস্থা খুঁজতে আমি হরিপদবাবুর বাক্সটার দিকে এগোলাম। ওখানে মাঙ্কিটুপিতে দুজন বেশ আরাম’সে সেট হয়ে যায়, আর আমিও হাত পা ছুঁড়ে শুতে পারি ওনার মাফলারটায়। আমাদের শোওয়ার এমন ব্যবস্থা দেখে ভাইয়ের প্রথমে খুব হিংসে হচ্ছিল, কিন্তু ওকে সাথে নেওয়া যায় না, রাতে এত আওয়াজ করে যে হরিপদবাবু তখনই উঠে সব কটাকে তাড়ায় আর কি!

    যাবার সময় ওদের দেখাশুনার সাথে দিদি আমায় একটা মস্ত কাজও দিয়ে গেল, একটু শিখিয়ে পড়িয়ে নিতে হবে যার মধ্যে জানি পড়াশুনাটাই মূখ্য কিন্তু আমি তো নিজেই ওসব থেকে দূরে। পপাই যা পড়ে তা মাঝে সাঝে শুনি, তাও বেশিক্ষণ মাথায় থাকে না।

    এদিকে পপাইকে পড়তে দেখে পিচকি দুটোকে বাক্স থেকে টেনে বার করলাম। ওরাও এত্ত কুঁড়ে যে মাঙ্কিটুপি থেকে বেরোনোর নামই করেনা। ওখানেই ওদের নাস্তা-পানির আয়োজন করতে হয়। তাই আজ বকাও খেল দুটো,

    - এত ফাঁকি মারলে আর মানুষ হতে হচ্ছে না।

    এ শুনে চুপটি করে মাথা গলিয়ে ওরা বাইরে এসে দাঁড়াল। পপাই তখন পা দুলিয়ে কী সব যেন পড়ছে। আমি ওদের টেবিলের তলায় বসিয়ে জলখাবারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেখি হরিপদবাবু বসার ঘরে বার্গার চিবোচ্ছেন আর মা, ভাইকে নিয়ে টুকরোগুলোতে মুখ লাগাচ্ছে।

    খুব রাগ হল, ছোট ভাগ্নেগুলোর কথা বেমালুম ভুলে গেছে সে। কাছে গিয়ে চোখ কটমট করাতে ভাই পালিয়ে গেল, সাথে মা`ও কাচুমাচু হয়ে হরিপদবাবুর পায়ের ফাঁক গলিয়ে দে ছুট।

    রোববারটা বাজারে কাকিমা একাই যান। সেদিন একটা বড় পেঁপে নিয়ে উনি যখন ফিরলেন মা দেখে খুব খুশি। রাতে ঠিক হল আমাদের ফলাহার হবে। বাবারও নাকি এই বয়সে ফল খাওয়াটাই শ্রেয়। কিন্তু রাতে উঠে দেখি মা টেবিলের তলায় চুপ মেরে বসে আছে।

    ব্যাপারটা বোধগম্য হলো যখন উঁচু হয়ে দেখলাম কাকিমা ওটা নীল ঝুড়িতে চেপে রেখে গেছেন। তবু মাকে আশ্বাস দিয়ে এই বলে শুতে পাঠালাম, যে সকালে তোমায় ওটা দিয়েই নাস্তা করাব।

    এদিকে রাতে এঘর ওঘর ঘুরে বেরানোর আমার একটু পুরনো অভ্যেস। ওসব করতে গিয়ে শুনি কাকিমা আমাদের নামে নালিশ ঠুকছেন হরিপদবাবুর কাছে। এবং কথাবার্তায় ঠিক হয়েছে পুজোর আগে ঝাড়পোচে সব কোণা পরিষ্কার চাই।

    এই আরেক নতুন চিন্তার শুরু তাও গুটি পায়ে বাক্সতে ঢুকতে গিয়ে দেখি গদির গরমে পিচকিদুটো দিব্যি ঘুমিয়ে আছে।



    সেদিন সকালে কাকিমা সামনের বাড়ির দাদুর সাথে হেসে হেসে গড়িয়ে পড়ছিলেন। কান্ড দেখে আমি চড়াত্‌ করে বেরিয়ে এলাম ড্রয়ার থেকে। এদিকে হরিপদবাবুর বুদ্ধিতে এই টেবিলটা বানানো যার ড্রয়ারগুলোও ওনার বুদ্ধির মতনই ছোট। তাই বেরোতে গিয়ে আমার পিঠটায় সামান্য লাগল। তাও কাকিমা-দাদুর কথাবার্তাটা পরিষ্কার শোনা চাই, তাই উফ্‌আফ্‌ না করে দরজার কাছে এসে গুম মেরে বসে পড়লাম।

    কাকিমা তখন দাদুর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,

    বাব্বা আপনিও না! আমি তো পারিইনা। ওর বাবাকে বললেও ওরা পালিয়ে যায়।

    দাদু কাকিমাকে টেকনিক শেখাচ্ছিলেন তখন। বললেন,

    বাক্এসটাতে এক টুকরো রুটি বা বিস্কুট ঝুলিয়ে দেবেন, দেখবেন কেমন খপাখপ ইঁদুর ধরা পরে।

    এতক্ষণে বুঝলাম আমাদের ফ্যামিলি লুপ্ত করার কাজে নেমেছেন এই দুজন। খুব রাগ হল, বিশেষ করে দাদুর ওপর যখন দেখি ওনার হাতের বাক্স মতো খাঁচাটায় একটা সোনামণি উঁকি মারছে। মায়া হল খুব ওর জন্য। কিন্তু ওকে হাতে নাচাতে নাচাতে দাদু তখনও কাকিমার সাথে গল্প করেই চলেছেন। আর আমি এদিকে ফাঁক খুঁজছি, যেই উনি ওটা নিয়ে বেরোবেন পিছু নেব। ঠিক তাই, গল্প শেষে আমি দাদুর পিছু নিলাম। উনি নিচের গ্যারেজে এসে আগরওয়ালের গাড়ির সামনে ওকে ছেড়ে দিলেন। আর সেই মেয়েও তেমনই, যেই না ছাড়া – এক ছুটে কোথায় লুকিয়ে পড়ল। ওকে না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হল, তবে জানতাম ও নিচেই থাকবে। বাহাদুরের কম্বল তখনও বাইরেতে রাখা ছিল, একটু বুদ্ধি করে যদি মেয়েটা ওতে ঢুকে যায় তো নিশ্চিন্ত।

    আজ দিনের শুরু থেকেই তাও কেমন আকু-পাকু করছিলাম। এদিকে যে ওকে দেখতে যাব তাও পারছিনা। মা নিজেই সকাল থেকে লা`পতা। আমাকে সারা কাজের দায়িত্ব্ব দিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েছেন। আর বাবা তখনও হরিপদবাবুর তোষকে নাক ডাকছে।

    মা ঠিক এক ঘন্টা পর ফিরল। তারপর লিস্টি শোনাচ্ছিল দেরীটার। আমি ওসবে পাত্তা না দিয়ে ঝপাঝপ বাইরে বেরোনোর মুডে, সোনামণি মেয়েটার সাথে আজ আলাপ সারতেই হবে।



    কথায় কথায় জানলাম ওরা এই কদিন হল পাশের বাড়িতে এসেছে। ও বলল,

    বাপি, মা সবাইকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু দাদু এমন নেট লাগিয়ে রেখেছে, যে জানালাতেও গলা বাড়ানো যায় না।

    আমি ওকে আশ্বাস দিলাম,

    ভয় পেওনা মেয়ে। আমি তোমায় মায়ের কাছে নিয়ে যাব।

    ব্যাপারটা কিছু মুশকিল জানি, কারণ দাদু মহা গোলন্দাজ টাইপ। তাও একটা কিছু করতেই হবে।

    এদিকে মেয়েটা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল, স্বভাবতই এ ঘটনা আমারও প্রথম তাই একটু লজ্জা লজ্জা পাচ্ছিলাম। আর বাহাদুর ঠিক তখনই কম্বল নিয়ে টানাটানি, ফলে বেরিয়ে আসতে হল। ফেরার সময় ওকে বললাম,

    কাল এসো কিন্তু, বাহাদুর যখন স্নানে যাবে তখনই আসব।

    আসলে সে স্নানে গেলে অনেক সময় – এই সু্যোগে কতবার যে আমি ওর তরকারির ঢাকনা সরিয়েছি ও জানেনা।

    কাল বেরোতে গিয়ে পিচকিও সাথে যাওয়ার বায়না শুরু করল। ওকে কত বোঝালাম, যে বড়দের গল্পে গিয়ে তুই কী করবি? কিন্তু ও নাছোড়বান্দা বাচ্চাটি হয়ে আমার গোঁফ ধরে টানাটানি। অগত্যা সাথে নিলাম আর নিচে এসে সোনামণিকে ডাকতেই দেখি ও কিছু একটা চিবোচ্ছে।

    ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করাতে ও মানুষ মেয়ের মতো চকোলেটের কাগজটা আমার হাতে দিয়ে বলল,

    গাড়িতে পেলাম এটা। বেশ খেতে।



    আজ সোনামণিকে বললাম, চলো আমার মায়ের সাথে আলাপ করিয়ে দিই।

    প্রথমটায় ও কিন্তু কিন্তু করছিল, তারপর সিঁড়ি ধরে উঠে এল। দরজায় ফাঁক গলিয়ে আমরা দুজন ঘরে ঢুকে পড়লাম। মা তখন দুপুরের খাওয়া সেরে কাকিমার একঢাল কাপড়ের ওপর আরাম করছে। আমি সোনামণিকে মায়ের কাছে বসিয়ে ইচকিদের ডাকতে গেলাম।

    কদিনের ব্যস্ততায় ওদের দিকে ঠিকমত খেয়াল রাখতে পারিনি। এসব ভাবতে ভাবতে বাক্সটার দিকে এগোতেই দেখি দুজনে একটা কাগজ নিয়ে টানাটানি। পপাইয়ের অঙ্কের খাতা থেকে গোটা দুই অঙ্ক উঠে এসেছে ওতে। এত ছোট বয়সে ওদের এই আগ্রহ দেখে আমার নিজের খুব ভালোলাগল। মনে মনে বললাম, দিদি এবার ওদের পেয়ে খুব খুশি হবে।

    ততক্ষণে মায়ের খুব ভালো লেগে গেছে সোনামণিকে। ওর হাবভাব, মাথা নাড়ানোগুলো নাকি সব বুদ্ধিমতির মতন। তাই তাঁর আদেশে আজ থেকে ও আমাদের সাথেই থাকবে। আমিও নিশ্চিন্ত, কারণ একা মেয়েটা ওভাবে নিচে ঠিক ভালোলাগছিল না।

    এদিকে হরিপদবাবুর কোমড়ের যন্ত্রনাটা বেড়েছে। তাই উনি আর কদিন বাক্স ওল্টাবেন না। মা এমন খবর দিতেই মনে মনে বেশ খুশি হলাম। হাত-পা ছড়িয়ে এবার যে যার মতো থাকা যাবে।

    আমাদের পরিবারের সাথে এখন খুব ঘুলেমিলে গেছে সোনামণি। ইচকি পিচকিও খুব খুশি তাদের নতুন মামি পেয়ে। এদিকে আমিও ওর হাতে দুজনকে সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্ত।

    মা এখন হরিপদবাবুদের পুরনো কুলারে আমাদের থাকার জায়গা করে দিয়েছেন, আর মেয়েটাও অল্প কদিনে ঐ খুপচিটাকে কেমন ঘর বানিয়ে ফেলেছে।

    আজ ঠিক হয়েছে দুজনে মিলে একসাথে বেরোব। ওর বাপি, মায়ের আশীর্বাদটাও দরকার। তবে কাকিমা ও দাদুর জম্পেশ গল্পের শুরুতে আমাদের ফস্কে যেতে হবে, এমন করেই বোঝাতে হল সোনামণিকে। ও রাজি। আয়নার সামনে বসে তাই স্নো’পাউডার লাগাচ্ছে আর আমি ডায়েরির পাতাগুলো সব বন্ধ করতে এলাম ছুটি নেব বলে।

    সমাপ্ত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৫৮৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    নবীন - Suvasri Roy
    আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 68.184.245.97 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:২২498454
  • বাঃ, ছবি আর লেখা দুইই খুব ভালো লাগলো।
  • Ranjan Roy | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:১৪498465
  • খুব ভাল লাগল।  এটা সিরিজ করুন না!
  • দীপক মন্ডল | 2402:3a80:1c44:9eda:7c43:9e45:26e4:7257 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:০৭498471
  • খুব সুন্দর গল্প... কলমের কারিগরীতে সব কিছু জীবন্ত যেন উঠেছে। animation film দেখছি। 
  • দীপক মন্ডল | 2402:3a80:1c44:9eda:7c43:9e45:26e4:7257 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:১২498473
  • খুব সুন্দর গল্প... কলমের কারিগরীতে সব কিছু জীবন্ত হয়ে উঠেছে। যেন animation film দেখছি। 
  • | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:২০498484
  • এটা বেশ ভাল। হ্যাঁ সিরিজ করতে পারেন। 
    কিন্তু ইঁদুরেরা  একটু হিন্দিঘেঁষা ভাষায় কথা বলে কেন? 
  • ঝর্না বিশ্বাস | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:২৩498488
  • ভীষণ ভালোলাগছে আপনাদের মন্তব্য পেয়ে... 
     
    ইঁদুরগুলো আমার সাথে মুম্বইবাসী তাই হিন্দি টান অজান্তে এসে গেছে হয়তো... :)
    আর চরিত্রগুলো সব রিয়েল - কাকিমা আছেন, হরিপদ বাবু আছেন, পপাই একটু বড় হয়েছে, বাহাদুরও আছে সিকিউরিটি গার্ড, আছে আগরওয়ালের গাড়িটাও...শুধু দাদু নেই।
    খুব উত্‌পাত ছিল ওই ফ্ল্যাটটায় ইঁদুরের, তখন ওদের নিয়ে লেখা।
     
    ছবিটা আমার না। দেখলাম ম্যাচ করে গেছে, গুগল সাহায্য করেছে। দুটো ছবিকে ক্রপ করা।..  থ্যাংকিউউউউ গুগল।
     
    আপনাদের সবার মন্তব্য সাহস দিল খুব। পরবর্তী লেখার উত্‌সাহ পেলাম। লিখব। 
     
    kk, Ranjan, দীপক ও দ... অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে...  
  • Dola Sen | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:২৮498559
  • বেশ ভালো লাগল
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন