বই = রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি
লেখক = মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
প্রকাশক = অভিযান পাবলিশার্স
পৃষ্ঠা সংখ্যা = ২৭১
মুদ্রিত মূল্য = ৩৪০ টাকা
————————————————————————————————————————
ও মা গো। উ বাবা গো। উউউউউউউউউউউ হুজুর। এই প্রথম বোধহয় কোন উপন্যাস পড়ে আনন্দে অজ্ঞান হয়ে গেলাম। অসাধারণ লেখা। একদম আতর আলীর গায়ের গন্ধের মতো। পড়লাম যে সৃজিত মুখার্জী সিনেমা বানাবেন। ওয়্যাও — ওয়্যাও — ওয়্যাও (সইফ আলি খানের ভঙ্গিতে)। বাঁধনকে মুশকান জুবেরি করেছেন। হুহ্। আসল জুবেরি হতো চার্লিজ থেরন। নিদেনপক্ষে মাধুরীকেই করতে পারতো। নুরে ছফার চরিত্রটা অনির্বাণকে যা মানাতো না। ওহ্। সিজিদ্দা ওঁকে আতর আলী বানিয়েছে তো, সিনেমাটা ফ্লপ হবে।
————————————————————————————————————————
উপরের অংশটা থেকে বইটির কাহিনী সম্পর্কে বিশেষ কিছুই পেলেন না তো? আচ্ছা। আবার শুরু করি। আমি আজ অমুক দোকানে ঘুরতে গেছিলাম। মা ঘরে আর বই ঢোকালে আমাকেই বাড়ি থেকে বার করে দেবে বলেছে, তাও বইটি কিনে আনলাম। রাতে বইটি পড়তে পড়তেই গা ছমছম করে উঠল, ঘরটা গমগম করে উঠলো, সেই গম থেকে আটা বানিয়ে আমি সকাল থেকে খাবারের দোকানে পিজ্জা বিক্রি করছি। আপনদের কেমন লেগেছে? বইটার কথা বলছি না, বেস্টসেলার বই তাই বাজে হলেও লোকজন ভালোই বলবে, আমার পিজ্জাটা কেমন হয়েছে বলুন।
————————————————————————————————————————
ইসস্, এই অংশটা থেকেও বইটির কাহিনী সম্পর্কে বিশেষ কিছুই পেলেন না তো? আচ্ছা। আবার শুরু করি। চিন্তার কোনো কারণ নেই, কারণ আপনারা আমার লেখা পুস্তকালোচনা পড়বেন, যেখানে বরাবরের মতোই কাহিনী নিয়ে যতটা সম্ভব বিশদে ব্যাখ্যা করা হবে (কারণ সেটা না করলে ভক্ত পাঠকগন ভুলভাল প্রতিযুক্তি দিতে শুরু করেন!)। So, sit back and relax. Let's do this one more time and for the final time.
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষমতাশালী কর্মকর্তার ভাগ্নে নিখোঁজ। সেই unsolved case-টি এসে পড়ে বাংলাদেশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চে চাকরী করে গত দশ বছরে তার কাছে আসা সমস্ত কেসের মীমাংসা করতে সক্ষম হওয়া নুরে ছফার কাছে। তদন্ত করে সে দেখে যে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের দিকে মহাসড়কের পাশে সুন্দরপুর নামে একটি গ্রামসংলগ্ন Resturant-এ এসেই সেই ভাগ্নেটি গায়েব হয়ে যায়। এই রেস্টুরেন্টের নাম — "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি"। এর মালিক মুশকান জুবেরি নামে এক নারী যার অতীত পরিচয় নিয়ে বিশেষ কিছু জানাও যায় না।
নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যুবকদের সাথে এই রেস্টুরেন্ট বা তার মালিকের কোনও রকম সংযোগ আছে কি না তা তদন্ত করতে নুরে ছফা ছদ্মবেশে সেখানে আসে। এসে জানতে পারে যে, রেস্টুরেন্টের খাবারের জন্য এর সুনাম গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে, কেউ একবার এলে বারবার আসে, প্রায় নেশার মতো।
এরপরে কী কী হয় সেটাই কাহিনীতে বর্ণিত।
এই কাহিনীতে বেশ কিছু যুক্তি ও তথ্যগত ত্রুটি দেখা গেছে। তবে এর একটা অংশ কাহিনীর একটি মুখ্য চরিত্র নুরে ছফার জন্যই হয়েছে। এই চরিত্র সম্পর্কে প্রচুর ভালো ভালো কথা বলা হয়েছে যেমন — বাংলাদেশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চে চাকরী করেন, এখনো অবধি কোনো কেসে ব্যর্থ হন নি, তিনি সমাধান করে দেবেন এই ভয়ে একটি কেস তাকে দেওয়াই হয় নি ইত্যাদি; কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার বোকামোর একাধিক পরিচয় পাই যেগুলো আগের সমস্ত প্রশংসার বিপরীতে চলে যায়। অর্থাৎ "গোপাল অতি সুবোধ বালক" — জাতীয় মন্তব্য করার পরে কাহিনীর বিভিন্ন অংশে গোপালের কর্তৃক বিভিন্ন অপকর্মের বর্ণনা দিলে প্রথমদিকের মন্তব্য থেকে তৈরী হওয়া ধারণা যেমন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, এখানে হাল একই।
নুরের বেশ কিছু ভুল শখের গোয়েন্দা বা প্রথম যে কাজে ঢুকেছে এমন পুলিশের পক্ষে সম্ভব হলেও হতে পারে, কিন্তু চরিত্রটির যে পরিচয় দেওয়া হয়েছে তারপরে ঐ রকম খুচরো ভুল তার সাথে একেবারেই বেমানান। কাহিনীর দুর্বলতা গুলি দেখে নিই (এটাতে সমস্ত রকম Spoiler থাকবে, কাজেই দাদু ভাত খান, থুড়ি সাধু সাবধান!)।
————————————————————————————————————————
১) প্রথম অধ্যায়ের আগে মুখবন্ধ অংশে "মুশকান'স কারি/ গোল্ডেন ড্রিঙ্কস / স্যূপ অব লাইফ" নামক খাবারের পদের নামে "মুশকান" জিনিসটা কোনো আরবী — ফার্সি রন্ধনপ্রণালীর নাম কিনা — এই জাতীয় মন্তব্য দেখে হাসি পেয়ে যায়। কারণ, বেশ কিছু দোকানেই দোকানের নামে বা মালিকের নামে খাবারের আলাদা এবং বিশেষ পদ থাকে। যেমন ধরুন — "চিকেন বিরিয়ানি" এবং "অমিতের চিকেন বিরিয়ানি" বা "তৌফিকের স্পেশাল বিরিয়ানি"। এটা বুঝতে এত সময় লাগলো কেন কে জানে। অথবা এটাও বলা যায় যে, পাঠকদের এটা জানাতে এত শব্দের প্রয়োগ বাহুল্যমাত্র। আর এটা যদি নুরের বোকা সাজার প্রচেষ্টা হয়, তাহলে এটা তাকে ন্যাকা-বোকা বানিয়েছে।
২) এরপরে সেই অধ্যায়েই দেখি যে, খাবারের দোকানের খাদ্যতালিকায় দাম লেখা আছে এমনটা জানানো নেই। এ কেমন দোকান!
৩) একই অধ্যায় থেকে জানা যায় যে, দোকানে আগত চরিত্রটিও (পরবর্তী অধ্যায়ে জানা যায় এটিই নুরে ছফা) দাম না জেনেই খেতে শুরু করে দিচ্ছে! এমনকি order দেওয়ার আগে বা দেওয়ার সময়েও দাম জিজ্ঞেসও করে না।
৪) সেই অধ্যায়েই দেখা যায় যে,Waiter আচমকাই সেই চরিত্রের টেবিলে একবাটি স্যূপ আর একগ্লাস সরবৎ রেখে যায়, কিন্তু কীভাবে তার ব্যাখ্যা কাহিনীতে নেই। অলৌকিক বলে গোঁজামিল দেওয়ার চেষ্টা দেখি বরং।
৫) মুখবন্ধ অধ্যায় অংশে দেখি যে, নুরে ছফা রেস্টুরেন্টে ঢুকে চোখের সামনে দেখেও কতগুলো টেবিল, প্রতিটা টেবিলে কতগুলো চেয়ার এবং মোট কতজন বসতে পারে সেটাই ঠিক করে হিসেব করতে পারে না ("পাঁচ-ছয়টি টেবিল", "তিন থেকে চারটি চেয়ার", "সর্বোচ্চ বিশ-পঁচিশজন বসতে পারে")।
গোয়েন্দা তাও আবার পেশাদারী (শখের গোয়েন্দা নয়) এবং পুলিশে কর্মরত গোয়েন্দা যে কোনো কেসে ব্যর্থ হয় নি, তার বয়ানে এমন বর্ণনা দিলে মুশকিল, সাধারণ কোনো চরিত্র এমন বর্ণনা দিলে ঝামেলা ছিলো না।
৬) একই অধ্যায়েই দেখি যে, "মুশকান'স কারি" খেয়ে নুরে বোঝে না যে সেটি গরুর না খাসির মাংসের তৈরী, অথচ এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন সে ওয়েটারকে করে না। গোয়েন্দা বা সাংবাদিক কেন, সাধারণ মানুষ হিসেবেও এই প্রশ্নটা করা যথেষ্ট স্বাভাবিক (ধর্মীয় আচারের জন্য না হলেও)।
৭) ঐ অধ্যায়ে আরো দেখি যে, খেতে বসার আগে নুরে ছফা মনে মনে বলে — "রহস্য? আমি সেটা ভেদ করতেই এসেছি"।
এদিকে দোকানে থাকা অন্য একটি টেবিলে বসা তিনজন উঠে চলে গেলেও সে খেয়াল করতে পারে না। যে রেস্টুরেন্ট থেকে মানুষ নিখোঁজ হয়ে যায় বলে সে জেনে তদন্ত করতে এসেছে, সেখানে একা খেতে এসে পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে এমন অসচেতন হলে তো মুশকিল।
এটা বোঝাই দায় যে, সে ঘুরতে এসেছে, Relaxation করতে এসেছে না রহস্যভেদ করতে এসেছে।
৮) পরে যখন জানা যায় যে নুরে ছফা বাংলাদেশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চে চাকরী করেন, তখন এটা ভেবে আরো হাসি পায় যে একটা রেস্টুরেন্টের ওয়েটারের মতো সাধারণ মানুষ (বা সেই ওয়েটার হয়তো বড়জোর কোনো ছোটখাটো অপরাধী) তার অজান্তে তার টেবিলে একবাটি স্যূপ আর একগ্লাস সরবৎ রেখে যায় (ঘটনাটি একই অধ্যায়ে ঘটে)।
জাদুকর সিনিয়র পি সি সরকারের কাছে হাতসাফাই শিখেছিলো বললেও বুঝতাম!
৯) মুখবন্ধ অধ্যায়টিতে, সাধারণ ক্রেতা হিসেবে রেস্টুরেন্টের ওয়েটারকে নুরে ছফা সরাসরি বেশ আজব প্রশ্ন করেন। রেস্টুরেন্টের মালিকের পুরো নাম জিজ্ঞেস করে জানার পরবর্তী প্রশ্ন আসে — "উনি কি এখানকার স্থানীয়?"। পাঠক হিসেবে বোঝা মুশকিল যে একজন ক্রেতা যে নিজেই বাইরে থেকে এসেছে, তার এই ব্যাপারে আগ্রহ কেন, সেখানে ঐ রেস্টুরেন্টের কর্মীদের এমনিতেই প্রশ্নটা বেখাপ্পা লাগবে।
এই অংশটি বরং এইভাবেও লেখা যেত — "এই ছোট গ্রামটির সাথে এইরকম নামের এমন অতিথিশালাটি কেমন জানি বেমানান লাগছে ভাই। মালিক বোধহয় বাইরে থেকে এসেছেন, তাই না?"
১০) কাহিনী অনুযায়ী, মুশকান কাদের সাহায্যে গ্রামের বাসিন্দা অলোকনাথ বসুর একাধিক সম্পত্তি দখল করেছিলো তাদের নাম বা পরিচয় আতর আলী জানে না।
এদিকে সে গ্রামে থাকে এবং সব খবর (কেউ পাদলেও নাকি সে খবর পেয়ে যায়) রাখে বলে সে জানিয়েছে। আর মুশকান যখন সম্পত্তি দখল করে তখন সে গ্রামে থাকতো না বলেও কাহিনীতে জানানো হয় নি। এটা ভালোমতো পরষ্পরবিরোধী।
১১) মুশকান জুবেরি নিজেকে রাশেদের স্ত্রী বলে দাবী করলে তার নিজের দায়িত্ব সেটার প্রমাণ করা। তার দাবী যে মিথ্যা সেটা প্রথমেই প্রমাণ করার দায় সরকারের নেই। সে দাবী করার পরে সেটা সত্যি কি না সেটা সরকার দেখবে। এই প্রমাণটি গোটা কাহিনীতে নেই (শুধু মৌখিক দাবী আছে মাত্র), ফলে তার Backstory-টি দুর্বল।
১২) স্থানীয় এম পির যা ক্ষমতা হওয়ার কথা তাতে মুশকানকে খুন বা বন্দি করে সে নিজেই অলোকনাথ বসুর সমস্ত সম্পত্তি দখল করতে পারে। কারণ সেক্ষেত্রে অলোকনাথ বসুর সম্পত্তির আর কোনো দাবিদার থাকতোই না। তার নিজের মুশকানের সাহায্য লাগার দরকার নেই। কাহিনীতে কিন্তু তার উল্টোটাই দেখানো হয়েছে।
১৩) নুরে ছফা তার ছদ্মবেশ হিসেবে একদিকে "মহাকাল" নামক একটি সুপরিচিত সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয় যেটা ভুয়ো, অন্যদিকে তার আসল নামটাই সব জায়গায় বলে বেড়ায়। এর ফলে তার সম্পর্কে খোঁজ নিলে তাকে ধরা খুব সহজ (যেটা বাস্তবে ঘটেও যায়)।
১৪) এই ছদ্মবেশ নেওয়ার সময় নুরে কোনো দৈহিক পরিবর্তন করেছে এমনও গোটা কাহিনীতে দেখা যায় না, অর্থাৎ তার Photograph তুলে নিয়ে সেটা দিয়েও তার ব্যাপারে সহজেই খোঁজ করা সম্ভব।
ফেলুদা - ব্যোমকেশ লজ্জা পেয়ে যাবে দেখছি!
১৫) কাহিনীতে দেখা যায় যে, নুরে কোনো সহকারী ছাড়াই একা চলে আসে সুন্দরপুর গ্রামে। এদিকে সে তদন্ত করছে একাধিক মানুষ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার (যেটা সপ্তবিংশতি অধ্যায়ে জানা যায়), যার পিছনে একাধিক মানুষের একটা চক্র থাকতে পারে। কাজেই একা এসে সেও হারিয়ে যেতে পারতো।
১৬) দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে জানা যায় যে, আতরের ফোনের display খারাপ বলে সে কাউকে ফোন করতে পারে না বলে জানায়।
এদিকে কারোর নাম্বার মুখস্থ থাকলে বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে যদি ফোনের Keypad ঠিক থাকে, তাহলেই সেই নাম্বার dial করে ফোন করা সম্ভব (যেটা পরে তাকে করতেও দেখি)।
১৭) দ্বিতীয় অধ্যায়ে দেখি, আতর আলীর ফোনের ডিসপ্লে খারাপ জেনেও নুরে তাকে কোনো কাগজে নিজের ফোন নাম্বার লিখে দেয় না। নিজের ফোন নাম্বার না দেওয়াটা গোয়েন্দা হিসেবে ভুল, কারণ সেখানে নিজের ব্যক্তিগত নাম্বার নয় বরং অন্য কারোর নাম্বার নিয়ে তার আসা উচিৎ যাতে তার পরিচয় ফাঁস না হয়ে যায়। এমতাবস্থায় তার নাম্বার কাউকে দিলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু সে যেহেতু সাংবাদিকের ছদ্মবেশে আছে তাই সেই হিসেবে আরো বড় ভুল, কারণ সাংবাদিক নিজের নাম্বার একজন Informer (খোচড়)-কে দিতেই পারে, সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
১৮) আতর আলীর নাম্বার পেয়ে সেটা সঠিক কিনা তা যাচাই করতে নুরে তার সামনেই ঐ নাম্বারে ফোন করে না। অত সরলমনের এবং সহজেই লোকের কথায় বিশ্বাস করে নেওয়া গোয়েন্দা দেখে হাসি পায়।
১৯) চতুর্থ অধ্যায়ে দেখি আবার সেই একঘেয়ে বোকা-বোকা কায়দা; নেটওয়ার্ক ভালো নয় বলে বারবার ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে এবং কথা হারিয়ে যাচ্ছে বলে লেখক জানিয়েছেন। ফোন থেকে Message করলেই তো হয়। এই Landphone আমলের অজুহাতটা আজকে Mobile ফোনের যুগে যে লেখক ঢোকান তার লেখনীর প্রতি শ্রদ্ধা রাখা খুব কঠিন হয়ে যায়।
২০) চতুর্থ অধ্যায়েই দেখি, নুরে এমন মোবাইল নিয়ে আসে যেটা রাত সাড়ে নয়টা বা দশটা নাগাদ মোটামুটি ব্যবহার করার পরেই চার্জ ফুরিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
এই চরিত্রটি লেখকের মতে — "জাঁদরেল গোয়েন্দা", উফফ্!
————————————————————————————————————————
আমার তরফে আলোচনা আপাতত এই অবধিই। পরবর্তী অংশ নিয়ে আবার আসবো আরেকদিন।
সিনেমাটা দেখতেই হচ্ছে।
সিনেমা বেরিয়ে গেছে না?