এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  সীমানা ছাড়িয়ে

  • এ কণ্ঠ এক বিপজ্জনক ককটেল কিংবা কৃষ্ণগহ্বর—আচ্ছন্ন করে, গিলে খায়

    ঋতা রায়
    পড়াবই | সীমানা ছাড়িয়ে | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ | ২৪৬৭ বার পঠিত
  • পর্তুগিজ সাহিত্য - ১ | পর্তুগিজ সাহিত্য - ২
    আন্তনিউ লোবু আন্তুনেশ। পোর্তুগালের অন্যতম সাহিত্যিক। বহু পুরস্কারে সম্মানিত। বিখ্যাত উপন্যাস ‘উশ কুশ দ্য জুদাশ’ রূপকার্থে ‘তেপান্তরের পারে’। আঙ্গোলার স্বাধীনতাসংগ্রাম দমনে নিযুক্ত পোর্তুগিজ ঔপনিবেশিক সেনাবাহিনীতে চিকিৎসক হওয়ার অভিজ্ঞতায় জারিত কাহিনি। পড়লেন পোর্তুগিজ ভাষার শিক্ষক ও তরজমাকার ঋতা রায়


    আন্তনিউ লোবু আন্তুনেশ, আলফাসিন্যিয়া অর্থাৎ লিশবোয়াবাসীদের উচ্চারণে লোবান্তুনেশ, পোর্তুগালের শ্রেষ্ঠ লেখকদের মধ্যে নিঃসন্দেহে একজন। লেখেন উপন্যাস এবং কলাম। এখন অবধি তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা ২৯, একমাস আগেই বেরিয়েছে ‘দিসিউনারিউ দা লিঙ্গুয়াজেঁই দাশ ফ্লোরেশ’। এই কটিকে লেখক তাঁর ‘ক্যাননের’ মধ্যে ধরেন। এ ছাড়াও ক্যানন-বহির্ভূত আরও দুটি বই আছে। ২০০০-২০১৯ ‘ভিজ়আঁও’ নামের এক সাপ্তাহিকে কলাম লিখতেন, সেগুলি সংকলিত হয়েছে পাঁচ খণ্ডে। মোটামুটি প্রতিবছরই একটি করে উপন্যাস বেরোয় এবং তাদের বেশির ভাগই স্থূলকায়। জুজ়ে সরামাগুর সঙ্গে বহুদিন থেকেই তাঁর রেশারেশি—সেটা অবশ্যই সমালোচকদের কীর্তি। জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ২০০৭ সালে পাওয়া প্রেমিউ কামঁয়েশ। গত কয়েক বছর ধরেই সাহিত্যে সম্ভাব্য নোবেলপ্রাপক বলে তাঁর নাম উল্লেখ হয়ে আসছে।



    আন্তোনিউ লোবু আন্তুনেশ

    জন্ম ১৯৪২ সালের ১ সেপ্টেম্বর, লিশবোয়ার অভিজাত অঞ্চল বাঁইফিকার এক উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে। সাত বছর বয়সে ঠিক করেন যে বড়ো হয়ে লেখক হবেন; কিন্তু বয়স যখন ষোলো তখন তাঁর ডাক্তার বাবা তাঁকে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়ে দেন। পড়া শেষ করার পর, ১৯৭০ সালে বাধ্যতামূলক সামরিক সেবায় যোগ দিতে হয় এবং কয়েক মাসের ট্রেনিয়ের শেষে ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর ডাক্তার হিসেবে তাঁকে যেতে হয় পূর্ব আঙ্গোলায়। পদমর্যাদায় তিনি ছিলেন আলফেরেশ বা সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট। যাবার চার মাস আগে তিনি বিয়ে করেন এবং যুদ্ধে রওনা হওয়ার সময়ে তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অ্যাফ্রিকায় পোর্তুগালের তিনটি উপনিবেশ (আঙ্গোলা, মুসাম্বিক, গিনে-বিসাউ) জুড়ে তখন চলছে গ্যারাকুলুনিয়াল পুর্তুগেজা (১৯৬১ -১৯৭৪) বা স্বাধীনতাসংগ্রাম। এই যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তাঁর বেশ কয়েকটি উপন্যাসে ছাপ ফেলেছে। বস্তুত যে-কজন মুষ্টিমেয় উত্তর-ঔপনিবেশিক লেখক পর্তুগালে আছেন লোবু আন্তুনেশ তাঁদের মধ্যে একজন। আঙ্গোলা থেকে ফিরে এসে লোবু আন্তুনেশ সাইকিয়াট্রি পড়ে প্র্যাক্টিস শুরু করেন। আশির দশকের শেষে প্র্যাকটিস ছেড়ে দিয়ে এখন শুধু লেখালিখি নিয়েই আছেন। ১৯৭৯ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘মেমরিয়া দ্য এলেফান্ত’ বা ‘হাতির স্মৃতি’ বেরোয়; উপন্যাসটি অনেকটাই আত্মজৈবনিক—একজন মনোবিদের জীবনের চব্বিশটি ঘণ্টার বর্ণনা। এতে আঙ্গোলায় স্ত্রী ও পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার ফলে তাঁর জীবনে যে পরিবর্তন আসে তা নিয়েলিখেছেন। সেই বছরই বেরোয় তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘উশ কুশ দ্য জুদাশ’ (আক্ষরিক অর্থে ‘জুডাসের পাছা’, রূপকার্থে ‘তেপান্তরের পারে’)। এটি সাতাশ মাস ধরে জ়াম্বিয়া ও কঙ্গোর সীমান্ত ঘেঁষে আঙ্গোলার সুদূর পূর্বতম প্রান্তে যুদ্ধে সৈন্যবাহিনীতে ডাক্তারি করার বিভীষিকা এবং তাঁর বাকি জীবনে সেই অভিজ্ঞতার অভিঘাত নিয়ে লেখা। বস্তুত একমাত্র এই বইটিতেই একমাত্র লেখক সরাসরি তাঁর যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। বইটি বেরোনোর পরই খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।



    আঙ্গোলার স্বাধীনতাসংগ্রাম দমনে নিযুক্ত পোর্তুগিজ সেনা। ১৯৭০-এর দশকে কঠোর আন্তর্জাতিক সমালোচনা উপেক্ষা করে পোর্তুগিজ সরকার তার আফ্রিকান উপনিবেশগুলিকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করে। মুক্তিসংগ্রাম প্রবল আকার ধারণ করলে তা দমন করতে সেনাবাহিনীকে পাঠানো হয়, আর সেই বাহিনীতেই চিকিৎসক ছিলেন লোবু আন্তুনেশ।


    উপন্যাসটিতে পোর্তুগিজ বর্ণমালা অনুযায়ী তেইশটি অধ্যায় আছে (পোর্তুগিজে k, w ও y নেই)। ১৯৭৯-এ কোনো একদিন লেখক একটিবারে এক অপরিচিতার সঙ্গে আলাপ করেন এবং মদ্যপান করতে করতে তাঁকে তাঁর অভিজ্ঞতার গল্প (লেখকের কথায় রেলাতু) শোনাতে থাকেন, ড্রিংকসের পর আসে ডিনার, তারপর লেখক/কথকের বাড়িতে গিয়ে উইস্কি পান, একসঙ্গে রাত্রিযাপন, সকালে অপরিচিতাকে বিদায় জানানো। এই উপন্যাসে সময়ের পরিধি বারো ঘণ্টার মতো হবে। লেখক তাঁর রেলাতু শুরু করেন তাঁর শৈশব-কৈশোরের গল্প (তাঁর মাসিপিসিদের অভিমত ছিল যে একমাত্র সৈন্যবাহিনীই তাঁকে মানুষ করতে পারবে) বলতে বলতে তাঁর সামরিক প্রশিক্ষণের সময়কার কথা (A), জাহাজে করে লুয়ান্দা যাওয়ার অভিজ্ঞতা (B, C) বলে চলেন; জাহাজে একইসঙ্গে চলেছে কফিনের পাহাড় এবং তাঁদের একটি প্রিয় খেলা—একে অপরের মুখ দেখে আন্দাজ করা কোন্‌ কফিনে করে কে ফিরবে; এবং অবশেষে D-তে গিয়ে লুয়ান্দা থেকে ট্রেনে আর বাসে করে আরও দুশো কিলোমিটার গিয়ে গাগু কোতিন্যিউতে পৌঁছোনোর কথা বলেন, এই যাত্রার সময়েই তাঁর যন্ত্রণাশিক্ষার শুরু। সময়টা জানুয়ারির শেষ, অর্থাৎ ঘোর গ্রীষ্ম, অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে, জায়গাটা জ়াম্বিয়ার সীমানার কাছে (E)। সেখানে সৈন্যদলের ব্যারাক ছাড়া আছে কয়েকটা কিম্বু (আঙ্গোলার আদিবাসীদের জনপদ), পিদের (PIDE, পোর্তুগিজ গেস্টাপো) একটি কার্যালয়, একটি কাফে ও কুষ্ঠরোগীদের একটি গ্রাম। যুদ্ধ তো আর শত্রুর মুখোমুখি হয়ে নয়, বরং স্বাধীনতাকামী অদৃশ্য গেরিলাদের সঙ্গে, যারা জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে আর তারপর পোর্তুগিজদের ওপর আঘাত হেনেই পালিয়ে যায়, কখনো-কখনো সীমান্ত পেরিয়ে কঙ্গোয়; পুরো ব্যাপারটাই একটা অকল্পনীয় ভূতুড়ে লড়াই। পূর্বাঞ্চলে MPLA (মুভিমেন্তু পুপুলার দ্য লিব্যারতাসাঁও দ্য আঙ্গোলা) গোষ্ঠী সক্রিয়, তাদের সাহায্য করার জন্য অ্যাফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও আছে রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, কুবা। পোর্তুগালের প্রধান বন্ধু বর্ণবিদ্বেষী দক্ষিণ অ্যাফ্রিকা। মাইনে বা অতর্কিত আক্রমণে আহত প্রতিটি সৈন্যকে দেখে তাঁর মনে একই প্রশ্ন জাগত—তাঁদের কে খুন করছে, গেরিলারা না লিশবোয়া আর বাকি দেশগুলো একজোট হয়ে। পরে জানতে পারেন যে গেরিলারা ধরা পড়ার পর জঙ্গলে একটা গর্ত খুঁড়ে তার ভেতরে ঢুকে শান্তভাবে অপেক্ষা করে কখন পোর্তুগিজরা গুলি করে তাদের খুলি উড়িয়ে দিয়ে বালি দিয়ে গর্তটা বুজিয়ে দেবে (E)।

    ডাক্তার হিসেবে তাঁকে যে শুধু আহতদের চিকিৎসা করতে হত তা তো নয়, সপ্তাহে একদিন ঘণ্টা বাজিয়ে কুষ্ঠদের জড়ো করে তাদের মধ্যে ওষুধ বিলি করা; ভিজে স্যাঁতসেঁতে, ম্যান্ডিয়োকা শোকানোর পচা গন্ধের মধ্যে হাসপাতালে কুইনিনের খোঁজে ভিড় করা জ্বরে কাঁপতে থাকা ম্যালেরিয়ার রুগিদের লজ্জা আর কৈফিয়ত মেশান মিষ্টি হেসে ভিটামিনের বড়ি গছানো। তাঁর সহকারী নার্স সার্জেন্ট, যার কিনা রক্ত দেখলেই বমি পেত, অপারেশান থিয়েটারের বাইরে বসে বমি করত আর লেখক একাই সেলাই করা থেকে নাড়িভুঁড়ির অবশিষ্টাংশ পেটের ভেতরে ঢোকানোর কাজ করতেন। আর এইসব করতে করতে তাঁর নিজের শহরের কথা, তাঁর বাবা-মার কথা, তাঁর আসন্ন সন্তানের কথা ভাবতেন; ভাবতেন তিনি বুঝি এদের আর কোনোদিনই বোঝাতে পারবেন না তিনি তাঁদের কতটা ভালোবাসেন (F)। ব্যারাক প্রথম আক্রান্ত হয় নিন্দায় (G); সেখানেই তাঁর প্রথম মৃত্যুর অভিজ্ঞতা—সৈন্যটিকে তাঁর কাছে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয় এবং তিনি তার দেহটি নিজের ঘরে রেখে বাকিদের তাকে বিরক্ত করতে বারণ করেন, কারণ “সে ঘুমোচ্ছে, জাগতে চায় না” (H)। এ ছাড়াও আছে ম্যালেরিয়া আর আমাশার মতো অবীরোচিত রোগ। এরই মধ্যে দশ হাজার মাইল দূরে বাড়ি থেকে তাঁর মেয়ের জন্মের খবর আসে (I) আর তাকে দেখতে পঁয়ত্রিশ দিনের ছুটিতে বাড়ি যান (J)। আজ তিনি যা, এক নিঃসঙ্গ প্রৌঢ় অকৃতদার, স্ত্রী দুই মেয়ে নিয়ে তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন, তার জন্য ওই যুদ্ধই দায়ী। এ ছাড়াও তাঁর আছে অনিদ্রা রোগ—বহু দিন হল তাঁর আর ঘুম আসে না; এ জন্য পুবে থাকার সময় থেকেই বিভিন্ন নারীর কাছে আশ্রয় খুঁজেছেন, এখন এই অপরিচিতাকেও অনুরোধ করছেন যাতে তিনি তাঁর ঘুমিয়ে পড়া অবধি থাকেন (V)। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর তাঁর সেই পিসিমাসিদের বিলাপ যে সৈনবাহিনীও তাঁকে মানুষ করতে পারল না (Z)।

    পরিশেষে রচনাশৈলী নিয়ে কিছু বলতে হয়। রেলাতুটি আগাগোড়া কোনো বিরতি ছাড়া একটানা বলা হয়েছে, অধ্যায় ছাড়াও অনুচ্ছেদ আছে তবে একই অনুচ্ছেদে বিভিন্ন কণ্ঠ আছে কোনোরকম যতিচিহ্ন/উদ্ধৃতিচিহ্ন ছাড়াই, পাঠককে বুঝে নিতে হবে; অনুচ্ছেদের মাঝখান সংলাপ শুরু হচ্ছে বড়ো হাতের অক্ষর দিয়ে। লোবু আন্তুনেশের সব লেখার মতোই এটিও খুব ‘ডেন্স’, প্রথম পড়াতেই অর্থ পরিষ্কার না হওয়াই সম্ভব। উপরন্তু এটি তাঁর ‘শিক্ষানবিশি’ কালের, তাই এর রচনাশৈলী পরিণত/পরিশীলিত নয়, বর্ণনার/রূপকের আধিক্য আছে, এই উপন্যাসটিতেই উইলিয়াম ফকনারের প্রভাব সবচেয়ে বেশি বোঝা যায়। বইটির নামের মতো তার ভেতরেও অমার্জিত শব্দের ছড়াছড়ি।

    লেখক-অধ্যাপক রুই জ়িঙ্কের মতে লোবু আন্তুনেশের পাঠক যেন মিনোটরের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাওয়া থিসিউস, কেবল তাকে পথ দেখিয়ে বের করানোর জন্য আরিয়াডনের সুতোর গুলি নেই। তাই শিক্ষানবিশ-লেখকদের প্রতি তাঁর উপদেশ তারা যেন নিজস্ব কণ্ঠটা খুঁজে পেয়ে তবেই লোবু আন্তুনেশকে পড়ে; কারণ ওই কণ্ঠ একটি বিপজ্জনক ককটেল, নতুন একটা জগৎ উন্মোচন করার বদলে কৃষ্ণগহ্বরের মতো তাদের গিলে খাবে। তিনি নিজেও বেশ কিছুদিন হল তাঁর লেখা পড়া ছেড়ে দিয়েছেন কারণ সেটা এতই সম্মোহক যে নিজের অজান্তেই পাঠক-লেখক একটা সময়ের পর ওই কণ্ঠ অনুকরণ করতে শুরু করে দেন। এই কণ্ঠ কখনও স্বতন্ত্র, কখনও তা আবার অন্য অনেক কণ্ঠকে অঙ্গীভূত করে; একটা পরিচিত কণ্ঠ যেটা আবার একই সঙ্গে বিশ্বের তাবৎ কণ্ঠ। তাঁর উপন্যাসে চরিত্ররা সব কণ্ঠ, তিনি নিজের কণ্ঠ বাকি কণ্ঠদের ধার দেন। তাঁর উপন্যাসের পাতারা আসলে কোনো বইয়ের পাতা নয়, তারা আসলে একটি বিভিন্ন কণ্ঠের এক মিছিল, যাদের পথ দেখিয়ে চলেছে লেখকের কণ্ঠ; এ যেন একই সঙ্গে পলিফোনি আর ক্যাকোফোনি। লোবু আন্তুনেশের সব উপন্যাসেই আছে মানবজাতির প্রতি দরদ, তা লুকানোই হোক বা প্রকাশ্য; তাঁর সেই কণ্ঠ যখন কঠোর তখনও তা আমাদের মঙ্গল কামনা করে।




    বইটি অনলাইন কেনা যেতে পারে — এখানে

    দ্য প্যারিস রিভিউ পত্রিকায় আন্তনিউ লোবু আন্তুনেশের সাক্ষাৎকার পড়ুন — এখানে


    গ্রাফিক্স: মনোনীতা কাঁড়ার

    এই বিভাগের লেখাগুলি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করে 'পড়াবই'এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    পর্তুগিজ সাহিত্য - ১ | পর্তুগিজ সাহিত্য - ২
  • পড়াবই | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০ | ২৪৬৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন