এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভবেশের অবাকযন্ত্র । এসব হয়না - ৮

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৩৩৭৯ বার পঠিত
  • | | | | | | |
    ভবেশের মুশকিল হচ্ছে যে সে যন্ত্রটাকে দেখতে পাচ্ছে। কই, আর কেউ তো পাচ্ছে না! যন্ত্রটা থেকে একটা আঁকশির মতো জিনিস বেরিয়ে এসে ঢুকে গিয়েছে সবার পিঠের ভেতর। অথচ একমাত্র ভবেশই দেখতে পাচ্ছে ওই যন্ত্র, ওই আঁকশি, প্রত্যেকের চামড়ার বিদ্ধ হওয়া, এসব।

    যন্ত্রটা ঘুরছে।
    মহাকাশ ছুঁয়ে প্রায় সুবিশাল নাগরদোলার মতো ঘুরছে যন্ত্রটা। আকাশের দিকে তাকালে ভবেশ দেখতে পায় কোটি কোটি দড়ি উঠে গিয়েছে পৃথিবীর বুক থেকে ওই যন্ত্রের মাথার দিকে। যন্ত্রের মাথাটা মেঘেদের মধ্যে কোথাও। এতদূর থেকে ভবেশ সেটা দেখতে পায় না। যন্ত্রটা কিভাবে কাজ করে সেটাও ঠিক বোঝে না ভবেশ। তবে আঁকশিটা পিঠেই ঢুকেছে যখন, তার পিঠের ব্যাথাটার সঙ্গে যন্ত্রটার নিশ্চয়ই কোনও সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় ভবেশের। ব্যাথাটা আগে এতটা ছিল না। যত বয়স হচ্ছে তত বাড়ছে ব্যাথাটা। আঁকশিটার ব্যাপারে অবশ্য অনেক আগে থেকেই জানতো ভবেশ। তখন তার বারো কি তেরো বছর বয়েস হবে। একদিন শীতকালের শেষ দুপুরে তাদের বাড়ির সামনের বাগানটায় গাঁদাফুলের গাছেদের যত্ন নিচ্ছিলো বাবা। ঝুঁকে পড়ে দু'হাতে গাছের গোড়ার মাটি ঠিক করছিল। বাবা যতবার ঝুঁকছিলো, ভবেশ দেখছিলো শীতের সূর্যের আলোয় বাবার পিঠের চামড়ায় একটা ধাতব আঁকশি চকচক করে উঠছে। ভবেশের অবাক লেগেছিলো। পরে একদিন রাত্রিবেলা বাবার পাশে শুয়ে ভবেশ বাবাকে জিজ্ঞেস করে আঁকশিটার কথা। বাবা প্রথমে অস্বীকার করে যায় ব্যাপারটা, যেন কিছুই জানে না। যেন ভবেশ ভুল দেখেছে, আর গোটাটাই তারই ভ্রম। কিন্তু ভবেশ ছাড়েনি। সে বাবার পিঠের আঁকশিটায় হাত রেখে বলে, "এই যে, এইটা। এইটা কী?"
    --- বাবা থমকে যায়। যেন এইটুকু একরত্তি ছেলে হয়ে ভবেশ আঁকশিটা দেখে ফেলবে এটা বাবা ভাবতে পারেনি। কিন্তু তারপরও উত্তর দেয়নি বাবা। হেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলো। আর বলেছিলো, "তুই ঘুমো। কাল সকালে নইলে প্রেয়ার লাইন মিস হয়ে যাবে।"

    বাবা কি তবে জানতো? ভাবে ভবেশ আজকাল। মাঝেমধ্যে।

    এরপর একদিন ভবেশদের বাড়িতে একটা বিড়াল আসে। তাকে কেউ নিয়ে আসেনি, নিজে থেকেই এসেছিলো সে পায়েপায়ে। বিড়াল যেমন হয়, সবসময় নিজের মর্জিতেই চলে; সেরকমই একদিন বিড়ালটা আবার চলেও যায়। তবে মাঝে কিছুদিন ভবেশের সাথে তার খুব বন্ধুত্ব হয়েছিল। কী নাম ছিল বিড়ালটার? হেঃ! ভারী তো একটা ভবেশ, তার একটা বিড়াল, আর তার আবার নাম! তার চেয়ে বিড়ালকে বিড়াল বলে ডাকাই ভালো। ভবেশ দেখতো বিড়ালটার পিঠে কোনও আঁকশি নেই। ভবেশের গায়েগায়ে এসে বসতো বিড়ালটা। আর ভবেশ বিড়ালটার পিঠে হাত বুলিয়ে দিতো। বিড়ালটা ঘড়ঘড় করে আওয়াজ করতো তখন। ততদিনে ভবেশ সবার পিঠের আঁকশিগুলো দেখতে পাচ্ছে। আর বুঝতে পারছে আঁকশির সাথে একটা ধাতব দড়িও জোড়া থাকে। যন্ত্রটার ব্যাপারে যদিও তার তখনও ধারণা হয়নি সেরকম। ভবেশ বিড়ালটাকে জিজ্ঞেস করেছিল, "হ্যাঁ রে বিড়াল, তোর পিঠে আঁকশি নেই কেন?" বিড়ালটা যথারীতি ঘড়ঘড় আওয়াজ বার করেছিল গলা দিয়ে। তবে চলে যাওয়ার কিছুদিন আগে বিড়ালটা ভবেশকে বলে, মানুষের ভাষাতেই, "ওই আঁকশির জন্যই তো সবকিছু। নইলে তোর মা তো কবেই মরে গেছে!" ভবেশের খারাপ লেগেছিল কথাটা। তার মা, তার নিজের মা, মরেই গেছে কবে আর সে নাকি জানেই না? তারপর সে ভেবে দেখে, সত্যিই তো, মায়ের চোখদুটো সবসময় একইরকম হয়ে থাকে। আর তাছাড়া মা যে হাঁটে, সেভাবে তো মাটিতে পা পড়ে না মায়ের! কিরকম যেন হাওয়ার উপর দিয়ে হেঁটে এঘর থেকে ওঘরে যায় মা নিয়মের মতো। সেই হাঁটার মধ্যে সত্যিই কি জীবিত মানুষের হেঁটে যাওয়া রয়েছে কোথাও? মা খেতে দেবে কিনা জিজ্ঞেস করলে ভবেশের মনে হয় আকাশ থেকে শব্দ আসছে। ভবেশ দেখতে পায় আঁকশিটা টেনে নিয়ে গিয়ে আকাশের মাঝখানে ঝুলিয়ে দিয়েছে মা কে। মায়ের ঘাড়টা বাঁ দিকে কাত হয়ে ঝুলে রয়েছে। মা তাকিয়ে আছে পৃথিবীর মাটির দিকে আর ভবেশকে জিজ্ঞেস করছে, "খেতে দেব বাবা? তুই খেয়ে নিলে আমি শুতে যেতাম।"

    বিড়ালটা কবে চলে গিয়েছিলো টের পায়নি ভবেশ। শুধু একদিন সে খেয়াল করে যে বিড়ালটা আর আসে না। মাকেও ভবেশ টের পেতে দেয়নি কখনও যে, মা যে আসলেই বেঁচে নেই ভবেশ সেটা জানে। যতদিন মায়ের শরীরটা বেঁচে ছিল একদম স্বাভাবিক ব্যবহার করে গিয়েছিলো সে। এরপর একদিন ভবেশের বিয়ে হয়।

    কী নাম ছিল ভবেশের বৌয়ের? ভবেশেরই বৌ যখন তার নাম সুচরিতাই হবে হয়তো। ফুলশয্যার রাত্তিরে সুচরিতার পিঠের আঁকশিটার কথা টের পায় ভবেশ। সুচরিতাকে জড়িয়ে ধরে তার কাঁধের উপর দিয়ে উঁকি মেরে ভবেশ দেখতে পায় ঠিক ব্রেসিয়ারের হুকটা থাকে যেখানে তার এক আঙুল নিচে গেঁথে আছে একটা ছিপছিপে আঁকশি। আর সেই আঁকশি থেকে একটা ধাতব দড়ি বেরিয়ে এসে জানলার ফাঁক দিয়ে উঠে গেছে আকাশের দিকে। আকাশে প্রায় লাল একখানা গোল চাঁদ থালার মতো। আর চাঁদের পাশে রথের মেলায় দেখা নাগরদোলার মতো বিশাল একখানা যন্ত্র। যন্ত্রটা ঘুরছে। ভবেশের ইচ্ছে হয় ওই যন্ত্রটার মাথায় উঠে পড়ে। সুচরিতার পিঠের দড়িটা বেয়ে উঠতে শুরু করে সে। কিন্তু কিছুতেই জানলা অবধি পৌঁছতে পারে না। যতবারই সে উঠতে যায় হড়কে নেমে আসে। দড়ির ঘষায় হাত-পা ছড়ে যেতে শুরু করে তার। এইভাবে রাত কেটে যেতে থাকে। ভবেশ ও সুচরিতার ফুলশয্যার রাত। সুচরিতা শুধু দুটো কথা বলেছিলো গোটা রাত্রে। এক; "তোমার হলো?" আর দুই; "ধুর, আমি ঘুমোলাম!" ভবেশের অবশ্য এসব মনে থাকার কথা নয়। কারণ সে ততক্ষণে অন্তত বার পঁচিশেকের চেষ্টায় পৌঁছে গেছে জানলার কাছে। আর জানলা দিয়ে বাড়ির সামনের পুকুরে চাঁদের ছায়া দেখতে দেখতে সে ভাবছে পুকুরের জলে ওই সুবিশাল যন্ত্রের ছায়া পড়েনি কেন! সকালবেলা ভবেশ অবশ্য বিছানাতেই আবিষ্কার করেছিল নিজেকে। সুচরিতা পাশে বসে ছিল চায়ের কাপ হাতে নতুন বৌয়ের মতো। তার হাসিটা চকচক করছিলো এমন যেন তার পিঠের আঁকশিটাকে ঘষেমেজে ধোয়ার পর সকালের নতুন রোদে ফেলে রাখা হয়েছে। চোখ ধাঁধিয়ে যায় এমন হাসিতে। যায় না?

    এর বছর দুয়েক পর একটা বাচ্চা হয়েছিল ভবেশ আর সুচরিতার। সেইদিনও অমন হাসি দেখেছিলো ভবেশ সুচরিতার মুখে। অথচ তার কিছুদিন পরই সুচরিতাও মারা যাবে, ভবেশের মায়ের মতোই। একটা নিয়মানুবর্তী শরীরের মতো এঘর-ওঘর করবে সে হাওয়ায় ভর করে। নিয়ম মতো খেতে দেবে, চা রাখবে টেবিলে, জামাকাপড় কেচে মেলে রাখবে দড়িতে, অথবা তুলে ভাঁজ করে গুছিয়ে রাখবে আলনা কিংবা আলমারির ভেতর। মাঝআকাশ থেকে পৃথিবীর মাটির দিকে ঘাড় কাত করে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করবে, "তুমি শুতে আসবে, না আমি শুয়ে পড়বো?"

    যাই হোক, এইসব জটিলতায় না ঢুকে আমরা বরং বাচ্চাটার কথা বলি। কী নাম রাখা হয়েছিল ভবেশের বাচ্চাটার? কে রেখেছিলো সেই নাম, ভবেশ না সুচরিতা নাকি অন্য কেউ? সেসব খোঁজে আমাদের দরকার নেই সত্যি বলতে। আমরা তাকে শুধু একটা বাচ্চা বলে ধরে নিলেই চলবে। ভবেশের বৌয়ের পেট থেকে বেরোনো একটা বাচ্চা। পৃথিবীর নিয়মেই সেই বাচ্চাটা বড় হতে হতে একদিন এমন বড় হয়ে গেলো যে তাকে ইস্কুলে ভর্তি করাতে হলো। ভবেশের বৌ নিয়ে গেছিলো তাকে ইস্কুলের খাতায় নাম লেখাতে। বাড়ি ফেরার পর ভবেশ দেখলো তার বাচ্চাটার পিঠেও একটা আঁকশি। হুবহু তারই মতো, শুধু আকারে ছোট। "এইটা কি ইস্কুল থেকে জুড়ে দিলো" --- ভবেশ জানতে চায় তার বৌয়ের কাছে। "কোনটা?" বৌ জিজ্ঞেস করে। "এই যে, এইটা।" ভবেশ তার বাচ্চার পিঠের আঁকশিটা হাত দিয়ে ধরে দেখায়। অথবা সে হয়তো দেখায়নি। কারণ সুচরিতা এমনভাবে ঘর থেকে চলে যায় যেন তাদের মধ্যে কোনও কথাই হচ্ছিলো না এতক্ষণ। খানিক বাদে জামাকাপড় পাল্টে এককাপ চা হাতে ঘরে ঢোকে সে। তারপর ইস্কুলে কি হলো না হলো সেইসব গল্প বলতে থাকে। সেই গল্পে কোথাও আঁকশিটার উল্লেখ ছিল না।

    এর কিছুদিন পর কোনও এক স্বাধীনতা দিবসের দিন ভবেশের কথা ছিল তার বাচ্চাটাকে সকালবেলা ইস্কুলে নিয়ে যাওয়ার। সেইমতো ভবেশ নিচু হয়ে তার বাচ্চাটার পায়ের জুতোর ফিতেগুলো বেঁধে দিচ্ছিলো। হঠাৎ বাচ্চাটা ভবেশের পিঠের আঁকশিটায় হাত দিয়ে বলে ওঠে, "এটা কী, বাবা?" ভবেশ চমকে যায়। তার মনে পড়ে বহুবছর আগেকার এক শীতের দুপুরের কথা। গাঁদাফুলগুলোকে যেন চোখের সামনে দেখতে পায় সে। অথচ তার তো তখন অন্তত বারো-তেরো বছর বয়স ছিল। তার বাচ্চাটা এত তাড়াতাড়ি আঁকশিটাকে দেখতে পেলো কীকরে? খানিকটা গর্ব আর তার চেয়েও বেশি অনেকটা ভয় হয় ভবেশের। কিরকম অজানা একটা ভয়। ভবেশ জুতোর ফিতে বাঁধা শেষ করে তার বাচ্চাটাকে বলে "তাড়াতাড়ি চল। ইস্কুলে দেরি হয়ে যাবে।" এরপর তারা যখন ইস্কুলের মাঠে পৌঁছয় তখন লাইনে দাঁড় করানো শুরু হয়ে গিয়েছে বাচ্চাদের। ভবেশ দেখে, অনেক বাচ্চা, তাদের বাবামায়েরা, ইস্কুলের দিদিমণি-মাস্টারমশাইরা; সবে মিলে কিরকম একটা হুড়োহুড়ি চলছে যেন মাঠটা জুড়ে। আর সবার পিঠে একটা করে আঁকশি। সেই আঁকশি থেকে একটা করে দড়ি বেরিয়ে উঠে গিয়েছে ইস্কুলের মাঠের মাথার আকাশে। আর এই সবকিছুর মাঝখানে একটা উঁচু পোলের শীর্ষে ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকাটা পেটে ফুল ভরা অবস্থায় মাথা নিচু করে ঝুলে আছে।

    বাচ্চাদের লাইনে দাঁড় করানোর কাজ চলছে জোরকদমে। ভবেশের মনে হয়, স্বাধীনতা দিবসই যখন একটা দিন যদি তার বাচ্চাটা লাইনে না দাঁড়ায়; একটা দিন যদি এইটুকু স্বাধীনতা থাকে লাইনে না দাঁড়ানোর, স্যালুট না ঠোকার, তাতে খুব অপমান করা হয়ে যাবে কি দেশকে? দেশ তো স্বাধীন; মানে ভবেশও স্বাধীন, আর ভবেশের বাচ্চাটাও। যেমন ভাবা তেমন কাজ, ভবেশ তার বাচ্চাকে বলে, "আজ তোকে আর লাইনে যেতে হবে না, বুঝলি? গান শেষ হয়ে গেলে গিয়ে বিস্কুট আর লজেন্স নিয়ে আসিস।" বাচ্চাটা জানতে চায়, "তাহলে বাবা এখন আমরা কী করবো?" সত্যিই তো! সব বাচ্চারা যখন লাইনে দাঁড়িয়ে গান গাইবে ভবেশ আর ভবেশের বাচ্চাটা কী করবে তখন, যদি তারা লাইনে না দাঁড়ায়? এইটা তো আগে মাথায় আসেনি ভবেশের। সে ভুরূ কুঁচকে মাথা চুলকাতে থাকে। হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়। আকাশের যন্ত্রটার দিকে তাকিয়ে নিজের আর তার বাচ্চাটার পিঠের দড়িদুটো ধরে টান দেয় ভবেশ বাসের খালাসির মতো। অমনি যন্ত্রটা পাল্টা টান দিয়ে তাদের ওপরে তুলে নেয়। হু হু করে উপরের দিকে উঠতে উঠতে তারা পৌঁছে যায় একদম আকাশের মাঝখানে। যন্ত্রের সাথে সাথে বনবন করে ঘুরতে থাকে তারা। ভবেশ তার বাচ্চাটার চোখের দিকে তাকায়। বাচ্চাটা ভয় পাচ্ছে না তো? সে দেখে, না। বাচ্চাটা হাসছে। খিলখিল করে হাসছে বাচ্চাটা আর হাত মেলে দিচ্ছে দু'পাশে পাখিদের ডানার মতো। তার দেখাদেখি ভবেশও হাত মেলে দেয়। হা হা করে হাসে পাগলের মতো। তাকে হাসতে দেখে আরও আনন্দ পেয়ে যায় বাচ্চাটা। সে তখন বোঁ-ও-ও বোঁ-ও-ও শব্দ করে একবার ডাঁয়ে তো একবার বাঁয়ে গোঁত্তা দিচ্ছে। কে জানে, যুদ্ধবিমান ভাবছে হয়তো নিজেকে! তার হাসি আর থামছে না। ভবেশ হঠাৎ টের পায় তার পিঠের ব্যাথাটা আর নেই। আরও হালকা হয়ে উড়তে থাকে সে ইস্কুলের মাঠের আকাশে স্বাধীনতা দিবসের দিন। ওদিকে নিচে তখন জাতীয় পতাকা তোলা হয়ে গিয়েছে। জাতীয়সঙ্গীত গাইছে বাচ্চারা। "জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা! পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ"... ইত্যাদি। সেদিকে তাকায় একবার ভবেশ। কত কত নিচে সেসব। দেখে, পতাকাটা বেশ পতপত করে উড়ছে ততক্ষণে। গেরুয়া-সাদা-সবুজ, মাঝে অশোক চক্র।

    এত উঁচু থেকে ভবেশের মনে হয় পতাকার মাঝখানে অশোক চক্রটা ঘুরছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | |
  • ব্লগ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৩৩৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঞ্জন | 122.162.96.204 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৫৩96895
  • গা-হিম করা হাড়কাঁপানো গল্প। আমাদের   রোজকার জীবন ও  সম্পর্কের মধ্যে আঁকশিটার খোঁজ চলবে।

  • বিপ্লব রহমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:৪৯96909
  • পিঠে শুধু মানুষেরই আঁকশি বেঁধা থাকে,  চড়কের মেলার মতো জীবনভর চক্কর। বেড়ালের পিঠে কোনো আঁকশি নাই         

  • b | 14.139.196.11 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:৩৬96912
  • খুব ভালো লাগলো।
  • Anamitra Roy | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:২১96931
  • :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন