এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • স্বপ্ন বেচার ছলে

    হাট্টিমাটিম
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ মার্চ ২০০৮ | ৮৮৩ বার পঠিত
  • রঘুনাথ ভালো ছবি আঁকতো। ধূসর পাহাড়, আঁকাবাঁকা নদী, সবুজ মাঠ আর নীল আকাশ বানিয়ে সেখানে একদলা লালপানা সূর্য বসিয়ে দিতো। চায়ের দোকানের ফাইফরমাস খেটে, সময় পেলে ওকে একটু আধটু পড়াতো সোনাদা, দোকানের মালিক। পড়াশোনা কতদূর হয়েছিলো জানা যায় নি। পড়াশোনা করেও তো কতজন গরীব থেকে যায়! তাই রঘু দুবাই চলে গেছে। সেখানে অনেক, অ-নে-ক টাকা। দু-তিন বছর কেটে গেলেই সেখানে সবাই গাড়ি কিনে নেয়, তারপর দামী লেদার জ্যাকেট পরে শাহরুখের মত কায়দা করে হাঁটে। কেন বোকার মত এই ভাগাড়ে পড়ে থাকবে?

    রঘুনাথের মত এরকম অনেকেই চলে যায়। বেগম, যমুনা, নায়িম বা শংকর, নাম-লিঙ্গ-ধর্ম-বয়স যাই হোক না কেন। শুধু গন্তব্য শহরের নামগুলো পাল্টে পাল্টে যায়। সবাই অবশ্য যেতে পারেনা, তারা মনেপ্রাণে প্রার্থনা করতে করতেও থেকে যেতে বাধ্য হয় এই ""ভাগাড়ে""। যারা চলে যায়,সত্যিই কি তাদের ভাগ্য আলিবাবার মত? এক শহরের অন্ধগলি থেকে মুছে গিয়ে সত্যিই কি অন্য শহর আলো করে বসে তারা? প্রশ্ন জাগে, সেই সাথে সন্দেহও। কোথায় যায় এই রঘুরা? যে স্বপ্নের দেশের পথ হাতছানি দেয় ওদের, সেই গন্তব্যে কি পৌঁছায় সবাই? নাকি অন্য কোথাও লকলকে জিভেরা মুখিয়ে থাকে ওদের জন্যে? যারা স্বপ্নের শহরে পৌঁছায়, তাদের ভাগ্যেই বা কি ঘটে?

    তথ্য বলে, যত পুরোনো সভ্যতা, ততই প্রাচীন তার মানুষ পাচার করার ইতিহাস। তাই ঐতিহ্যশালী দেশগুলোয় সভ্যতার চাকার সাথে পাল্লা দিয়ে গড়িয়েছে আদিমতম ব্যবসাগুলো। নির্মমভাবে বিক্রি হয়ে গেছে মানুষ, কখনো অন্য দেশে, কখনো সেই দেশেরই ""সভ্য"" নাগরিকের হাতে। তারপর তাদের কথা মুছে গেছে একসময়। ক্কচিৎ এক আধটা গল্প খবরের কাগজে ঠাঁই পেয়ে সংবাদপত্রের বিক্রি বাড়িয়েছে, উঠতি বা পড়তি রাজনৈতিক অথবা প্রতিবাদী সংগঠনকে অক্সিজেন দিয়েছে, লেখকদের দিয়েছে ""বেস্ট সেলিং প্লট ""। আমরা পত্র-পত্রিকায় লিখে ফাটিয়ে দিয়েছি, মিছিলনগরী সোচ্চার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে, দিকে দিকে অজস্র সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের কথা শোনা গেছে নারী দিবস বা শিশুদিবস এলেই। কিন্তু অবস্থাটা পাল্টেছে কি? বোধহয় না। আসুন দেখা যাক পরিসংখ্যান কি বলে।

    ২০০৭ এর জুন মাসে প্রকাশিত দেশভিত্তিক রিপোর্ট বলছে, মানুষ বেচাকেনার নিরিখে ভারতের অবস্থান মোটেই সুবিধের নয়। বিশ্বের সবসেরা দশটি উন্নয়নশীল দেশের একটি হওয়া সত্ত্বেও এখানে রমরমিয়ে চলছে আধুনিকতম দাসব্যবসা। অজস্র নারী-পুরুষ ও শিশু প্রতি বছর পাচার হয়ে যায় ভারত থেকে। আবার কখনও অন্য দেশ থেকেও পাচার হয়ে আসে কেউ কেউ। কেনই বা আসবে না? ভারতেও তো এখন বড়োলোকের ছড়াছড়ি। শপিং মল থেকে মাল্টিপ্লেক্স, নাইট ক্লাব থেকে বার, ""স্বপ্নের'' দেশের সংজ্ঞায় যা যা থাকা দরকার, সেসবই তো এখন আছে আমাদের। তাই ভারত আধুনিক দাসব্যবসার এক গুরুত্বপূর্ণ শরিক, একাধারে ""সোর্স"", ""ডেস্টিনেশান"" এবং "" ট্রানজিট"" । অর্থাৎ, শুধু বেচাকেনাতেই আমরা সীমাবদ্ধ নই, অন্যান্য দেশের ""ব্যবসায়ী"" বন্ধুরা যাতে সহজে ""কাজ'' করতে পারে, সেদিকেও আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। এইভাবেই বাংলাদেশ, শ্রীলংকা বা পাকিস্তান থেকে ঘুরপথে অন্যান্য দেশে অসংখ্য নারী ও শিশু পাচার হয়। মেয়েরা সহজেই নিষিদ্ধপল্লীতে পৌঁছে যায়, বাচ্চাদের বিনা পারিশ্রমিকে খাটানো হয় বেশির ভাগ সময়। কখনও বা শিশুরাও হয়ে যায় যৌনদাসদাসী। ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসমস্ত মেয়েদের ভুলিয়ে পাচার করে দেওয়া হয়, তাদের নব্বই শতাংশেরই ঠাঁই হয় দেশের বিভিন্ন নিষিদ্ধপল্লী। অর্থাৎ যে দেশের স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের পথে নামানো হয়, সেখানে তারা পৌঁছয়ই না। অন্যদিকে শিশুদের একটা বড়ো অংশ অন্য দেশে পৌঁছলেও শেষ পর্যন্ত তলিয়ে যায় অন্ধকারে।

    মানুষ পাচার সংক্রান্ত অপরাধের পরিমাণ ও সেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা খতিয়ে দেখে প্রতি বছর বিশ্বের দেশগুলোকে র‌্যাঙ্কিং এর আওতায় আনা হয়। ২০০৭ এর রিপোর্টে আঠাশটি দেশ প্রথম বিভাগে জায়গা পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত এদের মধ্যে নেই। প্রথম বিভাগে থাকার শর্তগুলো সংক্ষেপে এইরকম :
    ইউ এস স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ঠিক করে দেওয়া চারদফা নিয়ম মানতে হবে। এই চারদফা নিয়মকে ন্যুনতম শর্ত বলা হয়েছে, যার মধ্যে পাচারকারীদের খুঁজে বের করে কঠোর ও যথাযথ শাস্তি দেওয়া এবং হতভাগ্য মানুষটির পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সাহায্য করার কথা বলা হ®ছে। বেশিরভাগ অপরাধের সাথেই যেহেতু যৌন নিগ্রহের ঘটনা জড়িয়ে থাকে, তাই এই নিয়মগুলিতে পরিস্কার বলে দেওয়া আছে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কি ধরণের ভূমিকা নেওয়া উচিত। এছাড়াও সার্বিকভাবে অপরাধ প্রতিরোধে সরকারের ভূমিকাও এই মূল্যায়ণের আওতায় আছে। যে প্রশাসন এই সমস্ত নিয়ম মেনে চলবে, অপরাধীরা কঠোর শাস্তি পাবে অথচ পাচার হয়ে যাওয়া ছিন্নমূল মানুষগুলো শাস্তি পাবে না, তারাই এই এলিট প্যানেলে থাকতে পারবে।

    এরপরের বিভাগে আছে সেইসব দেশ যারা কমিটির ঠিক করে দেওয়া নিয়মাবলী পুরোপুরি মেনে চলতে না পারলেও চেষ্টায় খামতি নেই, তারা। এদের সংখ্যা ৭৫, এবং এখানেও ভারতের জায়গা হয় নি। দ্বিতীয় বিভাগের পরের অংশকে আবার বিশেষ পর্যায়ভুক্ত করে একটা ""ওয়াচ লিস্ট'' বানানো হয়েছে। ভারত আছে এই ওয়াচ লিস্টে, আরো ৩১ টি দেশের সাথে। আর যারা নিয়মগুলিও মেনে চলে না, এবং অবস্থার উন্নতিতেও কোন আগ্রহ দেখায়নি এরকম ১৬ টি দেশের স্থান হয়েছে তৃতীয় বিভাগে। এরও বাইরে ১৩ টি দেশ আছে যাদের ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ তথ্য ও অন্যান্য অসুবিধের জন্য কোন মূল্যায়ণ সম্ভব হয় নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেও এই তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে, হয়ত নিরপেক্ষ থাকার জন্য। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, এই নিয়ে পরপর চার বছর ভারত এই তালিকায় একই জায়গায় রয়ে গেল। রিপোর্টে ভারত সরকারের প্রচেষ্টার কথা স্বীকার করেও জানানো হয়েছে যে ভারতের মত দেশে, যেখানে সমস্যার শিকড় অনেক জটিল ও বহুমাত্রিক, সেখানে সরকার আরো বেশি দায়িত্ব ও সদিচ্ছা দেখাবে, এমনটাই আশা ছিলো। কিন্তু সেই প্রত্যাশাপূরণে সরকার ব্যর্থ। দেখা গেছে, ভারতের আইনব্যবস্থা মূলত: নারী পাচার সংক্রান্ত। এর বাইরে থেকে যাওয়া অজস্র মানুষ, যাদের ইটভাটা বা ঘর গেরস্থালির কাজে খাটিয়ে নেওয়া হয়, বিনিময়ে কখনও অপর্যাপ্ত খাবার, কখনও যৌননিগ্রহ জোটে, তাদের জন্য সরকারী তরফে খাঁকা বুলি আওড়ানো ছাড়া কিছুই করা হয় নি। অথচ বিভিন্ন এনজিও'র হিসেবে, শুধু ভারতেই এইরকম মানুষের সংখ্যা প্রায় ৬৫ লক্ষ!

    মানুষ বেচাকেনা নির্মূল করতে গেলে যেসমস্ত তৎপরতার সরকারী তরফে নেওয়া উচিত তার মধ্যে প্রথমেই আসে আইনি ব্যবস্থা। আশ্চর্য্যজনকভাবে, সরকারী তরফে এই অপরাধে গ্রেপ্তারের সংখ্যা খুবই কম। একটা উদাহরণ দিলেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হবে। ২০০৬ নাগাদ দিল্লীর পুলিশ ২৩৪ জন শিশুশ্রমিককে উদ্ধার করে একটি এমব্রয়ডারি ফ্যাক্টরি ও একটি রাইস মিল থেকে। অথচ কেউ গ্রেপ্তার হয় নি। ২০০৬ এর ডিসেম্বর অবধি মোট ১৬৭২ টি এরকম অপরাধ চিহ্নিত করেও কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি, বা তাৎক্ষণিকভাবে মামলা শুরু করেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বছর জুড়ে বিভিন্ন অভিযানে হাজার হাজার শিশু ও নারী উদ্ধার করে আনা হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বাচ্চাদের বয়স ৫ থেকে ১৪ র মধ্যে, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উদ্ধার করে আনার পরেই প্রশাসন হাত ধুয়ে ফেলেছে। শুধু একটি দ্বিবার্ষিক প্রোজেক্ট খানিকটা ফলপ্রসূ হয়। মহারাষ্ট্র , গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশ, এই চারটি রাজ্যে ৪৩ টি অভিযান চালিয়ে ২৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়, ও ৬৮৫ জন গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু এরপরেই বিচারের নামে প্রহসন চলে, এবং মার্চ ২৭ জন বাদে বাকিরা সবাই বেকসুর খালাস হয়ে যায়। ব্যতিক্রমী ও সফল সরকারী তৎপরতার ছবিই যদি এইরকম হয়, তাহলে সাধারণ ছবিটা কিরকম সেটা বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা না।

    পুনর্বাসনের বিষয়েও বিস্তর অনিয়ম ও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আছে। নিয়ম অনুযায়ী একজন ভিক্টিমের ১০০০০ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) প্রাপ্য। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় মানুষ এই টাকা হাতে পেয়েছেন। পুনর্বাসনের লক্ষে তৈরী সরকারী হোমগুলোর অবস্থা তো শোচনীয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুনর্বাসনের কাজ করে থাকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এবং সরকারও এদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে হাত গুটিয়ে নেয়। অথচ এরকমটা করার কথা নয় মোটেই। পুনর্বাসনের জন্য ঢাকঢোল পিটিয়ে স্কিম চালু করা হয়েছিলো। তারপর তার কি গতি হয়েছে তা সরকারী বয়ানেই শোনা যাক :
    In April 2007, however, India's parliament released a report concluding that the Ministry of Women and Child Development had failed to adequately implement the Swadhar program and another program specifically focused on services for trafficking victims across the country.

    যেখানে মূল সমস্যা মেটাতেই সরকার ল্যাজেগোবরে, সেখানে ভবিষ্যত অপরাধ প্রতিরোধ কর্মসূচী যে মুখ থুবড়ে পড়বে তা বলা বাহুল্য। ফলে চড়চড়িয়ে বেড়েছে বিয়ে করে এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিয়ে গিয়ে বিÏ&#৩৪৭;² করে দেওয়া বা কিংবা আত্মীয়/আত্মীয়া পরিচয়ে অন্য দেশে পাচার করে দেওয়ার মত ঘটনা। কথা ছিলো, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশেষ তৎপরতা দেখানো হবে। আরো অনেক প্রতিশ্রুতির মত সেটাও ভুলে যাওয়া গেছে।

    এইভাবে বছরের পর বছর ধরে কিছু মানুষের ভুলে, দায়িত্বজ্ঞানহীনতায়, হারিয়ে যাওয়া মুখগুলো আর ফিরতে পারেনা আমার আপনার ঘরের পাশে। আর ওরা ফিরতে পারেনা বলেই থেকে যাওয়া'রাও জানতে পারেনা স্বপ্নের সে দেশ ঠিক কেমন। একদল মুছে যেতেই আরেকদল তৈরী হয়ে যায় অন্ধকারে পা বাড়ানোর জন্য। হ্যাঁ, ওরা বেঁচে থাকে। যাদের ভাগ্য ভালো, তাদের কোন না কোন সরকারী হোমে নির্ঘাৎ পাওয়া যায়। যাদের খারাপ, তাদের একদল চিরতরে হারিয়ে যায়, আরেকদল জেল ঘুরে দাগী আসামী হয়ে ফেরে। আমাদের দেশে, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রে, এখনও পাচার হয়ে যাওয়ার ""অপরাধে'' জেলে যেতে হয়, আর পাচারকারী বুকপকেটে মোবাইল নিয়ে ঘোরে। রঘুনাথের আঁকার খাতায় সূর্যটা তাই উঠতেও উঠতেও পুরো ওঠেনা। একটু উঁকি দিয়েই আবার পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে।

    ** তথ্যসূত্র : U.S. State Dept Trafficking in Persons Report, June 2007

    মার্চ ২, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০২ মার্চ ২০০৮ | ৮৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন