এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভগবানবাবুর পুষ‍্যি

    Krishnendu Talukdar লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২ বার পঠিত
  • ভগবানবাবুর পুষ্যি

    ভগবানবাবু পরম দয়ালু। প্রাণীহত্যা মহাপাপ তাই মাছ,মাংস, ডিম এমনকি গরুর কষ্ট হবে বলে দুধ টুকু ও খান না। গায়ে মশা বসলে উড়িয়ে দেন - মারেন না। প্রাণীহত্যা বন্ধ করতে পোস্টার ব্যানার ফেস্টুন হাতে তাঁকে প্রায়ই রাস্তায় দেখা যায়। করোনা কালে মাছের বাজারমুখী মানুষজনকে উনি অনেক বুঝিয়েছেন। কিন্ত কে শোনে কার কথা।

    এই রকম লোকের বাড়িতে বেড়াল ! আমিষগন্ধ বের হয়না এমন বাড়িতে বেড়ালের উপস্হিতি চমকে দেওয়ার মত। ভগবানবাবু না চমকালেও বেশ অবাক হলেন। দেখলেন একটা পাটকেল রঙের মেনি বেড়াল করুণ মুখে তাঁর দিকে তাকিয়ে মিউ মিউ করে চলেছে। বেড়ালটার বাচ্চা হবে খুব শিগগিরই  তা তার ফোলা পেট দেখলেই বোঝা যাচ্ছিল। খিদের চোটে বেড়ালটার সবুজ চোখ দুটো ঠিকরে বেরিয়ে আসছিল। বাড়িতে সেদিন গাওয়া ঘি এর লুচি হয়েছিল। ময়ান দেওয়া সেই ময়দা কিছুটা মাটিতে পড়ে গেছিলো। মজা দেখার জন্য সেটাই তুলে বেড়ালটাকে দিলেন আর আশ্চর্য্য হয়ে দেখলেন বেড়ালটা তা এক নিঃশ্বাসে খেয়ে নিল। এতটা তাড়াতাড়ি বেড়ালটা খেয়ে নিল যে এই আশ্চর্য্য ঘটনাটার ছবিও তোলা গেল না। মোবাইল নিয়ে এসে পরের বার যখন আবার ময়দার মণ্ড দেওয়া হল হতচ্ছাড়ি শুঁকেই চলে গেল। ঘটনাটা ওনাকে এতটাই ভাবালো যে উনি ফেসবুক পোস্ট দিলেন---
    বেড়ালেও মাছ ফেলে ময়দা খেতে শুরু করেছে। শুধু এই পেটরোগা বাঙালি জাতটাই মাছ মাংস খেয়ে খেয়ে উচ্ছন্নে গেছে।   

    কিন্তু বেড়ালকে কাশীবাসী দেখার স্বপ্ন ভেঙেগেল পর দিনই। পাড়া প্রতিবেশীরা শুনতে পেল ভগবানবাবু বেড়ালটা কে খুব বকাঝকা করছেন মুখে করে মাছের কাঁটা নিয়ে ওনার বাড়িতে ঢোকায়। তাড়া খেয়েও বেড়ালটা মাছ ছাড়লো না, একলাফে পাঁচিলে উঠে ভগবানবাবুর বাড়ি ছাড়লো। প্রতিদিনই উচ্ছিষ্ট নিরামিষ খাবার একটু শুঁকেই সে চলে যেত চিলেকোঠায়। চিলেকোঠার কেসটা বোঝা গেল সপ্তাহ  খানেক পর। যখন সেখান থেকে বেড়াল বাচ্চার চিৎকার শোনা গেল। একটা প্যাকিং বক্সে ভেগান খাবারের প্রচারমূলক বেশ কিছু ব্যানার রাখা ছিল। হতচ্ছাড়ী সেখানেই বাচ্চা পেড়েছে। একটা  সাদা, একটা পাটকেলে আর দুটো কালো। ব্যাপারটি ভগবানবাবুকে এতটাই বিরক্ত করলো যে রাতে দুঃস্বপ্নে দেখলেন যে গোটা বাড়ি বেড়ালে ভরে গেছে আর তারা মাছের কাঁটা, মাংসের হাড় জড়ো করছে তুলসী  মঞ্চের কাছে। 

    এই স্বপ্নের ফল হল- বেড়াল আর ভগবানবাবুর দু’ দিন ব‍্যাপী লুকোচুরি খেলা। চিলেকোঠা থেকে তাড়া খেয়ে বেড়ালটা বাচ্চা সমেত রান্নাঘরে ঢোকে। সেখান থেকে তাড়া খেয়ে ঠাকুর ঘরে। একটা গোটা দিন তো গুদামঘরেই কাটিয়ে দিল। শেষ পর্যন্ত তাড়ার চোটে তিন তলার সিঁড়ির চাতালে বাচ্চাগুলোকে ফেলে দিয়েই বেড়ালটা পালালো। চোখ না ফোটা বাচ্চাগুলো ‘ভেগান ফুড’ লেখা একটা প‍্যাকিং বাক্সের মধ্যে থেকে ক্ষীণ স্বরে সারাদিন ধরে মা কে ডেকে যেতে থাকলো। ভগবানবাবুর কাছে লকডাউনের সেরা টাইমপাস হয়ে গেল ‘বিড়াল খেদা’। দিনের বেলা ভগবানবাবুর সঙ্গে চোরপুলিস খেলে রাতে ঠিক এক ফাঁকে সদ‍্য চোখ ফোটা বাচ্চাগুলোকে খাইয়ে যেতে লাগলো বেড়ালটা।         

    একদিন রাতে পেচ্ছাপ করতে ওঠে ব‍্যাপারটা আবিস্কার করলেন ভগবানবাবু। পরদিন সকাল থেকে বাড়িতে ঢোকার সব জানলা, ফাঁক ফোকর বন্ধ করার কাজ শুরু হল। কয়েকদিনের চেষ্টায় বেড়ালের নৈশ আগমনের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হল। কিন্তু ভগবানবাবুর রাত্তিরের ঘুম উঠে গেল বেড়ালবাচ্চাদের চেল্লামেল্লিতে। সারাদিন ধরে খিদের চোটে তারা মা কে ডাকাডাকি করছে আর তিন তলার সিঁড়ির চাতালে ঘুরে বেড়াচ্ছে।     

    কৃষ্ণের জীব তাঁর বাড়িতে অনাহারে মরলে লোক নিন্দা হবে ভেবে একটু সোয়াবীনের দুধ খেতে দিলেন ওগুলো কে। কিন্তু বাচ্চাগুলো তো চাটতেই শেখেনি। অবশ্য করোনার ভয়ে খেতে দিয়েই আর ধারে কাছে থাকেন নি উনি। পরদিন সকালে বিনোদের মা ছাদ ঝাঁট দিতে গিয়ে জানালো একটা বাচ্চা মরে কাঠ হয়ে পড়ে আছে। তার শরীর মুড়ে আছে লাল পিঁপড়ে তে। মরা বেড়াল ছানা ডাস্টবিনে ফেলার জন‍্য ফেলে দেওয়া কাগজের স্তূপ থেকে কাগজ কুড়োয় বিনোদের মা। নেগেটিভ খবর অপছন্দ বলে ইদানিং কাগজের বেশিরভাগটাই ওয়েস্ট পেপার বক্সে ফেলছেন ভগবানবাবু। “এক মাসে কর্মহীণ দেড় কোটি”, “অনাহারে মৃত তিনশো” ইত্যাদি খবর সমেত সাদা রঙের মৃত বেড়াল ছানাটা বাতিল খবর কাগজের কাফনে ডাস্টবিনে সমাধিস্হ হল।   

    পরদিন সকালে ছাদে ওঠার সময় ভগবানবাবু দেখলেন তিনতলার চাতাল থেকে সিঁড়িতে লাফ মারছে কালো বাচ্চাটা। যেটা সবথেকে মোটাসোটা ছিল চোখও ফুটেছিল সবথেকে আগে। লাফালো বটে বাচ্চাটা কিন্তু লাফানোর কৌশল না জানায় মাথাটা জোরের সঙ্গে ঠুকলো সিঁড়ির কোণে। আঘাতটা এতটাই জোরে ছিল যে অজ্ঞান হবার আগে সেটা পায়খানা করে ফেলল। ময়লা সাফ করতে হবে ভেবে বিরক্ত হয়ে ভগবানবাবুর চলে আসার আগে পর্যন্ত সেটা বেঁচে ছিল। রাতে কাজ করতে এসে বিনোদের মা আর একটা বাতিল খবরের কাগজে মুড়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসলো বাচ্চাটা কে। নিম্নচাপের গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির ছিটে পড়ছিল সেই মোড়ানো কাগজে থাকা একটা বাচ্চা মেয়ের ছবিতে। তিন দিন ধরে দেড়শো কিলোমিটার হেঁটে নিজের গ্রামে ফিরতে চাওয়া যে বাচ্চাটা ডিহাইড্রেশনে ছবি হয়ে গিয়েছিল।  

    বিনোদের মা বুঝতে পারছিল – বাকি বাচ্চাদের পরিণতি ও একই হবে। তাই সেগুলো কে দোতলার সিঁড়ির নীচে রেখে দিয়ে আসলো। পরদিন বাড়ি থেকে দুধ এনে তুলোর সলতে করে বাচ্চাগুলোকে খাওয়াতে আস্তে আস্তে সেগুলো নড়াচড়ার ক্ষমতা ফিরে পেল। এভাবে তিন দিন যেতে না যেতেই সেগুলো সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা শুরু করলো। উপরের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পাটকেলে ছানাটা আগে পিছনের পা নামিয়ে পরে বাকি শরীর নামায়। রোগা কালো ছানাটা তা করতে পারে না বলে পাটকেলেটা তাকে গুঁতিয়ে নামায়। ভগবানবাবুর দয়ার শরীর। মা আর মাতৃভূমির ডাকে এগিয়ে যাওয়া কারুর রাস্তা সুগম করাই তো তাঁর কাজ। তাই সদর দরজা খুলে ছাদে জল দেওয়ার পাইপে করে জল ছেড়ে বাচ্চাগুলোকে তাড়াতে থাকলেন। ব্লিচিং পাওডারটা ফুরিয়ে গেছিলো বলে জীবণুমুক্তির খেলাটা ঠিক জমলো না বটে তবে বাচ্চাগুলো সদর দরজার চৌকাঠ পর্যন্ত পৌঁছে গেল। জলের তোড়ে আর পাটকেলেটার গুঁতোয় কালো বাচ্চাটা রাস্তায় গড়াগড়ি দিতে না দিতেই চারটে টহলদার এনফিল্ড বুলেট তাকে পরপর পিষে দিয়ে গেল। পাটকেলেটা ভয় পেয়ে মা কে ডাকতে শুরু করতেই মেনি বেড়ালটা কোথা থেকে এসে তাকে মুখে করে তুলে নিয়ে আবার ভগবানবাবুর বাড়িতে অনুপ্রবেশ ঘটালো। “শালা উইপোকা”- বলে একটা ঝুলঝাড়া হাতে বেড়ালটার পিছনে ছুটলেন তিনি। সিঁড়ি বেয়ে বেড়ালটা ছাদে উঠলো। ভগবানবাবুও উঠলেন। ঝুলঝাড়ার ছোঁচা খেয়ে পাশের বাড়ির কার্নিশ লক্ষ‍্য করে একটা মরিয়া ঝাঁপ দিল বেড়ালটা। মুখে বাচ্চা থাকায় লাফটা ঠিক মত হল না। তিনতলা থেকে রাস্তায় পড়লো ঘুরে গিয়ে। ভগবানবাবু ধীরে সুস্হে নীচে এসে বসার ঘরের জানলা খুলে দেখলেন মেনি বেড়ালটা মাঝ রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে আছে আর পাটকেলে ছানাটা তার দুধ খাবে বলে তাকে ঢোঁসাচ্ছে। পুলিশের কনভয় আসছে দেখে তিনি জানলাটা বন্ধ করে দিলেন তাড়াতাড়ি। ভগবানবাবু আইন মেনে চলা শান্তিপ্রিয় মানুষ। হিংসা রক্তারক্তি  একদম দেখতে পারেন না। 

    --------------------------------------
    কৃষ্ণেন্দু তালুকদার
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন