এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রাধে রাধে কমিনভাই, টিক্কা জ্বালাইয়া তামুক খাই

    রঞ্জন রায়
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৬৪৭ বার পঠিত
  • সেজকাকা চটে লাল। দোষের মধ্যে আমার বোনটি গুনগুন করছিল কলেজ-সোশ্যালে শোনা গান,-----"" যেখানেতে ঘটে যত অনিস্টি, সকলের মূলে কমিউনিস্টি,,। ব্যস, শুরু হয়ে গেল লেকচার।
    ---""না হয় দিনকাল কিছু পাল্টেছে, বাজার আজ ভগবান হয়েছে, তা'বলে নতুন জেনারেশান এইসব আজেবাজে গান গাইবে আর আমাদের শুনতে হবে! '' পুরনো দিনের পার্টি মেম্বার আমার কাকাকে বোঝানো মুশকিল যে এটা আসলে অন্নদাশংকর রায়ের বিখ্যাত ছড়া, আর সুর দিয়েছেন বিখ্যাত গণশিল্পী অজিত পান্ডে। বোন আমার দিকে করুণ চোখে তাকায়-- রেজিস্টার্ড বক্‌বক্‌ করনেওলা দাদাটির ওপর তার অনেক ভরসা। দাদা নিশ্‌চয় কিছু উল্টোপাল্টা যুক্তি-কুযুক্তি দিয়ে বাবাকে চুপ করাবে।

    অগত্যা বোনের অনুরোধে আমি ফিল্ডে নামি।
    --""আচ্ছা, তোমরা কি স্যাটায়ার বোঝ না? পুরনোদিনের কমিউনিস্টরা সব রামগরুড়ের ছানা না কি? সারাক্ষণ খালি "কাস্তেটারে দিও জোরে শান' গোছের ভাব নিয়ে থাকা!'' বোন ইশারায় বোঝালো প্রথম ওভারের বলগুলো গুড্‌ লেংথে পড়ছে।
    --""বাজে বকিস না তো? সাধন গুপ্ত মশায়ের গলায় "" ও মাউন্টব্যাটন সায়েব ও, তোমার হাতের ব্যাটন কার হাতে দিয়া গেলায় ও'' শুনেছিস? সমরেশ বসুর গল্প নিয়ে গণনাট্য সংঘের নাটক "" কিমলিস্‌'' দেখেছিস? কমিউনিস্টরা হাসে না, হুঁ:। '' সেজকা' বলগুলো স্ট্রেটব্যাটে খেললেন।
    -- ""যাই বল, তোমরা পুরনো কমিউনিস্টরা কিন্তু দ্বৈতবাদী।''
    -- ""মানে? '' কাকা বল বুঝতে পারেন নি। বলটা বা-ঁহাতের ব্যাটস্‌ম্যানের জন্যে ব্যাট আর পায়ের ফাঁক দিয়ে ভেতরে ঢুকে বেলের চার ইঞ্চি ওপর দিয়ে গেল। বোন আনন্দে নি:শব্দ তালি বাজালো।
    -- ""মানে খুব সোজা। ইউরোপের ডায়ালেকটিক্স বাংলার মাটিতে এসে দ্বৈতবাদ হয়েছে। নেতারা এসেছেন সব উচ্চবর্গ থেকে; হয় রাজবাড়ি-জমিদারবাড়ি, নয়তো বিলেতফেরত ব্যারিস্টার। ওদিকে জ্যোতিবাবু-সাধন গুপ্ত-ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত- ইদানীংকালের সোমনাথ চাটূজ্জে; সব ব্যারিস্টারের গুষ্টি। মৈমনসিংহের রাজা শশীকান্ত আচার্যের নাতি স্নেহাংশু কান্ত আচার্য আবার এই দুটোর সিনথেসিস। একই সঙ্গে রাজপুত্তুর ও ব্যারিস্টার। পোষাকে-আশাকেও সেই দ্বৈতবাদ। একদল নেহরুর মত স্মার্ট ফর্মাল ড্রেসের ভক্ত। আর এক দল হলেন লম্বাচুল্‌দাড়ি, পাজামা-পাঞ্জাবি, রবীন্দ্রনাথ- জীবনানন্দ ভক্ত ধোঁয়াগেলা কবি-কবি কমিউনিস্ট। ''

    হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা বলগুলো কাকা কোনমতে "" ডাক'' করলেন পরের ওভারে সবগুলো বলই অফ স্টাম্পের ওপর।
    --""চীন-ভারত যুদ্ধের সময় পার্টি দু'ভাগ হল। ডান আর বাম, আবার সেই দ্বৈতবাদ। একদিকে ভবানীবাবু--চিনুবাবু-মোহিতবাবু--সুভাষবাবু এঁরা, আর একদিকে দোদোবাবু--জ্যোতিবাবু--রতনলাল ব্রাহ্মিন-- প্রমোদবাবুরা। নকশাল জমানাতেও কোন ইতরবিশেষ হয়নি। কানু সান্যাল-চারু মজুমদার--সুশীতল রায়চৌধুরি--অসীম চাটুজ্জে, অর্থাৎ ব্রাহ্মণ্যবাদেরই জয়-জয়কার।''
    সেজকা' লাফানো বলগুলোকে প্রায় শচীনের মত সফট হ্যাণ্ড খেলে নামালেন। একটা ফ্লিক মাঠের সীমানা পেরুলো।
    -- ""মন্দ বলিস নি। শুনতে ভালো, কিন্তু ওপরচালাকি ভরা বাজে কথা। তুই চল্লিশের দশক আর ষাটের দশক গুলিয়ে ফেলেছিস। ভুলে মেরে দিয়েছিস ট্রাম ও বিড়ি শ্রমিকদের মধ্যে কাজ করা মহম্মদ ইসমাইল আর মহম্মদ ইলিয়াসকে, নোয়াখালির কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা মুজফ্‌ফর আহমেদকে। আর ইংরেজ বিরোধী বিপ্লবীদলগুলোর থেকে আসা আন্দামানফেরৎ সংগ্‌ঠকরা? অনুশীলন আর যুগান্তরদলের লোকজন? মনে রাখিস, পূববাংলা ছিল অনুশীলন দলের শক্ত ঘাঁটি। আর সতীশ পাকড়াশি, গণেশ ঘোষ, কল্পনা দত্ত? চট্টগ্রাম -অস্ত্রাগার -লুন্ঠন মামলা থেকে পার্টিতে আসা বিপ্লবীরা? বিপ্লবী ইলা মিত্রের তো নামও শুনিস নি।'' কাকার গলায় একইসঙ্গে রাগ ও দু:খ ঝরে পড়ে। কাকা হাত দিয়ে সাইট স্ক্রীনের সামনে থেকে লোকজনের চলাফেরা বন্ধ করতে বললেন।
    --""শুনব না কেন?" ইলামিত্র ফুচিকের বোন, ইলামিত্র স্তালিননন্দিনী---', গোলাম কূদ্দুসের কবিতাটা পড়া আছে।'' আমার একটা ইয়র্কার কাকার ব্লকহোলে।কাকা একটু শান্ত হলেন।
    --"" তবে হ্যাঁ, দু'ধরণের কমিউনিস্ট আমরাও দেখেছি। একদল মাটী থেকে উঠে আসা। আর একদল ইংরেজিনবিশ কলমপেষা। ''কাকা শুধু সিংগলস্‌ নিচ্ছেন।
    --"" তা'বেশ তো। তোমার দেখা দু 'ধরনের কমিউনিস্টদের কথাই না হয় শোনালে। '' একটা স্লোয়ার দিলাম।
    --"" আমরা জানতাম মণি সিং-মহেন্দ্র সিংকে। হাজং এর রাজপরিবারের দুইভাই, কিন্তু হাজং উপজাতিদের মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয়। এঁরা শুধু মৈমনসিংয়েরই ন'ন, এঁরা একেবারে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির প্র্‌তিষ্ঠাতাদের অন্যতম। মৈমনসিংহের উত্তর-পূর্বে গারোপাহাড়ের নীচে হাজং উপজাতির বাস। তেভাগা আন্দোলনের সময় একদিকে পুলিশবাহিনী আর একদিকে তীরধনুক নিয়ে হাজং।মনে পড়ে আমার ছোটবেলায় গাঁয়ে সশস্ত্র পুলিশবাহিনী ঢুকেছে। আমরা ছোটরা ভয়ে খাটের তলায় লুকিয়ে। পেছনবাড়িতে তীরধনুকধারী ক'জন হাজং রাগে ফুঁসছে,----"" অদা! কমরেড অদা!'' অর্থাৎ, অর্ডার দাও কমরেড। পুঙ্গিরপূতদের একবার দেখে নেই।''
    --"" ওরে বাবা, এ'যে একেবারে নক্সালবাড়ি--খড়িবাড়ি--ফাঁসিদেওয়া!'' একটা বল আম্পায়ার ""নো'' ডাকলেন।
    --""ফুট কাটিস নে। প্রায় সেরকমই। একটা থেকেই আর একটা''।
    --"" সে যাকগে ; তুমি বল ভদ্দরলোক কমিউনিস্টদের প্রথম কখন দেখলে''? আমি সাদামাটা শর্ট পিচ ফেললাম।
    --"" সেবার নেত্রকোণা শহরে দু'তিনদিন ধরে কমিউনিস্ট সম্মেলন হল। দেশভাগের কিছু আগে। নদীর পাড়ের মাঠে ম্যারাপ বাঁধা হল। আলো জ্বললো, মাইক বাজলো, কোলকাতা থেকে অনেক লোকজন এল। শুনলাম তারা একজন আরেকজনকে ডাকছে "" কম্‌রেড'' বলে। কথাটা নেত্রকোণায় বেশ চালু হয়ে গেল। আমার যত দাদা ছিলো, মানে খুড়তুতো-জ্যাঠতুতো--মামাতো--মাসতুতো এইসব আরকি, সবাই একদিনে কমিউনিস্ট হয়ে গিয়ে একজন আর একজন্‌কে কমরেড মেজদা, ক্‌মরেড ফুলদা, এমনি করে ডাকতে লাগলো। মেজদার ছিলো মিস্টির দোকান। ক'দিন দোকান বন্ধ রইলো। মেজদা গিয়ে কমিউনিস্ট বুকস্টল থেকে কিছু বই কিনে আনলো। ক'দিন পরে বোর হয়ে আমাকে দিয়ে দিল। আমার তখন গল্পের বই গ্রোগাসে পড়ার দিন চলছে। সেই প্রথম নাম জানলাম গোপাল হালদারের। মানিক বাঁড়ুজ্জে--সমরেশ বোস এদের পড়েছি আরো অনেক পরে। ( কাকা স্বচ্ছন্দে স্ট্রাইক রোটেট করছেন)।তারপর পার্টি অফিস হোল, নাটক-গানবাজনা এইসব নিয়ে গণনাট্য সংঘের শাখা খুললো। আর হ্যাঁ, কৃষকসভাও হল। কিন্তু আমাদের ছোট্ট মফস্ব:লী শহরে সবার যেটা চোখ টাটাল তা'হল ওদের ছেলেমেয়েরা নিজেদের মধ্যে সহজে মেলামেশা করে। সেই সময়ে ওটা কোলকাতা-ঘেঁষা ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে ছাড়া বর্ণহিন্দুর সমাজে ভাবা যেত না। তবে কমিউনিস্ট মেয়ে গুলো যেন কেমন কেমন। সাদাখোলের বা একরঙ্গা শাড়ি। ওষ্ঠরঞ্জনী স্ট্রিক্টলি ""নো-নো''। পাউডার-কাজল? যেন অনিচ্ছায় একটুখানি লাগানো হয়েছে। খানিকটা যৌবনে- যোগিনী গোছের ব্যাপার। তবে প্রকৃতি প্রতিশোধ নিত ঠিকই। আমার কথাটা বুঝতে হলে ম্যাডাম বৃন্দা কারাতকে দ্যাখ,-- আজকাল টিভিতে তো দেখছিস। আহা, যদি জে এন ইউয়ের স্টুডেন্ট লীডারির দিনে ওকে দেখতি! যখন ও বৃন্দা চ্যাটার্জী ছিলো। ( কাকা এখন অফ স্টাম্পের ওপরের বলকে স্কোয়ার লেগের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি পাঠাচ্ছেন।)

    প্রথমে পাড়ার লোকে মুচকি হাসলো, তারপর পেছনে লাগল। সমাজের মাথায় বসা কংগ্রেসিরা ঠোঁট বেকিয়ে বলতে লাগলেন---" পার্টি অফিস না প্রজাপতির অফিস?' ফক্কড় ছোঁড়ারা কমরেডদের শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগলো----" রাধে রাধে কমিনভাই, টিক্কা জ্বালাইয়া তামুক খাই'। শেষে আর পুরোটা বলতে হত না। খালি " রাধে-রাধে' বল্লেই কথাকাটাকাটি, তার থেকে হাতাহাতি বেঁধে যেত।

    কিন্তু তেভাগা এসে সব ওলট-পালট করে দিল। ক্ষেতে-খামারে লালঝান্ডা পুঁতে চাষিরা ধান কেটে আগে তাদের নিজেদের ধর্মগোলায় তুলবে , তারপর মালিককে তার ভাগ বুঝিয়ে দেবে।
    রাজ্যসভার জাঁদরেল কমিউনিস্ট নেতা প্রয়াত ভূপেশ গুপ্ত মশাইদের গ্রাম হল ইৎনা। পাশের গ্রাম উয়ারা'র উকিল রমেশচন্দ্র ধর মশায়ের অগাধ জমিজমা। তাঁর বড় ছেলে বেণু ধর নতুন কমিউনিস্ট কর্মী। ঠিক করলেন যে তেভাগা প্রথমে নিজের বাড়িতেই শুরু করবেন। বাবা যখন আদালতে ব্যস্ত, ছেলে তখন লালপতাকা উড়িয়ে নিজেদের ক্ষেতে ধান কাটাতে লাগলেন। পাইক-বরকন্দাজ কি করবে? মালিকের ছেলে যে নিজে ধান কাটতে লেগেছেন। যাহোক, খবর পেয়ে রমেশবাবু অগ্নিশর্মা হয়ে যখন পৌঁছুলেন তখন আদ্দেক ক্ষেত নেড়া হয়ে গেছে। বাক্যহারা রমেশবাবু ঘরের দেয়াল থেকে টেনে নামালেন দো-নলা বন্দুক। দৌড়লেন সোজা মাঠের দিকে, সেখানে তখনও ধানকাটা চলছে। ( আমার সব ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনে)। বাড়িতে কান্নাকাটি পড়ে গেল। কিন্তু বেণু ধর কমিউনিস্ট, মুঘল- এ-আজমের শাহজাদা সেলিম ন'ন। বন্দুকহাতে বাপকে ধেয়ে আসতে দেখে দিলেন মাঠ পেরিয়ে চোঁচা দৌড়। পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ক'মাস পরে। উনি এবং ওনার জনাদুই তুতো- ভাই ম্যাট্রিক পরীক্ষাটা শেষমেশ জেলে থেকেই দিলেন।

    আটচল্লিশ সালে কমিউনিস্ট পার্টি বল্লো-- ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়, দেশ কা জনতা ভুখা হ্যায়। অর্থাৎ কংগ্রেসি আজাদি! আর তখন পার্টির ডাকে ছেলে-বুড়ো, জোয়ান-মদ্দ সবাই মিলে লেখাপড়া চাকরিবাকরি ছেড়ে নেমে পড়ল " সাচ্চা আজাদি''র খোঁজে। আর আজ? আজ আরেক "আর্থিক আজাদি' রক্ষার জন্যে কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকারের কাছে দায়বদ্ধ!''

    আমরা সমস্বরে বলে উঠি---"" রাধে, রাধে''।সেজকা' এইমাত্র জোরে মারতে গিয়ে হিট- উইকেট হয়ে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরলেন।

    ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৬৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন