এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • পাহাড় - সমতলের অভিনব রাজনৈতিক সমীকরণ

    অভিজিৎ মজুমদার
    আলোচনা | বিবিধ | ০৭ অক্টোবর ২০০৭ | ১০৬৪ বার পঠিত
  • জাতিদাঙ্গায় উন্মত্ত শিলিগুড়ি

    ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭। শিলিগুড়ি শহর প্রত্যক্ষ করল জাতিবিদ্বেষের বীভৎসতা । ইন্ডিয়ান আইডল প্রশান্ত তামাং-কে কেন্দ্র করে একটি এফ.এম চ্যানেলের কুরুচিপূর্ণ, বিদ্বেমূলক মন্তব্য; শহরের রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল এবং সেই মিছিল চলাকালীন এক রোগীর স্বজনের সঙ্গে সংঘর্ষ --- এই ঘটনাগুলির পরম্পরায় আকস্মিকভাবে জাতিদাঙ্গার পরিস্থিতি শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার তাৎক্ষণিকতার পেছনে রয়েছে এক সচেতন রাজনৈতিক প্রচার ও প্রস্তুতি।

    মার্কিন রিয়েলিটি টিভি-র অনুকরণে তৈরী বেসরকারী ব্যবসায়িক উদ্যোগে চালানো ইন্ডিয়ান আইডল অনুষ্ঠানটি শুরু থেকেই প্রতিভা অন্বেষণের নামে প্রতিযোগীদের আঞ্চলিক ও জাতিগত পরিচয়কে প্রাধান্যমূলক অবস্থানে নিয়ে এসেছে। খোলা বাজার অর্থনীতির চিত্তাকর্ষক চমক-ঠমকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প ও কর্মসংস্থানের নিরিখে পিছিয়ে থাকা পাহাড়ের মানুষের সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খাকে ব্যবসায়িকস্বার্থে ব্যবহার করেছে সোনি টিভি। এভাবেই আঞ্চলিকতাবাদকে ব্যবহার করে শুধুমাত্র প্রতিযোগীতার চূড়ান্ত পর্যায়ে শ্রোতা-সমর্থকদের ৭ কোটি এসএমএস-র মাধ্যমেই ব্যবসা হয়েছে ২১ কোটি টাকার। অন্যদিকে, নেপালী জাতিসত্ত্বার প্রতি জাতিদম্ভের নির্লজ্জ আত্মপ্রকাশ ঘটে এফ.এম চ্যানেলের বিরূপ মন্তব্যে।

    একদিকে জাতিসত্ত্বার আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতিকে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া সামগ্রিক উন্মাদনা, অন্যদিকে নির্বাচনী রাজনীতির স্বার্থে শাসকদলের ঘিসিং-এর সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া ও খোলা দরকষাকষির উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সময় ধরে পাহাড়-সমতলের মানুষের মধ্যে বিভেদমূলক প্রচার এমনই একটি জাতিদাঙ্গার পরিবেশ তৈরী করেছে সুচতুরভাবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা ও বাংলা ভাষা বাঁচাও কমিটির উদ্দেশ্যমূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূত্রে একের পর এক বনধ্‌ কর্মসূচী সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতিবিদ্বেষ ছড়িয়েছে। এই কর্মসূচীগুলির প্রত্যক্ষ বিরোধীতা দূরে থাকুক, বরং শাসকদলের পরোক্ষ প্রশ্রয় এই সংঘর্ষের জন্য অনেকাংশে দায়ী। আমরা বাঙালী পরিচালিত এই সংগঠনটি এখন আরও একধাপ এগিয়ে সিকিম রাজ্যটিকেও পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভূক্ত করার অসংগত, অনৈতিহাসিক দাবী তোলার সাহস দেখাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সাম্প্রদায়িক প্রচারের দৌলতে অনেক তথাকথিত বামমনস্ক প্রগতিতশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শহরে নেপালী ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যাবৃদ্ধি সংক্রান্ত রাজনৈতিক অপপ্রচারে প্রায়শই বিভ্রান্ত হতে ­দখা যায়। এমনকি প্রতিষ্ঠিত বাম নেতাদের মুখেও এহেন মন্তব্য অহরহ শোনা যায়।

    (২)

    সাম্প্রতিক সময়ে দার্জিলিং পাহাড়ে সুভাস ঘিসিং-এর স্বৈরতান্ত্রিক অপশাসনের বিরুদ্ধে জনমত তীব্রতর হয়েছে। বিরোধী শক্তিগুলি (ডান-বাম জোট পি.ডি.এফ) জে.এন.এল.এফ-র সন্ত্রাসকে অগ্রাহ্য করে পাহাড়ের তিনটে মহকুমায় একের পর এক বনধ্‌ কর্মসুচির সফল রূপায়ন ঘটিয়েছে। এমনকি রাজ্য সরকারের সিঙ্কোনা বাগান বেসরকারীকরণের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ট্রেড ইউনিয়নের সম্মিলিত মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরামের ডাকা পাহাড়ের বনধ্‌ অপ্রত্যাশিতভাবে সফল হয়। ঘিসিং-এ-র পায়ের নীচের জমি আলগা হ'তে শুরু করায় সিপিএম নেতৃত্ব সম্ভবত তাদের ভোটসঙ্গী এই চতুর মিত্র-র উপর তেমন ভরসা করে উঠতে পারছে না। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন সিকিমের প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী নরবাহাদুর ভান্ডারীর স্ত্রী শ্রীমতী দিলকুমারী ভান্ডারী। ভারতীয় গোর্খা পরিসংঘ নামক সদ্য গজিয়ে ওঠা সংগঠনটির সক্রিয় প্রযোজনায় সেদিনের ঐ প্রতিবাদ মিছিলটি সংগঠিত হয়। মজার কথা, ঐ মিছিলটিতে অংশগ্রহণ করা ছোট ছোট মেয়েদের একটি বড় অংশ স্থানীয় নেপালী মাধ্যমের একটি স্কুলের ছাত্রী --- যে স্কুলটির অন্যতম শিক্ষিকা অধুনা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সিপিএম সভাধিনেত্রী! এক্ষেত্রেও পাহাড়ে ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখার জন্য সিপিএম ও কংগ্রেসের নবপর্যায়ের সখ্যতা নিন্দুকের দৃষ্টিগোচর হতে পারে।

    ২৮ সেপ্টেম্বরের মিছিলকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সামান্য সংঘর্ষকে পুলিশ প্রশাসনের সময়োচিত হস্তক্ষেপে অল্পসময়ের মধ্যেই স্তব্ধ করে দেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে প্রশাসনিক দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণে অস্বাভাবিক বিলম্ব ও সার্বিক ব্যর্থতা ৭-৮ ঘন্টার জন্য শহরের প্রাণকেন্দ্রকে সমাজবিরোধীদের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল। এই প্রশাসনিক দুর্বলতার পেছনে শাসকদলের প্রশ্রয়ের প্রশ্নটিও গভীরভাবে অনুধাবন করা প্রয়োজন। এই দাঙ্গার সূত্রপাত আক¢স্মকভাবে ঘটে গেলেও রাজনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে শাসকদল। সমতলে বসবাসকারী নেপালী ভাষাভাষী মানুষকে সমাজবিরোধীদের হাতে তুলে দিয়ে আতঙ্ক বিস্তারের মাধ্যমে ঘিসিংকে চাপে রাখা, শিলিগুড়ি শহরের বাঙালী মধ্যবিত্ত মানুষের জাত্যাভিমানে সুড়সুড়ি দিয়ে (ওরা খুব বেড়েছিল, উচিত শিক্ষা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি !) উত্তাপ কমে গেলে পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতরণ এবং ডাঙায় সক্রিয় বস্তীবাসী লুম্পেনদের দেখিয়ে শহরের মধ্যে অবস্থিত বস্তীগুলির উন্নয়নের নামে উচ্ছেদের পক্ষে শহুরে মধ্য ও উচ্চবিত্ত মানুষের সমর্থন আদায় করে নেওয়ার ক্ষেত্রে সফলতা প্রশ্নাতীত (নগরের স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে জওহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল আরবান রিন্যুয়াল মিশনের কাছে বস্তী উন্নয়ন (!) খাতে ৩০০ কোটি টাকার অনুদান পাইয়ে দেওয়ার আবেদন ইতিমধ্যেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।)

    (৩)

    বিগত শতাব্দীর ৪০-র দশক থেকে প্রধানত: বামপন্থী কম্যুনিস্টদের ঐকান্তিক ও নিরলস প্রচেষ্টায় পাহাড়-সমতলের মানুষদের মধ্যে খোলামেলা ভাববিনিময়ের মাধ্যমে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্ক, ঐক্য ও সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরী হয়েছিল। কিন্তু ৮০-র দশকে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারে অধিষ্ঠিত বামপন্থী শাসক দল গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকে দমন করতে প্রয়োগ করেছিল রাষ্ট্রশক্তির নির্মমতাকে। সেই থেকে শুরু। বিচ্ছিন্নতাবাদের তকমা লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন, অর্থনৈতিক অবরোধ --- পরবর্তীতে গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গঠনের পরে শুধুমাত্র পাহাড়ের ভোট ব্যাঙ্ককে অনৈতিকভাবে কাজে লাগিয়ে অপশাসক সুভাস ঘিসিং তোষণের ধারাবাহিকতা বামপন্থী সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ধূলিসাৎ করে। উন্নয়নের নামে কৃষকের জমি ছিনিয়ে নেওয়া এবং দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের আবাহন করে শিল্প স্থাপনের বাগাড়ম্বরের আড়ালে পাহাড়ের মানুষের আর্থিক উন্নতি ও সামাজিক পরিচয়ের মান্যতার প্রশ্নটি অবহেলিতই রয়ে গেছে। এই পাহাড়ী মানুষেরা কখনও ভোটের রাজনীতি, কখনও বা ব্যবসায়িকস্বার্থের যুপকাষ্ঠে বলি হয়ে চলেছেন অবিরত।

    প্রশান্ত-অনুরাগীদের প্রতিবাদ মিছিলের একাংশের অমানবিক আচরণের নৈতিক বিরোধীতা করেও, জাতিদাঙ্গার পেছনের এই প্রচ্ছন্ন ব্যবসায়িক ও রাজnoitik উদ্দেশ্যকে সঠিকভাবে সনাক্ত করা একটি অত্যন্ত জরুরী কর্তব্য বলে মনে করি । সাম্প্রদায়িক প্রচারের বিরোধীতায় জনমতকে ঐক্য ও সংহতির ঐতিহ্যে ফিরিয়ে না আনা গেলে আগামীতে পাহাড়-সমতলের মানুষকে উপর্যূপরি জাতিদাঙ্গার শিকার হতে হবে। এমতাবস্থায় পাহাড়-সমতলের সমস্ত গণতান্ত্রিক ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষের লক্ষ্য হোক, জাতি-বর্ণ-ভাষা নির্বিশেষে ঐক্য ও সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে রক্ষা করা এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবক্তাদের সনাক্ত ও বিচ্ছিন্ন করা।

    বিশেষত:, ২৮ সেপ্টেম্বরের অনভিপ্রেত ডাঙায় অংশগ্রহণকারী সমস্ত দুষ্কৃতীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিৎ এবং পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক ব্যর্থতার জন্য দায়িত্বশীল পুলিশ কর্তাদের উচিৎ দ্রুত পদত্যাগ ।

    অক্টোবর ৭, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৭ অক্টোবর ২০০৭ | ১০৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন