এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • শিক্ষা আনে চেতনা

    দময়ন্তী
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ নভেম্বর ২০০৬ | ৬১৭ বার পঠিত
  • "অপবাদে ছাত্রী আত্মঘাতী, মারে অচেতন ছাত্র' --- ১৬ই নভেম্বর ২০০৬ আনন্দবাজার।
    " Corporal Punishment ' --- ১৫ই নভেম্বর ২০০৬ Times of India Bangalore
    "দুই শিশু ভিতরে, স্কুলের গেটে তালা দিয়ে দিদিমনি উধাও" --- ১১ই নভেম্বর ২০০৬ আনন্দবাজার।
    মাত্র ৬ দিনের মধ্যে ঘটে যাওয়া কিছু সাধারণ ঘটনা, হয়ত বা আরো চটকদার খবরের অভাবেই প্রথম পাতায় জায়গা করে নিয়েছে।

    ক্লাসে ছবি আঁকতে দিয়ে শিক্ষিকা চলে যান নিজের কাজে, বলে যান আঁকা শেষ না হলে যেন বাড়ী না যায়। ক্লাস ওয়ানের সরল শিশু ছুটির ঘন্টা পড়ে যাবার পরও আঁকা শেষ না হওয়ায় বসে বসে আঁকতেই থাকে। শেষ হওয়ার পর দেখে কেউ কোথায়ও নেই, সব্বাই দরজায় তালা দিয়ে চলে গিয়েছে। একজন ছাত্রী মুক্তির জন্য এমনকি দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়তেও প্রস্তুত ছিল, কারণ দোতলা থেকে লাফ দেবার ভয়াবহতা তার অজানা। ঠিক যেমন অজানা, দিদিমনি আঁকা শেষ না হলে উঠতে বারণ করলেও ওটা আসলে কথার কথা, ছুটির ঘন্টা বাজলে বাড়ী যেতে হয়। তারা সত্যিই কি আঁকল, কতদূর আঁকল তাতে দিদিমনির কোন মাথাব্যথা নেই। বরং স্কুলে আটকে পড়ার মত সামান্য ঘটনায় অতিরিক্ত হইচই করায়, স্থানীয় কিছু যুবক ওদেরকে কিঞ্চিৎ শিক্ষা দেবার দায়িত্ব পালন করে বলে, পরেরদিনের খবরে প্রকাশ। আমরা বুঝি, দিদিমনি আসলে জীবনের পাঠই দিতে চেয়েছিলেন --- সব কথায় অন্ধের মত নির্ভর করতে নেই।

    মাস দুই তিন আগে এক শিক্ষক শাস্তি দেবার জন্য কাগজের বলে আগুন ধরিয়ে ছাত্রদের হাতে বসিয়ে দেন। আর বলেন, যে দোষ করে নি তার হাত পুড়বে না, গরম লাগবে না। সেবারও এক ছাত্র, হাতের তালু পুড়ে ফোস্কা পড়ে যাওয়া সত্ত্বেও, হাত থেকে আগুন ফ্যালে নি, পাছে বিনাদোষেই দোষী প্রমান হয়। আমরা অনুমান করি এক্ষেত্রেও শিক্ষক সংযম, আত্মনিয়ন্ত্রন, ব্যথাবেদনার উর্দ্ধ্বে ওঠার শিক্ষাই দিতে চেয়েছিলেন।

    ব্যাঙ্গালোরের এক স্কুলে, নাটকে অংশগ্রহন করতে অস্বীকার করায়, একজন ছাত্রকে, প্রিন্সিপাল উপর্যুপরি চপেটাঘাত করেন। ফলস্বরুপ মাথায় ও কানে যন্ত্রনা নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। ডাক্তার সিটি স্ক্যান করাতে বলেছেন। ছেলেটির দাদু সম্প্রতি মারা যাওয়ায় সে, এই সময় নাটকে অংশগ্রহন করতে পারবে না বলে জানায়। অবশ্য কারণটি সে জানাতে পরে নি। ক্লাস টিচার কিছু না শুনেই প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে যান, এবং তিনি তৎক্ষণাৎ এই বেয়াদপীর শাস্তি দেন। প্রিন্সিপালের বক্তব্য: দাদু মারা যাবার কথা কিছুই জানায় নি ছাত্র, তাই তাকে ডিসিপ্লিন শেখাতেই তিনি দুই একটা হাল্কা চড় দিয়েছিলেন। আচ্ছা, কর্তৃপক্ষ চাইলেই, কোন ছাত্র কি কালচারাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে বাধ্য? তার নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছে থাকতে পারে না? না পারে না। স্কুলের অনুষ্ঠান -- তাতে যাকে মনোনীত করা হয়েছে, সে অংশ নিতে বাধ্য। মনে পড়ে যায়, মাত্র আগের সপ্তাহেই একজন অঙ্কের শিক্ষক, এক ছাত্রের মাথায় অনবরত আঘাত করে যান, যতক্ষণ না সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ছাত্রটি শিক্ষককে কনুই দিয়ে ঠেলে দিয়েছিল, নাকি অনিচ্ছাকৃত। কিন্তু তাই বা হবে কেন? অ্যাঁ? শিক্ষক তাই উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করেন --- এমন শাস্তি, যা ছাত্রটি জীবনেও ভুলবে না।
    আমরা শিখি --ব্যক্তিগত সুখদু:খকে অতিক্রম করে আদেশ পালনের শিক্ষা।

    এক ছাত্রীর ৫০ টাকা হারায়। আবার আরেক ছাত্রী বই কেনার জন্য, ঠিক সেদিনই নিজের জমানো ৫০ টাকা স্কুলে নিয়ে গেছে, তার কাছে তা পাওয়াও যায়। অতএব শিক্ষিকা সিদ্ধান্তে আসেন এই ছাত্রীটিই চোর। যার টাকা হারিয়েছিল, সে কিন্তু একটু পরেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। বোঝেন না অভিজ্ঞ প্রধানশিক্ষিকা। "চোর", এই বদনাম লেপটে থাকে মেয়েটির গায়ে। বাড়ী এসে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। সে আবেদন জানিয়ে গেছে তার মায়ের কাছে, তিনি যেন স্কুলে গিয়ে তাকে অপবাদমুক্ত করেন। এক্ষেত্রে ঘটনাটি মৃত্যু পর্যন্ত গড়ানর ফলে, ঐ প্রধানশিক্ষিকাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। একইদিনে আরেক ছাত্র শূন্যস্থান পূরন করতে না পারায়, তাড়াতাড়ি খাতা জমা দিয়ে দেয়। শিক্ষক এই বেয়াদপীর জন্য তার মাথায় স্কেল দিয়ে আঘাত করতে থাকেন;যতক্ষণ না সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। আমরা তো জানিই গাধাকে পিটিয়েই ঘোড়া করতে হয়।

    আমরা জানি সবই, তবুও কেন যেন বড় অস্থির অস্থির লাগতে থাকে। দিল্লী, দেশের রাজধানীতে আমার বাস। ভাবি, দিল্লীতে নিশ্চয়ই এমন হয় না। খোঁজখবর করি দুই একটুকরো সোনাকুচি, হীরেকুচিহেন খবর শোনার জন্য।

    শুনতে পাই বাড়িতে অন্তত দুটি গাড়ি না থাকলে "শ্রীরাম পাবলিক স্কুল'এ ছেলেমেয়ে ভর্তির কোন আশা নেই। ঐ স্কুলের কোন বাস নেই। কারণ, কর্তৃপক্ষ চান, বাড়ির লোকজন কেউ যেন স্কুলে নেওয়া আনা করেন -- তাতে শিশুর সাথে আত্মিক যোগ বাড়ে। অত্যন্ত ঠিক কথা। সন্তানকে দেওয়া বাবা মায়ের শ্রেষ্ঠ উপহার হল "সময়"। এঁরা সেটাই বাধ্যতামুলক করার চেষ্টা করছেন। শুনে ভারী খুশী হই। বাড়ির কাছেই স্কুলটা, যাতায়াতের পথে বিশেষ করে নজর করি। দেখি স্কুলের সামনে গাড়ির মেলা। অজস্র দামী দামী গাড়ি। বড়সড় গাড়িগুলো, একটা বেরোতে গেলে বাকী রাস্তা অচল হয়ে যায়, অধিকাংশগুলোতেই ড্রাইভার অপেক্ষা করছে শিশুকে বাড়ী নিয়ে যাবার জন্য। কয়েকদিনের মধ্যেই ভয়ঙ্কর খবর --- ন বছরের একটি বাচ্চাকে ধর্ষণ করেছে তার গাড়ির ড্রাইভার ও তার কয়েকজন বন্ধু। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই খবর জানামাত্র মেয়েটিকে বহিষ্কার করেছেন। কি বোঝে ঐ শিশু? সেও কি তার পোষাক দিয়ে প্রলোভিত করেছিল ঐ কুৎসিৎ প্রাণীগুলোকে? যে যুক্তিটা অধিকাংশক্ষেত্রে দেওয়া হয়ে থাকে, তাই কি বলছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ? জানা গেল, স্কুলের দাবী বাড়ির লোক নিতে আসবেন, শুধু ড্রাইভার দিয়ে যাঁরা পাঠান, তাঁদের সন্তানের শিক্ষার দায়িত্ব নিতে স্কুল অপারগ। জানা যায় না, স্কুল কর্তৃপক্ষ, তাঁদের স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ও তার যাত্রীদের লক্ষ্য করেন কিনা। অথবা ছোট ক্লাসের শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুল ছুটির পর যাদের হাতে বাচ্চাকে ছেড়ে দেন, তাঁদের কি অভিভাবক ভেবেই দেন!! কিন্তু জানা যায়, বাড়িতে অন্তত দুটো গাড়ী না থাকলেও এই স্কুলের ইন্টারভিউয়ের চৌকাঠ পেরোন যায় না। কারণ, একটা গাড়ি তো বাবাকে অফিসে নিয়ে যাবে, তাহলে বেবী কিকরে স্কুলে যাওয়া আসা করবে! জানা যায় ৩ টে গাড়ি আর বাবা মা দুজনেই ওয়ার্কিং হলে এখানে চান্স সবচেয়ে বেশী, চুপি চুপি জানা যায়, তাতে যখন তখন নানা ছলে ডোনেশান আদায় করতে সুবিধা হয় তাই। স্কুলের বাসে একসাথে দলবেঁধে হইহই করতে করতে যাবার বদলে নিজের নিজের বাড়ির গাড়িতে একলা একলা যাতায়াত করে শিশু, নিজের নিজের খোপে আটকে যায়। ধর্ষিতা ও বহিস্কৃতা শিশুটির কি হল -- তা আর জানা যায় না।

    "সাধু বাসওয়ানি' গার্লস স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী আশেপাশের লোকজনকে, আলপিন, কাঠি অথবা সেফটিপিন দিয়ে অনবরত খোঁচা মারে। পাশে কাউকে না পেলে সে নিজেকেই আঘাত করে যায় অনবরত। প্রথমে আঙুল দিয়ে খোঁচাত। ক্রমশ: তার আঘাতের তীব্রতা বাড়তে থাকে, এবং এইভাবেই একদিন হাতে তুলে নেয় আলপিন অথবা সেফটিপিন। এখন তার কাউন্সেলিং ও চিকিৎসা চলছে। ডাক্তার বলছেন পারিপার্শ্বিক চাপ অত্যন্ত বেশী হওয়াই নাকি এরকম অদ্ভুত ব্যবহারের কারণ। স্কুলের পড়াশোনার চাপ ও বাবা মায়ের অতিরিক্ত প্রত্যাশার চাপ এই দুইয়ে মিলে বেচারাকে চেপ্টে দেয়, আর তাই কিছু একটা ফুটিয়ে দিতে চায়। জানা গেছে, কানপুরের আশেপাশের গ্রাম থেকে আসা ওদের আত্মীয়স্বজনদের ওর বাবা মা সবসময় বলতেন ও ক্লাসে ফার্স্ট হয়, অসম্ভব মেধাবী। ওকে ধমকে রাখতেন, যাতে সত্যি কথাটা না বলে দেয়। অথচ ও ক্লাসে তেমন কিছু ভাল ফল করতে পারে না --- এই অসহ্য চাপেই গড়ে ওঠে পিন ফোটানর অভ্যাস।

    জানতে পারি, বান্ধবী ও তার স্বামী তাদের মেয়ের জন্য একটি স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে অকৃতকার্য্য হয়ে ফেরত আসে। স্কুলটি কোন এক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট চালায়। বান্ধবী জিজ্ঞাসা করেছিল, এই ট্রাস্ট কি ধরনের চ্যারিটি করে এবং কোন এলাকায়। প্রশ্নের উত্তর তো পায়ই নি, বরং তৎক্ষণাৎ তাদের বাতিল করে দেওয়া হয়।

    চারিদিক কেমন অন্ধকার লাগে। ছাত্র আর শিক্ষক, দাঁড়িয়ে আছে দুই পাহাড়ের ওপরে --- মাঝে কেবল অনন্ত খাদ, অন্ধকার নি:সীম। ছোটবেলায় দেওয়ালে লেখা দেখতাম "শিক্ষা আনে চেতনা"। এখন আর শব্দগুলোর মানে বুঝতে পারি না ঠিকভাবে। এখনও বোধহয় চেষ্টা করলে ধরে ফেলা যায় ঐ কচি কচি আঙুলগুলো --- কিন্তু কেউ কি এগোবে না বাড়তেই থাকবে মাঝের খাদটা!

    খবর পাই সেই বান্ধবী তার মেয়েকে ভর্তি করেছে এমন স্কুলে যেখানে ক্লাস ওয়ান পর্জন্ত পড়াশোনার কোন বালাইই নেই। টু থেকেও যা হবে, সব ক্লাসেই। হোমওয়ার্কের বালাই নেই। তবে এটি কোন বোর্দ দ্বারা অনুমোদিত নয়। ক্লাস সিক্সে উঠলে ওদের সবাইকে নাকি স্প্রিংডেল একাডেমী নিয়ে নেয়। এর আগে হোমওয়ার্কের চাপে তার কেজি ক্লাসে পড়া মেয়ে স্কুলে যেতে চাইত না; স্কুল থেকে নিদান দিয়েছিল প্রাইভেট টিউটর রাখার। তারা তাতে কর্ণপাত না করে মেয়েকে একই ক্লাসে দুই বছর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সিবিএসই নিয়ম অনুযায়ী কোন ছাত্রচাত্রীকে একই ক্লাসে রেখে দেওয়া যায় না। তাই বান্ধবীকে সিবিএসই বোর্ড থেকে অনুমতি আনতে হয়েছিল, তাদের কন্যাকে তারা স্বেচ্ছায় একই ক্লাসে রাখতে চায়, এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে। এখন এই নতুন স্কুলের খবরটা শুনে খুশী হই।

    তাহলে ব্যতিক্রম বাবা-মায়েরাও আছে, ব্যতিক্রম স্কুলও। কিছু শিশুর পিঠের বোঝাটা অন্তত বোঝা না হয়ে ডানা হয়। আশা নিয়ে ঘর করি; আশায় পকেট ভরি ; সব শিশুর পিঠের বোঝাই একদিন ডানা হোক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২০ নভেম্বর ২০০৬ | ৬১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন