এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • নিজেকে সারান

    ইন্দ্রনীল ঘোষদস্তিদার
    আলোচনা | বিবিধ | ৩০ আগস্ট ২০০৬ | ১২১৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • আমি যেখানে কাজ করতে যাই, সেখানকার পোষাকি নাম করোনারি কেয়ার ইউনিট। সেখানে ইউনিফর্ম পরা রোগীরা সার বেঁধে শুয়ে থাকেন যে যাঁর নিজস্ব বেডে। নানানরকম যন্ত্রপাতি দিয়ে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব মনিটরের সঙ্গে বাঁধা। মনিটর হরদম মেপে যাচ্ছে তাঁদের হার্ট রেট, রেসপিরেটরি রেট, রক্তচাপ, ই.সি.জি.। যন্ত্রের ইনফ্রা রেড বিকিরণ মাপছে এমনকি রক্তের অক্সিজেন মাত্রাও।

    এ তো গেল যাকে বলে নন-ইনভেসিভ মনিটরিং। এছাড়াও নানান ইনভেসিভ পর্যবেক্ষনের ব্যবস্থা রয়েছে, নইলে একটা আধুনিক সি.সি.ইউ. কি করেই বা হবে। আমরা সেন্ট্রাল ভেনে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে সেন্ট্রাল ভেনাস প্রেশার মাপি, পালমোনারি আর্টারিয়াল প্রেশার মাপি, পেরিফেরাল আর্টারি ক্যানিউলেট করে সিস্টেমিক আর্টারিয়াল ব্লাড প্রেশার মাপি। আমার সহকর্মী বন্ধুরা প্রায় সবাই এই সকল মনিটরিংয়ে - ইনভেসিভ ও নন-ইনভেসিভ - খুব বিশ্বাসী, বিশেষ করে প্রথমটিতে। "এই, একটা সেন্ট্রাল লাইন পেয়েছি রে", "এই, ১১২-র একটা সোয়ান করতে হবে রে" - এগুলো খুব আনন্দে ও রোমাঞ্চে ভরা উচ্চারণ, বিশ্বাসী মানুষের হাশিখুশি সরল হৃদয় থেকে উৎসারিত। এমন নয় যে আমি এই বিশ্বাস ও আনন্দ ভাগাভাগি করি না। খুব করি। তবে কখনো কখনো এক-আধ চিমটি নুন সহ। সেই নুনের চিমটিটুকুই সাজিয়ে দিলাম।

    তখন আরেকটু ছোট ছিলাম। আমার এক সিনিয়র দাদার গল্প ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে প্রায় কিংবদন্তী। সেই সিনিয়র দাদাটি, গ্যাঁড়া, আমোদগেঁড়ে ও প্রবল বাকপটু, জনৈক সুইসাইড রোগিণীকে - সে তখন মৃত্যু থেকে সরে এসেছে - জিগ্গেস করেছিল - ইনসেক্টিসাইড খেতে গেলে কেন?
    মেয়েটি, শরীরের কষ্টে যতটা নয়, তার থেকে অনেক বেশী লজ্জা ও পাপবোধে বিছানার সঙ্গে মিশে গিয়ে, কোনো যুৎসই উত্তরও জিভের নাগালে না পেয়ে বলে ফেলেছিল - এই, দুধ ভেবে ভুল করে খেয়ে ফেলেছিলাম।
    এখানে আমরা অনেকেই থেমে যাই; আমরা, নশ্বর ব্যাটধারীরা। কিন্তু আমাদের সেই দাদা, আগেই বলেছিলাম, বেঁটে। এবং শচীন তেন্ডুলকরও। মুখের একটি হাসির পেশীও না কাঁপিয়ে সে বলে - অ:। তা, একটু চিনি মিশিয়ে খেলেই পারতে !

    সুইসাইড, বস্তুত:, একটি স্টিগমা। কুষ্ঠরোগ যেমন। বা, ইদানিংকালের এইড্‌স। আমরা, ডাক্তারবাবু-বিবিরা, নার্স দিদিমণিরা প্রতি দন্ডে-পলে এইসব জঘন্য পাতকীদের মনে করিয়ে দেব অন্ধকার নরকের চৌরাশিটা কুন্ডের কথা, সেজন্যেই আমাদের হাসপাতালগুলির জন্ম হয়েছে। আত্মহননপ্রয়াসী মানুষটি দুর্ভাগ্যবশত: বেঁচে গেলে ও আরো দুর্ভাগ্যবশত: হাসপাতালে এসে পড়লে আমরা তাকে ক্রমাণ্বয়ে প্রবল নীতিশিক্ষা দিয়ে যেতে থাকবো; সে তৃষ্ণার জল চাইলে কিংবা ব্যথার উপশম চাইলে আমরা মুখ ঝামটা দিয়ে বলবো-কেন! সুইসাইড করবার সময় মনে ছিল না!

    আমরা এইড্‌স রোগীকে বলবো - যদি অবশ্য একান্তই তার চিকিৎসা করতে বাধ্য হই - কেন গেছিলেন, ওসব করতে ! গর্ভপাত করাতে আসা কুমারী মেয়েকে এমন ভোক্যাল টনিক দেবো যে উপায় থাকলে বিনা অস্ত্রে ও ওষুধপত্তরেই তার গর্ভের ফুলটি ঝরে পড়ে যেতো। লেবাররুমে গরীব এবং/অথবা গেঁয়ো প্রসূতিকে চোখ পাকিয়ে বলবো-এইও! ভালো করে কোঁৎ পাড়ছো না কেন! তাতেও কাজ না হলে চড়থাপ্পড় কষিয়ে দেবো। বাচ্চা বিয়োতে এসেছে, আবার ন্যাকামি করে ব্যথার কথা বলা হচ্ছে !

    এই হল আর এক ধরনের ইনভেসন, যা সরকারী হাসপাতালগুলিতে অতীব সুলভ হলেও প্রাইভেট সেক্টরে একদম বিরল নয়। এরই চূড়ান্ত হয় যখন ডাক্তারবাবুরা দাঙ্গায় আহত মানুষদের চিকিৎসা করেন / করেন না তাঁদের ধর্মের রং বিচার করে।

    এবার আবার প্রথমোক্ত সেই ইনভেসনে ফিরে যাই। প্রথম সুযোগেই যেখানে যেরকম করে পারি, একটি নল ঠুসে-গুঁজে দিলাম। মনিটরের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে দিলাম রোগীকে; বিপদ বুঝলেই তাকে জেনারেল ওয়ার্ড থেকে এনে ফেললাম ক্রিটিক্যাল কেয়ার এরিয়ায়। অষ্টপ্রহর মনিটরিং।

    বিশ্বাসী মানুষ বলবেন, আহা, রোগীর ভালোর জন্যেই ত !
    ভালোর জন্যে, আমি তো মেনে নিলাম। কিন্তু অসুস্থ মানুষটি যদি মানতে না চান! যদি তাঁর মনে হয়, সজ্ঞানেই মনে হয়, এইরকম তীব্র ব্যথাময় নিরাময়ের চেয়ে, এই উদ্ভিজ্জ বেঁচে থাকার চেয়ে এমনকি দ্রুত মৃত্যুও ভালো ! যদি তিনি ভাবেন - দূর ছাই, এই মনিটরের তারগুলি! ঘন্টায় ঘন্টায় এই আঙুল ফুটো করে ব্লাড সুগার চেক করা!

    মানুষ এই রকম ভাবে, ভাবতে পারে - আমরা, ডাক্তাররা জানি না; জানলেও, ভুলে থাকি। কেননা আমরা যাদের চিকিৎসা করি, তারা কেউ মানুষ নয়। তারা বেড নং ১১২, কি ১১৪। তারা রক্ত-মাংস-হাড়-মজ্জা সমণ্বিত এক-একটি যন্ত্র। যন্ত্র বিগড়ে গেলে তাকে সারাতে হয়, এবং মেকানিকদের খেয়ে-দেয়ে কাজ পরেছে যন্ত্রের আপত্তির কথা শুনতে। তাছাড়া যন্ত্র আবার আপত্তি করবে কি? তারা তো পেশেন্ট।

    ডাক্তাররা, উল্টোদিকে, যেহেতু তাঁরা ডাক্তার, অতএব ইমপেশেন্ট। বড় ডাক্তারবাবু রাউন্ডে এসে বড়জোর মিনিট পাঁচেক রোগীর সঙ্গে কাটাবেন, চিকিৎসা সম্পর্কে তাঁর ভার্ডিক্ট জানাবেন। রোগী চিঁ চিঁ করে আবোল তাবোল বকলে বড়জোর দু-একটা ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে যাবেন। ডাক্তারী ডাক্তারের বিষয়, রোগী তার জানেই বা কি ! তাছাড়া ডাক্তারবাবুর বাণী, কে না জানে, সত্য ও সর্বশক্তিমান-কারণ ইহা বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞানবাণী উচ্চারিত হওয়া মাত্র রোগী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনের যাবতীয় সংশয়সন্দেহ দূর হয়ে যাবে-আচ্ছা, তাহলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিটা, স্যার, কখন করছেন?

    বিজ্ঞান আমাদের নতুন মাদুলি, চন্দ্রিল এইজাতীয় কিছু একটা লিখেছে; আমার ভালো লেগেছিল, এখানে টুকে দিলাম।

    আমাদের ইনভেসিভ চিকিৎসার ভুবনে, অতএব, কে কতবড় ডাক্তার তার মাপ হয় কে কতগুলো ইন্টারভেনশন করেছেন তার হিসেবে। এখানে বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট তিনিই, যিনি হাজারে হাজারে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করেছেন। বিখ্যাত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট কাতারে কাতারে এন্ডোস্কোপি করেছেন, করেই চলেছেন : দেখো, আমি বাড়ছি, মামি।

    আর এত এত ইন্টারভেনশন করতে হলে রোগীদের একটু পারসুয়েড না করলে চলে না। তাঁদের একথা বলা চলে না, যে এই ইন্টারভেনশনটিও, অন্য আর পাঁচটা ইন্টারভেনশনের মতই সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, এতেও শতকরা অমুকভাগ মর্টালিটি রেট (কনসেন্ট ফর্মে নিয়মমাফিক সই অবশ্য তাঁদের করতে হয়, তাতে কিছু অং বং লেখাও থাকে, কিন্তু সে সব কে পড়তে যাচ্ছে, বড় ডাক্তারবাবু এই যে বললেন ১০০ পারসেন্ট সেফ!) তাঁদের জানালে চলে না যে, অন্য আরেকটি রাস্তাও রয়েছে, সেটি নন-ইনভেসিভ, ওষুধপত্তরের সাহায্যে, তবে তাতে সাফল্যের হার কিছু কম। তাঁদের কিছুতেই বলা হয় না-এই আপনার রোগ, এর এই এই চিকিৎসা রয়েছে, এদের প্রত্যেকের সুবিধা-অসুবিধা এই এই রকম; এবার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার আপনার।

    না। তাহলে বড় ডাক্তার হওয়া গেল না, বস্তুত: এমন কোনো ডাক্তারই হওয়া গেল না যার মাথার পেছনে ছিঁটেফোঁটাও জ্যোতির্বলয় রয়েছে। কিছু অনুজ্জ্বল উদ্ধার যে নেই তা নয়, তবে তারা সংখ্যায় এতই নগণ্য ও মিটমিটে, যে আপনার চোখেও পড়বে না।

    অথচ এমনটাও নয় যে, "এমন ছিল না আষাঢ়-শেষের বেলা" বলে দিব্যি পার পেয়ে যাওয়া যাবে। আমাদের ডাক্তারদেবতারা সেই আদ্যিকাল থেকেই ক্রুদ্ধ ও মঙ্গলময় পিতা। যতবড় হুঙ্কার, ততবড় ডাক্তার। ভয়ে ও ভক্তিতে রোগীর গলা বুজে আসে, আদ্ধেক রোগ তাতেই পগাড়পার। আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার বুটের ধূলির পরে। উত্তমচিত্র স্মরণ করুন, অগ্নীশ্বর ইত্যাদি। এ সোনার দেশে চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তগ্রহণের কেন্দ্রে আর যেই থাকুক, একটি মানুষ চিরকাল অনুপস্থিত। সে হচ্ছে রোগী।

    কিছু কম এক বছর বিলেতের হাসপাতালের কাজকম্মো কাছে থেকে দেখবার সুযোগ হয়েছিল। এই সেই পশ্চিমের হাসপাতাল, যাদের কিনা ফুকো বলেছিলেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আর এক ক্ষেত্র, ইস্কুল-কলেজ, থানা, জেলখানা পাগলা গারদের মতই, অবিরাম প্যান-অপ্টিকন যেখানে আলো ফেলে যাচ্ছে নাগরিকের ব্যক্তিগত ও নৈর্ব্যক্তিক - সকল আধারে, একলা মানুষের সকল আঁধার যেখানে ফুরোলো।

    তো, সেখানে দেখলাম রোগীর কথার বিরুদ্ধে চিকিৎসা-পত্তর হাঁকতে কেউ বিশেষ একটা সাহস পান না। প্রতি পদে অনুমতি গ্রহণ-মাননীয়, আপনার জ্বর হয়েছে, এই ওষুধটে জ্বর কমায়, আপনি কি খাবেন? মাননীয়া, আপনার পেটটি এট্টু এগ্‌জামিন করে দেখতে চাই, আপনি কি অনুমতি দেবেন? আপনার অমুক ক্যান্সার হয়েছে , লিটারেচার বলছে এই রোগের এই স্টেজে মানুষ গড়পড়তা এত বছর বেঁচে থাকে; কেমোথেরাপি/ রেডিওথেরাপি/ সার্জারি করালে আয়ু যথাক্রমে এতবছর প্রলম্বিত হয়, কিন্তু সেসবের এই এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া; আপনি কি বলেন? বুদ্ধিমান ও সংবেদী রাষ্ট্র একটু সরে বসে নাগরিককে অধিকার দিয়েছে তার নিজের শরীর-সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিজে নিজেই গ্রহণ করবার।

    আর আমরা, নবদীক্ষিত ক্ষমতাবানেরা পশ্চিমের বিজ্ঞান নিলাম, ক্ষমতার পাঠ নিলাম; নাগরিক অধিকার শিখলাম না।

    শিখলাম না, কেননা জাতি হিসেবে আমরা হ্যাংলা, দীর্ঘ ও চঞ্চলনাসা, সর্বদাই প্রতিবেশীর হেঁসেলমগ্ন পিপিং টম এবং একইসঙ্গে চূড়ান্ত নৈতিক অনুদারতায় বিশ্বাসী-আমরা যখন বাঙ্গালী, ভারতীয়।

    এবং জাতি হিসেবে আমরা অগভীর, বিজ্ঞানের জয় ও ঝাড়ফুঁকের পরাজয়ে বিশ্বাসী-আমরা যখন ডাক্তার।
    যদিও আমাদের দশ আঙ্গুলে দশটি না হলেও নিদেনপক্ষে পাঁচ-ছ'টি আংটি এবং কনজিউমার ফোরামের কথা উঠলেই বলি - ডাক্তারি কি ফুলপ্রুফ বিজ্ঞান !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩০ আগস্ট ২০০৬ | ১২১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন