এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্রবাসীর ডায়েরি - ৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ জুন ২০২০ | ২২৫৭ বার পঠিত
  • ওয়াশিংটনে পৌঁছলাম সন্ধেবেলায়। ক্যাব ড্রাইভার বলল যে আটলান্টায় নতুন করে ঝামেলা তৈরি হয়েছে। পুলিশের গুলিতে একজন ব্ল্যাক মারা গেছে।সেই নিয়ে ওখানে বিরাট গন্ডগোল হচ্ছে । ওখানে নাকি প্রতিবাদীরা প্রচুর গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে।সাউথ ইস্ট আটলান্টায় পুলিশের সঙ্গে প্রতিবাদীদের লাগাতার ধ্বস্তাধস্তি চলছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে। লাঠি চার্জও করেছে বলে জানা গেল। প্রচুর লোক গ্রেফতার হয়েছে। তার একটা বড় অংশ মহিলা। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট সাহেব ওকলাহামার টুলসায় প্রচারসভার তোড় জোড় শুরু করেছেন। করোনার জন্য কিছুটা পেছিয়ে গিয়েছিল তোড় জোড় । ওখানে উনিশ হাজারি অডিটোরিয়াম। পরষ্পরের মধ্যে ছ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। মিটিং যদি হয় প্রচুর লোক জমবে ওখানে সন্দেহ নেই।তাছাড়া বিরোধীরা ঢুকেও গোলমাল পাকায়। শুধু মাস্ক ছাড়া আর কোন প্রোটেকশন নেই। সারা আমেরিকাতেই অবশ্য এখন এই অবস্থা।
    ব্ল্যাক নিপীড়নের ব্যাপারে আমেরিকার সবাই কিন্তু আন্দোলনকারীদের সহমর্মী নয়।এরা মনে করে আমেরিকায় যত অসামাজিক এবং অপরাধমূলক কাজ যেমন, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, জালিয়াতি এবং সর্বোপরি মাফিয়াইজম — সব কিছুতে জড়িত আছে ব্ল্যাক পিপল। আমাদের দেশের হতদরিদ্র মুসলিমদের সম্বন্ধে ধারণা বেশ খানিকটা মিলে যায় এর সঙ্গে।মাফিয়া গ্যাং-এর কিংপিন থাকে সবার চোখের অন্তরালে।সে বা তাদের হ্যান্ডলাররা সাদা না কালো আম জনতা কোন খবর রাখে না। তবে এটা মোটামুটি পাবলিক পারসেপশানে গেঁথে গেছে যে প্রত্যেক পলিটিক্যাল পার্টি কোন না কোন মাফিয়া গ্যাং-কে মদত দেয়। গ্যাং-এর সর্দার তাই সর্বদাই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
    আমাদের ক্যাব এক জায়গায় একটা পাঁচতলা বিল্ডিং-এর সামনে দাঁডিয়ে গেল। গাড়ি আর যাবে না । গত ক’দিন ধরে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে।এই রাস্তা গেছে হোয়াইট হাউসের দিকে।

    এটা একটা লজ গোছের কিছু হবে মনে হচ্ছে। সামনে বোর্ডে লেখা রয়েছে — Moors Tavern. ট্যাক্সিওয়ালা গাড়ির মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে উল্টোদিকে চলে গেল। আমরা চিন্তা করতে লাগলাম আমাদের রেস্তয় কুলোবে কিনা। কত আর ফার্দিনান্দ স্যারের কাছ থেকে নেওয়া যায়। কাল অবশ্য সংগঠকদের সঙ্গে দেখা হবে। তখন তাদের শরণাপন্ন হব। সে যাই হোক আপাতত Moors Tavern-এই ঢুকে পড়লাম চারজনে । একটা ডর্মেটরি পাওয়া গেছে মোটামুটি কমের মধ্যে। ছ’টা সিট। চারটে আমরা দখল করলাম। একটা এখনও খালি। আর একটায় একজন আছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার ! দেখে মনে হচ্ছে ভারতীয় বা বাংলাদেশী।বেশ খানিকক্ষণ তাকিয়েছিলেন আমার দিকে। আমি হাসলাম ওনার দিকে তাকিয়ে। উনিও হাসলেন আমার দিকে তাকিয়ে।হাসিমুখে এগিয়ে এলেন।
    ভদ্রলোক বাংলাদেশী। নিউ জার্সিতে থাকেন। কি একটা ব্যবসা করেন।ব্যবসার কাজে বছরে অন্তত তিনবার আসেন ওয়াশিংটনে। ইংরীজি বলায় মোটেই চোস্ত নন। এই চাইনিজ ইংলিশ বলেই দাপিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন এখানে প্রায় দশবছর ধরে। বয়েস হবে বিয়াল্লিশ তেতাল্লিশ। এগিয়ে এসে হাসি হাসি মুখে বললেন, ‘ আপনার মুখ দেইখ্খাই বুঝসি আপনে বাঙ্গালী। আমিও বাঙ্গালী। আমার নাম আমিনুল মুর্তুজা।ঢাকার পোলা।’
    আমার মুখ থেকে ওয়াশিংটনে আসার কারন জেনে বললেন, ‘ এটা বোধহয় কোনদিন বদলাবার নয়। বরং ইন্ডিয়াতে এই সরকারের জমানাতেও মুসলিমরা অনেক ভাল আছে এখানকার আফ্রোআমেরিকানদের থেকে।’
    আমিনুল একটু থামলেন। আমার সঙ্গীরা ওর কথা কিছুই বুঝতে পারছে না। ব্যবসায়ী আমিনুল ভাই কিন্তু চিন্তাশীল ইন্টেলেকচুয়ালের মতো বলতে থাকল— ‘ একেবারে হতদরিদ্রদের কথা বাদ দিলে ভারতের মুসলমানদের ভিত খুব পোক্ত। কারণ , মুসলমানরা আমাদের ওপর প্রায় হাজার বছর রাজত্ব করেছে। তারা ছিল রাজা বাদশা, বড় বড় জায়গীরদার বা ব্যবসায়ী ..... ভারতের মাটিতে শক্ত শিকড় ছিল তাদের। সুতরাং তাদের ভিত খুব পোক্ত। আর এখানে কালো মানুষেরা ইতিহাসগতভাবে ছিল স্লেভ— ক্রীতদাস।এদের কোন মজবুত শিরদাঁড়া তৈরি হয়নি এখনও। মানসিকভাবে নড়বড়ে হয়ে আছে।
    আমিনুল মুর্তাজা একটু দম নিলেন। রাতের অন্ধকার নেমে এসেছে। আমিনুল একটা ডিবে মতো বের করে তার থেকে কি একটা সুগন্ধী মশলা বের করে মুখে দিলেন। সেই ভোর থেকে শুরু করে সারাদিন অনেক ধকল গেছে। আমার তিন সঙ্গী বিছানায় গা ফেলে দিয়েছে। ফার্দিনান্দ স্যার তো এতক্ষণে ঘুমিয়ে কাদা।পিটাররা আমিনুল ভাইয়ের কথা কিছুই বুঝছে না। তাই আগ্রহ নেই। পরে ওদের অনুবাদ করে সব বলতে হবে।
    রাস্তার ওপরে হলেও মুরস্ ট্যাভার্নের ভেতরটা খুব নিরালা শান্ত। নিরালা শান্ত ঘরে আমিনুল অনর্গল বলে যেতে লাগল — ‘ সিয়াটেলের দিকে ক্ষমা সাওন্ত নামে একজন ভারতীয় আমেরিকান আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। জাতে মারাঠি বোধহয়। এখন সিয়াটেলের কাউন্সিলওম্যান।ওনার সঙ্গে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন। ..... যে কথাটা কইতেসিলাম..... মোদ্দা কথা হইল ভারতে শোচনীয় অবস্থায় আছে দলিতরা। ওদের সঙ্গে বরং আমেরিকার ব্ল্যাকদের কিছুটা তুলনা চলতে পারে। ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দু হাজার ষোল সালেই দলিতদের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ঘটনার সংখ্যা চল্লিশ হাজারের ওপর। তার মধ্যে পুড়িয়ে মারা, পিটিয়ে মারা, কুপিয়ে মারা সবকিছু আছে। বেশির ভাগ ঘটনাই কোন খবর হয় না। পুলিশ কোন ডায়েরি নেয় না। ভারতে কিছু অঞ্চলে একটা কুকুরের ওপর অত্যাচার হলে সে হয়ত বিচার পেতে পারে। কিন্তু কোন দলিতের ওপর মর্মান্তিক উৎপীড়নও কোন অপরাধ বলে গণ্য হয় না। সারা দেশ চোখ বুজে থাকে। কাঠুয়ায় আট বছরের মেয়ের ওপর শিউরে ওঠার মতো অত্যাচার কিংবা গুজরাটের উনায় কজনের ওপর প্রকাশ্যে চাবুক মারার মতো ঘটনা ভারতে প্রায় জলভাত। উত্তরাখন্ডে শুনেছি কোন এক বিবাহ অনুষ্ঠানে উচ্চবর্ণের জন্য নির্দিষ্ট খাবার টেবিলে একজন দলিত ভুল করে বসে পড়ায় প্রাণ দিয়ে তার ভুলের মূল্য চোকাতে হয়েছিল।ভারতে অনেক জায়গায় দলিতদের সবক শেখানোটা, তা সে যত ভয়ঙ্করই হোক না কেন, কোন অপরাধের মধ্যে গণ্য হয় না। মনুস্মৃতিতে নাকি দলিতরা অবাধ্য হলে এসব শাস্তির নিদান দেওয়া আছে উচ্চবর্ণের রাজদন্ডে। যেমন ধরুন ঠোঁট এবং পশ্চাদ্দেশের মাংস কেটে নেওয়া নেওয়া, জিভ কেটে নেওয়া, মুখ এবং কানের মধ্যে গরম লৌহশলাকা ঢুকিয়ে দেওয়া অথবা জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া ..... এসব করার অনুমোদন আছে। ভারতে জাতপাত হয়ত ধীরে ধীরে কমে আসছে কিন্তু দলিতদের ওপর যে মাত্রায় অত্যাচার হয়ে চলেছে এখনও, তার তুলনায় এখানে ব্ল্যাকদের ওপর উৎপীড়ন নস্যি বলা যায়। ‘
    একটানা বলে আমিনুল একটু চুপ করে থাকে। অম্লানবদনে আবার ডিবে থেকে বের করে একটু সুগন্ধি মশলা মুখে দেয়। আমি নি:শব্দে ম্লান মুখে বসে থাকি। রাত বেড়ে চলে ওয়াশিংটন ডি সি-তে।
    আমিনুল বলে , ‘অনেক রাত হয়্যা গেল। কিসু মনে কইরেন না এত বকলাম বইল্যা। ওইটা আমার স্বভাব।আমি সবার সঙ্গেই এমন ফালতু বকি। যান আপনে শুইতে যান। আমি উঠি.....
    তবে শেষে একখান কথা কই। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার তো
    ঠি কই অাছে, কিন্তু দ্যাশে ফিরে গিয়া এইটা একটু সকলেরে কইবেন — দলিত লাইভস ম্যাটার......’
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পোশ্নো ওঠে | 35.181.56.154 | ১৬ জুন ২০২০ ১৩:৪১94356
  • লেইখ্যা জইম্যা গ্যাসে , কিন্ত ঢাকার পোলার ভারতের দলিত লইয়া এতো মাথাব্যথা ক্যান ? ওনার মুল্লুকে হিন্দুরা ক্যামনে বাঁইচা আসে? শুনসি রাজার হালে থাকে নাকি ? উত্তরাখণ্ডের জাতপাত এর রাজনীতি দশ বসোর মেরিকা য় থাইক্যা সুগন্ধি মসলা খাইয়া এতো জানলেন কি কইরা ?

  • r2h | 49.37.12.111 | ১৬ জুন ২০২০ ১৪:১৬94358
  • আজব তো। আমেরিকায় বসে উত্তরাখন্ডের রাজনীতি বোঝা আর কলকাতায় বসে বোঝার মধ্যে খুব তফাত আছে নাকি! এক দেশ হলেও নানান জায়গার বাস্তবতায় আকাশ পাতাল তফাত, কাগজ টাগজ পড়ে যা জানা সেটুকুই হয়।

    তবে কাহিনীর খাতিরে চরিত্রটা ভারতীয় হলে বোধয় বেশি প্রাসঙ্গিক হতো। এই আখ্যানের অনেকখানিই তো ইন্ট্রোস্পেকশন, নিজের ও নিজের চারপাশের ক্লেদগুলি চেনা ও তার থেকে উত্তরণ, সেই হিসেবে, এই কথাগুলি অন্য দেশের মানুষের মুখে একটু দূরের মনে হয়।
  • পোশ্নো | 15.236.145.192 | ১৬ জুন ২০২০ ১৫:১৩94359
  • R2h 

    আপনার বক্তব্য খুব পরিশীলিত ও সুচিন্তিত 

    কথা হচ্ছে , 

    ১ এটি যে সম্পূর্ণ রূপে ফিকশন (যেমন কৃশ ৩, স্পাইডার ম্যান ) সেকথা লেখক বলেন নি  স্পষ্ট করে বা আমি হয়তো মিস করে গেছি , সেটা হলে অল ইস ওয়েল 

    ২. যদি এই  বিএলেম প্রতিবাদ এর পটভূমিকায় আধা ফিকশন হয় তাহলে পাঠকের চরিত্র ও সংলাপ নিয়ে মতামত দেওয়ার অধিকার ও থাকে 

    দ্যাশে গিয়ে বলবেন দলিত রা যেন বিচার পায় - এটা ঢাকাই পোলার মুখে বেমানান (আমার মনে হয়েছে )

    য্যানো ট্রাম্প মমতার কানে কানে বলছেন দিদি , কালো মানুষদের জন্য একটু ভেবো 

    অথবা লিটন দাস কোহলি কে ডেকে বলছে , ভাই অফ স্ট্যাম্প এর ওপর শর্ট পিচ বল কিন্তু সাবধানে খেলিস আর ব্যাকফুটে কভার ড্রাইভ এর সময় কনুইটা অত তুলিস না 

    কেন জানিনা মনে হলো ওই line টা পড়ে চাকমা রা খুশিতে আরো দুটো খরগোশ মেরে ফিস্ট করলো আর দোজখে বসে ব্লগার অভিজিৎ রায় মুচকি হেসে একবার ঘাড়ের কাটা দাগটায় হাত বুলিয়ে নিলেন 

  • r2h | 2405:201:8805:37c0:25c6:b81:b171:b9ed | ১৬ জুন ২০২০ ১৫:৩৪94361
  • প্রথম পর্বে যতদূর মনে পড়ে প্রথম লাইনেই পরিস্কার ছিল এটা ফিকশন।
    দ্বিতীয় পর্বে মন্তব্যে আবার কনফার্ম করেছেন যে এটা ফিকশন।

    হ্যাঁ, মতামত দেওয়ার অধিকার তো আছেই, পাঠক তো দেবেই মতামত, এতে তো কেউ আপত্তি করেনি। ভূমিকার সঙ্গে চরিত্র পুরোপুরি মানানসই মনে হয়নি আমারও, সেটা আগের মন্তব্যে লিখলাম।
  • Anjan Banerjee | ১৬ জুন ২০২০ ১৫:৩৬94362
  • বেশ বুঝতে পারছি চরিত্রটাকে ভারতীয় করলেই ভাল হত। ফিকশানে একটু টুইস্ট আনতে গিয়েই এই বিপত্তি। একটু ভুল হয়ে গেল বোধহয়।

  • পোশ্নো | 15.236.202.46 | ১৬ জুন ২০২০ ১৬:০৭94364
  • অঞ্জন বাবু ব্যাপারটা প্লিজ অন্যভাবে নেবেন না , এগুলো সব ই পাঠকিয় মতামত , তবে বাস্তব বাদী ফিকশন হলে অনেক সময় মতামত প্রকট হয়ে ওঠে স্পেশালি যদি একদম বর্তমান পরিস্থিতি তে আমরা সবাই পড়ি ও অনুভব করি 

    আজ থেকে ৫/১০ বছর পর মূল্যায়ন হয়তো পাল্টে যাবে আর তখন ঢাকার পোলা র মুখে ওই সংলাপ হয়তো আরো বিশ্বাসযোগ্য হবে আর আমার বক্তব্য নিয়ে লোকে হাসাহাসি করবে , সেটাও কাল এর বিচার 

    লেখাটি খুবই ভাবায় ও অন্যভাবে দেখতে শেখায় 

  • Anjan Banerjee | ১৬ জুন ২০২০ ১৭:১৭94366
  • অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।

  • পোশ্নো | 35.181.56.154 | ১৬ জুন ২০২০ ১৮:১২94367
  • Apnakeo ধন্যবাদ ও শুভকামনা 

    পরিশেষে অর্বাচীন এর ন্যায় কিছু অভিজ্ঞতালব্ধ উপদেশ - প্রবাসে পায়ের নিচে শিকড় শক্ত হবার আগে একটু ভেবেচিন্তে লড়াই গুলো সিলেক্ট করলে ভবিষ্যতে আরো লড়াই করার জমি তৈরী হয় , অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে সবার দৃষ্টিভঙ্গি নিজস্ব এবং আলাদা 

  • Anjan Banerjee | ১৬ জুন ২০২০ ১৯:১৫94368
  • অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে আবেগ বড় বালাই। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন