এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • প্রবাসী ডায়েরির ছেঁড়া পাতা

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ জুন ২০২০ | ১৫৮৯ বার পঠিত
  • নিউ ইয়র্ক সিটি।আমি অনাবিল চ্যাটার্জি । এদেশে এসেছি বছর তিনেক হল । খুব জমকালো রাস্তাঘাট ।ঝলমলে দোকানপাট। রাত নামলে আলোয় ঝলমল করতে থাকে গোটা শহর। অজস্র শপিংমলের ঔজ্জ্বল্যে ভেসে যায় চারপাশ। বসন্ত যেন দিনরাত আকাশে বাতাসে হেসে খেলে নেচে নেচে বেড়ায় ।
    যে এল আই জি কমপ্লেক্সে থাকি তার কমিউনিটি হলে শনিবার সন্ধেবেলা মোটামুটি সবাই এসে জোটে। গল্পগুজব, ইন্ডোর গেমস, বিয়ার খাওয়া সব কিছু হয়। ওখানেই পিটারের সঙ্গে পরিচয়। আগে থাকত মেমফিস শহরে যেখানে মার্টিন লুথার কিংকে হত্যা করা হয়েছিল। পিটারের বাড়ি অবশ্য ব্রঙ্কসে। এখান থেকে অন্তত চল্লিশ কিলোমিটার দূরে। পিটার একটা গাড়ির শোরুমে কেয়ারটেকারের কাজ করে। ওকে অনেকটা সাউথ আফ্রিকার পেস বোলার কাগিসো রাবাদার মতো দেখতে। আমার সঙ্গে খুব দোস্তি হয়ে গেল এক সপ্তাহের মধ্যে। আমার দৈহিক উচ্চতা ওর গলার কাছাকাছি হবে। তাতে কোন সমস্যা হয়নি। ও একদম শিশুর মতো সরল। আমি দেখতে পাচ্ছি এখানে অনেকেই ওর সঙ্গে ভালভাবে মেশে না। কেউ কেউ কথাই বলে না। আমি এরকম ব্যাপার কলকাতায় ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় দেখেছি। ক্লাসে দুজন ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ছিল।ওদের সঙ্গে কেউ মিশত না। ওদের নিয়ে হাসাহাসি করত।এরাই কেউ কেউ ছাত্র ইউনিয়নের মিটিং-এ তুখোড় প্রগতিশীল বক্তৃতা দিত। আমি শুধু শুনতাম। কিন্তু কিছু বলতে পারতাম না। কারণ কোন কিছু বলার সাহসই আমার নেই। ট্রাইবাল স্টুডেন্ট দুজনকে যখন তখন বুলি করত। আমি মনে খুব কষ্ট পেতাম। কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস আমার ছিল না। আমি বরাবরই ভীতু প্রকৃতির। ওদের মধ্যে একজন সুইসাইড করেছিল। আর একজন মানসিক চাপ নিতে না পেরে ইউনিভার্সিটি ছেড়ে গ্রামে ফিরে যায়।
    আমি পিটারের সঙ্গে একদিন ব্রঙ্কসে ওদের বাড়ি গিয়েছিলাম।জায়গাটা খুব ঘিঞ্জি । ওখানে দেখলাম প্রায় সবাই আফ্রোআমেরিকান। কিছু ল্যাটিন আমেরিকান আছে। খুব ঠাসাঠাসি ফ্ল্যাট সব। খুব নোংরা এবং অপরিচ্ছন্ন। দেখে মনেই হয় না এটা নিউ ইয়র্ক সিটির মধ্যে।

    প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটা জেল আছে। প্রাইভেট জেল। মুনাফাভিত্তিক। বন্দীর সংখ্যা যত বাড়ানো যাবে তত লাভ। পিটারদের মহল্লায় প্রায়ই পুলিশি হামলা চলে। মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে তুলে নিয়ে যায় বৌ বাচ্চা বাবা মার সামনে দিয়ে। কারো কিচ্ছু করার থাকে না। বাধা পেলে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেবার ঘটনা ঘটেছে গত পাঁচ বছরে অন্তত তিনবার। এ অনেকটা আমাদের দেশে অনভিপ্রেত সম্প্রদায়ের কাউকে পিটিয়ে, পুড়িয়ে বা কুপিয়ে মারার মতো। নিজের মুলুকে মহম্মদ আখলাখের কথা বা প্রশ্ন করলে মাওবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়া কারো কারো কথা মনে ঝিলিক দিয়ে ওঠে । আমি আর কি বুঝি !
    সাউথ ক্যারোলিনা হোক আর মিনিয়াপোলিস হোক পার্কে, বাজারে, রাস্তায়, শপিং মল বা মাল্টিপ্লেক্সে প্রতিটি কোনে কোনে এ ক’বছর ধরে যা অহরহ চোখে পড়ে তা আমাদের দেশের হিন্দী বলয়ের জাতপাতের বিষময়তার থেকেও ভয়াবহ। জল, কল, প্রস্রাবাগার, দাঁড়াবার বসবার ঠাঁই সবই ভেন্ন।বইতে পড়া বি আর আম্বেদকারের জীবনকাহিনী মনে পড়ে যাচ্ছে। সেও তো বহুকাল আগের প্রত্যন্ত গ্রামের কথা। নিজেদের ওপর এক এক সময়ে ঘেন্না হয়। আমরা এই মহাপ্রভুদের মুখের পানে দরবিগলিত ভঙ্গীতে দহনক্লিষ্ট চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকি গ্রীনকার্ডের মহাপ্রসাদ পাওয়ার আশায়।
    জাতপাতের কথা তো সর্বজনের জানা শোনা পরম যত্নে শতাব্দী লালিত অতি স্বাভাবিক হকিকৎ, প্রাইভেট জেল আমাদের দেশেও অনেক আছে, ‘ডিটেনশান ক্যাম্প নাম নিয়ে। বিশেষ কাউকে কাউকে ঠুসে দেওয়া হয় সেখানে। মহামারির ডামাডোলে ওসব কিস্যা সাময়িক চাপা পড়ে আছে ঝড়ে ওড়া বালির তলায়। কারা এবং ক’জন পচছে সেথায় কেউ কি জানি তা ?
    এখানে আসার আগে কানাঘুষোয় কিছু কথা শোনা থাকলেও অামল দিইনি তেমন।ভাবতাম ওসব দুর্জন আঁতেলদের ইন্টু মিন্টু ।এদেশের এরা কি আর এত বদ্ধজীব হবে !
    তা’লে এত ঐশ্বর্যলাভ হল কি করে। হিংসুটে পচনশীলরা কি এত্ত বৈভবশালী হতে পারে ?
    ও হরি ! সে ভাবনার গামলায় গুয়ে মাছি পড়ল। পিটারের সঙ্গে মেশার পর থেকে তো আক্কেল গুড়ুম।
    কুইন্সে থাকে ন্যান্সি। পিটারের ফিঁয়াসি। ন্যান্সি জন্মসূত্রে ব্রেজিলিয়ান। নিউ ইয়র্কেই জন্ম।পিটারেরও তাই।দুজনের এনগেজমেন্ট হবার কথা সামনের নভেম্বর মাসে। নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশের সিক্রেট সার্ভিস কুইন্স এবং ব্রঙ্কসের সব লোকজনের ওপর নজর রাখে। হিটলারের জার্মানির গেস্টাপো বাহিনীর কায়দায়।
    পিটারের সঙ্গে কমিউনিটি হলে দেখা হল। তাকে খুব উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে। কাল রাত্রে তার দাদাকে নাকি তুলে নিয়ে গেছে সিটি পুলিশ। নারকোটিকস পেডলিং-এর চার্জ এনেছে। নারকোটিকস চার্জে গ্রেফতার করলে বিনা বিচারেই যতদিন খুশি ডিটেনড রাখা যায়। কোটা ভর্তির ব্যাপার আর কি। ব্ল্যাকরা হল সহজ শিকার। বাধা দেবার কেউ নেই। আমি ওর হাত দুটো শক্তভাবে ধরে নির্বাকভাবে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। কি বলা উচিৎ ভেবে পেলাম না। পিটার পিঠে ব্যাগ নিয়ে বিষণ্ণ মুখে বেরিয়ে গেল।
    তার পর দিনই জর্জ ফ্লয়েডের ব্যপারটা ঘটল এবং কিছুক্ষণের মধ্যে দাবানলের মতো প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ল অন্তত দশটা স্টেটে।
    আমি কোন সিংহহৃদয় পুরুষ নই। মধ্যবিত্ত পরিবারের ভেতো বাঙালী। নক্শাল আন্দোলনের গল্প অনেক শুনেছি। নিজে কখনও কোন প্রতিবাদ টদিবাদে জড়াইনি নিজেকে।
    রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পিটারের ফোন এল। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ পিটারের দাদাকে ছেড়ে দিয়েছে। কুইন্স আর ব্রঙ্কস প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে। হাজারে হাজারে কালো সাদা বাদামী মানুষ হাতে লেখা ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে। পিটারদের গোটা ফ্যামিলি এবং ন্যান্সি এখন রাস্তায় জনজোয়ারের সঙ্গে।
    আমি ঘরে বসে টি ভি চালিয়ে দিলাম। নানা স্টেটের প্রতিবাদ আন্দোলনের দৃশ্য দেখাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে টি ভি-তে দেখা দিল্লীর নির্ভয়া কান্ডের স্বতস্ফূর্ত উত্তাল প্রতিবাদ আন্দোলনের রেপ্লিকা মনে হচ্ছে অনেকটা।
    কোভিড উনিশে পিটারদের মহল্লায় সাতানব্বই জন মারা গেছে। ঘিঞ্জি মহল্লায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রশ্নই নেই। টেস্টিং এবং চিকিৎসা বা নিভৃতাবাসে উপযুক্ত পরিচর্যা স্বপ্নের ব্যপার। এদের বেশির ভাগেরই নুন আনতে রাস্তা ফুরোয়। ফলত, নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কস এবং কুইন্স এলাকায় কাতারে কাতারে আফ্রোআমেরিকান ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে এবং প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারাও যাচ্ছে।
    ইন্ডিয়া থেকে হাজার হাজার মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কারদের ব্যাপারেও এই একইরকম দুর্দশার খবর কানে আসছে। সারা দুনিয়ার রঙ তা’লে স্রেফ ওই দুরকমই, সাদা আর কালো।
    পিটারের কোন খবর পাচ্ছি না তিন দিন ধরে। আমার বেশ চিন্তা হচ্ছে। পিটারের দাদাকে তো শুনেছিলাম ছেড়ে দিয়েছে। ফ্লয়েডের ব্যাপারটা নিয়ে যেরকম তুলকালাম কান্ড হচ্ছে গোটা আমেরিকা জুড়ে প্রেসিডেন্ট সাহেব আবার নতুন কোন দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন।
    কলকাতা থেকে মুহূর্মুহু কল আসছে চেনা পরিচিতদের কাছ থেকে আমি ঠিকঠাক আছি কিনা জানতে চেয়ে। কপাল ভাল আমার গায়ের রঙ পিটারদের চেয়ে দু পোঁচ কম কালো। ভারতে কোন কোন এলাকায় নামটা আখলাখ মহম্মদ না হয়ে আখলাখ শ্রীবাস্তব হওয়ার মতো।খুব বাঁচান বেঁচে গেছি। দুনিয়ার রঙ তাহলে শুধু সাদা আর কালো নয়, অন্য দুচারটে মিক্সড শেডেও অাছে। আমার মতো লোকেরা দেশে বিদেশে একইরকম। এই তুমুল প্রতিবাদের জনজোয়ারে কালো আছে, সাদাও আছে প্রচুর, কিন্তু আমার মতো নিপাট বাদামী মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হবে। শুনেছি হিটলারের কমিউনিস্ট আর ইহুদী নিধনের সময়েও আমরা নিরালা দুপুরবেলায় চন্ডীমন্ডপে তাস খেলতে ব্যস্ত ছিলাম কোন স্বদেশী করা যুবকের দুর্বুদ্ধিপ্রসূত অপরিণামদর্শিতা নিয়ে খোসগল্প করতে করতে ( ঠাকুর্দার মুখে শোনা) । আমরা সাদাও নই, কালোও নই .... দোআঁশলা বাদামী।
    পিটারের খবর এল আটদিনের মাথায়। সে এখনও ব্রঙ্কসেই আছে। এর মধ্যে খারাপ খবর হল ন্যান্সির মাউথসোয়াব টেস্ট রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। আলাদা থাকতে হবে নিজের বাড়িতেই। এই নিয়ে পিটার খুব চিন্তিত। আলাদা থাকার জায়গা কোথায় ? এদিকে জর্জ ফ্লয়েডের ব্যাপার নিয়ে সংঘাত চলছেই। মিনিয়াপোলিসে পুলিশ খুব শান্ত ধৈর্যশীল ছিল।মনে হয় প্রতিবাদীদের সহমর্মী ছিল কিছুটা।অন্য জায়গায় কিন্তু তা নয়, বিশেষ করে ওয়াশিংটন ডি সি-তে। লংকার গুঁড়ো স্প্রে করেছে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য।ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটে ভীষণভাবে লাঠিচার্জ হয়েছে। এই সুযোগে কিছু সমাজবিরোধী অবশ্য যথেচ্ছ লুটপাট চালাচ্ছে।সব জায়গাতেই এমন হয়। সেই ফরাসি বিপ্লবের সময়ও হয়েছিল বলে শুনেছি।পিটারের এক শ্বেতাঙ্গ বন্ধু নাকি খুব আহত হয়েছে।ঘাড়ে লেগেছে। প্রেসিডেন্ট বলছেন প্রতিবাদীরা সব চরমপন্থী কমিউনিস্ট। ওদের ঢিট করে দেওয়া হবে। কোন কোন স্টেট ওদের লাই দিচ্ছে তিনি দেখে রাখছেন সব। আমার হঠাৎ ‘ওরা সব মাওবাদী’ কথাটা মনে পড়ল।জাস্ট মনে পড়ল । আমি আর কি বুঝি ! !

    পরের দিন পিটার এসে হাজির হল। এখানে জনসংগঠনের ভার পড়েছে ওর ওপর। ওর এখন খুব দু:সময়। অটোমোবাইল আউটলেট বন্ধ হয়ে আছে। টাকাপয়সা ফুরিয়ে আসছে। তার ওপর ন্যান্সিকে রোগে ধরল। কিন্তু আন্দোলন চালিয়ে যেতেই হবে। এই অভিঘাত নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। আব্রাহাম লিংকনের সময় থেকে ধরলে প্রায় চারশো বছরের নিপীড়ন ও শোষনের ইতিহাস।প্রত্যাঘাতের এ সুযোগের অপচয় করা উচিৎ নয়।

    আমাকে আবেগপ্রবণ হতে দেখে আমার সিনিয়র ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট সৌগত দাশগুপ্ত বলল, ‘ এত ইমোশনাল হয়ো না চ্যাটার্জি ..... ওদের ব্যাপার ওদের বুঝতে দাও। এখনও গ্রীন কার্ড পাওনি..... তুমি এসবের মধ্যে ঢুকতে যেও না। ট্রাই টু বি প্র্যাগম্যাটিক ।’ আমি চুপচাপ দাশগুপ্তদার দিকে তাকিয়ে রইলাম। ঠাকুর্দার মুখে শোনা সেই চন্ডীমন্ডপের কথা মনে পড়ল।

    আমি দাশগুপ্তদার কথা অগ্রাহ্য করলাম। আজন্মলালিত মোহবন্ধ ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে জীবনে এই প্রথম পিটারের সঙ্গে রাস্তায় নেমে এলাম। মিশে গেলাম জনজোয়ারে ........
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Jharna Biswas | ০৭ জুন ২০২০ ১৫:১৪94080
  • খুব ভালো লেখা। ভালো লাগলো পড়ে। 

  • Anjan Banerjee | ০৭ জুন ২০২০ ২০:৩০94086
  • একরাশ ধন্যবাদ

  • জয় | 82.132.239.155 | ১১ জুন ২০২০ ১২:৩৭94220
  • আপনার লেখা ভালো লাগল। আরো ভালো লাগল আপনি বারান্দা থেকে নেমেছেন বলে। কেমন একটা মরাল লাইসেন্সও পাচ্ছি- যাক আমাকে আর সাতে পাঁচে থাকতে হবেনা। ঐ তো চ্যাটার্জি আন্দোলন করছে তো! 

  • S | 62.102.148.69 | ১১ জুন ২০২০ ১৫:৩৪94221
  • খুব ভালো হয়েছে লেখাটা। বিশেষ করে ভালো লাগলো যে তিন বছরেই অনেক কিছু বুঝেছেন দেখে। নইলে অনেকে ঐ জমকালো রাস্তাঘাট, ঝলমলে দোকানপাট, শপিংমলের ঔজ্জ্বল্যের বাইরে বেড়তেই পারেনা। আপনারও সৌভাগ্য যে একেবারে ট্রাম্পের জমানায় এসেছেন। চোখ কান খোলা রাখুন, আরো অনেক কিছুই জানবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন