এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • কেমন আছেন পড়শিরা?

    বাপ্পা দাস লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ০৫ জুন ২০২০ | ১৭৩৫ বার পঠিত
  • পাড়ার নন্দদার খেয়া বোট নিয়ে আমরা দুই বন্ধু বেরিয়ে পড়ি, পড়শিরা কেমন আছেন তা নিজের চোখে দেখার জন্য। সকাল ছ’টায় আমরা এই যাত্রা শুরু করি। পঞ্চমুখির অপর দিয়ে, ডাইনে চরখালি, আর পীরখালি ফেলে আমরা পৌঁছাই বালী দুই নম্বর নেচার ক্লাব সংলগ্ন বিদ্যার ফরেস্ট-এ। আমফানের আগের দিন এই বিদ্যার ফরেস্ট সংলগ্ন প্রায় পাঁচশো ফুট নদী বাঁধ ভাঙে, গ্রামের মানুষদের তৎপরতায় সেই নদী বাঁধ অস্থায়ী ভাবে মাটি দেওয়া হয়।

    সকাল সাড়ে ন’টা (০৯:৩০): আমরা পৌঁছাই পাখিরালা সংলগ্ন লঞ্চ ঘাটের কাছে, সেখানেও প্রায় হাজার ফুট নদী বাঁধ মেরামতের কাজ করতে থাকেন গ্রামের মানুষজন। ম্যানগ্রোভ থিয়েটারের বেশ কিছু স্থানীয় লোকনাটকের কর্মীদের সাথে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করি, কিন্তু নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সজনেখালি ফরেস্ট-এর সাতজেলিয়া দ্বীপ ডাইনে রেখে আমরা পৌঁছাই রাঙাবেলিয়া হাইস্কুল সংলগ্ন বাগনান গ্রামে, সাড়ে দশটা নাগাদ আমরা এই গ্রামে পৌঁছে গ্রামের মানুষদের সাথে কথা বার্তা বলি। গ্রামের গৌর মাইতি, রবিন মণ্ডল সহ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, রাঙাবেলিয়া গ্রামের প্রায় দেড় হাজার ফুট নদী বাঁধ নদী গর্ভে চলে গেছে। রিং বাঁধের কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। যন্ত্রদানব জে.সি.বি দিয়ে এই নদীবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।




    (রাঙাবেলিয়া অঞ্চলের ছবি)

    গৌর মাইতি বলেন একদিকে ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের যত্ন নেওয়া, অন্যদিকে আমফানের তাণ্ডবে তাঁরা জর্জরিত। পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা খাওয়া এবং পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরাই। রাঙাবেলিয়া এবং বাগনান গ্রামের প্রায় তিনশো পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। বেশীরভাগ পরিবারের বাসস্থান জলের তোড়ে ভেসে না গেলেও, বসবাসের অযোগ্য হওয়ায়, এলাকার রাস্তার উপরে অস্থায়ী ত্রিপলের টং বেঁধে দিনযাপন করছেন। নদীর জলের তাণ্ডবে তিন ফসলি জমি নোনাজলে ডুবে আছে। সরকারি ভাবে প্রধান পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তথ্যানুসন্ধানের কাজ এখনও শুরু হয়নি। তবে এস.ডি.ও ; বি.ডি.ও লোকাল প্রশাসন ডি.এম এই এলাকা পরিদর্শন করেছেন, বেসরকারি এন.জি.ও সহ বিভিন্ন সংস্থা ত্রাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই ত্রাণ আবার সমানভাবে সমস্ত পরিবারের কাছে পৌঁছাচ্ছেনা। আমফান-দুর্গত পরিবারের রেশন, চাল, ডাল সময় মত পাওয়া গেলেও শাকসবজি, মাছের যোগান নেই বললেই চলে। রবীন মন্ডল বলেন – “আমরা উপকৃত হবো, যদি আপনারা নোনা জলের ধানের বীজের সন্ধান দেন অথবা ব্যবস্থা করেন।”

    আমরা পরবর্তী যাত্রা শুরু করি ছোট মোল্লাখালির উদ্দ্যেশে। মরিচঝাঁপির জঙ্গলকে ডাইনে রেখে মোল্লাখালিকে বাঁয়ে রেখে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ আমরা পৌঁছাই, মরিচঝাঁপি ও কুমিরমারির উল্টোপার ছোটমোল্লাখালির কালীদাসপুর পাঁচনম্বর ভীমচন্দ্র মুকুল সংলগ্ন গ্রামে। এই এখানে প্রায় পাঁচশো ফুট মতো নদীবাঁধ ভেঙে এলাকায় জল ঢোকে। বেশীরভাগ মিষ্টি জলের পুকুর ধানের জমি জলে ডুবে যায়।




    (মোল্লাখালি ৫ নং অঞ্চলের ছবি)

    কালীদাসপুর পাঁচনম্বরের প্রবীণ ব্যক্তি লক্ষীকান্ত মণ্ডল ও গোপাল সরকারের কথায় – “নোনাজল নিকাশি হলেও, এবারের ধানচাষ হবেনা। তিন ফসলি এই জমি চাষ না করতে পারলে, আমাদের বাঁচার রাস্তা নেই। ছোটখাটো এই ত্রাণের মাধ্যমে আমরা সাময়িক উপকৃত হলেও সারাবছর আমাদের মাছ, কাঁকড়া আর চাষের ওপর নির্ভর করতে হয়। করোনার লকডাউনে নৌকা গুলো যেমন শুকিয়ে মরছিল, তেমনি আমফানে, সেই শুকনো নৌকাগুলোকে আছাড় মেরে ভেঙেচুরে দিয়েছে।”

    লক্ষীকান্ত মণ্ডল বলেন – “আমাদের এই গ্রামে, এখনও বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়িতে ফেরেনি, তারা ফিরলেও, আরও এক বিপদ – যেন জ্বালার ওপর পালার বাড়ি। স্থায়ী নদী বাঁধের যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রত্যেকটা গ্রামে একটা করে সাইক্লোন সেন্টারের প্রয়োজন অনুভব করছি। সরকার যদি চাষবাসের উপায় বের করে তাহলে একটা বছর জমিগুলো পতিত থাকবে না।"

    ভারত সেবাশ্রম সংঘ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে কিছু ত্রাণের কাজ চলে, আমফান পরবর্তী কিছু দিন। জলপথে ত্রাণের মালপত্র পৌঁছে দেন কিছু সংস্থা।

    গোপাল সরকার বলেন – “সামনের ষাঁড়াষাঁড়ির গোনে হয়তো আবার আমাদের ভাসতে হবে। কারণ প্রায় সমস্ত নদীবাঁধ গুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।"

    গোপাল সরকার এবং গ্রামবাসীরা আমাদেরকে বলেন মোল্লাখালির আট নম্বর এবং নয় নম্বরের ঘাটে বেশি নদী বাঁধ ভেঙেছে। পুঁইজালিতেও ভেঙেছে অনেকটা।

    এক প্রবীণ মহিলা বলেন – “ভাঙার দরকার নেই, সব জায়গাতেই ছাপিয়ে যা জল এসছে তাতেই বাজিমাত।”

    স্থানীয় মানুষদের কথায় – “কুমীরমারিতে সেইভাবে নদীবাঁধ ভাঙেনি। কিছু ঘরবাড়ি, গাছ-পালা বেশ চোখে পড়ার মত ক্ষতি হয়েছে। যদি গাছ লাগানো যায় নদীর চরে, যদি নোনা গাছের জঙ্গল বসান হয় তাহলে কংক্রিটের বাঁধের থেকে বেশি শক্তিশালী হবো আমরা প্রত্যেকটা দ্বীপের মানুষজন।"

    পুঁইজালি আমরা যেতে পারিনি ফেরার তাড়নায়। আমরা ফিরে আসি মোল্লাখালির কালীদাসপুর আট নম্বর, নয় নম্বর এলাকায়। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এখানে নদী বাঁক ভাঙে। এখনো বেশীরভাগ জমিতে নোনাজল জমে রয়েছে, অগণিত নারী পুরুষ, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশু, কিশোর আর যুবকরা ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধে ভিড় জমাচ্ছেন দুটো ত্রাণের আশায়।

    বিকেল হলেই নদীবাঁধে বেশীরভাগ মানুষের আনাগোনা। ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধ মেরামতের কাজ করছেন। জে.সি.বি ড্রাইভারের সাথে কথা বলে বোঝা যায় দুজন কন্ট্র্যাকটার ছ-হাজার ফুট করে বাঁধ মেরামতের কাজের ঠিকা নিয়েছেন, প্রায় বারো হাজার ফুট নদীবাঁধ ভেঙেছিল।




    (মোল্লাখালি ৮ ও ৯ নং অঞ্চলের ছবি, যেখানে বারোহাজার ফুট বাঁধ ভেঙেছে)

    গরমের চাষের অনেক ধান ভেসে যায় পরিবারগুলোর। নদীর নৌকাও এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়া জলে ভাসছে। কারণ আমফানের পর থেকে এলাকার মধ্যে নৌকাই মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে।

    আমফানের দু-দিন বাদে এম.এল.এ জয়ন্ত নস্কর এলাকা পরিদর্শনে আসেন। ভেঙে যাওয়া নদীবাঁধ কংক্রিট করার প্রতিশ্রুতি দেন। আগামী দু-বছরের মধ্যে। মনে পড়ে আয়লা-পরবর্তী বর্ষাতেও ওই একই প্রতিশ্রুতি থাকলেও তা আকাশ কুসুমই রয়ে গিয়েছিল।

    কালীদাসপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মদনমোহন মণ্ডলের সাথে আমরা কথা বলছিলাম, তিনি বলেন – “আমাদের কোনও সাহায্য লাগবেনা। শুধুমাত্র পাকা নদীবাঁধ এবং নদীবাঁধের দুইপাশে নোনা জলের জঙ্গল ছাড়া। সাইক্লোন সেন্টার এই দ্বীপে একটা। সেটা আবার মোল্লাখালি বাজারে হওয়ায় আমরা কেউ যেতে পারিনি। আমাদের প্রত্যেকটা এলাকায় যেমন নদীবাঁধ এবং গাছ লাগানো দরকার, তেমনই প্রত্যেকটা এলাকায় সাইক্লোন সেন্টার দরকার। আমরা এম.এল.এ সাহেবের মাধ্যমে দিদির কাছে বার্তা পাঠিয়েছি, এসবের সমাধান যেন তাড়াতাড়ি হয়। এম.এল.এ সাহেব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা এখন খাই না খাই, চাষ না করলে, সরকারি চালের ওপর আর কত নির্ভর করবো। করোনায় যা অবস্থা সরকার আর কীভাবে এই চাল দেবে!"

    এই গ্রামের কৃষ্ণপদ সরকারের সাথে কথা বলে জানতে পারি – “এইতো দু-দিন আগে এম.এল.এ সাহেব ত্রাণ পাঠিয়েছিল, এছাড়া এন.জি.ও, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ আমাদের কিছু কিছু ত্রাণ দিয়ে যায় বিকেল বেলায়। এখন এলাকার পুকুর গুলোর নোনা জল না বের করতে পারলে আমরা বর্ষার মিষ্টিজল আর পাবো না। আমরা ধানচাষ কীভাবে করবো? প্রত্যেকবার বন্যার পরে ধান লাগালে ফসল হয়না। বিঘাপ্রতি দু-বস্তা পাওয়া যায়না।"

    এলাকার এক প্রবীণ মহিলা হাতজোড় করে আমাদের বলেন – “বাবু তোমরা কিছু একটা করে আমাদের পুকুরের জল গুলো বের করার চেষ্টা করো। অনেক দূর থেকে জল বয়ে এনে স্নান, রান্না-বান্না করতে পারছিনা, বাবু আমাদের পুকুরের জলগুলো বের করে দেওয়ার চেষ্টা কর।"

    আমরা বিকেল তিনটে নাগাদ এই গ্রাম থেকে ফিরে আসি সজনেখালির উল্টোপার সাতজেলিয়ার রজতজিউলি সংলগ্ন গ্রামে। গ্রামের মানুষের কথায় – “আমাদের এখানে অল্প একটু ভেঙেছিল, আমরা বাঁধ দিয়ে নিয়েছি। সেই জন্যে নোনা জল বেশি দূর যায়নি। তবে আমাদের এখানে শহরের বাবুরা ত্রাণ দিতে এসে দুনিয়ার প্লাস্টিকের জলভর্তি প্যাকেট ফেলে গেছে। “বাচ্চারা ওই জলভর্তি প্যাকেট নিয়ে – ওই দ্যাখো নদীতে ছুঁড়ছে।” অসংখ্য জলের প্যাকেট ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় আমরা দেখতে পাই।

    সারাদিন এই অঞ্চলগুলো ঘুরে আমাদের মনে হয় নোনা জলের ধানের বীজ, নদীবাঁধ, এবং নদীবাঁধের দুইপাশে জরুরি ভিত্তিতে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল বসানোর কাজে হাত লাগানো উচিৎ প্রশাসনের আর সেই কাজে গ্রামের মানুষরা পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলে মনে হয়। পুঁজিনিবিড় নয় বরং এলাকার শ্রমিকদের দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী নদীবাঁধ নির্মাণের শ্রমনিবিড় কাজ শুরু হলে, এলাকার অনেক মানুষ অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও সাময়িক সুরাহা পাবে।

    চাল, ডাল, মুড়ি, মুড়কি, প্লাস্টিকবন্দি জলের পাউচ – বিতরণ করছেন এইসব অঞ্চলে বেশ কিছু বৃহৎ এন.জি.ও সংস্থা যেমন:

    • সুন্দরবন ফাউন্ডেশন
    • বিবেকানন্দ ট্রাস্ট
    • সোপান
    • নিউডা
    • রামকৃষ্ণ মিশন
    • গোসাবা রুপায়ন
    • ভারত সেবাশ্রম সংঘ
    • সরস্বতী স্কুল
    • ম্যানগ্রোভ থিয়েটার
    • নেচার ক্লাব
    • এছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যাবসায়ী সমিতি।

    এইসব অঞ্চল গুলোতে না খেতে পেয়ে মৃত্যুর খবর যেমন আয়লাতে ছিলোনা, তেমনি আমফান অথবা করোনার থাবাতে এখনো এমন খবর নেই। বরং মানুষ আগের থেকে অনেকটা আত্মনির্ভর হলেও টন টন এমন ত্রাণের ফলে মানুষের মধ্যে পরিশ্রম বিনা সহজলভ্য খাবার পাওয়ার প্রবৃত্তি বেড়েই চলেছে। সাতজেলিয়া, মোল্লাখালি, পাখিরালা, রাঙাবেলিয়া, বাগনা-এর অনেক মানুষ তাই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন (নাম অপ্রকাশিত) – “বাবুরা এমনভাবে বোটের উপর থেকে ত্রাণ ছুঁড়ে ছুঁড়ে দেয়, মনে হয় জঙ্গলের পশু-পাখি কে খাবার দিতে এসেছিল। আমরা ভিখারী নই, আমরা চাষ না করলে, মাছ-কাঁকড়া না ধরলে বাবুদের সাদা চামড়ার ফুটানি বের হয়ে যাবে। আমাদের সারাবছর যেভাবে খাটতে হয়, তখন এই দু-একদিনের চাল-ডালের মাধ্যমে আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না। বরং বাবুরা আমাদের কিছু হাতের ময়লা দিয়ে কিনতে চান। সত্যি কথা বলতে – আমাদের বেশিরভাগ পরিবারে সরকারি রেশনের চালডালে চলেই যায়। অনেক পরিবারে চাল মজুতও হয়।"

    তবে হ্যাঁ গোসাবা থানার বিভিন্ন দ্বীপগুলোর নদীবাঁধের অবস্থা আয়লা পরবর্তীর থেকেও খারাপ। সেখানে কংক্রিটের বাঁধ হয়েছে, সেগুলোও বহু জায়গায় শোচনীয় অবস্থা। যদি সত্তর ফুট ঢাল দেওয়ার নির্দেশ থাকে, সেখানে পঞ্চায়েত ত্রিশফুট ঢাল দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ফলত ত্রিশফুটের কংক্রিটের বাঁধের গোড়াগুলো ফোকলা দাঁত বের করে হাসছে। মরিচঝাঁপির মতো পিরখালির ম্যানগ্রোভ জঙ্গল গুলো মৃতপ্রায় দাঁড়িয়ে যেন হাসছে মানুষের করুণ অবস্থা দেখে।

    দক্ষিণা বাতাসে আগামী ভরাকোটালের বাওয়াড় দেখার অপেক্ষায় অনেক মানুষ দিন গুনছেন।





    ছবি ও ভিডিও: লেখক
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ০৫ জুন ২০২০ | ১৭৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পারমিতা। | 1.23.214.222 | ০৬ জুন ২০২০ ১৩:০০94038
  • বালী দ্বীপের কী অবস্থা এখন?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন