এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • করোনা ভাইরাস - ষড়যন্ত্রণা

    অভিজিৎ সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০১ মার্চ ২০২০ | ৮৩৯৪ বার পঠিত
  • ষড়যন্ত্র নিয়ে লিখব। সেজন্য প্রথমে ছোট ছোট করে কতগুলো ফিরিস্তি দিয়ে দিচ্ছি। ষড়যন্ত্র আসবে। এসে যাবেই, কারণ তাই নিয়েই লিখছি। যন্ত্রণা তো বলাই বাহুল্য।


    ১.


     মহামারীতে, একলপ্তে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর করুণ ইতিহাসের একটা ধারাবিবরণী হয়। পাশাপাশি যুদ্ধ, গণহত্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, চিকিৎসাহীন রোগের দীর্ঘ প্রকোপ ইত্যাদি মিলিয়ে পৃথিবীর জনসংখ্যায় ধস নামানোর ঘটনারও বিবরণ দেওয়া যায়, বরং ইতিহাসে সেগুলোই অধিক চর্চিত। তবে মহামারীর ইতিহাস সমান গুরুত্বের সাথে চর্চার দাবী করে। শিল্পবিপ্লবের উন্মাদনার মধ্যেই এসেছে ১৮২০ আর ১৮৫৫-র কলেরা মহামারী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মানব সভ্যতা যখন প্রযুক্তিবিজ্ঞানে মারকাটারি সব আবিষ্কারের সাক্ষী হতে চলেছে, দেখা দিয়েছে ১৯১৮-র স্প্যানিশ ফ্লু ভাইরাস। সেই প্রথম এইচ১এন১ মহামারী। তার উৎপত্তি যদিও আমেরিকায় তবে ছড়িয়ে পডল দ্রুত। দীর্ঘস্থায়ী হল না বটে তবে পাঁচ কোটি মতন মৃত্যুর সাক্ষী হল বিশ্ববাসী। তারপর যখন কম্পিউটার জগতে আমূল পরিবর্তনের সূচনা হয়ে গেছে, এল এইচআইভি। সে মারণ রোগ এখনও থাবা বসিয়ে রেখেছে। আর আধপোড়া কপাল! যখন আলপিন থেকে নভোযান প্রায় সব কিছু রোবট সামলাতে চলেছে, আর কম্পিউটারকেও  অবশিষ্ট জাগতিক কষ্ট লাঘব করবার মত পর্যাপ্ত বুদ্ধিমান করতে পারা গেছে তখনই ভয়ানক আকার ধারণ করতে শুরু করল কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপ। কোরোনা ভাইরাস মহামারী এখন চীনের প্রাচীর টপকে সারা বিশ্বের অন্তত তিপ্পান্নটা দেশে ছড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বা আভ্যন্তরীণ যেকোন বাণিজ্য ধাক্কা খেয়েছে সজোরে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে দেশের সমস্ত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আপাতত বাতিল করে দিতে হয়েছে। ইতালি, ইরান সহ ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো আক্রান্ত। আমেরিকাতেও প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইজরায়েল যদিও এখনও পর্যন্ত নিরাপদ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিনের খোঁজে দিনরাত এক করছে। মৃত্যুমিছিল আগের সার্স ভাইরাস মহামারী কে পেরিয়ে গেছে। কোথায় গিয়ে থামবে আন্দাজ করা মুশকিল। এর আগে আফ্রিকার ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ মহামারীর রূপ নিতে পারেনি কিন্তু পাঁচ বছর পরেও হতভাগ্য দেশগুলোর অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যব্যবস্হায় তার প্রভাব মারাত্মক। ট্রপিকাল মেডিসিন অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল হেল্থ পত্রিকায় প্রকাশিত কোরোনা মহামারী নিয়ে প্রবন্ধে আফ্রিকাসহ বাকি দরিদ্র দেশগুলোর অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য কাঠামোতে মহামারী আক্রমণ নিয়েও চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।


    ২.


    প্রেমে সব চললেও চলতে পারে কিন্তু যুদ্ধে সব চলে না। অন্ততঃ আইন করে তা বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৯৭৫ সাল থেকে সংক্রামক জীবাণুকে অস্ত্র বানানো, মজুত ও অবশ্যই ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যাতে কয়েকটি দেশ বাদে সবারই সম্মতি স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু জীবাণু যুদ্ধে দুদেশের জড়িয়ে পড়া বা জৈবসন্ত্রাসীদের জৈবাস্ত্র আক্রমণ বন্ধ হয় নি। আদিতে তীরের ফলায় বিষের ব্যবহার থেকে ক্রমশ যুদ্ধে বিপক্ষের খাবার, পানীয়ে বিষ মিশিয়ে দেওয়া, প্লেগাক্রান্ত দেহকে শত্রুপক্ষে নিক্ষেপের মত একাধিক ঘটনা জীবাণু যুদ্ধের অমানবিক ইতিহাস গড়েছে এবং আধুনিক অণুজীববিদ্যার বিকাশের যুগে অ্যানথ্রাক্স, কলেরা, প্লেগসহ নানান ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াকে যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই যুদ্ধের কৌশল, প্রয়োগ ক্রমশ ক্ষুরধার ও ভয়ংকর হয়েছে। আলাদাভাবে এক যুদ্ধ ব্যবস্থা, পরিকাঠামো, আন্তঃসম্পর্ক তৈরী হয়েছে। জৈবাস্ত্র তৈরীর ফর্মুলা, জীবাণু গবেষণার গোপন তথ্য বা নির্দিষ্ট জীবাণুর প্রতিষেধক হাতানোর জন্য গুপ্তচরবৃত্তি, অন্য দেশের আক্রমণের মুখে সুরক্ষা ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক গবেষণাগার তৈরী ও তার কর্মকান্ডের গোপনীয়তা রক্ষা- সব মিলিয়ে জৈবযুদ্ধের ব্যাপকতা আজ বিশ্বের হর্তাকর্তাদের দৌলতে পরমাণু যুদ্ধের মারাত্মকতার থেকে কোনও অংশে কম না। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর এক সভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও জৈবসন্ত্রাস, জৈবযুদ্ধের বিরুদ্ধে তৈরী থাকার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে তৎপর হতে বলেছেন। যেকোনো যুদ্ধের মতই এই মারাত্মক জৈবযুদ্ধ প্রাণহানির পাশাপাশি আক্রান্ত দেশকে আর্থসামাজিক ভাবেও পঙ্গু করে দেবে।


    ৩.


    বিল গেটস সবার সামনে বক্তব্য রাখছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে। একটা ফর্মুলা দিয়ে বোঝাচ্ছেন যে জনগণ, আর তাদের জীবনের প্রয়োজনে জিনিসপত্রের যাবতীয় ব্যবহার, সেই জিনিস উৎপাদনে লাগা বিদ্যুৎ টিদ্যুৎ, সেইটা আবার তৈরীতে পরিবেশে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড উত্তরোত্তর বেড়েই যাচ্ছে। কারণ বোঝাই যাচ্ছে ফর্মুলাটিতে জনগণ উত্তরোত্তর বেড়ে যাচ্ছে, ফলে মোট গুণফল নাগাড়ে গ্রিন হাউস গ্যাস বাড়িয়ে উষ্ণায়ন, হিমবাহ-গলে-জল ইত্যাদির জন্য দায়ী। উপায় তবে জনসংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ। কারণ এভাবে তো চলতে পারে না। সৌরবিদ্যুৎ বা বিকল্প উৎস থেকে শক্তির চাহিদা সিকি পরিমাণ মিটবে। শক্তি উৎপাদন ছাড়াও আছে অন্যান্য উৎপাদন, কৃষি, ঘরবাড়ি আরও কত কিছু, যা গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ আগামী পঞ্চাশ বছরের মধ্যে শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসার স্বপ্ন পূরণ করতে দেবে না। সম্প্রতি বায়োসায়েন্স পত্রিকায় বিজ্ঞানীরা জলবায়ু সংকট নিয়ে সতর্কবাণীতেও শেষে ছোট্ট করে বললেন প্রতিদিন দুলাখের বেশি হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি যে হচ্ছে সেটি থামাতে হবে, ভালো হয় পর্যায়ক্রমে কমিয়ে যেতে পারলে, তবে কমানোর সময় অবশ্যই সামাজিক সৌহার্দ্যের ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হবে। ম্যালথুস তাঁর তত্ত্বে জনসংখ্যা ও খাদ্যের জোগানের অসাম্যের কথা, যা বহু আগে বলেছিলেন তা আমল না পেলেও নিও-ম্যালথুসিয়ান তত্ত্বে জনসংখ্যা ও অপচয়ের আধিক্য পরিবেশের সংকটের কারণ হিসেবে যথেষ্ট চর্চিত।  এ প্রসঙ্গে তত্ত্বে সমাধানের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সমাধানের, অর্থাৎ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দুটো দিক - একদিকে জন্মনিরোধক পদ্ধতির প্রণয়ন, অন্যদিকে যুদ্ধ, মহামারী, দুর্ভিক্ষের আবির্ভাব।


    ৪.


    ২০১৬ সালে বারাক ওবামা এক সাক্ষাৎকারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বেকারত্ব নিয়ে যা বললেন তা নতুন নয়। তিনি বললেন আগামীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হবে যার ফলে এখন যেসব উপার্জনের রাস্তা প্রধান রূপে আছে তার আমূল পরিবর্তন হবে। সামাজিক বুনোটকে নতুন নীতির ভিত্তিতে সাজাতে হবে, তা সে সার্বজনীন আয় ব্যবস্থার প্রণয়ন করে হোক বা অন্য কোনো উপায় বের করে। তিনি বা এবিষয়ে চিন্তিত। বহু মানুষ বলছেন বলে নয়, অত্যন্ত স্বাভাবিক নিয়মেই প্রযুক্তির উন্নয়ন, উদ্ভাব ও প্রয়োগের সাথে সাথে প্রচুর মানুষ কর্মহীন হন। আবার নতুন কর্মব্যবস্হা গড়ে ওঠে এবং নতুন শ্রমশক্তির চাহিদা তৈরী হয়। কোনো দেশের সরকার নতুন প্রযুক্তির প্রণয়নের সাথে সাথে তার ফলে কর্মহীন মানুষের দলের কী হবে সে সম্পর্কে না পরিকল্পনা নিলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রবল সম্ভাবনা থাকে। ২০১৭ ম্যাকিন্সে গ্লোবাল ইন্সটিটিউটের এক রিপোর্টে সামনে এসেছে কিভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে শিল্পে যন্ত্রের স্বয়ংক্রিয়তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ৪৬ টি দেশে মোট ৮০০ ধরনের কাজের অবলুপ্তি ঘটবে এবং যার ফলে কাজ হারাবেন প্রায় ৪০ থেকে ৮০ কোটি মানুষ। অদরকারী হয়ে পড়বেন উন্নত, উন্নয়নশীল, অনুন্নত সমস্ত অর্থনীতির অগণিত মানুষ।


    ################################


    এধরনের বহু ফিরিস্তির পিছনে একটা ষড়যন্ত্র আছে। খেয়াল করলে ধরতে পারা যায়। খেয়াল না করলে ধরিয়েও দেওয়া যায়। অর্থাৎ সাগর শুকিয়ে গেলে অভাগার চাহনিকে দোষারোপের দিন আর নেই। যুদ্ধ, মহামারী, মৃত্যুমিছিলের কারণ খতিয়ে দেখতে গেলে ভগবানের রুষ্ট হওয়ার থেকে, বা কৃতকর্মের ফল, ভাগ্যদোষ, শনির কোপ, পূর্বজন্ম, প্রকৃতির নিয়ম ইত্যাদির থেকেও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব এখন অনেক বেশি চর্চার বিষয়। স্বাভাবিক ভাবেই। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও তথ্যের আকাশছোঁয়া উন্নতিতে কার্যকারণ সম্পর্কের বাস্তবতার ব্যাপক রূপ জীবনচর্যায় উঠে আসবে এবং বৃহত্তর সামাজিক চর্চায় তার ব্যবহার হবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। অখুশি অনেকেই হতে পারেন, সে প্রসঙ্গ অন্য। বর্তমানে কোরোনা ভাইরাস মহামারীর ফলে মানব সভ্যতার আশু সংকট এবং তার চর্চাতেও তাই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের নানান অবতারণা। বাছাই ফিরিস্তি গুলো সেই তত্ত্বগুলিকে বিশ্লেষণে কাজে লাগানোর জন্য। বিশেষ করে ষড়যন্ত্রের অসারতা বা সম্ভাবনাময়তা বিশ্লেষণের জন্য।


    প্রথম তত্ত্ব (বা তত্ত্বগুচ্ছ):


    কোরোনা ভাইরাস চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে চীনের লেভেল - ৪ (সর্বোচ্চ সুরক্ষা স্তর) ভাইরাস গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। যেহেতু নিশ্চিত করে উৎপত্তির কারণ চিহ্নিত করা যায় নি, বাদুড়, সাপ বা প্যাঙ্গোলিন থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে আশংকা করা হচ্ছে তাই এর উৎপত্তির পেছনে ষড়যন্ত্রের একাধিক জোরালো তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে। যেমন, উহানের ঐ ভাইরাস গবেষণাগারে গোপন ভাবে জৈবাস্ত্র তৈরীর কাজ চলছিল এবং কোনোভাবে অসাবধানতা বা দুর্ঘটনাক্রমে তা ছড়িয়ে পড়েছে বা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইজরায়লী সেনাবাহিনীর প্রাক্তন গোয়েন্দা ড্যানি শোহাম ২৪ এ জানুয়ারি ওয়াশিংটন পোস্টে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান তিনি চীনের জৈবযুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং জৈবাস্ত্র তৈরীর তোড়জোড়ের ফসল হল কোভিড-১৯ ভাইরাস যা সম্ভবত দুর্ঘটনা বশতঃ গবেষণাগারের বাইরে চলে এসে মহামারীর জন্ম দিয়েছে। যদিও এ দাবীর সপক্ষে প্রমাণ তার কাছে নেই বলেও জানান। অন্যদিকে আইআইটি দিল্লির গবেষক দল এক প্রবন্ধে এক সম্ভাবনার উল্লেখ করেছে যেখানে সার্স আর এইচআইভির জীবাণু মিলিয়ে এক জৈবাস্ত্র হিসেবে কোভিড-১৯ ভাইরাসকে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে, যদিও কড়া সমালোচনার মুখে সে প্রবন্ধ এখন প্রত্যাহৃত। আবার আমেরিকার টম কটন প্রমাণ ছাড়াই তার অকাট্য বিশ্বাসকে বারবার বলে চলেছেন যে কোরোনা ভাইরাস চীন তৈরী করেছে জৈবযুদ্ধের তাগিদেই। রুশ লিম্ব আরও এক ধাপ এগিয়ে জানিয়েছেন এ ভাইরাস অতি সাধারণ, শুধু রাশিয়া গুজব ছড়িয়ে, আতঙ্ক সৃষ্টি করে, স্টক মার্কেট ফেলে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গদিচ্যূত করার চক্রান্ত কষেছে।


    বিজ্ঞানীরা একের পর এক প্রবন্ধে এই ভাইরাস যে বন্যপ্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়েছে তার প্রমাণ সহ উল্লেখ করেছেন এবং এধরনের সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারবে এ অভিশাপের সূচনা হল কিভাবে যাতে ভবিষ্যতে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকা যায়।


    দ্বিতীয় তত্ত্ব:


    সাম্প্রতিক চীন ও আমেরিকা বাণিজ্য ক্ষেত্রে সম্মুখ সমরে নেমে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। সেটারই পরবর্তী ধাপ দুদেশের মধ্যে জৈবযুদ্ধ কিনা, তার পরিপ্রেক্ষিতে জন্ম নিয়েছে আরেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। এই তত্ত্বে বলা হচ্ছে জীবাণু গবেষণার ক্ষেত্রে যোগদানের নামে চীন আসলে গুপ্তচরদের নিয়োগ করে মারণ জৈবাস্ত্র হাতিয়েছে। জানুয়ারি মাসে দুজন চীনের গবেষকের সাথে একজন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। বিজ্ঞানী চার্লস লিবার চীন থেকে দশ লক্ষ মার্কিন ডলারের গবেষণার সাহায্যমূল্য পাওয়ার কথা গোপন করেছেন আর বাকি দুই গবেষক চীনের গুপ্তচর যাদের একজন ঝাওসাং ঝেন চীন ফেরত যাওয়ার সময় বস্টন এয়ারপোর্টে ২১ টি জৈব নমুনা সহ আটক হন। অন্যজন চীনের সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় গবেষণা করতে আমেরিকা এসেছিলেন।


    ৩ রা ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এবং বিজ্ঞানী লিবারের সংহতিতে নেচার পত্রিকায় বিজ্ঞানীদের আশঙ্কার এক বার্তা প্রকাশ পায়। লিবার জামিনে মুক্ত হলেও তিনি যে একা নন বরং যত আমেরিকা-চীন দ্বৈরথ বাড়ছে তত এধরনের ঘটনা বেশি করে সামনে আসছে। ফ্লোরিডার মোফিট ক্যান্সার সেন্টারে ছজনকে একই কারণে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।


    অন্যদিকে কানাডার ন্যাশনাল মাইক্রবায়োলজি ল্যাবরেটরি থেকে ২০১৯ মার্চে সেখানে কর্মরত চীনের এজেন্টের সাহায্যে ভাইরাসের নমুনা চীনে পৌঁছায়। কোরোনা ভাইরাসের নমুনা কানাডার ঐ ল্যাবরেটরির কর্ণধার ডঃ ফ্রাঙ্ক প্লামার জোগাড় করেন যা চীনের চরেরা চুরি করে বলে অভিযোগ। শিয়াংগুও চিউ ও তার স্বামী কেডিং চেং সহ তাদের ছাত্রদের ল্যাবরেটরি থেকে বরখাস্ত করে রাখা হয়েছে।


    আশ্চর্যের বিষয় হল এই বিজ্ঞানীই ভাইরাস বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে ইবোলা ভাইরাস চিকিৎসায় সাহায্য করেছিলেন। এখন এর কতটা সত্যি আর কতটা দুদেশের টানাপোড়েনে গবেষকদের বোড়ে বানানোর চাল বলা শক্ত, তবে কোরোনা ভাইরাস মহামারীর কারণ থেকেও আমেরিকা-চীনের জীবাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে এ ষড়যন্ত্র বেশি অগ্রাধিকার পাবে।


    তৃতীয় তত্ত্ব:


    জলবায়ু সংকট রুখতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানো আর প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তনে কর্মহীন অদরকারী মানুষের দলের বোঝা লাঘব করার সহজ ম্যালথুসিয়ান উপায় হিসেবে মহামারীর আয়োজন। এইরকম এক ঢিলে দুই পাখি মার্কা ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বীজ যদি কেউ বুনতে চায় তবে তাকে সাহায্য করে জলবায়ু সমস্যা কিংবা বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রনেতা, শিল্পপতিদের অবস্থান, বা বলা ভালো দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজার অনীহা। গ্রেটা থুনবার্গের মত অনেক পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ব্যক্তিরা, বৈজ্ঞানিক মহল বারবার বলেছেন জনসংখ্যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যতটা না দায়ী তার থেকে বহুগুণ বেশি দায় পুঁজিবাদী ব্যবস্থার চালচলন, আধুনিক জীবনযাপনে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে অনীহা ও সর্বোপরি ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে পরিবেশ রক্ষার আইনের লঘুকরণ, তথা বনভূমি, বন্যপ্রাণ বাঁচানোর শপথকে প্রহসনে পরিণত করা। আর প্রযুক্তির উন্নতি ও প্রয়োগের সাথে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ, সম্ভাবনা তৈরী, বিনিয়োগ ও সামাজিক সুরক্ষানীতির মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করাই তো একটা দেশের সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত যাতে আমজনতার মনোযোগ মহামারীর মত সংকটে স্বাস্থ্য সচেতনতা বার্তায় বেশি থাকে, ষড়যন্ত্র তত্ত্বের চেয়ে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল ফর ইক্যুইটি ইন হেলথের ২০১৬ সালের এক প্রবন্ধে মার্স ভাইরাস মহামারীর প্রভাব দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমিকদের কিভাবে জীবনযুদ্ধে পঙ্গু করেছে এবং ভবিষ্যতে মহামারীর প্রকোপের সময় শ্রমশক্তিকে রক্ষার গুরুত্বের কথা উঠে এসেছে।


    অন্যান্য তত্ত্ব:


    এছাড়াও ওষুধ কোম্পানি ও তাদের নিয়ন্ত্রক, পরিপোষক অতিধনী গোষ্ঠীর অন্যায়ভাবে স্বাস্থ্যকে পণ্যে পরিণত করা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় দূর্নীতির দীর্ঘ ইতিহাস আরেকটি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে। ভ্যাকসিন তথা ওষুধ বাজারীদের কালো হাত এই মহামারীর পিছনে রয়েছে। সংকটের মুক্তি হিসেবে ফার্মা কোম্পানিগুলি ভ্যাকসিন চড়া দামে বিক্রি করে মুনাফা কামাবে এবং সেজন্যই তারা জঘন্য চক্রান্ত করে মহামারীর প্রাদুর্ভাব ধনী দেশগুলিতে ছড়িয়েছে কারণ গরীব দেশ আক্রান্ত হলে ভ্যাকসিন কিনে মুনাফা দিতে পারবে না। স্বাভাবিক ভাবেই এই দাবীর প্রমাণ হয় নি কিন্তু নৈতিক জয় হয়ত হয়েছে। ফার্মা কোম্পানিগুলির আগ্রাসন, মুনাফা লোভের উপর যদি রাষ্ট্রগুলির আর্থসামাজিক নিয়ন্ত্রণ বা রাশ থাকত তাহলে এমন সংকটের সময় ওষুধ কোম্পানিগুলিকে মানুষ ষড়যন্ত্রীর বদলে বন্ধু হিসেবে ভাবতে পারত।


    শেষের কথা:


    ১৯ এ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ল্যান্সেট পত্রিকায় একদল বিজ্ঞানীর স্বাক্ষরিত এক পত্রে কোরোনা ভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনের বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তারদের সমর্থন ও সংহতি জানিয়ে বলা হয়েছে এ পরিস্থিতিতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অযথা ভয়, উদ্বেগ ও গুজব ছড়িয়ে প্রকোপ আটকাতে সামগ্রিক সংহতিকে নষ্ট করা ও অসংখ্য ডাক্তার, নার্সদের আত্মত্যাগ, উদয়াস্তের লড়াইকে অপমান করা ছাড়া আর কোনও কাজ করে না।


    তাই এতসব ষড়যন্ত্রের পক্ষে বিপক্ষের পর একটা জিনিস বাদ পড়ে থাকে এবং পড়েই থাকে মহামারীতে নিথর মৃতদেহগুলোর সাথে। আগের মৃতদেহগুলোকে মনে করিয়ে, আগামী মৃতদেহগুলোকে আটকাতে।


    যন্ত্রণা।


    (শেষ)



    তথ্যসূত্র


    ফিরিস্তি


    ১.


    gisanddata.maps.arcgis.com


    https://doi.org/10.1111/tmi.13383


    https://m.economictimes.com/industry/cons-products/garments-/-textiles/corona-outbreak-in-china-hits-low-cost-garment-market-in-rural-bengal/amp_articleshow/74124457.cms


    ২.


    https://doi.org/10.1111/1469-0691.12706


    https://doi.org/10.3201/eid0809.010536


    ৩.


    https://www.gatesnotes.com/Energy/My-plan-for-fighting-climate-change


    https://doi.org/10.1093/biosci/biz088


    ৪.


    https://www.wired.com/2016/10/president-obama-mit-joi-ito-interview/


    https://www.mckinsey.com/featured-insights/future-of-work/jobs-lost-jobs-gained-what-the-future-of-work-will-mean-for-jobs-skills-and-wages



    ষড়যন্ত্র


    https://doi.org/10.1101/2020.02.13.945485


    https://doi.org/10.1016/S0140-6736(20)30418-9


    https://doi.org/10.1101/2020.01.30.927871


    DOI:10.1038/s41586-020-2012-7


    DOI:10.1016/j.meegid.2020.104212


    http://virological.org/t/the-proximal-origin-of-sars-cov-2/398


    The role of wildlife in emerging and re-emerging zoonoses.


    doi: 10.1038/d41586-020-00291-2



    শেষের কথা


    https://www.who.int/emergencies/diseases/novel-coronavirus-2019/advice-for-public/myth-busters


    https://doi.org/10.1186/s12939-016-0483-9


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০১ মার্চ ২০২০ | ৮৩৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • এটাও থাক | 162.158.23.94 | ১৩ মার্চ ২০২০ ০৯:১০91448
  • ডা: সমুদ্র সেনগুপ্ত লিখেছেন, একটি থ্রিলার বা রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস ও করোনা নিয়ে অপপ্রচার:-

    সোশ্যাল। মিডিয়াতে একটা লেখা খুব ঘুরছে বইয়ের পাতায় বেশ ছবি টবি দিয়ে। এই ঢপটার উৎপত্তি Nick Hintonn নামে টুইটার একাউন্ট থেকে।

    ফেক খবরটি হল-
    "The Eyes of Darkness" নামক একটি পুস্তক। যেটা 1981 সালে প্রকাশিত হয়। লেখকের নাম "Dean Koontz"

    উক্ত পুস্তকের 353 থেকে 356 নম্বর পৃষ্ঠায় করোনা ভাইরাস সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। বইটিতে লেখা রয়েছে, করোনা ভাইরাস বুহান এলাকার একটি ল্যাবরেটরিতে গোপনে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে চীন এটা ব্যবহার করবে সে দেশের গরীব জনগণকে হত্যা করতে। করোনা-র কারণে চীনের বহু দরিদ্র মানুষ মারা যাবে।
    যার ফলে দেশ থেকে দারিদ্র্য সরানো যাবে এবং চীন বিশ্ব-দরবারে নিজেকে সুপার পাওয়ার হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এই পুস্তকে করোনা ভাইরাসের নাম "বুহান-400" ভাইরাস হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।পুস্তকে আরো লেখা রয়েছে-- "ভবিষ্যতে চীন এই ভাইরাসকে "বায়োলজিকল মারণাস্ত্র" হিসাবে ব্যবহার করবে।"

    আসল খবর টি হল-
    সোশ্যাল মিডিয়ার একটা মারাত্মক দিক হল অর্ধসত্য প্রচার। যে উপন্যাস নিয়ে এত কথা লেখা হচ্ছে, এটা কিন্তু সুকৌশলে জানানো হচ্ছে না যে ওই বইটার প্রথম সংস্করণে ওই কাল্পনিক জীবাণুর নাম ছিল "গোর্কি -400" যেটা পরে পাল্টে "উহান-400" হয়।

    It is worth noting that in the first edition of “The Eyes of Darkness” in 1981, the fictional virus was not named after the Chinese city, but after a Russian locality named “Gorki” (Gorki-400). In the original version of the novel, the virus was developed outside of “Gorki” and it was meant to be the “Soviet’s most important, dangerous new biological weapon in the decade”. This is confirmed by a Google Books’ search of the word “Wuhan” in the 1981 edition.

    The name of the virus was changed on the re-release of the book in 1989, toward the end of the Cold War. Their article here includes photographs of the previous edition that references “Gorki-400”). In this edition, Koontz also published his novel under his real name instead of using his pseudonym “Leigh Nichols”.

    ঠান্ডা যুদ্ধের অবসান ও সোভিয়েত ইউনিয়নের গরিমার পতনের সময় আর সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে চীনের উপস্থিতি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠার সময় থেকেই বিভিন্ন অপপ্রচারের অভিমুখ রাশিয়া থেকে পাল্টে চীন হয়েছে। পপুলার থ্রিলার জাতীয় সাহিত্যে এর ভুরিভুরি উদাহরণ আছে অন্য লেখকদের লেখায় যেমন রবার্ট লুডলাম, টম ক্ল্যান্সি ইত্যাদি ইত্যাদি।

    এই অপপ্রচার কেন সেটা বুদ্ধিমান পাঠকদের ধরে নিতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।
  • দ্রি | 162.158.106.131 | ১৪ মার্চ ২০২০ ০০:৩২91453
  • চীনের ফরেন মিনিস্ট্রির স্পোক্সম্যান লিজিয়ান ঝাও তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে বায়োটেররিজমের সম্ভাবনার কথা বললেন।

    "CDC Director Robert Redfield admitted some Americans who seemingly died from influenza were tested positive for novel #coronavirus in the posthumous diagnosis, during the House Oversight Committee Wednesday. CDC was caught on the spot. When did patient zero begin in US? How many people are infected? What are the names of the hospitals? It might be US army who brought the epidemic to Wuhan. Be transparent! Make public your data! US owe us an explanation!"

    https://twitter.com/zlj517?ref_src=twsrc^google|twcamp^serp|twgr^author
  • দ্রি | 172.68.174.99 | ১৪ মার্চ ২০২০ ০০:৩৫91454
  • ইরানের খামেনেইও তাঁর আর্মড ফোর্সের হেডকে লেখা চিঠিতে বায়োটেররিজমের সম্ভাবনার কথা বললেন।

    Major General Bagheri,
    With appreciation for the services that the Armed Forces have provided to the dear people so far in the fight against Coronavirus, and with emphasis on the need to continue and expand these services, it is necessary to organize these services into a Health and Treatment Base In addition to treating the sick and establishing medical centers such as field hospitals, places of quarantine, etc., the spread of the disease should also be prevented using the necessary methods. The division of duties and missions of the organizations and departments of the Armed Forces is one of the tasks of this Base. This Base must work in full coordination with the government and the Ministry of Health.
    This measure may also be regarded as a biological defense exercise and add to our national sovereignty and power given the evidence that suggests the likelihood of this being a "biological attack.”

    http://english.khamenei.ir/news/7423/The-command-to-the-Armed-Forces-to-establish-a-Medical-Base-to
  • দ্রি | 172.69.22.97 | ১৬ মার্চ ২০২০ ০১:৪১91478
  • অরিন | 198.41.238.121 | ১৪ মার্চ ২০২০ ০৩:০৬729996
    সাক্ষ্যপ্রমাণ সমূহ:

    “The wildlife markets and restaurants in southern China became the focus of the search for SARS-CoV origins in April/May 2003. Joint teams of Chinese and WHO epide- miologists discovered that several of the early SARS patients in Guangdong Province worked in jobs associated with the sale or preparation of wildlife for human con- sumption. On 23 May 2003, a team led by Yi Guan (Hong Kong University) and colleagues from the Centre for Disease Control Shenzhen, China, announced at a press conference that they had isolated a coronavirus resembling SARS-CoV (identical apart from a 29 nucleo- tide base insert) from six (out of six) masked palm civets (Paguma larvata) and a raccoon dog (Nyctereutes procyonoides) in a market in Shenzhen, Guangdong Province, and that a third species present in the market, the Chinese ferret badger (Melogale moschata) elicited anti- bodies reacting against SARS-CoV (Guan et al. 2003). Some 25 individuals from eight of the many species sold for human consumption had been purchased for that investigation. The masked palm civets also seroconverted and their sera inhibited the growth of SARS-CoV isolated from humans. Five out of 10 civet dealers present at the market were found to have antibodies that cross-reacted with the SARS virus. A Chinese government team sub- sequently reported that 66 out of 508 wildlife handlers tested in other markets across Guangdong also tested posi- tive for antibodies to the SARS virus. Chinese authorities responded by imposing a temporary ban on the hunting, sale, transportation and export of all wild animals in southern China and also quarantined all civets reared for human consumption in many civet farms across the area.”
    ( https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC1693393/pdf/15306396.pdf )

    “ Using three different assays, we examined 103 serum samples collected from different civet farms and a market in China in June 2003 and January 2004. While civets on farms were largely free from SARS-CoV infection, ≈80% of the animals from one animal market in Guangzhou contained significant levels of antibody to SARS-CoV, which suggests no widespread infection among civets resident on farms, and the infection of civets in the market might be associated with trading activities under the conditions of overcrowding and mixing of various animal species. “

    (
    https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3323399/ )


    Bats are recognized as important reservoirs of different families of viruses, most of which are emerging as human pathogens, such as Ebola and Marburg viruses, Severe Acute Respiratory Syndrome (SARS) and Middle East Respiratory Syndrome (MERS) coronaviruses. More than 200 viruses have been associated with bats, and almost all are RNA viruses probably owing to their great ability to adapt to changing environmental conditions through a higher genetic variability.“
    (
    https://www.nature.com/articles/cddiscovery201648 )

    এক ধরণের আউটব্রেক হবার আশঙ্কা বহুদিন ধরেই জানা। দেখুন, (এটা অবশ্য লাওসের পরিপ্রেক্ষিতে লেখা:

    “ In the seven high volume markets, potential for transmission of pathogens from infected wildlife to humans, directly or indirectly was observed (Table 3). Routes for direct transmission included the handling and butchering of wildlife by vendors and, at one market (Market A), through butchering and consumption of wildlife by the public on the premises, including the traditional consumption practice of eating fast grilled un-gutted wildlife. In half-hour observations of 11 wildlife vendors in these seven markets, hand washing was only observed to be performed by one individual. As wildlife was generally sold whole, the presence of wildlife butchering was only observed in four of the seven markets. Potential indirect transmission routes observed were contaminated fomites and cross contamination of food. The risk of contaminated fomites was increased, as only four of the seven markets had running water, and of six markets where domestic animal meat was sold, all were found to have areas with either animal blood or entrails on the ground. During five half-hour observations of five butchers, none were observed to clean instruments and only one was observed to clean the work table. The level of contact of wildlife with other fresh food products (and therefore potential for cross contamination) was high in most markets. Wildlife was observed for sale on stalls also displaying vegetables or other fresh produce, in five of the seven markets.”

    (
    https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4805265/ )

    আরো,


    This research aims to examine zoonotic viral emergence by testing the following hypotheses:

    • there are novel Coronaviruses (CoVs) and Paramyxoviruses (PMVs) in wildlife reservoirs in south China
    • human behaviour may result in viral spillover from wildlife reservoirs
    • market and other wildlife trade activities may be drivers of disease emergence
    • CoVs and PMVs circulating in wild animal populations may be closely related with or ancestral to known pathogenic viruses.

    Over a five-year period, oral and anal swabs and blood samples were collected from 3,146 wild-caught bats and 559 rodents from more than 30 different species primarily focused on wildlife trade pathways in southern China. RT-PCR assays were performed to screen for CoVs and PMVs. 39 CoVs (1.2%) and 114 PMVs (3.6%) were confirmed from bat samples by sequencing. Of the latter, 80 were novel bat PMVs. No rodent samples were positive for either virus.

    An online survey was conducted to assess 2,238 Chinese millennials’ attitudes about wildlife consumption and perceived health-risks. The results suggest that although this population is currently the primary driver of demand for wildlife trade in China, it may also be the most effectively targeted with campaigns to educate about zoonotic emergence from wildlife reservoirs.


    (
    https://eprints.kingston.ac.uk/41781/ )

    এই পেপারগুলো প্রত্যেকটি পিয়ার রিভিউ করা, এবং বর্তমান আউটব্রেকের পূর্বে প্রকাশিত।
    আমার মনে হয়না ওয়াইল্ডলাইফ থেকে উৎপত্তির কারণ নিয়ে খুব সঙ্গত কোন সন্দেহ অন্তত ২০২০ সালে প্রযোজ্য ।

    অরিনের এই পোস্টটা এখানে নিয়ে এলাম, ফর ফার্দার ডিস্কাশান। ঐ টইটা ইউটিলিটেরিয়ান, ওটা ওরকম থাক।
  • দ্রি | 172.68.174.39 | ১৬ মার্চ ২০২০ ০২:০৮91479
  • "they had isolated a coronavirus resembling SARS-CoV (identical apart from a 29 nucleo- tide base insert) from six (out of six) masked palm civets (Paguma larvata) and a raccoon dog (Nyctereutes procyonoides) in a market in Shenzhen, Guangdong Province, and that a third species present in the market, the Chinese ferret badger "

    এই যে 29 nucleo- tide base insert এটা কী ভাবে হতে পারে? একটা পসিবিলিটি হল ন্যাচারাল মিউটেশান। কিন্তু আরেকটা পসিবিলিটি হল ইন আ ল্যাব, আর্টিফিশিয়ালি।

    এই 29 nucleo- tide base insert বাদে যে করোনাভাইরাস, যেটা পাম সিভেটসে পাওয়া যায়, সেটা মানুষে জাম্প করে আসতে পারে। কিন্তু সেটা কী 29 nucleo- tide base insert ওয়ালা করোনাভাইরাসের মত ছোঁয়াচে অ্যান্ড/অর ফেটাল?

    "Five out of 10 civet dealers present at the market were found to have antibodies that cross-reacted with the SARS virus. A Chinese government team sub- sequently reported that 66 out of 508 wildlife handlers tested in other markets across Guangdong also tested posi- tive for antibodies to the SARS virus."

    এইটার অর্থ কী? ওদের শরীরে যে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল সেটা ঐ 29 nucleo- tide base insert ছাড়া না শুদ্ধু?
  • দ্রি | 162.158.255.231 | ১৬ মার্চ ২০২০ ০২:১৭91480
  • "While civets on farms were largely free from SARS-CoV infection, ≈80% of the animals from one animal market in Guangzhou contained significant levels of antibody to SARS-CoV, which suggests no widespread infection among civets resident on farms, and the infection of civets in the market might be associated with trading activities under the conditions of overcrowding and mixing of various animal species."

    এই SARS-CoV টা নিশ্চয়ই উইদাইট 29 nucleo- tide base insert?

    তাহলে প্রশ্ন হল ফার্ম সিভেটসদের এটা থাকে না কেন? আমি তো প্রথম পেপারটা পড়ে ভাবছিলাম এই ভাইরাস ফার্ম সিভেটসদের সঙ্গী। সেটা কি নয় তাহলে? অন্য অ্যানিম্যাল এটার প্রাইমারী কেরিয়ার যেটা মার্কেটে বিক্রি হয়, যার থেকে সিভেটসরা ইনফেক্টেড হয়?
  • দ্রি | 162.158.255.33 | ১৬ মার্চ ২০২০ ০২:৪২91481
  • "Bats are recognized as important reservoirs of different families of viruses, most of which are emerging as human pathogens, such as Ebola and Marburg viruses, Severe Acute Respiratory Syndrome (SARS) and Middle East Respiratory Syndrome (MERS) coronaviruses."

    এখানেও সেই একই প্রশ্ন। বাদুড়ের গায়ে যে ভাইরাস থাকে, সেটা মানুষে যা পাওয়া যায় তা সামান্য আলাদা। সেই ডিফারেন্সটা হল কিকরে? ন্যাচারালি, অথবা আর্টিফিশিয়ালি।

    ফ্রান্সিস বয়েল ইবোলার ব্যাপারে তাঁর ইন্টারভিউতে বলেছেন, "I have absolute proof from a Pentagon document that the Center of Disease Control was doing bio-warfare work for the Pentagon in Sierra Leone, the heart of the outbreak, as early as 1988. "।

    কঙ্গো উগান্ডার বর্ডারে একবার ইবোলার আউটব্রেক হয়েছিল। সেখানেও পেন্টাগনের বায়ো ওয়েপনস ল্যাব ছিল।

    ইবোলা যে বায়ো ওয়েপন হতে পারে, এবং সে নিয়ে ভাবনাচিন্তা হচ্ছে, সেটা ফ্রিডম অফ ইনফর্মেশানে পাওয়া ইউকে ডিফেন্স মিনিস্ট্রির এই ডকুমেন্ট থেকে ক্লিয়ার।

    "Please provide a copy/copies of all assessments made in relation to the potential for the Ebola virus being used as a weapon. By weapon I mean that the virus could be used to inflict bodily harm, physical damage or death to a human."

    https://assets.publishing.service.gov.uk/government/uploads/system/uploads/attachment_data/file/399322/Ebola_within_a_bioterrorism_context.pdf

    আরেকটি সিভিআরলি রিড্যাক্টেড ডকুমেন্টও সেই ইঙ্গিতই দেয়।

    https://assets.publishing.service.gov.uk/government/uploads/system/uploads/attachment_data/file/399328/Attachment_Ebola_within_a_bioterrorism_context.pdf
  • দ্রি | 172.69.68.164 | ১৭ মার্চ ২০২০ ১৮:১৮91506
  • আর্টিফিশিয়াল ভাইরাস তৈরীর কাজ চলছে বহুদিন থেকেই। হাওয়ার্ড হিউগস মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের ১৯৯৪ র পেপার।

    In this treatise, mouse hepatitis virus (MHV) is used as a model for the discussion of the mechanism of viral RNA synthesis.

    https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/7812660
  • দ্রি | 172.69.68.164 | ১৭ মার্চ ২০২০ ১৮:২০91507
  • এবং ভাইরাস নিয়ে নানারকম কাটাছেঁড়া, এবং নতুন ভাইরাস তৈরী করা।

    Using the SARS-CoV reverse genetics system, we generated and characterized a chimeric virus expressing the spike of bat coronavirus SHC014 in a mouse-adapted SARS-CoV backbone.

    https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/26552008
  • দ্রি | 172.68.143.65 | ২০ মার্চ ২০২০ ০০:৫৬91591
  • প্রথম লিংকটা আলোচনার যোগ্য নয়। দ্বিতীয় লিংকটা তো পড়াও যাচ্ছে না।

    তৃতীয় লিংকটা ভালো এবং এনগেজিং।

    It is improbable that SARS-CoV-2 emerged through laboratory manipulation of a related SARS-CoV-like coronavirus. As noted above, the RBD of SARS-CoV-2 is optimized for binding to human ACE2 with an efficient solution different from those previously predicted7,11. Furthermore, if genetic manipulation had been performed, one of the several reverse-genetic systems available for betacoronaviruses would probably have been used19. However, the genetic data irrefutably show that SARS-CoV-2 is not derived from any previously used virus backbone20.

    এখানে অথার মনে করেন ভাইরাসটি ল্যাব জেনারেটেড নয় সেটা লেখা রয়েচে। এক, আগে ভাইরাস কিভাবে হিউম্যান সেলের সাথে আটকাবে সেই নিয়ে কিছু প্রেডিকশান দুটো রেফারেন্সড পেপারে ছিল। কিন্তু এই বাইন্ডিংটা ভিন্ন রকম। দুই, ভাইরাসের ব্যাকবোনও নোন/সিনথেসাইজড ব্যাকবোনের চেয়ে আলাদা। তাই কনক্লুশান হল এটা ল্যাবে বানানো হতে পারে না।

    কিন্তু প্রবলেমটা হল অ্যাকাডেমিক বডি অফ রিসার্চে বাইন্ডিংএর যে কটা প্রেডিকশান আছে, এবং যে কটা ব্যাকবোন আছে, মিলিটারী রিসার্চে তার চেয়ে বেশী নেই এটা কি আমরা শিওর? মিলিটারী রিসার্চের সব তথ্য অ্যাকাডেমিক ডোমেনে আসেনা তো। মেরিল্যান্ডের ফোর্ট ডিট্রিক, ক্যানাডার উইনিপেগ, চীনের উহান এগুলো বায়ো ওয়েপনস ল্যাব। লেভেল ৪ সিকিওরিটি। এমনকি আফ্রিকাতেও আছে, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া, উগান্ডা। এখানে কি হচ্ছে তার সব কিছু পাব্লিক ডোমেনে আসেনা। কিছু আসে। যা আসেনা সেগুলো ফ্রিডম অফ ইনফর্মেশান অ্যাক্ট করে জানতে চাইলে কিছু ডকুমেন্ট পাওয়া যায়, তাও খুব হেভিলি রিড্যাক্টেড। এরকমই দুএকটা ডকুমেন্ট থেকে জানা গিয়েছিল ইবোলাকে ওয়েপনাইজ করার কথা ভাবা হচ্ছে।
  • দ্রি | 108.162.246.130 | ২০ মার্চ ২০২০ ০১:০০91592
  • Iranian Doctors Urge Neighbours to Liquidate Any US Biological Labs Amid Coronavirus Fears

    A group of 101 Iranian doctors has penned a letter addressed to the leaders of Afghanistan, Georgia, Iraq, Kazakhstan, Kyrgyzstan, and Pakistan to take ‘immediate action’ to destroy “all of the US biological laboratories” in their countries amid fears that the coronavirus pandemic may have been spread deliberately as a form of biological warfare, Press TV has reported, citing the letter.

    “We, as a group of Iranian physicians specializing in infectious and pulmonary diseases, asthma and allergy are witnessing that many of our compatriots are infected with the virus, and like all doctors across the world, we are trying day and night to cure and save them,” the letter states.

    “But there has been plenty of evidence in both the world’s leading scientific articles and in the media, citing geneticists and biologists and WikiLeaks documents, that reinforces speculation about the COVID-19 manipulation in biological laboratories and a biological attack by the US through the virus against rival countries,” the letter continues.
    ...
    In their letter, Iranian doctors accuse the United States of having a history of using biological weapons, and suggest that given its habit of withdrawing from international agreements and treaties, the US could “defy” international agreements aimed at controlling the development of biological weapons, such as the Geneva Protocol and the Convention on the Prohibition of the Development, Production and Stockpiling of Bacteriological and Toxin Weapons.
    ...
    As a party to the Convention on Bacteriological and Toxin Weapons, the United States is prohibited from the development, production and storage of bioweapons agents. However, the Federation of American Scientists has accused Washington of continuing experimentation with “non-lethal” biological agents. Furthermore, Russia, former officials in Georgia and media have repeatedly expressed suspicions that the Lugar Center for Public Health Research in Tbilisi may contain a secret biological weapons programme run by the US military and private contractors.

    Dilyana Gaytandzhieva, an independent Bulgarian investigative journalist and Middle East correspondent, has reported extensively on an alleged multi-billion-dollar US military programme said to include Pentagon-funded biolaboratories in over two dozen countries, including ten countries in Africa, six in Southeast Asia and nine in countries surrounding Iran and Russia including Iraq, Jordan, Azerbaijan, Georgia, Afghanistan, Pakistan, Uzbekistan, Kazakhstan, and Ukraine.

    https://sputniknews.com/middleeast/202003191078623300-iranian-doctors-urge-neighbours-to-liquidate-any-us-biological-labs-amid-coronavirus-fears/
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন