এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  বিবিধ

  • বাঁধের বিরুদ্ধেঃ একটি পীড়নের ধারাবিবরণী - ষষ্ঠ ও শেষ পর্ব

    প্রিয়াঙ্কা বরপূজারী লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | বিবিধ | ০৬ অক্টোবর ২০১২ | ৮৩০ বার পঠিত
  • উত্তর লখিমপুরে সাদা খয়েরী রঙের ছোট বাড়ির মতো দেখতে জেলটা রাস্তার উপরেই অবস্থিত। অনেকই জেলটাকে আসামের নতুন দিনের বাড়ি ভেবে ভুল করতেই পারে। গ্রামের বাস স্ট্যান্ডের পাশেই জেলটা, গ্রামের লোকদের সেইখানে বেশ আনাগোনা ছিল, পরিচিত কারোর আসার কথা থাকলে স্ট্যান্ডে বসে তারা অপেক্ষা করত। সেই ওয়েটিং চত্বরেই গগন বোড়ার বউ তার দুই বাচ্চা নিয়ে অপেক্ষা করছিল দেবো নাথের বাবা মার সাথে। সেই বউটি পরিপাটি করে শাড়ি আর তার ছোট মাথায় চওড়া করে সিঁদুর দিয়ে এসেছিল দেখা করতে স্বামীর সাথে। এই প্রথম দেবো নাথের মা তার ছেলেকে ৬ দিন বাদে দেখবে। তাছাড়া সেখানে দীপেন মুদইর কিছু আত্মীয় আর বাকি আসামীদের বন্ধুরাও এসেছিল।

    যেসব আসামীরা দেখা করতে চাইত তাদের জন্য একটি লিস্ট বানানো হয়েছিল। জাল দেওয়া গ্রিল জালনার বাইরে থেকে আসামীদের সাথে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করতে হত। কিছুক্ষণের মধ্যেই গগন বোড়া, দীপেন মুদই আর প্রদীপ গগৈ জানলার সামনে এল। জানলার গায়ে খুব ঘন জাল থাকলেও কোন প্রিয়জন তার মধ্য থেকেই আসামীর  হাত সহজেই স্পর্শ করতে পারে। তবে প্রত্যেক আসামীদের সাথেই সাধারণ পোশাকে একটি করে গার্ড থাকত, তাদের মুখে সারাক্ষণ পান গোঁজা থাকত, চুপ করে কান পেতে সব কথা শুনতে চাইত। কখনও কখনও আবার শুনতে না পেলে আসামীর কাছে একটু একটু করে এগিয়ে যেত।

    এইসবের মধ্যে একটিই ভালো খবর ছিল যেসব পুরুষ আসামীরা  ঘাগরে হাইওয়ের কাছের  ট্যাঙ্কে আগুন লাগানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল, তারা শুধুমাত্র ঝাল মশলা খাবারের জন্যই অভিযোগ জানিয়েছিল,আর বাকি কিছুতেই তাদের অসুবিধা ছিল না। মাঝে মাঝে কেউ কেউ  ছেঁড়া মশারী বা খবরের কাগজ নেই বলে অভিযোগ জানাত কিন্তু এইগুলি ছাড়া তাদের খুব বেশী কিছু প্রবলেম ছিল না। প্রদীপ গগৈ মাঝে মাঝে হাত ভাঙ্গার যন্ত্রণায় চেঁচাত, তখনও তার মুখে ভর্তি ফুস্কুরি ছিল। সকলে জিজ্ঞাসা করত “তোমাদের কি জেলের মধ্যে মারা হচ্ছে? অত্যাচার করা হচ্ছে?” সব প্রশ্নই  গার্ডরা কান খাড়া করে শুনত, নজর রাখত জেলের মধ্যের কিছু গোপন কথা কেউ ফাঁস করে দিচ্ছে কিনা। যখন কোনও আসামী উত্তর দিত “ না না আমরা ভালো আছি। আমাদের কেউ মারছে না”, তখন গার্ডরা যেন স্বস্তি পেত।  কৃষক, দোকান মালিক, ছাত্র প্রত্যেককেই ট্যাঙ্কে আগুন জ্বালানোর অভিযোগে অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। নিশ্চিত করে বলা যেতে পারে, প্রথম প্রথম তাদের উপরেও খুব অত্যাচার করা হয়েছিল। তাদের কাউকে কাউকে স্টমাকে লাথি বা মুখে ঘুসিও মারা হয়েছিল।

    আবছা ভবিষ্যত... প্রদীপ গগৈ (বাঁ দিকে) দীপেন মুদৈ (ডান দিকে)  

    ১১ই মে রাতে ঠিক যখন ট্যাঙ্কে আগুন লাগানো হয় তখন প্রদীপ গগৈর ছেলে রূপঙ্কর আর ভরত সাহু এক সাথেই ছিলেন। তাই ওনার সাথে দেখা করা খুবই প্রয়োজনীয় ছিল আমাদের। সেই রাতে ভরত সাহু রূপঙ্করের পাশে থাকা সত্ত্বেও অল্প কিছুর জন্য রূপঙ্কর পুলিশের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল। পরের দিনই চারিদিকে খবর রটিয়ে গেল যে পুলিশ আর সি আর পি এফ এর গোলাগুলিতে তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন আর ওনাকে নর্থ লখিমপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার ছিল ওনার সাথে দেখা করতে নাকি কেউ আসত না। পুলিশেরা ওদের হয়ে বলত যে ওরা নাকি কারোর সাথে দেখা করতে চায় না।

    কিন্তু একদিন আমরা যাওয়ার আগেই দেখি উনি এসে গেছেন। আরও এক প্রতিবাদী, যাকে উনি অনেক দিন আগে থেকেই ভালো করে চেনেন তাকে দেখে ওনার মুখে আশার আলো ফুটে উঠেছিল। তার অনেক অভিযোগ ছিল। তার বাঁ কানে ঘুসি মারা হয়েছিল, একটি আঙুলও ভাঙ্গা ছিল কিন্তু তার কোনও চিকিৎসা  হয়নি। তাকে পেটে পিঠে অনেক লাথিও মারা হয়েছিল। আমরা নিজে চোখে দেখলাম,  সেই ১১ই মে রাতের লাঠির আঘাতে এখনও উনি খোঁড়াচ্ছেন, তার বাঁ হাতের কনুইটাও ভিতরে ঢুকে গেছে। তার সাথে কেউ দেখা করতে আসেনা দেখে উনি খুবই অবাক হতেন। ওনার ওখানকার খাবারও ভালো লাগত না বলে আমাদের জানিয়ে ছিলেন।

    উনি নিজে থেকেই বললেন “বড়ভাই এসে আমাদের কিছু পড়ার জিনিস দিয়ে যায় যাতে আমরা জেলের মধ্যে থেকেই আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারি”। যদিও সামনে গার্ড দাঁড়িয়েছিল তার এইসব কথা ভাল লাগছিল না।

    আরও একজন আন্দোলনকারী বলে উঠল “ উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য আপনি জেলারের কাছে কেন আবেদন করছেন না?”

    উনি উত্তর দিলেন “ আমার কাছে কোনও কাগজ, পেন নেই যে!”

    আমরা ওনাকে জেলারের কাছে আবেদন করার অনুরোধ জানিয়ে এলাম।

    ঠিক এর পরেই, ভানু ভুয়ান (২০), কল্পনা গগৈ ( ২০), নিতুমনি গগৈদের আত্মীয় পরিজনদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হল। সেই ১১ই মে রাতেই ঘাগর ক্যাম্প থেকে এইসব সুন্দরী মেয়েদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

    বেশী কিছু অসুবিধা না থাকলেও, তাদের প্রাথমিক কিছু দাবী ছিল। যেমন...

    - তাদের বাচ্চাদের মাপের অন্তর্বাস দেওয়া হয়েছিল।
    - তাদের জেলের মধ্যে গায়ে মাখার সাবান বা টুথপেস্ট দেওয়া হচ্ছে না।
    - এমনকি জেল থেকে তাদের যে শাড়িটি দেওয়া হয়েছে সেটাও খুবই ময়লা ছিল।
    - যেদিন থেকে তারা জেলের মধ্যে আছে সেইদিন থেকে তাদের একটি মাত্রই শাড়ি দেওয়া     হয়েছিল
    - তারা ঝাল মশলা দেওয়া খাবারের বদলে কিছু বাদাম আর ডাল খেতে চায়।

    আন্দোলনকারীদের কাছে মোবাইল ফোন ছিল তাদের মধ্যে তিন জন গোলাঘাট জেলার কাজিরাঙ্গার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এসেছিল। স্বাভাবিকভাবেই মোবাইল সম্পর্কে তাদের জ্ঞান সীমিত ছিল, এমনকি তারা তাদের ফোন নম্বরটকুও জানত না। তদের যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন তাদের থেকে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল যাতে করে তাদের বাবা মার কাছে অ্যারেস্টের খবর পৌছতে সময়ে লেগে যায় অন্তত পক্ষে এক সপ্তাহ। দেশের আন্দোলনকারী  যেসব মহিলারা   যুদ্ধে তাদের নিজেদের সংসার পরিজন হারিয়ে, নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে আজ রাজবন্দি হয়েছে, তাদের পরিণতির কথা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।

    মহিলাদের জেলের ভিতরে চলে যাওয়ার পরে আমরা সেই একই জানলার বাইরে থেকে জেলার এস বৈশ্যের সাথে দেখা করলাম। জানালাম ভরতের একটা পেন আর কাগজ দরকার, তার কিছু দাবী সে লিখিতভাবে জানাতে চায়। কিন্তু জেলার সেই দাবীর কথা মানতে চাইল না, কোনও পাত্তাই দিল না আমাদের কথা,বলল “ওদেরকে ভালভাবেই রাখা হয়,ওরা খালি মিথ্যা কথা বলে”।


    বন্দী বাঘ...... ভরত সাহু

    আমরা  অভিযোগ জানালাম যে বন্দীরা জেলের মধ্যে থেকে খবরের কাগজ পড়তে পারে না তাদেরকে কাগজ পড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত তার উত্তরে জেলার বললেন “ জেলে মাত্র চারটে কাগজ আসে। ৩০০ জন আসামীর পক্ষে সেইটা খুবই কম। আমাদের কিছু করার নেই”।

    ভরত কিছু দাবী  জানাতে চায় ওকে একটি কাগজ পেন দেওয়ার কথা আমরা  জেলারকে বললাম। জেলার জবাব দিল “আসামীদের এইসব লেখালেখি করে আবেদন জানানোর কোনও নিয়ম নেই যা কিছু বলার সামনেই বলতে হবে”।

    আমরা জানালাম “ভরতের আঙ্গুলে মনে হয় ফ্র্যাকচার হয়েছে”।

    তার উত্তরে জেলার বলল “গতকাল ওকে আমরা  এক্স রে করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম”

    অভিযোগ রক্ষার্থে ভরত আর জেলের ডাক্তারকে সামনে নিয়ে আসা হল। কিন্তু সে কি অবাক কান্ড!! কিছুক্ষণ আগে যে ভরতের সাথে দেখা করে এলাম সেই ছেলে আর এই ছেলের মধ্যে কত তফাৎ । সে এক ভীতু বাচ্চা ছেলের মতো  যা যা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল সবেতেই নিচু স্বরে খালি হ্যাঁ হ্যাঁ করে যাচ্ছিল। তাকে থ্রেট দেওয়া হয়েছিল যাতে আমাদের দিকে সে না তাকায়। সকলের সামনে জেলার তার সাথে খুব ভালভাবেই কথা বলছিল। আমরা জেল থেকে বেড়িয়ে আসার সময় জেলারকে বললাম আসামীদের কোনও অভিযোগ লিখিতভাবে জানানোর জন্য আপনারা নিদেনপক্ষে তাদের সেই সুযোগটুকু করে দিন”। তার পরিপ্রেক্ষিতে জেলার রেগে উত্তর দিল “আপনারা যদি উকিল হতেন তাহলে এই ব্যাপারটা বুঝতেন ভালো করে যে কোনও বন্দীর অভিযোগ জানানোর কোনও অধিকার নেই”।

    ভরত যখন আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে  চলে গেল আমরা গুনগুন করে তাকে আশ্বাস দিলাম  “ভয় পেও না”। সে নীরবে মাথা নিচু করে  এগিয়ে গেল।

    কিন্তু তখনও ট্যাঙ্কে আগুন ধরানোর রহস্য উন্মোচিত হয়নি।

    জেলের মধ্যে পুরুষ ও মহিলা বন্দীদের মুক্তি পাওয়ার দিন ক্রমশই পিছিয়ে যাচ্ছে।

    এদের মধ্যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে অন্যায় ষড়যন্ত্র,অবৈধ সমাবেশ, জোর জুলুম, জমি বাজেয়াপ্ত বা আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

    মাত্র এক জন ট্রাক মালিক অভিযোগ জানিয়েছিল যে তার ট্রাক ড্যাম সাইটে কন্সট্রাকসনের জিনিস পত্র পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। পুলিশদের অবশ্য দাবী ছিল যে পরিবহনের জন্যই তো ট্রাক ব্যবহার করা হয়।

    সবচেয়ে আপত্তিজনক ব্যাপারটা হল ওরা প্রত্যেক ছোট ছেলেদের নাম নথিভুক্ত করেছিল ১৮ বছর লিখে।

    সেই হাইওয়ের  পাশে যারা বসবাস করেন তারা জানিয়েছেন ১১ই মে অনেক ট্রাককে তারা হাইওয়ের উপর দিয়ে ড্যাম সাইটের জন্য মালপত্র নিয়ে যেতে দেখেছিল।

    গুয়াহাটিতে কে এম এস এস লীডার অখিল গগৈ উত্তর পূর্ব ভারতে এই ড্যাম উপস্থাপনের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনেও তার অনশন বজায় রেখেছিলেন।

    সূত্রঃ http://www.priyanka-borpujari.blogspot.com/2012/05/administration-is-nothing-but-common.html
    অনুবাদঃ চৈতালি চ্যাটার্জী
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৬ অক্টোবর ২০১২ | ৮৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন