এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  কাব্য

  • হরিতকী ফলের মতন ... (দ্বিতীয় কিস্তি)

    শিবাংশু দে লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | কাব্য | ০৬ অক্টোবর ২০১২ | ৯৪০ বার পঠিত
  • ৪.

    কিন্তু কোথায় গেল সে আজকে? নিশ্চিত বলেছিল আসবে, কিন্তু এতক্ষণেও খুঁজে পেলুম না। হঠাৎ দেখি পরমা, আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। আমি এগিয়ে যেতে নিজেই বলে উঠল,

    সুরঞ্জন, অই খানে যেওনাকো তুমি, বোলোনাকো কথা অই বালিকার সাথে.....
    ও নিশ্চয় কিছু জানে....
    কখন এসেছো?
    তুমি কি আমাকে জিগ্যেস করছো?
    না, তোমাকে নয়, নিস্তারিনী পিসিকে জিগ্যেস করছি....
    তাহলে তাকেই জিগাও, আমি পালাই...
    বলল, কিন্তু দাঁড়িয়েও থাকল
    আমি বলি, কী হলো, পালাও
    না, আমি অপেক্ষা করছি সেই প্রশ্নের, যা তুমি এখনও করোনি...
    আমার তো কোনও প্রশ্ন নেই....
    তাই, বেশ...ঠিক আছে আমি ওখানে গান শুনছি, ইচ্ছে হলে এসো...
    বেশ চলো, কিন্তু আমাকে দেখলে অসিতদা আবার গানের জন্য টানাটানি করবে....
    অসিতদা তোমার নাগাল পাবেনা আজ....
    একটু এগিয়ে দেখি ঘাসের উপর তিনি বসে আছেন যেন গজেন্দ্রগামিনী। গান শুনছেন। বড্ডো ভিড় তাই দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল না।
    পরমা বললো, বসবে না উঠবে?
    বালিকে, গুরুজনদের সহিত পরিহাস!! নরকগামিনী হইবে ....
    তাতে আর কী? ওখানেও তো তোমায় পাওয়া যাবে...
    না চাহিলে যারে পাওয়া যায়, তেয়াগিলে আসে হাতে...
    বস করো, নয়তো আমার বন্ধুবিচ্ছেদ হয়ে যাবে...
    দেখতে পেয়ে উঠে এলো সে। পরমাকে প্রশ্ন,
    কীরে কখন ফিরবি?
    সেটা তো তুই বলবি। আমি তো ভাবলাম ফেরার কোনও সিন নেই এখন...
    সইদের রহস্যালাপ। আমার তো কোনও ভূমিকা নেই এখানে,

    '........এখন অপেক্ষা করি, বালিকাকে বিদায় দেবার
    বহুপরে পুনরায় দর্শনের অপেক্ষার মতো-
    হয়তো সর্বস্ব তার ভরে গেছে চমকে চমকে।
    অভিভূত প্রত্যাশায় এরূপ বিরহব্যথা ভালো।'
    আমার দিকে ফিরে প্রশ্ন, তোমার কতক্ষণের কাজ আছে এখন?
    আমার তো কোনও কাজ নেই...
    তবে?
    তুমিই তো কাজ....
    আমি.....? বাত কুছ হজম নহি হুই...
    আপকি মর্জি...
    তবে চলি এখন..

    '....... বেশ, তবে চলে যাও, তবে যদি কোনোদিন কোনো
    লৌকিক সাহায্যে লাগি, ডেকে নিও.....;'
    তোমার হাতে কী?
    ফিরে এসো চাকা....
    চকিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে মুখ, 'পেয়েছো শেষ পর্যন্ত!!! ওফ.... দারুণ ব্যাপার'
    গ্রহণ করহ,
    করিলাম...
    নামপাতাটি উল্টিয়েই 'উৎসর্গ গায়ত্রী চক্রবর্তী', নিচে লেখা, 'উৎসর্গ, পর্ণা'।
    তুমি আমাকে 'উৎসর্গ' কী করে করলে? উপহার বলতে হতো... আচ্ছা গায়ত্রী চক্রবর্তী কে? কিছু জানো?
    বোধ হয় সামান্য জানি। উনি বিনয়ের পর্ণা।
    ধ্যাৎ.........

    '.... একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়ে
    দৃশ্যত সুনীল কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে স্বচ্ছ জলে
    পুনরায় ডুবে গেলো- এই স্মিত দৃশ্য দেখে নিয়ে
    বেদনার গাঢ় রসে আপক্ক রক্তিম হলো ফল।......'

    এই স্মিত দৃশ্য, এই আপক্ক রক্তিম দ্রাঘিমার ছবি দেখার জন্যই তো সারা সন্ধে অপেক্ষা করে ছিলুম।

    ৫.

    কবিতা বুঝিনি আমি; অন্ধকারে একটি জোনাকি
    যৎসামান্য আলো দেয়, নিরুত্তাপ, কোমল আলোক।
    এই অন্ধকারে এই দৃষ্টিগম্য আকাশের পারে
    অধিক নীলাভ সেই প্রকৃত আকাশ পড়ে আছে-
    এই বোধ সুগভীরে কখন আকৃষ্ট ক'রে নিয়ে
    যুগ যুগ আমাদের অগ্রসর হয়ে যেতে বলে,
    তারকা, জোনাকি- সব; লম্বিত গভীর হয়ে গেলে
    না দেখা গহ্বর যেন অন্ধকার হৃদয় অবধি
    পথ করে দিতে পারে; প্রচেষ্টায় প্রচেষ্টায়; যেন
    অমল আয়ত্বাধীন অবশেষে করে দিতে পারে
    অধরা জ্যোৎস্নাকে; তাকে উদগ্রীব মুষ্টিতে ধরে নিয়ে
    বিছানায় শুয়ে শুয়ে আকাশের, অনন্তের সার পেতে পারি।
    এই অজ্ঞানতা এই কবিতায়, রক্তে মিশে আছে
    মৃদু লবণের মতো, প্রশান্তির আহ্বানের মতো।

    অঘ্রাণ যাই যাই, পৌষের প্রথম শিরশির ভোর আমাদের শহরে। বেলা হলেই রোদ ভাসিয়ে দেয়। এখানে গ্রীষ্মঋতু যেন অনন্তভবানী, ভাঁড়ার ফুরোয়না তার সারা বছর। তবে একদেড় মাস যখন তার বিক্রমে ভাঁটা পড়ে তখন সারা শহরের ফুর্তি আর বাধ মানেনা। ভোরের প্রথম আলো, তার ওম, ঘরে ঘরে উঁকি দিয়ে বলে, তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে......
    এমনই এক দশ সকালে অফিসে নানা জনতায় ঘেরায়িত হয়ে আছি, দশ দশে একশো রকম ফরমাইশ তাদের। তার মধ্যেই ম্যানেজার সাহেবের খাস আর্দালি এসে বলে, স্যার, বড়ো সাহেব ডাকছেন,
    বলো একটু পরে যাচ্ছি,
    আপনার ফোন এসেছে.....
    এই সময়....!!
    তখন তো জনে জনে ফোন থাকত না। সারা অফিসে এক আধটা ফোন। তাতেই সবার কাজ চলে।
    ম্যানেজার সাহেবের চেম্বারে ঢুকে বলি,
    ফোন এসেছে?
    তোর কাছে শুধু মেয়েদের ফোন কেন আসে বলতো?
    স্বপনদা, মানে আমাদের ম্যানেজার সাহেব, লাহেরিয়াসরাইয়ের লোক। স্বভাবে পাক্কা মৈথিল। সুদর্শন, সাড়ে ছফুট দীর্ঘ ফ্রেম। বিহার রাজ্য ফুটবল টিমের স্টপার ছিলেন একদিন। সারা পৃথিবীটাই খেলার মাঠ তাঁর কাছে। সবার কাছেই ফেয়ার প্লে আশা করেন। কিন্তু আমাদের চাকরিতে এতো আঁকাবাঁকা, তাই মাঝে মাঝেই মন খারাপ। নিজের বাবা ছাড়া বোধ হয় পৃথিবীতে সবার সঙ্গেই তুইতোকারির সম্পর্ক। অবশ্য বৌদি খুব রাশভারি মহিলা, তাঁকে তুমি করেই কথা বলেন। আমরা আড়ালে বলতাম রামকেষ্ট ঠাকুরের অংশ আছে স্বপনদার মধ্যে। ভবতারিণীর সঙ্গেও তুইতোকারি।

    কোনও জবাব না দিয়ে রিসিভারটা তুলে নিই,

    এতো দেরি করো কেন...?
    হুঁ...
    হুঁ মানে?
    হুঁ...
    সামনে কেউ আছে নাকি?
    হুঁ....
    আজ বিকেলে একটু আসতে পারবে?
    হুঁ...
    কখন আসবে?
    হুঁ...
    ছটা, সাড়ে ছটা....?
    হুঁ...
    কোথায়?
    হুঁ....
    ওফ, নিকুচি করেছে...
    হুঁ...
    আমি মোদি পার্কের গেটে থাকবো....
    হুঁ....

    ফোনটা রাখতেই স্বপনদার প্রশ্ন,
    কে রে? বৌমা নাকি?
    কার বৌ?
    তোরই হবে...
    জানিনা, যাই অনেক কাজ পড়ে আছে
    শোন শোন, এখনই হুঁ হুঁ'র স্টক শেষ করে দিসনা, সারা জীবন রয়েছে তার জন্য। আর কোনও কথা তো বাঁচবে না শেষ পর্যন্ত.....
    সোয়া ছটা নাগাদ কীনান স্টেডিয়ামের দেওয়াল পেরিয়ে মোদি পার্কের দিকে। সন্ধের ঝুঁঝকো আঁধার নেমে গেছে এর মধ্যেই। ফুচকাওয়ালা, ক্যান্ডিফ্লস, বেলুনওয়ালা সবাই খুব ব্যস্ত সমস্ত। ঘরফেরত কারখানার খাটিয়ে লোকেরা বৌ বাচ্চার হাত ধরে বিশাল ফোয়ারাগুলিকে ঘিরে বসে চনাচটপটি খাচ্ছে।
    বাইকটা সাইড করে লাগাতেই ছায়ার ভিতর থেকে বেরিয়ে এলো পর্ণা।
    প্রথম বোধ হয় সময়ে এলে....
    বোলো ভাই, কুছ খাস ইত্তিলা হ্যাঁয় ক্যা?
    না.... হ্যাঁ.... মানে ঐ বইটা
    কোন বইটা?
    ফিরে এসো....
    আরে বাপরে... কবিতা শোনাতে তুমি এভাবে ডাকলে আমায়। ভাবলাম না জানি কী হলো শেষে...
    না, সত্যি, আমি বোধ হয় একটু ওভার রিয়্যাক্ট করছি....
    না, না, বলো বলো, কোই হসিনা জব শয়ের পড়তি হ্যাঁয় তো, অউর ভি হসিন হো জাতি হ্যাঁয়....
    কী চাষাড়ে রিয়্যাকশন....
    সে যাই বলো, ধন্য আমি ধন্য হে, চাষি তোমার জন্য যে ....
    চলো বসি....
    বলো ...
    ইয়ে, মানে এই 'কবিতা বুঝিনি আমি' কবিতাটা নিয়ে তোমার থেকে কিছু শুনবো ভাবলাম...
    -দ্যাখো, তোমাকে তো বলেছি আগেই, কবিতা ঠিক বোঝার জিনিস নয়। কবিতার শব্দগুলোর একটা স্কিম থাকে। আমাদের দৈনন্দিন যে বোঝাবুঝির জগৎ, তা পেরিয়ে যাবার পর যে নিজের সঙ্গে বেঁচে থাকা, তার ঠিক কোনও ব্যাকরণ হয়না। দাদু বলেছেন না নিজের অন্তরালের মানুষটিই সব চেয়ে দুর্বোধ্য। যেমন পাথরের আড়ালে জল, মানুষটিও জলের মতন। আমরা নিজের চারধারে নানা দরকারি অদরকারি পাথরের বোঝা জমিয়ে তুলি। রক্তমাংসের অসহায়তা,ভুলভাল বোধকে ঘিরে নিরাপত্তার এই পাথুরে ছলনা, এই নিয়েই ভাবি ভালো আছি, সুখে আছি। অধিকাংশ মানুষই তো স্বাচ্ছন্দ্য খোঁজে, আনন্দ খোঁজে না। আনন্দ খোঁজার বড়ো বালাই। সংবেদনশীলতা অর্জন করতে হয়, অনেক ছোটো ছোট স্বাচ্ছন্দ্যকে জীবন থেকে বাদ দিতে হয়। এই যে দুর্গম অর্জনের পথ, সেখানকার পাথরের বাধাগুলো আমরা কবিতার কাছে গিয়ে সুগম করতে পারি। কবিতা যেন সেই সব জিলেটিন স্টিক, যাকে ক্রমশ বিস্ফোরিত করে জীবনের অনন্ত পাথর পর্বতের ভিতর আমরা সুড়ঙ্গ কেটে এগিয়ে যাই। ঐ পাথরের ওপারে কী আছে? কী পাব সেখানে?

    '.... এই অন্ধকারে এই দৃষ্টিগম্য আকাশের পারে
    অধিক নীলাভ সেই প্রকৃত আকাশ পড়ে আছে-
    এই বোধ সুগভীরে কখন আকৃষ্ট ক'রে নিয়ে
    যুগ যুগ আমাদের অগ্রসর হয়ে যেতে বলে,
    তারকা, জোনাকি- সব;'

    আমাকে যে আলো দেয় সে মহাজাগতিক অন্তহীন নক্ষত্রমালা হতে পারে বা হতে পারে ক্ষণস্থায়ী ফুরিয়ে যাওয়া জোনাকি। কিন্তু উভয়েরই যৎসামান্য কোমল আলোক আমার কাছে কবিতার মতো শুশ্রূষা বয়ে আনে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আকাশের, অনন্তের স্বাদ, মৃদু লবণের মতো জীবনের প্রশান্তিকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেয়। দ্যাখো, একটা কথা সব সময় মনে রাখবে, কবিতা মানে আদালতের কাগজ বা সংবিধানের পাতা নয়। ডোন্ট বী টু সিরিয়াস.... টেক ইট ইজি....

    জীবন মানে তো একটা পথ চলা। যেকোন পথে যেতে প্রথমদিন শুধু পথটাকেই দেখি, তাকে মাপি। পরের দিন চোখ তুলে দেখি আশপাশ, কতো গাছ, কতো হাট, কতো খালবিল। তার পরের দিন গাছের পাতা কেমন সবুজ, কী রঙের ফুল, কোন পাখির বাসা, বিলে পদ্ম ফুটেছে না শালুক, মানুষগুলি বাইরে থেকে কেমন? তার পর কোনোদিন পেরিয়ে যাই মানুষগুলির অন্দরমহল, হেঁসেলঘর। প্রথমদিন পথের দুপাশে যেমন সব কিছু অচেনা, অজানা, অবুঝ লেগেছিলো, সেই অস্বস্তিটা যে কোথায় চলে যায়, কে জানে। কবিতাও তো জীবনের সঙ্গে সমান্তরাল চলে, তার প্রথম অবুঝপনা কখন যে অতীত হয়ে যায়, তার কোনও হিসেব থাকেনা। তখন নিশ্চিন্তে বলে উঠি, 'কবিতা বুঝিনি আমি', যেহেতু তখন আমি জেনে গেছি, বুঝি নাই বুঝি, কবিতাকে তো আমি পেয়ে গেছি। ঠিক তোমার মতন........
    যাহ...
    নাহে, সকল ছন্দের মধ্যে তুমিই গায়ত্রী.....
    এইরে, মনে পড়ে গেলো। তুমি বলেছিলে গায়ত্রীকে নিয়ে আমায় কিছু বলবে....
    দ্যাখো, আমিও যে খুব কিছু জানি তা নয়, তবে যা জানি একদিন বলবো নিশ্চয়.....
    আজই বলো....
    নাহ..... আজ তোমাকে দেখতে এতো সুন্দর লাগছে না, এক্ষুনি তোমায় হারাতে চাই না....
    আমায় হারাবে? কেন? কী হয়েছে?
    কী আর হবে? গায়ত্রীরা হারিয়ে যেতেই আসে, হারিয়ে দিয়েই যায়....
    শুধু আজেবাজে কথা। আমি তোমাকে হারাতে দেবই না....
    বেঁধে রেখো পর্ণা, দুহাত দিয়ে বেঁধে রেখো....
    'তুমি যেন ফিরে এসে পুনরায় কুণ্ঠিত শিশুকে
    করাঘাত করে করে ঘুম পাড়াবার সাধ করে
    আড়ালে যেও না; আমি এতদিনে চিনেছি কেবল
    অপার ক্ষমতাময়ী হাত দুটি, ক্ষিপ্র হাত দুটি-
    ক্ষণিক নিস্তারলাভে একা একা ব্যর্থ বারিপাত।
    কবিতা সমাপ্ত হতে দেবে নাকি? সার্থক চক্রের
    আশায় পংক্তি ভেবে ভেবে নিদ্রা চলে গেছে।
    কেবলি কবোষ্ণ চিন্তা, রস এসে চাপ দিতে থাকে;
    তারা যেন কুসুমের অভ্যন্তরে মধু-র ঈর্ষিত
    স্থান চায়, মালিকায় গাঁথা হতে ঘ্রাণ দিতে চায়।
    কবিতা সমাপ্ত হতে দাও, নারি, ক্রমে-ক্রমাগত
    ছন্দিত ঘর্ষণে, দ্যাখ,উত্তেজনা শীর্ষলাভ করে,
    আমাদের চিন্তাপাত, রসপাত ঘটে শান্তি নামে।
    আড়ালে যেও না যেন, ঘুম পাড়াবার সাধ করে।'

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৬ অক্টোবর ২০১২ | ৯৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 147.157.8.253 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১২ ১১:৫৩90619
  • শিবাংশুদা,
    মুগ্ধ যথারীতি।
    তথাপি... যদি অর্বাচীনের প্রগলভতা ক্ষমা করেন-একটু যেন বেশি কথা/ বেশি শব্দ .. আরও ইঙ্গিতময় হওয়া যায় কি?
    আমরা তো যৎসামান্য নিরুত্তাপ এবং কোমল আলোরই প্রত্যাশী...
  • কল্লোল | 111.62.127.35 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১২ ০১:৪৫90620
  • বাকরহিত। এর বেশী একটা কথাও শব্দপাপ।
  • ranjan roy | 24.96.8.216 (*) | ০৯ অক্টোবর ২০১২ ০৭:০৬90621
  • শিবাংশু,
    "অধিকাংশ মানুষই স্বাচ্ছন্দ্য খোঁজে, আনন্দ খোঁজে না।"
    কবিতার জিলেটিনস্টিক----
    "অনন্ত পাথর পর্বতের ভিতর সুড়ঙ্গ কেটে এগিয়ে যাওয়া--।"

    ইন্দ্রাণী,
    এই সিরিজে শিবাংশুর পরে শক্তির কবিতা নিয়ে তোমার অনুভূতি লিখবে? সেই যে কয় বছর আগে উদ্ধৃত করেছিলে "শিকড়বাকড় শিকড়বাকড়" তখন থেকেই চাহিদাটা মনে রয়েছে।
  • সাগ্নিক | 78.232.113.69 (*) | ১১ অক্টোবর ২০১২ ০১:০২90622
  • শুধু এই লেখাটির জন্যেই বারবার ফিরে আসা যায়। বাকরহিত।

    আরো লিখুন, শুভেচ্ছা রইলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন