এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  বাকিসব  নেট-ঠেক-কড়চা

  • নেট-এ লেখালেখি - বৈধতা ও এক্তিয়ার

    সুমন মান্না লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | নেট-ঠেক-কড়চা | ২৮ মে ২০১২ | ৮৯৬ বার পঠিত
  • নেটে লেখালেখিঃ

    এ ভারী অদ্ভুত জায়গা।

    জ্ঞান হওয়ার পর থেকে পাঁচ জ্ঞানেন্দ্রিয় দিয়ে হাঁচোড়পাঁচোড় করে যা যা শিখে এসেছি সব কেমন বদলে যাচ্ছে। প্রথমবার ইস্কুলে গিয়ে মনে আছে প্রথম কয়েকজন যারা বন্ধু-টন্ধু হয়ে গেছিল তাদের সবার সঙ্গেই আলাপ হয়েছিল সম উৎকন্ঠাজনিত ভয় থেকে। তাতে শব্দ ছিল, স্পর্শ ছিল চেনা হয়েছিল চোখের দেখায়, কে জানে, হয়তো চেনা গন্ধও থেকে থাকবে বোধ হয়। সেই চেনা বেশ পোক্ত ছিল এই সম্যক ধারণা আমার হয় যখন তাদের সঙ্গে দেখা হয়। আজো।

    একটা বয়সের পর মানুষ লম্বায় আর বাড়ে না। কেউ কেউ বহরে বেড়ে কমে থাকেন বটে, তাতে উচ্চতার কোনো হেরফের ঘটে না। সেখানে অ্যাঙ্গেল অফ ভিসন (দৃষ্টিকোণ কি ঠিক বাংলা? )একই থাকে বলেই বোধ হয় দৃষ্টিভঙ্গীও আর বদলায় না। বয়সজনিত অভিজ্ঞতার কারণে সেই দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় হতে থাকে বেশিরভাগের ক্ষেত্রে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে তার নতুন কিছু আত্মস্থ করার ক্ষমতা, যেটা কিনা অনুবাদিত হয় অনিচ্ছা হিসেবে। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও আছে, সেটা আপাতত দেখব না। এর ফলে যেটা হয় সেটা আমি প্রত্যক্ষ করি, মানে “হাড়ে হাড়ে টের পাই” আর কি!

    চারপাশের জীবন পালটে যাচ্ছে দ্রুত। বেশ কিছু বিশ্বাস বদলে নিয়েছে তাদের – যতটা পারে। নিজেকেও এর সঙ্গে তাল মেলানর জন্য ছুটতে হচ্ছে। পুরোন অভ্যাস কিছু ছাড়তে হয়েছে, নতুন অভ্যাস কিছু এসেছে কিন্তু তার সঙ্গে আর চট করে মেলাতে পারছি না – ওই যে নমনীয়তা কমে গেছে যে। চারপাশের পরিবেশে আর খুঁজে পাই না চেনা শব্দমালা তত বেশি – যতটা পেলে যথেষ্ট মনে করা যেত। তাই খোঁজা শুরু হয়। এসে পড়ি এই অন্য জগতে – এই লেখার শুরুর বাক্যটিতে – “এ ভারী অদ্ভুত জায়গা”।

    শতরঞ্চি পেতে সেখানে জমজমাট আড্ডা চলছে – যারা খানিক আগেই পৌছেছে সেখানে। সেই সব চেনা গল্পগাছা সেই সব চেনা শব্দমালা – যাদের উচ্চারণের অবকাশ না পেয়ে হেদিয়ে যাচ্ছিলাম। “আরে দাদা”, “ওরে ভাই” বলে টলে জায়গা করে নি। সজ্জন মানুষজন সব। এ হেন অভাজন আশ্রয়প্রার্থীকেও অতিথির মর্যাদা দিয়ে হুঁকো কলকে এগিয়ে দেন। আড্ডায় দিনরাত রাজা উজির মারা পড়েন। আমরা সামান্য উলুখাগড়াগণ আস্ফালনে সাড়া ফেলে দি। ফাঁক ভরাট হতে থাকে আর তাতেই আরো কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়। আর তার পরেই দেখি সবই তো আগের মতোন – সেই একই রকম মানুষ – সেই একই রকম কথাবার্ত্তা – তবু কেমন যেন সুর কাটছে কোথাও – কিন্তু কেটে যাওয়া সুর তো আগে অনায়াসে মিলে যেত, এখানে তেমন ত হচ্ছে না, এটা কেন হল এইসব নানান প্রশ্ন ওঠে – এই লেখার প্রস্তাবনা হয়।

    পাঁচের জায়গায় এক নিয়ে খেলা এইখানে। শুধু কয়েকটা অক্ষর দিয়ে সাজানো শব্দ – কিছু শব্দ বন্ধ করা বাক্য, ব্যস। ওতেই সব কিছু আঁটানো এইখানে। এই আগের দুটি বাক্য বুঝতে আমার কয়েক বছর গিয়েছে। এই লেখার ধৈর্যশীল পাঠককে আমি অনুরোধ করি এগিয়ে যেতে আর একটু।

    এই নতুন জায়গাটা আমায় নিয়ে যায় প্রায় ইস্কুলের প্রথম দিনটাতে। আর সেই নিজের মনে করা নতুন পাওয়া বন্ধুদের নিয়ে মেতে উঠি ছোটবেলাকার মতো। তার থেকে শুরু হয়ে যায় প্রত্যাশা। আরো বেশির প্রত্যাশা। কিন্তু ফাঁক থেকে যাওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখি প্রধান ফারাক ওই পাঁচের জায়গায় এক।

    আগে মানুষ চিনেছে দেখে, তার কথা শুনে, তার বাচনভঙ্গী, তার ব্যক্তিত্ব এইসব পরখ করে। নিজেকে চিনিয়েছিও এইসব করে। তাতে কেউ বেশি চেনা হয়েছে কেউ কেউ হয়ে উঠেছে খুব কাছের কেউ কেউ বা অপঅরিহার্য। আর এখানে ওই দেখা, শোনা, বাচনভঙ্গীগত ধারণা নেওয়া, ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অবহিত হওয়া শুধু তার লেখা কিছু শব্দ দিয়ে – কিছু শব্দ বন্ধ করা বাক্য নিয়ে এর বেশি কিছু জানা নেই। আমি, আমার নীতি, আমার বিশ্বাস, সেই বিশ্বাসের নমনীয়তা – এই পুরো আমিটা আমিও পুরে দিতে থাকি কিছু অক্ষরে – তার থেকে তৈরী হওয়া শব্দে, ব্যস।

    এখন আমি সেখানে কতখানি লুকিয়ে রাখবো বা কাউকে চেনার সময়ে তার কোন শব্দকে কতটা প্রাধান্য দেব সেটা তো জানার উপায় নেই। আর সেইখান থেকে ফাঁক থেকে যাচ্ছে এইসব চেনাশোনায়। যখন প্রত্যাশা মিটছে না, নিজের বানানো ধারণা (যদিও জানি সেটা যথেষ্ট তথ্য নিয়ে পোক্ত হয় হয় নি) ভুল সেটা মেনে নিতেও অসুবিধা হচ্ছে তখন এক অক্ষম রাগ হতে থাকছে। ফাঁক বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আমি তো এটা আর ছেড়ে দিয়ে নিজের খুপরিতে ফিরে যেতে পারিনা – তাই আলোচনা করি পরের অধ্যায়ের – বৈধতা ও এক্তিয়ার।

    বৈধতা ও এক্তিয়ার

    ইস্কুলের চেনা মানুষেরা বন্ধু থেকে আরো বন্ধু, প্রাণের বন্ধু অপরিহার্য হতে থাকে – সেই সময়টা পায় বলে। সেই চেনাটা থাকে সবকিছু দিয়ে – এমনকী তার আনা টিফিনে স্বাদু তরকারীটিও একটা ছোটো হলেও চরিত্রে পার্ট করে যায়। আর সেই খুব চেনা বৃত্তে আলোচিত হওয়া প্রসঙ্গ, তাতে উচ্চারিত শব্দাবলী সম্পুর্ণ আলাদা। তার সঙ্গে বাড়িতে কথা বলা শব্দের মিল কম, সেটা এমনকি জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বলা কথার সাথেও মেলে না অনেল জায়গায়। আমি এই মানুষটা ত এক নই – সে কখনো অফিসের কাজ সামলে বাংলা লিখছে, কখনো ছেলের সঙ্গে খেলে যাচ্ছে গেমস একমনে। সে বাজার আনছে, গাড়ি চালিয়ে কাজে যাচ্ছে বা বেড়াতে। খেলা দেখতে যাচ্ছে কখনো বা। কখনো আবার খুব বেসামাল – ক’পাত্তর চড়িয়ে এবং ছড়িয়ে একশা।

    আর এখানেই প্রশ্ন আসে অবস্থানজনিত বৈধতার। যে কথা আমি তোমাকে বলতে পারি একলা হলে সেই কথাই তোমাকে আর হাটের মাঝে বলা যায় না। ফোনে যা বলা যায় আর দেখা হলে যা বলা যায় তারাও আলাদা। এক বন্ধুর গোপন কথা আরেক বন্ধুকেও বলা যায় না সে যত কাছের হোক না কেন যদি তাতে সীলমোহর থাকে গোপনীয়তার।

    এই বৈধতা নির্ধারণ করে কে? আমি। কেন করি? – না, যাতে আমার ব্যবহার কাউকে অহেতুক আহত না করে সেই দিক চেয়ে। শুধু এইটুকু? – হ্যাঁ, শুধু একটাই নীতি মানি, আর সেটা এইটাই।

    তাহলে কি দাঁড়াল? আমি এক সামাজিক মানুষ। আমি সর্বজনসমক্ষে এমন কিছু করে বসব না বা কিছু বেফাঁস বলে বসব না, বা লিখে বসব না যাতে কেউ একজন হলেও আহত হতে পারে - বা প্রশ্ন উঠতে পারে আমার বড় হয়ে ওঠার পদ্ধতির প্রতি, বা আমার চেনা মানুষদের প্রতি।

    কিন্তু এই ধারণা শিথিল হতে থাকবে ঘনিষ্ঠ সমাবেশে। সেখানে মন খুলে দেওয়া যাবে বেশি। শব্দচয়নেও খুব বেশি ভাবনা থাকবে না।

    কিন্তু আমি না হয় এইসব ভাবলাম টাবলাম। বাকিরাও এ হেন প্রস্তাব মেনে না নিলে কী করব? সামাজিক উঠোনে আমাকে উদ্দেশ্য করা অবাঞ্ছিত শব্দাবলী এলে যতটুকু সম্ভব জানতে চেষ্টা করব এর কারণ। মেনে নিতে না পারলে প্রশ্ন তুলব আবার। হয়ত পৌছব কোথাও , হয়তো কোথাও নয়। তবু আমার দ্বারা কেউ যেন আহত না হয় সেই চেষ্টা থাকবে যতদূর সম্ভব।

    এখন এই এজমালি উঠোনে বলা সব কথা আমায় উদ্দেশ্য করে নয়, আমার বলাও নয়, বলাই বাহুল্য। সেখানে উচ্চারিত কোনো শব্দপ্রয়োগ কাউকে আঘাত করলে – ঔচিত্যবোধ বলবে -বাপু হে, এগিয়ে যাও – প্রতিবাদ রাখো। কিন্তু তা তো করিনা বেশিরভাগ সময়ে। প্রতিবাদ খুব বেশি হয়ে ওঠে না, সেই অনীহার পিছনে এক লোভ থাকে। আমার আড্ডার মৌতাত নষ্ট হয়ে যায় যদি। আরো একটা ব্যাপার থাকে – সেটা হল যাকে বা যাদের উদ্দেশ্যে বলা কথা ভালো লাগেনি, তার হয়ে বলতে গেলে যদি তার মনে হয় তার বা তাদের ব্যক্তিসত্তাকে অহেতুক করুণা দেখাচ্ছি – যদিও এটা অযুহাত হিসেবে রাখা গেল এখানে।

    এখানেই প্রশ্ন ওঠে এক্তিয়ারের।

    সামাজিক কাঠামোয় চলাচল করতে গিয়ে আরো দু-একটা ব্যাপার আমরা শিখে যাই যে ঘেন্না বা বিদ্বেষমূলক শব্দ ব্যবহার এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। আর এটা যদি বা অবস্থানগত প্রেক্ষিতে কোনো ব্যক্তিবিশেষের প্রতি হয়ও বা (কারণ এগুলিও অভব্যক্তি বই ত নয়) কিন্তু কোনো ধর্ম, জাতি, সম্প্রদায়, লিঙ্গ, বা শারীরিক খুঁত সংক্রান্ত হওয়া তো নৈব নৈব চ।

    আমাকে বা আমার গোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করা অবাঞ্ছিত (আমার হিসেবে) শব্দাবলীর প্রতি সহিষ্ণুতা বেশি রাখি খানিক। তাতে নিজেকে বা নিজেদের একবার ফিরে দেখা হয়ে যায় – সত্যিই ঠিক ছিলাম কী না। কিন্তু উল্টোটা হলে খারাপ লাগাটা বেড়ে যেতে থাকে। আমার বা আমাদের হয়ে বলা কথার ধার পরখ করি নিজের জিভে বসিয়ে।

    এখন, এখানে তো আর কোনোও উপায় নেই, শুধু ওই বাক্যবন্ধ – তার থেকে চিনতে হবে বাচনভঙ্গী, বক্তার উদ্দেশ্য সবকিছু। আমি অনেক দূরে থাকা কাউকে ডাকতে চেঁচালাম “ এই যে শ্রীমান হরিশচন্দ্র...” - “আমি এখানে” - এইটা বলা হল হাত তুলে। কিন্তু ধরুণ হরিশচন্দ্রবাবু আমার সামনে দাঁড়িয়ে – তখন যদি “এই যে শ্রীমান হরিশচন্দ্র..” বলে উঠি তার মানে দাঁড়ায় – তার কাঁধে মৃদু ধাক্কা দিয়ে আমার কথা শোনো মন দিয়ে বলে ওঠা।

    এখন গায়ে ধাক্কা দিয়ে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে আমি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। সেটা বক্তা না বুঝলে বোঝানর চেষ্টা করতে থাকি ধাপে ধাপে।

    এখন এই সম্বোধন যদি হরিশচন্দ্রবাবু না হয়ে তার পুরো গোষ্ঠীর প্রতি হয় তাহলে সেই কথাটির খারাপ অংশটুকু বেড়ে যায় যতজন মানুষ সেই গোষ্ঠীতে আছেন ঠিক ততগুণ , কিন্তু আমার গোষ্ঠীর কেউ হয়ে এই কথাটা উচ্চারিত হলে সেই খারাপ লাগাটা অনেক অনেক বেড়ে যায়, এর কারণ এই খারাপ কাজটা অন্য কাউকে আহত করল – সেটা আমার গোষ্টীর কেউ হয়ে – যেটা আমার একমাত্র নীতিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে।

    তার পরে কী বলা হচ্ছে সেটার মানে নিয়ে মতভেদ থাকলেও প্রাথমিক ধাক্কা দিয়ে বলা কথাটার অভিঘাত মৃদু হয় না। আর তার মধ্যেকার কোনো একটি মানে যদি সেই গোষ্ঠীর প্রতি ঔদ্ধত্তমূলক সম্বোধনের সঙ্গে একেবারে মিলে যায় তখন সেই মানেটিকেই নিতে হয়, আর কোনো উপায় থাকেনা যে।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে কখনো সান্টা সিং বান্টা সিং এর মজার চুটিকিগুলোকে পোষাক পরাব সামাজিক সমাবেশে পেশ করার আগে? নাকি সুকুমার রায়ের লক্ষ্মণের শক্তিশেল কে কাঁটাছেড়া করতে যাব সম্প্রদায় ভিত্তিক কথার জন্য? – তখন দেখা হবে উদ্দেশ্য। আমি তখনই ভুল যখন সেই সম্প্রদায়ভিত্তিক, লিঙ্গভিত্তিক সম্বোধন করা হবে তাকে নীচু দেখানর জন্য। আর তাতে আমি বা আমার সম্প্রদায় বা আমার লিঙ্গের মানুষকেই ছোট করে তুলব। এ সত্যিই ভারী অদ্ভুত জায়গা, কয়টি মাত্র শব্দ কয়টি মাত্র কথায় আমি বয়ে বেড়াই আমার বংশপরিচয়, আমার শিক্ষাদীক্ষা, আমার চিন্তা আমার ভাবনা। এত সব করে চলেছি তার কারণ এই সমাজ থেকে আমি শুধু নিয়ে চলেছি, আমাকে ঋদ্ধ করেছে করে চলেছে সে অনবরত, আমাকে ফিরে ফিরে দেখায় সেইসব যা ফেলে এসেছি অনেক অনেক আগে আর যা আমি খুঁজে বেড়াই । সেই প্রাপ্তি থেকেই এই লেখা দেখা হোক আমার তরফ থেকে আসা দু-পয়সা হিসেবে।

    পরিশিষ্ট - এই লেখা সাম্প্রতিক গোচরে আসা কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মনের মধ্যে চলতে থাকা চিন্তাভাবনার লিখিত রূপ। যদিও এই লেখাতে যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে তা সত্ত্বেও আবার বলছি এই লেখাটির মধ্যেকার সেই চিন্তাভাবনা নিয়ে আরো কথা আসুক কিন্তু সেই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ে পড়ে থাকুক সেইখানেই।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • বাকিসব | ২৮ মে ২০১২ | ৮৯৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    আকুতি - Rashmita Das
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kc | 188.61.96.29 (*) | ২৯ মে ২০১২ ০৩:৪৯89457
  • এত ভাল ভাবনা, কী করে ভাব?
  • aka | 178.26.215.13 (*) | ২৯ মে ২০১২ ০৫:৫৬89458
  • ভালো লাগল এবং মনের কথা, তবে এত ভালো গুছিয়ে লিখতে পারতাম না বোধহয়।
  • aranya | 154.160.98.31 (*) | ৩১ মে ২০১২ ০২:৫২89459
  • বাঃ, ভাল লাগল।
  • Tim | 108.249.6.161 (*) | ০৩ জুন ২০১২ ০৫:২১89460
  • ভালো লেখা। দরকারী বিষয়। এই নিয়ে আলোচনা এগোলে ভালো হয়।
  • কুমু | 132.160.159.184 (*) | ০৪ জুন ২০১২ ১০:০২89461
  • খুব গোছানো,মেদবর্জিত এবং চিন্তাশীল। আরো আলোচনা হোক।
  • Nina | 78.34.167.250 (*) | ০৮ জুন ২০১২ ০৪:৩৫89462
  • ভাবনাগুলো ভাববার মতন---ভাবটার বড় যত্নে সুন্দর পরিবেশন--এটা অনেকেই পারেনা!
    আরও শোনার আগ্রহ রইল।
  • একক | 24.99.191.131 (*) | ১০ জুন ২০১২ ০৪:৫১89463
  • লেখক কে ধন্যবাদ ! লেখাটি বেশ ভালো লাগলো কারন অনেকগুলো আপাত সমস্যা কে তুলে ধরেছে . আপাত বল্লুম কারন আমার কাছে এগুলো সমস্যা নয় চ্যালেঞ্জ !

    আমরা যখন ব্যক্তি হিসেবে ইন্টারএকট করি তখন আমাদের মূলত ৩ রকম ভাইব কাজ করে . অডিও , ভিডিও এবং কায়নেস্থেতিক. এবার অনেকেই আছেন যাদের ক্ষেত্রে দুটো মিলে একটা সেট . ৩ টে মিলে একটা সেট এরকম খুব কম দেখা যায়. এর মানে এই নয় যে থার্ড এনটিটি টা নেই. আমি টপ প্রায়োরিটির কথা বলছি.
    এবার যেখানে আপাতভাবে শব্দ (কানে শোনা অর্থে) নেই , দৃশ্য(চোখে দেখা অর্থে) নেই এবং স্পর্শ্ব-গন্ধ ব্যাপারটা কেমিকালি নেই সেখানে একজন মানুষ নিজেকে কী ভাবে প্রকাশ করবে ?
    নেট জগত বলছে : করবে লেখা শব্দ দিয়ে . এটা একটা ভয়ঙ্কর জিনিষ যার মুখোমুখি মানুষ এর আগে বোধ হয় কোনদিন পরেনি . বা খুব বিশেষ পরিস্থিতি তে কখনো কখনো পড়তে হয়েছে বা হয় কিন্তু সেটাই যে শেষ এবং শুরু এমন শর্ত হোম-স্যাপিয়েন এর ঘাড়ে আগে কেও চাপায় নি .

    এখানেই এলো চ্যালেঞ্জ . যেভাবে (মানে কন্ঠ প্রয়োগ এ ) আমরা "বৃষ্টি পড়ে এখানে বারমাস" পরি সেইভাবে কি
    "হে মোর চিত্ত পুণ্য তীর্থে জাগরে ধীরে " পরি ? না. পরিনা . নিজেরাই টের পাই ভাব্ দুটো আলাদা . এর মানে আমি যা লিখছি তার ধ্বনিগত ইমপ্যাক্ট কী দাঁড়াবে সেটা আমাকে জানতে হবে এবং সচেতন থাকতে হবে .
    এটা প্রতিদিনের জীবনে ঘটেনা . আমরা নিজেদের বাক্যের ধ্বনি নিয়ে সচেতন নই এবং সেটা আমাদের খুব বেশি ঝামেলায় ফ্যালেনা কারন জার্মান শেফার্ড -এর মালিক যেমন অযাচিত ঘেউ-ঘেউ শুনতে শুনতে অভ্যস্ত এবং সাব্যস্ত হয়ে যান আমাদের সো কল্ড "রীআল লাইফ" -এর বন্ধু-বান্ধবী-বেয়াই-বনাই-জগাই-মাধাই -রাও অভ্যস্ত হয়ে গেছেন . কারন ওই রোগ তাদের ও আছে . তারা বলেন "ওর কথা ওরকম ই , কিন্তু মানুষ খারাপ নয় " .

    কিন্তু নেট-দুনিয়ায় সে সুযোগ নেই নেই. :) কারন সবাই অভ্যস্ত নন বা অভ্যস্ত হবার দায় নেই .

    দৃশ্য নেই . সত্যি নেই কি ? "দেয়ালীর আলো মেখে নক্ষত্র গিয়েছে ঝরে কাল সারারাত " -এটাও তো লেখা শব্দ বা বাক্যবন্ধ শুধু . কোনো দৃশ্য জাগে না ? জাগে . মানে শুধু লেখা দিয়ে ছবি টা আঁকা যায় . চেষ্টা করলেই যায় . এভাবে স্পর্শ্ব যায় , গন্ধ যায় . সব যায়.

    আর এই পথ টা পেরোবার সবচে বড় মজা হচ্ছে নিজেকে আরও বেশি জানা যায় ,চেনা যায় . এই যে এতো প্রশ্ন আসছে সবার মনে এগুলো আগে আসতো না . এগুলোই তো মজা .

    এবার অন্যদিক :

    অমুক কথা সবার সামনে বলা যায়না . হ্যা, তা অনেক কথা যায়না . আজ যদি কেও আমাকে বলে তার একটা ব্যক্তিগত কথা সেটা নিয়ে অন্যদের সামনে মুখ খোলার প্রশ্নই ওঠেনা . কিন্তু আমরা প্রতিদিনের সো কল্ড রীআল লাইফ এ কতটা সত ? একজন এর পিঠের পেছনে যখন চুকলি কাটি বা তাকে আসতে দেখলেই ভোল পাল্টে নি সেই অসততা কে "ভদ্রতা" বলে চালানো ভন্ডামি নয় কি ?
    অমুক এটা পছন্দ করেনা তাই বলবনা . কষ্ট পাবে বলে তমুকের জঘন্য "কবিতা" শুনে "বাহ্ বেড়ে লিকেচ ভাই " বলে দিলুম .
    তার কোন উপকার টা হলো এতে ?
    সমাজ ? অবস্যই ! এতো মানুষের সমাজ , বাঁদরের নয় তো . তাহলে পারস্পরিক উকুন বেছে এবং পিঠ চুলকে সেটাকেই "সামাজিক" বলে চালানোর মানে কি ? কাজেই "আহত যাতে না হয় " এভাবে আমরা আদৌ চলতে পারি কি ? আল্টিমেটলি কিন্তু "রীআল অআর্ল্ড" -এও পারিনা. যেদিন ফেটে যাই সেদিন সব তচনচ .

    কাওকে অকারণ গালিগালাজ করবো না বা যে আদিরস পছন্দ করেনা তার কানের কাছে সুর করে দাশু রায়ের পাঁচালি গাইবো না এ অবধি আমি মেনে নিতে পারি ,

    কিন্তু আমার মনের মধ্যে যদি থাকে অমুক মেয়েটিকে নিয়ে একটা বেশ রগরগে "জোক মারা " যায় এবং সে সরে গেলেই বন্ধু দের মধ্যে মারি এবং সে ফিরে এলেই আমি আবার মুখ মুছে নিয়ে নিস্পাপ বেড়ালছানা-টি .......
    এটাকে "ভদ্র ও সামাজিক " বলে বুঝি ??

    বা ধরুন সে আকাট-এর মতো কথা বল্লে "তুমি যা বলছো তার মানে হয় তুমি আকাট নয় বুঝতে পারছি না বলে আমি আকাট" - এটা বলতে অসুবিধে কি ? তর্ক হবে ? হোক ! হয়তো আমি ভুল ছিলুম. এই সুযোগে জানা যাবে .

    স্তাবক বন্ধুর চে বড় শত্রু আর নেই , নির্বোধ সঙ্গীর চেয়ে বুদ্ধিমান আক্রমনকারী শ্রেয়: , এসব কথা আমার নয়. আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি ,লেখাপত্তর তাই শিখিয়েছে . ভিক্টোরিয়ান ভন্ডামি আমাদের শিখিয়েছে বাঁদরের মতো উকুন বাছাবাছি করতে আর লোকের পেছনে তাকে নিয়ে নিন্দে করতে সামনে খুব ভালো .
    সেই আচরণ আদৌ অনুসরণযোগ্য কি ?

    এক ই কথা ওই "ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী" -র ক্ষেত্রেও খাটে . গোষ্ঠীর জন্ম ব্যক্তির ক্ষমতাকে গুনিতক করার জন্যে . ঢাকা দেবার জন্যে নয় . আমরা কিন্তু সেটাই করি . আমরা ভাবি যে আমি বামপন্থার সমর্থক মানে লাল পতাকার তলায় চোর থাকলেও তাকে সমর্থন করবো বা আমি চোর হলে বাকিরা আমাকে করবে . এটা অতি ন্যক্কারজনক . রাজনীতি-কে জাস্ট উদাহরণ হিসেবে টান্ লুম. সব ক্ষেত্রে ঘটে এটা . হটাত করে এগিয়ে এসে "একক ,তুমি ভাট বকা থামাও বাপু " বলার চেয়ে অনেক সহজ চূড়ান্ত ভাট মনে হলেও এড়িয়ে যাওয়া এবং কেও একটা (এ এক বিচিত্র দুধপুকুরের ফর্মুলা ) একটু মুখ খুললে তারপর বলতে আসা . একে তো "ইনদিফারেনস বলেনা" :) ইনদিফারেনস যদি হত তাহলে বাছা পরেও বলতে আসতেনা !

    এগুলো কে আমি খারাপ বলছি না . বলছি যে ; নেট জগত ঠিক এই জায়গাগুলোতেই আমাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় কারন এখানে সব কিচ্ছু "থেকে যায়" . "বলিনি" বলা যায় না . তাই "বলা"-র জন্যে ভাবতে হয় বেশি এবং ব্যক্তি কে গোষ্ঠী -র বাইরে এসে ভাবতে হয় .

    সব মিলিয়ে আমার বাপু ব্যাপক মজার আর চ্যালেঞ্জিং লাগে এই মিডিয়া টা :) সেটাই শেআর করলুম !
  • Swati | 78.147.173.98 (*) | ১০ জুন ২০১২ ১১:৩০89464
  • ভাল লাগল।

    ঠিক যেভাবে আমরা মুখোমুখি কথা বলি, গল্প করি কারো সাথে, ঠিক সেভাবেই খোলা পাতায় লিখতে আমার কিন্তু খুব ভালো লাগে। পড়তেও ভালো লাগে ঐরকম লেখা।
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.202.196.178 (*) | ১১ জুন ২০১২ ০৪:৫৬89465
  • প্রাসঙ্গিক, চিন্তাগর্ভ।
  • oikik | 126.202.198.72 (*) | ১৮ জুন ২০১২ ০৪:৩৯89466
  • ঠিক বলেছেন, খুব ভাবতে হয় এই আড্ডায় কিছু বলার আগে। আর ভাবা উচিতও, প্রতি মুহূর্তে। মুখের আলাপে শব্দের সঙ্গে সমান গুরুত্ব পায় যে ইশারা গুলো, সেটার অভাবই এই চাপের কারণ এখানে। আরো একটা গোলমাল। মুখোমুখি আড্ডায় হঠাৎ করে কড়া কথা বেরিয়ে গেলেও তার পরবর্তিতে মিটমাট হলে, সেটাই মনে থাকে। এখানে কিন্তু আগের কড়া কথা গুলোও থেকে যায় ছাপার অক্ষরে... সমস্যা...
    শুনতে অবাক লাগলেও আমার মনে আমার মতো অনেকেরই মনে হয়, এ থেকে বাঁচাতে পারে একমাত্র smiley. ওগুলোই ওই নিষ্প্রাণ শব্দে কিছু অনুভূতি যোগ করলেও করতে পারে... G mail এ গল্প করলে তাই সেটা বেশ আনন্দজনক হয়... এইগুলো প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বলে...
  • সুশান্ত | 127.198.58.40 (*) | ১৮ জুন ২০১২ ০৫:৩৮89467
  • ভালো লাগল।
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.231.16 (*) | ২৬ জুন ২০১২ ০৭:৩২89468
  • ["এখন গায়ে ধাক্কা দিয়ে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টার করলে আমি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।"]

    এছাড়া উপায় কী? কারণ ইন্টারনেট সর্দাররা এখন ব্লগে ব্লগে, ফেবুতে খুবই তৎপর। বোধহয় মাঠেঘাটের সর্দারির চেয়ে ইন্টারনেটে সর্দারিটি অনেক সহজ ও সস্তা বলেই এদের দল খুব ভাড়ি। নানান নাম ও ছদ্মনামে এরা সবখানেই আছে।

    চিন্তাকে চিন্তা দিয়ে খারিজ করা, বক্তাকে নয়, বক্তব্যকে আক্রমণ করুন-- এসবই যেনো বুলি মাত্র। তাই চটকরে কাউকে হেনতেন নেতি নামে ট্যাগিং করে বা তকমা লাগিয়ে বিরুদ্ধ মতটিকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে এরা খুবই পটু।

    এই বরাহপনামীতে কে নেই? সুলেখক/সাংবাদিকতার দিকপাল/রখি-মহারথি/লিজেন্ট ব্লগার এবং তাদের তস্যতম অনুসারি কোং-- কেউই বাদ যান না। সব যুক্তিতর্ক শেষ? তাহলে তো পোয়াবারো। সর্দার কোং নিশ্চিত এবার দিগম্বর হয়ে নেমে পড়বেন। মা-মাসিকে এক করে ফেলা এদের কাছে খুব সহজ ও সামান্য বিষয়।

    এ যেনো সেই পথ চলতে দেখা গণধোলাই। পকেটমার সন্দেহে একজনকে ধোলাই দিচ্ছে পাড়ার রকবাজরা। হুজুগে কিছু লোক তাতে যোগ দিয়ে "খানিকটা হাতের সুখ" করে নিলেন। ...

    ভাবনাটিকে উস্কে দেওয়ার জন্য লেখক সুমন মান্নাকে ধন্যবাদ। আরো লিখুন।
  • জলধি | 190.149.8.23 (*) | ২৬ জুন ২০১২ ১১:১২89469
  • ভাবিয়ে তুলল ।
  • maximin | 69.93.255.149 (*) | ০৮ জুলাই ২০১২ ০৭:২৬89470
  • খুব সুন্দর বিশ্লেষণ। ভাবছিলাম উপসংহার কী হবে? লেখক অনেক পেয়েছেন, ঋদ্ধ হয়েছেন এটা পড়ে ভারি আশ্বস্ত হলাম। এই অনুভব সকলের হয়না। যাদের হয় তাদের সব্বাইকে অভিনন্দন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন