এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • আমার পুজো

    শঙ্খ কর ভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৯ মার্চ ২০১০ | ৯২২ বার পঠিত
  • এক যে ছিল সময়।

    আমি ছিলাম ছোট, আর আমার ইচ্ছেগুলো ও ছিল ছোটখাটো। পায়ে ফোসকা তোলা নটি বয় জুতো আর ফটাস আওয়াজ করা টিনের পিস্তল হাতে পেলে মনে করতাম চাওয়ার আর কিছু বাকি রইল না। আমরা থাকতাম একটা এপার ওপার দেখা না যাওয়া দীঘির পাড়ে, টিলার ওপর। দীঘির জলে শাপলা ফুল, গাছের ডালে বাবুইএর বাসা। দু চারটে কাঁঠাল গাছ - ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের মাহুতরা পোষা হাতিদের নিয়ে আসে কাঁঠালপাতা খাওয়াতে। দীঘির পাড় দিয়ে রোজ বিকেলে হেঁটে যান রহস্যময় অবাঙালী প্রৌঢ় - রাস্তার কুকুরদের রুটি খাওয়ান আর প্রশ্রয়ের হাসি হেসে বলেন "কেয়া হুয়া? কেয়া হুয়া?' শীতকালে কোথা থেকে যেন চলে আসে হাজার হাজার পাখি, তাদের আমরা বলি বালিহাঁস। তাছাড়াও আরো পাখি আছে , যেমন এক ঠ্যাংওয়ালা শালিকপাখি সদাইকিশোর (আমার ধারনা সে আমার পোষা পাখি)।

    টিলার মাথায় গোটা চারেক সরকারী কোয়ার্টার । ইলেকট্রিসিটি নেই- কেরোসিনের হ্যারিকেন জ্বলে। কিন্তু বাড়িতে রেকর্ড প্লেয়ার আছে, চলে ব্যাটারীতে । সেই রেকর্ডপ্লেয়ার বাবা ছাড়া আর কেউ চালাতে জানে না। মাঝে মাঝে সন্ধ্যেবেলায়, বাবা অফিস থেকে ফেরার পর আমাদের রেকর্ডপ্লেয়ারে ঠাকুরমার ঝুলি, অথবা আনন্দশঙ্করের বাজনা, অথাবা রবীন্দ্রসঙ্গীত অথবা বেগম আখতারের গান শুনতে শুনতে অন্ধকার বারান্দায় বসে থাকি, দীঘির অন্য পাড়ে জেলখানার উঁচু দেয়ালটাকে একটা দুর্গের মত মনে হয়। কোনরকম বেচাল করলে ঐ জেলখানা থেকে রাক্ষসেরা বেরিয়ে এসে ধরে নিয়ে যাবে বলে আমাকে জানানো হয়েছে ।

    কখনোসখনো বাবা এক বন্ধুর সঙ্গে বনমোরগ শিকার করতে যান। পাখি মারাকে কেউ খারাপ কাজ বলে মনে করে না। কিন্তু, কোন অজ্ঞাত কারণে দীঘির বালিহাঁসদের কথা কেউ চিন্তা করে না।

    তাছাড়া রয়েছে পিকনিক। পিকনিক করার একটাই জায়গা- পুরনো রাজবাড়ি। নদীর ধারে জঙ্গলের মাঝখানে, গা ছমছম করা। কাছেই পুরনো মন্দির, সেখানে এককালে নরবলি হত। নরবলির মানে জিজ্ঞেস করলে কেউ উত্তর দেয় না। সেখানে যেতে হয় নৌকো করে। পিকনিকের পর টিলার ওপর সবার চোখে পড়ার মত কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়াতে হয়, তখন পথচলতি কোনো মালবোঝাই নৌকো আমাদের তুলে নেয়। সূর্য যখন ডুববে ডুববে করছে, তখন নৌকোর মাঝি আমাদের নামিয়ে দেয় নির্জন একটা ঘাটে। ভাড়া দিতে চাইলে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হাত নাড়ে। সন্ধ্যের অন্ধকারে শুঁটকি মাছের গন্ধ ভরা জনমানবশূণ্য হাটের মধ্য দিয়ে বাড়ি ফেরা।

    শহরের একমাত্র সিনেমা হলে মাঝে মাঝে সাদা কালো সিনেমা দেখতে যাওয়া। হলের মালিকের সঙ্গে বাবার পরিচয়ের সূত্রে একটা ঘরের মত জায়গায় বসে সিনেমা দেখার সুযোগ পাই। সিনেমা দেখার পর হোমিওপ্যাথিক দাক্তার শঙ্কর ধরের চেম্বার, তার নব্বই ডিগ্রী কোণে সাইকেলের দোকান । আমার মনে হয় ডাক্তারবাবুর ঘরটাকেই অন্য দিক থেকে দেখতে সাইকেলের দোকানের মত। আরো দোকান আছে- চন্দ্রতারা স্টোর্স, যেখনে দুটো কাঁচের পাখি একটা কাঁচের গেলাস থেকে জল খাচ্ছে তো খাচ্ছেই। আরো কত দোকান, কাঁসারীর দোকানে টকটকে লাল কাপড়ের ওপর চকচকে সব কলসী রাখা। মিষ্টির দোকান বিক্রম ভান্ডার, ছবি তোলার দোকান শর্মা স্টুডিও।

    শহরে আরো অনেকগুলো দীঘি আছে, তার কোনটাই আমাদের বাড়ির সামনেরটার মত বড় নয়। শোনা যায় তার কোন কোনটায় নাকি অতিকায় কুমিরের মত জন্তু থাকে, কেউ একা জলে নামলে পা কামড়ে ধরে নিয়ে যায় । সেই রকম একটা দীঘির পাড় দিয়ে জন্মাষ্টমীর মিছিল যায়, ঠেলাগাড়ির ওপর সাজানো কংসের কারাগার, কারাগারের প্রহরীর পরনে খাকি হাফ প্যান্ট আর মাথায় লাল টুপি।

    শহরে হেন লোক নেই যে বছরে কয়েকবার, বিশেষ করে কালীপূজোয়, ঠাকুরবাড়ি যায় না। সে ভারী মজার ঠাকুরবাড়ি- সেখানকার প্যাঁড়া বিখ্যাত, আর ঠাকুরবাড়ির পেছনের পুকুরে থাকে বিরাট বিরাট মাছ আর কচ্ছপ। তাদের গায়ে হাত দিলেও কিছু বলে না, আর হাতে করে বিস্কুট দিলে জল থেকে মুখ বাড়িয়ে কপ করে গিলে নেয়, কোন ভয়ডর নেই। ঠাকুরবাড়ি যাবার রাস্তাটিও মজার। রাস্তার দুধারে সারি সারি কি যেন ফুল গাছ,তাতে পাতার চেয়ে ফুল বেশি, ফুলের রং লাল আর কমলা। রাস্তার একদিকে লোকেদের বাড়ি, অন্যদিকে ধানক্ষেত। ধানক্ষেত যেখানে শেষ সেখানে গেলে আকাশ ধরা যায়, কিন্তু কেউ আমাকে নিয়ে যায় না।

    প্রতি বছর পূজো আসে, বাবার সঙ্গে নতুন জুতো কিনতে যাই। নতুন জুতো পরে বিছানার ওপর হাঁটাহাটি করি, কেউ বকে না। এলাকায় বারোয়ারী পূজো মাত্র দুটি, তারা বছর বছর নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে উঁচু উঁচু মূর্তি তৈরী করে- এ বছর এদের বারো হাত ঠাকুর তো ও বছর ওদের চৌদ্দ হাত প্রতিমা। মাইকে হিন্দী গান বাজে, শুনে মা বাবা ও তাঁদের বন্ধুদের চোখে একটু বিরক্তির ভাব লক্ষ্য করি। প্যান্ডেলে আমার মতই আরো অনেক বাচ্চা, সবার হাতে ফটাস ফটাস টিনের বন্দুক। তাছাড়া আরো একটা জায়গায় পূজো হয়- বাসন্তী মন্দির । সেই মন্দির সারা বছর বন্ধ থাকে। শুধু পূজোর সময় দরজা খুলে যায়, আর ঢাক বাজতে থাকে, আর অনেক মানুষ ভিড় করে। আর মন্দিরের চাতালে একজন পাগল একটা সত্যিকারের তলোয়ার হাতে তান্ডবনৃত্য করে।

    চারদিন কেটে যায়, বিসর্জনের সময় আসে। মায়ের কথামতো হাত জোড় করে ঠাকুরকে নমো করি আর এটা চাই, ওটা চাই। আর লুকিয়ে লুকিয়ে আরো একটা জিনিস চাই । ঠাকুরকে বলি, "ঠাকুর, আমাকে আরো তাড়াতাড়ি বড় করে দাও'। কারণ আমি জানি বড়দের কাছে টাকা থাকে, ইচ্ছে করলেই তারা টিনের বন্দুক কিনতে পারে (যদিও ইচ্ছে তাদের কহনো ই করে না) , কোন কিছু কেনার জন্য কান্নাকাটি বায়না করার দরকার হয় না।

    ************************************************************

    এইরকমভাবে দিন কেটে যাচ্ছিল। পূজো আসছিল, পূজো যাচ্ছিল । দুই বারোয়ারী নিজেদের মধ্যে পাল্লা দিয়ে প্রতিমার উচ্চতা বাড়াচ্ছিল। আস্তে আস্তে আরো দুটো বারোয়ারী পূজো গজিয়ে উঠল শহরে। পুরনো রাজবাড়ির আশপাশের জঙ্গল সাফসুতরো হয়ে একটা দুটো কুঁড়েঘর তৈরী হল। ঠাকুরবাড়ির রাস্তার ধারের লাল হলুদ ফুলের গাছগুলো কোন কোনোটা কাটা পড়ল। পুকুরের মাছ আর কচ্ছপরা মানুষকে ভয় পেতে শিখল। শীতকালে আর বালিহাঁস আসে না। শহরের লোকগুলোর মধ্য থেকে হাসিখুশী ফূর্তিবাজ ভাবটা যেন আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছিল।

    সেবার পূজোয় শোনা গেল, এ বছর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বারোয়ারী তাদের মূর্তি আর উঁচু করবে না।, বরং গতবারের চেয়েও ছোট করবে। কেন? না, শরনার্থীরা আসবে। তাদের জন্য আশ্রয় শিবির তৈরী হবে। পূজোর চাঁদার টাকায় তাদের জন্য খাবার আর জামাকাপড়ের ব্যবস্থা হবে। শরনার্থী কি বা কারা জানতে চেয়ে যথারীতি কোন উত্তর পেলাম না। কয়েকদিন বড়দের মুখে মুখে "শরণার্থী' কথাটা লেগে রইল। সে বছর বাস্‌ন্‌তী মন্দিরে ঢাক বাজল না। শুধু পাগলটা তলোয়ার হাতে একা একা নেচে গেল। একদিন নদীর ওপার থেকে অন্য দেশের হেলিকপ্টার এসে আমাদের বাড়ির ওপর দিয়ে উড়ে গেল, এত নীচু দিয়ে উড়ে গেল যে ভেতরের লোকগুলোকে একটু একটু দেখতে পেলাম।

    আর তার পরদিন, নবমীর সন্ধ্যায় বারান্দার অন্ধকারে বসে দেখলাম দীঘির পাড় দিয়ে অনেকগুলো ছায়ামূর্তি এগিয়ে আসছে । তাদের পাহারা দিয়ে নিয়ে আসছে যারা, তাদের হাতে বন্দুক। মিছিলটার মধ্য থেকে একটা অস্বস্তিকর আওয়াজ ছিটকে আসছিল। ছায়ামূর্তিদের দঙ্গলটা কাছে আসার পর বুঝতে পারলাম, কান্নার আওয়াজ ।

    সেবার পূজোয় একটা নতুন জিনিস শিখলাম - বড়রাও কাঁদে ।

    বিসর্জনের দিন ঠাকুরের কাছে আর বড় হওয়ার বর চাইলাম না।

    সেবার পূজোয় নিজেই বড় হয়ে গেলাম।

    ২৯শে মার্চ, ২০১০

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৯ মার্চ ২০১০ | ৯২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন