এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • মা মাটির মেশিন ---মানে আমজনতার কম্পিউটার

    কৌশিক মিত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ০২ আগস্ট ২০১০ | ৯২৯ বার পঠিত

  • ভারতবর্ষ বিশ্বের কাছে নিজেকে আইটি সুপারপাওয়ার বলে বেশ সফলভাবে প্রচার করে ফেলেছে। ইদানিং সে আবার প্রচার করা শুরু করেছে যে বিশ্বের অর্থনীতিতেও সে নাকি নিতান্ত হেলাফেলার পাত্র নয়। এর পরে হয়তো আমরা এও শুনতে পাব যে নিউক্লিয়ার ডিল করার পর থেকে ভারত নিউক্লিয়ার সুপারপাওয়ারও হয়ে উঠেছে।

    এই সাফল্যের দাবীগুলো যদি নিরপেক্ষভাবে ভারতবাসী হিসেবে যাচাই করতে বসেন, তবে অঙ্ক কিছুতেই মিলবে না। ধরুন ঐ ইকনমিক সুপারপাওয়ারের দাবী দিয়েই যদি শুরু করেন, তবে কি দেখবেন?
    মনে করে দেখুন কদিন আগেই তো 8 Indian states have more poor than 26 poorest African nations নিয়ে ঘোর বিতর্ক হয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গকে ঐ 8 Indian states এর একটা হিসেবে দেখানোয়, আমরা.. মানে বাঙ্গালী আমজনতা সেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম। http://timesofindia.indiatimes.com/india/8-Indian-states-have-more-poor-than-26-poorest-African-nations/articleshow/6158960.cms
    এই ধরনের দাবীর বিরুদ্ধে আপনারা হয়ত রাশি রাশি প্রমাণ দেবেন যে ' টাকা ভারতের যথেষ্টই আছে, সমস্যাটা কেবল আয়ের বৈষম্য বা ধনের বণ্টনের বিষম ব্যবস্থার । মানে সেই জিনি কো-এফিশিয়েন্ট আর লোরেন্‌জ কার্ভের গল্প।
    http://www.legco.gov.hk/yr04-05/english/sec/library/0405fs07e.pdf
    মানে বাঘা বাঘা ইকোনমিস্টরাও স্বীকার করছেন যে ভারতীয় জনগণের মধ্যে একটা ইকনমিক ডিভাইড আছে.. সে ভারতের ধন-রতন (পড়ুন খনিজ আর বনজসম্পদ) যতই থাক।

    ঠিক একই ভাবে প্রথম সাফল্যের দাবীর বিচার যদি করতে বসেন তাহলেও কূল কিনারা পাবেন না। আইটি সুপারপাওয়ার হওয়া মানে কি স্রেফ আমাদের ঘরের কিছু ছেলেকে আমেরিকার মেসে পাঠিয়ে দিনরাত কলুর বলদের মত খাটিয়ে কিছু টাকা ঘরে আনা? আর সেই টাকাই আবার কুমীরছানার মত তুলে ধরে দাবী করা যে আমরা পৃথিবীর মধ্যে একটা ইকনমিক সুপারপাওয়ার ?
    এবার খাঁটি আইটি র লোকেরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন.. অমুক পেপার ..তমুক পেটেন্ট.. এই কোম্পানীর সেই কর্পোরেটের পারফর্ম্যান্স আর ব্যলান্স শীট দেখিয়ে প্রমান করে দেবেন যে আমার ধারণা এক্কেবারে ভুল।

    কিন্তু …..
    আমার নাহয় একটা কম্পুটার আছে.. গুরুতে দু লাইন তা দিয়ে লিখতেও পারি .. কিন্তু তার বাইরে বাসে ট্রামে বা দিদির রেলে যে আমজনতা হুড়োহুড়ি করে মরছে.. বা গ্রামে গঞ্জে যে জনতা বিপ্লবীদের আর যৌথবাহিনীর গুলি খেয়ে মরছে তাদের কোন উপকারটা হচ্ছে তাদের দেশ আইটি সুপারপাওয়ার হয়ে ??? ওরিজিন্যাল গুরুচন্ডা৯ তে যে তাঁহাদের কথা গিগাবাইট গিগাবাইট লেখা হচ্ছে তাঁদের অধিকাংশই তো সেটা পড়েও দেখতে পারছেন না। 'ওরিজিন্যাল গুরু' মানে 'কাগুজে গুরু' নয়.. তার মূল ওয়েব এডিশন। পাতিরাম থেকে কিনে 'কাগুজে গুরু' সবাই পড়তে পারে, তার জন্য পেটে একটু শিক্ষা আর দিনে আধ ডলারের কাছাকাছি রোজগার থাকলেই হল। তাও অবশ্য নিন্দুকে বলে গুরুভাগ ভারতবাসীরই নাকি সেটুকুও নেই। রেফারেন্স চাইলে এ দুটো দেখতে পারেন-
    (দুটোই বহু পুরোনো তথ্য, নতুনত্ব কিছু নেই ..তবে পরিস্থিতি আজও বিশেষ পাল্টেছে বলে মনে হয় না)
    Nearly 80 pct of India lives on half dollar a day -
    http://www.reuters.com/article/idUSDEL218894
    এবং
    India has a third of world's illiterates
    http://timesofindia.indiatimes.com/india/India-has-a-third-of-worlds-illiterates/articleshow/916814.cms

    ইনফরমেশন টেকনোলজির সঙ্গে জনগনের বিচ্ছিন্নতার ব্যাপারে আই টির বিদ্বজ্জনেরা মাথা চুলকে এরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন অনেকটা অর্থনীতির ধাঁচেই, ...আইটিতেও নাকি ইকনমিক ডিভাইডের মত ডিজিটাল ডিভাইড বর্তমান।

    ভারত সরকার দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্ত ডিভাইড মুছে ফেলতে তৎ্‌পর.. তার জন্য তাঁরা বহুবার লোক হাসিয়েছেন। তবে আমরা হাসব না.. এতদিনে আমরা জেনে গেছি .. মা মাটি মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়ই.. আর তাতে নিন্দুকে হেসেই থাকে.. কিন্তু তার জন্য ভোট কিছু কম পড়ে না..তাই না হেসে আমরা ভারত সরকারের সমস্ত ডিভাইড মুছে দেবার অস্ত্র ঞ্ছআমজনতার কম্পিউটারঞ্জ এর ওপর এই লেখায় কিছু আলোকপাত করব।

    ভারত সরকারের নানা বিভাগ নানা সময় মা মাটির মেশিন বা আম আদমি কা কম্পিউটার বানাতে জান প্রাণ লড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বেরিয়েছে নানা অদ্ভুত যন্ত্র। নিচে গত দশ বছরের হিসেব দেখুন...

    জনগণের কম্পিউটার বানানোর এতগুলো অক্ষম প্রচেষ্টা কি ডিজিটাল ডিভাইড দূর করতে ভারতসরকারের সদিচ্ছারই প্রতিফলন ? প্রচেষ্টাগুলি সফল না হলেও সবকটি ঘোষণা সারা পৃথিবীতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। স্রেফ যদি গিমিক বা হাইপ হত তাতে কি সেটা সম্ভব ছিল? আইটির যে কোন লোক বলবেন যে ঐ প্রকল্পগুলোর প্রতিটি পদক্ষেপে জড়িয়ে ছিল বেশ কিছু নতুন চিন্তাভাবনা যা মোটেই উড়িয়ে দেবার মত নয়। তা সঙ্কেÄও জনগণের কম্পিউটারের স্বপ্ন কিন্তু আজও অধরা।
    সরকারী উদ্যোগের বাইরে আম আদমির জন্য কি কি জিনিস জনতার হাতের নাগালে এতদিন ছিল ?
    ডেস্কটপ আর ল্যাপটপের বাইরে হরেকরকম আকার আকৃতি বা কাজের কম্পিউটার মাঝে সাঝে খবরে এলেও বাজারে মোটেই দাগ কাটতে পারে নি। তাই এতদিন ডেস্কটপ আর ল্যাপটপই রাজত্ব করে গেছে একচেটিয়া। নতুন ধরনের কম্পিউটার জনপ্রিয় না হবার নানা কারণ ছিল.. কোনটা হয়ত ছিল অসম্ভব দামী, কোনটা হয়ত বা একেবারে বিশেষ কোন কাজের জন্য তৈরি.. তার বাইরে সেটা আর কিছুই করতে পারত না। ফলে সেই ধরনের কম্পিউটারগুলোর আম আদমির কম্পিউটার হয়ে ওঠার মত সম্ভাবনা ছিল না, বা থাকলেও তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়েছে।

    গত প্রায় ৩০ বছরের এই ট্রেন্ড ভাঙ্গলেন ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির নিকোলাস নেগ্রোপন্টে বলে এক ভদ্রলোক। তিনি শুরু করলেন One laptop per child বলে এক প্রজেক্ট। নামেই পরিচয় যে ঐ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল, (পাগল সত্যি কতরকমের যে হয়!!) তাও ওদের মিশন স্টেটমেন্ট থেকে দুলাইন তুলে দিলাম দেখে নিন- To create educational opportunities for the world's poorest children by providing each child with a rugged, low-cost, low-power, connected laptop with content and software designed for collaborative, joyful, self-empowered learning.
    ঐ প্রজেক্ট বা ভদ্রলোক সম্পর্কে যদি বিলকুল কিচ্ছু না জানেন তবে এখানে দেখে নিন.... আপনার দৃষ্টিভঙ্গী ওনাদের পক্ষে বা বিপক্ষে...যাই হোক না কেন, গ্যারান্টি দিচ্ছি মজা পাবেন।
    http://laptop.org/en/vision/project/index.shtml

    ঐ মিশন স্টেটমেন্টে বলা OLPC প্রজেক্টের উদ্দেশ্য যদিও To create educational opportunities for the world's poorest children, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে প্রয়োজন হচ্ছে একটা rugged, low-cost, low-power, connected laptop with content and software তৈরি করা, যা বাজারে তখন off the shelf পাওয়া যেত না।

    ঘকঙই র উদ্দেশ্য যাই হোক .. কর্পোরেটগুলো ঠিকই বুঝে নিল এই নতুন বাজারের অমিত সম্ভাবনার কথা। ঐ ওয়ান ল্যাপটপ পার চাইল্ড প্রজেক্ট খুব সফল না হলেও তার মূল কনসেপ্ট টা কিন্তু একেবারে জ্বালামুখ খুলে দিল সমস্ত কমার্শিয়াল কম্পুটার বেচা কর্পোরেটগুলোর। ফলে .. যারা প্রসেসর বা চিপ তৈরি করে, সেইসব কোম্পানী বানাতে শুরু করল নতুন সস্তা অথচ শক্তিশালী এবং কর্মদক্ষ নতুন নতুন চিপ বা প্রসেসর.. যাতে 'শক্তি'র চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হল 'দাম' কে। যে সব কোম্পানী শুধু চিপ নয় .. সম্পূর্ণ কম্পিউটার বানাত তারা পাল্লা দিয়ে বাজারে নামাতে শুরু করল সেই নতুন নতুন চিপ লাগিয়ে নতুন নতুন আরও কমদামী অথচ কর্মদক্ষ মেশিন।

    প্রথম বাজারে এল আসুস কোম্পানীর ট্রিপল ই পিসি (EEE PC)z http://en.wikipedia.org/wiki/Asus_Eee_PC
    তারপর হুড়োহুড়ি পড়ে গেল ঐ গোত্রের নতুন নতুন জিনিস বানানোর। বড়, ছোট, মাঝারি কোন কোম্পানী বাদ গেল না .. শুনলে মজা পাবেন …. ইলেকট্রিক বাল্ব বানাত যে সিলভ্যানিয়া কোম্পানী, (ভারতে সিলভ্যানিয়া-লক্ষ্মন, মনে আছে?) তারা পর্যন্ত ঐ ধরনের ল্যাপটপ বানিয়ে ফেলল। http://www.sylvanianetbooks.com/ । আর এই নিচের লিঙ্কটা দেখলেই বুঝবেন কোম্পানীগুলোর মধ্যে নতুন মডেল বানানোর প্রতিযোগিতা কতটা তীব্র..
    http://en.wikipedia.org/wiki/Comparison_of_netbooks
    এই ধরনের মেশিনগুলো প্রচলিত ল্যাপটপের চেয়ে অনেক সস্তা হওয়ায় বিক্রিও হলে লাগল হু হু করে… বিক্রী না হলে এত নতুন নতুন কোম্পানী নতুন নতুন মডেল বাজারে ছাড়ত না। বিক্রীর তথ্যও গুগল ঘাঁটলেই পাবেন। বেশ চোখ কপালে তোলার মত বিক্রি … আর হবে নাই বা কেন? এই মূহুর্তে এই লেখাটা লিখছিও তো ঐ ধরনের একটা কম্পিউটার দিয়েই। এই নতুন গোত্রের কম্পিউটারের মুখোরচক একটা নামও দেওয়া হল … Netbook (নেটবুক)। নেটবুক নাম দেওয়ার প্রধান কারণ এটাকে 'নোটবুক' বা পাতি বাংলায় যাকে 'ল্যাপটপ' বলি, তার থেকে আলাদা গোত্রের বলে সাব্যস্ত করা … আর এগুলোর মূল চালিকাশক্তি যে ইন্টারনেট বা 'Net'.. সেটাকেও পরিস্কার করে দেওয়া।
    এই নেটবুকগুলো দামের দিক থেকে একেবারে আম জনতার জন্য না হলেও মধ্যবিত্তের নাগালে তো চলে এলো বটেই।

    এগুলোর দাম কম রাখার জন্য হার্ডডিস্ক বা আরও দামী SSD জাতীয় স্টোরেজ স্পেস প্রায় থাকত না বললেই চলে, বা থাকলেও খুবই কম থাকত। তাই 'ক্লাউড' .. মানে পাতি কথায় ইন্টারনেটই এগুলোর ভরসা। ইন্টারনেটে আজকাল সবাই তো প্রচুর জায়গা দিতে শুরু করেছে। যেমন গুগলের সার্ভিসগুলো .. জিমেল বা গুগল ডকস। এই যন্ত্রগুলো স্রেফ সেই জায়গাটাকে কাজে লাগায়। তবে মুস্কিল হল ইন্টারনেট ছাড়া এরা এক্কেবারে কানা। ইদানিং প্রায়ই “Cloud computing” বলে যে কথাটা শোনেন এটা তারই সারমর্ম। যারা আইটির লোক নন তাঁরা আর ওসব শুনে টুনে একদম ফালতু ঘাবড়াবেন না। http://www.cloudbus.org/~raj/papers/hpcc2008_keynote_cloudcomputing.pdf

    ক্লাউড ছেড়ে আবার মা মাটি মেশিনে ফিরে আসি। নেটবুকের চেহারাটা পুরো ল্যাপটপ বা নোটবুকের মত রাখা হল বটে.. কিন্তু সাইজে বেজায় ছোট করা হল। এটার কারণ অনেকগুলো .. তবে প্রধান কারণ সস্তা স্ক্রীনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো। বিশাল সাইজের ল্যাপটপে নিশ্চয়ই আপনি পুঁচকে স্ক্রীন থাকলে কিনতেন না। আবার এদিকে পুঁচকে মত কী বোর্ড হলেও মুস্কিল... বিশেষত: হৃষ্টপুষ্ট আমেরিকানদের। ওদের গোব্দা গোব্দা আঙ্গুলে ঐ স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট কী বোর্ডে টাইপ করা খুব মুস্কিল। তাই আবার নতুন করে ভাবনাচিন্তা চলল, কী বোর্ড টোর্ড সব তুলে দিয়ে শুধু এক্কেবারে স্ক্রীন-সর্বস্ব এক নতুন ধরনের প্রজাতি তৈরীর। সেটাই হল সম্পূর্ন 'ট্যাবলেট পিসি'। যার আদর্শ উদাহরণ হল- আনন্দবাজারের কল্যাণে আপনাদের অতি পরিচিত, অ্যাপল কোম্পানীর আইপ্যাড। আপনারা প্রায় সবাই জানেন যে আইপ্যাড শুধু টাচ স্ক্রীন.. মানে ছোঁয়ায় চলে, ফলে কী বোর্ড বা মাউস না লাগালেও অসুবিধা হয় না।
    ভারতে এখনও আইপ্যাড আসে নি .. তা সত্বেও আবাপ গুষ্ঠির প্রচারের চোটে আম বাঙ্গালী আইপ্যাডের প্রতিটি খুঁটিনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল..... এই না হলে কর্পোরেটদের প্রচার? অথচ প্রকৃতপক্ষে আইপ্যাড মোটেই এই সস্তা ট্যাবলেট গোত্রের কম্পিউটারের প্রথম প্রতিনিধি নয়, আইপ্যাড সস্তা তো নয়ই। এরকম আরও বহু ছিল.. এবং ভবিষ্যতেও আসছে। গত ২২ শে জুলাই ২০১০ এ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বলের হাতে দেখা $৩৫ এর যন্ত্রটা ঐ 'ট্যাবলেট পিসি' লাইনেরই নবতম সংযোজন।

    যখন OLPC (One Laptop Per Child) আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছিল তখন ভারতবর্ষ বলেছিল , ১০০ ডলার দিয়ে ও জিনিষ কিনব কেন? আমরা ওর থেকে ঢের কম খরচে নিজেদের OLPC বানিয়ে নিতে পারি। তারই ফলস্বরূপ বের হয় প্রথমে CSIR Hl Mobilis / Softcom ২০০৫ সালে, তখন কপিল সিব্বল সাহেব কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী।
    http://www.dancewithshadows.com/pub/mobilis-encore-csir-cheap-pc.asp
    তারপরে এল 'সাক্ষাত' (Sakshat) ২০০৯ সালের শুরুতে, অর্জুন সিং এর মানবসম্পদ উন্ন।অয়ন মন্ত্রকের হাত ধরে। যদিও আম জনতা সেই যন্ত্রটার কোনদিনই সাক্ষাত পায় নি।
    http://www.engadget.com/2009/02/04/indias-10-laptop-is-not-a-laptop/
    মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সদ্যঘোষিত যন্ত্রটারও যে একই গতি হবে না তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না কারণ ওটার ঐ কপিলবাবুর হাতে ধরা ছবি ছাড়া এবং দাম ($৩৫) ছাড়া আর ভেতরের যন্ত্রপাতির খবর এখনও পরিস্কার নয়।
    http://www.engadget.com/2010/07/23/35-tablet-from-india-looks-to-be-worth-every-paisa-video/

    ( পরের পর্বে সমাপ্য) ২ই অগস্ট, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ০২ আগস্ট ২০১০ | ৯২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন