এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মৃত্যুদণ্ড বিতর্ক

    কল্লোল দাশগুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ নভেম্বর ২০১০ | ১৩০০ বার পঠিত

  • বিতর্ক ওঠে, আবার চাপা পড়ে যায়। এই লেখাটি এই বিতর্কহীন সময়ে প্রসঙ্গটি আরেকবার শুরু করার উস্কানিমাত্র।


    ধনঞ্জয় থেকে কাসভ। মৃত্যুদন্ড নিয়ে বিতর্ক। চায়ের পেয়ালা থেকে খবরের কাগজ, বৈদ্যুতিন মাধ্যম, আন্তর্জাল উত্তাল। তারপর ধীরে ধীরে থিতিয়ে আসা। নতুন বিষয় আসে। পুরোনো বিষয় চলে যায়, আবার ফিরে আসার জন্য, যখন আবার কিছু ঘটবে, আবার আমরা উত্তেজিত হবার মতো কিছু খুঁজে পাবো আমাদের নিস্তরঙ্গ "সুখী' গৃহকোণে। আবার কিছু স্বাস্থ্যসম্মত অ্যাড্রেনালিন নিষ্কাষণ।

    এই সব অবধারিত সময়-আলোচনার বাইরে এসে, এইমুহূর্ত যখন মৃত্যুদন্ড নিয়ে বিশেষ কোন প্রেক্ষিত বা গুরুত্ব আরোপ করছে না, যখন বিষয়টি, অধিকাংশের প্রথম বা দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় পছন্দও নয়, তখনই হয়তো এরকম একটা বিষয় নিয়ে কাটাছেঁড়া করার সময়।

    মৃতুÉদন্ডের সপক্ষে কিছ যুক্তি ও তার সাথে তর্ক:

    • মৃতুÉদন্ডের মতো চরম শাস্তিবিধান না থাকলে অপরাধ বেড়ে যাবে ।

    যে কোন শাস্তির বিধান তা যতোই কঠোর হোক না কেন ,অপরাধ কমাতে সাহায্য করে না ।

    তা হলে মধ্যপ্রাচ্যের যে সব দেশে শরিয়তী আইনে শাস্তিবিধান হয় - যাকে কঠোর বললেও বেশ মোলায়েম মনে হয় - সেখানে অপরাধের অস্তিতÆই থাকতো না । একজন অপরাধী যখন অপরাধ সংঘটিত করে, তখন আইন বা শাস্তির কথা মাথায় রাখে না । বেশিরভাগ সময় অপরাধ ঘটে যায় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ,চিন্তা-ভাবনার অবকাশ থাকে না । এর ব্যতিক্রম যে নেই তা নয় । তবে তা ব্যতিক্রমই ।

    এমনকি ব্যতিক্রমী অপরাধের ক্ষেত্রেও (ঠান্ডা মাথায় একের পর এক হত্যা/গণহত্যা সংগঠিত করা) মাথায় রাখতে হবে কেন এই কাজ সে করল। প্রায় সবক্ষেত্রেই সেই মানুষটি কোন একটা আদর্শে বিশ্বাসী যা তার ভিতর কোন একটি জনগোষ্ঠী/ধর্মীয় সম্প্রদায়/জাতি/শ্রেণী সম্পর্কে বৈরীভাবের জন্ম দিয়েছে। তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। বরং তা বেড়েই যাবে। আফগানিস্থান, ইরাক তা রোজ প্রমাণ করে চলেছে। দরকার এদের সাথে আলোচনার। আলোচনাই পারে ঐ ভুল বিশ্বাসকে একজনের ভিতর থেকে নির্মূল করতে।

    তা না হলে মৃত্যুদন্ড নেহাৎই প্রতিশোধ।

    অপরাধ কমা বা বাড়া আইনের ওপর নির্ভর করে না, করে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার ওপর ।

    • খুনির জীবনের অধিকার থাকা উচিৎ নয়, কারণ সে অন্যের জীবনের অধিকার হরণ করেছে ।

    খুনি যদি অন্যের জীবনের অধিকার হরণ করে অন্যায় করে থাকে, তবে রাষ্ট্র সেই একই অন্যায় করবে কেন ?

    প্রশ্ন উঠতে পারে যে অন্যের অধিকার হরণ করেছে, তার কি কোন অধিকার থাকতে পারে ?

    দেখা যাক অন্য ধরণের অধিকার হরণের ক্ষেত্রে কী ঘটে ।

    প্রায়শ:ই উন্নয়ন বা নিরাপত্তা অথবা সন্ত্রাস দমনের নামে অসংখ্য মানুষ, হৃদয়হীন নিষ্ঠুর বিকল্প বা কোন বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়াই, বাস্তুচুÉত হয়ে বসবাসের অধিকার, জীবন-জীবিকার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় । তাঁরা অনেকেই সু¤বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন । আদালত অনেক ক্ষেত্রেই এই সব মানুষের পক্ষে রায় দিয়েছেন । এঁদের ঠিকঠাক পুনর্বাসন দিতে রাষ্ট্রকে নির্দেশ দিয়েছেন । কিন্তু কখনোই, যে বা যারা এই অন্যায়ের জন্য দায়ী তাদের বাস্তুচুÉত করার নির্দেশ দেন নি । এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া অবান্তর, তবু। যাঁরা উচ্ছেদ হচ্ছেন তাঁরা যে অবস্থায় বেঁচে থাকেন বা থাকেন না, তা মৃত্যুর অধিক যন্ত্রণাময়। এ অভিজ্ঞতা পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, উড়িষ্যা থেকে মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম হয়ে কাশ্মীর।

    চুরি প্রমাণিত হলে, তার শাস্তি কখনোই চোরের ঘরে চুরির নির্দেশ হতে পারে না ।

    আধুনিক আইন প্রতিহিংসার কথা বলে না। আধুনিক আইন শাস্তিবিধান করে অপরাধীকে শুধরানোর জন্য, তাকে নির্যাতনের জন্য নয়। তাই ভারতে এবং পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই আজ আর কোন কারাগার নেই - আছে সংশোধনাগার। আধুনিক আইন মনে করে কোন মানুষই জনÈ অপরাধী নয় - প্রত্যকটি মানুষই সংশোধনযোগ্য।

    সংশোধনের উপায় নিয়ে তর্ক থাকতেই পারে । কিন্তু তার দায়, আর যারই হোক, নিশ্চিতভাবেই অপরাধীর নয়।

    • সাধারণ মানুষের প্রায় সকলেই এই মৃতুÉদন্ডের সপক্ষে । তাঁদের ভাবাবেগকে মর্যাদা দিতে মৃতুÉদন্ড এ ক্ষেত্রে যথাযথ ।

    সাধারণ মানুষের ভাবাবেগের কথা তুললে, সতীদাহ প্রথা রদ, Ù»£ শিক্ষা এবং বিধবা বিবাহ চালু করা এবং এসবের পেছনের লড়াইকে ভুল বলতে হয় । এসব লড়াই, সাধারণ মানুষের ভাবাবেগের বিরুদ্ধেই লড়তে হয়েছিলো ।

    আজকের ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় (অন্য আর পাঁচটা দেশের মতোই) বিচার কিনতে হয় ।

    বিচার নামে পরিষেবাটি ঠিকঠাক পেতে গেলে দক্ষ উকিলের প্রয়োজন । দক্ষ উকিল মানেই সাধারণভাবে যথেষ্ট টাকার ব্যপার । দক্ষ উকিল অনেক সময়েই তার মক্কেলকে (বাস্তবে দোষী হওয়া সত্ত্বেও) বেকসু¤র খালাস করে এনেছেন এমন ঘটনা নিশ্চই বিরল নয় । আবার উল্টো দিকের উকিল যদি তেমন দক্ষ না হন (সস্তার ত«তীয় অবস্থা) তবে ব্যাপারটা আরও সহজ হয়ে যায় । এমনকি একেবারে সব হারানো মামলাতেও শাস্তি লাঘব করিয়ে দিয়েছেন দক্ষ উকিল এমন উদাহরণও ভ¨রি ভ¨রি আছে । কলকাতার বণিকবাড়ির বড় কর্তা , তার সু¤যোগ্য পুত্রেরা , বাড়ির বৌকে কুচি কুচি করে কেটে, ট্রাঙ্কে পুরে, দিন তিনেক ধরে চর্ব-চোষ্য খেয়ে দেয়ে ধরা পড়লেন । দোষ প্রমাণও হলো । তবু তারা বেঁচে বর্তেই আছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বϾদ্বতাও করেছেন । রুনু …হনিয়োগী অসংখ্য নকশাল ও সি.পি.এম. যুবক-যুবতীকে পিটিয়ে প‰¤ করে , এনকাউন্টরের গল্প বানিয়ে …লি করে মেরে ফেলে; মাত্র দুই মহিলার উপর লকআপে নির্যাতনের অপরাধে , মাত্র এক বছরের সাজা পান । তার আগে পদোন্নতি এবং প্রশংসা সহকারে পুরো মেয়াদ চাকরী করেন । জামিনে থাকা অবস্থায় নিজের বাড়িতে পরিজন পরিবৃত হয়ে ড্যাং ড্যাং করে স্বর্গলাভ করেন ।

    আবার বিনা দোষে বছরের পর বছর বিচারাধীন বন্দী হয়ে পরে আছেন এমন উদাহরণে জেল (থুড়ি - সংশোধনাগার) ভর্তি । এমনকি কোনো অপরাধ না করেও সাজা খাটছেন (থুড়ি - সংশোধিত হচ্ছেন) এমন মানুষ বিরল নন । কাজেই আদালতে দোষী প্রমাণিত মানেই সে প্রক«ত দোষী এমনটা না-ও হতে পারে । তাই মৃতুÉদন্ড দিয়ে মানুষটিকে এবং কখনো বিচারকের সিদ্ধান্ত সংশোধনের জায়গাটি চিরতরে বন্ধ করে দেবার কোন যুক্তি নেই ।

    নানান বিষয়ে আমরা প্রায়শই সোচ্চার হই - ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য (লিগ্যাসি) বহন করে চলেছে যে সব ব্যবস্থা , তা পাল্টাতে হবে । তার মধ্যে শিক্ষা , মূল্যবোধ , শাসন কাঠামো ইত্যাদি প্রভ«তি নানা বিষয় প্রাধান্য পেলেও ,ঔপনিবেশিক শাস্তি ব্যবস্থা নিয়ে কেউ বিশেষ কিছু বলেন না ।

    কেন একজন খুনি, খুন হওয়া মানুষটির মানুষগুলির পরিবারের সেবাতে নিযুক্ত হবে না ? কেন একজন চোর কায়িক বা মানসিক শ্রম দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষটির ক্ষতিপূরণ করবে না? ঠিক ঠিক এমনটিই হতে হবে তার কোন মাথার দিব্যি নেই , অন্য অনেক কিছুই হতে পারে যার মূলে থাকবে অপরাধী মানুষটির অপরাধবোধকে জাগিয়ে তোলা । কোন বিচার-আইন-শাস্তি ব্যবস্থা যতক্ষণ না অপরাধীকে মানসিকভাবে তার অপরাধের …রুতÆ , সমাজে (বৃহত্তর এবং সংকীর্ণ সব অর্থেই) তার কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতন না করতে পারছে ততক্ষণ সে ব্যবস্থা অর্থহীন। অপরাধ লাঘব বা নির্মূল করার লড়াইয়ে তা চূড়ান্ত ব্যর্থ।

    এই লেখাটি, এই প্রসঙ্গে বিতর্কহীন এই সময়ে, একটা আলোচনা শুরুর উস্কানীমাত্র।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৮ নভেম্বর ২০১০ | ১৩০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৃশানু | 226.113.128.239 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১২ ০১:৩৬89232
  • ভালো লাগলো।
  • pi | 127.194.0.211 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১২ ০৫:৪৪89229
  • লেখাটি নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলো। এখন কী মতামত লোকজনের ?
  • সুশান্ত | 127.203.161.177 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১২ ০৬:২৬89230
  • কাসাবের ফাঁসি নিয়ে কল্লোলদার লেখাটা ভালো লাগল লেখাটা। কিন্তু আইনের কথা কেই বা শুনতে যাচ্ছে। সব্বাই সেই আধিপত্যের ভাবাদর্শে মশগুল। 'ভাবাদর্শের' যুদ্ধে এরা যুদ্ধ জেতে বেশির ভাগ সময়। আধিপত্যের ভাবাদর্শ। আর তাতে বহু বড় বড় বিপ্লবীরও মাথার ঠিক থাকে না। স্বয়ং নেলশন মেন্ডেলাও কেমন ২৭ বছর জেলে থেকেও বেরিয়ে এসে নয়া ঔবনিবেশিকদের জালে জড়ালেন। এখন তাঁর জীবতাবস্থাতেই তাঁর দেশ কালো শ্রমিকদের গুলি করে করে মারে। আর তিনি বসে বসে দেখেন। ঋষি অরবিন্দও জেলে ছিলেন, সাভারকারও জেলে ছিলেন। আর বাম বিপ্লবীরাও জেল ছেড়ে এসেই এই আসল জেল এই 'ভাবাদর্শে'র জেলে জড়ান বলেই আজ অব্দি কাজের কাজ কিচ্ছু হলোনা বিশেষ। 'আধিপত্যে'র ভাবাদর্শ নিয়ে ইতালীয় জেল খাটা বিপ্লবী গামশি অনেক আগেই বেশ কিছু কাজের কথা লিখে গেছেন। বাল ঠাকরে এগুলো জানত, তাই সে 'ভাবাদর্শে'র লাঠির চোটে সমস্ত বিশুদ্ধ শ্রমিক আন্দোলনগুলোকেও এমন ভাবে দমিয়ে দিল যা মুম্বাই পুলিশ পারেনি লাঠির চোটে/ তাই পুলিশ এতো বালা ভক্ত। মুস্কিল হলো আমাদের 'বাম' হবার ইচ্ছে বড়ো, কিন্তু 'বালা'র বুদ্ধির খবর রাখিনা!
    যাইহোক , আপনাকে আরেকটা ভালো লেখা পড়াচ্ছি, কল্লোলদাঃSomeday, we will count how many minutes it took for television in India to start baying for Afzal Guru’s blood (once again) after Ajmal Kasab was buried in Yerwada Central Jail in Pune.
    A man called Mohammad Afzal Guru, son of Habibullah Guru, currently resident in Ward Number 6 of Jail Number 1 in Tihar Central Prison in Delhi will hang to satisfy the bloodlust of the Indian Republic, unless the President of India decides otherwise. This text is an attempt to make us think about this decision and its ramifications carefully.
    http://kafila.org/2012/11/22/satyameva-jayate-with-regard-to-the-impending-execution-of-mohammad-afzal-guru-in-tihar-jail-2/
  • অযান্ত্রিক | 127.194.198.182 (*) | ২২ নভেম্বর ২০১২ ১১:২০89231
  • আমার সহজ পথে চিন্তায় মনে হচ্ছে - মগজধোলাইকৃতদের থেকে ইনফো বের করা যায়না, সুতরাং কাস্টডিতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদে লাভ নেই, তাদের আইডিওলজিকে সংশোধন করা যাবে না, সুতরাং জেলে রেখে লাভ নেই, ছেড়ে দিলে আবার সন্ত্রাস ছড়াবে, সুতরাং ছেড়ে দেওয়া যায়না। তাহলে আর একটা জিনিসই বাকি রইল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন