এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ভিতেবস্ক-এর ভবঘুরে

    প্রগতি চট্টোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১০০৭ বার পঠিত
  • Marc Chagall. My life (London: Peter Owen Publishers, 1965, Paperback edition 2003). Pp 171, 9.95 Pounds. ISBN 0-7206-1186-5

    মার্ক শাগাল মারা যান ১৯৮৫ সালে, আটানব্বই বছর বয়সে। প্রায় এক শতাব্দীর জীবনের মধ্যে ক্যানভাসের পর ক্যানভাস,ম্যুরাল, এচিং,গির্জার জানালা ও অন্যান্য ভবনের কাচচিত্র, ট্যাপেস্ট্রি। বিচিত্র ও বিভিন্ন মাধ্যমে রঙ,রঙ আর রঙ দিয়ে শাগাল যে অনুপম জগৎ শিল্পপ্রেমী মানুষের জন্য রেখে গেছেন তার মধ্যে ফিরে ফিরে আসে পূর্বতন রাশিয়া, এখনকার বেলারুশের একটি ছোটো শহর ভিতেবস্ক। এই শহর দিয়েই শুরু করেছেন ১৯২২ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসে সম্পূর্ণ করা বই, "মাই লাইফ'। মাতৃভাষায় নয়, ফরাসি ভাষায় লেখা, বহু বছর পরে ইংরেজিতে অনূদিত হবার সঙ্গে সঙ্গে সারা পৃথিবীর পাঠকবর্গের সামনে তাঁর বর্ণঢালা, জীবনজারিত ছবিগুলির মতনই প্রখর প্রাণময় এক সৃষ্টি হিসেবে বহু সমাদৃত হয়েছে।

    আমার হাতে রয়েছে ২০০৩ সালের পেপারব্যাক সংস্করণ। পাতার পর পাতায় ছড়িয়ে আছে শাগালের অসাধারণ এচিং, কাহিনিতে এনেছে স্মিত হিউমারের অনুলেপন। ছিলেকাটা লিরিকাল বাক্যগুলির পাশে পাশে যারা না থাকলে বইটি যেন অসম্পূর্ণ থাকত। যেকোনো পাঠকের কাছে এই একশো একাত্তর পাতার বইটি পাঠের অমূল্য আনন্দই নিয়ে আসবে না, ভাবাবেও। পূর্ব ইয়োরোপ থেকে নি:শেষ হয়ে আসা লোকায়ত ইহুদি জীবনের সরসতা ও সমৃদ্ধির বিষয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও হলোকস্টের পরের ইতিহাসে ইয়োরোপের এই কৃষ্টির ধারা একেবারেই শুকিয়ে গেছে।

    ফরাসিরা বিশেষণ ব্যবহার করতে ভালোবাসেন। একটি বিশেষণ খুব ব্যবহৃত হয় , কোনো শিল্পকলা বা যেকোনো আর্ট এর বিষয়ে সমালোচনায় শব্দটি হলো "ইনেদিত(Inédit)' যা একেবারে নতুন ধরণের কোনো শিল্পসৃষ্টিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যে কাজের মধ্যে থাকে নবীন মৌলিকতা, আর ঐ সম্পূর্ণ নবীন কাজের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে শিল্পের প্রাণভোমরা। শাগাল নিজের শহর, কৈশোরের দিনগুলির সেরকম অর্থে গুছিয়ে কোনো ধারাবিবরণী দেননি, যে ভাবে বাক্যগুলি সাজিয়েছেন, তা পুরোপুরি "ইনেদিত', তার মধ্যে রয়েছে এক অনাস্বাদিত নবীনতার ছাপ।

    ভিতেবস্ক শহরটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ১৯২২ এর পর শাগাল এই শহরে ফিরেও আসেননি। হলোকস্ট ও যুদ্ধের সময়ে প্রবাসে বসে বারবার তাঁর প্রিয় জন্মশহরের কথা ভেবেছেন, কষ্ট পেয়েছেন আর শহরের মুখ, শহরের উৎসব, আটপৌরে জীবনের দিনলিপিকে ছবির বিষয় করেছেন , শহরটিকে শাগাল কখনও ভোলেননি, মিছিলের মুখগুলি এসেছে প্রায় আটদশক ধরে ছবির পটে।

    বেলারুশ, ইউক্রেন, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড অর্থাৎ পূর্ব ইউরোপের ইহুদি-অধ্যুষিত একটি বড় অংশ আঠেরোশো শতকে ক্যাথারিন দি গ্রেটের সময় থেকেই বিশাল রুশ সাম্রাজ্যের অধীন হয়, কিন্তু ইহুদি জনসমষ্টির স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার ছিল না। ঘেটোর সঙ্গে তুলনীয় ছোট ছোট শহরগুলো পূর্ব ইউরোপের লোকায়ত ইহুদি জীবন, কৃষ্টির মূল আধার ছিল। ঊনবিংশ শতকের শেষে এই জীবনকেই "ইনেদিত' স্টিল-লাইফে রেখে দিয়েছেন তাঁর "মাই লাইফ" এর প্রথম দিকের অনতিদীর্ঘ পরিচ্ছদের পাতায়।

    শাগাল শুরু করেছেন একটি চৌবাচ্চা দিয়ে। তাঁর শহরের বাজারের মধ্যে না-চৌকো, না -গোল পাথরের সাদামাটা একটা চৌবাচ্চা, যার ভেতর শিশু শাগাল ঠিক এঁটে যেতেন মাপমতন। এক চিলতে কমও না, বেশিও না। বড় হয়ে শাগাল আর আঁটেননি ঐ চৌবাচ্চায়, শহরেও নয়। তখন মাপমতন খুঁজে নিয়েছেন সেন্ট পিটার্সবার্গ, মস্কো, প্যারিস, নিউ ইয়র্ক। মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের সিনাগগ-গির্জা বাড়িঘর ,যারা যেন শাগালের নিজের ভাষায় জত্তোর ফ্রেসকো থেকে উঠে আসা, তারা পরে যুদ্ধের বোমায় বিনষ্ট হয়েছে। বর্তমান বেলারুশের ভিতেবস্ক শহরে তারা আর নেই। শহরে মিছিলের মুখ আঁকতে গিয়ে যে দুটি মুখ অতি যত্নে এঁকেছেন, তাঁরা হলেন লেখকের বাবা ও মা। বাবা প্রাণপাত পরিশ্রম করতেন একটি হেরিং মাছ জারানোর গুদামে। তাঁর পরনের জামা সব সময় ভিজে থাকত নুনজলে। অযত্নচর্চিত দাড়ি,ছাই-বাদামি চোখ,অজস্র বলিরেখাকীর্ণ ক্লান্ত বিষণ্ন একটি মুখ। সন্ধ্যের মুখে বাড়ি ফেরার সময় সন্তানদের জন্যে হাতে করে নিয়ে আসতেন কেকের টুকরো,নাসপাতি। প্রতিদিন ভোর ছটায় ঘুম থেকে উঠে সিনাগগে প্রার্থনা শেষে তবে যেতেন কাজে। আর একটি প্রিয় মুখ "মামা', শাগালের ছোট্টোখাট্টো মা, যিনি অস্বচ্ছল পরিবারটিতে স্বামী-সন্তানদের বুকে করে আগলে রাখতেন। রোজ তিনি রুটি সেঁকেছেন, সামোভারে চা বসিয়েছেন, বাড়িতেই একটি ছোট্টো মুদিখানা চালিয়েছেন,প্রতিবেশীর সঙ্গে গল্প করেছেন চৌকাঠে দাঁড়িয়ে। সাবাথের পূর্বসন্ধ্যায় সপ্তাহান্তের ভোজ শিশু শাগালের কাছে মহাভোজ। মাছ, গাজর দিয়ে মাংস, নুডল্‌স, সুরুয়া, সেদ্ধ ফল, রুটি। সামোভারে চা। অন্ধকার চিরে বাজারের দিকে মানুষের শব্দ, রাস্তায় দাঁড়ানো গাছেরা একে অপরকে আদর করে, ফিসফিস করে কথা বলে।

    শহরের রাবাইর কাছে কিছুদিন ধর্মশিক্ষার পরে সরকারি ইস্কুলে যান শাগাল। এই ইস্কুলে ভর্তির জন্য পঞ্চাশ রুবল ঘুষ দিতে হয় , সরকারি ইস্কুলে ইহুদি ছাত্রের প্রবেশাধিকার ছিল না। ইস্কুলের পড়া বেশিদূর এগোয় না, পড়া করে ক্লাসে এলেও তোতলামির জন্য পেছিয়ে পড়েন, সব সময় তাঁর মনে হয় একটা লাল কুকুর ঘাড়ের ওপর ঘাপটি মেরে বসে,ধুলোয় কিচকিচ করে মুখ-দাঁত। সহপাঠিদের বেঞ্চির নিচে হস্তমৈথুন করতে দেখে আরও বিষণ্ন হয়ে যান শাগাল। একমাত্র ভালো লাগে ড্রয়িং আর জ্যামিতি।

    ছবি আঁকাই তার নিয়তি এটা বুঝতে শাগালের বেশী সময় লাগে না। শহরের ট্রামে যেতে যেতে দেখেন হরেক কিসিমের সাইনবোর্ড - "গুরেভিচের রুটি ও কেক', "সব ধরণের তামাক' , "ফল ও সবজি', "ওয়ারশ টেলার্স', "প্যারিস ফ্যাশন' ,"পেন এর শিল্পশিক্ষালয়'। শেষের সাইনবোর্ডের অক্ষরগুলি , শাগালের চোখের সামনে রোদ্দুর আর বৃষ্টির মধ্যে দুলতে থাকে।

    শিল্পশিক্ষার মাস্টারমশাই এহুদা পেন শাগালের স্কেচ-ড্রইং এর পাঁজা নাড়াচাড়া করে ভর্তি করে নিলেন। কিছুদিনের শিল্পশিক্ষার পর দেশের রাজধানীর দিকে যাত্রা করেন সেন্ট পিটার্সবার্গ। অতি কষ্টে সামান্য অর্থ সংগ্রহ করে ইহুদি হিসেবে শহর ছাড়ার একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে রাজধানীতে ছবি আঁকা শিখতে আসেন শাগাল। ছাত্র হিসেবে জায়গা পেলেন একটি শিল্পবিদ্যালয়ে, যার অধ্যক্ষ ছিলেন বিখ্যাত রুশ শিল্পী নিকোলাস রোয়েরিখ। যিনি শাগালকে একেবারেই অনুপ্রাণিত করেননি, দুটি বছর এই প্রতিষ্ঠানে কাটানোকে মনে হয়েছে নিতান্ত অপচয়। ক্লাসঘরের অদ্ভুত শীতলতা, পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পচা খালের ভ্যাপসা গন্ধ, ঝিমন্ত শিক্ষকেরা, -- তাঁকে বারবার বলছিল অন্য একটা জায়গা খুঁজে নিতে। যেখানে তাঁর মনে হয়েছিল কেউ তাঁকে জিগ্যেস করবে না কেন তিনি তোতলান, কেন তিনি অত অস্বাভাবিক ফর্সা, কেন তিনি সব সময় বিমর্ষ থাকেন আর কেনই বা খালি বেগুনি রঙে ছবি আঁকেন!

    সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্যারিসের দিকে পৌঁছতে পৌঁছতে ১৯১০ সাল। শাগালের মনে হয়, রাশিয়া যেন অনেক দূরের, চুপসানো সুতোছেঁড়া ফানুসের মতন তাঁর কাছ থেকে সরে যাচ্ছে। প্যারিসের অজস্র আর্ট মিউজিয়ম,সাঁলোর পর সাঁলো, যেখানে সবসময় চলছে প্রতিষ্ঠিত,অজানা সব ধরণের শিল্পীর চিত্রপ্রদর্শনী, প্যারিসের আলোজ্বলা দোকানপাঠ, কাফে, যেখানে রাত্রিদিন ছবি-আঁকা নিয়ে থাকেন ছোটো একটা ঘরে। তাঁর ছবির সেই "লা রুশ' বা "মৌচাক' নামের বোহেমিয়ান জায়গাটি। সব যেন ভিতেবস্ক ,সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে লক্ষ যোজন দূরে।

    প্যারিসের দিনগুলি শাগালের কাছে নিজেকে আরও সরাসরি যাচাই করার দিন। তিনি চান নিজের মতন করে আঁকতে, নিজের রঙ, নিজের ভাবনায়। রুশ দেশ থেকে আসা ইহুদি শিল্পীর তকমা যেন গা থেকে ছাড়ে না। জনপ্রিয় কিউবিজমের আঁচ তিনি ইচ্ছে করেই নিজের ক্যানভাসে আসতে দেননা, শুদ্ধ থাকতে চান নিজের শিল্পবোধের প্রতি। প্যারিসে কবি গিয়োম আপোলিনের-এর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতে পথ হাঁটেন, উচ্ছল শহরে । শাগাল চান শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পী পিকাসোর সঙ্গে পরিচিত হতে, আপোলেনের চেনেন পিকাসোকে, নিয়ে যাবেন একদিন তাঁর কাছে? আপোলিনের উত্তর দেন, মাথা খারাপ? পিকাসোর সব বন্ধুরা এক এক করে আত্মহত্যা করছেন, পিকাসোর কাছে গিয়ে আর কাজ নেই।

    প্যারিস তাঁর কাছে হয়ে যায় দ্বিতীয় ভিতেবস্ক, আইফেল টাওয়ারের মোটিফ আসে ছবির মধ্যে। ইয়োরোপের সামনে এসে দাঁড়ায় যুদ্ধ, আর রাশিয়ায় আসে বিপ্লব। পুরোনো ধাঁচ ভেঙ্গে যে নতুন দেশটির দরজা আস্তে আস্তে ইয়োরোপের সামনে খুলে যায়, সেখানে শিল্প ,চারুকলার কি ভূমিকা হবে? শাগাল এই অদ্ভুত,পালাবদলের দিনে হঠাৎ দেশের নবীন বলশেভিক সরকারের আমলা হয়ে ওঠেন, শিল্পকলা বিভাগের কোন একটা দায়িত্বে। কমরেড শাগাল নতুন বিপ্লবী সরকারের দেওয়া পদে সরকারী কর্মী হলেন। কিন্তু আর্টের নামে সোভিয়েত সরকারের প্রচেষ্টা শাগালের মনে হয় নিতান্ত অর্থহীন, শহরের পরে শহরে সিমেন্টে বানানো লেনিন আর মার্ক্সের মূর্তি বসে, প্রোলেতারিয়ান আর্টের ঢেউ অন্য আর্টের ভাবনায় নিষেধ জারি করে। মস্কোয় বসে হাঁপিয়ে ওঠেন শাগাল। কবিদের কর্মশালায় ভীষণ জোরে জোরে চেঁচান মায়াকোভস্কি,থুতু ফেলেন সভার মাঝখানেই। শাগাল ভাবেন কবি বিপ্লবী হলে কি এত চেঁচাতে হয়, থুতু ছেটাতে হয় একঘর মানুষের মধ্যে? সোভিয়েত সরকারি প্রোলেতারিয় শিল্পের খাঁচায় বন্দী হতে চান না শাগাল। খোঁজেন নিজস্ব শিল্পীর জীবন, যেখানে নিজের ভাবনার আকাশে তিনি উড়ন্ত গরুও আঁকতে পারবেন, কারুর কাছে কৈফিয়ৎ দিতে হবে না, "এটা কি , কমরেড শাগাল?' আবার রাশিয়া ছাড়তে চলেন মার্ক শাগাল।

    "মাই লাইফ' এর শেষ পাতায় দেখা যাচ্ছে ক্লান্ত শাগালকে, যিনি সোভিয়েত জমি ছেড়ে ইয়োরোপের অন্য কোনো শহরে, দেশে, নিজের শিল্প নিয়ে বেঁচে থাকতে চাইছেন। ১৯২২ এ শেষের পাতাগুলি লিখতে গিয়ে বার বার ফিরে তাকিয়েছেন ভিতেবস্ক, শৈশবের শহরটির দিকে। রাশিয়ায় বসে, তখন শাগালের একমাত্র ভাবনা আবার ফিরবেন পশ্চিম ইয়োরোপের অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ, স্বাধীন বাতাসে ঘ্রাণ নিতে জীবনের, সঙ্গে থাকবে স্ত্রী বেলা, কন্যা ইডোচকা, আর ছবি আঁকবেন নিজের মতন। পুরোনো রাশিয়াও তাকে চায় নি, নতুন রাশিয়াও নয়, তবে কি রেমব্রান্টের হল্যান্ড তাকে চাইবে? প্যারিস ই কি সেই শহর, যেখানে না-কিউবিস্ট, না-দাদাইস্ট, না-এক্সপ্রেশনিস্ট হয়ে, আইফেল টাওয়ারের ওপর উড়ন্ত-ঘুমন্ত মেয়েটির ছবি আঁকলেও কোনো সরকারি বিরক্তির কারণ হবেন না?

    নিজের জীবনের প্রথম পঁয়ত্রিশ বছরের সঙ্গে মিশিয়ে মিশিয়ে লিখেছেন জারের অধীনে রুশ-ইহুদির ঘেটো-প্রতিম ছোটো শহরের উনবিংশ শতকের শেষ হয়ে যাওয়া সময়ের জীবন, তার উৎকেন্দ্রিকতা,সারল্য, পারিবারিক প্রতিটি দিনের অপার ভালোবাসার করুণ আখ্যান, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, রাশিয়ার বিপ্লব,প্যারিসের কবি-কাফে-আর্টিস্টের বিচিত্র রসায়ন, যুদ্ধের পরে স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে জীবন । প্রত্যেকটি বাক্যের মধ্যে আছেন অবিসংবাদিত, একক শাগাল। উনিশশো বাইশের পরেও বহুদিন বেঁচে থাকবেন তিনি, প্রায় একশো বছরের জীবন তাঁর। ভিতেবস্ক, তার মানুষজনেরা বারবার ফিরে আসবে শাগালের ছবিতে। সাদা-কালো এচিং-এর মধ্যে থেকে আমরা চিনে নিই শহরের সিনাগগ, তাঁর বাবা-মা, সাবাথের ভোজ, প্যারিসের কাফে। বই-এর সঙ্গে ছবি মিলিয়ে মিলিয়ে পড়তে পাঠক এক বিচিত্র রসাস্বাদনে সামিল হতে পারেন। শাগালের অদ্ভুত গদ্যের ম্যাজিক ,ছন্দময় শব্দের ক্যানভাস পাঠককে মুগ্ধ করে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ১০০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন